আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর ৬০০ দিন পার হয়েছে। অবিরাম বোমা হামলা, পরিকল্পিত অনাহার, ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও অবর্ণনীয় শোকের ৬০০ দিন। এই দীর্ঘ সময়ে ইসরায়েলি গণহত্যার বিপরীতে তথাকথিত সভ্য পশ্চিমা বিশ্ব কেবল নীরব দর্শক হয়ে থাকেনি, তারা প্রতিটি দিনকে ‘সম্ভব’ করে তুলেছে।
প্রায় ১৬ হাজার শিশুসহ ৫৫ হাজার ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার পরও ইসরায়েলকে যখন কোনো জবাবদিহির মুখে পড়তে হয় না, তখন তাকে কী বলা যায়? যখন অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়? যখন পানি, জ্বালানি, ওষুধ ও মানবিক সাহায্য পরিকল্পিতভাবে আটকে দেওয়া হয়—তখন সেটাকে আপনি কী বলবেন? আপনি একে গণহত্যা বলবেন।
এটা কেবল আমার কথা নয়। এটি শীর্ষস্থানীয় গণহত্যা গবেষক, প্রধান মানবাধিকার সংস্থা ও ক্রমবর্ধমানসংখ্যক জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের ব্যবহৃত শব্দ। জাতিসংঘের অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেসকা আলবানিজ ঘোষণা করেছেন, গাজায় গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে বলে ‘বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ’ রয়েছে।
জাতিসংঘের ২০ বিশেষজ্ঞের এক দল যৌথ বিবৃতিতে ‘প্রকাশ্য গণহত্যা’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাও এই সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছে। এমনকি আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল টম ফ্লেচারের মতো জ্যেষ্ঠ জাতিসংঘ মানবিক কর্মকর্তারাও গাজায় যা ঘটছে, তা বর্ণনা করতে প্রকাশ্যে এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
এটি কেবল আইনি কৌশলগত বিষয় নয়, এটি একটি নৈতিক বিপদ সংকেত। ফিলিস্তিনিরা প্রায় দুই বছর ধরে যা চিৎকার করে বলে আসছেন, তার সঙ্গে মানবাধিকার সংস্থাগুলো ধীরে ধীরে তাল মেলালেও গাজায় বোমা পড়ছেই, শিশুরা মারা যাচ্ছে এবং পশ্চিমা সরকারগুলো তাদের অস্ত্র দিয়ে, ইসরায়েলের সুরক্ষার অজুহাত দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডকে চালিয়ে যেতে সহায়তা করছে।
আমি কেবল একজন ফিলিস্তিনি হিসেবে এটি লিখছি না। কেবল একমাত্র পরিজন হারানো ব্যক্তি হিসেবে আমি এটি লিখছি না। আমি এমন একজন হিসেবে লিখছি, যে কিনা প্রয়োজনের সময়ে বিশ্বকে ব্যর্থ হতে দেখছে। গাজায় আমার পরিবার এখনো বাস্তুচ্যুত, এখনো অনাহারে, এখনো শোকাহত এবং এখনো অনিরাপদ।
আমি লন্ডন থেকে লিখছি, এখানে আমি মিছিল করছি, চিৎকার করছি, মিনতি করছি এবং কাঁদছি। আর এই সময়ে যুক্তরাজ্য সরকার বিতর্ক করছে যে, ইসরায়েলের কার্যকলাপ ‘অসামঞ্জস্য’ কি না বা এটি আন্তর্জাতিক আইন ‘লঙ্ঘন করছে’ কি না। কোনো এক রোববার সকালে এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার বলেছিলেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে কি না তা নির্ধারণ করা ‘তাদের অবস্থান নয়।’ অথচ ৮০০-এর বেশি ব্রিটিশ আইনজীবী ও বিচারক প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে একটি খোলাচিঠি সই করে ইসরায়েলের ‘আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের’ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তাঁদের কাছে যেন নৈতিকতা ঐচ্ছিক কোনো বিষয়। যেন যুক্তরাজ্যের আসল অবস্থান হত্যা বন্ধ করা নয়, বরং এই হত্যা সম্ভব করার জন্য অস্ত্র বিক্রি চালিয়ে যাওয়া। তারপর একই অনুষ্ঠানে বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনক জাতীয় টেলিভিশনে দাঁড়িয়ে কিয়ার স্টারমারকে ‘সন্ত্রাসীদের পক্ষে উল্লাস’ করার অভিযোগ করেন। কেন? কারণ তিনি স্বীকার করেছেন, ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করে থাকতে পারে।
ছয় শ দিনের হত্যাযজ্ঞ এবং এখনো, ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের একমাত্র প্রশ্ন হলো—কিন্তু হামাসের কী হবে? যেন এটি শিশুদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারাকে ন্যায্যতা দেয়। যেন এটি বেসামরিক নাগরিকদের ব্যাপক হত্যা ও একটি পুরো জনগোষ্ঠীর ধীর, ইচ্ছাকৃত অনাহারকে ক্ষমা করে। আমাকে পরিষ্কার করে বলতে দিন—যদি এটি গণহত্যা না হয়, তবে কী?
এই ৬০০ দিনে ইসরায়েল হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, গির্জা, বেকারি ও শরণার্থীশিবিরগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছে। তারা পুরো পরিবারকে হত্যা করেছে, নাগরিক রেজিস্ট্রি থেকে তাদের নাম-পদবি মুছে দিয়েছে। তারা সাংবাদিক, জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্র, সাহায্যকর্মী ও অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। তারা মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়েছে। তারা তাঁবুগুলোকে কফিনে পরিণত করেছে।
এসবের মধ্যেও পশ্চিমা নেতারা কেবল ফাঁকা বুলি, অস্পষ্ট ‘উদ্বেগ’ এবং অর্থহীন ‘সতর্কতা’র কথা বলে দায় সারছেন। যেন ইসরায়েলের আরও সতর্কতার প্রয়োজন। যেন প্রতিদিনের এই হত্যাযজ্ঞ যথেষ্ট সতর্কতা নয়।
আমার ছয় বছর বয়সী ভাগনি জুরি যখন মারা যায়, তখন সে তার বিছানায় ঘুমাচ্ছিল। আমাদের বাড়িসহ গাজার কোনো জায়গাই নিরাপদ নয় ইসরায়েলি বোমার আঘাত থেকে। আমাদের বাড়ি বোমা মেরে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমার পাঁচ বছর বয়সী আরেক ভাগনি আহত হয়েছিল। তার বাবা আহত হয়েছিলেন।
তার দাদাও আহত হয়েছিলেন। জুরির ছোট্ট দেহ আত্মীয়রা ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে বের করে এবং একটি গণকবরে সমাহিত করে তড়িঘড়ি। সেদিন এত বেশি মরদেহ ছিল যে সঠিকভাবে দাফন-কাফনও ছিল না। আপনি কীভাবে এর পক্ষে সাফাই দেবেন?
শিশুদের অনাহারে রাখা, রাফায় বোমা হামলা, হাসপাতালগুলোর আশপাশে আবিষ্কৃত গণকবর, সেখানে পাওয়া মরদেহগুলোতে নির্যাতন ও মৃত্যুদণ্ডের চিহ্ন ছিল—আপনি কীভাবে এগুলোকে ন্যায্যতা দেবেন? আপনি পারবেন না, কোনোভাবেই পারবেন না, যদি না আপনি বিশ্বাস করেন যে, ‘ফিলিস্তিনিদের জীবন মূল্যহীন।’
এটিই প্রতিটি অস্পষ্ট নিন্দা, প্রতিটি কাপুরুষোচিত ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশের পেছনের অলিখিত যুক্তি। কারণ, গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে যখন দুই ইসরায়েলি নিহত হয়, তখন তা আন্তর্জাতিক শিরোনাম হয়। কিন্তু যখন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু জবাই হয়, তখন বিশ্ব গণহত্যার সংজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক করে এবং হত্যাকারী রাষ্ট্রকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখে।
এটি সমান দুটি পক্ষের মধ্যকার যুদ্ধ নয়, এটি কখনোই ছিল না। এটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী যাকে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলো সমর্থন করছে, তাদের বিপরীতে পড়া শরণার্থী ও লাখো শিশুর এক অসম লড়াই। যেখানে পরের পক্ষের করার কিছুই নেই এবং বিশ্ব কেবল এটি ঘটতেই দেয়নি, তারা এটি ঘটাতে সাহায্য করেছে।
শুধু কিছু না করে নয়, বরং ভুল পথে অনেক কিছু করে তারা এটি করছে। তারা ভিন্নমত দমন করে, সাংবাদিকদের বরখাস্ত করে, প্রতিবাদ নিষিদ্ধ করে, সংহতিকে অপরাধমূলক কাজ হিসেবে গণ্য করে ইসরায়েলকে এই যুদ্ধ চালিয়ে নিতে সহায়তা করছে। যুক্তরাজ্যে আমি দেখেছি মানুষ কেবল ‘ফিলিস্তিন’ শব্দটি বলার জন্য চাকরি হারিয়েছে।
আমি ব্রিটিশ মিডিয়াকে ‘গণহত্যা’ বলতে অস্বীকার করতে দেখেছি। এমনকি যখন ইসরায়েলি মুখপাত্ররা মঞ্চে এসে ফিলিস্তিনি শিশুদের অস্তিত্বই অস্বীকার করেছেন, তখনো।
ছয় শ দিন। এটি কখনোই এত দীর্ঘস্থায়ী হওয়া উচিত ছিল না। প্রতিটি দিন এই নির্মমতা-বর্বরতা-গণহত্যা অব্যাহত থাকা কেবল একটি ট্র্যাজেডি নয়, এটি একটি পছন্দ। ইতিহাস মনে রাখবে, এই গণহত্যা গোপনে ঘটেনি। এটি সরাসরি ঘটেছে। হাই রেজল্যুশনে। প্রতিটি পর্দায়। প্রতিটি ভাষায়।
আমরা আপনাদের বলেছিলাম, এখনো বলছি—কী ঘটছে! এখন একমাত্র প্রশ্ন হলো—আর কত দিন লাগবে বিশ্বকে অবশেষে বলতে যে, যথেষ্ট হয়েছে?
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি গ্লোবালে লন্ডনপ্রবাসী ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আহমেদ নাজারের লেখা থেকে অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর ৬০০ দিন পার হয়েছে। অবিরাম বোমা হামলা, পরিকল্পিত অনাহার, ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও অবর্ণনীয় শোকের ৬০০ দিন। এই দীর্ঘ সময়ে ইসরায়েলি গণহত্যার বিপরীতে তথাকথিত সভ্য পশ্চিমা বিশ্ব কেবল নীরব দর্শক হয়ে থাকেনি, তারা প্রতিটি দিনকে ‘সম্ভব’ করে তুলেছে।
প্রায় ১৬ হাজার শিশুসহ ৫৫ হাজার ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার পরও ইসরায়েলকে যখন কোনো জবাবদিহির মুখে পড়তে হয় না, তখন তাকে কী বলা যায়? যখন অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়? যখন পানি, জ্বালানি, ওষুধ ও মানবিক সাহায্য পরিকল্পিতভাবে আটকে দেওয়া হয়—তখন সেটাকে আপনি কী বলবেন? আপনি একে গণহত্যা বলবেন।
এটা কেবল আমার কথা নয়। এটি শীর্ষস্থানীয় গণহত্যা গবেষক, প্রধান মানবাধিকার সংস্থা ও ক্রমবর্ধমানসংখ্যক জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের ব্যবহৃত শব্দ। জাতিসংঘের অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেসকা আলবানিজ ঘোষণা করেছেন, গাজায় গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে বলে ‘বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ’ রয়েছে।
জাতিসংঘের ২০ বিশেষজ্ঞের এক দল যৌথ বিবৃতিতে ‘প্রকাশ্য গণহত্যা’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাও এই সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছে। এমনকি আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল টম ফ্লেচারের মতো জ্যেষ্ঠ জাতিসংঘ মানবিক কর্মকর্তারাও গাজায় যা ঘটছে, তা বর্ণনা করতে প্রকাশ্যে এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
এটি কেবল আইনি কৌশলগত বিষয় নয়, এটি একটি নৈতিক বিপদ সংকেত। ফিলিস্তিনিরা প্রায় দুই বছর ধরে যা চিৎকার করে বলে আসছেন, তার সঙ্গে মানবাধিকার সংস্থাগুলো ধীরে ধীরে তাল মেলালেও গাজায় বোমা পড়ছেই, শিশুরা মারা যাচ্ছে এবং পশ্চিমা সরকারগুলো তাদের অস্ত্র দিয়ে, ইসরায়েলের সুরক্ষার অজুহাত দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডকে চালিয়ে যেতে সহায়তা করছে।
আমি কেবল একজন ফিলিস্তিনি হিসেবে এটি লিখছি না। কেবল একমাত্র পরিজন হারানো ব্যক্তি হিসেবে আমি এটি লিখছি না। আমি এমন একজন হিসেবে লিখছি, যে কিনা প্রয়োজনের সময়ে বিশ্বকে ব্যর্থ হতে দেখছে। গাজায় আমার পরিবার এখনো বাস্তুচ্যুত, এখনো অনাহারে, এখনো শোকাহত এবং এখনো অনিরাপদ।
আমি লন্ডন থেকে লিখছি, এখানে আমি মিছিল করছি, চিৎকার করছি, মিনতি করছি এবং কাঁদছি। আর এই সময়ে যুক্তরাজ্য সরকার বিতর্ক করছে যে, ইসরায়েলের কার্যকলাপ ‘অসামঞ্জস্য’ কি না বা এটি আন্তর্জাতিক আইন ‘লঙ্ঘন করছে’ কি না। কোনো এক রোববার সকালে এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার বলেছিলেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে কি না তা নির্ধারণ করা ‘তাদের অবস্থান নয়।’ অথচ ৮০০-এর বেশি ব্রিটিশ আইনজীবী ও বিচারক প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে একটি খোলাচিঠি সই করে ইসরায়েলের ‘আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের’ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তাঁদের কাছে যেন নৈতিকতা ঐচ্ছিক কোনো বিষয়। যেন যুক্তরাজ্যের আসল অবস্থান হত্যা বন্ধ করা নয়, বরং এই হত্যা সম্ভব করার জন্য অস্ত্র বিক্রি চালিয়ে যাওয়া। তারপর একই অনুষ্ঠানে বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনক জাতীয় টেলিভিশনে দাঁড়িয়ে কিয়ার স্টারমারকে ‘সন্ত্রাসীদের পক্ষে উল্লাস’ করার অভিযোগ করেন। কেন? কারণ তিনি স্বীকার করেছেন, ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করে থাকতে পারে।
ছয় শ দিনের হত্যাযজ্ঞ এবং এখনো, ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের একমাত্র প্রশ্ন হলো—কিন্তু হামাসের কী হবে? যেন এটি শিশুদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারাকে ন্যায্যতা দেয়। যেন এটি বেসামরিক নাগরিকদের ব্যাপক হত্যা ও একটি পুরো জনগোষ্ঠীর ধীর, ইচ্ছাকৃত অনাহারকে ক্ষমা করে। আমাকে পরিষ্কার করে বলতে দিন—যদি এটি গণহত্যা না হয়, তবে কী?
এই ৬০০ দিনে ইসরায়েল হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, গির্জা, বেকারি ও শরণার্থীশিবিরগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছে। তারা পুরো পরিবারকে হত্যা করেছে, নাগরিক রেজিস্ট্রি থেকে তাদের নাম-পদবি মুছে দিয়েছে। তারা সাংবাদিক, জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্র, সাহায্যকর্মী ও অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। তারা মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়েছে। তারা তাঁবুগুলোকে কফিনে পরিণত করেছে।
এসবের মধ্যেও পশ্চিমা নেতারা কেবল ফাঁকা বুলি, অস্পষ্ট ‘উদ্বেগ’ এবং অর্থহীন ‘সতর্কতা’র কথা বলে দায় সারছেন। যেন ইসরায়েলের আরও সতর্কতার প্রয়োজন। যেন প্রতিদিনের এই হত্যাযজ্ঞ যথেষ্ট সতর্কতা নয়।
আমার ছয় বছর বয়সী ভাগনি জুরি যখন মারা যায়, তখন সে তার বিছানায় ঘুমাচ্ছিল। আমাদের বাড়িসহ গাজার কোনো জায়গাই নিরাপদ নয় ইসরায়েলি বোমার আঘাত থেকে। আমাদের বাড়ি বোমা মেরে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমার পাঁচ বছর বয়সী আরেক ভাগনি আহত হয়েছিল। তার বাবা আহত হয়েছিলেন।
তার দাদাও আহত হয়েছিলেন। জুরির ছোট্ট দেহ আত্মীয়রা ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে বের করে এবং একটি গণকবরে সমাহিত করে তড়িঘড়ি। সেদিন এত বেশি মরদেহ ছিল যে সঠিকভাবে দাফন-কাফনও ছিল না। আপনি কীভাবে এর পক্ষে সাফাই দেবেন?
শিশুদের অনাহারে রাখা, রাফায় বোমা হামলা, হাসপাতালগুলোর আশপাশে আবিষ্কৃত গণকবর, সেখানে পাওয়া মরদেহগুলোতে নির্যাতন ও মৃত্যুদণ্ডের চিহ্ন ছিল—আপনি কীভাবে এগুলোকে ন্যায্যতা দেবেন? আপনি পারবেন না, কোনোভাবেই পারবেন না, যদি না আপনি বিশ্বাস করেন যে, ‘ফিলিস্তিনিদের জীবন মূল্যহীন।’
এটিই প্রতিটি অস্পষ্ট নিন্দা, প্রতিটি কাপুরুষোচিত ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশের পেছনের অলিখিত যুক্তি। কারণ, গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে যখন দুই ইসরায়েলি নিহত হয়, তখন তা আন্তর্জাতিক শিরোনাম হয়। কিন্তু যখন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু জবাই হয়, তখন বিশ্ব গণহত্যার সংজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক করে এবং হত্যাকারী রাষ্ট্রকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখে।
এটি সমান দুটি পক্ষের মধ্যকার যুদ্ধ নয়, এটি কখনোই ছিল না। এটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী যাকে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলো সমর্থন করছে, তাদের বিপরীতে পড়া শরণার্থী ও লাখো শিশুর এক অসম লড়াই। যেখানে পরের পক্ষের করার কিছুই নেই এবং বিশ্ব কেবল এটি ঘটতেই দেয়নি, তারা এটি ঘটাতে সাহায্য করেছে।
শুধু কিছু না করে নয়, বরং ভুল পথে অনেক কিছু করে তারা এটি করছে। তারা ভিন্নমত দমন করে, সাংবাদিকদের বরখাস্ত করে, প্রতিবাদ নিষিদ্ধ করে, সংহতিকে অপরাধমূলক কাজ হিসেবে গণ্য করে ইসরায়েলকে এই যুদ্ধ চালিয়ে নিতে সহায়তা করছে। যুক্তরাজ্যে আমি দেখেছি মানুষ কেবল ‘ফিলিস্তিন’ শব্দটি বলার জন্য চাকরি হারিয়েছে।
আমি ব্রিটিশ মিডিয়াকে ‘গণহত্যা’ বলতে অস্বীকার করতে দেখেছি। এমনকি যখন ইসরায়েলি মুখপাত্ররা মঞ্চে এসে ফিলিস্তিনি শিশুদের অস্তিত্বই অস্বীকার করেছেন, তখনো।
ছয় শ দিন। এটি কখনোই এত দীর্ঘস্থায়ী হওয়া উচিত ছিল না। প্রতিটি দিন এই নির্মমতা-বর্বরতা-গণহত্যা অব্যাহত থাকা কেবল একটি ট্র্যাজেডি নয়, এটি একটি পছন্দ। ইতিহাস মনে রাখবে, এই গণহত্যা গোপনে ঘটেনি। এটি সরাসরি ঘটেছে। হাই রেজল্যুশনে। প্রতিটি পর্দায়। প্রতিটি ভাষায়।
আমরা আপনাদের বলেছিলাম, এখনো বলছি—কী ঘটছে! এখন একমাত্র প্রশ্ন হলো—আর কত দিন লাগবে বিশ্বকে অবশেষে বলতে যে, যথেষ্ট হয়েছে?
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি গ্লোবালে লন্ডনপ্রবাসী ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আহমেদ নাজারের লেখা থেকে অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান

তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৬ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর ৬০০ দিন পার হয়েছে। অবিরাম বোমা হামলা, পরিকল্পিত অনাহার, ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও অবর্ণনীয় শোকের ৬০০ দিন। এই দীর্ঘ সময়ে ইসরায়েলি গণহত্যার বিপরীতে তথাকথিত সভ্য পশ্চিমা বিশ্ব কেবল নীরব দর্শক হয়ে থাকেনি, তারা প্রতিটি দিনকে ‘সম্ভব’ করে তুলেছে।
২৮ মে ২০২৫
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৬ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর ৬০০ দিন পার হয়েছে। অবিরাম বোমা হামলা, পরিকল্পিত অনাহার, ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও অবর্ণনীয় শোকের ৬০০ দিন। এই দীর্ঘ সময়ে ইসরায়েলি গণহত্যার বিপরীতে তথাকথিত সভ্য পশ্চিমা বিশ্ব কেবল নীরব দর্শক হয়ে থাকেনি, তারা প্রতিটি দিনকে ‘সম্ভব’ করে তুলেছে।
২৮ মে ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৬ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর ৬০০ দিন পার হয়েছে। অবিরাম বোমা হামলা, পরিকল্পিত অনাহার, ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও অবর্ণনীয় শোকের ৬০০ দিন। এই দীর্ঘ সময়ে ইসরায়েলি গণহত্যার বিপরীতে তথাকথিত সভ্য পশ্চিমা বিশ্ব কেবল নীরব দর্শক হয়ে থাকেনি, তারা প্রতিটি দিনকে ‘সম্ভব’ করে তুলেছে।
২৮ মে ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর ৬০০ দিন পার হয়েছে। অবিরাম বোমা হামলা, পরিকল্পিত অনাহার, ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও অবর্ণনীয় শোকের ৬০০ দিন। এই দীর্ঘ সময়ে ইসরায়েলি গণহত্যার বিপরীতে তথাকথিত সভ্য পশ্চিমা বিশ্ব কেবল নীরব দর্শক হয়ে থাকেনি, তারা প্রতিটি দিনকে ‘সম্ভব’ করে তুলেছে।
২৮ মে ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৬ ঘণ্টা আগে