আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীন থেকে আসা প্রবাসী মার্কিন নাগরিক জেসন ইউয়ান দীর্ঘদিন ধরে টেক্সাসকে নিজের ঘরবাড়ি ভেবেছিলেন। কিন্তু নতুন একটি আইন তাঁর সেই বিশ্বাস নড়িয়ে দিয়েছে। এই আইনে চীন থেকে আসা নাগরিক ও কোম্পানিগুলোকে টেক্সাসে সম্পত্তি কেনা ও এক বছরের বেশি সময়ের জন্য ভাড়া নেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে টেক্সাস সিনেট বিল ১৭ (এসবি-১৭)। এই আইনে শুধু চীন নয়, ইরান, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়ার নাগরিক ও কোম্পানিগুলোকে টেক্সাসে সম্পত্তি কেনা ও এক বছরের বেশি সময়ের জন্য ভাড়া নেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এটিকে আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা’ হিসেবে, যা ‘শত্রুরাষ্ট্রের প্রভাব’ ঠেকানোর জন্য নেওয়া হয়েছে। আইন ভাঙলে জরিমানা হতে পারে আড়াই লাখ ডলারের বেশি কিংবা জেলও হতে পারে। তবে সমালোচকদের দাবি, এটি মূলত বিদেশিবিরোধী এবং বিশেষভাবে চীনা-আমেরিকানদের প্রতি বৈষম্যমূলক।
টেক্সাসের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি জিন উ বলেছেন, এই আইন এশিয়াবিরোধী, অভিবাসীবিরোধী এবং সরাসরি চীনা-আমেরিকানদের টার্গেট করছে।
এরই মধ্যে চায়নিজ-আমেরিকান লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যালায়েন্স তিনজন ভিসাধারীর হয়ে মামলা করেছে। যদিও আদালত মামলা খারিজ করেছেন, তবে আপিল প্রক্রিয়া চলছে। মামলার এক বাদী কিনলিন লি বলেন, ‘এটি আমাদের ১৫০ বছর আগের চীনা বর্জন আইনের কথা মনে করিয়ে দেয়।’
চীনা অভিবাসী ও কোম্পানিগুলো টেক্সাসের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে চীনা কোম্পানিগুলো ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে এবং প্রায় ৪ হাজার ৭০০ চাকরি সৃষ্টি করেছে।
কিন্তু নতুন আইনের কারণে অনেক চীনা বিনিয়োগকারী বিকল্প রাজ্য খুঁজছেন। রিয়েল এস্টেট এজেন্ট ন্যান্সি লিন জানান, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও সোলার প্যানেল খাতে বিনিয়োগ পরিকল্পনা স্থগিত করেছে কয়েকটি চীনা প্রতিষ্ঠান।
এই আইনের সমর্থকেরা বলছেন, এটি মূলত সামরিক ঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সুরক্ষার জন্য। ২০১৬-১৮ সালে চীনা ব্যবসায়ী সান গুয়াংসিন একটি উইন্ড ফার্ম প্রকল্পের জন্য টেক্সাসে ১ লাখ ৪০ হাজার একর জমি কিনেছিলেন। এর কাছাকাছি ছিল লাফলিন এয়ারফোর্স বেস। বিষয়টি বড় নিরাপত্তা বিতর্ক তৈরি করে এবং শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়।
জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হোল্ডেন ট্রিপলেটের মতে, চীনের গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি বাস্তব। এর পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা বাড়ছে। তবে আমেরিকার সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ফাউন্ডেশনের প্যাট্রিক টুমি পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেছেন, চীনা ব্যক্তিদের বাড়ি ভাড়া বা কেনার কারণে জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
আইনটি শুধু টেক্সাসের জন্য নয়। ২০২১ সাল থেকে অন্তত ২৬টি অঙ্গরাজ্যে ৫০টির বেশি আইন পাস হয়েছে, যেগুলো প্রধানত চীনের নাগরিকদের টার্গেট করছে। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা স্পাই বেলুন ধরা পড়ার ঘটনার পর এসব আইনের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যায়।
জেসন ইউয়ান যুক্তরাষ্ট্রে একটি গাড়ির দোকান চালান। তিনি এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। জেসন ইউয়ান বলেন, ‘এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও বৈষম্যের দরজা খুলে দিচ্ছে। আমার সন্তানদের বলব, যখন বৈষম্যের মুখোমুখি হবে, তখন প্রতিবাদ করতে হবে।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি টেক্সাসের আইন ঠেকানো না যায়, তবে অন্য অঙ্গরাজ্যেও একই ধরনের আইন আসবে।

চীন থেকে আসা প্রবাসী মার্কিন নাগরিক জেসন ইউয়ান দীর্ঘদিন ধরে টেক্সাসকে নিজের ঘরবাড়ি ভেবেছিলেন। কিন্তু নতুন একটি আইন তাঁর সেই বিশ্বাস নড়িয়ে দিয়েছে। এই আইনে চীন থেকে আসা নাগরিক ও কোম্পানিগুলোকে টেক্সাসে সম্পত্তি কেনা ও এক বছরের বেশি সময়ের জন্য ভাড়া নেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে টেক্সাস সিনেট বিল ১৭ (এসবি-১৭)। এই আইনে শুধু চীন নয়, ইরান, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়ার নাগরিক ও কোম্পানিগুলোকে টেক্সাসে সম্পত্তি কেনা ও এক বছরের বেশি সময়ের জন্য ভাড়া নেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এটিকে আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা’ হিসেবে, যা ‘শত্রুরাষ্ট্রের প্রভাব’ ঠেকানোর জন্য নেওয়া হয়েছে। আইন ভাঙলে জরিমানা হতে পারে আড়াই লাখ ডলারের বেশি কিংবা জেলও হতে পারে। তবে সমালোচকদের দাবি, এটি মূলত বিদেশিবিরোধী এবং বিশেষভাবে চীনা-আমেরিকানদের প্রতি বৈষম্যমূলক।
টেক্সাসের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি জিন উ বলেছেন, এই আইন এশিয়াবিরোধী, অভিবাসীবিরোধী এবং সরাসরি চীনা-আমেরিকানদের টার্গেট করছে।
এরই মধ্যে চায়নিজ-আমেরিকান লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যালায়েন্স তিনজন ভিসাধারীর হয়ে মামলা করেছে। যদিও আদালত মামলা খারিজ করেছেন, তবে আপিল প্রক্রিয়া চলছে। মামলার এক বাদী কিনলিন লি বলেন, ‘এটি আমাদের ১৫০ বছর আগের চীনা বর্জন আইনের কথা মনে করিয়ে দেয়।’
চীনা অভিবাসী ও কোম্পানিগুলো টেক্সাসের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে চীনা কোম্পানিগুলো ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে এবং প্রায় ৪ হাজার ৭০০ চাকরি সৃষ্টি করেছে।
কিন্তু নতুন আইনের কারণে অনেক চীনা বিনিয়োগকারী বিকল্প রাজ্য খুঁজছেন। রিয়েল এস্টেট এজেন্ট ন্যান্সি লিন জানান, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও সোলার প্যানেল খাতে বিনিয়োগ পরিকল্পনা স্থগিত করেছে কয়েকটি চীনা প্রতিষ্ঠান।
এই আইনের সমর্থকেরা বলছেন, এটি মূলত সামরিক ঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সুরক্ষার জন্য। ২০১৬-১৮ সালে চীনা ব্যবসায়ী সান গুয়াংসিন একটি উইন্ড ফার্ম প্রকল্পের জন্য টেক্সাসে ১ লাখ ৪০ হাজার একর জমি কিনেছিলেন। এর কাছাকাছি ছিল লাফলিন এয়ারফোর্স বেস। বিষয়টি বড় নিরাপত্তা বিতর্ক তৈরি করে এবং শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়।
জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হোল্ডেন ট্রিপলেটের মতে, চীনের গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি বাস্তব। এর পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা বাড়ছে। তবে আমেরিকার সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ফাউন্ডেশনের প্যাট্রিক টুমি পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেছেন, চীনা ব্যক্তিদের বাড়ি ভাড়া বা কেনার কারণে জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
আইনটি শুধু টেক্সাসের জন্য নয়। ২০২১ সাল থেকে অন্তত ২৬টি অঙ্গরাজ্যে ৫০টির বেশি আইন পাস হয়েছে, যেগুলো প্রধানত চীনের নাগরিকদের টার্গেট করছে। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা স্পাই বেলুন ধরা পড়ার ঘটনার পর এসব আইনের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যায়।
জেসন ইউয়ান যুক্তরাষ্ট্রে একটি গাড়ির দোকান চালান। তিনি এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। জেসন ইউয়ান বলেন, ‘এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও বৈষম্যের দরজা খুলে দিচ্ছে। আমার সন্তানদের বলব, যখন বৈষম্যের মুখোমুখি হবে, তখন প্রতিবাদ করতে হবে।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি টেক্সাসের আইন ঠেকানো না যায়, তবে অন্য অঙ্গরাজ্যেও একই ধরনের আইন আসবে।

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
৮ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
১০ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
১০ ঘণ্টা আগে