Ajker Patrika

সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশকে ‘হত্যাকারী রোবট’ ব্যবহারের অনুমতি

আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫: ১৬
সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশকে ‘হত্যাকারী রোবট’ ব্যবহারের অনুমতি

হত্যা করতে সক্ষম এমন রোবট ব্যবহার করতে পুলিশকে অনুমতি দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরের বোর্ড অব সুপারভাইজার। এর ফলে এখন থেকে শহরটির পুলিশ বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিস্ফোরকবাহী রোবট মোতায়েন করতে পারবে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

স্টপ কিলার রোবটস গ্রুপের কর্মকর্তা ক্যাথরিন কনোলি বলেছেন, এই পদক্ষেপ মানুষকে হত্যা থেকে দূরে রাখার সবচেয়ে খারাপ উপায়। সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশ বিভাগ (এসএফপিডি) বিবিসিকে বলেছে, তারা বর্তমানে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত কোনো রোবট পরিচালনা করে না। তবে ভবিষ্যতে বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রাণঘাতী অস্ত্রসজ্জিত রোবট ব্যবহার করতে পারে। 

সান ফ্রান্সিসকো পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সহিংস, সশস্ত্র বা বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রোবটগুলোকে বিস্ফোরক দিয়ে সজ্জিত করা হতে পারে। রোবটগুলো সহিংস, সশস্ত্র, বিপজ্জনক ও জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে এমন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। আইনজীবীরা বলছেন, এই রোবটগুলো শুধু চরম পরিস্থিতিতেই ব্যবহার করা হবে। 

তবে বিরোধীরা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এই পদক্ষেপ পুলিশ বাহিনীকে আরও সামরিকীকরণের দিকে নিয়ে যাবে। 

গত মঙ্গলবার নতুন এই ব্যবস্থা অনুমোদনের সময় একটি সংশোধনীও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কেবল অনন্যোপায় হলেই পুলিশ প্রাণঘাতী এসব রোবট ব্যবহার করতে পারবে। এ ছাড়া অল্প কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাই কেবল এ ধরনের রোবট ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবেন। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের প্রাণঘাতী রোবট ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরেও ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে টেক্সাসের ডালাসে পুলিশ একজন স্নাইপারকে হত্যা করতে সি-ফোর বিস্ফোরক দিয়ে সজ্জিত একটি রোবট ব্যবহার করেছিল। 

পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, কোন পরিস্থিতি কখন কতটা চরম আকার ধারণ করতে পারে, তা কোনো নীতি দিয়েই অনুমান করা যায় না। এ জন্য পুলিশকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। 

ফেডারেল সরকার স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সামরিক সরঞ্জাম, ছদ্মবেশী ইউনিফর্ম, বেয়নেট ও সাঁজোয়া যান সরবরাহ করছে। তবে এ বছর ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসনের পাস করা আইনে বলা হয়েছে, নগর পুলিশকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার কথা বলা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুই কারণে পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান

খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে নয়, কাল কাতার থেকেই আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

ফায়ার সার্ভিসে ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করবে সরকার, বাড়বে সুযোগ-সুবিধা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিল্লি সফর: ১০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য চান পুতিন

  • ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে
  • কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সহযোগিতার বিস্তারিত আলোচনা করেন পুতিন
  • রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভারতকে রুশ অস্ত্র কেনার জন্য চাপ দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রাশিয়ার প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এএফপি
রাশিয়ার প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এএফপি

ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন।

মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে ‘গঠনমূলক ও বন্ধুত্বসুলভ’ বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভারতে গতকাল রাশিয়ার টিভি চ্যানেল আরটিকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন পুতিন। এ সময় বৈশ্বিক ইস্যুতে ভারত ও রাশিয়া—দুই দেশের সামঞ্জস্যতার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এ ছাড়া জ্বালানি খাত, বিশেষ করে কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সহযোগিতার বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাশিয়ার কালুগা অঞ্চলে একটি নতুন ওষুধ কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট।

দুই দিনের সফরে পুতিনকে বিমানবন্দরে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এ মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।

ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।

নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে, ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।

পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’

ভারত বলেছে, ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য ও অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।

পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না, জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।

ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত—জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন, এ ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সব নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’

এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাল গালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে তাঁরা চলে যান।

পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। গতকাল দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

পুতিন ভারতকে আরও রুশ অস্ত্র কেনার জন্য চাপ দেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও নয়াদিল্লিকে ওয়াশিংটনের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। মস্কো ভারতে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এসইউ-৫৭ স্টেল্থ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার আশা করছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য চাপ দিতে গতকালের বৈঠকের মাত্র কয়েক দিন আগে পুতিন মস্কোয় মার্কিন এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকের পর উভয় পক্ষই অগ্রগতির প্রশংসা করে, যদিও কোনো যুগান্তকারী সমাধান হয়নি। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারত যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা করা থেকে বিরত থেকেছে এবং আলাপ-আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুই কারণে পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান

খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে নয়, কাল কাতার থেকেই আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

ফায়ার সার্ভিসে ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করবে সরকার, বাড়বে সুযোগ-সুবিধা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিমানে শালীন পোশাকের পরামর্শ মার্কিন মন্ত্রীর—প্রতিবাদে ‘অশালীন’ যাত্রীরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।

শুক্রবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন গত নভেম্বর থেকে ‘দ্য গোল্ডেন এজ অব ট্রাভেল স্টার্টস উইথ ইউ’ শিরোনামে একটি প্রচারণা শুরু করেছে। এই প্রচারণার লক্ষ্য বিমান ভ্রমণে শালীনতা, সৌজন্য এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এক সংবাদ সম্মেলনে ডাফি বলেন, ‘জিনস আর পরিষ্কার শার্টই যথেষ্ট। কিন্তু আমরা যেন অন্তত স্লিপার আর পায়জামা পরে বিমানবন্দরে না আসি।’ তাঁর দাবি—ভালো পোশাক মানুষকে আচরণেও আরও ভদ্র করে।

তবে ডাফির এই বক্তব্য অনেকের কাছে সীমা অতিক্রম বলে মনে হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ করে টিকটক ও এক্সে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ডেমোক্রেটিক অ্যাকটিভিস্ট জনি পালমাদেসা পায়জামা পরে এক ভিডিওতে বলেন, ‘এই প্রশাসনের অগ্রাধিকার একেবারেই সঠিক নয়।’ তিনি মত দেন, ট্রাম্প এবং ডাফির উচিত বিমান ভাড়া ও ভ্রমণ ব্যয় কমানো, যাতে মানুষ চাইলেই সুন্দর পোশাক কিনতে পারে।

আরেকজন টিকটকার পায়জামা পরে বিমানবন্দরে যাওয়ার ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘যেহেতু নিষেধ করা হয়েছে, এখন অবশ্যই পায়জামা পরেই যাব!’

বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বাড়তে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তর এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে, নতুন এই প্রচারণার পক্ষে বিভাগটি ২০১৯ সালের পর যাত্রী অসদাচরণ বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরেছে। তাদের দাবি—গত চার বছরে যাত্রীদের প্রায় ১৪ হাজার বিশৃঙ্খল আচরণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা আগের তুলনায় ৪০০ শতাংশ বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুই কারণে পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান

খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে নয়, কাল কাতার থেকেই আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

ফায়ার সার্ভিসে ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করবে সরকার, বাড়বে সুযোগ-সুবিধা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মার্কিন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যোগ হতে পারে ৩০টির বেশি দেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম। এএফপি
মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম। এএফপি

যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফক্স নিউজের ‘দ্য ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল’–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন।

সাক্ষাৎকারে নোয়েমকে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশের সংখ্যা ৩২-এ উন্নীত করতে যাচ্ছে কিনা। জবাবে তিনি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা না জানালেও বলেন, ‘সংখ্যা ৩০-এর বেশি হবে এবং প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন দেশ নিয়ে বিবেচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

চলতি বছরের জুনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন এবং আরও ৭টি দেশের ওপর ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা আরোপ করেন। বিদেশি সন্ত্রাসী ও নিরাপত্তা ঝুঁকি ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে প্রশাসন। এই নিষেধাজ্ঞা শুধু অভিবাসনের জন্য আবেদনকারীদের নয়, পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

ক্রিস্টি নোয়েম জানান, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের স্থিতিশীলতা ও পরিচয় যাচাই ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো দেশের স্থিতিশীল সরকার না থাকে এবং তারা তাদের নাগরিকদের পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে কেন আমরা সেই দেশের মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেব?’

