হামিদ মীর, পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

কাবুল থেকে গত রোববার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির এভাবে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁর মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সহকর্মীরা হয়তো চমকে উঠতে পারেন, কিন্তু ইসলামাবাদে কেউ আশ্চর্য হয়নি। কারণ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগেই এমন কিছুর স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। গত বুধবার ইমরান বলেছিলেন, গনি প্রেসিডেন্ট থাকলে তালেবান আলোচনার পথেই হাঁটবে না। যদিও পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনই টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে আফগানিস্তানের মানুষের উদ্দেশে গনি বলেন, ‘আপনাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে পরবর্তী অস্থিতিশীলতা, সহিংসতা এবং স্থানচ্যুতি থেকে জনগণকে রক্ষা করা।’ অথচ এর পরদিন পদত্যাগ না করেই তিনি নীরবে পিঠটান দিলেন দৃশ্যপট থেকে।
ন্যূনতম প্রতিরোধ ছাড়াই হেরাত ও মাজার-ই-শরিফের মতো শহরগুলোর অসহায় পতন দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, ৩১ আগস্টের আগেই তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেবে। অবশ্য দোহা থেকে তালেবান নেতারা আশ্বাস দিচ্ছিলেন, জোর করে তাঁরা কাবুল দখল করবেন না। এমনকি কাবুলে ঢোকার কয়েক ঘণ্টা আগেও তাদের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন দাবি করেন, তাঁদের যোদ্ধারা কাবুলে ঢুকবে না। এর ঘণ্টাখানেক পরেই তালেবানযোদ্ধারা আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্যালেসে বসে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করছিলেন। কাবুল দখলের এই ঘটনাকে জায়েজ করতে এখন তালেবান বলছে, বিশৃঙ্খলা ও লুটতরাজ থেকে শহরটিকে বাঁচাতে তারা সেখানে গেছে।
২০ বছর আগে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তালেবান ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধকে ক্রুসেড (ধর্মযুদ্ধ) হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। ক্রুসেড শব্দটি যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ নিতান্ত সাধারণ অর্থেই উচ্চারণ করে এবং তাতে ধর্মীয় আবেগের তেমন কোনো লেশ থাকে না। তারপরও ওই যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই শব্দটি ব্যবহার করায় নিশ্চিতভাবেই লাভবান হয় তালেবান। তারা মার্কিন প্রতিরোধের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে পেরেছে ধর্মের দোহাই। ২০ বছর আগে বুশ যখন তাঁর ক্রুসেড শুরু করেন, তালেবান তখন কাবুল ছেড়ে পালিয়েছিল। এখন তালেবানযোদ্ধারা বসে আছেন প্রেসিডেন্ট প্যালেসে আর মার্কিন কূটনীতিকেরা পালাচ্ছেন কাবুল থেকে। এই ক্রুসেডে দিন শেষে তাহলে জয় হয়েছে কার?
তালেবানের কাছে কাবুলের পতন নিয়ে কতিপয় পাকিস্তানি মন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অত্যন্ত মজাদার মন্তব্য করেছেন। মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রী ড. শিরিন মাজারি কাবুলের পতনকে ভিয়েতনামের সাইগনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। পরিকল্পনামন্ত্রী আসাদ ওমর লিখেছেন, ‘আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী কেন কোনো প্রতিরোধ ছাড়া এভাবে ভেঙে পড়ল, তা সবাইকে বিস্মিত করেছে। সেনারা মূলত তিনটি কারণে যুদ্ধ করে–হয়তো কোনো উদ্দেশ্যে, নয়তো নেতার জন্য কিংবা টাকার জন্য। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর নগদ অর্থের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। সেহেতু যুদ্ধ করার কোনো কারণই নেই!’
কাবুলের এমন অসহায় আত্মসমর্পণ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক পরাজয় হিসেবে বিবেচিত হলেও এটি পাকিস্তানের জন্য উদ্যাপনের কোনো কারণ হতে পারে না। প্রথমত, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে নাইন-ইলেভেনের পর পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ‘নন-ন্যাটো অ্যালাই’ বা ন্যাটোর বাইরে ‘সামরিক মিত্র’ হিসেবে তকমা দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে ঘাঁটি ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে প্রতিদান হিসেবে কোটি কোটি ডলারও পেয়েছে পাকিস্তান। ইমরান খানের মন্ত্রিসভা পরিপূর্ণ জেনারেল পারভেজ মোশাররফের মন্ত্রিসভার সেই সদস্যদের দিয়ে, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছিলেন।
হামিদ কারজাই ও আশরাফ গনিদের মতো লোকদের সরাসরি ওয়াশিংটন থেকে আফগানিস্তানে বসানো হয়নি। ইসলামাবাদের সাহায্যেই তাঁরা ওই অবস্থানে গেছেন। ২০১৪ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে আশরাফ গানিকে দেওয়া গার্ড অব অনারের কথা আমি ভুলতে পারি না। ২০১৬ সালে মার্কিন থিংকট্যাংকের কাছে আশরাফ গনির সাফাই গেয়ে পাকিস্তানের বর্তমান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুঈদ ইউসুফ যে দীর্ঘ রচনা লিখেছিলেন, সে কথাই-বা কী করে ভুলে যাই? তিনি লিখেছিলেন, আশরাফ গনি প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়তে থাকা একজন বিচক্ষণ নেতা। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পক্ষ থেকে আশরাফ গনিকে দেওয়া আরও এক গার্ড অব অনারের কথাও আমার মনে পড়ছে।
২০২০ সালে পাকিস্তান যখন যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি করার উদ্যোগ নেয়, মূলত তখন থেকেই ইমরান খান ও আশরাফ গনির সম্পর্কে অবনতি ঘটতে থাকে। ওই চুক্তির কারণে কোনো যুদ্ধবিরতি ছাড়াই ৫ হাজার তালেবান বন্দীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন গনি। সেই থেকে পাকিস্তান ও তালেবান নিয়ে আস্থাহীনতায় পড়েন গনি। তিনি পাকিস্তানকে চাপে রাখতে ভারতের ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন। তালেবান অবশ্য গনির চেয়েও চতুর। তারা ভিন্নপথে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালায় এবং দিল্লিকে নিরপেক্ষ রাখতে চেষ্টা করে। পাকিস্তান ছিল গনির বন্ধু কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই বন্ধুত্ব অটুট রইল না। এর মানে এই নয় যে পাকিস্তানের কিছু মন্ত্রীর জন্য গনির পালিয়ে যাওয়ার উদ্যাপনের মতো ঘটনা হতে পারে।
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তালেবানের মাধ্যমে কাবুলকে সামরিক কায়দায় দখলের বিরোধিতা করে ওয়াশিংটন পোস্টে একটি কলাম লেখেন। তিনি লিখেছেন, ‘আফগানিস্তানে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ অভিন্ন। আমরা আলোচনার ভিত্তিতে শান্তি চাই, গৃহযুদ্ধ চাই না। আমাদের প্রয়োজন স্থিতিশীলতা এবং উভয় দেশে মাথাচাড়া দেওয়া সন্ত্রাসবাদের অবসান।’
তালেবান এরই মধ্যে বিভিন্ন জেল থেকে হাজারো বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্য পাকিস্তানি তালেবান নেতা মৌলভি ফকির মুহাম্মদও রয়েছেন, যিনি আল-কায়েদার আয়মান আল জাওয়াহিরির সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে পাকিস্তানে ‘ওয়ান্টেড আসামি’ হিসেবে চিহ্নিত। তাঁর মতো লোকেরা কি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মানসিকতা থেকে সরে আসবেন? নাকি যুক্ত হবেন তেহরিক-ই-তালেবানের নেতা নুর ওয়ালি মেহসুদদের সঙ্গে? যে মেহসুদ সিএনএনে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্যালেসে বসে থাকা তালেবান নেতাদের কাছে আমরা এর জবাব চাই।
গত বছর সই হওয়া দোহা শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন এখন যুক্তরাষ্ট্র ও অংশীজনদের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াল। সামরিক কায়দায় তালেবানের কাবুল দখল করাটা দোহা চুক্তির লঙ্ঘন। আশরাফ গনির পালিয়ে যাওয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। অনেকে এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের পালিয়ে যাওয়া হিসেবেই দেখছেন। ‘সালিসকারীদের বধ্যভূমি’ হিসেবেও আফগানিস্তানের পরিচিতি রয়েছে। তালেবান দাবি করতেই পারে তারা যুক্তরাজ্য ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো মহান সালিসকারীদের পর তারা যুক্তরাষ্ট্রকেও নিজেদের বধ্যভূমিতে বধ করেছে। তবে আফগানিস্তানকে বধ্যভূমি বানিয়ে তালেবান ও তাদের পাকিস্তানি সমর্থকদের আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। এই বধ্যভূমিকে শান্তির স্বর্গে পরিণত করাটাই আসল চ্যালেঞ্জ।

কাবুল থেকে গত রোববার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির এভাবে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁর মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সহকর্মীরা হয়তো চমকে উঠতে পারেন, কিন্তু ইসলামাবাদে কেউ আশ্চর্য হয়নি। কারণ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগেই এমন কিছুর স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। গত বুধবার ইমরান বলেছিলেন, গনি প্রেসিডেন্ট থাকলে তালেবান আলোচনার পথেই হাঁটবে না। যদিও পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনই টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে আফগানিস্তানের মানুষের উদ্দেশে গনি বলেন, ‘আপনাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে পরবর্তী অস্থিতিশীলতা, সহিংসতা এবং স্থানচ্যুতি থেকে জনগণকে রক্ষা করা।’ অথচ এর পরদিন পদত্যাগ না করেই তিনি নীরবে পিঠটান দিলেন দৃশ্যপট থেকে।
ন্যূনতম প্রতিরোধ ছাড়াই হেরাত ও মাজার-ই-শরিফের মতো শহরগুলোর অসহায় পতন দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, ৩১ আগস্টের আগেই তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেবে। অবশ্য দোহা থেকে তালেবান নেতারা আশ্বাস দিচ্ছিলেন, জোর করে তাঁরা কাবুল দখল করবেন না। এমনকি কাবুলে ঢোকার কয়েক ঘণ্টা আগেও তাদের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন দাবি করেন, তাঁদের যোদ্ধারা কাবুলে ঢুকবে না। এর ঘণ্টাখানেক পরেই তালেবানযোদ্ধারা আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্যালেসে বসে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করছিলেন। কাবুল দখলের এই ঘটনাকে জায়েজ করতে এখন তালেবান বলছে, বিশৃঙ্খলা ও লুটতরাজ থেকে শহরটিকে বাঁচাতে তারা সেখানে গেছে।
২০ বছর আগে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তালেবান ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধকে ক্রুসেড (ধর্মযুদ্ধ) হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। ক্রুসেড শব্দটি যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ নিতান্ত সাধারণ অর্থেই উচ্চারণ করে এবং তাতে ধর্মীয় আবেগের তেমন কোনো লেশ থাকে না। তারপরও ওই যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই শব্দটি ব্যবহার করায় নিশ্চিতভাবেই লাভবান হয় তালেবান। তারা মার্কিন প্রতিরোধের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে পেরেছে ধর্মের দোহাই। ২০ বছর আগে বুশ যখন তাঁর ক্রুসেড শুরু করেন, তালেবান তখন কাবুল ছেড়ে পালিয়েছিল। এখন তালেবানযোদ্ধারা বসে আছেন প্রেসিডেন্ট প্যালেসে আর মার্কিন কূটনীতিকেরা পালাচ্ছেন কাবুল থেকে। এই ক্রুসেডে দিন শেষে তাহলে জয় হয়েছে কার?
তালেবানের কাছে কাবুলের পতন নিয়ে কতিপয় পাকিস্তানি মন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অত্যন্ত মজাদার মন্তব্য করেছেন। মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রী ড. শিরিন মাজারি কাবুলের পতনকে ভিয়েতনামের সাইগনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। পরিকল্পনামন্ত্রী আসাদ ওমর লিখেছেন, ‘আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী কেন কোনো প্রতিরোধ ছাড়া এভাবে ভেঙে পড়ল, তা সবাইকে বিস্মিত করেছে। সেনারা মূলত তিনটি কারণে যুদ্ধ করে–হয়তো কোনো উদ্দেশ্যে, নয়তো নেতার জন্য কিংবা টাকার জন্য। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর নগদ অর্থের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। সেহেতু যুদ্ধ করার কোনো কারণই নেই!’
কাবুলের এমন অসহায় আত্মসমর্পণ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক পরাজয় হিসেবে বিবেচিত হলেও এটি পাকিস্তানের জন্য উদ্যাপনের কোনো কারণ হতে পারে না। প্রথমত, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে নাইন-ইলেভেনের পর পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ‘নন-ন্যাটো অ্যালাই’ বা ন্যাটোর বাইরে ‘সামরিক মিত্র’ হিসেবে তকমা দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে ঘাঁটি ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে প্রতিদান হিসেবে কোটি কোটি ডলারও পেয়েছে পাকিস্তান। ইমরান খানের মন্ত্রিসভা পরিপূর্ণ জেনারেল পারভেজ মোশাররফের মন্ত্রিসভার সেই সদস্যদের দিয়ে, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছিলেন।
হামিদ কারজাই ও আশরাফ গনিদের মতো লোকদের সরাসরি ওয়াশিংটন থেকে আফগানিস্তানে বসানো হয়নি। ইসলামাবাদের সাহায্যেই তাঁরা ওই অবস্থানে গেছেন। ২০১৪ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে আশরাফ গানিকে দেওয়া গার্ড অব অনারের কথা আমি ভুলতে পারি না। ২০১৬ সালে মার্কিন থিংকট্যাংকের কাছে আশরাফ গনির সাফাই গেয়ে পাকিস্তানের বর্তমান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুঈদ ইউসুফ যে দীর্ঘ রচনা লিখেছিলেন, সে কথাই-বা কী করে ভুলে যাই? তিনি লিখেছিলেন, আশরাফ গনি প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়তে থাকা একজন বিচক্ষণ নেতা। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পক্ষ থেকে আশরাফ গনিকে দেওয়া আরও এক গার্ড অব অনারের কথাও আমার মনে পড়ছে।
২০২০ সালে পাকিস্তান যখন যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি করার উদ্যোগ নেয়, মূলত তখন থেকেই ইমরান খান ও আশরাফ গনির সম্পর্কে অবনতি ঘটতে থাকে। ওই চুক্তির কারণে কোনো যুদ্ধবিরতি ছাড়াই ৫ হাজার তালেবান বন্দীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন গনি। সেই থেকে পাকিস্তান ও তালেবান নিয়ে আস্থাহীনতায় পড়েন গনি। তিনি পাকিস্তানকে চাপে রাখতে ভারতের ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন। তালেবান অবশ্য গনির চেয়েও চতুর। তারা ভিন্নপথে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালায় এবং দিল্লিকে নিরপেক্ষ রাখতে চেষ্টা করে। পাকিস্তান ছিল গনির বন্ধু কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই বন্ধুত্ব অটুট রইল না। এর মানে এই নয় যে পাকিস্তানের কিছু মন্ত্রীর জন্য গনির পালিয়ে যাওয়ার উদ্যাপনের মতো ঘটনা হতে পারে।
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তালেবানের মাধ্যমে কাবুলকে সামরিক কায়দায় দখলের বিরোধিতা করে ওয়াশিংটন পোস্টে একটি কলাম লেখেন। তিনি লিখেছেন, ‘আফগানিস্তানে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ অভিন্ন। আমরা আলোচনার ভিত্তিতে শান্তি চাই, গৃহযুদ্ধ চাই না। আমাদের প্রয়োজন স্থিতিশীলতা এবং উভয় দেশে মাথাচাড়া দেওয়া সন্ত্রাসবাদের অবসান।’
তালেবান এরই মধ্যে বিভিন্ন জেল থেকে হাজারো বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্য পাকিস্তানি তালেবান নেতা মৌলভি ফকির মুহাম্মদও রয়েছেন, যিনি আল-কায়েদার আয়মান আল জাওয়াহিরির সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে পাকিস্তানে ‘ওয়ান্টেড আসামি’ হিসেবে চিহ্নিত। তাঁর মতো লোকেরা কি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মানসিকতা থেকে সরে আসবেন? নাকি যুক্ত হবেন তেহরিক-ই-তালেবানের নেতা নুর ওয়ালি মেহসুদদের সঙ্গে? যে মেহসুদ সিএনএনে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্যালেসে বসে থাকা তালেবান নেতাদের কাছে আমরা এর জবাব চাই।
গত বছর সই হওয়া দোহা শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন এখন যুক্তরাষ্ট্র ও অংশীজনদের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াল। সামরিক কায়দায় তালেবানের কাবুল দখল করাটা দোহা চুক্তির লঙ্ঘন। আশরাফ গনির পালিয়ে যাওয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। অনেকে এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের পালিয়ে যাওয়া হিসেবেই দেখছেন। ‘সালিসকারীদের বধ্যভূমি’ হিসেবেও আফগানিস্তানের পরিচিতি রয়েছে। তালেবান দাবি করতেই পারে তারা যুক্তরাজ্য ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো মহান সালিসকারীদের পর তারা যুক্তরাষ্ট্রকেও নিজেদের বধ্যভূমিতে বধ করেছে। তবে আফগানিস্তানকে বধ্যভূমি বানিয়ে তালেবান ও তাদের পাকিস্তানি সমর্থকদের আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। এই বধ্যভূমিকে শান্তির স্বর্গে পরিণত করাটাই আসল চ্যালেঞ্জ।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৭ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

কাবুল থেকে গত রোববার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির এভাবে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁর মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সহকর্মীরা হয়তো চমকে উঠতে পারেন, কিন্তু ইসলামাবাদে কেউ আশ্চর্য হয়নি। কারণ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগেই এমন কিছুর স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন
১৭ আগস্ট ২০২১
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

কাবুল থেকে গত রোববার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির এভাবে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁর মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সহকর্মীরা হয়তো চমকে উঠতে পারেন, কিন্তু ইসলামাবাদে কেউ আশ্চর্য হয়নি। কারণ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগেই এমন কিছুর স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন
১৭ আগস্ট ২০২১
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৭ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

কাবুল থেকে গত রোববার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির এভাবে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁর মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সহকর্মীরা হয়তো চমকে উঠতে পারেন, কিন্তু ইসলামাবাদে কেউ আশ্চর্য হয়নি। কারণ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগেই এমন কিছুর স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন
১৭ আগস্ট ২০২১
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৭ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

কাবুল থেকে গত রোববার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির এভাবে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁর মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সহকর্মীরা হয়তো চমকে উঠতে পারেন, কিন্তু ইসলামাবাদে কেউ আশ্চর্য হয়নি। কারণ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগেই এমন কিছুর স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন
১৭ আগস্ট ২০২১
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৭ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে