
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের আজ তৃতীয় দিন। গত শনিবার আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে হামাস। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করে এ সংগঠনটি। শনিবার ভোর থেকে স্থল, জল ও আকাশপথে সমন্বিত হামলা করে তারা। জবাবে ইসরায়েলি সেনারাও নির্বিচারে হামলা চালায় ফিলিস্তিনে। তারা এটিকে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধে আজ সোমবার পর্যন্ত যা ঘটেছে এবং ঘটছে তার কিছু সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আজ তৃতীয় দিনে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে গোলাগুলি চলছে। এর মধ্যে কারমিয়ার কিববুৎজ এবং আশকেলন শহর ও সেদরতে ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। হামাসের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজায় তারা এক শর বেশি ইসরায়েলিকে বন্দী করে রেখেছে। মুসা আবু মারজুক নামে হামাসের শীর্ষ এক কর্মকর্তা আরবি ভাষায় প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম আলগহাদকে জানিয়েছেন, এসব বন্দীর মধ্যে ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
হামাসের আক্রমণ মোকাবিলায় শুরুতে ব্যর্থ হওয়া ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দেশটির বাসিন্দাদের সমালোচনার মুখে পড়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা গাজা সীমান্তবর্তী বেশির ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে। তাদের হামলায় কয়েক শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তারা অনেককে আটকও করেছে।
ইসরায়েল সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁর দেশ গাজা উপত্যকার কাছে এক লাখের মতো অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে।
এদিকে পশ্চিমা বিশ্বের দাবি ইরানের প্রত্যক্ষ মদদে হামাস এই হামলা চালিয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলে এমন আকস্মিক হামলায় ইরানের পক্ষ থেকে হামাসকে সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি মিশন বলছে, এই হামলার সঙ্গে তেহরান জড়িত ছিল না।
ইরানের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে আমরা দৃঢ়ভাবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু আমরা ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত নই, ফিলিস্তিন এককভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।’
ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি জরুরি বৈঠকে বসেছিল। কিন্তু বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়নি। বৈঠকের পর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যৌথ কোনো বিবৃতিও দেওয়া হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরায়েলকে সমর্থন প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের কাছাকাছি তাদের একাধিক সামরিক জাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠানো হবে।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনির মিশন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলছে যে ‘এমন পরিস্থিতি হুট করে ঘটেনি। এই বছর শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যার ফল এটি’।
হামাসের হামলার জবাবে গতকাল রোববার গাজায় বিভিন্ন বাসস্থান, টানেল, মসজিদ ও হামাসের কর্মকর্তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। এতে এ পর্যন্ত ২০ শিশুসহ ৪০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে।
হামাস দাবি করছে তাদের আকস্মিক হামলায় প্রায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এ সময় তারা অনেক ইসরায়েলিকে অপহরণ করেছে বলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ভবন ও অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণের ফলে গাজায় প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৩৮ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১২ থাই নাগরিক এ যুদ্ধে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৮ জন। আর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলে হামলায় আমেরিকার চারজন নাগরিক মারা গেছেন। তবে এ প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
এ ছাড়া ফ্রান্স দাবি করেছে এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত তাদের একজন নাগরিক মারা গেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, সংঘর্ষে তাদের দুজন নাগরিক মারা গেছেন। অন্যদিকে মেক্সিকো বলছে, ম্যাক্সিকান এক নারীকে অপহরণ করেছে হামাস।
এই যুদ্ধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের ফলে এশিয়ার জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি তান ডলার বেড়েছে আজ। তেলের সরবরাহ নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বিনিয়োগকারী ও বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ইসরায়েলে অবস্থান করা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, তারা নানা রকমের বাধার সম্মুখীন হতে পারে। নিরাপত্তাজনিত কারণে এশিয়ার অনেক দেশ ইসরায়েলে তাদের ফ্লাইটও বাতিল করেছে ইতিমধ্যে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও। গতকাল তারা ইসরায়েলে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। জবাবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলও। ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, লেবাননের ওই এলাকা থেকে তাদের একটি সেনা স্থাপনা লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল। তারাও লেবাননে গোলাবর্ষণ করেছে।
ইসরায়েলি সেনাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, লেবাননের যে জায়গা থেকে গুলি চালানো হয়েছিল, সেখানে আঘাত শুরু করেছে ইসরায়েলি আর্টিলারি। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বিবৃতিতে বলা হয়নি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তাদের একটি ড্রোন লেবাননের সীমান্তবর্তী মাউন্ট ডভ এলাকায় ‘একটি হিজবুল্লাহ অবকাঠামোয়’ আঘাত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে তারা এ কথা বলে।
আর হিজবুল্লাহ যদি হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে ইসরায়েল বিপাকে পড়বে। খোদ ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এই কথা বলছে। হারেৎজের সাংবাদিক জিডিওন লেভি বলেছেন, ‘আমরা একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতার মুখোমুখি হব, যদি ইসরায়েলকে দুটি ফ্রন্টে লড়াই করতে হয়। এবং সম্ভবত তিনটি, যদি অধিকৃত পশ্চিম তীরও দৃশ্যপটে চলে আসে। এটি একটি নতুন “খেলা” এবং ইসরায়েল এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে, যা এর আগে কখনো হয়নি।’ ইসরায়েলি স্থাপনা লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর হামলার প্রতিক্রিয়ায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি এসব কথা বলেন।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলিদের কাছে একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে যে গাজা উপত্যকায় হামলা চালালে এবং কোনো স্থল আক্রমণ শুরু করার অর্থ এই সংঘর্ষ অন্য দিকে মোড় নেবে।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের আজ তৃতীয় দিন। গত শনিবার আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে হামাস। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করে এ সংগঠনটি। শনিবার ভোর থেকে স্থল, জল ও আকাশপথে সমন্বিত হামলা করে তারা। জবাবে ইসরায়েলি সেনারাও নির্বিচারে হামলা চালায় ফিলিস্তিনে। তারা এটিকে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধে আজ সোমবার পর্যন্ত যা ঘটেছে এবং ঘটছে তার কিছু সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আজ তৃতীয় দিনে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে গোলাগুলি চলছে। এর মধ্যে কারমিয়ার কিববুৎজ এবং আশকেলন শহর ও সেদরতে ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। হামাসের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজায় তারা এক শর বেশি ইসরায়েলিকে বন্দী করে রেখেছে। মুসা আবু মারজুক নামে হামাসের শীর্ষ এক কর্মকর্তা আরবি ভাষায় প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম আলগহাদকে জানিয়েছেন, এসব বন্দীর মধ্যে ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
হামাসের আক্রমণ মোকাবিলায় শুরুতে ব্যর্থ হওয়া ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দেশটির বাসিন্দাদের সমালোচনার মুখে পড়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা গাজা সীমান্তবর্তী বেশির ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে। তাদের হামলায় কয়েক শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তারা অনেককে আটকও করেছে।
ইসরায়েল সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁর দেশ গাজা উপত্যকার কাছে এক লাখের মতো অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে।
এদিকে পশ্চিমা বিশ্বের দাবি ইরানের প্রত্যক্ষ মদদে হামাস এই হামলা চালিয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলে এমন আকস্মিক হামলায় ইরানের পক্ষ থেকে হামাসকে সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি মিশন বলছে, এই হামলার সঙ্গে তেহরান জড়িত ছিল না।
ইরানের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে আমরা দৃঢ়ভাবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু আমরা ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত নই, ফিলিস্তিন এককভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।’
ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি জরুরি বৈঠকে বসেছিল। কিন্তু বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়নি। বৈঠকের পর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যৌথ কোনো বিবৃতিও দেওয়া হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরায়েলকে সমর্থন প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের কাছাকাছি তাদের একাধিক সামরিক জাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠানো হবে।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনির মিশন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলছে যে ‘এমন পরিস্থিতি হুট করে ঘটেনি। এই বছর শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যার ফল এটি’।
হামাসের হামলার জবাবে গতকাল রোববার গাজায় বিভিন্ন বাসস্থান, টানেল, মসজিদ ও হামাসের কর্মকর্তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। এতে এ পর্যন্ত ২০ শিশুসহ ৪০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে।
হামাস দাবি করছে তাদের আকস্মিক হামলায় প্রায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এ সময় তারা অনেক ইসরায়েলিকে অপহরণ করেছে বলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ভবন ও অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণের ফলে গাজায় প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৩৮ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১২ থাই নাগরিক এ যুদ্ধে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৮ জন। আর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলে হামলায় আমেরিকার চারজন নাগরিক মারা গেছেন। তবে এ প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
এ ছাড়া ফ্রান্স দাবি করেছে এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত তাদের একজন নাগরিক মারা গেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, সংঘর্ষে তাদের দুজন নাগরিক মারা গেছেন। অন্যদিকে মেক্সিকো বলছে, ম্যাক্সিকান এক নারীকে অপহরণ করেছে হামাস।
এই যুদ্ধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের ফলে এশিয়ার জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি তান ডলার বেড়েছে আজ। তেলের সরবরাহ নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বিনিয়োগকারী ও বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ইসরায়েলে অবস্থান করা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, তারা নানা রকমের বাধার সম্মুখীন হতে পারে। নিরাপত্তাজনিত কারণে এশিয়ার অনেক দেশ ইসরায়েলে তাদের ফ্লাইটও বাতিল করেছে ইতিমধ্যে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও। গতকাল তারা ইসরায়েলে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। জবাবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলও। ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, লেবাননের ওই এলাকা থেকে তাদের একটি সেনা স্থাপনা লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল। তারাও লেবাননে গোলাবর্ষণ করেছে।
ইসরায়েলি সেনাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, লেবাননের যে জায়গা থেকে গুলি চালানো হয়েছিল, সেখানে আঘাত শুরু করেছে ইসরায়েলি আর্টিলারি। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বিবৃতিতে বলা হয়নি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তাদের একটি ড্রোন লেবাননের সীমান্তবর্তী মাউন্ট ডভ এলাকায় ‘একটি হিজবুল্লাহ অবকাঠামোয়’ আঘাত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে তারা এ কথা বলে।
আর হিজবুল্লাহ যদি হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে ইসরায়েল বিপাকে পড়বে। খোদ ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এই কথা বলছে। হারেৎজের সাংবাদিক জিডিওন লেভি বলেছেন, ‘আমরা একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতার মুখোমুখি হব, যদি ইসরায়েলকে দুটি ফ্রন্টে লড়াই করতে হয়। এবং সম্ভবত তিনটি, যদি অধিকৃত পশ্চিম তীরও দৃশ্যপটে চলে আসে। এটি একটি নতুন “খেলা” এবং ইসরায়েল এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে, যা এর আগে কখনো হয়নি।’ ইসরায়েলি স্থাপনা লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর হামলার প্রতিক্রিয়ায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি এসব কথা বলেন।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলিদের কাছে একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে যে গাজা উপত্যকায় হামলা চালালে এবং কোনো স্থল আক্রমণ শুরু করার অর্থ এই সংঘর্ষ অন্য দিকে মোড় নেবে।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের আজ তৃতীয় দিন। গত শনিবার আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে হামাস। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করে এ সংগঠনটি। শনিবার ভোর থেকে স্থল, জল ও আকাশপথে সমন্বিত হামলা করে তারা। জবাবে ইসরায়েলি সেনারাও নির্বিচারে হামলা চালায় ফিলিস্তিনে। তারা এটিকে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধে আজ সোমবার পর্যন্ত যা ঘটেছে এবং ঘটছে তার কিছু সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আজ তৃতীয় দিনে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে গোলাগুলি চলছে। এর মধ্যে কারমিয়ার কিববুৎজ এবং আশকেলন শহর ও সেদরতে ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। হামাসের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজায় তারা এক শর বেশি ইসরায়েলিকে বন্দী করে রেখেছে। মুসা আবু মারজুক নামে হামাসের শীর্ষ এক কর্মকর্তা আরবি ভাষায় প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম আলগহাদকে জানিয়েছেন, এসব বন্দীর মধ্যে ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
হামাসের আক্রমণ মোকাবিলায় শুরুতে ব্যর্থ হওয়া ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দেশটির বাসিন্দাদের সমালোচনার মুখে পড়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা গাজা সীমান্তবর্তী বেশির ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে। তাদের হামলায় কয়েক শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তারা অনেককে আটকও করেছে।
ইসরায়েল সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁর দেশ গাজা উপত্যকার কাছে এক লাখের মতো অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে।
এদিকে পশ্চিমা বিশ্বের দাবি ইরানের প্রত্যক্ষ মদদে হামাস এই হামলা চালিয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলে এমন আকস্মিক হামলায় ইরানের পক্ষ থেকে হামাসকে সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি মিশন বলছে, এই হামলার সঙ্গে তেহরান জড়িত ছিল না।
ইরানের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে আমরা দৃঢ়ভাবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু আমরা ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত নই, ফিলিস্তিন এককভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।’
ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি জরুরি বৈঠকে বসেছিল। কিন্তু বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়নি। বৈঠকের পর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যৌথ কোনো বিবৃতিও দেওয়া হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরায়েলকে সমর্থন প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের কাছাকাছি তাদের একাধিক সামরিক জাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠানো হবে।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনির মিশন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলছে যে ‘এমন পরিস্থিতি হুট করে ঘটেনি। এই বছর শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যার ফল এটি’।
হামাসের হামলার জবাবে গতকাল রোববার গাজায় বিভিন্ন বাসস্থান, টানেল, মসজিদ ও হামাসের কর্মকর্তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। এতে এ পর্যন্ত ২০ শিশুসহ ৪০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে।
হামাস দাবি করছে তাদের আকস্মিক হামলায় প্রায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এ সময় তারা অনেক ইসরায়েলিকে অপহরণ করেছে বলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ভবন ও অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণের ফলে গাজায় প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৩৮ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১২ থাই নাগরিক এ যুদ্ধে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৮ জন। আর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলে হামলায় আমেরিকার চারজন নাগরিক মারা গেছেন। তবে এ প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
এ ছাড়া ফ্রান্স দাবি করেছে এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত তাদের একজন নাগরিক মারা গেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, সংঘর্ষে তাদের দুজন নাগরিক মারা গেছেন। অন্যদিকে মেক্সিকো বলছে, ম্যাক্সিকান এক নারীকে অপহরণ করেছে হামাস।
এই যুদ্ধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের ফলে এশিয়ার জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি তান ডলার বেড়েছে আজ। তেলের সরবরাহ নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বিনিয়োগকারী ও বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ইসরায়েলে অবস্থান করা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, তারা নানা রকমের বাধার সম্মুখীন হতে পারে। নিরাপত্তাজনিত কারণে এশিয়ার অনেক দেশ ইসরায়েলে তাদের ফ্লাইটও বাতিল করেছে ইতিমধ্যে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও। গতকাল তারা ইসরায়েলে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। জবাবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলও। ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, লেবাননের ওই এলাকা থেকে তাদের একটি সেনা স্থাপনা লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল। তারাও লেবাননে গোলাবর্ষণ করেছে।
ইসরায়েলি সেনাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, লেবাননের যে জায়গা থেকে গুলি চালানো হয়েছিল, সেখানে আঘাত শুরু করেছে ইসরায়েলি আর্টিলারি। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বিবৃতিতে বলা হয়নি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তাদের একটি ড্রোন লেবাননের সীমান্তবর্তী মাউন্ট ডভ এলাকায় ‘একটি হিজবুল্লাহ অবকাঠামোয়’ আঘাত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে তারা এ কথা বলে।
আর হিজবুল্লাহ যদি হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে ইসরায়েল বিপাকে পড়বে। খোদ ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এই কথা বলছে। হারেৎজের সাংবাদিক জিডিওন লেভি বলেছেন, ‘আমরা একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতার মুখোমুখি হব, যদি ইসরায়েলকে দুটি ফ্রন্টে লড়াই করতে হয়। এবং সম্ভবত তিনটি, যদি অধিকৃত পশ্চিম তীরও দৃশ্যপটে চলে আসে। এটি একটি নতুন “খেলা” এবং ইসরায়েল এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে, যা এর আগে কখনো হয়নি।’ ইসরায়েলি স্থাপনা লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর হামলার প্রতিক্রিয়ায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি এসব কথা বলেন।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলিদের কাছে একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে যে গাজা উপত্যকায় হামলা চালালে এবং কোনো স্থল আক্রমণ শুরু করার অর্থ এই সংঘর্ষ অন্য দিকে মোড় নেবে।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের আজ তৃতীয় দিন। গত শনিবার আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে হামাস। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করে এ সংগঠনটি। শনিবার ভোর থেকে স্থল, জল ও আকাশপথে সমন্বিত হামলা করে তারা। জবাবে ইসরায়েলি সেনারাও নির্বিচারে হামলা চালায় ফিলিস্তিনে। তারা এটিকে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধে আজ সোমবার পর্যন্ত যা ঘটেছে এবং ঘটছে তার কিছু সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আজ তৃতীয় দিনে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে গোলাগুলি চলছে। এর মধ্যে কারমিয়ার কিববুৎজ এবং আশকেলন শহর ও সেদরতে ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। হামাসের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজায় তারা এক শর বেশি ইসরায়েলিকে বন্দী করে রেখেছে। মুসা আবু মারজুক নামে হামাসের শীর্ষ এক কর্মকর্তা আরবি ভাষায় প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম আলগহাদকে জানিয়েছেন, এসব বন্দীর মধ্যে ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
হামাসের আক্রমণ মোকাবিলায় শুরুতে ব্যর্থ হওয়া ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দেশটির বাসিন্দাদের সমালোচনার মুখে পড়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা গাজা সীমান্তবর্তী বেশির ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে। তাদের হামলায় কয়েক শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তারা অনেককে আটকও করেছে।
ইসরায়েল সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁর দেশ গাজা উপত্যকার কাছে এক লাখের মতো অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে।
এদিকে পশ্চিমা বিশ্বের দাবি ইরানের প্রত্যক্ষ মদদে হামাস এই হামলা চালিয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলে এমন আকস্মিক হামলায় ইরানের পক্ষ থেকে হামাসকে সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি মিশন বলছে, এই হামলার সঙ্গে তেহরান জড়িত ছিল না।
ইরানের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে আমরা দৃঢ়ভাবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু আমরা ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত নই, ফিলিস্তিন এককভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।’
ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি জরুরি বৈঠকে বসেছিল। কিন্তু বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়নি। বৈঠকের পর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যৌথ কোনো বিবৃতিও দেওয়া হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরায়েলকে সমর্থন প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের কাছাকাছি তাদের একাধিক সামরিক জাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠানো হবে।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনির মিশন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলছে যে ‘এমন পরিস্থিতি হুট করে ঘটেনি। এই বছর শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যার ফল এটি’।
হামাসের হামলার জবাবে গতকাল রোববার গাজায় বিভিন্ন বাসস্থান, টানেল, মসজিদ ও হামাসের কর্মকর্তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। এতে এ পর্যন্ত ২০ শিশুসহ ৪০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে।
হামাস দাবি করছে তাদের আকস্মিক হামলায় প্রায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এ সময় তারা অনেক ইসরায়েলিকে অপহরণ করেছে বলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ভবন ও অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণের ফলে গাজায় প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৩৮ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১২ থাই নাগরিক এ যুদ্ধে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৮ জন। আর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলে হামলায় আমেরিকার চারজন নাগরিক মারা গেছেন। তবে এ প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
এ ছাড়া ফ্রান্স দাবি করেছে এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত তাদের একজন নাগরিক মারা গেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, সংঘর্ষে তাদের দুজন নাগরিক মারা গেছেন। অন্যদিকে মেক্সিকো বলছে, ম্যাক্সিকান এক নারীকে অপহরণ করেছে হামাস।
এই যুদ্ধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের ফলে এশিয়ার জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি তান ডলার বেড়েছে আজ। তেলের সরবরাহ নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বিনিয়োগকারী ও বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ইসরায়েলে অবস্থান করা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, তারা নানা রকমের বাধার সম্মুখীন হতে পারে। নিরাপত্তাজনিত কারণে এশিয়ার অনেক দেশ ইসরায়েলে তাদের ফ্লাইটও বাতিল করেছে ইতিমধ্যে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও। গতকাল তারা ইসরায়েলে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। জবাবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলও। ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, লেবাননের ওই এলাকা থেকে তাদের একটি সেনা স্থাপনা লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল। তারাও লেবাননে গোলাবর্ষণ করেছে।
ইসরায়েলি সেনাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, লেবাননের যে জায়গা থেকে গুলি চালানো হয়েছিল, সেখানে আঘাত শুরু করেছে ইসরায়েলি আর্টিলারি। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বিবৃতিতে বলা হয়নি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তাদের একটি ড্রোন লেবাননের সীমান্তবর্তী মাউন্ট ডভ এলাকায় ‘একটি হিজবুল্লাহ অবকাঠামোয়’ আঘাত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে তারা এ কথা বলে।
আর হিজবুল্লাহ যদি হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে ইসরায়েল বিপাকে পড়বে। খোদ ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এই কথা বলছে। হারেৎজের সাংবাদিক জিডিওন লেভি বলেছেন, ‘আমরা একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতার মুখোমুখি হব, যদি ইসরায়েলকে দুটি ফ্রন্টে লড়াই করতে হয়। এবং সম্ভবত তিনটি, যদি অধিকৃত পশ্চিম তীরও দৃশ্যপটে চলে আসে। এটি একটি নতুন “খেলা” এবং ইসরায়েল এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে, যা এর আগে কখনো হয়নি।’ ইসরায়েলি স্থাপনা লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর হামলার প্রতিক্রিয়ায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি এসব কথা বলেন।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলিদের কাছে একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে যে গাজা উপত্যকায় হামলা চালালে এবং কোনো স্থল আক্রমণ শুরু করার অর্থ এই সংঘর্ষ অন্য দিকে মোড় নেবে।

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ না করলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাঁদের একজনের নাম সাজিদ আকরাম এবং অন্যজন নাভিদ আকরাম। সম্পর্কে তাঁরা পিতা-পুত্র।
বন্দুকধারীদের গাড়িতে জঙ্গি সংস্থা আইএস-এর দুটি পতাকা পাওয়া গেছে। ২৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত নাভিদের বাবা সাজিদ তথা অপর অভিযুক্তের কাছে ২০১৫ সাল থেকে অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং তাঁর কাছে ছয়টি নিবন্ধিত অস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্র দিয়েই হামলাকারীরা প্রায় ১০–২০ মিনিট ধরে উৎসবে উপস্থিত মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুও রয়েছে এবং নিহতদের বয়স ১০ থেকে ৮৭ বছর পর্যন্ত।
রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পর হাসপাতালে নেওয়া ৪০ জনের মধ্যে দুজন পুলিশও ছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার সময় হামলাকারী নাভিদ গুরুতর আহত হলেও তাঁর বাবা সাজিদ পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন, ‘গতকাল আমরা যা দেখেছি, তা ছিল ধর্মবিরোধী খাঁটি শয়তানদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’ তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার বন্দুক নিয়ম কঠোর করবে এবং জাতীয় অস্ত্র নিবন্ধন চালু করবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্ডাই বিচে প্রায় ১ হাজার মানুষ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হতভম্ব হয়ে দিগ্বিদিক পালিয়ে যান। তবে আহমেদ আল-আহমেদ নামে এক বীর নাগরিক খালি হাতে এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের জীবন বাঁচান। এ সময় আল-আহমেদ নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এটি অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে গুরুতর বন্দুক হামলার ঘটনা।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় দেড় লাখ ইহুদি বসবাস করেন। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই বাস করেন সিডনির পূর্বাঞ্চলে।

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ না করলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাঁদের একজনের নাম সাজিদ আকরাম এবং অন্যজন নাভিদ আকরাম। সম্পর্কে তাঁরা পিতা-পুত্র।
বন্দুকধারীদের গাড়িতে জঙ্গি সংস্থা আইএস-এর দুটি পতাকা পাওয়া গেছে। ২৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত নাভিদের বাবা সাজিদ তথা অপর অভিযুক্তের কাছে ২০১৫ সাল থেকে অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং তাঁর কাছে ছয়টি নিবন্ধিত অস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্র দিয়েই হামলাকারীরা প্রায় ১০–২০ মিনিট ধরে উৎসবে উপস্থিত মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুও রয়েছে এবং নিহতদের বয়স ১০ থেকে ৮৭ বছর পর্যন্ত।
রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পর হাসপাতালে নেওয়া ৪০ জনের মধ্যে দুজন পুলিশও ছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার সময় হামলাকারী নাভিদ গুরুতর আহত হলেও তাঁর বাবা সাজিদ পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন, ‘গতকাল আমরা যা দেখেছি, তা ছিল ধর্মবিরোধী খাঁটি শয়তানদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’ তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার বন্দুক নিয়ম কঠোর করবে এবং জাতীয় অস্ত্র নিবন্ধন চালু করবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্ডাই বিচে প্রায় ১ হাজার মানুষ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হতভম্ব হয়ে দিগ্বিদিক পালিয়ে যান। তবে আহমেদ আল-আহমেদ নামে এক বীর নাগরিক খালি হাতে এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের জীবন বাঁচান। এ সময় আল-আহমেদ নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এটি অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে গুরুতর বন্দুক হামলার ঘটনা।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় দেড় লাখ ইহুদি বসবাস করেন। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই বাস করেন সিডনির পূর্বাঞ্চলে।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের আজ তৃতীয় দিন। গত শনিবার আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে হামাস। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করে এ সংগঠনটি। গত শনিবার ভোর থেকে স্থল, জল ও আকাশপথে সমন্বিত হামলা করে তারা।
০৯ অক্টোবর ২০২৩
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, তিনি হংকং ও চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিদেশি সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে তাঁর সাজা ঘোষণা হতে পারে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার সময় বিচারক অ্যাস্থার তোহ বলেন, চীনের পিপলস রিপাবলিকের প্রতি জিমি লাইয়ের ঘৃণা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, লাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে হংকংয়ের অজুহাতে চীনের সরকার উৎখাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আদালত আরও রায় দেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক ‘অ্যাপল ডেইলি’ পত্রিকার মাধ্যমে লাই রাষ্ট্রদ্রোহমূলক লেখা প্রকাশ করেছিলেন, যা ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইনের লঙ্ঘন।
বেইজিং শাসিত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন—লাইয়ের কর্মকাণ্ড দেশ ও হংকংবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে ‘নিষ্ঠুর বিচারিক প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে বলছে, বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনটি কার্যত ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর বেইজিং কোনো আইনসভা পরামর্শ ছাড়াই এই আইন প্রণয়ন করেছিল, যা কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, রায়ের সময় জিমি লাই শান্ত ছিলেন এবং আদালত ছাড়ার সময় পরিবারকে বিদায় জানান। তাঁর স্ত্রী টেরেসা, এক ছেলে ও ক্যাথলিক কার্ডিনাল জোসেফ জেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। লাইয়ের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ রায় পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপিল করা হবে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এদিকে লাইয়ের ছেলে সেবাস্তিয়ান লাই যুক্তরাজ্য সরকারকে তাঁর বাবার মুক্তির জন্য আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে লাইয়ের মুক্তি দাবি করে এলেও চীন ও হংকং সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এক সময়ের সফল ব্যবসায়ী জিমি লাই ১৯৮৯ সালের চীনের তিয়েনআনমেন গণহত্যার পর গণতন্ত্র আন্দোলনে সক্রিয় হন। অনেক হংকংবাসীর চোখে তিনি এখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতীক। তবে এই রায় হংকংয়ের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, তিনি হংকং ও চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিদেশি সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে তাঁর সাজা ঘোষণা হতে পারে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার সময় বিচারক অ্যাস্থার তোহ বলেন, চীনের পিপলস রিপাবলিকের প্রতি জিমি লাইয়ের ঘৃণা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, লাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে হংকংয়ের অজুহাতে চীনের সরকার উৎখাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আদালত আরও রায় দেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক ‘অ্যাপল ডেইলি’ পত্রিকার মাধ্যমে লাই রাষ্ট্রদ্রোহমূলক লেখা প্রকাশ করেছিলেন, যা ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইনের লঙ্ঘন।
বেইজিং শাসিত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন—লাইয়ের কর্মকাণ্ড দেশ ও হংকংবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে ‘নিষ্ঠুর বিচারিক প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে বলছে, বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনটি কার্যত ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর বেইজিং কোনো আইনসভা পরামর্শ ছাড়াই এই আইন প্রণয়ন করেছিল, যা কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, রায়ের সময় জিমি লাই শান্ত ছিলেন এবং আদালত ছাড়ার সময় পরিবারকে বিদায় জানান। তাঁর স্ত্রী টেরেসা, এক ছেলে ও ক্যাথলিক কার্ডিনাল জোসেফ জেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। লাইয়ের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ রায় পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপিল করা হবে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এদিকে লাইয়ের ছেলে সেবাস্তিয়ান লাই যুক্তরাজ্য সরকারকে তাঁর বাবার মুক্তির জন্য আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে লাইয়ের মুক্তি দাবি করে এলেও চীন ও হংকং সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এক সময়ের সফল ব্যবসায়ী জিমি লাই ১৯৮৯ সালের চীনের তিয়েনআনমেন গণহত্যার পর গণতন্ত্র আন্দোলনে সক্রিয় হন। অনেক হংকংবাসীর চোখে তিনি এখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতীক। তবে এই রায় হংকংয়ের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের আজ তৃতীয় দিন। গত শনিবার আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে হামাস। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করে এ সংগঠনটি। গত শনিবার ভোর থেকে স্থল, জল ও আকাশপথে সমন্বিত হামলা করে তারা।
০৯ অক্টোবর ২০২৩
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন পর্যটক।
এনআইএর ১ হাজার ৫৯৭ পৃষ্ঠার চার্জশিটে হামলার পেছনে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র, অভিযুক্তদের ভূমিকা এবং মামলার পক্ষে থাকা প্রমাণের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেহেলগাম হামলার পরিকল্পনা, সহায়তা ও বাস্তবায়নে এলইটি-টিআরএফ সরাসরি জড়িত ছিল। হামলার মূল হ্যান্ডলার হিসেবে এলইটির শীর্ষ কমান্ডার সাজিদ জাটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে তিনজনের নাম রয়েছে, যাঁদের পাকিস্তানের সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সুলেমান শাহ, হাবিব তাহির ওরফে জিবরান ও হামজা আফগানির। চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীনগরের কাছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
এলইটি ও টিআরএফের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩-এর (বিএনএস) অস্ত্র আইন (১৯৫৯) ও বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (১৯৬৭) বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এনআইএ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার’ ধারাও যুক্ত করেছে।
এ ছাড়া আরও দুজন এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত হয়েছেন। পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদকে গত ২২ জুন এনআইএ গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তিন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদ জিজ্ঞাসাবাদে পেহেলগাম হামলায় জড়িত তিন সন্ত্রাসীর পরিচয় প্রকাশ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে, তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক এবং লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কে এই সাজিদ জাট
সাজিদ জাট একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত। তাঁর পরিচিত নামগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইফুল্লাহ, নুমি, নুমান, ল্যাংড়া, আলি সাজিদ, উসমান হাবিব ও শানি। ২০২২ সালের অক্টোবরে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় তাঁকে ‘ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিভিজুয়াল টেররিস্ট (Individual Terrorist) বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যিনি কোনো বড় সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থেকেও একা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন। তাঁরা লোন উলফ নামেও পরিচিত। কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় সহজে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর ধারণা, সাজিদ জাট পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত লস্করের সদর দপ্তর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি শুধু টিআরএফের অপারেশনাল প্রধানই নয়, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসী নিয়োগ, অর্থায়ন ও অনুপ্রবেশের দায়িত্বেও রয়েছেন।
সাজিদ জাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৩ সালের ধাংরি গণহত্যা (যেখানে তিনি ছিলেন মূল ষড়যন্ত্রকারী), ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলা এবং ২০২৪ সালের জুনে রিয়াসি বাস হামলা।
এ ছাড়া হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের লজিস্টিক ও অপারেশনাল সহায়তা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর মতে, কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সবচেয়ে ভয়ংকর মুখ হলেন এই সাজিদ জাট।

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন পর্যটক।
এনআইএর ১ হাজার ৫৯৭ পৃষ্ঠার চার্জশিটে হামলার পেছনে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র, অভিযুক্তদের ভূমিকা এবং মামলার পক্ষে থাকা প্রমাণের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেহেলগাম হামলার পরিকল্পনা, সহায়তা ও বাস্তবায়নে এলইটি-টিআরএফ সরাসরি জড়িত ছিল। হামলার মূল হ্যান্ডলার হিসেবে এলইটির শীর্ষ কমান্ডার সাজিদ জাটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে তিনজনের নাম রয়েছে, যাঁদের পাকিস্তানের সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সুলেমান শাহ, হাবিব তাহির ওরফে জিবরান ও হামজা আফগানির। চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীনগরের কাছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
এলইটি ও টিআরএফের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩-এর (বিএনএস) অস্ত্র আইন (১৯৫৯) ও বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (১৯৬৭) বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এনআইএ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার’ ধারাও যুক্ত করেছে।
এ ছাড়া আরও দুজন এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত হয়েছেন। পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদকে গত ২২ জুন এনআইএ গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তিন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদ জিজ্ঞাসাবাদে পেহেলগাম হামলায় জড়িত তিন সন্ত্রাসীর পরিচয় প্রকাশ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে, তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক এবং লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কে এই সাজিদ জাট
সাজিদ জাট একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত। তাঁর পরিচিত নামগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইফুল্লাহ, নুমি, নুমান, ল্যাংড়া, আলি সাজিদ, উসমান হাবিব ও শানি। ২০২২ সালের অক্টোবরে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় তাঁকে ‘ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিভিজুয়াল টেররিস্ট (Individual Terrorist) বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যিনি কোনো বড় সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থেকেও একা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন। তাঁরা লোন উলফ নামেও পরিচিত। কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় সহজে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর ধারণা, সাজিদ জাট পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত লস্করের সদর দপ্তর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি শুধু টিআরএফের অপারেশনাল প্রধানই নয়, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসী নিয়োগ, অর্থায়ন ও অনুপ্রবেশের দায়িত্বেও রয়েছেন।
সাজিদ জাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৩ সালের ধাংরি গণহত্যা (যেখানে তিনি ছিলেন মূল ষড়যন্ত্রকারী), ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলা এবং ২০২৪ সালের জুনে রিয়াসি বাস হামলা।
এ ছাড়া হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের লজিস্টিক ও অপারেশনাল সহায়তা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর মতে, কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সবচেয়ে ভয়ংকর মুখ হলেন এই সাজিদ জাট।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের আজ তৃতীয় দিন। গত শনিবার আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে হামাস। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করে এ সংগঠনটি। গত শনিবার ভোর থেকে স্থল, জল ও আকাশপথে সমন্বিত হামলা করে তারা।
০৯ অক্টোবর ২০২৩
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের নন্দা দেবী পর্বতের কাছে হারিয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক শক্তিচালিত যন্ত্রটি গঙ্গা নদীর জন্য নানান ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৫ সালে, চীনের সদ্য গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) যৌথভাবে এক গোপন অভিযানে নামে। লক্ষ্য ছিল—ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত নন্দা দেবীর চূড়ায় একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত নজরদারিযন্ত্র বসানো।
ওই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (আরটিজি)। এটি কয়েক কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে চালিত হতো। এর মাধ্যমে স্থাপিত সেন্সরগুলো দিয়ে সীমান্তের ওপারে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া দল যন্ত্রটি পাহাড়ে রেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের মৌসুমে ফিরে গেলে দেখা যায়—আরটিজি ও এর প্লুটোনিয়াম-কোর আর সেখানে নেই। ধারণা করা হয়, তুষারধসের কারণে সেটি ভেসে গেছে অথবা গভীর হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে।
আরটিজি কী
আরটিজি বা রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওই পদার্থ ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার সময় তাপ তৈরি হয় আর সেই তাপ বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো চলমান যন্ত্রাংশ থাকে না। তাই আরটিজি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে। সাধারণত মহাকাশ অভিযান বা এমন দুর্গম এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়।
আরটিজি কোনো পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তবে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হারানো যন্ত্রটি এখন কোথায়
পরবর্তী কয়েক দশকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ওই যন্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। দুই দেশের কেউই নিশ্চিত করে বলেনি, যন্ত্রটির পরিণতি কী হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ও লেখকের মতে, ভারতীয় কোনো দল নীরবে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, এটি এখনো নন্দা দেবী এলাকার অস্থির বরফ ও পাথরের স্তরের নিচে আটকে আছে।
১৯৭৮ সালে ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের এক জরিপে স্থানীয় নদীগুলোতে কোনো প্লুটোনিয়াম দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জরিপটি যন্ত্রটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। ফলে বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
গঙ্গায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি
নন্দা দেবীর হিমবাহ থেকে উৎপন্ন রিষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদী মিলিত হয়ে অলকানন্দায় প্রবাহিত হয়। পরে অলকানন্দা ও ভাগীরথী একত্রে গঙ্গা নদীর জন্ম দেয়। এই নদীই নিচের দিকে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরটি অক্ষত অবস্থায় বরফের গভীরে চাপা পড়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গলে বরফের পানির সঙ্গে মিশে নদীতে প্রবেশ করতে পারে।
এই সম্ভাবনাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সম্ভাবনা কম, কিন্তু প্রভাব ভয়াবহ। উত্তরাখন্ডে প্রতিবছর বন্যা, তুষারধসের ঘটনা ঘটলে এই আশঙ্কা নতুন করে সামনে আসে।
নতুন করে উদ্বেগ কেন
হিমালয়ে হিমবাহ গলার গতি বেড়ে যাওয়া, ২০২১ সালের চামোলি বন্যার মতো দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় পুরোনো সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বাড়তি নজরদারির প্রেক্ষাপটে নন্দা দেবীর এই হারানো যন্ত্রটি আবার আলোচনায় এসেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা—তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ সরে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরটিজির অবশিষ্টাংশ উন্মুক্ত বা নড়াচড়া করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও নিউইয়র্ক টাইমস

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের নন্দা দেবী পর্বতের কাছে হারিয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক শক্তিচালিত যন্ত্রটি গঙ্গা নদীর জন্য নানান ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৫ সালে, চীনের সদ্য গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) যৌথভাবে এক গোপন অভিযানে নামে। লক্ষ্য ছিল—ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত নন্দা দেবীর চূড়ায় একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত নজরদারিযন্ত্র বসানো।
ওই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (আরটিজি)। এটি কয়েক কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে চালিত হতো। এর মাধ্যমে স্থাপিত সেন্সরগুলো দিয়ে সীমান্তের ওপারে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া দল যন্ত্রটি পাহাড়ে রেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের মৌসুমে ফিরে গেলে দেখা যায়—আরটিজি ও এর প্লুটোনিয়াম-কোর আর সেখানে নেই। ধারণা করা হয়, তুষারধসের কারণে সেটি ভেসে গেছে অথবা গভীর হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে।
আরটিজি কী
আরটিজি বা রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওই পদার্থ ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার সময় তাপ তৈরি হয় আর সেই তাপ বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো চলমান যন্ত্রাংশ থাকে না। তাই আরটিজি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে। সাধারণত মহাকাশ অভিযান বা এমন দুর্গম এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়।
আরটিজি কোনো পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তবে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হারানো যন্ত্রটি এখন কোথায়
পরবর্তী কয়েক দশকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ওই যন্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। দুই দেশের কেউই নিশ্চিত করে বলেনি, যন্ত্রটির পরিণতি কী হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ও লেখকের মতে, ভারতীয় কোনো দল নীরবে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, এটি এখনো নন্দা দেবী এলাকার অস্থির বরফ ও পাথরের স্তরের নিচে আটকে আছে।
১৯৭৮ সালে ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের এক জরিপে স্থানীয় নদীগুলোতে কোনো প্লুটোনিয়াম দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জরিপটি যন্ত্রটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। ফলে বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
গঙ্গায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি
নন্দা দেবীর হিমবাহ থেকে উৎপন্ন রিষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদী মিলিত হয়ে অলকানন্দায় প্রবাহিত হয়। পরে অলকানন্দা ও ভাগীরথী একত্রে গঙ্গা নদীর জন্ম দেয়। এই নদীই নিচের দিকে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরটি অক্ষত অবস্থায় বরফের গভীরে চাপা পড়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গলে বরফের পানির সঙ্গে মিশে নদীতে প্রবেশ করতে পারে।
এই সম্ভাবনাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সম্ভাবনা কম, কিন্তু প্রভাব ভয়াবহ। উত্তরাখন্ডে প্রতিবছর বন্যা, তুষারধসের ঘটনা ঘটলে এই আশঙ্কা নতুন করে সামনে আসে।
নতুন করে উদ্বেগ কেন
হিমালয়ে হিমবাহ গলার গতি বেড়ে যাওয়া, ২০২১ সালের চামোলি বন্যার মতো দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় পুরোনো সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বাড়তি নজরদারির প্রেক্ষাপটে নন্দা দেবীর এই হারানো যন্ত্রটি আবার আলোচনায় এসেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা—তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ সরে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরটিজির অবশিষ্টাংশ উন্মুক্ত বা নড়াচড়া করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও নিউইয়র্ক টাইমস

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের আজ তৃতীয় দিন। গত শনিবার আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে হামাস। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করে এ সংগঠনটি। গত শনিবার ভোর থেকে স্থল, জল ও আকাশপথে সমন্বিত হামলা করে তারা।
০৯ অক্টোবর ২০২৩
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে