আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে গত শনিবার দিবাগত রাতে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলা সফল হয়েছে বলে দাবি করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে ইরান জানায়, এই মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এই পরস্পরবিরোধী দাবির কারণে হামলায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম উপগ্রহের (স্যাটেলাইট) তোলা চিত্র বিশ্লেষণ করে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা কঠিন হলেও এ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে হামলা চালায়। তবে এই হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল ফোরদো। মার্কিন বাহিনী তাদের ‘মিডনাইট হ্যামার’ অভিযানের অংশ হিসেবে সেখানে এক ডজন জেবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর ফেলেছিল। এই ৩০ হাজার পাউন্ডের বোমাগুলো বিস্ফোরণের আগে প্রায় ২০০ মিটার মাটি ভেদ করতে পারে। আর ফোরদো কমপ্লেক্স মাটির প্রায় ২৬০ ফিট নিচে। এই ব্যবধানটাই ফোরদো স্থাপনাটি ঠিক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে।
হামলার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে বলা হয়, ‘ফোরদো আর নেই’ এবং পরে এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, ‘ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে।’
তবে রোববার সকালে এক ব্রিফিংয়ে এই ফলাফল নিয়ে কিছুটা সংযত অবস্থান নেয় তাঁর নিজস্ব সেনাবাহিনী। জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন বলেন, ‘ঠিক এখনই মন্তব্য করা খুব তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে যে সেখানে কী আছে বা নেই।’
স্যাটেলাইটের ছবি বিশ্লেষণ করে স্বাভাবিকভাবেই মাটির অনেক গভীরে অবস্থিত কোনো কাঠামো সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা সম্ভব নয়। তবে বোমা হামলার প্রভাব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য হচ্ছে হামলার আগে ও পরে তোলা স্যাটেলাইট চিত্র।
ইরানে এসব সাইটে বোমা পড়ার আগে ও পরের ছবি বিশ্লেষণ করেন মিডলবেরি ইনস্টিটিউটের জেমস মার্টিন সেন্টার ফর ননপ্রোলিফারেশন স্টাডিজের ইস্ট এশিয়া ননপ্রোলিফারেশন প্রোগ্রামের পরিচালক জেফরি লুইস। তিনি জানান, ‘আমরা যা দেখছি তা হলো—দুটি ক্লাস্টার বা গুচ্ছে ভাগ করা ছয়টি গর্ত। প্রতিটি গুচ্ছে তিনটি করে গর্ত রয়েছে, যেখানে ১২টি ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর ফেলা হয়েছিল। এই কৌশলের উদ্দেশ্য হলো একই জায়গায় বারবার আঘাত করে ধীরে ধীরে ভেতরে ঢুকে যাওয়া।’
এদিকে স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ সেন্টারের পারমাণবিক ইস্যুবিষয়ক প্রকল্পের উপপরিচালক জোসেফ রজার্স বলেন, ‘সেই গর্তগুলোর নির্দিষ্ট অবস্থানগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। ফোরদো সাইটটি নির্মাণের প্রাথমিক স্যাটেলাইট চিত্র তুলনা করে ধারণা করা হচ্ছে, ফোরদো কমপ্লেক্সের প্রবেশ ট্যানেলগুলোর ওপর বোমা ফেলা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের বোমাগুলো সম্ভবত বায়ু চলাচলের ছিদ্র বা ভেন্টিলেশন শ্যাফটের ওপর পড়েছে।’
রজার্স আরও বলেন, ভেন্টিলেশন শ্যাফটগুলো ভূগর্ভস্থ স্থাপনার মূল অংশগুলোতে পৌঁছানোর একটি সরাসরি পথ বলে এগুলোকে লক্ষ্য করে হামলাটি করা হয়।
ফরোদো সাইটটি মাটির অনেক গভীরে থাকায় এই সরাসরি পথগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সাইটটির ‘কম্পিউটার মডেল’-এর ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালিয়েছে। এই মডেলের মাধ্যমে মার্কিন বাহিনী বুঝতে পারে যে সাইটটি আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস করতে তাদের কতটুকু চাপ প্রয়োগ করতে হবে। একই জায়গায় একাধিকবার বোমা ফেলায় ২৬০ ফুট গভীর সাইটে যুক্তরাষ্ট্রে ভালোই ক্ষতি করতে পেরেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লুইস আরও বলেন, নির্দিষ্ট লক্ষ্যস্থলগুলোতে একাধিক বোমা বর্ষণ ফেলায় যুক্তরাষ্ট্রের এমন বোমার প্রয়োজন হয়নি, যা পুরো ২৬০ ফুট গভীরতার আঘাত করতে পারে। এরপরও তারা সাইটটির ব্যাপক ক্ষতি করতে পেরেছে বলে ধারণা করা যায়।
অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র হয়তো পুরো স্থাপনাটি ভেদ করতে চাইছিল না। তারা হয়তো শুধু এর কাছাকাছি গিয়ে শকওয়েভ দিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কারণ, এই শক্তিশালী শকওয়েভ স্থাপনার মধ্যে থাকা মানুষকে মেরে ফেলবে এবং স্থাপনাটির ক্ষতি করবে।
যেসব জায়গায় যুক্তরাষ্ট্র বোমা ফেলেনি, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, ফোরদোর একটি লম্বাটে সাদা ভবন সম্ভবত এই স্থাপনাটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। যেখানে হয়তো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (এসি), ব্যাকআপ পাওয়ার জেনারেশন ইত্যাদি আছে।
তবে জোসেফ রজার্স মনে করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একদমই চেষ্টা করেনি ওই ভবনটিতে আঘাত হানার। এটা স্পষ্ট করে দেয় যে তারা ফোরদোকে সাময়িকভাবে বন্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে হামলা করেনি। তারা যেসব ভেন্টিলেশন শ্যাফটকে লক্ষ্য করেছে, তার উদ্দেশ্য ছিল কাঠামোগতভাবে ধ্বংস বা যতটা সম্ভব ক্ষতি করা, অস্থায়ীভাবে বন্ধ করা নয়।’
২০০৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ফোরদো স্থাপনাটির অস্তিত্ব স্বীকার করে ইরান সরকার। ধারণা করা হয়, এই স্থাপনাটি ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করতে পারে। সেখান থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করা (পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজন) তুলনামূলকভাবে সহজ।
এই বোমা হামলার এক সপ্তাহেরও আগে ইরানের ওপর একাধিক হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের দাবি, তারা পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য এই হামলা করেছে। তবে ইসরায়েলের কাছে এমন বোমা নেই, যা ফোরদোর মতো গভীরে থাকা স্থাপনায় আঘাত করতে পারে। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এতে জড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা এক সপ্তাহ আগের স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, ফোরদো সাইটে কর্মকাণ্ড অস্বাভাবিক ছিল, অন্তত ডজনখানেক ট্রাক যাওয়া-আসা করেছে।
রজার্স বলেন, ‘আমি মনে করি, কিছু প্রতিরক্ষা কার্যক্রম চলছিল। সম্ভবত তারা ওই ড্যাম্প ট্রাকগুলো দিয়ে টানেল বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল, যাতে হামলা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।’
এ ছাড়া হামলার আগেই ইরান পারমাণবিক উপাদান সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, ফলে হামলার কার্যকারিতা কমে গেছে।
তথ্যসূত্র: ওয়্যারড

ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে গত শনিবার দিবাগত রাতে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলা সফল হয়েছে বলে দাবি করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে ইরান জানায়, এই মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এই পরস্পরবিরোধী দাবির কারণে হামলায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম উপগ্রহের (স্যাটেলাইট) তোলা চিত্র বিশ্লেষণ করে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা কঠিন হলেও এ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে হামলা চালায়। তবে এই হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল ফোরদো। মার্কিন বাহিনী তাদের ‘মিডনাইট হ্যামার’ অভিযানের অংশ হিসেবে সেখানে এক ডজন জেবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর ফেলেছিল। এই ৩০ হাজার পাউন্ডের বোমাগুলো বিস্ফোরণের আগে প্রায় ২০০ মিটার মাটি ভেদ করতে পারে। আর ফোরদো কমপ্লেক্স মাটির প্রায় ২৬০ ফিট নিচে। এই ব্যবধানটাই ফোরদো স্থাপনাটি ঠিক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে।
হামলার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে বলা হয়, ‘ফোরদো আর নেই’ এবং পরে এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, ‘ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে।’
তবে রোববার সকালে এক ব্রিফিংয়ে এই ফলাফল নিয়ে কিছুটা সংযত অবস্থান নেয় তাঁর নিজস্ব সেনাবাহিনী। জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন বলেন, ‘ঠিক এখনই মন্তব্য করা খুব তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে যে সেখানে কী আছে বা নেই।’
স্যাটেলাইটের ছবি বিশ্লেষণ করে স্বাভাবিকভাবেই মাটির অনেক গভীরে অবস্থিত কোনো কাঠামো সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা সম্ভব নয়। তবে বোমা হামলার প্রভাব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য হচ্ছে হামলার আগে ও পরে তোলা স্যাটেলাইট চিত্র।
ইরানে এসব সাইটে বোমা পড়ার আগে ও পরের ছবি বিশ্লেষণ করেন মিডলবেরি ইনস্টিটিউটের জেমস মার্টিন সেন্টার ফর ননপ্রোলিফারেশন স্টাডিজের ইস্ট এশিয়া ননপ্রোলিফারেশন প্রোগ্রামের পরিচালক জেফরি লুইস। তিনি জানান, ‘আমরা যা দেখছি তা হলো—দুটি ক্লাস্টার বা গুচ্ছে ভাগ করা ছয়টি গর্ত। প্রতিটি গুচ্ছে তিনটি করে গর্ত রয়েছে, যেখানে ১২টি ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর ফেলা হয়েছিল। এই কৌশলের উদ্দেশ্য হলো একই জায়গায় বারবার আঘাত করে ধীরে ধীরে ভেতরে ঢুকে যাওয়া।’
এদিকে স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ সেন্টারের পারমাণবিক ইস্যুবিষয়ক প্রকল্পের উপপরিচালক জোসেফ রজার্স বলেন, ‘সেই গর্তগুলোর নির্দিষ্ট অবস্থানগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। ফোরদো সাইটটি নির্মাণের প্রাথমিক স্যাটেলাইট চিত্র তুলনা করে ধারণা করা হচ্ছে, ফোরদো কমপ্লেক্সের প্রবেশ ট্যানেলগুলোর ওপর বোমা ফেলা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের বোমাগুলো সম্ভবত বায়ু চলাচলের ছিদ্র বা ভেন্টিলেশন শ্যাফটের ওপর পড়েছে।’
রজার্স আরও বলেন, ভেন্টিলেশন শ্যাফটগুলো ভূগর্ভস্থ স্থাপনার মূল অংশগুলোতে পৌঁছানোর একটি সরাসরি পথ বলে এগুলোকে লক্ষ্য করে হামলাটি করা হয়।
ফরোদো সাইটটি মাটির অনেক গভীরে থাকায় এই সরাসরি পথগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সাইটটির ‘কম্পিউটার মডেল’-এর ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালিয়েছে। এই মডেলের মাধ্যমে মার্কিন বাহিনী বুঝতে পারে যে সাইটটি আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস করতে তাদের কতটুকু চাপ প্রয়োগ করতে হবে। একই জায়গায় একাধিকবার বোমা ফেলায় ২৬০ ফুট গভীর সাইটে যুক্তরাষ্ট্রে ভালোই ক্ষতি করতে পেরেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লুইস আরও বলেন, নির্দিষ্ট লক্ষ্যস্থলগুলোতে একাধিক বোমা বর্ষণ ফেলায় যুক্তরাষ্ট্রের এমন বোমার প্রয়োজন হয়নি, যা পুরো ২৬০ ফুট গভীরতার আঘাত করতে পারে। এরপরও তারা সাইটটির ব্যাপক ক্ষতি করতে পেরেছে বলে ধারণা করা যায়।
অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র হয়তো পুরো স্থাপনাটি ভেদ করতে চাইছিল না। তারা হয়তো শুধু এর কাছাকাছি গিয়ে শকওয়েভ দিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কারণ, এই শক্তিশালী শকওয়েভ স্থাপনার মধ্যে থাকা মানুষকে মেরে ফেলবে এবং স্থাপনাটির ক্ষতি করবে।
যেসব জায়গায় যুক্তরাষ্ট্র বোমা ফেলেনি, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, ফোরদোর একটি লম্বাটে সাদা ভবন সম্ভবত এই স্থাপনাটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। যেখানে হয়তো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (এসি), ব্যাকআপ পাওয়ার জেনারেশন ইত্যাদি আছে।
তবে জোসেফ রজার্স মনে করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একদমই চেষ্টা করেনি ওই ভবনটিতে আঘাত হানার। এটা স্পষ্ট করে দেয় যে তারা ফোরদোকে সাময়িকভাবে বন্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে হামলা করেনি। তারা যেসব ভেন্টিলেশন শ্যাফটকে লক্ষ্য করেছে, তার উদ্দেশ্য ছিল কাঠামোগতভাবে ধ্বংস বা যতটা সম্ভব ক্ষতি করা, অস্থায়ীভাবে বন্ধ করা নয়।’
২০০৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ফোরদো স্থাপনাটির অস্তিত্ব স্বীকার করে ইরান সরকার। ধারণা করা হয়, এই স্থাপনাটি ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করতে পারে। সেখান থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করা (পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজন) তুলনামূলকভাবে সহজ।
এই বোমা হামলার এক সপ্তাহেরও আগে ইরানের ওপর একাধিক হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের দাবি, তারা পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য এই হামলা করেছে। তবে ইসরায়েলের কাছে এমন বোমা নেই, যা ফোরদোর মতো গভীরে থাকা স্থাপনায় আঘাত করতে পারে। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এতে জড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা এক সপ্তাহ আগের স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, ফোরদো সাইটে কর্মকাণ্ড অস্বাভাবিক ছিল, অন্তত ডজনখানেক ট্রাক যাওয়া-আসা করেছে।
রজার্স বলেন, ‘আমি মনে করি, কিছু প্রতিরক্ষা কার্যক্রম চলছিল। সম্ভবত তারা ওই ড্যাম্প ট্রাকগুলো দিয়ে টানেল বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল, যাতে হামলা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।’
এ ছাড়া হামলার আগেই ইরান পারমাণবিক উপাদান সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, ফলে হামলার কার্যকারিতা কমে গেছে।
তথ্যসূত্র: ওয়্যারড

জার্মানি আবারও প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আবারও সৈন্য পাঠাচ্ছে। তবে, এবার দেশটি দখল করতে নয়, বরং রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে পোল্যান্ডের যে সীমান্ত আছে তা সুরক্ষিত করতে। জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
১৮ মিনিট আগে
ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ। শহরটির বায়ুমান ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বা সিভিয়ার পর্যায়ে থাকায় কমে গেছে দৃশ্যমানতা। এতে বিমান ও ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। আজ ঘন ধোঁয়াশার কারণে ‘অরেঞ্জ’ সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি)।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জন ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে এই যোদ্ধা সরবরাহের ক্ষেত্রে বহুল আলোচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জড়িত থাকার কথা...
২ ঘণ্টা আগে
প্রবল বৃষ্টি আর তীব্র বাতাসে গাজা উপত্যকার বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবন আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মধ্য গাজার আল-ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে স্ত্রী ও সাত মেয়েকে নিয়ে থাকেন সাবার দাওয়াস। বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই এই তাঁবুই তাদের একমাত্র আশ্রয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানি আবারও প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আবারও সৈন্য পাঠাচ্ছে। তবে, এবার দেশটি দখল করতে নয়, বরং রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে পোল্যান্ডের যে সীমান্ত আছে তা সুরক্ষিত করতে। জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
খবরে বলা হয়েছে, বেলারুশ ও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত পোল্যান্ডের পূর্ব সীমান্তে সৈন্য পাঠাচ্ছে জার্মানি। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে কয়েক ডজন জার্মান সেনা পোল্যান্ডের ‘ইস্ট শিল্ড’ মিশনে যোগ দেবে। এই মিশনটি প্রাথমিকভাবে ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত চলবে।
প্রতিবেদনে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের ভাষ্য অনুসারে, জার্মান সৈন্যরা মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রকৌশলগত কাজে মনোযোগ দেবে। মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই কাজের মধ্যে রয়েছে—সামরিক অবস্থান তৈরি, ট্রেঞ্চ বা পরিখা খনন, কাঁটাতার বসানো এবং ট্যাংক-বিরোধী বাধা নির্মাণ।
উল্লেখ্য, ‘ইস্ট শিল্ড’ হলো গত বছর ওয়ারশ ঘোষিত ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি কর্মসূচি, যার উদ্দেশ্য তাদের পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তা আরও মজবুত করা।
এর আগে, নাৎসি জার্মানির নেতা অ্যাডলফ হিটলার ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভোরবেলায় পোল্যান্ডে সেনা পাঠান। এই আক্রমণই ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হিসেবে ধরা হয়। কারণ, এর দুই দিনের মাথায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। পোল্যান্ড অভিযানে জার্মানি স্থল, নৌ ও আকাশপথে একযোগে হামলা চালায়, যাকে পরে ‘ব্লিৎজক্রিগ’ বা বজ্রগতির যুদ্ধকৌশল নামে পরিচিত করা হয়।
বিভিন্ন ঐতিহাসিক গবেষণা অনুযায়ী, এই আক্রমণে হিটলার আনুমানিক ১৫ লাখ জার্মান সৈন্য মোতায়েন করেছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিল প্রায় আড়াই থেকে ৩ হাজার ট্যাংক এবং ২ হাজারের বেশি যুদ্ধবিমান, যা সেই সময় ইউরোপের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ভয়ংকরভাবে আধুনিক ও সংগঠিত সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হতো। সংখ্যার জোর আর কৌশলগত প্রস্তুতির কারণে পোল্যান্ড মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরাজিত হয় এবং ইউরোপ যুদ্ধের আগুনে জড়িয়ে পড়ে।

জার্মানি আবারও প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আবারও সৈন্য পাঠাচ্ছে। তবে, এবার দেশটি দখল করতে নয়, বরং রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে পোল্যান্ডের যে সীমান্ত আছে তা সুরক্ষিত করতে। জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
খবরে বলা হয়েছে, বেলারুশ ও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত পোল্যান্ডের পূর্ব সীমান্তে সৈন্য পাঠাচ্ছে জার্মানি। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে কয়েক ডজন জার্মান সেনা পোল্যান্ডের ‘ইস্ট শিল্ড’ মিশনে যোগ দেবে। এই মিশনটি প্রাথমিকভাবে ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত চলবে।
প্রতিবেদনে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের ভাষ্য অনুসারে, জার্মান সৈন্যরা মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রকৌশলগত কাজে মনোযোগ দেবে। মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই কাজের মধ্যে রয়েছে—সামরিক অবস্থান তৈরি, ট্রেঞ্চ বা পরিখা খনন, কাঁটাতার বসানো এবং ট্যাংক-বিরোধী বাধা নির্মাণ।
উল্লেখ্য, ‘ইস্ট শিল্ড’ হলো গত বছর ওয়ারশ ঘোষিত ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি কর্মসূচি, যার উদ্দেশ্য তাদের পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তা আরও মজবুত করা।
এর আগে, নাৎসি জার্মানির নেতা অ্যাডলফ হিটলার ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভোরবেলায় পোল্যান্ডে সেনা পাঠান। এই আক্রমণই ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হিসেবে ধরা হয়। কারণ, এর দুই দিনের মাথায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। পোল্যান্ড অভিযানে জার্মানি স্থল, নৌ ও আকাশপথে একযোগে হামলা চালায়, যাকে পরে ‘ব্লিৎজক্রিগ’ বা বজ্রগতির যুদ্ধকৌশল নামে পরিচিত করা হয়।
বিভিন্ন ঐতিহাসিক গবেষণা অনুযায়ী, এই আক্রমণে হিটলার আনুমানিক ১৫ লাখ জার্মান সৈন্য মোতায়েন করেছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিল প্রায় আড়াই থেকে ৩ হাজার ট্যাংক এবং ২ হাজারের বেশি যুদ্ধবিমান, যা সেই সময় ইউরোপের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ভয়ংকরভাবে আধুনিক ও সংগঠিত সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হতো। সংখ্যার জোর আর কৌশলগত প্রস্তুতির কারণে পোল্যান্ড মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরাজিত হয় এবং ইউরোপ যুদ্ধের আগুনে জড়িয়ে পড়ে।

ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে গত শনিবার দিবাগত রাতে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলা সফল হয়েছে বলে দাবি করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে ইরান জানায়, এই মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি
২৩ জুন ২০২৫
ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ। শহরটির বায়ুমান ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বা সিভিয়ার পর্যায়ে থাকায় কমে গেছে দৃশ্যমানতা। এতে বিমান ও ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। আজ ঘন ধোঁয়াশার কারণে ‘অরেঞ্জ’ সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি)।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জন ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে এই যোদ্ধা সরবরাহের ক্ষেত্রে বহুল আলোচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জড়িত থাকার কথা...
২ ঘণ্টা আগে
প্রবল বৃষ্টি আর তীব্র বাতাসে গাজা উপত্যকার বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবন আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মধ্য গাজার আল-ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে স্ত্রী ও সাত মেয়েকে নিয়ে থাকেন সাবার দাওয়াস। বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই এই তাঁবুই তাদের একমাত্র আশ্রয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ। শহরটির বায়ুমান ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বা সিভিয়ার পর্যায়ে থাকায় কমে গেছে দৃশ্যমানতা। এতে বিমান ও ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। আজ ঘন ধোঁয়াশার কারণে ‘অরেঞ্জ’ সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি)।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি)-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আজ সোমবার সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৪৫৬। চলতি মৌসুমে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বায়ুমান।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দিল্লির অক্ষরধাম এলাকায় বিষাক্ত ধোঁয়ার ঘন স্তর দেখা যায়। সেখানে একিউআই রেকর্ড করা হয় ৪৯৩।
অন্য ভিডিওগুলোতেও বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ দৃশ্যমানতার অভাব দেখা গেছে। এর মধ্যে বারাপুল্লা ফ্লাইওভার এলাকায় একিউআই ছিল ৪৩৩ এবং বারাখাম্বা রোডে ছিল ৪৭৪।
উল্লেখ্য, একিউআই শূন্য থেকে ৫০ হলে তা ‘ভালো’, ৫১ থেকে ১০০ ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ ‘খুব খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ হলে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ হিসেবে ধরা হয়।
এদিকে ঘন ধোঁয়াশার কারণে ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪–এর তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি বিমানবন্দরে ৩০০টি উড্ডয়ন ও ৪০টি অবতরণ বিলম্বিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দিল্লি বিমানবন্দর যাত্রীদের জন্য একটি পরামর্শ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। সর্বশেষ ফ্লাইট তথ্য জানার জন্য যাত্রীদের নিজ নিজ এয়ারলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এতে কোনো অসুবিধা হলে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের বিষয়ে যাত্রীদের সতর্ক করেছে বেসরকারি বিমানসংস্থা ইন্ডিগোও।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ‘আজ সকালে দিল্লিতে ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এর ফলে বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে এবং বিমানবন্দরে দীর্ঘ অপেক্ষা এড়াতে দিনের বিভিন্ন সময়ে আগামভাবে কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হতে পারে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভ্রমণের পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ হলে এই পরিস্থিতি যে কতটা অসুবিধাজনক, তা আমরা বুঝি। যাত্রীদের আশ্বস্ত করছি, সব বিমানবন্দরে আমাদের দলগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে, যেন কার্যক্রম যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখা যায় এবং পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্পর্কে আপনাদের নিয়মিত জানানো যায়।’
ইন্ডিগো আরেকটি পোস্টে যাত্রীদের বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত সময় হাতে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বিষাক্ত ধোঁয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচল ধীরগতির হতে পারে।
এদিকে এয়ার ইন্ডিয়া তাদের সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, ‘ঘন কুয়াশাজনিত দুর্বল দৃশ্যমানতার কারণে দিল্লি ও উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।’
অন্যদিকে, কম দৃশ্যমানতার কারণে দিল্লিতে আগমন ও প্রস্থানকারী ৯০ টির বেশি ট্রেন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বিত হয়েছে।
দূষণের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গত শনিবার বায়ুমান ব্যবস্থাপনা কমিশন (সিএকিউএম) তাদের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (গ্র্যাপ)–এর আওতায় সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা, অর্থাৎ স্টেজ–৪, কার্যকর করে। এর অংশ হিসেবে দিল্লি–এনসিআর এলাকায় সব ধরনের নির্মাণ ও ভাঙাচোরা কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। প্রতিকূল আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিকে দূষণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া দিল্লি সরকার সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত (দশম শ্রেণি বাদে) সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে হাইব্রিড পদ্ধতিতে সরাসরি ও অনলাইনে ক্লাস পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ। শহরটির বায়ুমান ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বা সিভিয়ার পর্যায়ে থাকায় কমে গেছে দৃশ্যমানতা। এতে বিমান ও ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। আজ ঘন ধোঁয়াশার কারণে ‘অরেঞ্জ’ সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি)।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি)-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আজ সোমবার সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৪৫৬। চলতি মৌসুমে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বায়ুমান।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দিল্লির অক্ষরধাম এলাকায় বিষাক্ত ধোঁয়ার ঘন স্তর দেখা যায়। সেখানে একিউআই রেকর্ড করা হয় ৪৯৩।
অন্য ভিডিওগুলোতেও বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ দৃশ্যমানতার অভাব দেখা গেছে। এর মধ্যে বারাপুল্লা ফ্লাইওভার এলাকায় একিউআই ছিল ৪৩৩ এবং বারাখাম্বা রোডে ছিল ৪৭৪।
উল্লেখ্য, একিউআই শূন্য থেকে ৫০ হলে তা ‘ভালো’, ৫১ থেকে ১০০ ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ ‘খুব খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ হলে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ হিসেবে ধরা হয়।
এদিকে ঘন ধোঁয়াশার কারণে ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪–এর তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি বিমানবন্দরে ৩০০টি উড্ডয়ন ও ৪০টি অবতরণ বিলম্বিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দিল্লি বিমানবন্দর যাত্রীদের জন্য একটি পরামর্শ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। সর্বশেষ ফ্লাইট তথ্য জানার জন্য যাত্রীদের নিজ নিজ এয়ারলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এতে কোনো অসুবিধা হলে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের বিষয়ে যাত্রীদের সতর্ক করেছে বেসরকারি বিমানসংস্থা ইন্ডিগোও।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ‘আজ সকালে দিল্লিতে ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এর ফলে বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে এবং বিমানবন্দরে দীর্ঘ অপেক্ষা এড়াতে দিনের বিভিন্ন সময়ে আগামভাবে কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হতে পারে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভ্রমণের পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ হলে এই পরিস্থিতি যে কতটা অসুবিধাজনক, তা আমরা বুঝি। যাত্রীদের আশ্বস্ত করছি, সব বিমানবন্দরে আমাদের দলগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে, যেন কার্যক্রম যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখা যায় এবং পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্পর্কে আপনাদের নিয়মিত জানানো যায়।’
ইন্ডিগো আরেকটি পোস্টে যাত্রীদের বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত সময় হাতে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বিষাক্ত ধোঁয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচল ধীরগতির হতে পারে।
এদিকে এয়ার ইন্ডিয়া তাদের সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, ‘ঘন কুয়াশাজনিত দুর্বল দৃশ্যমানতার কারণে দিল্লি ও উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।’
অন্যদিকে, কম দৃশ্যমানতার কারণে দিল্লিতে আগমন ও প্রস্থানকারী ৯০ টির বেশি ট্রেন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বিত হয়েছে।
দূষণের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গত শনিবার বায়ুমান ব্যবস্থাপনা কমিশন (সিএকিউএম) তাদের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (গ্র্যাপ)–এর আওতায় সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা, অর্থাৎ স্টেজ–৪, কার্যকর করে। এর অংশ হিসেবে দিল্লি–এনসিআর এলাকায় সব ধরনের নির্মাণ ও ভাঙাচোরা কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। প্রতিকূল আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিকে দূষণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া দিল্লি সরকার সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত (দশম শ্রেণি বাদে) সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে হাইব্রিড পদ্ধতিতে সরাসরি ও অনলাইনে ক্লাস পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে গত শনিবার দিবাগত রাতে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলা সফল হয়েছে বলে দাবি করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে ইরান জানায়, এই মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি
২৩ জুন ২০২৫
জার্মানি আবারও প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আবারও সৈন্য পাঠাচ্ছে। তবে, এবার দেশটি দখল করতে নয়, বরং রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে পোল্যান্ডের যে সীমান্ত আছে তা সুরক্ষিত করতে। জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
১৮ মিনিট আগে
সুদানের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জন ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে এই যোদ্ধা সরবরাহের ক্ষেত্রে বহুল আলোচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জড়িত থাকার কথা...
২ ঘণ্টা আগে
প্রবল বৃষ্টি আর তীব্র বাতাসে গাজা উপত্যকার বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবন আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মধ্য গাজার আল-ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে স্ত্রী ও সাত মেয়েকে নিয়ে থাকেন সাবার দাওয়াস। বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই এই তাঁবুই তাদের একমাত্র আশ্রয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুদানের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জন ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে এই যোদ্ধা সরবরাহের ক্ষেত্রে বহুল আলোচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জড়িত থাকার কথা নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ করা হয়নি।
লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ৪ ব্যক্তি ও ৪টি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা জানিয়েছে। এসব ব্যক্তি ও সংস্থা কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মীদের নিয়োগের সঙ্গে জড়িত একটি ‘আন্তঃদেশীয় নেটওয়ার্কের’ অংশ ছিল।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, কলম্বিয়ার এসব যোদ্ধা আরএসএফ-কে ‘কৌশলগত ও কারিগরি দক্ষতা শিখিয়েছে, ইনফ্যান্ট্রি এবং আর্টিলারিম্যান, ড্রোন পাইলট, গাড়িচালক এবং প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করেছে, এমনকি কেউ কেউ শিশুদেরও প্রশিক্ষণ দিয়েছে।’ যোদ্ধারা সুদানের বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে বলেও এতে বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে খার্তুম, ওমদুরমান, করদোফান ও এল-ফাশেরের লড়াই।
অক্টোবরে আরএসএফ এল-ফাশেরে ঝটিকা আক্রমণের সময় ব্যাপক গণহত্যা ও নির্যাতন চালায়। এর কিছু ঘটনা আরএসএফের নিজস্ব যোদ্ধাদের মাধ্যমে নথিভুক্ত হয়েছে এবং স্যাটেলাইট চিত্র দ্বারা তা প্রমাণিত হয়েছে। ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, ‘সুদানে কলম্বিয়ার যোদ্ধাদের উপস্থিতি বহু ব্যক্তি ও সংস্থার সাহায্য ছাড়া সম্ভব হতো না, যাদের বেশিরভাগই কলম্বিয়ার।’
বোগোতাভিত্তিক নিয়োগ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস এজেন্সি এবং এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আরব আমিরাতে থাকা কলম্বিয়ার সাবেক সেনা কর্মকর্তা আলভারো আন্দ্রেস কুইজানো বেসেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কুইজানোর স্ত্রী ক্লদিয়া ভিভিয়ানা অলিভারোস ফোরো এই প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ম্যানেজার। তাঁকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
কলম্বিয়ার সংবাদমাধ্যম লা সিয়া ভেসিয়ার ফাঁস করা নথি অনুসারে, আরব আমিরাতে নিবন্ধিত একটি কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করেছিল সুদানে কাজ করার জন্য শত শত সাবেক সৈন্য সরবরাহ করতে। আমিরাতি ওই কোম্পানি গ্লোবাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস গ্রুপ নিজেদেরকে ‘ইউএই সরকারের একমাত্র সশস্ত্র বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবা প্রদানকারী’ হিসেবে পরিচয় দেয়। কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় এর কোনো উল্লেখ নেই। তদন্তকারী সংস্থা দ্য সেন্ট্রির গত মাসের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়, কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক সরবরাহকারী আমিরাতি ব্যবসায়ীরা ইউএই-এর ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্ত।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্য সংস্থাগুলো হলো—পানামাভিত্তিক গ্লোবাল স্টাফিং এসএ এবং কলম্বিয়াভিত্তিক ফার্ম মেইন গ্লোবাল কর্প এসএএস ও কমার্সিয়ালাইজাদোরা সান বেনিটো। কলম্বিয়ার নাগরিক মনিকা মুনিওজ উক্রোস এবং কলম্বিয়ার-স্প্যানিশ দ্বৈত নাগরিক মাতেও আন্দ্রেস ডুকে বোতেরোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ট্রেজারি বিভাগ জানায়, ‘আজকের পদক্ষেপের ফলস্বরূপ, ওপরের বর্ণিত বা অবরুদ্ধ ব্যক্তি বা সংস্থাদের যুক্তরাষ্ট্রে বা মার্কিন ব্যক্তিবর্গের দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা সমস্ত সম্পত্তি এবং সম্পত্তির স্বার্থ অবরুদ্ধ করা হয়েছে এবং তা রিপোর্ট করতে হবে।’
সেপ্টেম্বরে, সুদান আরএসএফ-এর পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকদের পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগে ইউএই-এর বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করে।
জাতিসংঘে সুদানের প্রতিনিধি বলেছিলেন যে, খার্তুম আটক যোদ্ধাদের কাছ থেকে নথি সংগ্রহ করেছে, যেখানে দেখা যায় যে ইউএই-এর দুটি বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানি ভাড়াটে সৈনিকদের নিয়োগ দিয়েছে। ইউএই অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, এসব প্রমাণ ‘মনগড়া।’
গত ৭ আগস্ট সুদানের বিমান বাহিনী ইউএই-এর বলে কথিত একটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। এটি কলম্বিয়ার ৪০ জন ভাড়াটে সৈনিক বহন করছিল। সঙ্গে ছিল আরএসএফ-এর ব্যবহারের জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জামের চালান। বিমানটিতে থাকা ভাড়াটে সৈন্যরা সবাই মারা গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। ইউএই এতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে।
আধুনিক অনিয়মিত যুদ্ধে কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকরা এখন খুবই কাঙ্ক্ষিত। দেশটির মধ্যে গেরিলা ও মাদক চক্রের বিরুদ্ধে কয়েক দশকের সংঘাত এক স্থিতিশীল সরবরাহ তৈরি করেছে এই রণক্লান্ত সাবেক যোদ্ধাদের। ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শন ম্যাকফেট মিডেল ইস্ট আইকে বলেন, ‘কলম্বিয়ার সেনারা চমৎকার, তাদের অনেক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আছে এবং তারা খুবই ভালো যোদ্ধা। তারা চেইন অব কমান্ড মেনে চলে, তাদের শৃঙ্খলা ভালো, আর একজন আমেরিকান ভাড়াটে সৈনিকের যা খরচ হয়, তার এক-চতুর্থাংশেই তাদের পাওয়া যায়।’
ইউক্রেনে শত শত কলম্বিয়ান লড়াই করছে, অন্যরা লিবিয়ার ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধ ছাড়াও আফগানিস্তান ও ইরাকে কাজ করেছে। সুদানের যুদ্ধের প্রসঙ্গে লা সিয়া ভেসিয়া জানায়, কলম্বিয়ার যোদ্ধারা দুটি পথ ব্যবহার করছে। একটি পথ হলো উত্তর লিবিয়ার বেনগাজি হয়ে। সেখানে লিবীয় ঠিকাদাররা তাদের পাসপোর্ট জব্দ করেছে বলে জানা যায় এবং সুদানে আরএসএফ-এ যোগদানের জন্য তাদের যাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফিরতে দেয়নি।
অন্য পথটি হলো স্পেন থেকে ইথিওপিয়া ভ্রমণ, তারপর সোমালিয়ার বোসাসো সমুদ্রবন্দর শহরে গিয়ে চাদের রাজধানী এন’ডজামেনা হয়ে সবশেষে দারফুরের আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত শহর নিয়ালার উদ্দেশে উড়ে যাওয়া।
অক্টোবরে মিডল ইস্ট আই বিশেষ ফুটেজ সংগ্রহ করে। যেখানে দেখা যায় কয়েক ডজন কলম্বিয়ান সেনা সোমালিয়ার বোসাসো বিমানবন্দরে বিমান থেকে নামছে এবং কাছেই কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকদের রাখা একটি শিবিরের দিকে যাচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে ‘অঘোষিত ভারী লজিস্টিক্যাল সরঞ্জামাদি’ পরিবহনের জন্য বোসাসো ব্যবহারের বিশদ বিবরণও ছিল। বন্দরের একাধিক সূত্র জানিয়েছিল, এসব সরঞ্জাম ইউএই সরবরাহ করছিল এবং চূড়ান্ত গন্তব্য ছিল সুদানের আরএসএফ।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের কয়েক দিন পর, সোমালিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্বীকার করেন যে—এমন বিমান চলাচল ঘটছে। মন্ত্রী আরও যোগ করেন, সরকার কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকদের বোসাসো থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছে, তবে তা নিশ্চিত করা যায়নি।
মিডল ইস্ট আই ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে রিপোর্ট করেছিল, ইউএই লিবিয়া, চাদ এবং উগান্ডাজুড়ে বিস্তৃত সরবরাহ লাইন ও জোটের এক জটিল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আরএসএফ-কে অস্ত্র সরবরাহ করছিল। ক্রমবর্ধমান প্রমাণ সত্ত্বেও, আবুধাবি এই আধাসামরিক গোষ্ঠীকে সমর্থন করার কথা অস্বীকার করে।
সুদানের যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বাধীন সুদান সেনা এবং মোহামেদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বাধীন আরএসএফ-এর মধ্যে দীর্ঘদিনের চাপা উত্তেজনা প্রকাশ্য সংঘাতে রূপ নেয়। আরএসএফকে নিয়মিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধের কারণে এই সহিংসতা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তা দ্রুতই দেশব্যাপী যুদ্ধে পরিণত হয়, যাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আরএসএফ যোদ্ধারা দারফুরে গণহত্যাসহ ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। সুদান সেনার বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।

সুদানের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জন ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে এই যোদ্ধা সরবরাহের ক্ষেত্রে বহুল আলোচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জড়িত থাকার কথা নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ করা হয়নি।
লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ৪ ব্যক্তি ও ৪টি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা জানিয়েছে। এসব ব্যক্তি ও সংস্থা কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মীদের নিয়োগের সঙ্গে জড়িত একটি ‘আন্তঃদেশীয় নেটওয়ার্কের’ অংশ ছিল।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, কলম্বিয়ার এসব যোদ্ধা আরএসএফ-কে ‘কৌশলগত ও কারিগরি দক্ষতা শিখিয়েছে, ইনফ্যান্ট্রি এবং আর্টিলারিম্যান, ড্রোন পাইলট, গাড়িচালক এবং প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করেছে, এমনকি কেউ কেউ শিশুদেরও প্রশিক্ষণ দিয়েছে।’ যোদ্ধারা সুদানের বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে বলেও এতে বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে খার্তুম, ওমদুরমান, করদোফান ও এল-ফাশেরের লড়াই।
অক্টোবরে আরএসএফ এল-ফাশেরে ঝটিকা আক্রমণের সময় ব্যাপক গণহত্যা ও নির্যাতন চালায়। এর কিছু ঘটনা আরএসএফের নিজস্ব যোদ্ধাদের মাধ্যমে নথিভুক্ত হয়েছে এবং স্যাটেলাইট চিত্র দ্বারা তা প্রমাণিত হয়েছে। ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, ‘সুদানে কলম্বিয়ার যোদ্ধাদের উপস্থিতি বহু ব্যক্তি ও সংস্থার সাহায্য ছাড়া সম্ভব হতো না, যাদের বেশিরভাগই কলম্বিয়ার।’
বোগোতাভিত্তিক নিয়োগ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস এজেন্সি এবং এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আরব আমিরাতে থাকা কলম্বিয়ার সাবেক সেনা কর্মকর্তা আলভারো আন্দ্রেস কুইজানো বেসেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কুইজানোর স্ত্রী ক্লদিয়া ভিভিয়ানা অলিভারোস ফোরো এই প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ম্যানেজার। তাঁকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
কলম্বিয়ার সংবাদমাধ্যম লা সিয়া ভেসিয়ার ফাঁস করা নথি অনুসারে, আরব আমিরাতে নিবন্ধিত একটি কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করেছিল সুদানে কাজ করার জন্য শত শত সাবেক সৈন্য সরবরাহ করতে। আমিরাতি ওই কোম্পানি গ্লোবাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস গ্রুপ নিজেদেরকে ‘ইউএই সরকারের একমাত্র সশস্ত্র বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবা প্রদানকারী’ হিসেবে পরিচয় দেয়। কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় এর কোনো উল্লেখ নেই। তদন্তকারী সংস্থা দ্য সেন্ট্রির গত মাসের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়, কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক সরবরাহকারী আমিরাতি ব্যবসায়ীরা ইউএই-এর ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্ত।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্য সংস্থাগুলো হলো—পানামাভিত্তিক গ্লোবাল স্টাফিং এসএ এবং কলম্বিয়াভিত্তিক ফার্ম মেইন গ্লোবাল কর্প এসএএস ও কমার্সিয়ালাইজাদোরা সান বেনিটো। কলম্বিয়ার নাগরিক মনিকা মুনিওজ উক্রোস এবং কলম্বিয়ার-স্প্যানিশ দ্বৈত নাগরিক মাতেও আন্দ্রেস ডুকে বোতেরোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ট্রেজারি বিভাগ জানায়, ‘আজকের পদক্ষেপের ফলস্বরূপ, ওপরের বর্ণিত বা অবরুদ্ধ ব্যক্তি বা সংস্থাদের যুক্তরাষ্ট্রে বা মার্কিন ব্যক্তিবর্গের দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা সমস্ত সম্পত্তি এবং সম্পত্তির স্বার্থ অবরুদ্ধ করা হয়েছে এবং তা রিপোর্ট করতে হবে।’
সেপ্টেম্বরে, সুদান আরএসএফ-এর পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকদের পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগে ইউএই-এর বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করে।
জাতিসংঘে সুদানের প্রতিনিধি বলেছিলেন যে, খার্তুম আটক যোদ্ধাদের কাছ থেকে নথি সংগ্রহ করেছে, যেখানে দেখা যায় যে ইউএই-এর দুটি বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানি ভাড়াটে সৈনিকদের নিয়োগ দিয়েছে। ইউএই অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, এসব প্রমাণ ‘মনগড়া।’
গত ৭ আগস্ট সুদানের বিমান বাহিনী ইউএই-এর বলে কথিত একটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। এটি কলম্বিয়ার ৪০ জন ভাড়াটে সৈনিক বহন করছিল। সঙ্গে ছিল আরএসএফ-এর ব্যবহারের জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জামের চালান। বিমানটিতে থাকা ভাড়াটে সৈন্যরা সবাই মারা গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। ইউএই এতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে।
আধুনিক অনিয়মিত যুদ্ধে কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকরা এখন খুবই কাঙ্ক্ষিত। দেশটির মধ্যে গেরিলা ও মাদক চক্রের বিরুদ্ধে কয়েক দশকের সংঘাত এক স্থিতিশীল সরবরাহ তৈরি করেছে এই রণক্লান্ত সাবেক যোদ্ধাদের। ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শন ম্যাকফেট মিডেল ইস্ট আইকে বলেন, ‘কলম্বিয়ার সেনারা চমৎকার, তাদের অনেক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আছে এবং তারা খুবই ভালো যোদ্ধা। তারা চেইন অব কমান্ড মেনে চলে, তাদের শৃঙ্খলা ভালো, আর একজন আমেরিকান ভাড়াটে সৈনিকের যা খরচ হয়, তার এক-চতুর্থাংশেই তাদের পাওয়া যায়।’
ইউক্রেনে শত শত কলম্বিয়ান লড়াই করছে, অন্যরা লিবিয়ার ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধ ছাড়াও আফগানিস্তান ও ইরাকে কাজ করেছে। সুদানের যুদ্ধের প্রসঙ্গে লা সিয়া ভেসিয়া জানায়, কলম্বিয়ার যোদ্ধারা দুটি পথ ব্যবহার করছে। একটি পথ হলো উত্তর লিবিয়ার বেনগাজি হয়ে। সেখানে লিবীয় ঠিকাদাররা তাদের পাসপোর্ট জব্দ করেছে বলে জানা যায় এবং সুদানে আরএসএফ-এ যোগদানের জন্য তাদের যাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফিরতে দেয়নি।
অন্য পথটি হলো স্পেন থেকে ইথিওপিয়া ভ্রমণ, তারপর সোমালিয়ার বোসাসো সমুদ্রবন্দর শহরে গিয়ে চাদের রাজধানী এন’ডজামেনা হয়ে সবশেষে দারফুরের আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত শহর নিয়ালার উদ্দেশে উড়ে যাওয়া।
অক্টোবরে মিডল ইস্ট আই বিশেষ ফুটেজ সংগ্রহ করে। যেখানে দেখা যায় কয়েক ডজন কলম্বিয়ান সেনা সোমালিয়ার বোসাসো বিমানবন্দরে বিমান থেকে নামছে এবং কাছেই কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকদের রাখা একটি শিবিরের দিকে যাচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে ‘অঘোষিত ভারী লজিস্টিক্যাল সরঞ্জামাদি’ পরিবহনের জন্য বোসাসো ব্যবহারের বিশদ বিবরণও ছিল। বন্দরের একাধিক সূত্র জানিয়েছিল, এসব সরঞ্জাম ইউএই সরবরাহ করছিল এবং চূড়ান্ত গন্তব্য ছিল সুদানের আরএসএফ।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের কয়েক দিন পর, সোমালিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্বীকার করেন যে—এমন বিমান চলাচল ঘটছে। মন্ত্রী আরও যোগ করেন, সরকার কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকদের বোসাসো থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছে, তবে তা নিশ্চিত করা যায়নি।
মিডল ইস্ট আই ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে রিপোর্ট করেছিল, ইউএই লিবিয়া, চাদ এবং উগান্ডাজুড়ে বিস্তৃত সরবরাহ লাইন ও জোটের এক জটিল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আরএসএফ-কে অস্ত্র সরবরাহ করছিল। ক্রমবর্ধমান প্রমাণ সত্ত্বেও, আবুধাবি এই আধাসামরিক গোষ্ঠীকে সমর্থন করার কথা অস্বীকার করে।
সুদানের যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বাধীন সুদান সেনা এবং মোহামেদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বাধীন আরএসএফ-এর মধ্যে দীর্ঘদিনের চাপা উত্তেজনা প্রকাশ্য সংঘাতে রূপ নেয়। আরএসএফকে নিয়মিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধের কারণে এই সহিংসতা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তা দ্রুতই দেশব্যাপী যুদ্ধে পরিণত হয়, যাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আরএসএফ যোদ্ধারা দারফুরে গণহত্যাসহ ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। সুদান সেনার বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।

ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে গত শনিবার দিবাগত রাতে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলা সফল হয়েছে বলে দাবি করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে ইরান জানায়, এই মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি
২৩ জুন ২০২৫
জার্মানি আবারও প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আবারও সৈন্য পাঠাচ্ছে। তবে, এবার দেশটি দখল করতে নয়, বরং রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে পোল্যান্ডের যে সীমান্ত আছে তা সুরক্ষিত করতে। জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
১৮ মিনিট আগে
ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ। শহরটির বায়ুমান ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বা সিভিয়ার পর্যায়ে থাকায় কমে গেছে দৃশ্যমানতা। এতে বিমান ও ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। আজ ঘন ধোঁয়াশার কারণে ‘অরেঞ্জ’ সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি)।
১ ঘণ্টা আগে
প্রবল বৃষ্টি আর তীব্র বাতাসে গাজা উপত্যকার বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবন আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মধ্য গাজার আল-ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে স্ত্রী ও সাত মেয়েকে নিয়ে থাকেন সাবার দাওয়াস। বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই এই তাঁবুই তাদের একমাত্র আশ্রয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রবল বৃষ্টি আর তীব্র বাতাসে গাজা উপত্যকার বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবন আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মধ্য গাজার আল-ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে স্ত্রী ও সাত মেয়েকে নিয়ে থাকেন সাবার দাওয়াস। বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই এই তাঁবুই তাদের একমাত্র আশ্রয়। শীত শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই তাঁবু ভেঙে পড়ার ভয়ে ছিলেন তিনি।
দুই সপ্তাহ আগে টানা বৃষ্টিতে তাঁবুর ভেতরে প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি জমে যায়। ঠাণ্ডায় তাঁর মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা ধার করে প্লাস্টিকের ত্রিপল কিনে কাঠের খুঁটি দিয়ে তাঁবু শক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন সাবার। কিন্তু কয়েক দিন আগে গাজায় আঘাত হানা সর্বশেষ ঝড়ে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
মিডল ইস্ট আইকে সাবার বলেন, ‘বৃষ্টির প্রথম রাত আমি নিজের হাতে তাঁবুটি ধরে রেখেছিলাম, তখন চারদিক থেকে বৃষ্টির পানি ঢুকছিল ভেতরে।’ তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছিল যেন আমি কিছুই করিনি। বৃষ্টির প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁবুটি আমাদের ওপর ভেঙে পড়েছিল।’ ভেতরের সবকিছু ভিজে যাওয়ায় তার মেয়েরা সারারাত কাঁপতে থাকে। সাবার বলেন, ‘আমাদের সব কাপড়, কম্বল এবং খাবার ভিজে গিয়েছিল। আমি জানতাম না কী করব বা আমার পরিবারকে কোথায় নিয়ে যাব।’
সাবারের সবচেয়ে ছোট মেয়ে মাত্র ২ বছর বয়সী, পেটের ক্যান্সারে আক্রান্ত। দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে ঠাণ্ডা তাঁর জন্য আরও বিপজ্জনক। সাবার বলেন, ‘আমি তাকে ক্যাম্পের এক তাঁবু থেকে অন্য তাঁবুতে সরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি। সবকিছু প্লাবিত, এবং তার ফ্লু হয়েছে। আমি তার জন্য ওষুধও জোগাড় করতে পারছি না। এমন দিন আসবে জানলে আমি আরও আগেই আমার জীবনের অবসান চাইতাম।’ যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি কি এমন দেখতে হয়? আমরা আমাদের বাড়িতে থাকার পরিবর্তে ভঙ্গুর তাঁবুতে ঠাণ্ডায় মারা যাচ্ছি।’
এই দুর্ভোগ শুধু একটি পরিবারের নয়। ক্যাম্পজুড়ে বহু পরিবার একই পরিস্থিতির মুখে। কয়েক তাঁবু দূরে থাকেন ৩৬ বছর বয়সী সানা আল-আয়ুবি। তাঁর স্বামী দুই পা হারিয়েছেন। দুই সন্তান সারাহ ও মোহাম্মদকে নিয়ে তিনি একটি জরাজীর্ণ তাঁবুতে থাকেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিম গাজা সিটির তেল আল-হাওয়ায় তাদের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এই ক্ষতি হয়। তখন সানা গর্ভবতী ছিলেন এবং গুরুতর আহত হন। সুস্থ হয়ে ওঠার পর থেকেই পরিবারটি তাঁবুতেই আশ্রয় নিয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে অকেজো পয়ঃনিষ্কাশন কূপ উপচে পড়েছে। সানা বলেন, ‘তিন দিন ধরে বৃষ্টি থামেনি। ওপর থেকে আমাদের ওপর পানি পড়ছে, আর তাঁবুর নিচ থেকে পয়ঃবর্জ্য উঠে আসছে।’ এক পর্যায়ে তাঁবুর মাঝখানের কাঠের খুঁটি ভেঙে পরিবারের ওপর পড়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী পানির মধ্যে হামাগুড়ি দিচ্ছিলেন। তাঁর শরীর পুরোপুরি ভিজে গিয়েছিল। আমি একটি ঝাঁটা দিয়ে তাঁবুটি ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু বৃষ্টি খুব তীব্র ছিল।’ তাঁবু পানিতে ডুবে থাকায় তার স্বামী কৃত্রিম পা ব্যবহার করতে পারছেন না। সানা জানান, ‘আমাকে তাঁকে বাইরে নিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছি। তাঁর পায়ে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হচ্ছে কারণ সেগুলি এতক্ষণ ভেজা ছিল।’
পয়ঃনিষ্কাশনের পানি ঢুকে পড়ায় তাদের বেশিরভাগ বিছানা ও কাপড় ফেলে দিতে হয়েছে। তাঁবুর নিচের একটি পয়ঃনিষ্কাশন গর্ত ফেটে যাওয়ার পর গাজা পৌরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কেউ আসেনি বলে অভিযোগ তাঁর। যুদ্ধের আগে সানা ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং নিজের বাড়ির নিচে একটি ছোট লার্নিং সেন্টার চালাতেন। এখন পুরো পরিবার ক্যাম্পে বিতরণ করা ত্রাণের খাবারের ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন শুকনো জামাকাপড়, একটি তাঁবু বা ওষুধ কেনার সামর্থ্য রাখি না।’
উত্তর গাজা সিটির আল-কারামা এলাকায় ২৮ বছর বয়সী নেসমা হাসান তাঁর চার বছরের মেয়েকে নিয়ে পরিবারের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির অবশিষ্টাংশে থাকছেন। তাঁর স্বামী আলী ২০২২ সালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন। যুদ্ধবিরতির এক মাস আগে তাদের চারতলা ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কেবল ছাদযুক্ত দুটি কক্ষ অবশিষ্ট থাকে।
নেসমা বলেন, ‘আমরা শীতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা কাঠ, ত্রিপল এবং প্লাস্টিকের চাদর কিনেছিলাম। কিন্তু যখন বৃষ্টি শুরু হলো, বাতাস সবকিছু ছিঁড়ে নিয়ে গেল।’ অবশিষ্ট কক্ষগুলোর প্রতিটি কোণ থেকেই পানি চুইয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সারারাত ধরে পানি সরাচ্ছিলাম। আসবাবপত্র এবং তোষক ভিজে গিয়েছিল। বৃষ্টি এত ভারী ছিল যে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না।’
বন্যা থেকে বাঁচতে নেসমা ও তাঁর মেয়ে কক্ষের এক কোণে গুটিসুটি মেরে ছিলেন। নেসমা বলেন, ‘আমার মেয়ে তিন দিন ধরে ঠাণ্ডায় ভুগছে। আমি তাকে জামাকাপড়ের স্তরে স্তরে মুড়িয়ে রাখি, টুপি এবং গ্লাভস পরাই, কিন্তু এখনও মনে হয় আমরা রাস্তায় ঘুমাচ্ছি।’
তিনি জানান, বজ্রপাতের শব্দ, ঘরের ভেতরে বৃষ্টির ফোঁটা আর ধ্বংসস্তূপে বাতাসের শব্দে তার মেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি বাইরে ধ্বংসস্তূপের ওপর একটি তাঁবু স্থাপনের কথা ভাবছেন। নেসমা বলেন, ‘যুদ্ধের আগে আমি শীতকাল ভালোবাসতাম। এটি ছিল উষ্ণতা এবং পরিবারের সময়। এখন আমি কেবল এর শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকি, ভয়ে আছি যে বাড়ির বাকি অংশ আমাদের ওপর ভেঙে পড়বে।’
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গত তিন দিনে প্রবল বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসে আংশিকভাবে ধ্বংস হওয়া বাড়ি ভেঙে পড়ে অন্তত ১১ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, তারা ১৩টি আংশিকভাবে ধ্বংস হওয়া বাড়ি ধসে পড়ার ঘটনায় সাড়া দিয়েছে, যার বেশিরভাগই গাজা সিটি ও উত্তরাঞ্চলে। একই সঙ্গে শত শত প্লাবিত তাঁবু থেকে পানি সরানো এবং নিষ্কাশন খাল খুলে দেওয়ার কাজ করেছে তাদের দলগুলো।

প্রবল বৃষ্টি আর তীব্র বাতাসে গাজা উপত্যকার বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবন আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মধ্য গাজার আল-ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে স্ত্রী ও সাত মেয়েকে নিয়ে থাকেন সাবার দাওয়াস। বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই এই তাঁবুই তাদের একমাত্র আশ্রয়। শীত শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই তাঁবু ভেঙে পড়ার ভয়ে ছিলেন তিনি।
দুই সপ্তাহ আগে টানা বৃষ্টিতে তাঁবুর ভেতরে প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি জমে যায়। ঠাণ্ডায় তাঁর মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা ধার করে প্লাস্টিকের ত্রিপল কিনে কাঠের খুঁটি দিয়ে তাঁবু শক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন সাবার। কিন্তু কয়েক দিন আগে গাজায় আঘাত হানা সর্বশেষ ঝড়ে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
মিডল ইস্ট আইকে সাবার বলেন, ‘বৃষ্টির প্রথম রাত আমি নিজের হাতে তাঁবুটি ধরে রেখেছিলাম, তখন চারদিক থেকে বৃষ্টির পানি ঢুকছিল ভেতরে।’ তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছিল যেন আমি কিছুই করিনি। বৃষ্টির প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁবুটি আমাদের ওপর ভেঙে পড়েছিল।’ ভেতরের সবকিছু ভিজে যাওয়ায় তার মেয়েরা সারারাত কাঁপতে থাকে। সাবার বলেন, ‘আমাদের সব কাপড়, কম্বল এবং খাবার ভিজে গিয়েছিল। আমি জানতাম না কী করব বা আমার পরিবারকে কোথায় নিয়ে যাব।’
সাবারের সবচেয়ে ছোট মেয়ে মাত্র ২ বছর বয়সী, পেটের ক্যান্সারে আক্রান্ত। দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে ঠাণ্ডা তাঁর জন্য আরও বিপজ্জনক। সাবার বলেন, ‘আমি তাকে ক্যাম্পের এক তাঁবু থেকে অন্য তাঁবুতে সরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি। সবকিছু প্লাবিত, এবং তার ফ্লু হয়েছে। আমি তার জন্য ওষুধও জোগাড় করতে পারছি না। এমন দিন আসবে জানলে আমি আরও আগেই আমার জীবনের অবসান চাইতাম।’ যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি কি এমন দেখতে হয়? আমরা আমাদের বাড়িতে থাকার পরিবর্তে ভঙ্গুর তাঁবুতে ঠাণ্ডায় মারা যাচ্ছি।’
এই দুর্ভোগ শুধু একটি পরিবারের নয়। ক্যাম্পজুড়ে বহু পরিবার একই পরিস্থিতির মুখে। কয়েক তাঁবু দূরে থাকেন ৩৬ বছর বয়সী সানা আল-আয়ুবি। তাঁর স্বামী দুই পা হারিয়েছেন। দুই সন্তান সারাহ ও মোহাম্মদকে নিয়ে তিনি একটি জরাজীর্ণ তাঁবুতে থাকেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিম গাজা সিটির তেল আল-হাওয়ায় তাদের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এই ক্ষতি হয়। তখন সানা গর্ভবতী ছিলেন এবং গুরুতর আহত হন। সুস্থ হয়ে ওঠার পর থেকেই পরিবারটি তাঁবুতেই আশ্রয় নিয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে অকেজো পয়ঃনিষ্কাশন কূপ উপচে পড়েছে। সানা বলেন, ‘তিন দিন ধরে বৃষ্টি থামেনি। ওপর থেকে আমাদের ওপর পানি পড়ছে, আর তাঁবুর নিচ থেকে পয়ঃবর্জ্য উঠে আসছে।’ এক পর্যায়ে তাঁবুর মাঝখানের কাঠের খুঁটি ভেঙে পরিবারের ওপর পড়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী পানির মধ্যে হামাগুড়ি দিচ্ছিলেন। তাঁর শরীর পুরোপুরি ভিজে গিয়েছিল। আমি একটি ঝাঁটা দিয়ে তাঁবুটি ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু বৃষ্টি খুব তীব্র ছিল।’ তাঁবু পানিতে ডুবে থাকায় তার স্বামী কৃত্রিম পা ব্যবহার করতে পারছেন না। সানা জানান, ‘আমাকে তাঁকে বাইরে নিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছি। তাঁর পায়ে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হচ্ছে কারণ সেগুলি এতক্ষণ ভেজা ছিল।’
পয়ঃনিষ্কাশনের পানি ঢুকে পড়ায় তাদের বেশিরভাগ বিছানা ও কাপড় ফেলে দিতে হয়েছে। তাঁবুর নিচের একটি পয়ঃনিষ্কাশন গর্ত ফেটে যাওয়ার পর গাজা পৌরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কেউ আসেনি বলে অভিযোগ তাঁর। যুদ্ধের আগে সানা ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং নিজের বাড়ির নিচে একটি ছোট লার্নিং সেন্টার চালাতেন। এখন পুরো পরিবার ক্যাম্পে বিতরণ করা ত্রাণের খাবারের ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন শুকনো জামাকাপড়, একটি তাঁবু বা ওষুধ কেনার সামর্থ্য রাখি না।’
উত্তর গাজা সিটির আল-কারামা এলাকায় ২৮ বছর বয়সী নেসমা হাসান তাঁর চার বছরের মেয়েকে নিয়ে পরিবারের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির অবশিষ্টাংশে থাকছেন। তাঁর স্বামী আলী ২০২২ সালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন। যুদ্ধবিরতির এক মাস আগে তাদের চারতলা ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কেবল ছাদযুক্ত দুটি কক্ষ অবশিষ্ট থাকে।
নেসমা বলেন, ‘আমরা শীতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা কাঠ, ত্রিপল এবং প্লাস্টিকের চাদর কিনেছিলাম। কিন্তু যখন বৃষ্টি শুরু হলো, বাতাস সবকিছু ছিঁড়ে নিয়ে গেল।’ অবশিষ্ট কক্ষগুলোর প্রতিটি কোণ থেকেই পানি চুইয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সারারাত ধরে পানি সরাচ্ছিলাম। আসবাবপত্র এবং তোষক ভিজে গিয়েছিল। বৃষ্টি এত ভারী ছিল যে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না।’
বন্যা থেকে বাঁচতে নেসমা ও তাঁর মেয়ে কক্ষের এক কোণে গুটিসুটি মেরে ছিলেন। নেসমা বলেন, ‘আমার মেয়ে তিন দিন ধরে ঠাণ্ডায় ভুগছে। আমি তাকে জামাকাপড়ের স্তরে স্তরে মুড়িয়ে রাখি, টুপি এবং গ্লাভস পরাই, কিন্তু এখনও মনে হয় আমরা রাস্তায় ঘুমাচ্ছি।’
তিনি জানান, বজ্রপাতের শব্দ, ঘরের ভেতরে বৃষ্টির ফোঁটা আর ধ্বংসস্তূপে বাতাসের শব্দে তার মেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি বাইরে ধ্বংসস্তূপের ওপর একটি তাঁবু স্থাপনের কথা ভাবছেন। নেসমা বলেন, ‘যুদ্ধের আগে আমি শীতকাল ভালোবাসতাম। এটি ছিল উষ্ণতা এবং পরিবারের সময়। এখন আমি কেবল এর শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকি, ভয়ে আছি যে বাড়ির বাকি অংশ আমাদের ওপর ভেঙে পড়বে।’
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গত তিন দিনে প্রবল বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসে আংশিকভাবে ধ্বংস হওয়া বাড়ি ভেঙে পড়ে অন্তত ১১ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, তারা ১৩টি আংশিকভাবে ধ্বংস হওয়া বাড়ি ধসে পড়ার ঘটনায় সাড়া দিয়েছে, যার বেশিরভাগই গাজা সিটি ও উত্তরাঞ্চলে। একই সঙ্গে শত শত প্লাবিত তাঁবু থেকে পানি সরানো এবং নিষ্কাশন খাল খুলে দেওয়ার কাজ করেছে তাদের দলগুলো।

ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে গত শনিবার দিবাগত রাতে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলা সফল হয়েছে বলে দাবি করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে ইরান জানায়, এই মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি
২৩ জুন ২০২৫
জার্মানি আবারও প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আবারও সৈন্য পাঠাচ্ছে। তবে, এবার দেশটি দখল করতে নয়, বরং রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে পোল্যান্ডের যে সীমান্ত আছে তা সুরক্ষিত করতে। জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
১৮ মিনিট আগে
ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ। শহরটির বায়ুমান ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বা সিভিয়ার পর্যায়ে থাকায় কমে গেছে দৃশ্যমানতা। এতে বিমান ও ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। আজ ঘন ধোঁয়াশার কারণে ‘অরেঞ্জ’ সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি)।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জন ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে এই যোদ্ধা সরবরাহের ক্ষেত্রে বহুল আলোচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জড়িত থাকার কথা...
২ ঘণ্টা আগে