
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা। গতকাল শুক্রবার রাতে দেশটির চার প্রদেশে ও কেন্দ্র সরকার গঠনের জন্য জোট বেঁধে পর্যাপ্তসংখ্যক আসন নিশ্চিত করতে বৈঠক করেন ইমরানবিরোধী নেতারা।
পাকিস্তানের বার্তা সংস্থা ডনের প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল সন্ধ্যায় পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা নওয়াজ শরিফ, তাঁর ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে পিপিপি, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ও অন্য দলকে জোট সরকার গঠনে তাঁর দলের সঙ্গে আহ্বান জানাতে বলেছেন।
এরই মধ্যে, পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভির বাসভবনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আসিফ আলী জারদারি ও তাঁর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন শাহবাজ। পিপিপির একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বৈঠক বড় কোনো ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা নির্বাচনের ফলাফল ও নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
অপর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এ বৈঠক অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ছিল। জারদারি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় লাহোরে অবতরণ করেন আর বিলাওয়াল সেখানে আগে থেকেই ছিলেন। তাঁরা দুজনে গাড়ি চালিয়ে নাকভির বাড়িতে যান। সেখানে শাহবাজ আগে থেকেই তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক হলেও দৃশ্যত এটি ইতিবাচকভাবে শেষ হয়েছে।’
পরে শাহবাজ এমকিউএম-পির আহ্বায়ক ড. খালিদ মকবুল সিদ্দিকীর সঙ্গেও কথা বলেন বলে জানান দলটির সিনিয়র নেতা আমিনুল হক। তিনি বলেন, শরিফ সন্ধ্যায় তাঁদের ফোন করেন এবং উভয়পক্ষই ‘শিগগিরই’ একটি বৈঠকে বসবে। তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার (আজ) আজিজাবাদের জিন্নাহ ময়দানে আমরা আমাদের জয় উদ্যাপন করতে যাচ্ছি। এরপরেই বৈঠক হবে।’
সাধারণ নির্বাচনের আগে এমকিউএম-পি ঘোষণা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতার জন্য তারা নওয়াজ শরিফকে সমর্থন দেবে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ২৫০টি আসনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৯৯ আসন নিয়ে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এখনো ১৫ আসনের ফল প্রকাশ বাকি। পিটিআইয়ের অপর দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে যথাক্রমে ৭১ ও ৫১টি করে আসন। অন্য প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৭টি।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১৩৪টি আসন। কিন্তু কোনো দলেরই এককভাবে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় দেশটিতে হয়তো আবারও একটি ঝুলন্ত জাতীয় পরিষদ দেখা যাবে। অর্থাৎ জোট গঠন করেই সরকার গঠন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে নওয়াজের দল পিএমএল-এন ও পিপিপি জোট করে সরকার গঠন করতে পারে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাব অনুসারে, পিপিপি ও পিএমএল-এনের মোট আসন হয় ১২২টি। অর্থাৎ, সরকার গঠনে এই সম্ভাব্য জোটের প্রয়োজন আরও অন্তত ১২টি আসন। এরই মধ্যে নওয়াজ শরিফ জানিয়েছেন, তাঁর দল বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপির সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনার সুযোগ খুঁজছে।
গতকাল রাতে লাহোরে নিজ বাসভবনের সামনে উল্লসিত সমর্থকদের সামনে দেওয়া এক ভাষণে নওয়াজ শরিফ বলেছেন, ‘আমাদের একসঙ্গে বসতে হবে।’ দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও অন্য দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে নওয়াজ বলেন, ‘এই দেশকে অচলাবস্থা থেকে বের করে নেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পিপিপি ও পিএমএল-এন যদি জোট সরকার গঠন করে, সে ক্ষেত্রে কারাবন্দী ইমরান খানের দলের জন্য তা হবে খুবই হতাশার বিষয়। কারণ, পিএমএল-এনের বা পিপিপির সঙ্গে ইমরান খানের দলের স্বতন্ত্র এমএনএদের জোট বাঁধার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পিপিপির সঙ্গে সামান্য সম্ভাবনা থাকলেও নওয়াজের দলের সঙ্গে একেবারেই নেই।
তবে নওয়াজ ও বিলাওয়ালের জোট বাঁধার সম্ভাবনাই বেশি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল রাতেই বিলাওয়ালের বাবা ও পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করতে লাহোরে গেছেন। ফলে এটা অনুমান করা যেতেই পারে যে নওয়াজের সঙ্গে জোট গঠন করে ছেলেকে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসীন করার চেষ্টা চালাবেন আসিফ।
ইমরান খানের সরকারকে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই পাকিস্তানে জোট সরকার ছিল। সেই জোট সরকারে পরস্পরের সঙ্গী ছিল পিপিপি ও পিএমএল-এন। এবারও যদি এ দুটি দল জোট গঠন করে, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য স্বস্তির হবে।

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা। গতকাল শুক্রবার রাতে দেশটির চার প্রদেশে ও কেন্দ্র সরকার গঠনের জন্য জোট বেঁধে পর্যাপ্তসংখ্যক আসন নিশ্চিত করতে বৈঠক করেন ইমরানবিরোধী নেতারা।
পাকিস্তানের বার্তা সংস্থা ডনের প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল সন্ধ্যায় পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা নওয়াজ শরিফ, তাঁর ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে পিপিপি, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ও অন্য দলকে জোট সরকার গঠনে তাঁর দলের সঙ্গে আহ্বান জানাতে বলেছেন।
এরই মধ্যে, পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভির বাসভবনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আসিফ আলী জারদারি ও তাঁর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন শাহবাজ। পিপিপির একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বৈঠক বড় কোনো ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা নির্বাচনের ফলাফল ও নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
অপর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এ বৈঠক অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ছিল। জারদারি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় লাহোরে অবতরণ করেন আর বিলাওয়াল সেখানে আগে থেকেই ছিলেন। তাঁরা দুজনে গাড়ি চালিয়ে নাকভির বাড়িতে যান। সেখানে শাহবাজ আগে থেকেই তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক হলেও দৃশ্যত এটি ইতিবাচকভাবে শেষ হয়েছে।’
পরে শাহবাজ এমকিউএম-পির আহ্বায়ক ড. খালিদ মকবুল সিদ্দিকীর সঙ্গেও কথা বলেন বলে জানান দলটির সিনিয়র নেতা আমিনুল হক। তিনি বলেন, শরিফ সন্ধ্যায় তাঁদের ফোন করেন এবং উভয়পক্ষই ‘শিগগিরই’ একটি বৈঠকে বসবে। তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার (আজ) আজিজাবাদের জিন্নাহ ময়দানে আমরা আমাদের জয় উদ্যাপন করতে যাচ্ছি। এরপরেই বৈঠক হবে।’
সাধারণ নির্বাচনের আগে এমকিউএম-পি ঘোষণা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতার জন্য তারা নওয়াজ শরিফকে সমর্থন দেবে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ২৫০টি আসনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৯৯ আসন নিয়ে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এখনো ১৫ আসনের ফল প্রকাশ বাকি। পিটিআইয়ের অপর দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে যথাক্রমে ৭১ ও ৫১টি করে আসন। অন্য প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৭টি।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১৩৪টি আসন। কিন্তু কোনো দলেরই এককভাবে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় দেশটিতে হয়তো আবারও একটি ঝুলন্ত জাতীয় পরিষদ দেখা যাবে। অর্থাৎ জোট গঠন করেই সরকার গঠন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে নওয়াজের দল পিএমএল-এন ও পিপিপি জোট করে সরকার গঠন করতে পারে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাব অনুসারে, পিপিপি ও পিএমএল-এনের মোট আসন হয় ১২২টি। অর্থাৎ, সরকার গঠনে এই সম্ভাব্য জোটের প্রয়োজন আরও অন্তত ১২টি আসন। এরই মধ্যে নওয়াজ শরিফ জানিয়েছেন, তাঁর দল বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপির সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনার সুযোগ খুঁজছে।
গতকাল রাতে লাহোরে নিজ বাসভবনের সামনে উল্লসিত সমর্থকদের সামনে দেওয়া এক ভাষণে নওয়াজ শরিফ বলেছেন, ‘আমাদের একসঙ্গে বসতে হবে।’ দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও অন্য দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে নওয়াজ বলেন, ‘এই দেশকে অচলাবস্থা থেকে বের করে নেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পিপিপি ও পিএমএল-এন যদি জোট সরকার গঠন করে, সে ক্ষেত্রে কারাবন্দী ইমরান খানের দলের জন্য তা হবে খুবই হতাশার বিষয়। কারণ, পিএমএল-এনের বা পিপিপির সঙ্গে ইমরান খানের দলের স্বতন্ত্র এমএনএদের জোট বাঁধার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পিপিপির সঙ্গে সামান্য সম্ভাবনা থাকলেও নওয়াজের দলের সঙ্গে একেবারেই নেই।
তবে নওয়াজ ও বিলাওয়ালের জোট বাঁধার সম্ভাবনাই বেশি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল রাতেই বিলাওয়ালের বাবা ও পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করতে লাহোরে গেছেন। ফলে এটা অনুমান করা যেতেই পারে যে নওয়াজের সঙ্গে জোট গঠন করে ছেলেকে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসীন করার চেষ্টা চালাবেন আসিফ।
ইমরান খানের সরকারকে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই পাকিস্তানে জোট সরকার ছিল। সেই জোট সরকারে পরস্পরের সঙ্গী ছিল পিপিপি ও পিএমএল-এন। এবারও যদি এ দুটি দল জোট গঠন করে, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য স্বস্তির হবে।

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা। গতকাল শুক্রবার রাতে দেশটির চার প্রদেশে ও কেন্দ্র সরকার গঠনের জন্য জোট বেঁধে পর্যাপ্তসংখ্যক আসন নিশ্চিত করতে বৈঠক করেন ইমরানবিরোধী নেতারা।
পাকিস্তানের বার্তা সংস্থা ডনের প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল সন্ধ্যায় পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা নওয়াজ শরিফ, তাঁর ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে পিপিপি, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ও অন্য দলকে জোট সরকার গঠনে তাঁর দলের সঙ্গে আহ্বান জানাতে বলেছেন।
এরই মধ্যে, পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভির বাসভবনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আসিফ আলী জারদারি ও তাঁর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন শাহবাজ। পিপিপির একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বৈঠক বড় কোনো ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা নির্বাচনের ফলাফল ও নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
অপর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এ বৈঠক অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ছিল। জারদারি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় লাহোরে অবতরণ করেন আর বিলাওয়াল সেখানে আগে থেকেই ছিলেন। তাঁরা দুজনে গাড়ি চালিয়ে নাকভির বাড়িতে যান। সেখানে শাহবাজ আগে থেকেই তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক হলেও দৃশ্যত এটি ইতিবাচকভাবে শেষ হয়েছে।’
পরে শাহবাজ এমকিউএম-পির আহ্বায়ক ড. খালিদ মকবুল সিদ্দিকীর সঙ্গেও কথা বলেন বলে জানান দলটির সিনিয়র নেতা আমিনুল হক। তিনি বলেন, শরিফ সন্ধ্যায় তাঁদের ফোন করেন এবং উভয়পক্ষই ‘শিগগিরই’ একটি বৈঠকে বসবে। তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার (আজ) আজিজাবাদের জিন্নাহ ময়দানে আমরা আমাদের জয় উদ্যাপন করতে যাচ্ছি। এরপরেই বৈঠক হবে।’
সাধারণ নির্বাচনের আগে এমকিউএম-পি ঘোষণা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতার জন্য তারা নওয়াজ শরিফকে সমর্থন দেবে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ২৫০টি আসনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৯৯ আসন নিয়ে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এখনো ১৫ আসনের ফল প্রকাশ বাকি। পিটিআইয়ের অপর দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে যথাক্রমে ৭১ ও ৫১টি করে আসন। অন্য প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৭টি।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১৩৪টি আসন। কিন্তু কোনো দলেরই এককভাবে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় দেশটিতে হয়তো আবারও একটি ঝুলন্ত জাতীয় পরিষদ দেখা যাবে। অর্থাৎ জোট গঠন করেই সরকার গঠন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে নওয়াজের দল পিএমএল-এন ও পিপিপি জোট করে সরকার গঠন করতে পারে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাব অনুসারে, পিপিপি ও পিএমএল-এনের মোট আসন হয় ১২২টি। অর্থাৎ, সরকার গঠনে এই সম্ভাব্য জোটের প্রয়োজন আরও অন্তত ১২টি আসন। এরই মধ্যে নওয়াজ শরিফ জানিয়েছেন, তাঁর দল বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপির সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনার সুযোগ খুঁজছে।
গতকাল রাতে লাহোরে নিজ বাসভবনের সামনে উল্লসিত সমর্থকদের সামনে দেওয়া এক ভাষণে নওয়াজ শরিফ বলেছেন, ‘আমাদের একসঙ্গে বসতে হবে।’ দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও অন্য দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে নওয়াজ বলেন, ‘এই দেশকে অচলাবস্থা থেকে বের করে নেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পিপিপি ও পিএমএল-এন যদি জোট সরকার গঠন করে, সে ক্ষেত্রে কারাবন্দী ইমরান খানের দলের জন্য তা হবে খুবই হতাশার বিষয়। কারণ, পিএমএল-এনের বা পিপিপির সঙ্গে ইমরান খানের দলের স্বতন্ত্র এমএনএদের জোট বাঁধার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পিপিপির সঙ্গে সামান্য সম্ভাবনা থাকলেও নওয়াজের দলের সঙ্গে একেবারেই নেই।
তবে নওয়াজ ও বিলাওয়ালের জোট বাঁধার সম্ভাবনাই বেশি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল রাতেই বিলাওয়ালের বাবা ও পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করতে লাহোরে গেছেন। ফলে এটা অনুমান করা যেতেই পারে যে নওয়াজের সঙ্গে জোট গঠন করে ছেলেকে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসীন করার চেষ্টা চালাবেন আসিফ।
ইমরান খানের সরকারকে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই পাকিস্তানে জোট সরকার ছিল। সেই জোট সরকারে পরস্পরের সঙ্গী ছিল পিপিপি ও পিএমএল-এন। এবারও যদি এ দুটি দল জোট গঠন করে, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য স্বস্তির হবে।

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা। গতকাল শুক্রবার রাতে দেশটির চার প্রদেশে ও কেন্দ্র সরকার গঠনের জন্য জোট বেঁধে পর্যাপ্তসংখ্যক আসন নিশ্চিত করতে বৈঠক করেন ইমরানবিরোধী নেতারা।
পাকিস্তানের বার্তা সংস্থা ডনের প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল সন্ধ্যায় পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা নওয়াজ শরিফ, তাঁর ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে পিপিপি, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ও অন্য দলকে জোট সরকার গঠনে তাঁর দলের সঙ্গে আহ্বান জানাতে বলেছেন।
এরই মধ্যে, পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভির বাসভবনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আসিফ আলী জারদারি ও তাঁর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন শাহবাজ। পিপিপির একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বৈঠক বড় কোনো ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা নির্বাচনের ফলাফল ও নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
অপর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এ বৈঠক অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ছিল। জারদারি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় লাহোরে অবতরণ করেন আর বিলাওয়াল সেখানে আগে থেকেই ছিলেন। তাঁরা দুজনে গাড়ি চালিয়ে নাকভির বাড়িতে যান। সেখানে শাহবাজ আগে থেকেই তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক হলেও দৃশ্যত এটি ইতিবাচকভাবে শেষ হয়েছে।’
পরে শাহবাজ এমকিউএম-পির আহ্বায়ক ড. খালিদ মকবুল সিদ্দিকীর সঙ্গেও কথা বলেন বলে জানান দলটির সিনিয়র নেতা আমিনুল হক। তিনি বলেন, শরিফ সন্ধ্যায় তাঁদের ফোন করেন এবং উভয়পক্ষই ‘শিগগিরই’ একটি বৈঠকে বসবে। তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার (আজ) আজিজাবাদের জিন্নাহ ময়দানে আমরা আমাদের জয় উদ্যাপন করতে যাচ্ছি। এরপরেই বৈঠক হবে।’
সাধারণ নির্বাচনের আগে এমকিউএম-পি ঘোষণা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতার জন্য তারা নওয়াজ শরিফকে সমর্থন দেবে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ২৫০টি আসনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৯৯ আসন নিয়ে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এখনো ১৫ আসনের ফল প্রকাশ বাকি। পিটিআইয়ের অপর দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে যথাক্রমে ৭১ ও ৫১টি করে আসন। অন্য প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৭টি।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১৩৪টি আসন। কিন্তু কোনো দলেরই এককভাবে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় দেশটিতে হয়তো আবারও একটি ঝুলন্ত জাতীয় পরিষদ দেখা যাবে। অর্থাৎ জোট গঠন করেই সরকার গঠন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে নওয়াজের দল পিএমএল-এন ও পিপিপি জোট করে সরকার গঠন করতে পারে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাব অনুসারে, পিপিপি ও পিএমএল-এনের মোট আসন হয় ১২২টি। অর্থাৎ, সরকার গঠনে এই সম্ভাব্য জোটের প্রয়োজন আরও অন্তত ১২টি আসন। এরই মধ্যে নওয়াজ শরিফ জানিয়েছেন, তাঁর দল বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপির সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনার সুযোগ খুঁজছে।
গতকাল রাতে লাহোরে নিজ বাসভবনের সামনে উল্লসিত সমর্থকদের সামনে দেওয়া এক ভাষণে নওয়াজ শরিফ বলেছেন, ‘আমাদের একসঙ্গে বসতে হবে।’ দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও অন্য দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে নওয়াজ বলেন, ‘এই দেশকে অচলাবস্থা থেকে বের করে নেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পিপিপি ও পিএমএল-এন যদি জোট সরকার গঠন করে, সে ক্ষেত্রে কারাবন্দী ইমরান খানের দলের জন্য তা হবে খুবই হতাশার বিষয়। কারণ, পিএমএল-এনের বা পিপিপির সঙ্গে ইমরান খানের দলের স্বতন্ত্র এমএনএদের জোট বাঁধার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পিপিপির সঙ্গে সামান্য সম্ভাবনা থাকলেও নওয়াজের দলের সঙ্গে একেবারেই নেই।
তবে নওয়াজ ও বিলাওয়ালের জোট বাঁধার সম্ভাবনাই বেশি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল রাতেই বিলাওয়ালের বাবা ও পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করতে লাহোরে গেছেন। ফলে এটা অনুমান করা যেতেই পারে যে নওয়াজের সঙ্গে জোট গঠন করে ছেলেকে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসীন করার চেষ্টা চালাবেন আসিফ।
ইমরান খানের সরকারকে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই পাকিস্তানে জোট সরকার ছিল। সেই জোট সরকারে পরস্পরের সঙ্গী ছিল পিপিপি ও পিএমএল-এন। এবারও যদি এ দুটি দল জোট গঠন করে, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য স্বস্তির হবে।

সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি হানুক্কা উৎসব চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণে এক হামলাকারীসহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পিতা-পুত্র কোন দেশ থেকে অভিবাসী হয়েছিলেন, তা এখনো গোপন রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছিলেন।
সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।
ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
সরকারি অনুষ্ঠানে নারী চিকিৎসকের মুখ থেকে নিকাব টেনে খোলার ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছে বিরোধী দলগুলো।
এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করে কংগ্রেস তাঁর পদত্যাগের দাবি করেছে।
হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নীতীশের কড়া সমালোচনা করে বিরোধী দল আরজেডি এক বিবৃতিতে বলেছে, পর্দা করা মুসলিম নারীর নিকাব খুলে ফেলে জেডিও এবং বিজেপি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে কী রাজনীতি করছে, সেটি প্রকাশ করে দিয়েছে।
আরজেডি তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লিখেছে, ‘নীতীশজির কী হয়েছে? তাঁর মানসিক অবস্থা এখন করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছিলেন।
সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।
ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
সরকারি অনুষ্ঠানে নারী চিকিৎসকের মুখ থেকে নিকাব টেনে খোলার ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছে বিরোধী দলগুলো।
এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করে কংগ্রেস তাঁর পদত্যাগের দাবি করেছে।
হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নীতীশের কড়া সমালোচনা করে বিরোধী দল আরজেডি এক বিবৃতিতে বলেছে, পর্দা করা মুসলিম নারীর নিকাব খুলে ফেলে জেডিও এবং বিজেপি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে কী রাজনীতি করছে, সেটি প্রকাশ করে দিয়েছে।
আরজেডি তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লিখেছে, ‘নীতীশজির কী হয়েছে? তাঁর মানসিক অবস্থা এখন করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই সরকার গঠনের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা। গতকাল শুক্রবার রাতে দেশটির চার প্রদেশে ও কেন্দ্র সরকার গঠনের জন্য জোট বেঁধে পর্যাপ্তসংখ্যক আসন নিশ্চিত করতে বৈঠক করেন ইমরানবিরোধী নেতারা।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি হানুক্কা উৎসব চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণে এক হামলাকারীসহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পিতা-পুত্র কোন দেশ থেকে অভিবাসী হয়েছিলেন, তা এখনো গোপন রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করে নিহত হয়েছেন এমন এক দম্পতির পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে। একটি ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, বন্দুকধারীর সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে জড়িয়েছেন ৬৯ বছরের বরিস গুরম্যান এবং তাঁর স্ত্রী ৬১ বছরের সোফিয়া গুরম্যান। হামলার শুরুর দিকেই তাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে প্রাণ হারান।
গত ১৪ ডিসেম্বর বন্ডাই বিচের ওই হামলায় এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বরিস ও সোফিয়া গুরম্যানও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে তাঁদের পরিবার। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রিয় বরিস ও সোফিয়াকে হঠাৎ এবং অর্থহীনভাবে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত।’

জানা গেছে, বরিস ও সোফিয়া গুরম্যান ৩৪ বছর ধরে দাম্পত্য জীবনে ছিলেন এবং জানুয়ারিতেই তাঁরা ৩৫ তম বিবাহবার্ষিকী উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। একই সঙ্গে চলতি ডিসেম্বরেই সোফিয়ার ৬২ তম জন্মদিন পালনের কথা ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, ক্যাম্পবেল প্যারেডে নিজের গাড়ি থেকে নেমে বন্দুকধারী সাজিদ আকরামের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বরিস। বেগুনি রঙের শার্ট পরা বরিস বন্দুকধারীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর সহযোগিতায় ধস্তাধস্তিতে এসে যোগ দেন স্ত্রী সোফিয়াও। ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃতভাবে স্থানীয় এক বাসিন্দার গাড়ির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের এমন বীরত্ব কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’
পরবর্তী সময়ে ড্রোনে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ফুটপাথে পাশাপাশি নিথর হয়ে পড়ে আছেন বরিস ও সোফিয়া। পরিবার জানিয়েছে, বরিস ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেকানিক। তিনি উদার, নীরব শক্তির প্রতীক এবং প্রয়োজনে সবার পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ। সোফিয়া কাজ করতেন অস্ট্রেলিয়া পোস্টে—সহকর্মী ও স্থানীয় কমিউনিটিতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়।
পরিবার তাঁদের সাহসিকতার কথাও তুলে ধরে বলেছে, ‘আমরা ফুটেজে দেখেছি, সোফিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বরিস অন্যদের রক্ষা করতে হামলাকারীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এই আত্মত্যাগই তাঁদের প্রকৃত পরিচয়।’
এদিকে হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে যাওয়া আহমেদ আল-আহমেদের সাহসের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সময় হামলাকারী সাজিদ আকরামকে শেষ পর্যন্ত গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। অপর হামলাকারী তাঁরই ছেলে নাভিদ আকরাম। গুরুতর আহত অবস্থায় নাভিদ এখন পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করে নিহত হয়েছেন এমন এক দম্পতির পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে। একটি ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, বন্দুকধারীর সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে জড়িয়েছেন ৬৯ বছরের বরিস গুরম্যান এবং তাঁর স্ত্রী ৬১ বছরের সোফিয়া গুরম্যান। হামলার শুরুর দিকেই তাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে প্রাণ হারান।
গত ১৪ ডিসেম্বর বন্ডাই বিচের ওই হামলায় এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বরিস ও সোফিয়া গুরম্যানও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে তাঁদের পরিবার। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রিয় বরিস ও সোফিয়াকে হঠাৎ এবং অর্থহীনভাবে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত।’

জানা গেছে, বরিস ও সোফিয়া গুরম্যান ৩৪ বছর ধরে দাম্পত্য জীবনে ছিলেন এবং জানুয়ারিতেই তাঁরা ৩৫ তম বিবাহবার্ষিকী উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। একই সঙ্গে চলতি ডিসেম্বরেই সোফিয়ার ৬২ তম জন্মদিন পালনের কথা ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, ক্যাম্পবেল প্যারেডে নিজের গাড়ি থেকে নেমে বন্দুকধারী সাজিদ আকরামের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বরিস। বেগুনি রঙের শার্ট পরা বরিস বন্দুকধারীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর সহযোগিতায় ধস্তাধস্তিতে এসে যোগ দেন স্ত্রী সোফিয়াও। ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃতভাবে স্থানীয় এক বাসিন্দার গাড়ির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের এমন বীরত্ব কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’
পরবর্তী সময়ে ড্রোনে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ফুটপাথে পাশাপাশি নিথর হয়ে পড়ে আছেন বরিস ও সোফিয়া। পরিবার জানিয়েছে, বরিস ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেকানিক। তিনি উদার, নীরব শক্তির প্রতীক এবং প্রয়োজনে সবার পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ। সোফিয়া কাজ করতেন অস্ট্রেলিয়া পোস্টে—সহকর্মী ও স্থানীয় কমিউনিটিতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়।
পরিবার তাঁদের সাহসিকতার কথাও তুলে ধরে বলেছে, ‘আমরা ফুটেজে দেখেছি, সোফিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বরিস অন্যদের রক্ষা করতে হামলাকারীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এই আত্মত্যাগই তাঁদের প্রকৃত পরিচয়।’
এদিকে হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে যাওয়া আহমেদ আল-আহমেদের সাহসের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সময় হামলাকারী সাজিদ আকরামকে শেষ পর্যন্ত গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। অপর হামলাকারী তাঁরই ছেলে নাভিদ আকরাম। গুরুতর আহত অবস্থায় নাভিদ এখন পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে রয়েছে।

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই সরকার গঠনের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা। গতকাল শুক্রবার রাতে দেশটির চার প্রদেশে ও কেন্দ্র সরকার গঠনের জন্য জোট বেঁধে পর্যাপ্তসংখ্যক আসন নিশ্চিত করতে বৈঠক করেন ইমরানবিরোধী নেতারা।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি হানুক্কা উৎসব চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণে এক হামলাকারীসহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পিতা-পুত্র কোন দেশ থেকে অভিবাসী হয়েছিলেন, তা এখনো গোপন রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বাবলি কৌড়ের মেয়ে জ্যোতি জানান, গ্রিন কার্ড আবেদন-সংক্রান্ত বায়োমেট্রিক স্ক্যানের জন্য ১ ডিসেম্বর বাবলি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়ে গেলে সেখানে ফেডারেল এজেন্টরা তাঁকে আটক করেন।
লং বিচ ওয়াচডগ জানিয়েছে, কৌড়ের আরেক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তাঁর স্বামী গ্রিন কার্ডধারী। তাঁরা মায়ের পক্ষে গ্রিন কার্ড পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যা এরই মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।
জ্যোতি জানান, আইসিই কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেস্কে অপেক্ষার সময় কয়েকজন ফেডারেল এজেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর কৌড়কে একটি কক্ষে ডাকা হয়, যেখানে তাঁকে জানানো হয় যে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও তাঁকে আইনজীবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তবু তাঁকে আটক রাখা হয়।
পরিবারের সদস্যদের কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত জানানো হয়নি কৌড়কে কোথায় নেওয়া হয়েছে। পরে জানা যায়, তাঁকে রাতারাতি অ্যাডেলান্টোয় স্থানান্তর করা হয়েছে, যা আগে একটি ফেডারেল কারাগার ছিল এবং বর্তমানে আইসিই ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
দীর্ঘদিনের বসবাস ও পারিবারিক পরিচয়
পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর কৌড় প্রথমে লাগুনা বিচে বসবাস শুরু করেন। পরে কাজের প্রয়োজনে তাঁরা লং বিচের বেলমন্ট শোর এলাকায় চলে যান। কৌড় ও তাঁর স্বামীর তিন সন্তান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী জ্যোতি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) কর্মসূচির আওতায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং বড় ছেলে ও মেয়ে দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কৌড় ও তাঁর স্বামী দুই দশকের বেশি সময় বেলমন্ট শোরের সেকেন্ড স্ট্রিটে ‘নাটরাজ কুইজিন অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড নেপাল’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালান। রেস্তোরাঁটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া তিনি প্রায় ২৫ বছর বেলমন্ট শোর রাইট এইড ফার্মেসিতে কাজ করেছেন। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার রেস্তোরাঁয় কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মুক্তির দাবি
লং বিচের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রবার্ট গার্সিয়া বাবলি কৌড়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কার্যালয় জানায়, বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। কৌড়ের পরিবার আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিনে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত আবেদন প্রস্তুত করছে।
পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, অ্যাডেলান্টো ডিটেনশন সেন্টারে কৌড়কে বড় ডরমিটরি ধরনের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে, যেখানে আরও বহু বন্দী রয়েছেন। সারা রাত আলো জ্বালানো থাকে এবং উচ্চশব্দের কারণে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, কৌড়ের সঙ্গে স্বল্প সময়ের সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও এর জন্য পুরো দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।
মেয়ে জ্যোতি বলেন, ‘এটা এক দুঃস্বপ্ন। আমরা তাঁকে বের করে আনার জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করছি। তিনি এখানে থাকার মতো কেউ নন। এটা ভীষণ অমানবিক।’

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বাবলি কৌড়ের মেয়ে জ্যোতি জানান, গ্রিন কার্ড আবেদন-সংক্রান্ত বায়োমেট্রিক স্ক্যানের জন্য ১ ডিসেম্বর বাবলি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়ে গেলে সেখানে ফেডারেল এজেন্টরা তাঁকে আটক করেন।
লং বিচ ওয়াচডগ জানিয়েছে, কৌড়ের আরেক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তাঁর স্বামী গ্রিন কার্ডধারী। তাঁরা মায়ের পক্ষে গ্রিন কার্ড পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যা এরই মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।
জ্যোতি জানান, আইসিই কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেস্কে অপেক্ষার সময় কয়েকজন ফেডারেল এজেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর কৌড়কে একটি কক্ষে ডাকা হয়, যেখানে তাঁকে জানানো হয় যে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও তাঁকে আইনজীবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তবু তাঁকে আটক রাখা হয়।
পরিবারের সদস্যদের কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত জানানো হয়নি কৌড়কে কোথায় নেওয়া হয়েছে। পরে জানা যায়, তাঁকে রাতারাতি অ্যাডেলান্টোয় স্থানান্তর করা হয়েছে, যা আগে একটি ফেডারেল কারাগার ছিল এবং বর্তমানে আইসিই ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
দীর্ঘদিনের বসবাস ও পারিবারিক পরিচয়
পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর কৌড় প্রথমে লাগুনা বিচে বসবাস শুরু করেন। পরে কাজের প্রয়োজনে তাঁরা লং বিচের বেলমন্ট শোর এলাকায় চলে যান। কৌড় ও তাঁর স্বামীর তিন সন্তান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী জ্যোতি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) কর্মসূচির আওতায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং বড় ছেলে ও মেয়ে দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কৌড় ও তাঁর স্বামী দুই দশকের বেশি সময় বেলমন্ট শোরের সেকেন্ড স্ট্রিটে ‘নাটরাজ কুইজিন অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড নেপাল’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালান। রেস্তোরাঁটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া তিনি প্রায় ২৫ বছর বেলমন্ট শোর রাইট এইড ফার্মেসিতে কাজ করেছেন। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার রেস্তোরাঁয় কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মুক্তির দাবি
লং বিচের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রবার্ট গার্সিয়া বাবলি কৌড়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কার্যালয় জানায়, বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। কৌড়ের পরিবার আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিনে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত আবেদন প্রস্তুত করছে।
পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, অ্যাডেলান্টো ডিটেনশন সেন্টারে কৌড়কে বড় ডরমিটরি ধরনের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে, যেখানে আরও বহু বন্দী রয়েছেন। সারা রাত আলো জ্বালানো থাকে এবং উচ্চশব্দের কারণে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, কৌড়ের সঙ্গে স্বল্প সময়ের সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও এর জন্য পুরো দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।
মেয়ে জ্যোতি বলেন, ‘এটা এক দুঃস্বপ্ন। আমরা তাঁকে বের করে আনার জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করছি। তিনি এখানে থাকার মতো কেউ নন। এটা ভীষণ অমানবিক।’

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই সরকার গঠনের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা। গতকাল শুক্রবার রাতে দেশটির চার প্রদেশে ও কেন্দ্র সরকার গঠনের জন্য জোট বেঁধে পর্যাপ্তসংখ্যক আসন নিশ্চিত করতে বৈঠক করেন ইমরানবিরোধী নেতারা।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি হানুক্কা উৎসব চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণে এক হামলাকারীসহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পিতা-পুত্র কোন দেশ থেকে অভিবাসী হয়েছিলেন, তা এখনো গোপন রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি হানুক্কা উৎসব চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণে এক হামলাকারীসহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পিতা-পুত্র কোন দেশ থেকে অভিবাসী হয়েছিলেন, তা এখনো গোপন রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ। তবে নামের কারণে শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সন্দেহ করেন—তাঁরা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। অবশেষে আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারতের তেলেঙ্গানা পুলিশের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, হামলাকারী সাজিদ আকরাম ও তাঁর পুত্র নাভিদ আকরাম আসলে ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা!
হামলার সময় ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ৫০ বছর বয়সী সাজিদ আকরাম। আর তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ আকরাম গুরুতর আহত অবস্থায় এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তেলেঙ্গানার পুলিশ মহাপরিচালক জানিয়েছেন, সাজিদ আকরাম হায়দরাবাদের বাসিন্দা ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন। এরপর গত ২৭ বছর ধরে তিনি সেখানেই বসবাস করেছেন। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে তিনি ভারতে থাকা তাঁর পরিবারের সঙ্গে খুব কমই যোগাযোগ রাখতেন। পুলিশ দাবি করেছে, সাজিদের কথিত উগ্রবাদী হওয়ার সঙ্গে ভারতের কোনো আদর্শিক বা সাংগঠনিক সংযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ আরও জানায়, পারিবারিক বিরোধের জেরে বহু বছর আগে হায়দরাবাদের আত্মীয়দের সঙ্গে সাজিদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এমনকি ২০১৭ সালে তাঁর বাবার মৃত্যুর সময়ও তিনি জানাজায় অংশ নেননি। সর্বশেষ তিনি ২০২২ সালে হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন।
সাজিদ আকরাম অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত ভেনেরা গ্রোসোকে বিয়ে করেন। পরিবারটি স্থায়ীভাবে সেখানেই বসবাস করছিল। তবে সাজিদ ভারতীয় পাসপোর্টই বহাল রেখেছিলেন। আর তাঁর ছেলে-মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়ায় তাঁরা অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট বহন করেন।
বন্ডাই বিচে হামলার ঘটনাটিকে ‘ইসলামিক স্টেট অনুপ্রাণিত সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট। তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বয়স বা শারীরিক সক্ষমতার তোয়াক্কা না করে শুধু মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে আগ্রহী ছিলেন।
এদিকে হামলার এক মাস আগে সাজিদ ও তাঁর ছেলে নাভিদ ফিলিপাইনের আইএস-অধ্যুষিত একটি অঞ্চলে ভ্রমণ করেছিলেন বলে জানা গেছে। ফিলিপাইনের অভিবাসন দপ্তর জানিয়েছে, তাঁরা গত ১ নভেম্বর দেশটিতে প্রবেশ করে ২৮ নভেম্বর ফিরে যান। অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ এই সফরের উদ্দেশ্য ও গন্তব্য নিয়ে এখন তদন্ত চালাচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি হানুক্কা উৎসব চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণে এক হামলাকারীসহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পিতা-পুত্র কোন দেশ থেকে অভিবাসী হয়েছিলেন, তা এখনো গোপন রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ। তবে নামের কারণে শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সন্দেহ করেন—তাঁরা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। অবশেষে আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারতের তেলেঙ্গানা পুলিশের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, হামলাকারী সাজিদ আকরাম ও তাঁর পুত্র নাভিদ আকরাম আসলে ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা!
হামলার সময় ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ৫০ বছর বয়সী সাজিদ আকরাম। আর তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ আকরাম গুরুতর আহত অবস্থায় এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তেলেঙ্গানার পুলিশ মহাপরিচালক জানিয়েছেন, সাজিদ আকরাম হায়দরাবাদের বাসিন্দা ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন। এরপর গত ২৭ বছর ধরে তিনি সেখানেই বসবাস করেছেন। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে তিনি ভারতে থাকা তাঁর পরিবারের সঙ্গে খুব কমই যোগাযোগ রাখতেন। পুলিশ দাবি করেছে, সাজিদের কথিত উগ্রবাদী হওয়ার সঙ্গে ভারতের কোনো আদর্শিক বা সাংগঠনিক সংযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ আরও জানায়, পারিবারিক বিরোধের জেরে বহু বছর আগে হায়দরাবাদের আত্মীয়দের সঙ্গে সাজিদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এমনকি ২০১৭ সালে তাঁর বাবার মৃত্যুর সময়ও তিনি জানাজায় অংশ নেননি। সর্বশেষ তিনি ২০২২ সালে হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন।
সাজিদ আকরাম অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত ভেনেরা গ্রোসোকে বিয়ে করেন। পরিবারটি স্থায়ীভাবে সেখানেই বসবাস করছিল। তবে সাজিদ ভারতীয় পাসপোর্টই বহাল রেখেছিলেন। আর তাঁর ছেলে-মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়ায় তাঁরা অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট বহন করেন।
বন্ডাই বিচে হামলার ঘটনাটিকে ‘ইসলামিক স্টেট অনুপ্রাণিত সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট। তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বয়স বা শারীরিক সক্ষমতার তোয়াক্কা না করে শুধু মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে আগ্রহী ছিলেন।
এদিকে হামলার এক মাস আগে সাজিদ ও তাঁর ছেলে নাভিদ ফিলিপাইনের আইএস-অধ্যুষিত একটি অঞ্চলে ভ্রমণ করেছিলেন বলে জানা গেছে। ফিলিপাইনের অভিবাসন দপ্তর জানিয়েছে, তাঁরা গত ১ নভেম্বর দেশটিতে প্রবেশ করে ২৮ নভেম্বর ফিরে যান। অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ এই সফরের উদ্দেশ্য ও গন্তব্য নিয়ে এখন তদন্ত চালাচ্ছে।

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই সরকার গঠনের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা। গতকাল শুক্রবার রাতে দেশটির চার প্রদেশে ও কেন্দ্র সরকার গঠনের জন্য জোট বেঁধে পর্যাপ্তসংখ্যক আসন নিশ্চিত করতে বৈঠক করেন ইমরানবিরোধী নেতারা।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
২ ঘণ্টা আগে