Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে উত্থান ঘটছে ২০০০ বছর আগের ভাষার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ মে ২০২৫, ১২: ১৫
গুয়াতেমালার আদিবাসী জনগোষ্ঠী। ছবি: সংগৃহীত
গুয়াতেমালার আদিবাসী জনগোষ্ঠী। ছবি: সংগৃহীত

মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের প্রাচীন ভাষাগুলো নিয়ে যেন নতুন নতুন ভূখণ্ডে পা রাখছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের ফলে মায়া সভ্যতার সহস্রাব্দ প্রাচীন ভাষাগুলো নতুন করে প্রসার লাভ করছে। লাতিন আমেরিকান অভিবাসী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।

লাতিনদের প্রাচীন ভাষা ও অভিবাসন নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, লাতিন আদিবাসীরা কীভাবে অভিবাসনের সঙ্গে নিয়ে আসছে ভাষা ও সংস্কৃতি। সেই ভাষার শব্দগুলো আবার ঢুকে পড়ছে ইংরেজি ভাষায়। এই আত্মীকরণ ঘটছে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই।

গুয়াতেমালার সান হুয়ান আতিতান গ্রামের বাসিন্দা আরোলদো বাবার মৃত্যুর তিন দিন পরও শোকে আচ্ছন্ন ছিলেন। পৈতৃক ভুট্টাখেত পরিচর্যা করার মানসিক শক্তিও ছিল না তাঁর। রাতের খাবারের সময় চুলায় কাঠের আগুনের দিকে তাকিয়ে আকাশ-পাতাল ভাবছিলেন আরোলদো। হঠাৎ করেই উপলব্ধী হলো, এবার তাজা বাতাস নেওয়ার সময় হয়েছে। পাশেই নীরবে খাবার খাচ্ছিলেন মা। মায়ের দিকে ফিরে মাম ভাষায় (গ্রামে প্রচলিত মায়া ভাষা) বললেন, ‘নান, ওয়াজি চিক্স তুজ কিতানুম মেশ’ অর্থাৎ, ‘মা, আমি শ্বেতাঙ্গদের দেশে যেতে চাই।’ তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা বুঝিয়েছিলেন।

মাম ভাষায় তাঁর মা উত্তর দিলেন, তিনি সব ব্যবস্থা করে দেবেন। তবে প্রথমে শোকের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এক বছর পর, ক্যালিফোর্নিয়ায় চাচাতো ভাইদের কাছে আরোলদো যাত্রা শুরু করেন। সিয়েরা মাদ্রে পর্বতমালার ঢাল বেয়ে নেমে, মেক্সিকো ও অ্যারিজোনার মরুভূমি পাড়ি দিয়ে সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ায় পৌঁছাতে তাঁর চার মাসেরও বেশি সময় লেগেছিল।

আরোলদো স্প্যানিশও বলতে পারেন। তিনি বলেন, ‘ (বাবার) মৃত্যু আমাকে জীবনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। আমাকে বুঝতে শিখিয়েছিল, এবার একাই জীবনকে মোকাবিলা করার সময় হয়েছে।’ বে এরিয়ায় ডিসেম্বরের এক শীতল রাতে একটি ছবি, ঐতিহ্যবাহী টুপি এবং হাতে বোনা ম্যাজেন্টা শার্টের নিচে কালো ক্যাপিক্সায় পরে যেন তাঁকে পাহারা দিচ্ছিলেন বাবা।

আরোলদো সঙ্গে নিয়ে আসা অল্প কয়েকটি জিনিসের মধ্যে একটি ছিল তাঁর ভাষা, মাম। এই ভাষার শিকড় হাজার হাজার বছর আগে মধ্য আমেরিকায় রাজত্ব করা মায়া সভ্যতার গভীরে প্রোথিত। আজ মেক্সিকো, হন্ডুরাস, এল সালভাদর ও গুয়াতেমালার আদিবাসীরা অভিবাসনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের ভাষা ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে মাম ও অন্যান্য মায়া ভাষার প্রসার বাড়ছে। প্রকৃতপক্ষে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মূলত ইউকাতান উপদ্বীপে কথিত মায়া ভাষাগুলো যুক্তরাষ্ট্রে এতটাই প্রচলিত হয়েছে যে, কিচে (বা কুইচে) এবং মাম এখন মার্কিন অভিবাসন আদালতগুলোতে ব্যবহৃত শীর্ষস্থানীয় ভাষাগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।

সান ফ্রান্সিসকো মেট্রোপলিটন এলাকা লাতিন আমেরিকান অভিবাসীদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য। মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বে এরিয়ার ৭০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার মধ্যে চারজনের একজন লাতিন। তাদের অধিকাংশই মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকা থেকে এসেছে।

মার্কিন সরকার তাদের সবাইকে দেশে প্রবেশের পর ‘হিস্পানিক’ হিসেবে গণ্য করে, যা স্প্যানিশভাষী দেশগুলোর মানুষকে বোঝায়। যদিও আরোলদোর মতো কিছু অভিবাসীর জন্য স্প্যানিশ মাতৃভাষা নয়, বরং এটি তারা তাদের গ্রামের বাইরের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য ব্যবহার করে। মায়া অভিবাসী ও বিশেষজ্ঞের মতে, অন্যরা স্প্যানিশ মোটেও বলতে পারে না, তারা শুধু আদিবাসী ভাষাতেই কথা বলে।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের মাম ভাষা বিশেষজ্ঞ টেস্কা স্কট বলেন, ‘অনেক মামভাষী যুক্তরাষ্ট্রে আসে এবং স্প্যানিশভাষী ও আদিবাসী সংস্কৃতির বাইরের মানুষের তুলনায় তাদের ভিন্ন চাহিদা, অভিজ্ঞতা এবং ইতিহাস রয়েছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘যদি আপনি গুয়াতেমালার প্রত্যেককে হিস্পানিক বলেন, তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন যে সেই গোষ্ঠীর সবাই সাবলীলভাবে স্প্যানিশ বলতে পারে, কিন্তু আসলে তারা তা পারে না।’

ক্যালিফোর্নিয়ায়, ২০২৪ সালে পাস হওয়া একটি নতুন আইন অনুযায়ী, রাজ্য সংস্থাগুলোকে ল্যাটিন আমেরিকান অভিবাসীদের পছন্দের ভাষা, যার মধ্যে কিচে এবং মামের মতো আদিবাসী ভাষাগুলোও অন্তর্ভুক্ত, সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, যাতে তাদের চাহিদা আরও ভালোভাবে বোঝা যায় এবং পূরণ করা যায়।

মায়া আদিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন খোঁজার কারণ হিসেবে স্কট বলেন, গুয়াতেমালায় অনেক মায়া সংস্কৃতির আদিবাসীরা প্রায়শই ভিন্ন সামাজিক শ্রেণির মানুষের দ্বারা তীব্র বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার হয়। তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার প্রধান কারণ এটিই।

যুক্তরাষ্ট্রে মায়া সম্প্রদায়ের বৃদ্ধি তাদের প্রাচীন ভাষাগুলোকে নতুন প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের যোগ। যদিও প্রাচীন মায়া শহরগুলোর ধ্বংসাবশেষ এবং খোদাই করা হায়ারোগ্লিফগুলো একটি দীর্ঘস্থায়ী সভ্যতার নিদর্শন বলে মনে হতে পারে। অনেক মায়া সম্প্রদায় ১৬০০ শতাব্দীর স্প্যানিশ উপনিবেশন থেকে থেকে বেঁচে গিয়েছিল। তারা তাদের সংস্কৃতি ও ভাষা সংরক্ষণ করেছিল। বে এরিয়ার মতো জায়গাগুলোতে এখন রেডিওতে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এমনকি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষগুলোতেও মায়া ভাষায় পড়ানো হয়।

১৬০০ শতাব্দীতে স্প্যানিশরা যখন ইউকাতান উপদ্বীপের উপকূলে অবতরণ করেছিল, তখন তারা প্রায় এক ডজন মায়া নগররাজ্য খুঁজে পেয়েছিল। এগুলোর একটি সাধারণ অতীত ছিল, তবে তাদের মধ্যে গভীর বিভেদও ছিল। কিছু মায়া শাসক স্প্যানিশদের আগমনকে পুরোনো উত্তেজনা নিষ্পত্তির সুযোগ হিসেবে দেখেছিল। তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী শহরগুলোকে দমন করার জন্য ইউরোপীয়দের সাথে মৈত্রী করেছিল। এই নতুন জোট বজায় রাখতে ইচ্ছুক স্প্যানিশদের জন্য এই অঞ্চলে কথিত ভাষাগুলো শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একবার উপদ্বীপ জয় করা হলে স্প্যানিশরা স্থানীয় ভাষাগুলো ধর্ম প্রচার, প্রশাসন এবং একটি নতুন সমাজ তৈরি করতে ব্যবহার করেছিল।

স্প্যানিশ ধর্মপ্রচারক ফ্রে বার্তোলোমে দে লাস কাসাস তাঁর আমেরিকা ভ্রমণে একটি ব্যাপক স্থানীয় রীতির বর্ণনা দিয়েছেন: মায়া সংস্কৃতিতে আচার-অনুষ্ঠানে তামাক জাত বস্তু দিয়ে ধূমপান এবং পান করা হতো। দে লাস কাসাসের ভাষায়, সেই শুকনো ভেষজগুলো একটি বিশেষ পাতায় মোড়ানো থাকতো। ধূমপানের কাজটি প্রাচীন মায়া ভাষায় বলা হতো ‘সিয়ার’। সেটিই পরে স্প্যানিশ ‘সিগারো’ এবং তারও অনেক পরে, ইংরেজিতে ‘সিগার’ নামে ছড়িয়ে পড়ে এবং তামাক পাতার একটি রোলকে বোঝাতে এই শব্দ ব্যবহৃত হতে থাকে।

অন্য একটি মায়া শব্দ যা অন্যান্য ভাষায় প্রবেশ করেছে তা হলো ‘কাকাও’। এই বস্তু চকোলেট তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। দে লাস কাসাস নিজেই ১৫৪৪ সালে এটি ইউরোপে নিয়ে এসেছিলেন।

বর্তমানে, ৩০ টিরও বেশি মায়া ভাষা টিকে আছে। বিশ্বজুড়ে অন্তত ৬০ লাখ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। যদিও চিকোমুসেলতেক এবং চোলতি-এর মতো কিছু ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে বা বিলুপ্তির পথে। তবে কিচে, ইউকাতেক এবং কিউকচি-এর মতো অন্যগুলোর প্রতিটিতে কথা বলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ।

এগুলো সবই একই ভাষা, প্রোটো-মায়ান থেকে এসেছে। খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ সালের আগে এই ভাষা প্রচলিত ছিল। তবে এগুলো একে অপরের থেকে এতটাই আলাদা যে, প্রায় ৫ লাখ জনসংখ্যার মাম ভাষার বক্তারা কিচে ভাষা বুঝতে পারে না। আবার ইউকাতেকানরা মাম ভাষা বুঝতে পারে না। আরোলদো ইউকাতেক সম্পর্কে বলেন, ‘এটি আমার কাছে জার্মান ভাষার মতো লাগে।’

প্রায় ২,০০০ বছর ধরে, মায়া ভাষাগুলোর নিজস্ব লিখন পদ্ধতি ছিল। এগুলো ক্ল্যাসিক মায়া নামে পরিচিত। লেখন পদ্ধতি ছিল হায়ারোগ্লিফ। এটি কেবল সামাজিক পিরামিডের শীর্ষে থাকা ব্যক্তিরাই ব্যবহার করত। অভিজাতরাই শুধু এসব ভাষার লেখ্য ও তথাকথিত প্রমিত রূপ ব্যবহার করত। বাকি জনগণ তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলত। এগুলো ধীরে ধীরে লাতিনের সাথে মিশে গেছে।

স্প্যানিশ ধর্মপ্রচারকেরা হায়ারোগ্লিফগুলোকে ‘পৌত্তলিক’ বলে মনে করতেন। এই ধারণা থেকে তারা পদ্ধতিগতভাবে সেগুলো মুছে ফেলতেন। মায়া অভিজাতদের পুত্র ও কন্যাদের হায়ারোগ্লিফিক লেখা পরিত্যাগ করতে এবং লাতিন বর্ণমালা ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই সময়ে লেখা বেশিরভাগ বই, যা কোডেক্স নামে পরিচিত, ধ্বংস করা হয়েছিল। কিন্তু মৌখিক ভাষাগুলো টিকে ছিল। সেগুলো পরবর্তীতে লাতিন বর্ণমালায় টিকে আছে।

পশ্চিমা পণ্ডিতরা উনিশ শতাব্দীতে মায়া হায়ারোগ্লিফগুলো অধ্যয়ন শুরু করেন। আমেরিকান এবং রুশ ভাষাবিদরা বিশ শতাব্দী জুড়ে সেগুলো পাঠোদ্ধার করতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছিলেন। ২০০০-এর দশকে যখন মায়া পণ্ডিত এবং ভাষাভাষিদের এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তখন দারুণ সাফল্য অর্জিত হয়েছিল। তখনই গবেষকেরা বুঝতে পেরেছিলেন, হায়ারোগ্লিফগুলো কেবল জটিল ধারণাগুলোকেই নয়, শব্দ গঠনকারী অক্ষরগুলোকেও প্রতিনিধিত্ব করে।

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানো প্রথম মায়া আদিবাসীরা ব্রাসেরো প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এসেছিলেন। বহু আমেরিকান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গেলে শ্রমিক সংকট নিরসনে মেক্সিকান শ্রমিকদের নেওয়া শুরু হয়। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ আমেরিকায় যায় আরও কয়েক দশক পরে, ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০০০ এর দশকে।

অভিবাসন এখন বিশেষ করে গুয়াতেমালাকে ভুট্টা ও শিম জাতীয় শস্য-ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে রেমিটেন্স-নির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সন্ত্রাসী হামলার হুমকি, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় শিক্ষার্থী মনোজ সাই গ্রেপ্তার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩০
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী মনোজ সাঁই লেল্লা। ছবি: লিংকড ইন
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী মনোজ সাঁই লেল্লা। ছবি: লিংকড ইন

বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।

গত সোমবার মনোজকে গ্রেপ্তার করে ফ্রিস্কো পুলিশ। পুলিশ জানায়, পরিবারের সদস্যরা মনোজের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগ নিয়ে ফোন করলে তারা ওই বাড়িতে যায়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর কয়েক দিন আগে বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে মনোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

মনোজ সাই লেল্লার বিরুদ্ধে বসবাসযোগ্য স্থান বা উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি প্রথম ডিগ্রির একটি গুরুতর অপরাধ। পাশাপাশি পরিবারের সদস্য বা একই গৃহের বাসিন্দার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগও রয়েছে, যা ক্লাস ‘এ’ মিসডিমিনার হিসেবে বিবেচিত।

তবে কোনো উপাসনালয়কে লক্ষ্য করে হুমকির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আদালতের নথি অনুযায়ী, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মনোজের জামিনের জন্য দিতে হবে এক লাখ মার্কিন ডলার। আর সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগে জামিনে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ডলার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৩৫
সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহি ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: টাইমস অব ইসরায়েল
সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহি ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: টাইমস অব ইসরায়েল

সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।

শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও সোমালিল্যান্ড একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। নেতানিয়াহু একে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পরস্পরের দেশে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শুক্রবার রাতে (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিল্যান্ড এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।

সোমালিয়া সরকার বরাবরই সোমালিল্যান্ডের স্বাধীনতাকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ইসরায়েলের ঘোষণার পর সোমালিয়ার সরকার একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। এই বৈঠক থেকে ফোনালাপে মিসর, তুরস্ক ও জিবুতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলের এমন স্বীকৃতিকে জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী এবং ‘বিপজ্জনক নজির’ বলে আখ্যা দিয়েছে মিসর।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভিডিও কলে সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিকে (আব্দিরাহমান সিরো) অভিনন্দন জানান নেতানিয়াহু এবং তাঁকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানান। সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার পর এই স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডের জন্য বড় সাফল্য হলেও এটি সোমালিয়ার ভেতরে নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকে উসকে দিতে পারে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলের কিছু প্রভাবশালী নেতা বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাজিব রাজাকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড, জটিল সমীকরণে মালয়েশিয়ার সরকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন; যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। ছবি: এএফপি
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন; যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। ছবি: এএফপি

মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।

৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি ও অর্থ পাচারের ২১টিসহ মোট ২৫টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার।

পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সেকুয়েরাহ নাজিবের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব যুক্তি নাকচ করে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ওয়ানএমডিবির কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু বিচারক তাঁর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি বিশ্বাস করা মানে কল্পনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নাজিব মোটেও কোনো ‘অবুঝ গ্রাম্য লোক’ নন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।

বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, নাজিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিষয় নয়, বরং ‘কঠিন ও অকাট্য’ দালিলিক প্রমাণ বলছে তিনি নিজের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।

আদালত নাজিবকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।

আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছর এবং অর্থ পাচারের জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সব সাজার মেয়াদ একই সঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাঁকে মোট ১৫ বছর জেল খাটতে হবে।

এদিকে নাজিব বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। নতুন এই সাজা সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।

তবে এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

২০২২ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো দল বা জোটই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে না পারায়, শেষমেশ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সরকার গঠন করে। এর মধ্যে পিএইচর ৮২টি, ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ২৬টি ও বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) চারটি আসন নিয়ে এই জোট সরকার গঠিত হয়।

জেলখানায় থাকলেও দলের ওপর নাজিবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের পর দলের ভেতর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের ওপর চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে ইউএমএনও বর্তমান জোট সরকার থেকে সরে যায়, তবে বিপাকে পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহিম।

নাজিবের প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার আপিল করবেন।

রায়ের পর এক বিবৃতিতে নাজিব রাজাক দেশবাসীকে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াই দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।’ তবে এই দণ্ডাদেশের ফলে নাজিবের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।

২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়। সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে ফের উদ্বেগ জানাল ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: এএনআই
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: এএনআই

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, এই জঘন্য অপরাধের হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’

রণধীর জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত সহিংসতা ও বৈরী আচরণকে ভারত সরকার একটি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দেখছে। ভারত নিয়মিত এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণও করছে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে দিল্লির অবস্থান পুনরায় পরিষ্কার করে মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই এবং আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পক্ষে।’

ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন রণধীর জয়সওয়াল।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত