
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ‘দুই সপ্তাহের’ বিরতি ঘোষণার পর ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। সংঘাত থামাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি আরেক মধ্যস্থতাকারী মিসরের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করেছে ইরান। অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতের পর গতকাল শুক্রবারও ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে তারা। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যাতে দ্রুত অভিযান শুরু করে, সে চেষ্টা চালাচ্ছে হামলায় বেকায়দায় পড়া ইসরায়েল।
ইরানে হামলা চালাতে বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্য ভূমধ্যসাগরে রণতরিও সরিয়ে নিচ্ছে মার্কিন বাহিনী। এ ছাড়া ইরানে হামলার পরিকল্পনাও অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেননি। এ পরিস্থিতিতে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল, যেকোনো সময় ইরানে অভিযান শুরু করতে পারে মার্কিন বাহিনী। তবে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে অভিযান চালাবে কি না, সে বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত থামাতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশই কূটনৈতিক তৎপরতার কথা বলছে। পশ্চিমা গণমাধ্যমের খবর, ট্রাম্প আশা করছেন, ইরান শিগগিরই কূটনৈতিকভাবে এ সংকটের সমাধান করবে। বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে আলোচনার একটি উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, তা আদৌ হবে কি না, এখনো নিশ্চিত নয়; এ প্রেক্ষাপটে আমি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব, সেখানে (ইরানে) যাওয়া (অভিযান চালানো) উচিত হবে কি না।’
জোরদার ইরানের হামলা
১২ জুন রাতে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। প্রথমদিকে হামলায় বিপর্যস্ত হয় ইরান। ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার, বিজ্ঞানীসহ বেসামরিক মানুষেরা নিহত হন। এই সংঘাতের এক সপ্তাহ এসে সেই চিত্র খানিকটা বদলে গেছে। পাল্টা হামলায় এখন ইসরায়েলও বেশ ক্ষতির মুখে পড়ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফও স্বীকার করেছে, ইরানের সব ক্ষেপণাস্ত্র তারা ঠেকিয়ে দিতে পারছে না। গত বুধবার রাতের হামলাকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হিসেবে আখ্যা দিয়েছে তারা।
এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলের তেল আবিব, হাইফাসহ বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। বিবিসির খবরে বলা হয়, তবে সবচেয়ে বেশি হামলা চালানো হয় তেল আবিবে। এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরশেভা প্রযুক্তি পার্ক, মাইক্রোসফট কার্যালয় এবং ইসরায়েলি সামরিক শাখার কাছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ইরানি হামলার পর বিরশেভার কেন্দ্রীয় রেলস্টেশন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেলস্টেশনটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাভ-ইয়াম নেগেভ অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস পার্কে মাইক্রোসফট অফিসের দৃশ্যমান ক্ষতি হয়েছে। এই প্রযুক্তি পার্কে রোবোটিকস এবং ডেটা সায়েন্সসহ প্রচুর গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম রয়েছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার আবারও হামলা শুরু করেছে ইরান। ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-এর খবরে বলা হয়েছে, ইরান থেকে ইসরায়েলের আকাশসীমায় ৩৯টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রবেশ করেছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এর মধ্যে চারটি এলাকায় আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো।
তেহরানে ইসরায়েলের হামলা
বৃহস্পতিবার রাতে তেহরানে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েলে। আইডিএফ জানিয়েছে, ৬০টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে তেহরান সরকারি ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় তেহরানের একটি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া তেহরানে ইরানি আরেক পরমাণুবিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে আইডিএফ। বিবিসি ইসরায়েলের এক সপ্তাহের হামলা বিশ্লেষণ করেছে। এতে বলা হয়েছে, তেহরানে ১০০টির বেশি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইরানের বিভিন্ন পরমাণু স্থাপনায় ততধিকবার হামলা চালিয়েছে তারা। সূক্ষ্মভাবে এসব হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে সেগুলো একেবারে ধ্বংস হয়ে যায়নি।
ইরানে প্রতিবাদ
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদে তেহরান, শিরাজ, তাবরিজ, ইস্ফাহানসহ বিভিন্ন শহরে গতকাল নজিরবিহীন গণবিক্ষোভ দেখা গেছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, এসব বিক্ষোভে দেশজুড়ে লাখো সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে নিজেদের ক্ষোভ ও সংহতি প্রকাশ করেছেন। বিক্ষোভে ইরানের উচ্চপর্যায়ের অনেক কর্মকর্তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে। দেশটির প্রধান বিচারপতি গোলাম-হোসেইন মোহসেনি-এজেই, আইআরজিসির সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জাফারি, কয়েক মন্ত্রী এবং উপ-স্পিকার এই মার্চে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে ইরানের জামারান নিউজ।
কূটনীতি, তবে অবস্থানে অনড় ইরান
ইসরায়েলে হামলার পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাও জোরদার করেছে ইরান। গতকাল একই সঙ্গে বিভিন্ন কূটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগ শুরু করেছে তারা। এর অংশ হিসেবে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তির সঙ্গে আলোচনা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। পরে বদর আবদেলাত্তি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে কথা বলেন। ইরান সংকট সমাধানে এগিয়ে এসেছে তুরস্কও। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গতকাল এ নিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এদিকে আলোচনার জন্য গতকাল জেনেভায় গেছেন আরাঘচি। সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে গতকাল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ আগেই ধারণা দেন। তিনি দাবি করেন, সমঝোতার জন্য ইরানকে অবশ্যই আগ্রহ দেখাতে হবে। এই আলোচনার জন্য ফ্রান্স ও ইইউর দেশগুলো বেশ কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করবে। এর মধ্যে রয়েছে, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ একেবারে বন্ধ করা। এ ছাড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বন্ধের প্রস্তাব থাকবে। সেই সঙ্গে ইরানের সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন যেমন হামাস, হিজবুল্লাহ, হুতিদের অর্থায়নসহ সাহায্য বন্ধের প্রস্তাবও দেওয়ার কথা গতকাল। বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মূলত যুক্তরাষ্ট্র যেসব প্রস্তাব দিতে চায় ইরানকে, সে প্রস্তাবগুলোই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করবে ইইউ।
এদিকে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করলেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। আরাঘচি গতকালও বলেছেন, ইসরায়েল পুরোপুরি হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো আলোচনা কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনা হবে না। ইসরায়েলে ইরান যাতে হামলা থামিয়ে আলোচনা শুরু করে, সে বিষয়ে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকবার তাদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আব্বাস আরাঘচি।
‘আলোচনায় আগ্রহী ইরান’
জেনেভায় বৈঠক শেষে ফ্রান্স ও জার্মানি বলেছে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি ও অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও তারা আলোচনায় প্রস্তুত।
শুক্রবার জেনেভায় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইরান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ প্রতিনিধির মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকের পর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াডেফুল বলেন, ‘আলোচনায় ভালো ফলাফল হলো। আমরা এমন একটি অনুভূতি নিয়ে বৈঠক কক্ষ ত্যাগ করছি যে, ইরান গুরুত্বপূর্ণ সব ইস্যুতে আলোচনা চালিয়ে যেতে মৌলিকভাবে প্রস্তুত।’
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল ব্যারো বলেন, ‘আমরা আশা করি ইরান আলোচনায়, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও, উন্মুক্ত মনোভাব দেখাবে, যেন সংলাপের মাধ্যমে সংকটের একটি সমাধানে পৌঁছানো যায়।’
হামলায় যুক্তরাষ্ট্রকে চায় ইসরায়েল
ট্রাম্প হামলার পরিকল্পনা অনুমোদনের আগে থেকেই পশ্চিমা গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছিল, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে। কারণ তাদের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্র ফুরিয়ে আসছে। এ ছাড়া আইডিএফের পাশাপাশি মার্কিন বাহিনীও যাতে দ্রুত হামলা শুরু করে সেটাও চাইছিল ইসরায়েল। তবে ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিতে দুই সপ্তাহ সময় নেওয়ায় খানিকটা হতাশা সৃষ্টি হয়েছে ইসরায়েলের শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে।
ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজের কলাম লেখক ও বিশ্লেষক গিডিওন লেভির মতে, ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিতে কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে পারেন—এ ইঙ্গিতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গভীর হতাশায় পড়ছেন। কারণ নেতানিয়াহু চান, ট্রাম্প যেন যত দ্রুত সম্ভব এই যুদ্ধে যুক্ত হন। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, যদি ট্রাম্প সত্যিই দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে চান এবং এটা কোনো ছলচাতুরী না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের এই যুদ্ধে জড়ানোর সম্ভাবনা ক্রমেই কমে যাচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ‘দুই সপ্তাহের’ বিরতি ঘোষণার পর ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। সংঘাত থামাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি আরেক মধ্যস্থতাকারী মিসরের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করেছে ইরান। অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতের পর গতকাল শুক্রবারও ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে তারা। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যাতে দ্রুত অভিযান শুরু করে, সে চেষ্টা চালাচ্ছে হামলায় বেকায়দায় পড়া ইসরায়েল।
ইরানে হামলা চালাতে বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্য ভূমধ্যসাগরে রণতরিও সরিয়ে নিচ্ছে মার্কিন বাহিনী। এ ছাড়া ইরানে হামলার পরিকল্পনাও অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেননি। এ পরিস্থিতিতে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল, যেকোনো সময় ইরানে অভিযান শুরু করতে পারে মার্কিন বাহিনী। তবে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে অভিযান চালাবে কি না, সে বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত থামাতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশই কূটনৈতিক তৎপরতার কথা বলছে। পশ্চিমা গণমাধ্যমের খবর, ট্রাম্প আশা করছেন, ইরান শিগগিরই কূটনৈতিকভাবে এ সংকটের সমাধান করবে। বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে আলোচনার একটি উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, তা আদৌ হবে কি না, এখনো নিশ্চিত নয়; এ প্রেক্ষাপটে আমি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব, সেখানে (ইরানে) যাওয়া (অভিযান চালানো) উচিত হবে কি না।’
জোরদার ইরানের হামলা
১২ জুন রাতে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। প্রথমদিকে হামলায় বিপর্যস্ত হয় ইরান। ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার, বিজ্ঞানীসহ বেসামরিক মানুষেরা নিহত হন। এই সংঘাতের এক সপ্তাহ এসে সেই চিত্র খানিকটা বদলে গেছে। পাল্টা হামলায় এখন ইসরায়েলও বেশ ক্ষতির মুখে পড়ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফও স্বীকার করেছে, ইরানের সব ক্ষেপণাস্ত্র তারা ঠেকিয়ে দিতে পারছে না। গত বুধবার রাতের হামলাকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হিসেবে আখ্যা দিয়েছে তারা।
এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলের তেল আবিব, হাইফাসহ বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। বিবিসির খবরে বলা হয়, তবে সবচেয়ে বেশি হামলা চালানো হয় তেল আবিবে। এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরশেভা প্রযুক্তি পার্ক, মাইক্রোসফট কার্যালয় এবং ইসরায়েলি সামরিক শাখার কাছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ইরানি হামলার পর বিরশেভার কেন্দ্রীয় রেলস্টেশন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেলস্টেশনটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাভ-ইয়াম নেগেভ অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস পার্কে মাইক্রোসফট অফিসের দৃশ্যমান ক্ষতি হয়েছে। এই প্রযুক্তি পার্কে রোবোটিকস এবং ডেটা সায়েন্সসহ প্রচুর গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম রয়েছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার আবারও হামলা শুরু করেছে ইরান। ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-এর খবরে বলা হয়েছে, ইরান থেকে ইসরায়েলের আকাশসীমায় ৩৯টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রবেশ করেছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এর মধ্যে চারটি এলাকায় আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো।
তেহরানে ইসরায়েলের হামলা
বৃহস্পতিবার রাতে তেহরানে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েলে। আইডিএফ জানিয়েছে, ৬০টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে তেহরান সরকারি ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় তেহরানের একটি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া তেহরানে ইরানি আরেক পরমাণুবিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে আইডিএফ। বিবিসি ইসরায়েলের এক সপ্তাহের হামলা বিশ্লেষণ করেছে। এতে বলা হয়েছে, তেহরানে ১০০টির বেশি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইরানের বিভিন্ন পরমাণু স্থাপনায় ততধিকবার হামলা চালিয়েছে তারা। সূক্ষ্মভাবে এসব হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে সেগুলো একেবারে ধ্বংস হয়ে যায়নি।
ইরানে প্রতিবাদ
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদে তেহরান, শিরাজ, তাবরিজ, ইস্ফাহানসহ বিভিন্ন শহরে গতকাল নজিরবিহীন গণবিক্ষোভ দেখা গেছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, এসব বিক্ষোভে দেশজুড়ে লাখো সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে নিজেদের ক্ষোভ ও সংহতি প্রকাশ করেছেন। বিক্ষোভে ইরানের উচ্চপর্যায়ের অনেক কর্মকর্তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে। দেশটির প্রধান বিচারপতি গোলাম-হোসেইন মোহসেনি-এজেই, আইআরজিসির সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জাফারি, কয়েক মন্ত্রী এবং উপ-স্পিকার এই মার্চে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে ইরানের জামারান নিউজ।
কূটনীতি, তবে অবস্থানে অনড় ইরান
ইসরায়েলে হামলার পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাও জোরদার করেছে ইরান। গতকাল একই সঙ্গে বিভিন্ন কূটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগ শুরু করেছে তারা। এর অংশ হিসেবে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তির সঙ্গে আলোচনা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। পরে বদর আবদেলাত্তি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে কথা বলেন। ইরান সংকট সমাধানে এগিয়ে এসেছে তুরস্কও। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গতকাল এ নিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এদিকে আলোচনার জন্য গতকাল জেনেভায় গেছেন আরাঘচি। সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে গতকাল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ আগেই ধারণা দেন। তিনি দাবি করেন, সমঝোতার জন্য ইরানকে অবশ্যই আগ্রহ দেখাতে হবে। এই আলোচনার জন্য ফ্রান্স ও ইইউর দেশগুলো বেশ কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করবে। এর মধ্যে রয়েছে, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ একেবারে বন্ধ করা। এ ছাড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বন্ধের প্রস্তাব থাকবে। সেই সঙ্গে ইরানের সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন যেমন হামাস, হিজবুল্লাহ, হুতিদের অর্থায়নসহ সাহায্য বন্ধের প্রস্তাবও দেওয়ার কথা গতকাল। বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মূলত যুক্তরাষ্ট্র যেসব প্রস্তাব দিতে চায় ইরানকে, সে প্রস্তাবগুলোই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করবে ইইউ।
এদিকে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করলেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। আরাঘচি গতকালও বলেছেন, ইসরায়েল পুরোপুরি হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো আলোচনা কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনা হবে না। ইসরায়েলে ইরান যাতে হামলা থামিয়ে আলোচনা শুরু করে, সে বিষয়ে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকবার তাদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আব্বাস আরাঘচি।
‘আলোচনায় আগ্রহী ইরান’
জেনেভায় বৈঠক শেষে ফ্রান্স ও জার্মানি বলেছে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি ও অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও তারা আলোচনায় প্রস্তুত।
শুক্রবার জেনেভায় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইরান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ প্রতিনিধির মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকের পর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াডেফুল বলেন, ‘আলোচনায় ভালো ফলাফল হলো। আমরা এমন একটি অনুভূতি নিয়ে বৈঠক কক্ষ ত্যাগ করছি যে, ইরান গুরুত্বপূর্ণ সব ইস্যুতে আলোচনা চালিয়ে যেতে মৌলিকভাবে প্রস্তুত।’
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল ব্যারো বলেন, ‘আমরা আশা করি ইরান আলোচনায়, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও, উন্মুক্ত মনোভাব দেখাবে, যেন সংলাপের মাধ্যমে সংকটের একটি সমাধানে পৌঁছানো যায়।’
হামলায় যুক্তরাষ্ট্রকে চায় ইসরায়েল
ট্রাম্প হামলার পরিকল্পনা অনুমোদনের আগে থেকেই পশ্চিমা গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছিল, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে। কারণ তাদের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্র ফুরিয়ে আসছে। এ ছাড়া আইডিএফের পাশাপাশি মার্কিন বাহিনীও যাতে দ্রুত হামলা শুরু করে সেটাও চাইছিল ইসরায়েল। তবে ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিতে দুই সপ্তাহ সময় নেওয়ায় খানিকটা হতাশা সৃষ্টি হয়েছে ইসরায়েলের শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে।
ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজের কলাম লেখক ও বিশ্লেষক গিডিওন লেভির মতে, ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিতে কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে পারেন—এ ইঙ্গিতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গভীর হতাশায় পড়ছেন। কারণ নেতানিয়াহু চান, ট্রাম্প যেন যত দ্রুত সম্ভব এই যুদ্ধে যুক্ত হন। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, যদি ট্রাম্প সত্যিই দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে চান এবং এটা কোনো ছলচাতুরী না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের এই যুদ্ধে জড়ানোর সম্ভাবনা ক্রমেই কমে যাচ্ছে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৮ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ‘দুই সপ্তাহের’ বিরতি ঘোষণার পর ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। সংঘাত থামাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি আরেক মধ্যস্থতাকারী মিসরের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করেছে ইরান। অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতের পর গতকাল
২১ জুন ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ‘দুই সপ্তাহের’ বিরতি ঘোষণার পর ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। সংঘাত থামাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি আরেক মধ্যস্থতাকারী মিসরের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করেছে ইরান। অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতের পর গতকাল
২১ জুন ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৮ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ‘দুই সপ্তাহের’ বিরতি ঘোষণার পর ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। সংঘাত থামাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি আরেক মধ্যস্থতাকারী মিসরের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করেছে ইরান। অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতের পর গতকাল
২১ জুন ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৮ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ‘দুই সপ্তাহের’ বিরতি ঘোষণার পর ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। সংঘাত থামাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি আরেক মধ্যস্থতাকারী মিসরের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করেছে ইরান। অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতের পর গতকাল
২১ জুন ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৮ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে