আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে লিবিয়ায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিয়া ধর্মীয় নেতা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইমাম মুসা আল-সদরের রহস্য আজও অমীমাংসিত। তাঁর গায়েব হওয়ার ঘটনায় লেবাননসহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জন্ম নেয় অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা। সম্প্রতি ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক হাসান উগাইল একটি ছবির বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন—লিবিয়ার এক গোপন মর্গে ২০১১ সালে পাওয়া একটি দেহ হয়তো মুসা আল-সদরেরই হতে পারে।
রহস্যের সূচনা
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৭৮ সালের আগস্ট মাসে লেবাননের জনপ্রিয় এই নেতা লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির আমন্ত্রণে ত্রিপোলি সফরে যান। সেই সময় লেবানন গৃহযুদ্ধে জর্জরিত ছিল, দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করছিল। সদর চেয়েছিলেন গাদ্দাফিকে বোঝাতে যেন তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রভাবিত করে লেবাননের সাধারণ মানুষকে সংঘাত থেকে রক্ষা করেন।
কিন্তু ৩১ আগস্ট সদরকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ত্রিপোলির এক হোটেল থেকে বেরিয়ে যেতে। গাদ্দাফির নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করে, তিনি রোমে উড়ে গেছেন। কিন্তু তদন্তে প্রমাণিত হয়—সেই দাবি ছিল মিথ্যা। এরপর থেকেই শুরু হয় এক দীর্ঘ রহস্য, যা আজও শেষ হয়নি।
সদরের জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক প্রভাব
১৯২৮ সালে ইরানে জন্ম নেওয়া মুসা আল-সদর ১৯৫৯ সালে লেবাননে যান। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি লেবাননের শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে একজন অগ্রগণ্য নেতা হয়ে ওঠেন। ১৯৭৪ সালে তিনি গঠন করেন মুভমেন্ট অব দ্য ডিপ্রাইভড, যা শিয়াদের সামাজিক-রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সব ধর্মের গরিব মানুষের জন্য কাজ করত। এমনকি তিনি খ্রিষ্টান গির্জায়ও বক্তব্য রেখেছেন—যাতে বোঝা যায় তিনি কতটা অসাম্প্রদায়িক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির ছিলেন।

শিয়ারা তাঁকে জীবিত অবস্থাতেই ‘ইমাম’ উপাধি দিয়েছিল, যা অত্যন্ত বিরল সম্মান। তাঁর গায়েব হয়ে যাওয়া শিয়াদের বিশ্বাসে এক গভীর ধর্মীয় প্রতীকী অর্থও পেয়েছে। শিয়া দ্বাদশী মতবাদে ‘গায়েব ইমাম’ নামে একটি ধারণাও রয়েছে। সদরের নিখোঁজ হওয়াও তাঁদের কাছে এক ধরনের আধ্যাত্মিক রহস্য হয়ে উঠেছিল।
২০১১ সালে রহস্যের নতুন অধ্যায়
গাদ্দাফি বিরোধী আরব বসন্তের সময় লিবিয়ায় বিপ্লব শুরু হলে কিছু অজানা তথ্য সামনে আসে। লেবানিজ-সুইডিশ সাংবাদিক কাসেম হামাদে ত্রিপোলির এক গোপন মর্গে প্রবেশের সুযোগ পান। সেখানে প্রায় ১৭টি দেহ সংরক্ষিত ছিল—যার মধ্যে একটির উচ্চতা এবং গড়ন সদরের সঙ্গে মিলে যায়। ছবিতে দেখা যায়, মৃতদেহটির মাথার খুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত—যা দেখে অনুমান করা হয়, হয়তো তাকে গুলি করা হয়েছিল।

কাসেম দেহটির ছবি তোলেন এবং কিছু চুল সংগ্রহ করে লেবাননের রাজনৈতিক নেতাদের হাতে দেন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। কিন্তু রহস্যজনকভাবে সেই নমুনাও হারিয়ে যায়।
আধুনিক প্রযুক্তির বিশ্লেষণ
ব্রিটেনের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাসান উগাইল ও তাঁর দল দেহটির ছবির সঙ্গে মুসা সাদরের জীবদ্দশার একাধিক ছবির তুলনা করেন। তাঁদের তৈরি ‘ডিপ ফেস রিকগনিশন’ অ্যালগরিদম অনুযায়ী, ছবিটির মিল ৬০ শতাংশের বেশি—যা প্রমাণ করে এটি হয়তো সদর অথবা তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের দেহ।
অধ্যাপক উগাইল বলেন, ‘এই ফলাফল উচ্চ সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয় যে, ছবিটি ইমাম মুসা সাদরেরই।’ যদিও নিশ্চিত প্রমাণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা অপরিহার্য।

সাংবাদিকদের আটক ও ঝুঁকিপূর্ণ অনুসন্ধান
বিবিসি টিম এই অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে লিবিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটক হয়। ছয় দিন কারাগারে অমানবিক অবস্থায় কাটানোর পর তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, গাদ্দাফি যুগের প্রভাবশালীরা এখনো এই রহস্য উন্মোচন হোক তা চান না।
কেন গাদ্দাফি সদরকে হত্যা করতে চাইতেন?
বিভিন্ন বিশ্লেষকের মতে, এর পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। গাদ্দাফি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সহায়তা দিচ্ছিলেন, আর সাদর হয়তো তাঁদের লাগাম টানতে চাইছিলেন। ইরানের কট্টরপন্থী বিপ্লবীরা সদরের মধ্যপন্থী অবস্থানকে ভয় পেতেন। তাঁর প্রভাব থাকলে হয়তো ইরানি বিপ্লব ভিন্ন পথে যেতে পারত।
কিছু সূত্র বলছে, তৎকালীন শাহ অব ইরানের কাছে সদর একটি চিঠি লিখেছিলেন। এতে তিনি কট্টরপন্থীদের শক্তি ভাঙতে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই তথ্য প্রকাশ পেয়ে গেলে বিপ্লবীরা ক্ষিপ্ত হয়েছিল।
লেবাননে সাদরের উত্তরাধিকার
আজও লেবাননের শিয়া রাজনীতি সদরের স্মৃতি ঘিরেই আবর্তিত হয়। তাঁর প্রতিষ্ঠিত আন্দোলন ‘আমল’ বর্তমানে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। আমলের নেতা ও লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরি জোর দিয়ে বলেন—সদর জীবিত আছেন এবং লিবিয়ার কারাগারে আটক। যদিও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রতি বছর ৩১ আগস্ট তাঁকে স্মরণ করে শোক পালিত হয়।

রহস্য কি শেষ হবে?
সত্যিই কি ২০১১ সালে পাওয়া দেহটি মুসা আল-সাদরের? ফেসিয়াল রিকগনিশন ফলাফল তাই বলছে। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়তো এখনো তা অস্বীকার করা হচ্ছে। সদরের ছেলে সাইয়্যেদ সাদরেদ্দিন সদর বলেছেন—ছবিতে দেখা দেহ তাঁর বাবার নয়। কেউ কেউ এই বক্তব্যটিকেও রাজনৈতিক হিসেবে মনে করছেন।
তবে ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া এই রহস্যের অবসান হবে না। কাসেমের সংগ্রহ করা চুলের নমুনা যদি হারিয়ে না যেত, হয়তো এখনই সত্য জানা যেত।
ইমাম মুসা আল-সদরের নিখোঁজ হওয়া শুধু এক ব্যক্তির অন্তর্ধান নয়—বরং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ইতিহাসে এক বড় মোড়। যদি সত্যিই প্রমাণিত হয় যে, তিনি গাদ্দাফির কারাগারে খুন হয়েছেন, তাহলে তা শুধু তাঁর অনুসারীদের জন্য নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলের ইতিহাসে নতুন আলো ফেলবে। আর যদি তিনি এখনো জীবিত থাকেন, তবে সেটি হবে একবিংশ শতকের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিস্ময়।
একটি ছবির বিশ্লেষণ কি ৫০ বছরের পুরোনো রহস্য সমাধান করবে? উত্তর হয়তো এখনো অধরা। কিন্তু ইমাম সদরের নাম, তাঁর কাজ ও তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধান ইতিহাসে চিরকাল এক অমোঘ প্রশ্ন হয়ে থাকবে।

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে লিবিয়ায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিয়া ধর্মীয় নেতা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইমাম মুসা আল-সদরের রহস্য আজও অমীমাংসিত। তাঁর গায়েব হওয়ার ঘটনায় লেবাননসহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জন্ম নেয় অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা। সম্প্রতি ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক হাসান উগাইল একটি ছবির বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন—লিবিয়ার এক গোপন মর্গে ২০১১ সালে পাওয়া একটি দেহ হয়তো মুসা আল-সদরেরই হতে পারে।
রহস্যের সূচনা
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৭৮ সালের আগস্ট মাসে লেবাননের জনপ্রিয় এই নেতা লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির আমন্ত্রণে ত্রিপোলি সফরে যান। সেই সময় লেবানন গৃহযুদ্ধে জর্জরিত ছিল, দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করছিল। সদর চেয়েছিলেন গাদ্দাফিকে বোঝাতে যেন তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রভাবিত করে লেবাননের সাধারণ মানুষকে সংঘাত থেকে রক্ষা করেন।
কিন্তু ৩১ আগস্ট সদরকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ত্রিপোলির এক হোটেল থেকে বেরিয়ে যেতে। গাদ্দাফির নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করে, তিনি রোমে উড়ে গেছেন। কিন্তু তদন্তে প্রমাণিত হয়—সেই দাবি ছিল মিথ্যা। এরপর থেকেই শুরু হয় এক দীর্ঘ রহস্য, যা আজও শেষ হয়নি।
সদরের জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক প্রভাব
১৯২৮ সালে ইরানে জন্ম নেওয়া মুসা আল-সদর ১৯৫৯ সালে লেবাননে যান। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি লেবাননের শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে একজন অগ্রগণ্য নেতা হয়ে ওঠেন। ১৯৭৪ সালে তিনি গঠন করেন মুভমেন্ট অব দ্য ডিপ্রাইভড, যা শিয়াদের সামাজিক-রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সব ধর্মের গরিব মানুষের জন্য কাজ করত। এমনকি তিনি খ্রিষ্টান গির্জায়ও বক্তব্য রেখেছেন—যাতে বোঝা যায় তিনি কতটা অসাম্প্রদায়িক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির ছিলেন।

শিয়ারা তাঁকে জীবিত অবস্থাতেই ‘ইমাম’ উপাধি দিয়েছিল, যা অত্যন্ত বিরল সম্মান। তাঁর গায়েব হয়ে যাওয়া শিয়াদের বিশ্বাসে এক গভীর ধর্মীয় প্রতীকী অর্থও পেয়েছে। শিয়া দ্বাদশী মতবাদে ‘গায়েব ইমাম’ নামে একটি ধারণাও রয়েছে। সদরের নিখোঁজ হওয়াও তাঁদের কাছে এক ধরনের আধ্যাত্মিক রহস্য হয়ে উঠেছিল।
২০১১ সালে রহস্যের নতুন অধ্যায়
গাদ্দাফি বিরোধী আরব বসন্তের সময় লিবিয়ায় বিপ্লব শুরু হলে কিছু অজানা তথ্য সামনে আসে। লেবানিজ-সুইডিশ সাংবাদিক কাসেম হামাদে ত্রিপোলির এক গোপন মর্গে প্রবেশের সুযোগ পান। সেখানে প্রায় ১৭টি দেহ সংরক্ষিত ছিল—যার মধ্যে একটির উচ্চতা এবং গড়ন সদরের সঙ্গে মিলে যায়। ছবিতে দেখা যায়, মৃতদেহটির মাথার খুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত—যা দেখে অনুমান করা হয়, হয়তো তাকে গুলি করা হয়েছিল।

কাসেম দেহটির ছবি তোলেন এবং কিছু চুল সংগ্রহ করে লেবাননের রাজনৈতিক নেতাদের হাতে দেন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। কিন্তু রহস্যজনকভাবে সেই নমুনাও হারিয়ে যায়।
আধুনিক প্রযুক্তির বিশ্লেষণ
ব্রিটেনের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাসান উগাইল ও তাঁর দল দেহটির ছবির সঙ্গে মুসা সাদরের জীবদ্দশার একাধিক ছবির তুলনা করেন। তাঁদের তৈরি ‘ডিপ ফেস রিকগনিশন’ অ্যালগরিদম অনুযায়ী, ছবিটির মিল ৬০ শতাংশের বেশি—যা প্রমাণ করে এটি হয়তো সদর অথবা তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের দেহ।
অধ্যাপক উগাইল বলেন, ‘এই ফলাফল উচ্চ সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয় যে, ছবিটি ইমাম মুসা সাদরেরই।’ যদিও নিশ্চিত প্রমাণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা অপরিহার্য।

সাংবাদিকদের আটক ও ঝুঁকিপূর্ণ অনুসন্ধান
বিবিসি টিম এই অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে লিবিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটক হয়। ছয় দিন কারাগারে অমানবিক অবস্থায় কাটানোর পর তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, গাদ্দাফি যুগের প্রভাবশালীরা এখনো এই রহস্য উন্মোচন হোক তা চান না।
কেন গাদ্দাফি সদরকে হত্যা করতে চাইতেন?
বিভিন্ন বিশ্লেষকের মতে, এর পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। গাদ্দাফি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সহায়তা দিচ্ছিলেন, আর সাদর হয়তো তাঁদের লাগাম টানতে চাইছিলেন। ইরানের কট্টরপন্থী বিপ্লবীরা সদরের মধ্যপন্থী অবস্থানকে ভয় পেতেন। তাঁর প্রভাব থাকলে হয়তো ইরানি বিপ্লব ভিন্ন পথে যেতে পারত।
কিছু সূত্র বলছে, তৎকালীন শাহ অব ইরানের কাছে সদর একটি চিঠি লিখেছিলেন। এতে তিনি কট্টরপন্থীদের শক্তি ভাঙতে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই তথ্য প্রকাশ পেয়ে গেলে বিপ্লবীরা ক্ষিপ্ত হয়েছিল।
লেবাননে সাদরের উত্তরাধিকার
আজও লেবাননের শিয়া রাজনীতি সদরের স্মৃতি ঘিরেই আবর্তিত হয়। তাঁর প্রতিষ্ঠিত আন্দোলন ‘আমল’ বর্তমানে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। আমলের নেতা ও লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরি জোর দিয়ে বলেন—সদর জীবিত আছেন এবং লিবিয়ার কারাগারে আটক। যদিও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রতি বছর ৩১ আগস্ট তাঁকে স্মরণ করে শোক পালিত হয়।

রহস্য কি শেষ হবে?
সত্যিই কি ২০১১ সালে পাওয়া দেহটি মুসা আল-সাদরের? ফেসিয়াল রিকগনিশন ফলাফল তাই বলছে। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়তো এখনো তা অস্বীকার করা হচ্ছে। সদরের ছেলে সাইয়্যেদ সাদরেদ্দিন সদর বলেছেন—ছবিতে দেখা দেহ তাঁর বাবার নয়। কেউ কেউ এই বক্তব্যটিকেও রাজনৈতিক হিসেবে মনে করছেন।
তবে ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া এই রহস্যের অবসান হবে না। কাসেমের সংগ্রহ করা চুলের নমুনা যদি হারিয়ে না যেত, হয়তো এখনই সত্য জানা যেত।
ইমাম মুসা আল-সদরের নিখোঁজ হওয়া শুধু এক ব্যক্তির অন্তর্ধান নয়—বরং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ইতিহাসে এক বড় মোড়। যদি সত্যিই প্রমাণিত হয় যে, তিনি গাদ্দাফির কারাগারে খুন হয়েছেন, তাহলে তা শুধু তাঁর অনুসারীদের জন্য নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলের ইতিহাসে নতুন আলো ফেলবে। আর যদি তিনি এখনো জীবিত থাকেন, তবে সেটি হবে একবিংশ শতকের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিস্ময়।
একটি ছবির বিশ্লেষণ কি ৫০ বছরের পুরোনো রহস্য সমাধান করবে? উত্তর হয়তো এখনো অধরা। কিন্তু ইমাম সদরের নাম, তাঁর কাজ ও তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধান ইতিহাসে চিরকাল এক অমোঘ প্রশ্ন হয়ে থাকবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
২৬ মিনিট আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
১ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
কয়েক মাস ধরে ট্রাম্পের ডান হাতে কালশিটে দাগ দেখা গেলেও সম্প্রতি বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তাঁর বাম হাতের পেছনেও একই ধরনের দাগ লক্ষ করা গেছে। হোয়াইট হাউস এর আগে ডান হাতের দাগের কারণ হিসেবে ‘অতিরিক্ত করমর্দন’ ও নিয়মিত ‘অ্যাসপিরিন’ সেবনের কথা বলেছিল। তবে এই নতুন দাগ হোয়াইট হাউসের আগের ব্যাখ্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, নতুন এই দাগ নিয়ে তাৎক্ষণিক উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তাঁদের মতে, এটি বয়সজনিত সাধারণ একটি অবস্থা হতে পারে। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেছেন, ট্রাম্প তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অনিচ্ছুক থাকায় বিষয়টি নিয়ে যে নজরদারি চলছে, তা আরও বাড়তে পারে।
নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফাইনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের জেনারেল ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জেফ্রি লিন্ডার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, তাঁরা কৌতূহলের এই চক্রটাকেই আরও উসকে দিচ্ছেন। তিনি সব সময় মানুষের সামনে যান, তাঁর একটা ভাবমূর্তি আছে। এমন ছোট বিষয়ও সেই ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। বিষয়টি তাঁর জন্য সংবেদনশীল। কারণ, তিনি প্রায়ই নিজের কর্মশক্তি ও উদ্যমের কথা বলেন।
গত বছরের নির্বাচনের আগে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স ও মানসিক-শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ উসকে দিয়েছিলেন। ৮৩ বছর বয়সী বাইডেনকে তিনি এখনো তুলনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায়ই বলেন, ‘আপনি কি মনে করেন, বাইডেন এটা করতে পারতেন?’
তবে তুলনামূলকভাবে ব্যস্ত সূচি বজায় রাখলেও ট্রাম্প নিজেও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত প্রশ্ন এড়াতে পারেননি। গ্রীষ্মকালে তাঁর পা ফুলে যাওয়ার ছবি প্রকাশের পর হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্প ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ নামে একধরনের শিরার রোগে আক্রান্ত। এটি সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়।
চলতি সপ্তাহে ট্রাম্পের বাঁ হাতের দাগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হোয়াইট হাউস নতুন কোনো ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জনগণের মানুষ। তিনি প্রতিদিন ইতিহাসের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি মানুষের সঙ্গে দেখা করেন ও হাত মেলান।
কিন্তু একাধিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ সিএনএনকে বলেছেন, ট্রাম্প যেহেতু ডানহাতি, তাই বাঁ হাতের দাগ কেবল হাত মেলানোর কারণেই হয়েছে—এমন সম্ভাবনা কম। তবে হ্যাঁ, বয়স ও অ্যাসপিরিন সেবনের কারণে এমন দাগ দেখা দিতে পারে।
জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির দীর্ঘদিনের চিকিৎসক জোনাথন রাইনার বলেন, কখনো কখনো সামান্য আঘাত বা কোথাও ধাক্কা লাগলেও এমন দাগ হতে পারে।
রাইনার জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে কখনো পরীক্ষা করেননি। তবে তিনি বলেন, অ্যাসপিরিনের চেয়ে শক্তিশালী ওষুধ সেবনকারীদের মধ্যেও এমন দাগ দেখা যায়। এতে প্রশ্ন উঠেছে—ট্রাম্প কি তাঁর সব ওষুধের তথ্য প্রকাশ করেছেন?
রাইনার অবশ্য বলেছেন, এমন ওষুধ সেবন করা খুবই সাধারণ এবং এটি বড় কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি অফিসে থাকাকালে বাইডেনের ‘ইলিকুইস’ নামে রক্ত পাতলা করার ওষুধ ব্যবহারের তথ্য প্রকাশের কথা উল্লেখ করেন।
রাইনার বলেন, এখন প্রশ্নটা চিকিৎসার চেয়ে স্বচ্ছতা নিয়ে বেশি। হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের ওষুধসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব না দিয়ে স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত নজরদারির সমালোচনাই বেশি করে।
এদিকে হোয়াইট হাউসে ফেরার আগে থেকে ট্রাম্পের ডান হাতে কালশিটে দাগ ছিল। তিনি সেটি ভারী মেকআপ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢাকতে শুরু করলে এবং ক্যামেরা থেকে আড়াল করতে অন্য হাত ব্যবহার করলে বিষয়টি আরও আলোচনায় আসে।
ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি রোগের তথ্য জানানোর সময়ই হোয়াইট হাউস ডান হাতের দাগের প্রসঙ্গ তোলে। সে সময় তাঁর চিকিৎসকের চিঠিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। তিনি সব দিক থেকে সুস্থ আছেন।
গত এপ্রিলে করা শারীরিক পরীক্ষার পর অক্টোবরে হঠাৎ আবার ওয়াল্টার রিড হাসপাতালে যান ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস তখন এটিকে ‘রুটিন’ পরীক্ষা বললেও পরে ট্রাম্প নিজেই জানান, তাঁর এমআরআই করা হয়েছিল। শুরুতে তিনি বলেন, ফলাফল ‘ভালো’, তবে কোন অংশের স্ক্যান হয়েছে—তা তিনি জানেন না বলে জানান। এই অস্পষ্টতায় নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।
কয়েক সপ্তাহ পর ট্রাম্পের চিকিৎসক শন বারবাবেলা জানান, তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও পেটের অংশের ইমেজিং করা হয়েছে এবং ফলাফল ‘সম্পূর্ণ স্বাভাবিক’। তিনি বলেন, এই বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন পরীক্ষা উপকারী।
তবে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক রাইনার তখন বলেন, এ ধরনের পরীক্ষা সাধারণ নিয়ম নয় এবং এটি সম্ভবত কোনো চিকিৎসাজনিত উদ্বেগ থেকেই করা হয়েছে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন।
গত মাসে ওভাল অফিসের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে কিছু সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়তে দেখা যায়। কিন্তু এমন দাবি নাকচ করে হোয়াইট হাউস একে ‘ভিত্তিহীন গল্প’ বলে উড়িয়ে দেয়। পরে এটি নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রতিবেদন ছাপা হলে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তবে চলতি মাসে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তাঁকে আবারও তন্দ্রাচ্ছন্ন দেখা যায়।
এখন বাঁ হাতের দাগের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেনশিয়াল ইতিহাসবিদ টিমোথি নাফতালি বলেন, প্রেসিডেন্ট তরুণ নন। যখন শক্তির ভাবমূর্তি অতিরিক্তভাবে তুলে ধরা হয়, তখন সামান্য দুর্বলতাও বড় হয়ে ধরা দেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
কয়েক মাস ধরে ট্রাম্পের ডান হাতে কালশিটে দাগ দেখা গেলেও সম্প্রতি বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তাঁর বাম হাতের পেছনেও একই ধরনের দাগ লক্ষ করা গেছে। হোয়াইট হাউস এর আগে ডান হাতের দাগের কারণ হিসেবে ‘অতিরিক্ত করমর্দন’ ও নিয়মিত ‘অ্যাসপিরিন’ সেবনের কথা বলেছিল। তবে এই নতুন দাগ হোয়াইট হাউসের আগের ব্যাখ্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, নতুন এই দাগ নিয়ে তাৎক্ষণিক উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তাঁদের মতে, এটি বয়সজনিত সাধারণ একটি অবস্থা হতে পারে। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেছেন, ট্রাম্প তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অনিচ্ছুক থাকায় বিষয়টি নিয়ে যে নজরদারি চলছে, তা আরও বাড়তে পারে।
নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফাইনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের জেনারেল ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জেফ্রি লিন্ডার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, তাঁরা কৌতূহলের এই চক্রটাকেই আরও উসকে দিচ্ছেন। তিনি সব সময় মানুষের সামনে যান, তাঁর একটা ভাবমূর্তি আছে। এমন ছোট বিষয়ও সেই ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। বিষয়টি তাঁর জন্য সংবেদনশীল। কারণ, তিনি প্রায়ই নিজের কর্মশক্তি ও উদ্যমের কথা বলেন।
গত বছরের নির্বাচনের আগে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স ও মানসিক-শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ উসকে দিয়েছিলেন। ৮৩ বছর বয়সী বাইডেনকে তিনি এখনো তুলনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায়ই বলেন, ‘আপনি কি মনে করেন, বাইডেন এটা করতে পারতেন?’
তবে তুলনামূলকভাবে ব্যস্ত সূচি বজায় রাখলেও ট্রাম্প নিজেও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত প্রশ্ন এড়াতে পারেননি। গ্রীষ্মকালে তাঁর পা ফুলে যাওয়ার ছবি প্রকাশের পর হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্প ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ নামে একধরনের শিরার রোগে আক্রান্ত। এটি সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়।
চলতি সপ্তাহে ট্রাম্পের বাঁ হাতের দাগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হোয়াইট হাউস নতুন কোনো ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জনগণের মানুষ। তিনি প্রতিদিন ইতিহাসের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি মানুষের সঙ্গে দেখা করেন ও হাত মেলান।
কিন্তু একাধিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ সিএনএনকে বলেছেন, ট্রাম্প যেহেতু ডানহাতি, তাই বাঁ হাতের দাগ কেবল হাত মেলানোর কারণেই হয়েছে—এমন সম্ভাবনা কম। তবে হ্যাঁ, বয়স ও অ্যাসপিরিন সেবনের কারণে এমন দাগ দেখা দিতে পারে।
জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির দীর্ঘদিনের চিকিৎসক জোনাথন রাইনার বলেন, কখনো কখনো সামান্য আঘাত বা কোথাও ধাক্কা লাগলেও এমন দাগ হতে পারে।
রাইনার জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে কখনো পরীক্ষা করেননি। তবে তিনি বলেন, অ্যাসপিরিনের চেয়ে শক্তিশালী ওষুধ সেবনকারীদের মধ্যেও এমন দাগ দেখা যায়। এতে প্রশ্ন উঠেছে—ট্রাম্প কি তাঁর সব ওষুধের তথ্য প্রকাশ করেছেন?
রাইনার অবশ্য বলেছেন, এমন ওষুধ সেবন করা খুবই সাধারণ এবং এটি বড় কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি অফিসে থাকাকালে বাইডেনের ‘ইলিকুইস’ নামে রক্ত পাতলা করার ওষুধ ব্যবহারের তথ্য প্রকাশের কথা উল্লেখ করেন।
রাইনার বলেন, এখন প্রশ্নটা চিকিৎসার চেয়ে স্বচ্ছতা নিয়ে বেশি। হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের ওষুধসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব না দিয়ে স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত নজরদারির সমালোচনাই বেশি করে।
এদিকে হোয়াইট হাউসে ফেরার আগে থেকে ট্রাম্পের ডান হাতে কালশিটে দাগ ছিল। তিনি সেটি ভারী মেকআপ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢাকতে শুরু করলে এবং ক্যামেরা থেকে আড়াল করতে অন্য হাত ব্যবহার করলে বিষয়টি আরও আলোচনায় আসে।
ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি রোগের তথ্য জানানোর সময়ই হোয়াইট হাউস ডান হাতের দাগের প্রসঙ্গ তোলে। সে সময় তাঁর চিকিৎসকের চিঠিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। তিনি সব দিক থেকে সুস্থ আছেন।
গত এপ্রিলে করা শারীরিক পরীক্ষার পর অক্টোবরে হঠাৎ আবার ওয়াল্টার রিড হাসপাতালে যান ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস তখন এটিকে ‘রুটিন’ পরীক্ষা বললেও পরে ট্রাম্প নিজেই জানান, তাঁর এমআরআই করা হয়েছিল। শুরুতে তিনি বলেন, ফলাফল ‘ভালো’, তবে কোন অংশের স্ক্যান হয়েছে—তা তিনি জানেন না বলে জানান। এই অস্পষ্টতায় নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।
কয়েক সপ্তাহ পর ট্রাম্পের চিকিৎসক শন বারবাবেলা জানান, তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও পেটের অংশের ইমেজিং করা হয়েছে এবং ফলাফল ‘সম্পূর্ণ স্বাভাবিক’। তিনি বলেন, এই বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন পরীক্ষা উপকারী।
তবে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক রাইনার তখন বলেন, এ ধরনের পরীক্ষা সাধারণ নিয়ম নয় এবং এটি সম্ভবত কোনো চিকিৎসাজনিত উদ্বেগ থেকেই করা হয়েছে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন।
গত মাসে ওভাল অফিসের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে কিছু সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়তে দেখা যায়। কিন্তু এমন দাবি নাকচ করে হোয়াইট হাউস একে ‘ভিত্তিহীন গল্প’ বলে উড়িয়ে দেয়। পরে এটি নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রতিবেদন ছাপা হলে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তবে চলতি মাসে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তাঁকে আবারও তন্দ্রাচ্ছন্ন দেখা যায়।
এখন বাঁ হাতের দাগের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেনশিয়াল ইতিহাসবিদ টিমোথি নাফতালি বলেন, প্রেসিডেন্ট তরুণ নন। যখন শক্তির ভাবমূর্তি অতিরিক্তভাবে তুলে ধরা হয়, তখন সামান্য দুর্বলতাও বড় হয়ে ধরা দেয়।

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে লিবিয়ায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিয়া ধর্মীয় নেতা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইমাম মুসা আল-সদরের রহস্য আজও অমীমাংসিত। তাঁর গায়েব হওয়ার ঘটনায় লেবাননসহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জন্ম নেয় অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
১ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাবালক হওয়ার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব (খতনা) পালন করতে গিয়ে গত দুই মাসে অন্তত ৪১ জন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা এ তথ্য জানিয়েছেন। মৃত তরুণদের অধিকাংশই খতনাপরবর্তী সংক্রমণ ও ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার কারণে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৪১ তরুণের মৃত্যুর পেছনে স্কুলগুলোর চরম অবহেলা ও অভিভাবকদের অসচেতনতাই দায়ী। তিনি জানান, যেসব স্কুলে খতনার অনুষ্ঠান হয়, তারা অনেক সময় তরুণদের পানি পান করতে বাধা দেয়। তাদের ধারণা, পানি না খেলে ক্ষত দ্রুত শুকাবে। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে এটি মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইন অনুযায়ী, যেসব স্কুলে খতনা করানো হয়, তাদের নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেশটিতে প্রচুর অবৈধ স্কুল গড়ে উঠেছে, যেখানে ১৬ বছরের নিচেও খতনা করানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর অধিকাংশ মৃত্যু এসব অনিবন্ধিত স্কুলেই ঘটেছে। এ ছাড়া অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পর আর কোনো খোঁজ নেন না বা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা-ও তদারকি করেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশকে এই মৃত্যুর ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ২১ জন তরুণ মারা গেছে। এ ছাড়া ফ্রি স্টেট প্রদেশে ১৩ জন এবং অন্যান্য এলাকায় আরও সাতজনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা আরও জানান, অবৈধ স্কুলগুলোতে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সংক্রমণের শিকার হয়ে আরও প্রায় ২০০ জন তরুণ বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আফ্রিকান সংস্কৃতিতে ছেলেদের ঘর থেকে দূরে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ, দায়িত্ব ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো অস্ত্রোপচার ছাড়াই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খতনা। উৎসব শেষে তরুণেরা যখন বাড়ি ফেরে, তখন বড় ধরনের উদ্যাপন করা হয়। তবে প্রতিবছরই এই ‘ম্যানহুড’ বা পুরুষত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় শত শত তরুণ পঙ্গুত্ববরণ করে কিংবা প্রাণ হারায়।
তবে দেশটির সরকার এবার ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব অংশীদারকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন ডাকা হবে, যাতে এই উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাবালক হওয়ার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব (খতনা) পালন করতে গিয়ে গত দুই মাসে অন্তত ৪১ জন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা এ তথ্য জানিয়েছেন। মৃত তরুণদের অধিকাংশই খতনাপরবর্তী সংক্রমণ ও ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার কারণে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৪১ তরুণের মৃত্যুর পেছনে স্কুলগুলোর চরম অবহেলা ও অভিভাবকদের অসচেতনতাই দায়ী। তিনি জানান, যেসব স্কুলে খতনার অনুষ্ঠান হয়, তারা অনেক সময় তরুণদের পানি পান করতে বাধা দেয়। তাদের ধারণা, পানি না খেলে ক্ষত দ্রুত শুকাবে। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে এটি মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইন অনুযায়ী, যেসব স্কুলে খতনা করানো হয়, তাদের নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেশটিতে প্রচুর অবৈধ স্কুল গড়ে উঠেছে, যেখানে ১৬ বছরের নিচেও খতনা করানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর অধিকাংশ মৃত্যু এসব অনিবন্ধিত স্কুলেই ঘটেছে। এ ছাড়া অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পর আর কোনো খোঁজ নেন না বা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা-ও তদারকি করেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশকে এই মৃত্যুর ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ২১ জন তরুণ মারা গেছে। এ ছাড়া ফ্রি স্টেট প্রদেশে ১৩ জন এবং অন্যান্য এলাকায় আরও সাতজনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা আরও জানান, অবৈধ স্কুলগুলোতে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সংক্রমণের শিকার হয়ে আরও প্রায় ২০০ জন তরুণ বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আফ্রিকান সংস্কৃতিতে ছেলেদের ঘর থেকে দূরে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ, দায়িত্ব ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো অস্ত্রোপচার ছাড়াই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খতনা। উৎসব শেষে তরুণেরা যখন বাড়ি ফেরে, তখন বড় ধরনের উদ্যাপন করা হয়। তবে প্রতিবছরই এই ‘ম্যানহুড’ বা পুরুষত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় শত শত তরুণ পঙ্গুত্ববরণ করে কিংবা প্রাণ হারায়।
তবে দেশটির সরকার এবার ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব অংশীদারকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন ডাকা হবে, যাতে এই উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা যায়।

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে লিবিয়ায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিয়া ধর্মীয় নেতা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইমাম মুসা আল-সদরের রহস্য আজও অমীমাংসিত। তাঁর গায়েব হওয়ার ঘটনায় লেবাননসহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জন্ম নেয় অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
২৬ মিনিট আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা কিশোর বয়সে ট্রেনে এক ব্যক্তির হামলার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বলেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই হামলার ঘটনা তাঁকে তীব্র ক্ষোভে ভরিয়ে দিয়েছিল।
আজ বুধবার নারী নির্যাতন বিষয়ে প্রচারিত এক আলোচনায় ক্যামিলা বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী ছিলাম, তখন ট্রেনে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই সময় আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। এটা এখনো মনে আছে। আমি তখন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ এই ছেলেটি বা বলা ভালো লোকটি আমার ওপর হামলা করে। আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলাম।’
রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী জানান, যিনি তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন, তাঁকে তিনি চিনতেন না।
৭৮ বছর বয়সী ক্যামিলা দীর্ঘদিন ধরে যৌন ও পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
বিবিসিকে ক্যামিলা বলেন, ‘আমি ট্রেন থেকে নামার পর আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “তোমার চুল এমন এলোমেলো কেন? আর তোমার কোটের বোতাম কোথায়?’”
ক্যামিলা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই অনুভূতি বহু বছর ধরে মনের ভেতর কোথাও রয়ে গেছে।’
ওই বইয়ে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে লন্ডনের প্যাডিংটন স্টেশনের দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে। তখন ক্যামিলার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বা ১৭ বছর। জুতা খুলে হামলাকারীর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিলেন তিনি।
বইটিতে বলা হয়, প্যাডিংটন স্টেশনে পৌঁছানোর পর তিনি এক কর্মকর্তাকে হামলাকারীকে দেখিয়ে দেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাক্ষাৎকারে ক্যামিলা এসব বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করেননি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা কিশোর বয়সে ট্রেনে এক ব্যক্তির হামলার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বলেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই হামলার ঘটনা তাঁকে তীব্র ক্ষোভে ভরিয়ে দিয়েছিল।
আজ বুধবার নারী নির্যাতন বিষয়ে প্রচারিত এক আলোচনায় ক্যামিলা বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী ছিলাম, তখন ট্রেনে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই সময় আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। এটা এখনো মনে আছে। আমি তখন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ এই ছেলেটি বা বলা ভালো লোকটি আমার ওপর হামলা করে। আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলাম।’
রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী জানান, যিনি তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন, তাঁকে তিনি চিনতেন না।
৭৮ বছর বয়সী ক্যামিলা দীর্ঘদিন ধরে যৌন ও পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
বিবিসিকে ক্যামিলা বলেন, ‘আমি ট্রেন থেকে নামার পর আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “তোমার চুল এমন এলোমেলো কেন? আর তোমার কোটের বোতাম কোথায়?’”
ক্যামিলা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই অনুভূতি বহু বছর ধরে মনের ভেতর কোথাও রয়ে গেছে।’
ওই বইয়ে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে লন্ডনের প্যাডিংটন স্টেশনের দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে। তখন ক্যামিলার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বা ১৭ বছর। জুতা খুলে হামলাকারীর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিলেন তিনি।
বইটিতে বলা হয়, প্যাডিংটন স্টেশনে পৌঁছানোর পর তিনি এক কর্মকর্তাকে হামলাকারীকে দেখিয়ে দেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাক্ষাৎকারে ক্যামিলা এসব বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করেননি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে লিবিয়ায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিয়া ধর্মীয় নেতা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইমাম মুসা আল-সদরের রহস্য আজও অমীমাংসিত। তাঁর গায়েব হওয়ার ঘটনায় লেবাননসহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জন্ম নেয় অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
২৬ মিনিট আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, ১০২টি টাউনশিপের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন। তিনি এই উপস্থিতিকে ‘গর্বের বিষয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জান্তা সরকার। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার তা ৫২ শতাংশে নেমে আসায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ, পশ্চিমের দেশগুলো এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিরোধী দলগুলোকে অংশ নিতে না দেওয়া এবং নির্বাচনের সমালোচনা করাকে বেআইনি ঘোষণা করায় আন্তর্জাতিক মহলে এই ভোট কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
তবে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, ‘অনেক উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হয় না। সেই তুলনায় আমাদের এই হার অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’
নির্বাচনের গতিবিধি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির’ (ইউএসডিপি) হাতেই এবার ক্ষমতা যাবে। কারণ, জনপ্রিয় বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তী রাউন্ডের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ জানুয়ারি এবং ২৫ জানুয়ারি। মোট ৩৩০টি শহরের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হবে। যদিও এর অনেক অঞ্চলেই জান্তা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।
এদিকে ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি এখনো বন্দী অবস্থায় আছেন। তখন থেকেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অধীনে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে।
এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে সামরিক সরকার। তবে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস জানিয়েছে, জান্তা সরকারের নির্বাচনী আইনে ভোটার উপস্থিতির কোনো ন্যূনতম সীমা নেই। এটি তাদের ভোটার উপস্থিতির যেকোনো হারকেই বৈধতা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, ১০২টি টাউনশিপের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন। তিনি এই উপস্থিতিকে ‘গর্বের বিষয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জান্তা সরকার। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার তা ৫২ শতাংশে নেমে আসায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ, পশ্চিমের দেশগুলো এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিরোধী দলগুলোকে অংশ নিতে না দেওয়া এবং নির্বাচনের সমালোচনা করাকে বেআইনি ঘোষণা করায় আন্তর্জাতিক মহলে এই ভোট কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
তবে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, ‘অনেক উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হয় না। সেই তুলনায় আমাদের এই হার অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’
নির্বাচনের গতিবিধি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির’ (ইউএসডিপি) হাতেই এবার ক্ষমতা যাবে। কারণ, জনপ্রিয় বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তী রাউন্ডের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ জানুয়ারি এবং ২৫ জানুয়ারি। মোট ৩৩০টি শহরের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হবে। যদিও এর অনেক অঞ্চলেই জান্তা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।
এদিকে ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি এখনো বন্দী অবস্থায় আছেন। তখন থেকেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অধীনে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে।
এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে সামরিক সরকার। তবে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস জানিয়েছে, জান্তা সরকারের নির্বাচনী আইনে ভোটার উপস্থিতির কোনো ন্যূনতম সীমা নেই। এটি তাদের ভোটার উপস্থিতির যেকোনো হারকেই বৈধতা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে লিবিয়ায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিয়া ধর্মীয় নেতা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইমাম মুসা আল-সদরের রহস্য আজও অমীমাংসিত। তাঁর গায়েব হওয়ার ঘটনায় লেবাননসহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জন্ম নেয় অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
২৬ মিনিট আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
১ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে