Ajker Patrika

ত্রাণ সংস্থার ঠিকাদাররাও ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের গুলি করেছে: বিবিসির প্রতিবেদন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৫, ১২: ৩০
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রায়ই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। ছবি: এএফপি
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রায়ই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। ছবি: এএফপি

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত মানবিক সংগঠন গাজা হিউম্যানিটিরিয়ান ফাউন্ডেশনকে (জিএইচএফ) নিয়ে বিতর্ক দিনে দিনে বাড়ছেই। সংস্থাটির ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে কীভাবে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হয়, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন সংস্থাটির সাবেক এক নিরাপত্তা ঠিকাদার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি জানান, কোনো কারণ ছাড়াই ত্রাণ নিতে আসা অভুক্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা।

উদাহরণ হিসেবে একটি নির্দিষ্ট ঘটনা তুলে ধরেন তিনি। জানান, শুধু ত্রাণকেন্দ্র ছাড়তে দেরি হচ্ছিল বলে একদল নারী, শিশু আর বৃদ্ধের ওপর মেশিনগান দিয়ে গুলিবর্ষণ করে ইসরায়েলি সেনারা। তিনি বলেন, ‘যখন নারী-শিশু-বৃদ্ধদের ওপর গুলি চালানো হলো, তখন সেখানে থাকা আরেকজন ঠিকাদার, যিনি বের হওয়ার পথের ওপরে একটি উঁচু মাটির বাঁধে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি ভিড়ের দিকে টানা ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড গুলি চালান। একজন ফিলিস্তিনি পুরুষ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকজন ঠিকাদার বলল, দারুণ! মনে হচ্ছে তুমি একটা স্কোর করেছ! এরপর তারা এ ঘটনা নিয়ে হাসাহাসি করতে শুরু করে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ঠিকাদার বিবিসিকে বলেন, তিনি জিএইচএফ কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা এটিকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। তাদের ভাষ্য ছিল—হয়তো ফিলিস্তিনি ওই লোকটি অসাবধানতাবশত পড়ে গেছে, অথবা দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। বিবিসি এ বিষয়ে জিএইচএফের কাছে জানতে চাইলে তারা তা পুরোপুরি অস্বীকার করে। তাদের দাবি—জিএইচএফের ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে কখনো বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি।

চলতি বছরের মে মাসে গাজায় কার্যক্রম শুরু করে বিতর্কিত এই মানবিক সংগঠন। মূলত দক্ষিণ এবং মধ্য গাজায় একাধিক ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র থেকে ত্রাণ বিতরণ করে তারা। তবে, শুরু থেকেই ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে সংস্থাটি। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো এটিকে গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার একটি কৌশল বলে অভিহিত করেছে। তাদের অভিযোগ—খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিদিন শত শত ফিলিস্তিনিকে ভয়ংকর যুদ্ধক্ষেত্রে ঠেলে দিচ্ছে এই সংগঠন।

গত মে থেকে এখন পর্যন্ত জিএইচএফের ত্রাণ নিতে গিয়ে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের নির্বিচার গুলিতে নিহত হয়েছেন চার শতাধিক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের সাফাই—তারা কেবল ‘হুমকি’ হতে পারে এমন মানুষের ওপরই হামলা চালায়। হামাসের হাতে যাতে ত্রাণ না পৌঁছায় সে জন্যই জিএইচএফের কার্যক্রম এমন কঠোর নজরদারিতে থাকে বলে দাবি ইসরায়েলের।

খোদ ত্রাণ সংস্থার নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে ফিলিস্তিনি নিহতের বিষয়ে জিএইচএফের দাবি, যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো তুলছেন, তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে তিনি এসব মিথ্যা বলে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওই সাবেক ঠিকাদার বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন, তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি, বরং তিনি নিজেই চাকরি ছেড়েছেন।

জিএইএফের চারটি বিতরণ কেন্দ্রেই কাজ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, সবগুলো বিতরণ কেন্দ্রেই দায়মুক্তির সংস্কৃতি বিরাজ করছে, নেই কোনো সুষ্ঠু নিয়মকানুন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ঠিকাদারদের কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা বা মানসম্মত কর্মপদ্ধতি দেওয়া হয়নি। বরং দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নেতা তাঁদের বলেছিলেন, ‘হুমকি মনে হলেই নির্দয়ভাবে গুলি চালাবে, পরে ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে।’

তিনি বলেন, ‘কোম্পানির ভেতরের মানসিকতা এমন ছিল যে, আমরা গাজায় যাচ্ছি। সুতরাং কোনো নিয়ম নেই, যার যা খুশি করো। কিন্তু কোনো বেসামরিক ফিলিস্তিনি হুমকিস্বরূপ আচরণ না করা সত্ত্বেও গুলি চালানোর অর্থ ফৌজদারি অপরাধ করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি সাইটে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়। সব প্রমাণ থাকার পরও জিএইচএফ বলছে, সেখানে কোনো বেসামরিককে কখনো গুলি করা হয়নি। এটা একটা নির্লজ্জ মিথ্যা ছাড়া আর কী?’

চলতি সপ্তাহে ১৭০টির বেশি দাতব্য সংস্থা ও এনজিও জিএইচএফের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে। অক্সফাম ও সেভ দ্য চিলড্রেনসহ এসব সংগঠন বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী ও সশস্ত্র দলগুলো নিয়মিতভাবে ত্রাণ চাইতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায়। তবে ইসরায়েলের দাবি, তাদের সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণ নিতে আসা লোকজনের ওপর গুলি চালায় না।

তারা আরও দাবি করেছে, জিএইচএফ পাঁচ সপ্তাহে ৫ কোটি ২০ লাখ খাবার বিতরণ করেছে। অন্য সংস্থাগুলোর সমালোচনা করে জিএইচএফ বলেছে, তারা কঠোর বলেই তাদের ত্রাণ দুস্থদের কাছে পৌঁছাচ্ছে। আর অন্য সংস্থাগুলোর ত্রাণ লুট হয়ে যায়, তারা শুধু সেটি চেয়ে চেয়ে দেখে!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেনিনে সামরিক অভ্যুত্থান ঠেকিয়ে দিল সরকার অনুগত সেনারা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মিলিটারি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন নামের সেনাবাহিনীর একটি অংশ প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালনকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
মিলিটারি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন নামের সেনাবাহিনীর একটি অংশ প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালনকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে একটি অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলাসান সাইদু। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ভোরে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি অংশ রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালানোর পর এ ঘোষণা আসে। এর আগে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পাসকাল টিগরির নেতৃত্বে একদল সৈন্য রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে হাজির হয়ে জানিয়েছিল, তারা প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালনকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে এবং সংবিধান স্থগিত করেছে।

ওই ঘটনার পর কোটোনুতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে গুলিবর্ষণের খবর দেয় দেশটিতে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস। প্রত্যক্ষদর্শীরাও গুলির শব্দ শোনার কথা জানান। এমনকি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিককে জিম্মি করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। পরে প্রেসিডেন্টের এক উপদেষ্টা বিবিসিকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্যালন নিরাপদ আছেন এবং বর্তমানে ফরাসি দূতাবাসে অবস্থান করছেন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলাসান সাইদু বলেন, আজ ভোরের দিকে সৈন্যদের একটি ছোট দল রাষ্ট্র ও এর প্রতিষ্ঠানগুলোকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একটি বিদ্রোহ শুরু করে। তবে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ও অনুগত সদস্যরা শপথের প্রতি অটল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। তাঁদের দ্রুত পদক্ষেপের কারণেই এই অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

সরকার জনগণকে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে কোটোনু শহরের আকাশে হেলিকপ্টার টহল দেখা গেছে। নগরের বিভিন্ন সড়ক সামরিক বাহিনী অবরুদ্ধ করে রাখে এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ভারী অস্ত্রসজ্জিত সেনা মোতায়েন করা হয়।

ফরাসি উপনিবেশ বেনিনকে পশ্চিম আফ্রিকার তুলনামূলক স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখা হয়। দেশটি আফ্রিকার অন্যতম বড় তুলা উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। তবে এটি এখনো বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর একটি।

অভ্যুত্থানের চেষ্টার পর ফরাসি ও রুশ দূতাবাস তাদের নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জনগণকে কোটোনুর প্রেসিডেন্ট কম্পাউন্ড এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

কেন অভ্যুত্থানের চেষ্টা

মিলিটারি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন নামের বিদ্রোহী সেনারা প্রেসিডেন্ট ট্যালনের শাসনব্যবস্থার সমালোচনা করে অভ্যুত্থানের যৌক্তিকতা তুলে ধরে। এক বিবৃতিতে তারা বলে, ভ্রাতৃত্ব, ন্যায়বিচার ও কাজের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বেনিনের জনগণকে একটি নতুন যুগের আশা দিতে সেনাবাহিনী দৃঢ় অঙ্গীকার করছে।

প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালন পশ্চিমা দেশগুলোর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি আগামী বছর দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। এপ্রিল মাসে নির্বাচনের নির্ধারিত সময় রয়েছে। তুলা ব্যবসায় ‘কিং অব কটন’ নামে পরিচিত ট্যালন ২০১৬ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসেন। তিনি তৃতীয় মেয়াদে না যাওয়ার কথা বলেছেন এবং উত্তরসূরি হিসেবে অর্থমন্ত্রী রোমুয়াল্ড ওয়াদাগনিকে সমর্থন দিচ্ছেন।

তবে তাঁর সরকার বিভিন্ন অভিযোগে সমালোচিত। গত অক্টোবর মাসে নির্বাচন কমিশন দেশটির প্রধান বিরোধী প্রার্থীকে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার অজুহাতে নির্বাচন থেকে বাদ দেয়। গত মাসে সংসদ কয়েকটি সাংবিধানিক সংশোধনী পাস করেছে, যার মধ্যে দ্বিতীয় সংসদীয় কক্ষ সিনেট গঠনের বিষয়টি রয়েছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে সাত বছর করা হলেও প্রেসিডেন্টের দুই মেয়াদসীমা বহাল রাখা হয়েছে।

এ ঘটনার ঠিক আগে গত ২৮ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী গিনি বিসাউতে প্রেসিডেন্ট উমারু সিসোকো এমবালো ক্ষমতাচ্যুত হন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুরকিনা ফাসো, গিনি, মালি ও নাইজারে একের পর এক অভ্যুত্থান ঘটেছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তাসংকট বাড়িয়েছে।

এদিকে, রাশিয়া এই সাহেল অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসো ইকোওয়াস ছেড়ে অ্যালায়েন্স অব সাহেল স্টেটস নামে নতুন জোট গঠন করেছে।

বিবিসি মনিটরিং জানিয়েছে, বেনিনের অভ্যুত্থানচেষ্টার খবর রুশপন্থী কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে ঢাকঢোল পিটিয়ে শেয়ার করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেনিনে জঙ্গি তৎপরতাও বেড়েছে। ইসলামিক স্টেট ও আল কায়েদা সংযুক্ত গোষ্ঠীগুলোর প্রভাব দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের দিকে বিস্তৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চীনের বিরুদ্ধে এককাট্টা জাপান ও অস্ট্রেলিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
টোকিওতে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি (ডানে) ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস। ছবি: নিক্কেই এশিয়া
টোকিওতে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি (ডানে) ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস। ছবি: নিক্কেই এশিয়া

জাপান ও অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে। শনিবার দক্ষিণ-পশ্চিম ওকিনাওয়ার আকাশে চীনা যুদ্ধবিমান জাপানের আত্মরক্ষা বাহিনীর (এসডিএফ) ফাইটার জেটের ওপর রাডার লক করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পরদিনই রোববার (৭ ডিসেম্বর) টোকিওতে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত এসেছে।

জাপান জানিয়েছে, চীনা বিমানবাহী রণতরী ‘লিয়াওনিং’ থেকে উড্ডয়ন করা জে–১৫ যুদ্ধবিমান দুপুর ও সন্ধ্যায় দুই দফায় জাপানি এফ–১৫ জেটের ওপর রাডার লক করে। এই ঘটনা নিরাপত্তা ইস্যুতে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস বলেছেন, ‘গত রাতের ঘটনা উদ্বেগজনক। অস্ট্রেলিয়াও সম্প্রতি চীনের সঙ্গে এমন আচরণের অভিজ্ঞতা পেয়েছে। এই অঞ্চলে নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থা রক্ষায় আমরা জাপানের পাশে থাকব এবং দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেব।’

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি রাডার লকের ঘটনাটিকে ‘বিপজ্জনক ও অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা শান্তভাবে কিন্তু দৃঢ়তার সঙ্গে এমন কর্মকাণ্ডের জবাব দেব, যাতে এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’

বৈঠকের আগে অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী জাপানের প্রতিরক্ষা দপ্তরে প্যাট্রিয়ট অ্যাডভান্সড ক্যাপাবিলিটি–৩ (পিএসি-৩) ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।

চলতি বছরের আগস্টে অস্ট্রেলিয়া তার নতুন নৌবহরের জন্য জাপানের উন্নত মোগামি-শ্রেণির যুদ্ধজাহাজকে প্রাধান্য দেয়। এই জাহাজ মোট ১১টি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার—যার প্রথম তিনটি জাপানে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বিশ্লেষকদের মতে, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার নতুন এই সমঝোতা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তার ভারসাম্য ও চীনের প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগুন দেখে ‘মেহবুবা মেহবুবা’ গান আরও জমে যায়—সেই আগুনই কেড়ে নিল ২৫ প্রাণ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৬
মঞ্চের পেছনের দিকে ছাদে এভাবেই উঁকি দেয় আগুন। ছবিটি ভিডিও থেকে নেওয়া
মঞ্চের পেছনের দিকে ছাদে এভাবেই উঁকি দেয় আগুন। ছবিটি ভিডিও থেকে নেওয়া

ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’। শনিবার রাতে সেখানেই ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬ জন।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আগুন লাগার সেই মুহূর্তটিতে প্রায় ১০০ পর্যটক ক্লাবের ঘোষিত ‘বলিউড ব্যাঞ্জার নাইট’ উপভোগ করছিলেন। একটি ভিডিওতে দেখা যায়—নির্ধারিত মঞ্চে একজন নৃত্যশিল্পী বলিউডের বিখ্যাত গান ‘মেহবুবা ও মেহবুবা’–র তালে নাচছেন। গানের সুর, নাচ, ভিড়ের উল্লাস, আর সংগীতশিল্পীদের বাদ্যযন্ত্রে একাকার হয়ে যায় অনুষ্ঠানের স্থানটি।

হঠাৎই মঞ্চের পেছনে থাকা কনসোলের ওপর আগুনের শিখা দেখা যায়। এই আগুন দেখে দর্শকেরা প্রথমে কোনো গুরুত্বই দেননি, বরং তাঁদের উচ্ছ্বাস আরও নতুন মাত্রা পায়। নৃত্যশিল্পীকে উদ্দেশ্য করে কেউ কেউ তো মজা করে বলেও ফেলেন—‘আগুন লাগিয়ে দিলেন আপনি!’

আগুন যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে তখনই টনক নড়ে শিল্পী ও দর্শকদের। আগুনের শিখা বড় হতে থাকলে সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং দর্শকেরা আতঙ্কে চারদিকে সরে যেতে থাকেন।

মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই আগুন ক্লাবের ছাদজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ২৫ জন এবং আহত হন আরও ৬ জন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, ক্লাবের সংকীর্ণ প্রবেশপথ ও নির্গমন পথ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। অনেকে বাইরে বের হতে পারলেও কিছু পর্যটক ক্লাবটির রান্নাঘরে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং সেখানে আটকে যান।

দমকল কর্মকর্তারা জানান, ক্লাব পর্যন্ত সরাসরি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, কারণ রাস্তা খুবই সরু ছিল। ফলে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে গাড়ি থামিয়ে পাইপ ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়—যা উদ্ধারকাজকে আরও বিলম্বিত করে।

গোয়ায় এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে আগুন ওপরের তলায় শুরু হয়। সংকীর্ণ দরজা এবং বায়ু চলাচলের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে বের হতে পারেননি এবং দমবন্ধ হয়ে মারা গেছেন।’

ঘটনার পর ইতিমধ্যে ক্লাবের মালিক ও ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি অগ্নি নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনের বিষয়েও তদন্ত চলছে।

মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়ে বলেছেন, সরকার আর্থিক সহায়তা দেবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফ্যাক্টচেকার ও কনটেন্ট মডারেটরদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নতুন এ নির্দেশনা সবার আগে এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
নতুন এ নির্দেশনা সবার আগে এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

যুক্তরাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে—এমন বিদেশিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফ্যাক্টচেকিং, কনটেন্ট মডারেশন, ভুল তথ্য প্রতিরোধ বা অনলাইন নিরাপত্তায় কাজ করেছেন—এমন ব্যক্তিরা এই নীতির আওতায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ নির্দেশনার বিষয়ে প্রথমে বার্তা রয়টার্স ও পরে এনপিআরে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংশ্লিষ্ট খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসগুলোকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ‘সুরক্ষিত মতপ্রকাশ’ (বাক্‌স্বাধীনতা) বা ফ্রি স্পিচ দমনে যারা ‘দায়ী বা জড়িত’—তাদের ভিসা আবেদন অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করতে হবে।

চিঠির তথ্য অনুযায়ী, ভিসা আবেদনকারীদের অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে যাদের ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তি, কনটেন্ট মডারেশন, ফ্যাক্টচেকিং, ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি, অনলাইন নিরাপত্তার মতো কাজে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যাবে।

দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আবেদনকারীর লিংকডইন প্রোফাইলসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদ প্রতিবেদনে তাঁদের কোনো লেখা বা প্রতিবেদন থাকলে সে সম্পর্কেও খোঁজ নিতে হবে।

যদি কোনো তথ্য পাওয়া যায় যে আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ‘আবেদনকারীকে ভিসার জন্য অযোগ্য’ ঘোষণা করবেন।

নতুন এই নির্দেশনা সবার আগে এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সাধারণত প্রযুক্তি খাতসহ উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশি কর্মীদের এই ভিসা দেওয়া হয়। যদিও নির্দেশনাটি শেষ পর্যন্ত সব ধরনের ভিসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসে আমাদের মুখ বন্ধ করার মতো কাজ করবে, এমন কোনো কর্মকাণ্ড আমরা সমর্থন করি না। প্রেসিডেন্ট নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যায়ভাবে সেন্সরশিপের শিকার হয়েছেন। তিনি চান না, আমেরিকার অন্য নাগরিকেরা এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন।’

এর আগে গত মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছিলেন, ‘যারা আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করবে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।’

তবে অনেকেই বলছেন, ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটির কাজকে ‘সেন্সরশিপ’ বলা হলে ব্যাপক ক্ষতি হবে।

ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান (বিপিও) পার্টনারহিরোর ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালিস গোগুয়েন হান্সবার্গার বলেন, ‘শিশু সুরক্ষা, অনলাইন প্রতারণা, জালিয়াতি, যৌন অপরাধ ঠেকানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটির আওতায় পড়ে। এটিকে সেন্সরশিপ হিসেবে দেখানো উদ্বেগজনক।’

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটাল হিল দাঙ্গার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল। এর পর থেকে ট্রাম্প নিয়মিতভাবেই প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তবে নতুন এই ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসন সীমিত করার লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত