
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে। এই যুদ্ধে উভয় দেশেই ২৩ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এই অবস্থায় হামাসের ঘাঁটি বলে পরিচিত গাজায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি এই অভিযানে প্রত্যেক হামাস সদস্যের ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গোষ্ঠীটির সব সদস্যকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে।
ইসরায়েলের সেই ঘোষণার পর দেশটির বিমানবাহিনী গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা চালায়। এসব হামলায় প্রাণহানি ১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে গাজার। এই অবস্থায় গাজায় স্থল অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এখনো বিষয়টি প্রস্তুতি পর্যায়ে রয়েছে। তবে এই স্থল অভিযানে হামাসের প্রত্যেক সদস্যকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
গতকাল বুধবার হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মাঝে জাতীয় সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছায় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধীরা। কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তেজ জাতীয় সরকার গঠনে রাজি হন। পরে সন্ধ্যার দিকে দেওয়া এক ভাষণে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রত্যেক হামাস সদস্যকে মৃত দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রত্যেক হামাস সদস্যই (আমার চোখে) মৃত ব্যক্তি বা ডেড ম্যান।’ সাধারণত পশ্চিমা বিশ্বে প্রাচীন আমলে প্রতিপক্ষকে হত্যা করার হুমকি দিতে এই ডেড ম্যান শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হতো।
গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের সমর্থনে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সিরিয়া থেকে মর্টার হামলার জবাবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সিরিয়ার সীমান্তের ভেতরে কামান ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী সিরিয়া থেকে ছোড়া কামানের গোলা ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে। এর জবাবে সামরিক বাহিনী সিরিয়ার ভূখণ্ড লক্ষ্য করে পাল্টা কামান ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করেছে। সিরিয়ার একটি সূত্র বলেছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর একটি শাখা ইসরায়েলে অন্তত তিনটি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের মাঝে দুই প্রতিবেশী লেবানন ও সিরিয়া থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে এ ধরনের হামলায় পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত শনিবার হামাসের হামলা শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছেন লেবাননের ইসলামি আন্দোলন হিজবুল্লাহর সদস্যরা।
মঙ্গলবার সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় দেশটির সৈন্যদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় হিজবুল্লাহর তিন সদস্য ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক ডেপুটি কমান্ডার নিহত হন। এ ছাড়া হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সংঘাতে আরও দুই বেসামরিকের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে লেবানন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের সৈন্যরা সিরিয়ায় উৎক্ষেপণ উৎস লক্ষ্য করে কামান ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করেছে। তবে এই হামলা-পাল্টা হামলায় কোনো হতাহতের খবর তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে। এই যুদ্ধে উভয় দেশেই ২৩ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এই অবস্থায় হামাসের ঘাঁটি বলে পরিচিত গাজায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি এই অভিযানে প্রত্যেক হামাস সদস্যের ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গোষ্ঠীটির সব সদস্যকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে।
ইসরায়েলের সেই ঘোষণার পর দেশটির বিমানবাহিনী গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা চালায়। এসব হামলায় প্রাণহানি ১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে গাজার। এই অবস্থায় গাজায় স্থল অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এখনো বিষয়টি প্রস্তুতি পর্যায়ে রয়েছে। তবে এই স্থল অভিযানে হামাসের প্রত্যেক সদস্যকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
গতকাল বুধবার হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মাঝে জাতীয় সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছায় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধীরা। কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তেজ জাতীয় সরকার গঠনে রাজি হন। পরে সন্ধ্যার দিকে দেওয়া এক ভাষণে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রত্যেক হামাস সদস্যকে মৃত দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রত্যেক হামাস সদস্যই (আমার চোখে) মৃত ব্যক্তি বা ডেড ম্যান।’ সাধারণত পশ্চিমা বিশ্বে প্রাচীন আমলে প্রতিপক্ষকে হত্যা করার হুমকি দিতে এই ডেড ম্যান শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হতো।
গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের সমর্থনে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সিরিয়া থেকে মর্টার হামলার জবাবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সিরিয়ার সীমান্তের ভেতরে কামান ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী সিরিয়া থেকে ছোড়া কামানের গোলা ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে। এর জবাবে সামরিক বাহিনী সিরিয়ার ভূখণ্ড লক্ষ্য করে পাল্টা কামান ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করেছে। সিরিয়ার একটি সূত্র বলেছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর একটি শাখা ইসরায়েলে অন্তত তিনটি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের মাঝে দুই প্রতিবেশী লেবানন ও সিরিয়া থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে এ ধরনের হামলায় পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত শনিবার হামাসের হামলা শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছেন লেবাননের ইসলামি আন্দোলন হিজবুল্লাহর সদস্যরা।
মঙ্গলবার সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় দেশটির সৈন্যদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় হিজবুল্লাহর তিন সদস্য ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক ডেপুটি কমান্ডার নিহত হন। এ ছাড়া হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সংঘাতে আরও দুই বেসামরিকের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে লেবানন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের সৈন্যরা সিরিয়ায় উৎক্ষেপণ উৎস লক্ষ্য করে কামান ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করেছে। তবে এই হামলা-পাল্টা হামলায় কোনো হতাহতের খবর তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে। এই যুদ্ধে উভয় দেশেই ২৩ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এই অবস্থায় হামাসের ঘাঁটি বলে পরিচিত গাজায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি এই অভিযানে প্রত্যেক হামাস সদস্যের ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গোষ্ঠীটির সব সদস্যকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে।
ইসরায়েলের সেই ঘোষণার পর দেশটির বিমানবাহিনী গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা চালায়। এসব হামলায় প্রাণহানি ১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে গাজার। এই অবস্থায় গাজায় স্থল অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এখনো বিষয়টি প্রস্তুতি পর্যায়ে রয়েছে। তবে এই স্থল অভিযানে হামাসের প্রত্যেক সদস্যকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
গতকাল বুধবার হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মাঝে জাতীয় সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছায় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধীরা। কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তেজ জাতীয় সরকার গঠনে রাজি হন। পরে সন্ধ্যার দিকে দেওয়া এক ভাষণে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রত্যেক হামাস সদস্যকে মৃত দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রত্যেক হামাস সদস্যই (আমার চোখে) মৃত ব্যক্তি বা ডেড ম্যান।’ সাধারণত পশ্চিমা বিশ্বে প্রাচীন আমলে প্রতিপক্ষকে হত্যা করার হুমকি দিতে এই ডেড ম্যান শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হতো।
গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের সমর্থনে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সিরিয়া থেকে মর্টার হামলার জবাবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সিরিয়ার সীমান্তের ভেতরে কামান ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী সিরিয়া থেকে ছোড়া কামানের গোলা ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে। এর জবাবে সামরিক বাহিনী সিরিয়ার ভূখণ্ড লক্ষ্য করে পাল্টা কামান ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করেছে। সিরিয়ার একটি সূত্র বলেছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর একটি শাখা ইসরায়েলে অন্তত তিনটি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের মাঝে দুই প্রতিবেশী লেবানন ও সিরিয়া থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে এ ধরনের হামলায় পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত শনিবার হামাসের হামলা শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছেন লেবাননের ইসলামি আন্দোলন হিজবুল্লাহর সদস্যরা।
মঙ্গলবার সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় দেশটির সৈন্যদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় হিজবুল্লাহর তিন সদস্য ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক ডেপুটি কমান্ডার নিহত হন। এ ছাড়া হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সংঘাতে আরও দুই বেসামরিকের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে লেবানন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের সৈন্যরা সিরিয়ায় উৎক্ষেপণ উৎস লক্ষ্য করে কামান ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করেছে। তবে এই হামলা-পাল্টা হামলায় কোনো হতাহতের খবর তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে। এই যুদ্ধে উভয় দেশেই ২৩ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এই অবস্থায় হামাসের ঘাঁটি বলে পরিচিত গাজায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি এই অভিযানে প্রত্যেক হামাস সদস্যের ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গোষ্ঠীটির সব সদস্যকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে।
ইসরায়েলের সেই ঘোষণার পর দেশটির বিমানবাহিনী গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা চালায়। এসব হামলায় প্রাণহানি ১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে গাজার। এই অবস্থায় গাজায় স্থল অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এখনো বিষয়টি প্রস্তুতি পর্যায়ে রয়েছে। তবে এই স্থল অভিযানে হামাসের প্রত্যেক সদস্যকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
গতকাল বুধবার হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মাঝে জাতীয় সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছায় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধীরা। কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তেজ জাতীয় সরকার গঠনে রাজি হন। পরে সন্ধ্যার দিকে দেওয়া এক ভাষণে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রত্যেক হামাস সদস্যকে মৃত দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রত্যেক হামাস সদস্যই (আমার চোখে) মৃত ব্যক্তি বা ডেড ম্যান।’ সাধারণত পশ্চিমা বিশ্বে প্রাচীন আমলে প্রতিপক্ষকে হত্যা করার হুমকি দিতে এই ডেড ম্যান শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হতো।
গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের সমর্থনে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সিরিয়া থেকে মর্টার হামলার জবাবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সিরিয়ার সীমান্তের ভেতরে কামান ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী সিরিয়া থেকে ছোড়া কামানের গোলা ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে। এর জবাবে সামরিক বাহিনী সিরিয়ার ভূখণ্ড লক্ষ্য করে পাল্টা কামান ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করেছে। সিরিয়ার একটি সূত্র বলেছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর একটি শাখা ইসরায়েলে অন্তত তিনটি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের মাঝে দুই প্রতিবেশী লেবানন ও সিরিয়া থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে এ ধরনের হামলায় পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত শনিবার হামাসের হামলা শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছেন লেবাননের ইসলামি আন্দোলন হিজবুল্লাহর সদস্যরা।
মঙ্গলবার সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় দেশটির সৈন্যদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় হিজবুল্লাহর তিন সদস্য ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক ডেপুটি কমান্ডার নিহত হন। এ ছাড়া হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সংঘাতে আরও দুই বেসামরিকের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে লেবানন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের সৈন্যরা সিরিয়ায় উৎক্ষেপণ উৎস লক্ষ্য করে কামান ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করেছে। তবে এই হামলা-পাল্টা হামলায় কোনো হতাহতের খবর তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৪১ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
২ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মুখে গতকাল বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘোষণা দেয়, যা তাইওয়ানের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের একক বৃহত্তম অস্ত্র বিক্রির চুক্তি।
২ ঘণ্টা আগে
সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও ছিলেন। তাঁরা এই ‘দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা’র কথা তুলে ধরে বলেন, কিছু বিচারক অবসরের আগে ‘ছক্কা হাঁকানোর’ চেষ্টা করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মাঝে জাতীয় সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধীরা। কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তেজ জাতীয় সরকার গঠনে রাজি হন। পরে সন্ধ্যার দিকে দেওয়া এক ভাষণে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রত্যেক হামাস স
১২ অক্টোবর ২০২৩
ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
২ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মুখে গতকাল বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘোষণা দেয়, যা তাইওয়ানের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের একক বৃহত্তম অস্ত্র বিক্রির চুক্তি।
২ ঘণ্টা আগে
সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও ছিলেন। তাঁরা এই ‘দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা’র কথা তুলে ধরে বলেন, কিছু বিচারক অবসরের আগে ‘ছক্কা হাঁকানোর’ চেষ্টা করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
বুধবার রাতে (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হলে ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিকানা বিক্রি করতে বাধ্য হন আব্রামোভিচ। সেই বিক্রি থেকে প্রাপ্ত প্রায় ২.৫ বিলিয়ন পাউন্ড (৩.৩৮ বিলিয়ন ডলার) তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের ভুক্তভোগীদের সহায়তায় ব্যয় করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সেই অর্থ এখনো একটি ব্রিটিশ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা অবস্থায় রয়েছে এবং ব্যবহার নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাজ্য সরকার চায় এই অর্থ শুধু ইউক্রেনের মানবিক সহায়তায় ব্যয় হোক। অন্যদিকে আব্রামোভিচের অবস্থান হলো—এই অর্থ যুদ্ধের সব ভুক্তভোগীর জন্য ব্যবহার করা উচিত, যার মধ্যে রাশিয়ার নাগরিকরাও অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এই মতবিরোধের কারণেই অর্থ ছাড় বিলম্বিত হচ্ছে।
বুধবার পার্লামেন্টে বক্তব্যের সময় বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, ‘আমার বার্তা পরিষ্কার—সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।’ তিনি জানান, সরকার ইতিমধ্যে একটি লাইসেন্স ইস্যু করেছে, যার মাধ্যমে চেলসি বিক্রির অর্থ স্থানান্তরের পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, আব্রামোভিচ যদি তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করেন, তাহলে সরকার আদালতের শরণাপন্ন হবে, যাতে প্রতিটি পয়সা ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছায়।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপারও বিবিসিকে বলেছেন—আব্রামোভিচের উচিত অবিলম্বে তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করা। তিনি জানান, আইনি লড়াই দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করতে পারে, তাই সরকার চাইছে বিষয়টি আদালতের বাইরে দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। তবে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী অর্থটি কেবল ইউক্রেনের মানবিক কাজে ব্যয় করা যাবে এবং কোনোভাবেই আব্রামোভিচ বা অন্য কোনো নিষেধাজ্ঞাভুক্ত ব্যক্তি এতে লাভবান হতে পারবেন না।
রুশ তেল ও গ্যাস খাত থেকে বিপুল সম্পদের মালিক আব্রামোভিচের বিরুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে আসছেন। জানা গেছে, যুক্তরাজ্য সরকার আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তাঁকে প্রায় ৯০ দিনের সময় দিয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ইউক্রেনের বাজেট ও প্রতিরক্ষা চাহিদা মেটাতে জব্দ করা রুশ সম্পদের অর্থ ব্যবহারের প্রস্তাব পর্যালোচনা করবেন।

ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
বুধবার রাতে (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হলে ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিকানা বিক্রি করতে বাধ্য হন আব্রামোভিচ। সেই বিক্রি থেকে প্রাপ্ত প্রায় ২.৫ বিলিয়ন পাউন্ড (৩.৩৮ বিলিয়ন ডলার) তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের ভুক্তভোগীদের সহায়তায় ব্যয় করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সেই অর্থ এখনো একটি ব্রিটিশ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা অবস্থায় রয়েছে এবং ব্যবহার নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাজ্য সরকার চায় এই অর্থ শুধু ইউক্রেনের মানবিক সহায়তায় ব্যয় হোক। অন্যদিকে আব্রামোভিচের অবস্থান হলো—এই অর্থ যুদ্ধের সব ভুক্তভোগীর জন্য ব্যবহার করা উচিত, যার মধ্যে রাশিয়ার নাগরিকরাও অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এই মতবিরোধের কারণেই অর্থ ছাড় বিলম্বিত হচ্ছে।
বুধবার পার্লামেন্টে বক্তব্যের সময় বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, ‘আমার বার্তা পরিষ্কার—সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।’ তিনি জানান, সরকার ইতিমধ্যে একটি লাইসেন্স ইস্যু করেছে, যার মাধ্যমে চেলসি বিক্রির অর্থ স্থানান্তরের পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, আব্রামোভিচ যদি তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করেন, তাহলে সরকার আদালতের শরণাপন্ন হবে, যাতে প্রতিটি পয়সা ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছায়।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপারও বিবিসিকে বলেছেন—আব্রামোভিচের উচিত অবিলম্বে তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করা। তিনি জানান, আইনি লড়াই দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করতে পারে, তাই সরকার চাইছে বিষয়টি আদালতের বাইরে দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। তবে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী অর্থটি কেবল ইউক্রেনের মানবিক কাজে ব্যয় করা যাবে এবং কোনোভাবেই আব্রামোভিচ বা অন্য কোনো নিষেধাজ্ঞাভুক্ত ব্যক্তি এতে লাভবান হতে পারবেন না।
রুশ তেল ও গ্যাস খাত থেকে বিপুল সম্পদের মালিক আব্রামোভিচের বিরুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে আসছেন। জানা গেছে, যুক্তরাজ্য সরকার আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তাঁকে প্রায় ৯০ দিনের সময় দিয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ইউক্রেনের বাজেট ও প্রতিরক্ষা চাহিদা মেটাতে জব্দ করা রুশ সম্পদের অর্থ ব্যবহারের প্রস্তাব পর্যালোচনা করবেন।

হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মাঝে জাতীয় সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধীরা। কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তেজ জাতীয় সরকার গঠনে রাজি হন। পরে সন্ধ্যার দিকে দেওয়া এক ভাষণে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রত্যেক হামাস স
১২ অক্টোবর ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৪১ মিনিট আগে
তাইওয়ানে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মুখে গতকাল বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘোষণা দেয়, যা তাইওয়ানের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের একক বৃহত্তম অস্ত্র বিক্রির চুক্তি।
২ ঘণ্টা আগে
সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও ছিলেন। তাঁরা এই ‘দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা’র কথা তুলে ধরে বলেন, কিছু বিচারক অবসরের আগে ‘ছক্কা হাঁকানোর’ চেষ্টা করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মুখে গতকাল বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘোষণা দেয়, যা তাইওয়ানের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের একক বৃহত্তম অস্ত্র বিক্রির চুক্তি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রির তালিকায় মোট আট ধরনের সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—৮২টি হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম বা হিমার্স; এটি ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ৪২০টি আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম, যা মাঝারি পাল্লার মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ‘অ্যালটিয়াস’ লোটারিং মিউনিশন বা কামিকাজে ড্রোন। অন্যান্য সরঞ্জামের মধ্যে আছে—৬০টি সেলফ-প্রপেলড হাউইজার সিস্টেম, জ্যাভলিন ও টাউ অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল ও হেলিকপ্টারের খুচরা যন্ত্রাংশ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাইওয়ানের আত্মরক্ষার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলা ও অসম যুদ্ধকৌশলের সুবিধা কাজে লাগাতে সহায়তা করছে, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ভিত্তি।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, অস্ত্র প্যাকেজটি মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপন করা হয়েছে। এই পর্যায়ে কংগ্রেস চাইলে চুক্তিটি বাতিল বা সংশোধন করতে পারে। তবে তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তেমন দ্বিমত নেই, বরং সমর্থন রয়েছে।
এই চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলাদা এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানায়, অস্ত্র বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষা করে। পাশাপাশি এটি তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকীকরণ ও ‘প্রতিরক্ষা সক্ষমতা’ বাড়াতে সহায়তা করবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদে তাইওয়ানও তার সামরিক বাহিনীকে ‘অসম যুদ্ধকৌশল’-এর উপযোগী করে গড়ে তুলছে। এর মধ্যে রয়েছে—ছোট, চলনশীল ও তুলনামূলকভাবে কম খরচের অস্ত্র ব্যবহার, যেমন ড্রোন। এগুলো লক্ষ্যভিত্তিক আঘাত হানতে সক্ষম।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র কারেন কুও এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমেই আমরা শান্তি রক্ষা করব। এই অস্ত্র সহায়তা আমাদের অসম যুদ্ধ চালানোর ক্ষমতা ও আত্মরক্ষার সংকল্পকে আরও দৃঢ় করবে।’
গত ২৬ নভেম্বর চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক হুমকির মুখে নিজেদের সুরক্ষায় অতিরিক্ত ৪ হাজার কোটি ডলারের একটি প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষণা করে তাইওয়ান। প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘ইতিহাসে প্রমাণ আছে, আগ্রাসনের মুখে আপস করার চেষ্টা কেবল ‘‘দাসত্ব’’ নিয়ে আসে। তাই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো আপসের সুযোগ নেই। সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মূল মূল্যবোধই আমাদের জাতির ভিত্তি।’
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ‘তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে’। তারা এমন চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন এক বিবৃতিতে বলেন, অস্ত্র দিয়ে তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে ঠেকানোর চেষ্টা কখনোই সফল হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র–তাইওয়ান বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি রুপার্ট হ্যামন্ড চেম্বার্স বলেন, হিমার্সের মতো অস্ত্র ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। এটি তাইওয়ানে চীনের সম্ভাব্য আগ্রাসন ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এই ঘোষণা আসে গত সপ্তাহে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন চিয়া-লুংয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তিনি ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি। তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রই তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী। এ ছাড়া ‘তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার সরঞ্জাম দিতে আইনত বাধ্য। তবে এই অস্ত্র বিক্রি দীর্ঘদিন ধরেই চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে বড় বিতর্কের বিষয়।
চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাত প্রতিরোধ এবং ওই অঞ্চলে ‘সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব’ বজায় রাখতে চায়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তাইওয়ানের কৌশলগত গুরুত্বও তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, তাইওয়ানের অবস্থান উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে দুটি ভিন্ন সামরিক অঞ্চলে ভাগ করে দেয়।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই রেকর্ড পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন বেইজিংকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিল—দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মার্কিন প্রভাব এবং তাইওয়ানের নিরাপত্তা রক্ষায় তারা আপসহীন।

তাইওয়ানে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মুখে গতকাল বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘোষণা দেয়, যা তাইওয়ানের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের একক বৃহত্তম অস্ত্র বিক্রির চুক্তি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রির তালিকায় মোট আট ধরনের সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—৮২টি হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম বা হিমার্স; এটি ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ৪২০টি আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম, যা মাঝারি পাল্লার মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ‘অ্যালটিয়াস’ লোটারিং মিউনিশন বা কামিকাজে ড্রোন। অন্যান্য সরঞ্জামের মধ্যে আছে—৬০টি সেলফ-প্রপেলড হাউইজার সিস্টেম, জ্যাভলিন ও টাউ অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল ও হেলিকপ্টারের খুচরা যন্ত্রাংশ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাইওয়ানের আত্মরক্ষার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলা ও অসম যুদ্ধকৌশলের সুবিধা কাজে লাগাতে সহায়তা করছে, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ভিত্তি।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, অস্ত্র প্যাকেজটি মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপন করা হয়েছে। এই পর্যায়ে কংগ্রেস চাইলে চুক্তিটি বাতিল বা সংশোধন করতে পারে। তবে তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তেমন দ্বিমত নেই, বরং সমর্থন রয়েছে।
এই চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলাদা এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানায়, অস্ত্র বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষা করে। পাশাপাশি এটি তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকীকরণ ও ‘প্রতিরক্ষা সক্ষমতা’ বাড়াতে সহায়তা করবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদে তাইওয়ানও তার সামরিক বাহিনীকে ‘অসম যুদ্ধকৌশল’-এর উপযোগী করে গড়ে তুলছে। এর মধ্যে রয়েছে—ছোট, চলনশীল ও তুলনামূলকভাবে কম খরচের অস্ত্র ব্যবহার, যেমন ড্রোন। এগুলো লক্ষ্যভিত্তিক আঘাত হানতে সক্ষম।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র কারেন কুও এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমেই আমরা শান্তি রক্ষা করব। এই অস্ত্র সহায়তা আমাদের অসম যুদ্ধ চালানোর ক্ষমতা ও আত্মরক্ষার সংকল্পকে আরও দৃঢ় করবে।’
গত ২৬ নভেম্বর চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক হুমকির মুখে নিজেদের সুরক্ষায় অতিরিক্ত ৪ হাজার কোটি ডলারের একটি প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষণা করে তাইওয়ান। প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘ইতিহাসে প্রমাণ আছে, আগ্রাসনের মুখে আপস করার চেষ্টা কেবল ‘‘দাসত্ব’’ নিয়ে আসে। তাই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো আপসের সুযোগ নেই। সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মূল মূল্যবোধই আমাদের জাতির ভিত্তি।’
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ‘তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে’। তারা এমন চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন এক বিবৃতিতে বলেন, অস্ত্র দিয়ে তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে ঠেকানোর চেষ্টা কখনোই সফল হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র–তাইওয়ান বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি রুপার্ট হ্যামন্ড চেম্বার্স বলেন, হিমার্সের মতো অস্ত্র ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। এটি তাইওয়ানে চীনের সম্ভাব্য আগ্রাসন ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এই ঘোষণা আসে গত সপ্তাহে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন চিয়া-লুংয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তিনি ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি। তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রই তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী। এ ছাড়া ‘তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার সরঞ্জাম দিতে আইনত বাধ্য। তবে এই অস্ত্র বিক্রি দীর্ঘদিন ধরেই চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে বড় বিতর্কের বিষয়।
চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাত প্রতিরোধ এবং ওই অঞ্চলে ‘সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব’ বজায় রাখতে চায়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তাইওয়ানের কৌশলগত গুরুত্বও তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, তাইওয়ানের অবস্থান উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে দুটি ভিন্ন সামরিক অঞ্চলে ভাগ করে দেয়।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই রেকর্ড পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন বেইজিংকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিল—দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মার্কিন প্রভাব এবং তাইওয়ানের নিরাপত্তা রক্ষায় তারা আপসহীন।

হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মাঝে জাতীয় সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধীরা। কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তেজ জাতীয় সরকার গঠনে রাজি হন। পরে সন্ধ্যার দিকে দেওয়া এক ভাষণে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রত্যেক হামাস স
১২ অক্টোবর ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৪১ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
২ ঘণ্টা আগে
সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও ছিলেন। তাঁরা এই ‘দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা’র কথা তুলে ধরে বলেন, কিছু বিচারক অবসরের আগে ‘ছক্কা হাঁকানোর’ চেষ্টা করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেছেন, অবসরের ঠিক আগে বিচারকদের একটি অংশ প্রভাবিত হয়ে রায় দিচ্ছেন, যা উদ্বেগজনক।
আজ বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের এক জেলা বিচারকের করা আবেদন শুনছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। ওই বিচারক অবসরের মাত্র ১০ দিন আগে তাঁর বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।
সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও ছিলেন। তাঁরা বিচারকদের ফরমায়েশি রায় দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, কিছু বিচারক অবসরের আগে ‘ছক্কা হাঁকানোর’ চেষ্টা করছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগ অনুযায়ী, বিচারকের দেওয়া দুটি বিচারিক আদেশের সঙ্গে ওই জেলা বিচারকের বরখাস্তের বিষয়টি যুক্ত ছিল।
শুনানিকালে বেঞ্চ মন্তব্য করে, ‘আবেদনকারী অবসরের ঠিক আগে ছক্কা হাঁকাতে শুরু করেছিলেন। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা। আমি এ নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না।’
ওই জেলা বিচারকের মূলত গত ৩০ নভেম্বর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুটি বিচারিক আদেশের জেরে তাঁকে ১৯ নভেম্বর বরখাস্ত করা হয়। পরে ২০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট মধ্যপ্রদেশ সরকারকে তাঁর অবসর এক বছর পিছিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। কারণ, রাজ্য সরকার কর্মীদের অবসরের বয়স ৬২ বছরে উন্নীত করে।
এ পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘যখন তিনি ওই দুটি আদেশ দিয়েছিলেন, তখন তিনি জানতেন না যে তাঁর অবসর বয়স এক বছর বাড়ানো হয়েছে। অবসরের আগে বিচারকদের এভাবে একের পর এক আদেশ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।’
এ সময় বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে—কেন ওই জেলা বিচারক তাঁর বরখাস্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাননি।
বিচারকের পক্ষে আইনজীবী জানান, যেহেতু এটি ফুল কোর্টের সিদ্ধান্ত ছিল, তাই ন্যায়বিচারের আশায় তিনি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আসাই সমীচীন মনে করেছিলেন।
বিচারকের পক্ষে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিপিন সাংঘি আদালতকে জানান, ওই কর্মকর্তার কর্মজীবন ছিল ‘চমৎকার’ এবং তাঁর বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনগুলোতে তিনি খুব ভালো রেটিং পেয়েছেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন—যেসব বিচারিক আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় এবং উচ্চতর আদালত চাইলে সংশোধন করতে পারেন, সেসব আদেশের জন্য কীভাবে একজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা যায়।
জবাবে বেঞ্চ জানান, ভুল আদেশ দেওয়ার কারণে কোনো বিচারিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায় না কিংবা তাঁকে বরখাস্তও করা যায় না। কিন্তু যদি আদেশগুলো স্পষ্টভাবে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়—তাহলে বিষয়টি ভিন্ন।
আদালত আরও উল্লেখ করেন, অতীতে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ফুল কোর্টের সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে বাতিল করেছেন। এসব বিবেচনায় সুপ্রিম কোর্ট আবেদনটি শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আবেদনকারীকে হাইকোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

ভারতের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেছেন, অবসরের ঠিক আগে বিচারকদের একটি অংশ প্রভাবিত হয়ে রায় দিচ্ছেন, যা উদ্বেগজনক।
আজ বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের এক জেলা বিচারকের করা আবেদন শুনছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। ওই বিচারক অবসরের মাত্র ১০ দিন আগে তাঁর বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।
সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও ছিলেন। তাঁরা বিচারকদের ফরমায়েশি রায় দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, কিছু বিচারক অবসরের আগে ‘ছক্কা হাঁকানোর’ চেষ্টা করছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগ অনুযায়ী, বিচারকের দেওয়া দুটি বিচারিক আদেশের সঙ্গে ওই জেলা বিচারকের বরখাস্তের বিষয়টি যুক্ত ছিল।
শুনানিকালে বেঞ্চ মন্তব্য করে, ‘আবেদনকারী অবসরের ঠিক আগে ছক্কা হাঁকাতে শুরু করেছিলেন। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা। আমি এ নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না।’
ওই জেলা বিচারকের মূলত গত ৩০ নভেম্বর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুটি বিচারিক আদেশের জেরে তাঁকে ১৯ নভেম্বর বরখাস্ত করা হয়। পরে ২০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট মধ্যপ্রদেশ সরকারকে তাঁর অবসর এক বছর পিছিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। কারণ, রাজ্য সরকার কর্মীদের অবসরের বয়স ৬২ বছরে উন্নীত করে।
এ পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘যখন তিনি ওই দুটি আদেশ দিয়েছিলেন, তখন তিনি জানতেন না যে তাঁর অবসর বয়স এক বছর বাড়ানো হয়েছে। অবসরের আগে বিচারকদের এভাবে একের পর এক আদেশ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।’
এ সময় বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে—কেন ওই জেলা বিচারক তাঁর বরখাস্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাননি।
বিচারকের পক্ষে আইনজীবী জানান, যেহেতু এটি ফুল কোর্টের সিদ্ধান্ত ছিল, তাই ন্যায়বিচারের আশায় তিনি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আসাই সমীচীন মনে করেছিলেন।
বিচারকের পক্ষে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিপিন সাংঘি আদালতকে জানান, ওই কর্মকর্তার কর্মজীবন ছিল ‘চমৎকার’ এবং তাঁর বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনগুলোতে তিনি খুব ভালো রেটিং পেয়েছেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন—যেসব বিচারিক আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় এবং উচ্চতর আদালত চাইলে সংশোধন করতে পারেন, সেসব আদেশের জন্য কীভাবে একজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা যায়।
জবাবে বেঞ্চ জানান, ভুল আদেশ দেওয়ার কারণে কোনো বিচারিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায় না কিংবা তাঁকে বরখাস্তও করা যায় না। কিন্তু যদি আদেশগুলো স্পষ্টভাবে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়—তাহলে বিষয়টি ভিন্ন।
আদালত আরও উল্লেখ করেন, অতীতে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ফুল কোর্টের সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে বাতিল করেছেন। এসব বিবেচনায় সুপ্রিম কোর্ট আবেদনটি শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আবেদনকারীকে হাইকোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মাঝে জাতীয় সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধীরা। কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তেজ জাতীয় সরকার গঠনে রাজি হন। পরে সন্ধ্যার দিকে দেওয়া এক ভাষণে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রত্যেক হামাস স
১২ অক্টোবর ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৪১ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
২ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মুখে গতকাল বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘোষণা দেয়, যা তাইওয়ানের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের একক বৃহত্তম অস্ত্র বিক্রির চুক্তি।
২ ঘণ্টা আগে