Ajker Patrika

ক্ষমতার বাইরে থেকেও পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় কারাবন্দী ইমরান 

আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০: ০০
ক্ষমতার বাইরে থেকেও পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় কারাবন্দী ইমরান 

আস্থা ভোটে হেরে ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। এর পর থেকেই তাঁর সময় ভালো যাচ্ছে না। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পায়ে গুলি খেয়েছেন। দাঙ্গা, সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতিসহ ১৮০টি অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে তাঁর জায়গা হয়েছে ৯ ফুট বাই ১১ ফুটের একটি কারাকক্ষে। ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারছেন না। যদিও পাকিস্তানে তাঁর জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। টাইম ম্যাগাজিনের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নির্বাচনের বাইরে রাখতে সবকিছু করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এই বাহিনীই পাকিস্তানের রাজনীতিতে অলিখিত এবং প্রায় একপ্রকার স্বঘোষিত কিংমেকার। 

পিটিআই নেতাদের ওপর কয়েক মাস ধরে দমন-পীড়ন চলছে। অনেকে বাধ্য হয়েছেন দল ছাড়তে। ভোটে ইমরানের বিরোধীদের সুবিধা দিতে সংসদীয় আসনগুলোর সীমানা নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি তুলে ধরে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সেন্টার ফর মুসলিম স্টেটসের পরিচালক সামিনা ইয়াসমিন বলেন, পাকিস্তানে নির্বাচন হবে। তবে এই নির্বাচনে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 

গত মাসে পিটিআইয়ের ‘ব্যাট’ প্রতীক বাতিল হয়েছে। পাকিস্তানে ৪০ শতাংশ মানুষ নিরক্ষর। সেখানে এই প্রতীক বাতিল দলটির জন্য ক্ষতিকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ইমরান খানের সাবেক বিশেষ সহকারী ও পিটিআইয়ের মুখপাত্র রউফ হাসান বলেন, এই প্রতীক বাতিলের মধ্য দিয়ে মূলত দলকে দন্তহীন করা হয়েছে। 

তবে জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে নেই ইমরান খান। জরিপ সংস্থা গ্যালাপের দেওয়া তথ্য অনুসারে, পাকিস্তানে ৫৭ শতাংশ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় ইমরান। আর পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের নেতা নওয়াজ শরিফকে সমর্থন করছেন ৫২ শতাংশ মানুষ। এ প্রসঙ্গে সামিনা ইয়াসমিন বলেন, প্রান্তিক মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় ইমরান খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বন্ডাই বিচ ট্র্যাজেডি: ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্টে ফিলিপাইনে গিয়েছিল হামলাকারী বাবা-ছেলে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বাবা সাজিদ আকরাম ও ছেলে নাভিদ আকরাম। ছবি: সংগৃহীত
বাবা সাজিদ আকরাম ও ছেলে নাভিদ আকরাম। ছবি: সংগৃহীত

বন্ডির ঘটনার অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী—সাজিদ আকরাম (৫০) এবং তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪) —গত নভেম্বরের শুরুতে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিপাইন ত্যাগ করেন তাঁরা। ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।

ইমিগ্রেশন ব্যুরোর মুখপাত্র ডানা স্যান্ডোভাল জানান, সাজিদ আকরাম ভারতে ইস্যু করা একটি পাসপোর্ট ব্যবহার করে ফিলিপাইনে যান, অন্যদিকে তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম একটি অস্ট্রেলীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন।

স্যান্ডোভাল আরও বলেন, তাঁরা ফিলিপাইনে তাঁদের চূড়ান্ত গন্তব্য হিসেবে দক্ষিণের শহর ডাভাওকে ঘোষণা করেছিলেন এবং তাঁদের অস্ট্রেলিয়া ফেরার ফ্লাইটটি সিডনির জন্য নির্ধারিত ছিল।

ডাভাও হলো ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ মিন্দানাও-এর পূর্বে অবস্থিত একটি বিস্তৃত মহানগরী। উল্লেখ্য, মিন্দানাও-এর কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ-পশ্চিমের দরিদ্র এলাকাগুলোতে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের তৎপরতার খবর পাওয়া যায়।

এদিকে, ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি সে দেশে থাকাকালীন ‘সামরিক ধাঁচের প্রশিক্ষণ’ নিয়েছিলেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তাঁরা এখনো তা নিশ্চিত করতে পারেনি।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিবিসির বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলারের মানহানি মামলা করলেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১০
ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। অভিযোগ, বিবিসির একটি প্যানোরমা তথ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে তাঁর ভাষণের একটি অংশ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে তাঁর বক্তব্যের অর্থ বদলে গেছে বলে দাবি ট্রাম্পের।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা মামলায় ট্রাম্প বলেছেন, বিবিসি তাঁর মানহানি করেছে এবং বাণিজ্যিক আইন ভেঙেছে। তাঁর আইনজীবীদের দাবি, বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে ও বিদ্বেষপূর্ণভাবে ট্রাম্পের ভাষণ বিকৃত করেছে।

গত মাসে এই বিষয়ে বিবিসি ট্রাম্পের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছিল। তারা স্বীকার করে যে ভিডিও সম্পাদনার কারণে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে, যেন ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার ডাক দিয়েছিলেন। তবে বিবিসি মানহানির অভিযোগ মানতে রাজি হয়নি এবং ক্ষতিপূরণও দিতে অস্বীকার করেছে।

ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের আগে যুক্তরাজ্যে প্রচারিত এই তথ্যচিত্রের জন্য তিনি বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করবেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিবিসি তাঁর মুখের কথাই পাল্টে দিয়েছে।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার আগে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁরা ক্যাপিটলে যাবেন এবং সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের সমর্থন জানাবেন। প্রায় ৫০ মিনিট পর তিনি বলেন, ‘আমরা লড়াই করি। আমরা চরমভাবে লড়াই করি।’

কিন্তু প্যানোরমা অনুষ্ঠানে এই দুই বক্তব্য একসঙ্গে জুড়ে দেখানো হয়। এতে মনে হয়েছে, ট্রাম্প একই সঙ্গে ক্যাপিটলে যাওয়া এবং লড়াইয়ের কথা বলছেন। নভেম্বরে বিবিসির এক অভ্যন্তরীণ নথি ফাঁস হয়। সেখানে এই সম্পাদনার কড়া সমালোচনা করা হয়। এরপর বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং সংবাদ বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেন।

মামলা হওয়ার আগে বিবিসির আইনজীবীরা ট্রাম্পের অভিযোগের জবাব দেন। তাঁরা বলেন, এই সম্পাদনার পেছনে কোনো বিদ্বেষ ছিল না। তাঁরা আরও দাবি করেন, তথ্যচিত্র প্রচারের পরই ট্রাম্প আবার নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর কোনো ক্ষতি হয়নি।

বিবিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্যানোরমা অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রচার করার অধিকার তাদের ছিল না এবং তারা সেটি করেনি। তথ্যচিত্রটি বিবিসি আইপ্লেয়ারে থাকলেও তা শুধু যুক্তরাজ্যের দর্শকদের জন্য সীমিত ছিল। তবে ট্রাম্পের মামলায় বলা হয়েছে, বিবিসি তৃতীয় পক্ষের কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল, যাদের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বাইরে তথ্যচিত্রটি দেখানো হতে পারে। এ নিয়ে বিবিসি বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কেউই মন্তব্য করেনি।

মামলায় আরও বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার মানুষ ভিপিএন ব্যবহার করে বা ব্রিটবক্স নামের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তথ্যচিত্রটি দেখতে পেরেছেন। ট্রাম্পের দাবি, তথ্যচিত্রটি প্রচারের পর ফ্লোরিডায় ভিপিএন ব্যবহারের হার বেড়ে যায়। এতে বোঝা যায়, অনেক মানুষ তথ্যচিত্রটি দেখার সুযোগ পেয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পশ্চিম তীরে এক বছরে ১৫০০ বাড়ি ভেঙেছে ইসরায়েল, ভাঙবে আরও ২৫টি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০২
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও নূর শামস ক্যাম্পে উচ্ছেদ অভিযান চালায় ইসরায়েল। সে সময় উচ্ছেদের শিকার একটি পরিবারের সদস্যরা বের হয়ে যাচ্ছেন বাড়ি থেকে। ছবি: এএফপি
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও নূর শামস ক্যাম্পে উচ্ছেদ অভিযান চালায় ইসরায়েল। সে সময় উচ্ছেদের শিকার একটি পরিবারের সদস্যরা বের হয়ে যাচ্ছেন বাড়ি থেকে। ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অবৈধ কার্যক্রম কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। দখলদার বাহিনী বিগত এক বছরে অঞ্চলটিতে ১ হাজার ৫০০টি বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। এ সপ্তাহে আরও ২৫টি বাড়ি ভাঙার পরিকল্পনা করছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এ সপ্তাহে অধিকৃত পশ্চিম তীরের নূর শামস শরণার্থীশিবিরে ২৫টি আবাসিক ভবন ভেঙে দেবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। নূর শামস তুলকারেম গভর্নরেটের অন্তর্ভুক্ত। এই অঞ্চলের গভর্নর আবদুল্লাহ কামিল গতকাল সোমবার এএফপিকে জানান, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কো-অর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাকটিভিটিজ ইন দ্য টেরিটরিজ-সিওজিএটি তাঁকে এই পরিকল্পিত ধ্বংসের বিষয়ে অবহিত করেছে।

নূর শামসের কাছেই অবস্থিত তুলকারেম ক্যাম্পের কমিটির প্রধান ফয়সাল সালামা বলেন, এই ধ্বংসের নির্দেশে প্রায় ১০০টি পরিবারের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইসরায়েল গত জানুয়ারিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ‘অপারেশন আয়রন ওয়াল’ শুরু করে। তাদের দাবি—এই অভিযান উত্তর-পশ্চিম তীরের শরণার্থীশিবিরগুলোতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পরিচালিত হচ্ছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যার যুদ্ধে যে ধরনের কৌশল ব্যবহার করেছিল, পশ্চিম তীরজুড়ে ভূখণ্ড দখল ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একই ধরনের অনেক কৌশল ব্যবহার করছে।

রামাল্লা থেকে আল জাজিরার নূর ওদেহ বলেন, ‘এটি এক বৃহত্তর অভিযানের অংশ, যা প্রায় এক বছর ধরে চলছে। এই অভিযানে তিনটি শরণার্থীশিবিরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং গত এক বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৫০০টি বাড়ি হয় ধ্বংস করা হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩২ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।’

ফিলিস্তিনি এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ফিলিস্তিনিদের ‘খাঁচায় পুরে ফেলার’ এবং পশ্চিম তীরের মানচিত্রে পরিবর্তন আনার একটি প্রচেষ্টা। সোমবার নূর শামসের কয়েক ডজন বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা তাদের ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া ইসরায়েলি সামরিক সাঁজোয়া যানের সামনে একটি বিক্ষোভ করে। তারা ধ্বংসের আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় এবং তাদের বাড়িতে ফেরার অধিকার দাবি করে।

ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি জাতীয় কাউন্সিলের প্রধান রুহি ফাত্তুহ বলেছেন, ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত ‘জাতিগত নির্মূল এবং অবিরাম জোরপূর্বক স্থানচ্যুতির’ অংশ। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির হলোকাস্ট এবং গণহত্যা অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ওমের বারতোভ বলেছেন, ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি জনসংখ্যাকে ‘মানবেতর’ করে তুলছে।

তিনি বলেন, ‘এটি একধরনের সামাজিক মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি তৈরি করছে, যা ১৯৩০-এর দশকে জার্মানিতে ইহুদি জনসংখ্যার ক্ষেত্রে যা ঘটেছিল। অর্থাৎ আপনার (ফিলিস্তিনি জনগণ, ইসরায়েলি ইহুদি জনগণ এবং অন্যপক্ষের মানুষের সঙ্গে ক্রমবর্ধমানভাবে কোনো যোগাযোগই রাখতে পারছে না এবং তারা যেন অস্তিত্বহীন, সেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে।’

শিবিরের বাসিন্দা আয়েশা দামার চার তলা পারিবারিক বাড়িও ভেঙে দেওয়া হবে। এই বাড়িতে প্রায় ৩০ জন লোক থাকত। তিনি এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি নিজেকে একা অনুভব করছেন। তিনি বলেন, ‘যেদিন এটা ঘটে (ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়), সেদিন কেউ আমাদের খোঁজ নেয়নি বা আমাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেনি।’

শিবিরের আরেক বাসিন্দা সিহাম হামায়েদ বলেন, ‘আমার ভাইদের সবগুলো বাড়িঘর ধ্বংস করা হবে। আর আমার সবাই এরই মধ্যে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি।’ পশ্চিম তীরের অন্যান্য শরণার্থীশিবিরের মতো নূর শামসও ১৯৪৮ সালের নাকবার পর প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় বর্তমান ইসরায়েলি ভূখণ্ড থেকে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে ফের ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে শুভেচ্ছা মোদির

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৫৮
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে আবারও ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তিনি এই দাবি করেন। এমনকি টুইটে বাংলাদেশের নামও নেননি মোদি।

নরেন্দ্র মোদি ইংরেজিতে দেওয়া টুইটের বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈন্যদের স্মরণ করি, যাঁদের সাহস ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের একটি মুহূর্ত খোদাই করে রেখেছে। এই দিন তাঁদের বীরত্বকে স্যালুট জানায় এবং তাঁদের অতুলনীয় চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাঁদের বীরত্ব ভারতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।’

অবশ্য এবারই প্রথম নয়, এর আগেও মোদি একই ধরনের কাজ করেছেন। ২০২৪ সালেও বিজয় দিবসে তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিজয় বলে দাবি করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আজ, বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈনিকদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই, যাঁরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রেখেছিলেন। তাঁদের নিঃস্বার্থ নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প আমাদের দেশকে সুরক্ষিত করেছে এবং আমাদের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। দিনটি তাঁদের অসামান্য বীরত্ব এবং অবিচল আত্মার প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে অমর হয়ে থাকবে।’

ঐতিহাসিক দলিল বলে, ভারত ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বাহিনী হিসেবে যোগ দেয়। ইন্সট্রুমেন্ট অব সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণের দলিলেও পাকিস্তানি বাহিনী ‘ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর’ কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। অথচ এর আগের প্রায় ৯ মাস পুরো মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা।

বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত বর্বরোচিত হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত ১১টি সেক্টরের কমান্ডারও ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআর এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা, যাঁরা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। এ ছাড়া পুরো মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। যেখানে কয়েক দিনের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির সংখ্যা খুবই নগণ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত