অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসৌস’-এর সাফল্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তাঁর ভাষ্য, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী ‘এবার ভারতের আগ্রাসনের কড়া জবাব দিয়ে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের বদলা নিয়েছে।’ গতকাল বুধবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোটে এক সেনানিবাসে তিনি এই কথা বলেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, শিয়ালকোটের কাছে পাসরুর সেনানিবাসে শাহবাজ শরিফ এই মন্তব্য করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ভারত সীমান্তের বিভিন্ন ফ্রন্টিয়ার এলাকায় মোতায়েন সৈন্যদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী এই দাবি করেন।
শাহবাজ শরিফ বলেন, ইতিহাস মনে রাখবে, মাত্র কয়েক ঘণ্টায় পাকিস্তানের সাহসী সেনারা ভারতের বিনা উসকানির আগ্রাসন থামিয়ে দিয়েছে। তারা নিখুঁত পরিকল্পনা ও দৃঢ়তা নিয়ে এই জবাব দিয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, পরিকল্পনা ও উন্নয়নমন্ত্রী আহসান ইকবাল ও তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।
পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর তথা আইএসপিআর জানিয়েছে, সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিধুও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সফরের সময় প্রধানমন্ত্রীকে যুদ্ধের কৌশল ও কোরের বর্তমান প্রস্তুতির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়।
সৈন্যদের উদ্দেশে শাহবাজ শরিফ আরও বলেন, জাতির দৃঢ় সংকল্পে বলীয়ান হয়ে পাকিস্তানের বীর সেনারা মাতৃভূমি রক্ষা করেছেন। তাঁরা শত্রুর আক্রমণ সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিহত করেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক এই সাফল্য নিয়ে ভবিষ্যতে বই লেখা হবে। এটি সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারত্ব ও সাহসিকতার প্রমাণ। তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নেতৃত্ব ও সদস্যদের প্রশংসা করেন। তাঁর মন্তব্য, তাঁরা শত্রুদের ভালো শিক্ষা দিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে শাহবাজ শরিফ বলেন, বিশ্ব জানে কে ১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেন, আজও একই ধরনের যোগসাজশ বিএলএ (বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি-সংগঠনটি বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা দাবিতে লড়াই করছে) ও টিটিপির (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান) মতো গোষ্ঠীগুলোর পেছনে দেখা যায়। আর এর পেছনে মোদির হাত রয়েছে।
সম্প্রতি মোদির এক বক্তব্যের জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মোদি সাহেব, আপনার আগুন ছোড়া বক্তব্য নিজের কাছে রাখুন। পাকিস্তান এই অঞ্চলে শান্তি চায়। তবে আমাদের শান্তির আকাঙ্ক্ষাকে যেন কেউ দুর্বলতা না ভাবে।’ তিনি বলেন, ভারত যদি সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার কথা ভাবে, তবে জেনে রাখুক—পানি ও রক্ত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। এটি পাকিস্তানের জন্য একটি বিপৎসীমা, যেখানে কোনো আপস করা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্যের ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে দিয়েছে। তাঁর ভাষ্য, ভারত একটি আঞ্চলিক শক্তি—এই মিথ ভেঙে গেছে। তিনি আশ্বাস দেন, কাশ্মীরসহ সব অসমাপ্ত ইস্যুতে পাকিস্তান আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে বলেন, একতরফা কোনো পদক্ষেপ চলবে না। শুধু মিষ্টি কথা চলবে আর তিক্ত সত্য এড়িয়ে যাবে—এটা হতে পারে না।
মোদিকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ভারতের যেকোনো ভবিষ্যৎ আগ্রাসনের জবাব হবে দৃঢ় ও নজিরবিহীন। তিনি বলেন, ‘মোদি, যদি আপনি আবারও আগ্রাসন করেন, তবে এমন প্রতিক্রিয়া পাবেন যা কল্পনাতীত।’
শাহবাজ বলেন, শিশু, নারী ও বয়োজ্যেষ্ঠদের ওপর সরাসরি হামলা চালিয়ে যারা শহীদ করেছে, তাদের সন্ত্রাসী বলা লজ্জাজনক। এটি আন্তর্জাতিক আইন, নৈতিকতা ও রীতিনীতির পরিপন্থী। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব দিলেও ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে তা এড়িয়ে গেছে। কারণ, তাদের কাছে প্রমাণ করার মতো কিছু ছিল না। তাঁর ভাষ্য, ভারত মিথ্যা অভিযোগ ও অহংকারের ভিত্তিতে হামলা চালিয়েছিল। আর তার উপযুক্ত জবাব তারা পেয়েছে।
এর আগে গত ৭ মে ভারত পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে হামলা চালায়। জবাবে পাকিস্তানে সশস্ত্র বাহিনীও ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসৌস’ নামে বড় পরিসরের পাল্টাহামলা শুরু করে। এই অভিযানে একাধিক ভারতীয় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসৌস’-এর সাফল্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তাঁর ভাষ্য, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী ‘এবার ভারতের আগ্রাসনের কড়া জবাব দিয়ে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের বদলা নিয়েছে।’ গতকাল বুধবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোটে এক সেনানিবাসে তিনি এই কথা বলেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, শিয়ালকোটের কাছে পাসরুর সেনানিবাসে শাহবাজ শরিফ এই মন্তব্য করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ভারত সীমান্তের বিভিন্ন ফ্রন্টিয়ার এলাকায় মোতায়েন সৈন্যদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী এই দাবি করেন।
শাহবাজ শরিফ বলেন, ইতিহাস মনে রাখবে, মাত্র কয়েক ঘণ্টায় পাকিস্তানের সাহসী সেনারা ভারতের বিনা উসকানির আগ্রাসন থামিয়ে দিয়েছে। তারা নিখুঁত পরিকল্পনা ও দৃঢ়তা নিয়ে এই জবাব দিয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, পরিকল্পনা ও উন্নয়নমন্ত্রী আহসান ইকবাল ও তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।
পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর তথা আইএসপিআর জানিয়েছে, সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিধুও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সফরের সময় প্রধানমন্ত্রীকে যুদ্ধের কৌশল ও কোরের বর্তমান প্রস্তুতির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়।
সৈন্যদের উদ্দেশে শাহবাজ শরিফ আরও বলেন, জাতির দৃঢ় সংকল্পে বলীয়ান হয়ে পাকিস্তানের বীর সেনারা মাতৃভূমি রক্ষা করেছেন। তাঁরা শত্রুর আক্রমণ সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিহত করেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক এই সাফল্য নিয়ে ভবিষ্যতে বই লেখা হবে। এটি সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারত্ব ও সাহসিকতার প্রমাণ। তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নেতৃত্ব ও সদস্যদের প্রশংসা করেন। তাঁর মন্তব্য, তাঁরা শত্রুদের ভালো শিক্ষা দিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে শাহবাজ শরিফ বলেন, বিশ্ব জানে কে ১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেন, আজও একই ধরনের যোগসাজশ বিএলএ (বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি-সংগঠনটি বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা দাবিতে লড়াই করছে) ও টিটিপির (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান) মতো গোষ্ঠীগুলোর পেছনে দেখা যায়। আর এর পেছনে মোদির হাত রয়েছে।
সম্প্রতি মোদির এক বক্তব্যের জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মোদি সাহেব, আপনার আগুন ছোড়া বক্তব্য নিজের কাছে রাখুন। পাকিস্তান এই অঞ্চলে শান্তি চায়। তবে আমাদের শান্তির আকাঙ্ক্ষাকে যেন কেউ দুর্বলতা না ভাবে।’ তিনি বলেন, ভারত যদি সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার কথা ভাবে, তবে জেনে রাখুক—পানি ও রক্ত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। এটি পাকিস্তানের জন্য একটি বিপৎসীমা, যেখানে কোনো আপস করা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্যের ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে দিয়েছে। তাঁর ভাষ্য, ভারত একটি আঞ্চলিক শক্তি—এই মিথ ভেঙে গেছে। তিনি আশ্বাস দেন, কাশ্মীরসহ সব অসমাপ্ত ইস্যুতে পাকিস্তান আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে বলেন, একতরফা কোনো পদক্ষেপ চলবে না। শুধু মিষ্টি কথা চলবে আর তিক্ত সত্য এড়িয়ে যাবে—এটা হতে পারে না।
মোদিকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ভারতের যেকোনো ভবিষ্যৎ আগ্রাসনের জবাব হবে দৃঢ় ও নজিরবিহীন। তিনি বলেন, ‘মোদি, যদি আপনি আবারও আগ্রাসন করেন, তবে এমন প্রতিক্রিয়া পাবেন যা কল্পনাতীত।’
শাহবাজ বলেন, শিশু, নারী ও বয়োজ্যেষ্ঠদের ওপর সরাসরি হামলা চালিয়ে যারা শহীদ করেছে, তাদের সন্ত্রাসী বলা লজ্জাজনক। এটি আন্তর্জাতিক আইন, নৈতিকতা ও রীতিনীতির পরিপন্থী। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব দিলেও ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে তা এড়িয়ে গেছে। কারণ, তাদের কাছে প্রমাণ করার মতো কিছু ছিল না। তাঁর ভাষ্য, ভারত মিথ্যা অভিযোগ ও অহংকারের ভিত্তিতে হামলা চালিয়েছিল। আর তার উপযুক্ত জবাব তারা পেয়েছে।
এর আগে গত ৭ মে ভারত পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে হামলা চালায়। জবাবে পাকিস্তানে সশস্ত্র বাহিনীও ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসৌস’ নামে বড় পরিসরের পাল্টাহামলা শুরু করে। এই অভিযানে একাধিক ভারতীয় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করে পাকিস্তান।
ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার মধ্যরাতে ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ও বিমানঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নির্দেশে ইরানি বাহিনী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত ও
৪১ মিনিট আগেতেহরানের পশ্চিমাঞ্চলের মার্জদারান পাড়ায় বসবাসকারী ৬২ বছর বয়সী রোয়া শুক্রবার ভোররাতে বিস্ফোরণের শব্দে হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘এটা ছিল ভয়াবহ। মনে হচ্ছিল, হৃৎপিণ্ডটা যেন বুকে লাফাচ্ছে।’
২ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা এবং তেহরানে সিনিয়র সামরিক নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। তারা বলেছে, প্রতিক্রিয়া হবে তীব্র এবং এই গল্পের শেষ অধ্যায় লিখবে ইরান।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের আহমেদাবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। চিকিৎসকদের যে হোস্টেলের ওপর বিমানটি আছড়ে পড়েছিল, সেই হোস্টেলের ছাদে পড়ে ছিল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ডকারী এই যন্ত্র।
৪ ঘণ্টা আগে