আজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩ প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান জানিয়েছে, হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ভারতের দাবি, লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী অবকাঠামো। তবে আল-জাজিরা সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পেয়েছে এটি মূলত একটি কমপ্লেক্স। যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক ভবন ও মসজিদ রয়েছে। হামলায় একটি মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত ৬ মে দিবাগত রাতে মুরিদকেতে চালানো এই হামলাটি ছিল ভারতীয় সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিন্দুর’—এর অংশ। ভারত বলছে, এটি ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে চালানো প্রাণঘাতী হামলার প্রতিশোধ। ওই হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হন। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মুরিদকে শহরটি লাহোর থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে। ইসলামাবাদ থেকে চার ঘণ্টার পথ। শহরটির জনসংখ্যা আড়াই লাখের বেশি। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত দাবি করে আসছে, এখানেই লস্কর-ই-তৈয়্যবার (এলইটি) সদর দপ্তর অবস্থিত।
হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ‘সরকারি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কমপ্লেক্স’ নামে পরিচিত একটি বিশাল এলাকা, যেখানে একটি হাসপাতাল, দুটি স্কুল, একটি হোস্টেল ও একটি বড় মাদ্রাসা রয়েছে। ৮০টি আবাসিক ভবনের এই কমপ্লেক্সে সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারসহ প্রায় ৩০০ মানুষ বসবাস করেন। মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তিন হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানান, হামলার পরপরই কমপ্লেক্সের একটি প্রশাসনিক ভবনে তিনজন নিহত হন। তাঁরা সবাই ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহতদের মধ্যে কেউ কেউ সেখানে জরুরি দায়িত্ব পালনের জন্য অবস্থান করছিলেন। এক কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
বুধবার ভারতীয় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি মসজিদও। ঘটনাস্থলে থাকা এক উদ্ধারকারী কর্মকর্তা আল-জাজিরাকে বলেন, হামলার আধঘণ্টার মধ্যেই তিনি সেখানে পৌঁছেছিলেন। প্রশাসনিক ভবনের একটি ঘরের দিকে নির্দেশ করে তিনি বলেন, ‘প্রথম মরদেহ আমিই খুঁজে পেয়েছিলাম।’
সরকারি কর্মকর্তা তৌসিফ হাসান আল-জাজিরাকে বলেন, ‘সেদিন রাতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রথম মুরিদকেতেই আঘাত হানে।’ তিনি জানান, মাঝরাতের কিছুক্ষণ পর তিনি বিকট দুটি শব্দ শোনেন। শব্দ দুটি দুই মিনিটের ব্যবধানে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা এর জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। কী ঘটেছে, আমি ঠিক বুঝতে পেরেছিলাম।’
এই কমপ্লেক্সের মসজিদটির নাম উম্মুল কুরা। এর বিশাল প্রার্থনা কক্ষের ছাদের কিছু অংশ ধসে পড়েছে ভারতীয় হামলায়। ছাদের দুটি বিশাল গর্ত ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার স্থান নির্দেশ করে। তৌসিফ হাসান এবং তাঁর সহকর্মী উসমান জালিস জানান, দুই সপ্তাহ আগে পেহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ মুরিদকে হামলার ঝুঁকির মূল্যায়ন করেছিল। ভারত দীর্ঘদিন ধরে এই শহর ও কমপ্লেক্সটিকে এলইটির সদর দপ্তর বলে দাবি করে আসছে। এই দাবির কারণে হামলার আশঙ্কা ছিল।
উসমান জালিস আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছিল, মুরিদকে হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। এ কারণেই আমরা কমপ্লেক্সের কর্মী ও বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম।’ যারা নিহত হয়েছেন, তারা জরুরি কাজের জন্য থেকে যাওয়া সীমিতসংখ্যক কর্মীর অংশ ছিলেন।
মসজিদের বারান্দার একপাশে একটি বড় টেবিলে ভবনগুলোতে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরাগুলো রাখা ছিল। বিস্ফোরকের গন্ধ এবং ধাতব খণ্ডগুলোতে তখনো তপ্ত ছিল। তৌসিফ হাসান ও উসমান জালিস জোর দিয়ে বলেছেন, মাদ্রাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে কমপ্লেক্সটির প্রতিষ্ঠার ইতিহাস আরও জটিল।
কমপ্লেক্সটি ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন হাফিজ সাঈদ। তিনি জামাত-উদ-দাওয়া (জেইউডি) নামের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানেরও প্রতিষ্ঠাতা। জেইউডি দাতব্য সংস্থা হলেও এটি ব্যাপকভাবে এলইটি-এর ছায়া সংগঠন হিসেবে পরিচিত। কমপ্লেক্সের মাদ্রাসাটির নাম জামিয়া দাওয়া ইসলামি। এই নামটি জেইউডি-র নামে রাখা হয়েছে।
ভারতের অভিযোগ, হাফিজ সাঈদ ও এলইটি ভারতের ভূখণ্ডে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ২০০৮ সালের নভেম্বরের মুম্বাই হামলা। ওই হামলায় কয়েক দিনে ১৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
আবিদ হোসেন নামের ৫১ বছর শিক্ষক এই কমপ্লেক্সেই বসবাস করেন। তিনি জোর গলায় ভারতের দাবি অস্বীকার করেন। ভারত দাবি করেছিল, এটি ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ বা ‘কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সদর দপ্তর।’ তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, ‘এই কমপ্লেক্সটি সব সময়ই ছেলে-মেয়েদের জন্য একটি শিক্ষাকেন্দ্র ছিল। আমি গত ৩০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছি এবং নিজেই এখানে শিক্ষকতা করি।’
ওই শিক্ষক আরও বলেন, এই এলাকা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হতো—এমন অভিযোগও সঠিক নয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের সাঁতার, ঘোড়া চালানো বা শারীরিক প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়ার মতো মাঠ ও সুবিধা যদি থাকে, তবে কেন এর মানে হবে যে এখানে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়?’
২০১৯ সালে পাকিস্তানি সরকার জেইউডি-এর কাছ থেকে এই কমপ্লেক্সটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। সে সময় সাঈদ ও এলইটি-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ছিল। নিষিদ্ধ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অর্থায়ন বন্ধে যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়া দেশগুলোর ‘ধূসর তালিকায়’ (গ্রে লিস্ট) অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ঝুঁকিও ছিল পাকিস্তানের।
মসজিদের পেছনে একটি রাস্তা রয়েছে। সেখানে দুটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। চারদিকে সোলার প্যানেল ও ভাঙা ইট ছড়িয়ে ছিল। হামলার রাতের কথা মনে করে বাসিন্দা আলী জাফর ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর পেছনের নিজের বাড়িটির দিকে নির্দেশ করেন। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দ অন্তত সাত কিলোমিটার দূরে থেকেও শোনা গিয়েছিল।’ তিনি পরিবারের সঙ্গে এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। সেই বাড়ির কাছ থেকেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
জাফর বলেন, ‘কয়েক দিন আগে কর্তৃপক্ষ আমাদের জায়গাটি ছেড়ে দিতে বলেছিল। তাই আমরা কমপ্লেক্সের বাইরে চলে গিয়েছিলাম।’ জাফর আরও বলেন, ‘এটা নিশ্চিত ছিল যে, ভারত এই এলাকায় হামলা চালাবে। কারণ, তাদের মিডিয়া বারবার মুরিদকেকে তুলে ধরছিল।’
তৌসিফ হাসান বলেন, শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ায় মাদ্রাসা ও স্কুল বন্ধ ছিল। তবে পুরো কমপ্লেক্সটি কঠোর সরকারি নজরদারিতে ছিল। তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে সরকার প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসন নিজের হাতে নেওয়ার পর আমরা নিশ্চিত করেছি যে এখানকার পাঠ্যক্রম ও শিক্ষাদান সম্পূর্ণভাবে তদারকি করা হয়।’
শিক্ষক আবিদ হোসেন জানান, সরকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সাঈদ আর কমপ্লেক্সে আসেননি। তিনি বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে ও ২০০০ সালের শুরুর দিকে তিনি নিয়মিত আসতেন।’ সাঈদের বয়স এখন সত্তরের বেশি। ২০১৯ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২২ সালে পাকিস্তানের একটি আদালত দুটি ‘সন্ত্রাসে অর্থায়ন’ মামলায় তাঁকে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই ধরনের অভিযোগে ২০২০ সালে তাঁকে আলাদা ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩ প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান জানিয়েছে, হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ভারতের দাবি, লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী অবকাঠামো। তবে আল-জাজিরা সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পেয়েছে এটি মূলত একটি কমপ্লেক্স। যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক ভবন ও মসজিদ রয়েছে। হামলায় একটি মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত ৬ মে দিবাগত রাতে মুরিদকেতে চালানো এই হামলাটি ছিল ভারতীয় সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিন্দুর’—এর অংশ। ভারত বলছে, এটি ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে চালানো প্রাণঘাতী হামলার প্রতিশোধ। ওই হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হন। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মুরিদকে শহরটি লাহোর থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে। ইসলামাবাদ থেকে চার ঘণ্টার পথ। শহরটির জনসংখ্যা আড়াই লাখের বেশি। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত দাবি করে আসছে, এখানেই লস্কর-ই-তৈয়্যবার (এলইটি) সদর দপ্তর অবস্থিত।
হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ‘সরকারি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কমপ্লেক্স’ নামে পরিচিত একটি বিশাল এলাকা, যেখানে একটি হাসপাতাল, দুটি স্কুল, একটি হোস্টেল ও একটি বড় মাদ্রাসা রয়েছে। ৮০টি আবাসিক ভবনের এই কমপ্লেক্সে সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারসহ প্রায় ৩০০ মানুষ বসবাস করেন। মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তিন হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানান, হামলার পরপরই কমপ্লেক্সের একটি প্রশাসনিক ভবনে তিনজন নিহত হন। তাঁরা সবাই ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহতদের মধ্যে কেউ কেউ সেখানে জরুরি দায়িত্ব পালনের জন্য অবস্থান করছিলেন। এক কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
বুধবার ভারতীয় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি মসজিদও। ঘটনাস্থলে থাকা এক উদ্ধারকারী কর্মকর্তা আল-জাজিরাকে বলেন, হামলার আধঘণ্টার মধ্যেই তিনি সেখানে পৌঁছেছিলেন। প্রশাসনিক ভবনের একটি ঘরের দিকে নির্দেশ করে তিনি বলেন, ‘প্রথম মরদেহ আমিই খুঁজে পেয়েছিলাম।’
সরকারি কর্মকর্তা তৌসিফ হাসান আল-জাজিরাকে বলেন, ‘সেদিন রাতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রথম মুরিদকেতেই আঘাত হানে।’ তিনি জানান, মাঝরাতের কিছুক্ষণ পর তিনি বিকট দুটি শব্দ শোনেন। শব্দ দুটি দুই মিনিটের ব্যবধানে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা এর জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। কী ঘটেছে, আমি ঠিক বুঝতে পেরেছিলাম।’
এই কমপ্লেক্সের মসজিদটির নাম উম্মুল কুরা। এর বিশাল প্রার্থনা কক্ষের ছাদের কিছু অংশ ধসে পড়েছে ভারতীয় হামলায়। ছাদের দুটি বিশাল গর্ত ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার স্থান নির্দেশ করে। তৌসিফ হাসান এবং তাঁর সহকর্মী উসমান জালিস জানান, দুই সপ্তাহ আগে পেহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ মুরিদকে হামলার ঝুঁকির মূল্যায়ন করেছিল। ভারত দীর্ঘদিন ধরে এই শহর ও কমপ্লেক্সটিকে এলইটির সদর দপ্তর বলে দাবি করে আসছে। এই দাবির কারণে হামলার আশঙ্কা ছিল।
উসমান জালিস আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছিল, মুরিদকে হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। এ কারণেই আমরা কমপ্লেক্সের কর্মী ও বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম।’ যারা নিহত হয়েছেন, তারা জরুরি কাজের জন্য থেকে যাওয়া সীমিতসংখ্যক কর্মীর অংশ ছিলেন।
মসজিদের বারান্দার একপাশে একটি বড় টেবিলে ভবনগুলোতে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরাগুলো রাখা ছিল। বিস্ফোরকের গন্ধ এবং ধাতব খণ্ডগুলোতে তখনো তপ্ত ছিল। তৌসিফ হাসান ও উসমান জালিস জোর দিয়ে বলেছেন, মাদ্রাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে কমপ্লেক্সটির প্রতিষ্ঠার ইতিহাস আরও জটিল।
কমপ্লেক্সটি ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন হাফিজ সাঈদ। তিনি জামাত-উদ-দাওয়া (জেইউডি) নামের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানেরও প্রতিষ্ঠাতা। জেইউডি দাতব্য সংস্থা হলেও এটি ব্যাপকভাবে এলইটি-এর ছায়া সংগঠন হিসেবে পরিচিত। কমপ্লেক্সের মাদ্রাসাটির নাম জামিয়া দাওয়া ইসলামি। এই নামটি জেইউডি-র নামে রাখা হয়েছে।
ভারতের অভিযোগ, হাফিজ সাঈদ ও এলইটি ভারতের ভূখণ্ডে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ২০০৮ সালের নভেম্বরের মুম্বাই হামলা। ওই হামলায় কয়েক দিনে ১৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
আবিদ হোসেন নামের ৫১ বছর শিক্ষক এই কমপ্লেক্সেই বসবাস করেন। তিনি জোর গলায় ভারতের দাবি অস্বীকার করেন। ভারত দাবি করেছিল, এটি ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ বা ‘কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সদর দপ্তর।’ তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, ‘এই কমপ্লেক্সটি সব সময়ই ছেলে-মেয়েদের জন্য একটি শিক্ষাকেন্দ্র ছিল। আমি গত ৩০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছি এবং নিজেই এখানে শিক্ষকতা করি।’
ওই শিক্ষক আরও বলেন, এই এলাকা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হতো—এমন অভিযোগও সঠিক নয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের সাঁতার, ঘোড়া চালানো বা শারীরিক প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়ার মতো মাঠ ও সুবিধা যদি থাকে, তবে কেন এর মানে হবে যে এখানে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়?’
২০১৯ সালে পাকিস্তানি সরকার জেইউডি-এর কাছ থেকে এই কমপ্লেক্সটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। সে সময় সাঈদ ও এলইটি-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ছিল। নিষিদ্ধ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অর্থায়ন বন্ধে যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়া দেশগুলোর ‘ধূসর তালিকায়’ (গ্রে লিস্ট) অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ঝুঁকিও ছিল পাকিস্তানের।
মসজিদের পেছনে একটি রাস্তা রয়েছে। সেখানে দুটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। চারদিকে সোলার প্যানেল ও ভাঙা ইট ছড়িয়ে ছিল। হামলার রাতের কথা মনে করে বাসিন্দা আলী জাফর ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর পেছনের নিজের বাড়িটির দিকে নির্দেশ করেন। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দ অন্তত সাত কিলোমিটার দূরে থেকেও শোনা গিয়েছিল।’ তিনি পরিবারের সঙ্গে এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। সেই বাড়ির কাছ থেকেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
জাফর বলেন, ‘কয়েক দিন আগে কর্তৃপক্ষ আমাদের জায়গাটি ছেড়ে দিতে বলেছিল। তাই আমরা কমপ্লেক্সের বাইরে চলে গিয়েছিলাম।’ জাফর আরও বলেন, ‘এটা নিশ্চিত ছিল যে, ভারত এই এলাকায় হামলা চালাবে। কারণ, তাদের মিডিয়া বারবার মুরিদকেকে তুলে ধরছিল।’
তৌসিফ হাসান বলেন, শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ায় মাদ্রাসা ও স্কুল বন্ধ ছিল। তবে পুরো কমপ্লেক্সটি কঠোর সরকারি নজরদারিতে ছিল। তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে সরকার প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসন নিজের হাতে নেওয়ার পর আমরা নিশ্চিত করেছি যে এখানকার পাঠ্যক্রম ও শিক্ষাদান সম্পূর্ণভাবে তদারকি করা হয়।’
শিক্ষক আবিদ হোসেন জানান, সরকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সাঈদ আর কমপ্লেক্সে আসেননি। তিনি বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে ও ২০০০ সালের শুরুর দিকে তিনি নিয়মিত আসতেন।’ সাঈদের বয়স এখন সত্তরের বেশি। ২০১৯ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২২ সালে পাকিস্তানের একটি আদালত দুটি ‘সন্ত্রাসে অর্থায়ন’ মামলায় তাঁকে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই ধরনের অভিযোগে ২০২০ সালে তাঁকে আলাদা ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান দাবি করেছে, হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী অবকাঠামো।
০৯ মে ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান দাবি করেছে, হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী অবকাঠামো।
০৯ মে ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৩ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান দাবি করেছে, হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী অবকাঠামো।
০৯ মে ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান দাবি করেছে, হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী অবকাঠামো।
০৯ মে ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে