আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের প্রাচীন ভাষাগুলো নিয়ে যেন নতুন নতুন ভূখণ্ডে পা রাখছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের ফলে মায়া সভ্যতার সহস্রাব্দ প্রাচীন ভাষাগুলো নতুন করে প্রসার লাভ করছে। লাতিন আমেরিকান অভিবাসী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
লাতিনদের প্রাচীন ভাষা ও অভিবাসন নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, লাতিন আদিবাসীরা কীভাবে অভিবাসনের সঙ্গে নিয়ে আসছে ভাষা ও সংস্কৃতি। সেই ভাষার শব্দগুলো আবার ঢুকে পড়ছে ইংরেজি ভাষায়। এই আত্মীকরণ ঘটছে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই।
গুয়াতেমালার সান হুয়ান আতিতান গ্রামের বাসিন্দা আরোলদো বাবার মৃত্যুর তিন দিন পরও শোকে আচ্ছন্ন ছিলেন। পৈতৃক ভুট্টাখেত পরিচর্যা করার মানসিক শক্তিও ছিল না তাঁর। রাতের খাবারের সময় চুলায় কাঠের আগুনের দিকে তাকিয়ে আকাশ-পাতাল ভাবছিলেন আরোলদো। হঠাৎ করেই উপলব্ধী হলো, এবার তাজা বাতাস নেওয়ার সময় হয়েছে। পাশেই নীরবে খাবার খাচ্ছিলেন মা। মায়ের দিকে ফিরে মাম ভাষায় (গ্রামে প্রচলিত মায়া ভাষা) বললেন, ‘নান, ওয়াজি চিক্স তুজ কিতানুম মেশ’ অর্থাৎ, ‘মা, আমি শ্বেতাঙ্গদের দেশে যেতে চাই।’ তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা বুঝিয়েছিলেন।
মাম ভাষায় তাঁর মা উত্তর দিলেন, তিনি সব ব্যবস্থা করে দেবেন। তবে প্রথমে শোকের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এক বছর পর, ক্যালিফোর্নিয়ায় চাচাতো ভাইদের কাছে আরোলদো যাত্রা শুরু করেন। সিয়েরা মাদ্রে পর্বতমালার ঢাল বেয়ে নেমে, মেক্সিকো ও অ্যারিজোনার মরুভূমি পাড়ি দিয়ে সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ায় পৌঁছাতে তাঁর চার মাসেরও বেশি সময় লেগেছিল।
আরোলদো স্প্যানিশও বলতে পারেন। তিনি বলেন, ‘ (বাবার) মৃত্যু আমাকে জীবনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। আমাকে বুঝতে শিখিয়েছিল, এবার একাই জীবনকে মোকাবিলা করার সময় হয়েছে।’ বে এরিয়ায় ডিসেম্বরের এক শীতল রাতে একটি ছবি, ঐতিহ্যবাহী টুপি এবং হাতে বোনা ম্যাজেন্টা শার্টের নিচে কালো ক্যাপিক্সায় পরে যেন তাঁকে পাহারা দিচ্ছিলেন বাবা।
আরোলদো সঙ্গে নিয়ে আসা অল্প কয়েকটি জিনিসের মধ্যে একটি ছিল তাঁর ভাষা, মাম। এই ভাষার শিকড় হাজার হাজার বছর আগে মধ্য আমেরিকায় রাজত্ব করা মায়া সভ্যতার গভীরে প্রোথিত। আজ মেক্সিকো, হন্ডুরাস, এল সালভাদর ও গুয়াতেমালার আদিবাসীরা অভিবাসনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের ভাষা ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে মাম ও অন্যান্য মায়া ভাষার প্রসার বাড়ছে। প্রকৃতপক্ষে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মূলত ইউকাতান উপদ্বীপে কথিত মায়া ভাষাগুলো যুক্তরাষ্ট্রে এতটাই প্রচলিত হয়েছে যে, কিচে (বা কুইচে) এবং মাম এখন মার্কিন অভিবাসন আদালতগুলোতে ব্যবহৃত শীর্ষস্থানীয় ভাষাগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
সান ফ্রান্সিসকো মেট্রোপলিটন এলাকা লাতিন আমেরিকান অভিবাসীদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য। মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বে এরিয়ার ৭০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার মধ্যে চারজনের একজন লাতিন। তাদের অধিকাংশই মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকা থেকে এসেছে।
মার্কিন সরকার তাদের সবাইকে দেশে প্রবেশের পর ‘হিস্পানিক’ হিসেবে গণ্য করে, যা স্প্যানিশভাষী দেশগুলোর মানুষকে বোঝায়। যদিও আরোলদোর মতো কিছু অভিবাসীর জন্য স্প্যানিশ মাতৃভাষা নয়, বরং এটি তারা তাদের গ্রামের বাইরের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য ব্যবহার করে। মায়া অভিবাসী ও বিশেষজ্ঞের মতে, অন্যরা স্প্যানিশ মোটেও বলতে পারে না, তারা শুধু আদিবাসী ভাষাতেই কথা বলে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের মাম ভাষা বিশেষজ্ঞ টেস্কা স্কট বলেন, ‘অনেক মামভাষী যুক্তরাষ্ট্রে আসে এবং স্প্যানিশভাষী ও আদিবাসী সংস্কৃতির বাইরের মানুষের তুলনায় তাদের ভিন্ন চাহিদা, অভিজ্ঞতা এবং ইতিহাস রয়েছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘যদি আপনি গুয়াতেমালার প্রত্যেককে হিস্পানিক বলেন, তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন যে সেই গোষ্ঠীর সবাই সাবলীলভাবে স্প্যানিশ বলতে পারে, কিন্তু আসলে তারা তা পারে না।’
ক্যালিফোর্নিয়ায়, ২০২৪ সালে পাস হওয়া একটি নতুন আইন অনুযায়ী, রাজ্য সংস্থাগুলোকে ল্যাটিন আমেরিকান অভিবাসীদের পছন্দের ভাষা, যার মধ্যে কিচে এবং মামের মতো আদিবাসী ভাষাগুলোও অন্তর্ভুক্ত, সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, যাতে তাদের চাহিদা আরও ভালোভাবে বোঝা যায় এবং পূরণ করা যায়।
মায়া আদিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন খোঁজার কারণ হিসেবে স্কট বলেন, গুয়াতেমালায় অনেক মায়া সংস্কৃতির আদিবাসীরা প্রায়শই ভিন্ন সামাজিক শ্রেণির মানুষের দ্বারা তীব্র বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার হয়। তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার প্রধান কারণ এটিই।
যুক্তরাষ্ট্রে মায়া সম্প্রদায়ের বৃদ্ধি তাদের প্রাচীন ভাষাগুলোকে নতুন প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের যোগ। যদিও প্রাচীন মায়া শহরগুলোর ধ্বংসাবশেষ এবং খোদাই করা হায়ারোগ্লিফগুলো একটি দীর্ঘস্থায়ী সভ্যতার নিদর্শন বলে মনে হতে পারে। অনেক মায়া সম্প্রদায় ১৬০০ শতাব্দীর স্প্যানিশ উপনিবেশন থেকে থেকে বেঁচে গিয়েছিল। তারা তাদের সংস্কৃতি ও ভাষা সংরক্ষণ করেছিল। বে এরিয়ার মতো জায়গাগুলোতে এখন রেডিওতে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এমনকি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষগুলোতেও মায়া ভাষায় পড়ানো হয়।
১৬০০ শতাব্দীতে স্প্যানিশরা যখন ইউকাতান উপদ্বীপের উপকূলে অবতরণ করেছিল, তখন তারা প্রায় এক ডজন মায়া নগররাজ্য খুঁজে পেয়েছিল। এগুলোর একটি সাধারণ অতীত ছিল, তবে তাদের মধ্যে গভীর বিভেদও ছিল। কিছু মায়া শাসক স্প্যানিশদের আগমনকে পুরোনো উত্তেজনা নিষ্পত্তির সুযোগ হিসেবে দেখেছিল। তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী শহরগুলোকে দমন করার জন্য ইউরোপীয়দের সাথে মৈত্রী করেছিল। এই নতুন জোট বজায় রাখতে ইচ্ছুক স্প্যানিশদের জন্য এই অঞ্চলে কথিত ভাষাগুলো শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একবার উপদ্বীপ জয় করা হলে স্প্যানিশরা স্থানীয় ভাষাগুলো ধর্ম প্রচার, প্রশাসন এবং একটি নতুন সমাজ তৈরি করতে ব্যবহার করেছিল।
স্প্যানিশ ধর্মপ্রচারক ফ্রে বার্তোলোমে দে লাস কাসাস তাঁর আমেরিকা ভ্রমণে একটি ব্যাপক স্থানীয় রীতির বর্ণনা দিয়েছেন: মায়া সংস্কৃতিতে আচার-অনুষ্ঠানে তামাক জাত বস্তু দিয়ে ধূমপান এবং পান করা হতো। দে লাস কাসাসের ভাষায়, সেই শুকনো ভেষজগুলো একটি বিশেষ পাতায় মোড়ানো থাকতো। ধূমপানের কাজটি প্রাচীন মায়া ভাষায় বলা হতো ‘সিয়ার’। সেটিই পরে স্প্যানিশ ‘সিগারো’ এবং তারও অনেক পরে, ইংরেজিতে ‘সিগার’ নামে ছড়িয়ে পড়ে এবং তামাক পাতার একটি রোলকে বোঝাতে এই শব্দ ব্যবহৃত হতে থাকে।
অন্য একটি মায়া শব্দ যা অন্যান্য ভাষায় প্রবেশ করেছে তা হলো ‘কাকাও’। এই বস্তু চকোলেট তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। দে লাস কাসাস নিজেই ১৫৪৪ সালে এটি ইউরোপে নিয়ে এসেছিলেন।
বর্তমানে, ৩০ টিরও বেশি মায়া ভাষা টিকে আছে। বিশ্বজুড়ে অন্তত ৬০ লাখ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। যদিও চিকোমুসেলতেক এবং চোলতি-এর মতো কিছু ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে বা বিলুপ্তির পথে। তবে কিচে, ইউকাতেক এবং কিউকচি-এর মতো অন্যগুলোর প্রতিটিতে কথা বলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
এগুলো সবই একই ভাষা, প্রোটো-মায়ান থেকে এসেছে। খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ সালের আগে এই ভাষা প্রচলিত ছিল। তবে এগুলো একে অপরের থেকে এতটাই আলাদা যে, প্রায় ৫ লাখ জনসংখ্যার মাম ভাষার বক্তারা কিচে ভাষা বুঝতে পারে না। আবার ইউকাতেকানরা মাম ভাষা বুঝতে পারে না। আরোলদো ইউকাতেক সম্পর্কে বলেন, ‘এটি আমার কাছে জার্মান ভাষার মতো লাগে।’
প্রায় ২,০০০ বছর ধরে, মায়া ভাষাগুলোর নিজস্ব লিখন পদ্ধতি ছিল। এগুলো ক্ল্যাসিক মায়া নামে পরিচিত। লেখন পদ্ধতি ছিল হায়ারোগ্লিফ। এটি কেবল সামাজিক পিরামিডের শীর্ষে থাকা ব্যক্তিরাই ব্যবহার করত। অভিজাতরাই শুধু এসব ভাষার লেখ্য ও তথাকথিত প্রমিত রূপ ব্যবহার করত। বাকি জনগণ তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলত। এগুলো ধীরে ধীরে লাতিনের সাথে মিশে গেছে।
স্প্যানিশ ধর্মপ্রচারকেরা হায়ারোগ্লিফগুলোকে ‘পৌত্তলিক’ বলে মনে করতেন। এই ধারণা থেকে তারা পদ্ধতিগতভাবে সেগুলো মুছে ফেলতেন। মায়া অভিজাতদের পুত্র ও কন্যাদের হায়ারোগ্লিফিক লেখা পরিত্যাগ করতে এবং লাতিন বর্ণমালা ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই সময়ে লেখা বেশিরভাগ বই, যা কোডেক্স নামে পরিচিত, ধ্বংস করা হয়েছিল। কিন্তু মৌখিক ভাষাগুলো টিকে ছিল। সেগুলো পরবর্তীতে লাতিন বর্ণমালায় টিকে আছে।
পশ্চিমা পণ্ডিতরা উনিশ শতাব্দীতে মায়া হায়ারোগ্লিফগুলো অধ্যয়ন শুরু করেন। আমেরিকান এবং রুশ ভাষাবিদরা বিশ শতাব্দী জুড়ে সেগুলো পাঠোদ্ধার করতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছিলেন। ২০০০-এর দশকে যখন মায়া পণ্ডিত এবং ভাষাভাষিদের এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তখন দারুণ সাফল্য অর্জিত হয়েছিল। তখনই গবেষকেরা বুঝতে পেরেছিলেন, হায়ারোগ্লিফগুলো কেবল জটিল ধারণাগুলোকেই নয়, শব্দ গঠনকারী অক্ষরগুলোকেও প্রতিনিধিত্ব করে।
যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানো প্রথম মায়া আদিবাসীরা ব্রাসেরো প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এসেছিলেন। বহু আমেরিকান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গেলে শ্রমিক সংকট নিরসনে মেক্সিকান শ্রমিকদের নেওয়া শুরু হয়। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ আমেরিকায় যায় আরও কয়েক দশক পরে, ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০০০ এর দশকে।
অভিবাসন এখন বিশেষ করে গুয়াতেমালাকে ভুট্টা ও শিম জাতীয় শস্য-ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে রেমিটেন্স-নির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করেছে।

মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের প্রাচীন ভাষাগুলো নিয়ে যেন নতুন নতুন ভূখণ্ডে পা রাখছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের ফলে মায়া সভ্যতার সহস্রাব্দ প্রাচীন ভাষাগুলো নতুন করে প্রসার লাভ করছে। লাতিন আমেরিকান অভিবাসী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
লাতিনদের প্রাচীন ভাষা ও অভিবাসন নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, লাতিন আদিবাসীরা কীভাবে অভিবাসনের সঙ্গে নিয়ে আসছে ভাষা ও সংস্কৃতি। সেই ভাষার শব্দগুলো আবার ঢুকে পড়ছে ইংরেজি ভাষায়। এই আত্মীকরণ ঘটছে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই।
গুয়াতেমালার সান হুয়ান আতিতান গ্রামের বাসিন্দা আরোলদো বাবার মৃত্যুর তিন দিন পরও শোকে আচ্ছন্ন ছিলেন। পৈতৃক ভুট্টাখেত পরিচর্যা করার মানসিক শক্তিও ছিল না তাঁর। রাতের খাবারের সময় চুলায় কাঠের আগুনের দিকে তাকিয়ে আকাশ-পাতাল ভাবছিলেন আরোলদো। হঠাৎ করেই উপলব্ধী হলো, এবার তাজা বাতাস নেওয়ার সময় হয়েছে। পাশেই নীরবে খাবার খাচ্ছিলেন মা। মায়ের দিকে ফিরে মাম ভাষায় (গ্রামে প্রচলিত মায়া ভাষা) বললেন, ‘নান, ওয়াজি চিক্স তুজ কিতানুম মেশ’ অর্থাৎ, ‘মা, আমি শ্বেতাঙ্গদের দেশে যেতে চাই।’ তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা বুঝিয়েছিলেন।
মাম ভাষায় তাঁর মা উত্তর দিলেন, তিনি সব ব্যবস্থা করে দেবেন। তবে প্রথমে শোকের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এক বছর পর, ক্যালিফোর্নিয়ায় চাচাতো ভাইদের কাছে আরোলদো যাত্রা শুরু করেন। সিয়েরা মাদ্রে পর্বতমালার ঢাল বেয়ে নেমে, মেক্সিকো ও অ্যারিজোনার মরুভূমি পাড়ি দিয়ে সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ায় পৌঁছাতে তাঁর চার মাসেরও বেশি সময় লেগেছিল।
আরোলদো স্প্যানিশও বলতে পারেন। তিনি বলেন, ‘ (বাবার) মৃত্যু আমাকে জীবনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। আমাকে বুঝতে শিখিয়েছিল, এবার একাই জীবনকে মোকাবিলা করার সময় হয়েছে।’ বে এরিয়ায় ডিসেম্বরের এক শীতল রাতে একটি ছবি, ঐতিহ্যবাহী টুপি এবং হাতে বোনা ম্যাজেন্টা শার্টের নিচে কালো ক্যাপিক্সায় পরে যেন তাঁকে পাহারা দিচ্ছিলেন বাবা।
আরোলদো সঙ্গে নিয়ে আসা অল্প কয়েকটি জিনিসের মধ্যে একটি ছিল তাঁর ভাষা, মাম। এই ভাষার শিকড় হাজার হাজার বছর আগে মধ্য আমেরিকায় রাজত্ব করা মায়া সভ্যতার গভীরে প্রোথিত। আজ মেক্সিকো, হন্ডুরাস, এল সালভাদর ও গুয়াতেমালার আদিবাসীরা অভিবাসনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের ভাষা ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে মাম ও অন্যান্য মায়া ভাষার প্রসার বাড়ছে। প্রকৃতপক্ষে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মূলত ইউকাতান উপদ্বীপে কথিত মায়া ভাষাগুলো যুক্তরাষ্ট্রে এতটাই প্রচলিত হয়েছে যে, কিচে (বা কুইচে) এবং মাম এখন মার্কিন অভিবাসন আদালতগুলোতে ব্যবহৃত শীর্ষস্থানীয় ভাষাগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
সান ফ্রান্সিসকো মেট্রোপলিটন এলাকা লাতিন আমেরিকান অভিবাসীদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য। মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বে এরিয়ার ৭০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার মধ্যে চারজনের একজন লাতিন। তাদের অধিকাংশই মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকা থেকে এসেছে।
মার্কিন সরকার তাদের সবাইকে দেশে প্রবেশের পর ‘হিস্পানিক’ হিসেবে গণ্য করে, যা স্প্যানিশভাষী দেশগুলোর মানুষকে বোঝায়। যদিও আরোলদোর মতো কিছু অভিবাসীর জন্য স্প্যানিশ মাতৃভাষা নয়, বরং এটি তারা তাদের গ্রামের বাইরের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য ব্যবহার করে। মায়া অভিবাসী ও বিশেষজ্ঞের মতে, অন্যরা স্প্যানিশ মোটেও বলতে পারে না, তারা শুধু আদিবাসী ভাষাতেই কথা বলে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের মাম ভাষা বিশেষজ্ঞ টেস্কা স্কট বলেন, ‘অনেক মামভাষী যুক্তরাষ্ট্রে আসে এবং স্প্যানিশভাষী ও আদিবাসী সংস্কৃতির বাইরের মানুষের তুলনায় তাদের ভিন্ন চাহিদা, অভিজ্ঞতা এবং ইতিহাস রয়েছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘যদি আপনি গুয়াতেমালার প্রত্যেককে হিস্পানিক বলেন, তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন যে সেই গোষ্ঠীর সবাই সাবলীলভাবে স্প্যানিশ বলতে পারে, কিন্তু আসলে তারা তা পারে না।’
ক্যালিফোর্নিয়ায়, ২০২৪ সালে পাস হওয়া একটি নতুন আইন অনুযায়ী, রাজ্য সংস্থাগুলোকে ল্যাটিন আমেরিকান অভিবাসীদের পছন্দের ভাষা, যার মধ্যে কিচে এবং মামের মতো আদিবাসী ভাষাগুলোও অন্তর্ভুক্ত, সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, যাতে তাদের চাহিদা আরও ভালোভাবে বোঝা যায় এবং পূরণ করা যায়।
মায়া আদিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন খোঁজার কারণ হিসেবে স্কট বলেন, গুয়াতেমালায় অনেক মায়া সংস্কৃতির আদিবাসীরা প্রায়শই ভিন্ন সামাজিক শ্রেণির মানুষের দ্বারা তীব্র বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার হয়। তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার প্রধান কারণ এটিই।
যুক্তরাষ্ট্রে মায়া সম্প্রদায়ের বৃদ্ধি তাদের প্রাচীন ভাষাগুলোকে নতুন প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের যোগ। যদিও প্রাচীন মায়া শহরগুলোর ধ্বংসাবশেষ এবং খোদাই করা হায়ারোগ্লিফগুলো একটি দীর্ঘস্থায়ী সভ্যতার নিদর্শন বলে মনে হতে পারে। অনেক মায়া সম্প্রদায় ১৬০০ শতাব্দীর স্প্যানিশ উপনিবেশন থেকে থেকে বেঁচে গিয়েছিল। তারা তাদের সংস্কৃতি ও ভাষা সংরক্ষণ করেছিল। বে এরিয়ার মতো জায়গাগুলোতে এখন রেডিওতে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এমনকি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষগুলোতেও মায়া ভাষায় পড়ানো হয়।
১৬০০ শতাব্দীতে স্প্যানিশরা যখন ইউকাতান উপদ্বীপের উপকূলে অবতরণ করেছিল, তখন তারা প্রায় এক ডজন মায়া নগররাজ্য খুঁজে পেয়েছিল। এগুলোর একটি সাধারণ অতীত ছিল, তবে তাদের মধ্যে গভীর বিভেদও ছিল। কিছু মায়া শাসক স্প্যানিশদের আগমনকে পুরোনো উত্তেজনা নিষ্পত্তির সুযোগ হিসেবে দেখেছিল। তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী শহরগুলোকে দমন করার জন্য ইউরোপীয়দের সাথে মৈত্রী করেছিল। এই নতুন জোট বজায় রাখতে ইচ্ছুক স্প্যানিশদের জন্য এই অঞ্চলে কথিত ভাষাগুলো শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একবার উপদ্বীপ জয় করা হলে স্প্যানিশরা স্থানীয় ভাষাগুলো ধর্ম প্রচার, প্রশাসন এবং একটি নতুন সমাজ তৈরি করতে ব্যবহার করেছিল।
স্প্যানিশ ধর্মপ্রচারক ফ্রে বার্তোলোমে দে লাস কাসাস তাঁর আমেরিকা ভ্রমণে একটি ব্যাপক স্থানীয় রীতির বর্ণনা দিয়েছেন: মায়া সংস্কৃতিতে আচার-অনুষ্ঠানে তামাক জাত বস্তু দিয়ে ধূমপান এবং পান করা হতো। দে লাস কাসাসের ভাষায়, সেই শুকনো ভেষজগুলো একটি বিশেষ পাতায় মোড়ানো থাকতো। ধূমপানের কাজটি প্রাচীন মায়া ভাষায় বলা হতো ‘সিয়ার’। সেটিই পরে স্প্যানিশ ‘সিগারো’ এবং তারও অনেক পরে, ইংরেজিতে ‘সিগার’ নামে ছড়িয়ে পড়ে এবং তামাক পাতার একটি রোলকে বোঝাতে এই শব্দ ব্যবহৃত হতে থাকে।
অন্য একটি মায়া শব্দ যা অন্যান্য ভাষায় প্রবেশ করেছে তা হলো ‘কাকাও’। এই বস্তু চকোলেট তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। দে লাস কাসাস নিজেই ১৫৪৪ সালে এটি ইউরোপে নিয়ে এসেছিলেন।
বর্তমানে, ৩০ টিরও বেশি মায়া ভাষা টিকে আছে। বিশ্বজুড়ে অন্তত ৬০ লাখ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। যদিও চিকোমুসেলতেক এবং চোলতি-এর মতো কিছু ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে বা বিলুপ্তির পথে। তবে কিচে, ইউকাতেক এবং কিউকচি-এর মতো অন্যগুলোর প্রতিটিতে কথা বলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
এগুলো সবই একই ভাষা, প্রোটো-মায়ান থেকে এসেছে। খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ সালের আগে এই ভাষা প্রচলিত ছিল। তবে এগুলো একে অপরের থেকে এতটাই আলাদা যে, প্রায় ৫ লাখ জনসংখ্যার মাম ভাষার বক্তারা কিচে ভাষা বুঝতে পারে না। আবার ইউকাতেকানরা মাম ভাষা বুঝতে পারে না। আরোলদো ইউকাতেক সম্পর্কে বলেন, ‘এটি আমার কাছে জার্মান ভাষার মতো লাগে।’
প্রায় ২,০০০ বছর ধরে, মায়া ভাষাগুলোর নিজস্ব লিখন পদ্ধতি ছিল। এগুলো ক্ল্যাসিক মায়া নামে পরিচিত। লেখন পদ্ধতি ছিল হায়ারোগ্লিফ। এটি কেবল সামাজিক পিরামিডের শীর্ষে থাকা ব্যক্তিরাই ব্যবহার করত। অভিজাতরাই শুধু এসব ভাষার লেখ্য ও তথাকথিত প্রমিত রূপ ব্যবহার করত। বাকি জনগণ তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলত। এগুলো ধীরে ধীরে লাতিনের সাথে মিশে গেছে।
স্প্যানিশ ধর্মপ্রচারকেরা হায়ারোগ্লিফগুলোকে ‘পৌত্তলিক’ বলে মনে করতেন। এই ধারণা থেকে তারা পদ্ধতিগতভাবে সেগুলো মুছে ফেলতেন। মায়া অভিজাতদের পুত্র ও কন্যাদের হায়ারোগ্লিফিক লেখা পরিত্যাগ করতে এবং লাতিন বর্ণমালা ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই সময়ে লেখা বেশিরভাগ বই, যা কোডেক্স নামে পরিচিত, ধ্বংস করা হয়েছিল। কিন্তু মৌখিক ভাষাগুলো টিকে ছিল। সেগুলো পরবর্তীতে লাতিন বর্ণমালায় টিকে আছে।
পশ্চিমা পণ্ডিতরা উনিশ শতাব্দীতে মায়া হায়ারোগ্লিফগুলো অধ্যয়ন শুরু করেন। আমেরিকান এবং রুশ ভাষাবিদরা বিশ শতাব্দী জুড়ে সেগুলো পাঠোদ্ধার করতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছিলেন। ২০০০-এর দশকে যখন মায়া পণ্ডিত এবং ভাষাভাষিদের এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তখন দারুণ সাফল্য অর্জিত হয়েছিল। তখনই গবেষকেরা বুঝতে পেরেছিলেন, হায়ারোগ্লিফগুলো কেবল জটিল ধারণাগুলোকেই নয়, শব্দ গঠনকারী অক্ষরগুলোকেও প্রতিনিধিত্ব করে।
যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানো প্রথম মায়া আদিবাসীরা ব্রাসেরো প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এসেছিলেন। বহু আমেরিকান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গেলে শ্রমিক সংকট নিরসনে মেক্সিকান শ্রমিকদের নেওয়া শুরু হয়। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ আমেরিকায় যায় আরও কয়েক দশক পরে, ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০০০ এর দশকে।
অভিবাসন এখন বিশেষ করে গুয়াতেমালাকে ভুট্টা ও শিম জাতীয় শস্য-ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে রেমিটেন্স-নির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করেছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের প্রাচীন ভাষাগুলো নিয়ে যেন নতুন নতুন ভূখণ্ডে পা রাখছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের ফলে মায়া সভ্যতার সহস্রাব্দ প্রাচীন ভাষাগুলো নতুন করে প্রসার লাভ করছে। লাতিন আমেরিকান অভিবাসী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
লাতিনদের প্রাচীন ভাষা ও অভিবাসন নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, লাতিন আদিবাসীরা কীভাবে অভিবাসনের সঙ্গে নিয়ে আসছে ভাষা ও সংস্কৃতি। সেই ভাষার শব্দগুলো আবার ঢুকে পড়ছে ইংরেজি ভাষায়। এই আত্মীকরণ ঘটছে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই।
গুয়াতেমালার সান হুয়ান আতিতান গ্রামের বাসিন্দা আরোলদো বাবার মৃত্যুর তিন দিন পরও শোকে আচ্ছন্ন ছিলেন। পৈতৃক ভুট্টাখেত পরিচর্যা করার মানসিক শক্তিও ছিল না তাঁর। রাতের খাবারের সময় চুলায় কাঠের আগুনের দিকে তাকিয়ে আকাশ-পাতাল ভাবছিলেন আরোলদো। হঠাৎ করেই উপলব্ধী হলো, এবার তাজা বাতাস নেওয়ার সময় হয়েছে। পাশেই নীরবে খাবার খাচ্ছিলেন মা। মায়ের দিকে ফিরে মাম ভাষায় (গ্রামে প্রচলিত মায়া ভাষা) বললেন, ‘নান, ওয়াজি চিক্স তুজ কিতানুম মেশ’ অর্থাৎ, ‘মা, আমি শ্বেতাঙ্গদের দেশে যেতে চাই।’ তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা বুঝিয়েছিলেন।
মাম ভাষায় তাঁর মা উত্তর দিলেন, তিনি সব ব্যবস্থা করে দেবেন। তবে প্রথমে শোকের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এক বছর পর, ক্যালিফোর্নিয়ায় চাচাতো ভাইদের কাছে আরোলদো যাত্রা শুরু করেন। সিয়েরা মাদ্রে পর্বতমালার ঢাল বেয়ে নেমে, মেক্সিকো ও অ্যারিজোনার মরুভূমি পাড়ি দিয়ে সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ায় পৌঁছাতে তাঁর চার মাসেরও বেশি সময় লেগেছিল।
আরোলদো স্প্যানিশও বলতে পারেন। তিনি বলেন, ‘ (বাবার) মৃত্যু আমাকে জীবনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। আমাকে বুঝতে শিখিয়েছিল, এবার একাই জীবনকে মোকাবিলা করার সময় হয়েছে।’ বে এরিয়ায় ডিসেম্বরের এক শীতল রাতে একটি ছবি, ঐতিহ্যবাহী টুপি এবং হাতে বোনা ম্যাজেন্টা শার্টের নিচে কালো ক্যাপিক্সায় পরে যেন তাঁকে পাহারা দিচ্ছিলেন বাবা।
আরোলদো সঙ্গে নিয়ে আসা অল্প কয়েকটি জিনিসের মধ্যে একটি ছিল তাঁর ভাষা, মাম। এই ভাষার শিকড় হাজার হাজার বছর আগে মধ্য আমেরিকায় রাজত্ব করা মায়া সভ্যতার গভীরে প্রোথিত। আজ মেক্সিকো, হন্ডুরাস, এল সালভাদর ও গুয়াতেমালার আদিবাসীরা অভিবাসনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের ভাষা ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে মাম ও অন্যান্য মায়া ভাষার প্রসার বাড়ছে। প্রকৃতপক্ষে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মূলত ইউকাতান উপদ্বীপে কথিত মায়া ভাষাগুলো যুক্তরাষ্ট্রে এতটাই প্রচলিত হয়েছে যে, কিচে (বা কুইচে) এবং মাম এখন মার্কিন অভিবাসন আদালতগুলোতে ব্যবহৃত শীর্ষস্থানীয় ভাষাগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
সান ফ্রান্সিসকো মেট্রোপলিটন এলাকা লাতিন আমেরিকান অভিবাসীদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য। মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বে এরিয়ার ৭০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার মধ্যে চারজনের একজন লাতিন। তাদের অধিকাংশই মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকা থেকে এসেছে।
মার্কিন সরকার তাদের সবাইকে দেশে প্রবেশের পর ‘হিস্পানিক’ হিসেবে গণ্য করে, যা স্প্যানিশভাষী দেশগুলোর মানুষকে বোঝায়। যদিও আরোলদোর মতো কিছু অভিবাসীর জন্য স্প্যানিশ মাতৃভাষা নয়, বরং এটি তারা তাদের গ্রামের বাইরের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য ব্যবহার করে। মায়া অভিবাসী ও বিশেষজ্ঞের মতে, অন্যরা স্প্যানিশ মোটেও বলতে পারে না, তারা শুধু আদিবাসী ভাষাতেই কথা বলে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের মাম ভাষা বিশেষজ্ঞ টেস্কা স্কট বলেন, ‘অনেক মামভাষী যুক্তরাষ্ট্রে আসে এবং স্প্যানিশভাষী ও আদিবাসী সংস্কৃতির বাইরের মানুষের তুলনায় তাদের ভিন্ন চাহিদা, অভিজ্ঞতা এবং ইতিহাস রয়েছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘যদি আপনি গুয়াতেমালার প্রত্যেককে হিস্পানিক বলেন, তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন যে সেই গোষ্ঠীর সবাই সাবলীলভাবে স্প্যানিশ বলতে পারে, কিন্তু আসলে তারা তা পারে না।’
ক্যালিফোর্নিয়ায়, ২০২৪ সালে পাস হওয়া একটি নতুন আইন অনুযায়ী, রাজ্য সংস্থাগুলোকে ল্যাটিন আমেরিকান অভিবাসীদের পছন্দের ভাষা, যার মধ্যে কিচে এবং মামের মতো আদিবাসী ভাষাগুলোও অন্তর্ভুক্ত, সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, যাতে তাদের চাহিদা আরও ভালোভাবে বোঝা যায় এবং পূরণ করা যায়।
মায়া আদিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন খোঁজার কারণ হিসেবে স্কট বলেন, গুয়াতেমালায় অনেক মায়া সংস্কৃতির আদিবাসীরা প্রায়শই ভিন্ন সামাজিক শ্রেণির মানুষের দ্বারা তীব্র বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার হয়। তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার প্রধান কারণ এটিই।
যুক্তরাষ্ট্রে মায়া সম্প্রদায়ের বৃদ্ধি তাদের প্রাচীন ভাষাগুলোকে নতুন প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের যোগ। যদিও প্রাচীন মায়া শহরগুলোর ধ্বংসাবশেষ এবং খোদাই করা হায়ারোগ্লিফগুলো একটি দীর্ঘস্থায়ী সভ্যতার নিদর্শন বলে মনে হতে পারে। অনেক মায়া সম্প্রদায় ১৬০০ শতাব্দীর স্প্যানিশ উপনিবেশন থেকে থেকে বেঁচে গিয়েছিল। তারা তাদের সংস্কৃতি ও ভাষা সংরক্ষণ করেছিল। বে এরিয়ার মতো জায়গাগুলোতে এখন রেডিওতে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এমনকি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষগুলোতেও মায়া ভাষায় পড়ানো হয়।
১৬০০ শতাব্দীতে স্প্যানিশরা যখন ইউকাতান উপদ্বীপের উপকূলে অবতরণ করেছিল, তখন তারা প্রায় এক ডজন মায়া নগররাজ্য খুঁজে পেয়েছিল। এগুলোর একটি সাধারণ অতীত ছিল, তবে তাদের মধ্যে গভীর বিভেদও ছিল। কিছু মায়া শাসক স্প্যানিশদের আগমনকে পুরোনো উত্তেজনা নিষ্পত্তির সুযোগ হিসেবে দেখেছিল। তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী শহরগুলোকে দমন করার জন্য ইউরোপীয়দের সাথে মৈত্রী করেছিল। এই নতুন জোট বজায় রাখতে ইচ্ছুক স্প্যানিশদের জন্য এই অঞ্চলে কথিত ভাষাগুলো শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একবার উপদ্বীপ জয় করা হলে স্প্যানিশরা স্থানীয় ভাষাগুলো ধর্ম প্রচার, প্রশাসন এবং একটি নতুন সমাজ তৈরি করতে ব্যবহার করেছিল।
স্প্যানিশ ধর্মপ্রচারক ফ্রে বার্তোলোমে দে লাস কাসাস তাঁর আমেরিকা ভ্রমণে একটি ব্যাপক স্থানীয় রীতির বর্ণনা দিয়েছেন: মায়া সংস্কৃতিতে আচার-অনুষ্ঠানে তামাক জাত বস্তু দিয়ে ধূমপান এবং পান করা হতো। দে লাস কাসাসের ভাষায়, সেই শুকনো ভেষজগুলো একটি বিশেষ পাতায় মোড়ানো থাকতো। ধূমপানের কাজটি প্রাচীন মায়া ভাষায় বলা হতো ‘সিয়ার’। সেটিই পরে স্প্যানিশ ‘সিগারো’ এবং তারও অনেক পরে, ইংরেজিতে ‘সিগার’ নামে ছড়িয়ে পড়ে এবং তামাক পাতার একটি রোলকে বোঝাতে এই শব্দ ব্যবহৃত হতে থাকে।
অন্য একটি মায়া শব্দ যা অন্যান্য ভাষায় প্রবেশ করেছে তা হলো ‘কাকাও’। এই বস্তু চকোলেট তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। দে লাস কাসাস নিজেই ১৫৪৪ সালে এটি ইউরোপে নিয়ে এসেছিলেন।
বর্তমানে, ৩০ টিরও বেশি মায়া ভাষা টিকে আছে। বিশ্বজুড়ে অন্তত ৬০ লাখ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। যদিও চিকোমুসেলতেক এবং চোলতি-এর মতো কিছু ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে বা বিলুপ্তির পথে। তবে কিচে, ইউকাতেক এবং কিউকচি-এর মতো অন্যগুলোর প্রতিটিতে কথা বলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
এগুলো সবই একই ভাষা, প্রোটো-মায়ান থেকে এসেছে। খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ সালের আগে এই ভাষা প্রচলিত ছিল। তবে এগুলো একে অপরের থেকে এতটাই আলাদা যে, প্রায় ৫ লাখ জনসংখ্যার মাম ভাষার বক্তারা কিচে ভাষা বুঝতে পারে না। আবার ইউকাতেকানরা মাম ভাষা বুঝতে পারে না। আরোলদো ইউকাতেক সম্পর্কে বলেন, ‘এটি আমার কাছে জার্মান ভাষার মতো লাগে।’
প্রায় ২,০০০ বছর ধরে, মায়া ভাষাগুলোর নিজস্ব লিখন পদ্ধতি ছিল। এগুলো ক্ল্যাসিক মায়া নামে পরিচিত। লেখন পদ্ধতি ছিল হায়ারোগ্লিফ। এটি কেবল সামাজিক পিরামিডের শীর্ষে থাকা ব্যক্তিরাই ব্যবহার করত। অভিজাতরাই শুধু এসব ভাষার লেখ্য ও তথাকথিত প্রমিত রূপ ব্যবহার করত। বাকি জনগণ তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলত। এগুলো ধীরে ধীরে লাতিনের সাথে মিশে গেছে।
স্প্যানিশ ধর্মপ্রচারকেরা হায়ারোগ্লিফগুলোকে ‘পৌত্তলিক’ বলে মনে করতেন। এই ধারণা থেকে তারা পদ্ধতিগতভাবে সেগুলো মুছে ফেলতেন। মায়া অভিজাতদের পুত্র ও কন্যাদের হায়ারোগ্লিফিক লেখা পরিত্যাগ করতে এবং লাতিন বর্ণমালা ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই সময়ে লেখা বেশিরভাগ বই, যা কোডেক্স নামে পরিচিত, ধ্বংস করা হয়েছিল। কিন্তু মৌখিক ভাষাগুলো টিকে ছিল। সেগুলো পরবর্তীতে লাতিন বর্ণমালায় টিকে আছে।
পশ্চিমা পণ্ডিতরা উনিশ শতাব্দীতে মায়া হায়ারোগ্লিফগুলো অধ্যয়ন শুরু করেন। আমেরিকান এবং রুশ ভাষাবিদরা বিশ শতাব্দী জুড়ে সেগুলো পাঠোদ্ধার করতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছিলেন। ২০০০-এর দশকে যখন মায়া পণ্ডিত এবং ভাষাভাষিদের এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তখন দারুণ সাফল্য অর্জিত হয়েছিল। তখনই গবেষকেরা বুঝতে পেরেছিলেন, হায়ারোগ্লিফগুলো কেবল জটিল ধারণাগুলোকেই নয়, শব্দ গঠনকারী অক্ষরগুলোকেও প্রতিনিধিত্ব করে।
যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানো প্রথম মায়া আদিবাসীরা ব্রাসেরো প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এসেছিলেন। বহু আমেরিকান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গেলে শ্রমিক সংকট নিরসনে মেক্সিকান শ্রমিকদের নেওয়া শুরু হয়। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ আমেরিকায় যায় আরও কয়েক দশক পরে, ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০০০ এর দশকে।
অভিবাসন এখন বিশেষ করে গুয়াতেমালাকে ভুট্টা ও শিম জাতীয় শস্য-ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে রেমিটেন্স-নির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করেছে।

মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের প্রাচীন ভাষাগুলো নিয়ে যেন নতুন নতুন ভূখণ্ডে পা রাখছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের ফলে মায়া সভ্যতার সহস্রাব্দ প্রাচীন ভাষাগুলো নতুন করে প্রসার লাভ করছে। লাতিন আমেরিকান অভিবাসী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
লাতিনদের প্রাচীন ভাষা ও অভিবাসন নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, লাতিন আদিবাসীরা কীভাবে অভিবাসনের সঙ্গে নিয়ে আসছে ভাষা ও সংস্কৃতি। সেই ভাষার শব্দগুলো আবার ঢুকে পড়ছে ইংরেজি ভাষায়। এই আত্মীকরণ ঘটছে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই।
গুয়াতেমালার সান হুয়ান আতিতান গ্রামের বাসিন্দা আরোলদো বাবার মৃত্যুর তিন দিন পরও শোকে আচ্ছন্ন ছিলেন। পৈতৃক ভুট্টাখেত পরিচর্যা করার মানসিক শক্তিও ছিল না তাঁর। রাতের খাবারের সময় চুলায় কাঠের আগুনের দিকে তাকিয়ে আকাশ-পাতাল ভাবছিলেন আরোলদো। হঠাৎ করেই উপলব্ধী হলো, এবার তাজা বাতাস নেওয়ার সময় হয়েছে। পাশেই নীরবে খাবার খাচ্ছিলেন মা। মায়ের দিকে ফিরে মাম ভাষায় (গ্রামে প্রচলিত মায়া ভাষা) বললেন, ‘নান, ওয়াজি চিক্স তুজ কিতানুম মেশ’ অর্থাৎ, ‘মা, আমি শ্বেতাঙ্গদের দেশে যেতে চাই।’ তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা বুঝিয়েছিলেন।
মাম ভাষায় তাঁর মা উত্তর দিলেন, তিনি সব ব্যবস্থা করে দেবেন। তবে প্রথমে শোকের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এক বছর পর, ক্যালিফোর্নিয়ায় চাচাতো ভাইদের কাছে আরোলদো যাত্রা শুরু করেন। সিয়েরা মাদ্রে পর্বতমালার ঢাল বেয়ে নেমে, মেক্সিকো ও অ্যারিজোনার মরুভূমি পাড়ি দিয়ে সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ায় পৌঁছাতে তাঁর চার মাসেরও বেশি সময় লেগেছিল।
আরোলদো স্প্যানিশও বলতে পারেন। তিনি বলেন, ‘ (বাবার) মৃত্যু আমাকে জীবনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। আমাকে বুঝতে শিখিয়েছিল, এবার একাই জীবনকে মোকাবিলা করার সময় হয়েছে।’ বে এরিয়ায় ডিসেম্বরের এক শীতল রাতে একটি ছবি, ঐতিহ্যবাহী টুপি এবং হাতে বোনা ম্যাজেন্টা শার্টের নিচে কালো ক্যাপিক্সায় পরে যেন তাঁকে পাহারা দিচ্ছিলেন বাবা।
আরোলদো সঙ্গে নিয়ে আসা অল্প কয়েকটি জিনিসের মধ্যে একটি ছিল তাঁর ভাষা, মাম। এই ভাষার শিকড় হাজার হাজার বছর আগে মধ্য আমেরিকায় রাজত্ব করা মায়া সভ্যতার গভীরে প্রোথিত। আজ মেক্সিকো, হন্ডুরাস, এল সালভাদর ও গুয়াতেমালার আদিবাসীরা অভিবাসনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের ভাষা ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে মাম ও অন্যান্য মায়া ভাষার প্রসার বাড়ছে। প্রকৃতপক্ষে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মূলত ইউকাতান উপদ্বীপে কথিত মায়া ভাষাগুলো যুক্তরাষ্ট্রে এতটাই প্রচলিত হয়েছে যে, কিচে (বা কুইচে) এবং মাম এখন মার্কিন অভিবাসন আদালতগুলোতে ব্যবহৃত শীর্ষস্থানীয় ভাষাগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
সান ফ্রান্সিসকো মেট্রোপলিটন এলাকা লাতিন আমেরিকান অভিবাসীদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য। মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বে এরিয়ার ৭০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার মধ্যে চারজনের একজন লাতিন। তাদের অধিকাংশই মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকা থেকে এসেছে।
মার্কিন সরকার তাদের সবাইকে দেশে প্রবেশের পর ‘হিস্পানিক’ হিসেবে গণ্য করে, যা স্প্যানিশভাষী দেশগুলোর মানুষকে বোঝায়। যদিও আরোলদোর মতো কিছু অভিবাসীর জন্য স্প্যানিশ মাতৃভাষা নয়, বরং এটি তারা তাদের গ্রামের বাইরের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য ব্যবহার করে। মায়া অভিবাসী ও বিশেষজ্ঞের মতে, অন্যরা স্প্যানিশ মোটেও বলতে পারে না, তারা শুধু আদিবাসী ভাষাতেই কথা বলে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের মাম ভাষা বিশেষজ্ঞ টেস্কা স্কট বলেন, ‘অনেক মামভাষী যুক্তরাষ্ট্রে আসে এবং স্প্যানিশভাষী ও আদিবাসী সংস্কৃতির বাইরের মানুষের তুলনায় তাদের ভিন্ন চাহিদা, অভিজ্ঞতা এবং ইতিহাস রয়েছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘যদি আপনি গুয়াতেমালার প্রত্যেককে হিস্পানিক বলেন, তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন যে সেই গোষ্ঠীর সবাই সাবলীলভাবে স্প্যানিশ বলতে পারে, কিন্তু আসলে তারা তা পারে না।’
ক্যালিফোর্নিয়ায়, ২০২৪ সালে পাস হওয়া একটি নতুন আইন অনুযায়ী, রাজ্য সংস্থাগুলোকে ল্যাটিন আমেরিকান অভিবাসীদের পছন্দের ভাষা, যার মধ্যে কিচে এবং মামের মতো আদিবাসী ভাষাগুলোও অন্তর্ভুক্ত, সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, যাতে তাদের চাহিদা আরও ভালোভাবে বোঝা যায় এবং পূরণ করা যায়।
মায়া আদিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন খোঁজার কারণ হিসেবে স্কট বলেন, গুয়াতেমালায় অনেক মায়া সংস্কৃতির আদিবাসীরা প্রায়শই ভিন্ন সামাজিক শ্রেণির মানুষের দ্বারা তীব্র বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার হয়। তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার প্রধান কারণ এটিই।
যুক্তরাষ্ট্রে মায়া সম্প্রদায়ের বৃদ্ধি তাদের প্রাচীন ভাষাগুলোকে নতুন প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের যোগ। যদিও প্রাচীন মায়া শহরগুলোর ধ্বংসাবশেষ এবং খোদাই করা হায়ারোগ্লিফগুলো একটি দীর্ঘস্থায়ী সভ্যতার নিদর্শন বলে মনে হতে পারে। অনেক মায়া সম্প্রদায় ১৬০০ শতাব্দীর স্প্যানিশ উপনিবেশন থেকে থেকে বেঁচে গিয়েছিল। তারা তাদের সংস্কৃতি ও ভাষা সংরক্ষণ করেছিল। বে এরিয়ার মতো জায়গাগুলোতে এখন রেডিওতে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এমনকি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষগুলোতেও মায়া ভাষায় পড়ানো হয়।
১৬০০ শতাব্দীতে স্প্যানিশরা যখন ইউকাতান উপদ্বীপের উপকূলে অবতরণ করেছিল, তখন তারা প্রায় এক ডজন মায়া নগররাজ্য খুঁজে পেয়েছিল। এগুলোর একটি সাধারণ অতীত ছিল, তবে তাদের মধ্যে গভীর বিভেদও ছিল। কিছু মায়া শাসক স্প্যানিশদের আগমনকে পুরোনো উত্তেজনা নিষ্পত্তির সুযোগ হিসেবে দেখেছিল। তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী শহরগুলোকে দমন করার জন্য ইউরোপীয়দের সাথে মৈত্রী করেছিল। এই নতুন জোট বজায় রাখতে ইচ্ছুক স্প্যানিশদের জন্য এই অঞ্চলে কথিত ভাষাগুলো শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একবার উপদ্বীপ জয় করা হলে স্প্যানিশরা স্থানীয় ভাষাগুলো ধর্ম প্রচার, প্রশাসন এবং একটি নতুন সমাজ তৈরি করতে ব্যবহার করেছিল।
স্প্যানিশ ধর্মপ্রচারক ফ্রে বার্তোলোমে দে লাস কাসাস তাঁর আমেরিকা ভ্রমণে একটি ব্যাপক স্থানীয় রীতির বর্ণনা দিয়েছেন: মায়া সংস্কৃতিতে আচার-অনুষ্ঠানে তামাক জাত বস্তু দিয়ে ধূমপান এবং পান করা হতো। দে লাস কাসাসের ভাষায়, সেই শুকনো ভেষজগুলো একটি বিশেষ পাতায় মোড়ানো থাকতো। ধূমপানের কাজটি প্রাচীন মায়া ভাষায় বলা হতো ‘সিয়ার’। সেটিই পরে স্প্যানিশ ‘সিগারো’ এবং তারও অনেক পরে, ইংরেজিতে ‘সিগার’ নামে ছড়িয়ে পড়ে এবং তামাক পাতার একটি রোলকে বোঝাতে এই শব্দ ব্যবহৃত হতে থাকে।
অন্য একটি মায়া শব্দ যা অন্যান্য ভাষায় প্রবেশ করেছে তা হলো ‘কাকাও’। এই বস্তু চকোলেট তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। দে লাস কাসাস নিজেই ১৫৪৪ সালে এটি ইউরোপে নিয়ে এসেছিলেন।
বর্তমানে, ৩০ টিরও বেশি মায়া ভাষা টিকে আছে। বিশ্বজুড়ে অন্তত ৬০ লাখ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। যদিও চিকোমুসেলতেক এবং চোলতি-এর মতো কিছু ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে বা বিলুপ্তির পথে। তবে কিচে, ইউকাতেক এবং কিউকচি-এর মতো অন্যগুলোর প্রতিটিতে কথা বলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
এগুলো সবই একই ভাষা, প্রোটো-মায়ান থেকে এসেছে। খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ সালের আগে এই ভাষা প্রচলিত ছিল। তবে এগুলো একে অপরের থেকে এতটাই আলাদা যে, প্রায় ৫ লাখ জনসংখ্যার মাম ভাষার বক্তারা কিচে ভাষা বুঝতে পারে না। আবার ইউকাতেকানরা মাম ভাষা বুঝতে পারে না। আরোলদো ইউকাতেক সম্পর্কে বলেন, ‘এটি আমার কাছে জার্মান ভাষার মতো লাগে।’
প্রায় ২,০০০ বছর ধরে, মায়া ভাষাগুলোর নিজস্ব লিখন পদ্ধতি ছিল। এগুলো ক্ল্যাসিক মায়া নামে পরিচিত। লেখন পদ্ধতি ছিল হায়ারোগ্লিফ। এটি কেবল সামাজিক পিরামিডের শীর্ষে থাকা ব্যক্তিরাই ব্যবহার করত। অভিজাতরাই শুধু এসব ভাষার লেখ্য ও তথাকথিত প্রমিত রূপ ব্যবহার করত। বাকি জনগণ তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলত। এগুলো ধীরে ধীরে লাতিনের সাথে মিশে গেছে।
স্প্যানিশ ধর্মপ্রচারকেরা হায়ারোগ্লিফগুলোকে ‘পৌত্তলিক’ বলে মনে করতেন। এই ধারণা থেকে তারা পদ্ধতিগতভাবে সেগুলো মুছে ফেলতেন। মায়া অভিজাতদের পুত্র ও কন্যাদের হায়ারোগ্লিফিক লেখা পরিত্যাগ করতে এবং লাতিন বর্ণমালা ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই সময়ে লেখা বেশিরভাগ বই, যা কোডেক্স নামে পরিচিত, ধ্বংস করা হয়েছিল। কিন্তু মৌখিক ভাষাগুলো টিকে ছিল। সেগুলো পরবর্তীতে লাতিন বর্ণমালায় টিকে আছে।
পশ্চিমা পণ্ডিতরা উনিশ শতাব্দীতে মায়া হায়ারোগ্লিফগুলো অধ্যয়ন শুরু করেন। আমেরিকান এবং রুশ ভাষাবিদরা বিশ শতাব্দী জুড়ে সেগুলো পাঠোদ্ধার করতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছিলেন। ২০০০-এর দশকে যখন মায়া পণ্ডিত এবং ভাষাভাষিদের এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তখন দারুণ সাফল্য অর্জিত হয়েছিল। তখনই গবেষকেরা বুঝতে পেরেছিলেন, হায়ারোগ্লিফগুলো কেবল জটিল ধারণাগুলোকেই নয়, শব্দ গঠনকারী অক্ষরগুলোকেও প্রতিনিধিত্ব করে।
যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানো প্রথম মায়া আদিবাসীরা ব্রাসেরো প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এসেছিলেন। বহু আমেরিকান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গেলে শ্রমিক সংকট নিরসনে মেক্সিকান শ্রমিকদের নেওয়া শুরু হয়। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ আমেরিকায় যায় আরও কয়েক দশক পরে, ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০০০ এর দশকে।
অভিবাসন এখন বিশেষ করে গুয়াতেমালাকে ভুট্টা ও শিম জাতীয় শস্য-ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে রেমিটেন্স-নির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করেছে।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৩৪ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের প্রাচীন ভাষাগুলো নিয়ে যেন নতুন নতুন ভূখণ্ডে পা রাখছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের ফলে মায়া সভ্যতার সহস্রাব্দ প্রাচীন ভাষাগুলো নতুন করে প্রসার লাভ করছে। লাতিন আমেরিকান অভিবাসী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
২৩ মে ২০২৫
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের প্রাচীন ভাষাগুলো নিয়ে যেন নতুন নতুন ভূখণ্ডে পা রাখছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের ফলে মায়া সভ্যতার সহস্রাব্দ প্রাচীন ভাষাগুলো নতুন করে প্রসার লাভ করছে। লাতিন আমেরিকান অভিবাসী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
২৩ মে ২০২৫
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৩৪ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক নাটকীয় ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে ট্যাংকারটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরপেক্ষ জলসীমায় এটি প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক আঘাত। এর আগে ইউক্রেন শুধু কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজের ওপর ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, আক্রান্ত জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। এটি রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অংশ বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এসব জাহাজ সাধারণত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রুশ তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। এর ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে ট্যাংকারটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুতে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল। ফেরার পথেই ভূমধ্যসাগরে হামলার চালানো হয়।
এই হামলাকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় এমন অভিযান ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক আইন, নৌ নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবহন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবু হামলার ভিডিও প্রকাশ যুদ্ধের পরিধি ও কৌশল নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক নাটকীয় ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে ট্যাংকারটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরপেক্ষ জলসীমায় এটি প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক আঘাত। এর আগে ইউক্রেন শুধু কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজের ওপর ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, আক্রান্ত জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। এটি রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অংশ বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এসব জাহাজ সাধারণত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রুশ তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। এর ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে ট্যাংকারটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুতে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল। ফেরার পথেই ভূমধ্যসাগরে হামলার চালানো হয়।
এই হামলাকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় এমন অভিযান ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক আইন, নৌ নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবহন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবু হামলার ভিডিও প্রকাশ যুদ্ধের পরিধি ও কৌশল নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের প্রাচীন ভাষাগুলো নিয়ে যেন নতুন নতুন ভূখণ্ডে পা রাখছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের ফলে মায়া সভ্যতার সহস্রাব্দ প্রাচীন ভাষাগুলো নতুন করে প্রসার লাভ করছে। লাতিন আমেরিকান অভিবাসী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
২৩ মে ২০২৫
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৩৪ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সম্প্রতি এক সমাবেশে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ওয়াইটিএফ কর্মী রাজপথে নেমে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা সতর্ক করে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর যেন বাংলাদেশ ‘কুদৃষ্টি’ না দেয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
যুব টিপরা ফেডারেশনের সভাপতি সুরজ দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সংকটের সময়ে আমাদের দেশ তাদের পাশে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়েছিল। ভারতের অমূল্য অবদানেই আজকের বাংলাদেশের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সুরজ দেববর্মা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে, তবে এই অঞ্চলের মানুষও সমুদ্রে যাওয়ার পথ চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মানুষ বসবাস করেন, যাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে মিলে যায়। বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়, তবে আমরাও ভারতের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামকে যুক্ত করার দাবি তুলতে পারি।’
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে গত বছরের ডিসেম্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে আজকে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তবে বাংলাদেশও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের আশ্রয় দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে (সেভেন সিস্টার্স) ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সম্প্রতি এক সমাবেশে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ওয়াইটিএফ কর্মী রাজপথে নেমে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা সতর্ক করে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর যেন বাংলাদেশ ‘কুদৃষ্টি’ না দেয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
যুব টিপরা ফেডারেশনের সভাপতি সুরজ দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সংকটের সময়ে আমাদের দেশ তাদের পাশে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়েছিল। ভারতের অমূল্য অবদানেই আজকের বাংলাদেশের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সুরজ দেববর্মা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে, তবে এই অঞ্চলের মানুষও সমুদ্রে যাওয়ার পথ চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মানুষ বসবাস করেন, যাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে মিলে যায়। বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়, তবে আমরাও ভারতের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামকে যুক্ত করার দাবি তুলতে পারি।’
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে গত বছরের ডিসেম্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে আজকে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তবে বাংলাদেশও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের আশ্রয় দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে (সেভেন সিস্টার্স) ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের প্রাচীন ভাষাগুলো নিয়ে যেন নতুন নতুন ভূখণ্ডে পা রাখছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের ফলে মায়া সভ্যতার সহস্রাব্দ প্রাচীন ভাষাগুলো নতুন করে প্রসার লাভ করছে। লাতিন আমেরিকান অভিবাসী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
২৩ মে ২০২৫
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৩৪ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩ ঘণ্টা আগে