ইতিপূর্বে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন আরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করছে।

গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নীতি আরও কঠোর হওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। ঘটনাটির সঙ্গে অভিযুক্ত আফগান নাগরিক ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রবেশ করেছিলেন, যা নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

এদিকে অভিবাসন অধিকার সংগঠন ও আইনপ্রণেতারা এই সিদ্ধান্তকে কঠোর ও বৈষম্যমূলক বলে সমালোচনা করছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই নীতি অভিবাসন প্রক্রিয়াকে অকারণে স্থবির করছে এবং এমনকি কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব প্রদানের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হচ্ছে।

অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে আগ্রহী অনেক আবেদনকারীর ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুই কারণে পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান

খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে নয়, কাল কাতার থেকেই আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

ফায়ার সার্ভিসে ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করবে সরকার, বাড়বে সুযোগ-সুবিধা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মার্কিন হামলায় বেঁচে যাওয়া দুজনকে দ্বিতীয় আঘাতে হত্যা—ভিডিও ফাঁসে হইচই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবিটি ভিডিও থেকে নেওয়া। ছবি: এএফপি
ছবিটি ভিডিও থেকে নেওয়া। ছবি: এএফপি

ক্যারিবিয়ান সাগরে মাদকবাহী সন্দেহে একটি নৌকার ওপর মার্কিন সামরিক বাহিনীর হামলায় বেঁচে যাওয়া দুই ব্যক্তি নৌকার ভাঙা অংশ আঁকড়ে প্রায় এক ঘণ্টা পানিতে বেঁচে ছিলেন। পরে দ্বিতীয় হামলায় তাঁদের হত্যা করা হয়—এমন ভিডিও যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের হাতে পৌঁছেছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

ভিডিওতে দেখা যায়—দুই ব্যক্তি শার্টহীন, নিরস্ত্র এবং তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগযন্ত্র ছিল না। সূত্র বলছে, তাঁরা জানতেই পারছিলেন না প্রথম আঘাত কোথা থেকে এসেছে কিংবা মার্কিন সামরিক বাহিনী যে তাঁদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২ সেপ্টেম্বরের ওই হামলার ফুটেজ এখন ওয়াশিংটনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। অনেকে বলছেন, এই হামলার নির্দেশদাতারা যুদ্ধাপরাধ করেছেন।

বিতর্কিত ওই হামলার ভিডিওটি দেখে ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান জিম হাইমস এটিকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভিডিওতে এমন দুজনকে দেখা যায় যারা স্পষ্টতই বিপদে ছিলেন। তাদের কোনো অস্ত্র বা চলার উপায় ছিল না।’

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিধি অনুযায়ী জাহাজডুবি, আহত বা আত্মসমর্পণ করা ব্যক্তিদের হত্যা করা যুদ্ধাপরাধ। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধ’ হিসেবে প্রচারণা চালালেও মার্কিন আইনবিদদের একটি বড় অংশ এই যুক্তিকে আইনগতভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতে ‘আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বৈধতা’ তৈরি করতে পারে এবং এর জন্য জনসমক্ষে স্বচ্ছ তদন্ত ও জবাবদিহি জরুরি।

এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার পেন্টাগন জানিয়েছে, পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে আরেকটি সন্দেহভাজন নৌকায় হামলা চালালে চারজন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন বাহিনীর হামলার সংখ্যা দাঁড়াল ২২টি এবং মৃতের সংখ্যা অন্তত ৮৭ টি।

মার্কিন সামরিক বাহিনী তাদের সর্বশেষ হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছে এবং এটিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের পরিচালিত নৌকায় প্রাণঘাতী হামলা’ বলে দাবি করেছে। তবে প্রথম হামলায় বেঁচে থাকা দুই ব্যক্তির ওপর দ্বিতীয় হামলার দৃশ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

ইতিপূর্বে ওয়াশিংটন পোস্ট–এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, হামলার সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ মুখে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘কিল দেম অল’ অর্থাৎ ‘সবাইকে মেরে ফেলো’। তবে হামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল ফ্র্যাঙ্ক ব্র্যাডলি সিনেটরদের বলেছেন—এমন কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুই কারণে পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান

খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে নয়, কাল কাতার থেকেই আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

ফায়ার সার্ভিসে ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করবে সরকার, বাড়বে সুযোগ-সুবিধা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত