
ভেনেজুয়েলাভিত্তিক গ্যাং ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’–এর সদস্যদের ফেরত পাঠাতে যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করতে চান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেই পদক্ষেপে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন মার্কিন ফেডারেল আদালতের এক বিচারক। গতকাল শনিবার আদেশটি স্থগিত করেন বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ।
আজ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১৭৯৮ সালের ‘বহিঃশত্রূ আইন’ ব্যবহার করে ভেনেজুয়েলার ওই গ্যাং সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে, স্থগিতাদেশ দেওয়া বিচারক বলেছেন, আইনটি শত্রু দেশের দ্বারা সংঘটিত আক্রমণ মোকাবিলার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, যা শুধু যুদ্ধের সময় প্রয়োগ হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই আইনের ব্যবহার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই স্থগিতাদেশের কারণে ট্রাম্প আগামী ১৪ দিন নিজের আদেশ বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবেন না।
গতকাল শনিবারই গ্যাংটির বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগ এনে তাদের বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় হোয়াইট হাউস। ত্রেন দে আরাগুয়া নামের গ্যাংটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘গোপনযুদ্ধ’ চালাচ্ছে বলে দাবি করছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের ভাষ্য, গ্যাংটি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। ট্রাম্পের দাবি, এই গ্যাং যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ, চাঁদাবাজি, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও ভাড়াটে খুনের মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের কার্যকলাপ মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ১৭৯৮ সালের বহিঃশত্রূ আইনটি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সামলানোর জন্য প্রণয়ন করা হয়েছিল। তবে, এটিকে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তা করা হলে অভিবাসীদের আইনগত অধিকার ক্ষুণ্ন করা হবে। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের (এসিএলইউ) আইনজীবী লি গেলার্ন্ট বলেছেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন যা করছে, তা পুরোপুরি আইনবহির্ভূত। আমরা একটা বিপজ্জনক অবস্থায় চলে যাচ্ছি, যেখানে সরকার যুদ্ধকালীন ক্ষমতা অভিবাসন নীতিতে প্রয়োগ করতে চাচ্ছে।’
এই আইন কুখ্যাতি পেয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ওই সময় জাপানি, জার্মান ও ইতালীয় বংশোদ্ভূতদের এই আইনের আওতায় গণহারে বন্দীশিবিরে পাঠানো হয়েছিল। অনেক নাগরিক অধিকার সংগঠন এবং কিছু ডেমোক্র্যাট নেতা এই আইনের পুনর্ব্যবহারের সমালোচনা করেছেন। তাঁদের মতে, এটি মূলত গণ নির্বাসনের একটি হাতিয়ার।
উল্লেখ্য, বহিঃশত্রূ আইনের অধীনে মার্কিন সরকার চাইলেই কোনো অনাগরিককে যে কোনো মুহূর্তে দেশ থেকে বের করে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগও দেওয়া হয় না।
এদিকে, আদালতের স্থগিতাদেশেরও সমালোচনা করছেন অনেকে। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি স্থগিতাদেশটির কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এই রায়ে (বিচারক) বোয়াসবার্গ আমেরিকানদের নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করে ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংয়ের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এটি মার্কিন আইনশৃঙ্খলার জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।’
ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানরত যেসব ভেনেজুয়েলার নাগরিকের বয়স ১৪ বা তার বেশি এবং যারা এই গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ বাসিন্দা নন বা নাগরিকত্ব পাননি—তারা ‘বিদেশি শত্রু’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। যত দ্রুত সম্ভব তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হবে।

ভেনেজুয়েলাভিত্তিক গ্যাং ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’–এর সদস্যদের ফেরত পাঠাতে যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করতে চান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেই পদক্ষেপে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন মার্কিন ফেডারেল আদালতের এক বিচারক। গতকাল শনিবার আদেশটি স্থগিত করেন বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ।
আজ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১৭৯৮ সালের ‘বহিঃশত্রূ আইন’ ব্যবহার করে ভেনেজুয়েলার ওই গ্যাং সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে, স্থগিতাদেশ দেওয়া বিচারক বলেছেন, আইনটি শত্রু দেশের দ্বারা সংঘটিত আক্রমণ মোকাবিলার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, যা শুধু যুদ্ধের সময় প্রয়োগ হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই আইনের ব্যবহার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই স্থগিতাদেশের কারণে ট্রাম্প আগামী ১৪ দিন নিজের আদেশ বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবেন না।
গতকাল শনিবারই গ্যাংটির বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগ এনে তাদের বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় হোয়াইট হাউস। ত্রেন দে আরাগুয়া নামের গ্যাংটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘গোপনযুদ্ধ’ চালাচ্ছে বলে দাবি করছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের ভাষ্য, গ্যাংটি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। ট্রাম্পের দাবি, এই গ্যাং যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ, চাঁদাবাজি, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও ভাড়াটে খুনের মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের কার্যকলাপ মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ১৭৯৮ সালের বহিঃশত্রূ আইনটি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সামলানোর জন্য প্রণয়ন করা হয়েছিল। তবে, এটিকে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তা করা হলে অভিবাসীদের আইনগত অধিকার ক্ষুণ্ন করা হবে। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের (এসিএলইউ) আইনজীবী লি গেলার্ন্ট বলেছেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন যা করছে, তা পুরোপুরি আইনবহির্ভূত। আমরা একটা বিপজ্জনক অবস্থায় চলে যাচ্ছি, যেখানে সরকার যুদ্ধকালীন ক্ষমতা অভিবাসন নীতিতে প্রয়োগ করতে চাচ্ছে।’
এই আইন কুখ্যাতি পেয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ওই সময় জাপানি, জার্মান ও ইতালীয় বংশোদ্ভূতদের এই আইনের আওতায় গণহারে বন্দীশিবিরে পাঠানো হয়েছিল। অনেক নাগরিক অধিকার সংগঠন এবং কিছু ডেমোক্র্যাট নেতা এই আইনের পুনর্ব্যবহারের সমালোচনা করেছেন। তাঁদের মতে, এটি মূলত গণ নির্বাসনের একটি হাতিয়ার।
উল্লেখ্য, বহিঃশত্রূ আইনের অধীনে মার্কিন সরকার চাইলেই কোনো অনাগরিককে যে কোনো মুহূর্তে দেশ থেকে বের করে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগও দেওয়া হয় না।
এদিকে, আদালতের স্থগিতাদেশেরও সমালোচনা করছেন অনেকে। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি স্থগিতাদেশটির কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এই রায়ে (বিচারক) বোয়াসবার্গ আমেরিকানদের নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করে ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংয়ের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এটি মার্কিন আইনশৃঙ্খলার জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।’
ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানরত যেসব ভেনেজুয়েলার নাগরিকের বয়স ১৪ বা তার বেশি এবং যারা এই গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ বাসিন্দা নন বা নাগরিকত্ব পাননি—তারা ‘বিদেশি শত্রু’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। যত দ্রুত সম্ভব তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হবে।

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
৫ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
৬ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
৭ ঘণ্টা আগে