অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথোপকথনে হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন, পুতিন যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কিন্তু পুতিনের সঙ্গে আমার আগের দিনের ফোনালাপ ছিল একেবারেই হতাশাজনক।’
ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিন কেবল যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, মানুষ মেরে যেতে চান—এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।’ ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদারে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘তাদের কিছু না কিছু তো লাগবেই। কারণ, তারা ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। প্যাট্রিয়ট দুর্দান্ত ক্ষেপণাস্ত্র। এটা সত্যিই চমৎকার অস্ত্র।’
জেলেনস্কি পরে টেলিগ্রামে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা উৎপাদন, ক্রয় ও বিনিয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুত বৈঠকে বসে আলোচনা করব, যাতে আকাশ প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করা যায়।’ ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনে কিছু অস্ত্র সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। ফলে ইউক্রেন আশঙ্কা করছে, বিমান হামলা ও যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ অগ্রগতি ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।
এই প্রেক্ষাপটে, জার্মানি নতুন করে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছে। ট্রাম্প নিজেও জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্ৎসের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন, যদিও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা পরই রাশিয়া কিয়েভে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালায়। জেলেনস্কি এটিকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ভয়াবহ ও নির্লজ্জ হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট একটি মার্কিন সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ট্রাম্প-জেলেনস্কির ৪০ মিনিটের ফোনালাপ ‘খুবই ইতিবাচক’ ছিল এবং এর ফলে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ পুনরায় শুরু হওয়ার আশা তৈরি হয়েছে। ফোনালাপের পর জেলেনস্কি এক ভাষণে বলেন, ‘যৌথ উৎপাদন নিয়ে খুবই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এটা শুধু আমাদের নয়, আমেরিকারও প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা হিসেবে প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি ও গোলাবারুদ দিয়েছিল। ট্রাম্প তখন বাইডেনকে ‘বিনিময়ে কিছু না নিয়ে অস্ত্র পাঠানোর’ জন্য সমালোচনা করেছিলেন। ক্ষমতায় ফিরে এসে ট্রাম্প ইউক্রেনের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের নতুন রূপরেখা তৈরি করছেন, যার মধ্যে রয়েছে সহযোগিতা পুনর্মূল্যায়ন ও বাস্তবভিত্তিক বিনিময়নীতি।
রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হামলার মুখে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই এখন ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় চাওয়া। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন এখনো কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের উত্তপ্ত সম্পর্ক এবং ইউক্রেনের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে দোদুল্যমান অবস্থান আগামী সপ্তাহগুলোতে যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিতে পারে। তবে জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় প্যাট্রিয়টের প্রসঙ্গ ঘিরে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত মিলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথোপকথনে হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন, পুতিন যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কিন্তু পুতিনের সঙ্গে আমার আগের দিনের ফোনালাপ ছিল একেবারেই হতাশাজনক।’
ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিন কেবল যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, মানুষ মেরে যেতে চান—এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।’ ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদারে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘তাদের কিছু না কিছু তো লাগবেই। কারণ, তারা ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। প্যাট্রিয়ট দুর্দান্ত ক্ষেপণাস্ত্র। এটা সত্যিই চমৎকার অস্ত্র।’
জেলেনস্কি পরে টেলিগ্রামে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা উৎপাদন, ক্রয় ও বিনিয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুত বৈঠকে বসে আলোচনা করব, যাতে আকাশ প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করা যায়।’ ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনে কিছু অস্ত্র সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। ফলে ইউক্রেন আশঙ্কা করছে, বিমান হামলা ও যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ অগ্রগতি ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।
এই প্রেক্ষাপটে, জার্মানি নতুন করে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছে। ট্রাম্প নিজেও জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্ৎসের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন, যদিও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা পরই রাশিয়া কিয়েভে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালায়। জেলেনস্কি এটিকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ভয়াবহ ও নির্লজ্জ হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট একটি মার্কিন সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ট্রাম্প-জেলেনস্কির ৪০ মিনিটের ফোনালাপ ‘খুবই ইতিবাচক’ ছিল এবং এর ফলে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ পুনরায় শুরু হওয়ার আশা তৈরি হয়েছে। ফোনালাপের পর জেলেনস্কি এক ভাষণে বলেন, ‘যৌথ উৎপাদন নিয়ে খুবই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এটা শুধু আমাদের নয়, আমেরিকারও প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা হিসেবে প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি ও গোলাবারুদ দিয়েছিল। ট্রাম্প তখন বাইডেনকে ‘বিনিময়ে কিছু না নিয়ে অস্ত্র পাঠানোর’ জন্য সমালোচনা করেছিলেন। ক্ষমতায় ফিরে এসে ট্রাম্প ইউক্রেনের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের নতুন রূপরেখা তৈরি করছেন, যার মধ্যে রয়েছে সহযোগিতা পুনর্মূল্যায়ন ও বাস্তবভিত্তিক বিনিময়নীতি।
রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হামলার মুখে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই এখন ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় চাওয়া। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন এখনো কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের উত্তপ্ত সম্পর্ক এবং ইউক্রেনের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে দোদুল্যমান অবস্থান আগামী সপ্তাহগুলোতে যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিতে পারে। তবে জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় প্যাট্রিয়টের প্রসঙ্গ ঘিরে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত মিলেছে।
এনএসপি বলছে, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিকভাবে বহু প্রতিষ্ঠান তাদের সম্পদ হারিয়েছে, যা মূলত রাষ্ট্রীয় দখলের মাধ্যমে হয়েছে। ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ায় ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে হাজারের বেশি পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে রয়েছে ম্যাকডোনাল্ডস, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো
৪ ঘণ্টা আগেশুল্ক এখন ভূরাজনীতির হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। কুয়ালালামপুরে গতকাল বুধবার আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেইতিমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে তুরস্ক, জর্ডান ও লেবাননের দমকল বাহিনী। এ ছাড়া সাইপ্রাস থেকেও বিমান পাঠানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন সিরিয়ার জরুরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী রায়েদ আল সালেহ।
৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ সম্প্রতি ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তিনি হোয়াইট হাউসকে না জানিয়েই নিয়েছেন বলে সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে অন্তত পাঁচটি সূত্র। হেগসেথের এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের ভেতরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
৬ ঘণ্টা আগে