আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত এক সপ্তাহ ধরে ইরান নিয়ে একের পর এক পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কখনো তিনি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন, আবার অন্যদিকে—ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে যুক্ত হওয়ার কথাও বলছেন তিনি।
সবশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন যে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে কি না। প্রেসিডেন্টের এমন অবস্থান পরিবর্তন দেখে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, ট্রাম্পের হয়তো সুস্পষ্ট কোনো কৌশল বা লক্ষ্য নেই—বরং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চাপেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কথা ভাবছেন তিনি।
অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করছেন, ট্রাম্প হয়তো ইরানকে চূড়ান্তভাবে পরমাণু কর্মসূচি ত্যাগে বাধ্য করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে কঠোর ও যুদ্ধোন্মুখ বক্তব্য দিয়ে কূটনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন—এ ধরনের দ্বিমুখী চাপে উত্তেজনা এতটাই বেড়ে যেতে পারে যে তা শেষ পর্যন্ত এক সর্বাত্মক মার্কিন-ইরান যুদ্ধে পরিণত হতে পারে।
ন্যাশনাল ইরান-ইউএস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট জামাল আবদি বলছেন, হুমকি-ধমকি দিয়ে ইরানকে আত্মসমর্পণ বাধ্য করতে কেবল একটি কৌশল নিচ্ছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, তিনি নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছেন, যিনি কখন কী করবেন কেউ জানে না। আর এমন একটা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি তিনি বহু বছর ধরেই চেয়ে আসছেন, যাতে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে বাধ্য করা যায়। আর নিজের এই চাওয়া পূরণ করতে গিয়েই তিনি নেতানিয়াহুর ফাঁদে পা দিচ্ছেন। আর সেই ফাঁদ হলো—ইরানের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া।’
যুক্তরাষ্ট্রবিষয়ক ইরানি বিশ্লেষক নিগার মোর্তাজাভি মনে করেন, নেতানিয়াহুর কূটচালের কাছে পরাজিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প নিজে কী চান তা তিনি আদৌও জানেন কিনা—তা নিয়ে আমি সন্দিহান। তিনি নির্বাচনের আগে “শান্তির দূত” হিসেবে প্রচার চালিয়েছেন। অঙ্গীকার করেছিলেন যে তিনি বিশ্বজুড়ে সব যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু পরিস্থিতি এখন কেমন? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামেনি। গাজা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। এবং তিনি মধ্যপ্রাচ্যে আরও একটি বড় যুদ্ধ ঘটতে দিলেন! খুব নিশ্চিতভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের যুদ্ধ। প্রকৃতপক্ষে তিনি বলেন এক, আর করেন আরেক।’
গত সপ্তাহের রোববার পরমাণু ইস্যুতে ষষ্ঠ দফায় আলোচনায় বসার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের। এর ঠিক দুদিন আগেই তেহরানে হামলা চালায় তেলআবিব। হামলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মার্কিন দূতাবাস থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। আর হামলার পর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বক্তব্য যেন নিজেদের দায় ঢাকার চেষ্টাই ছিল। তারা জানায়, হামলায় তাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। তবে, হামলার ব্যাপারে যে ট্রাম্প বা অন্য মার্কিন কর্মকর্তারা জানতেন তা নিজেই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গত সাত দিনে ধীরে ধীরে পরিবর্তন এসেছে ট্রাম্পের অবস্থানে। সম্পৃক্ততা নেই বললেও পরবর্তীতে তাঁর বলা বিভিন্ন কথা ও সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ইঙ্গিত ছিল উল্টো। গত মঙ্গলবার তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে লেখেন, ‘ইরানের আকাশের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছি আমরা। ইরানের অনেক ভালো ভালো স্কাই ট্র্যাকার এবং অন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আছে বটে। কিন্তু মার্কিন প্রযুক্তির সঙ্গে সেগুলোর তুলনা চলে না।’
তবে, ওই পোস্টে তিনি ‘আমরা’ বলতে কোন কোন পক্ষকে বুঝিয়েছেন তা স্পষ্ট করেননি। কিন্তু স্পষ্ট না করলেও তিনি যে ইসরায়েল এবং আমেরিকাকে বুঝিয়েছেন তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
ইসরায়েলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পারমাণবিক কেন্দ্র, তেল স্থাপনা, আবাসিক ভবনসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। বহু শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন, প্রাণ হারিয়েছেন বহু বেসামরিক মানুষও। জবাবে ইরানও ইসরায়েলি ভূখণ্ডে শক্তিশালী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, মোসাদসহ বহু সরকারি ও সামরিক কাঠামোতে হামলা চালিয়েছে ইরান।
নেতানিয়াহু প্রশাসনের দাবি—ইরান ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। খুব শিগগিরই তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে সেই অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। তাই বাধ্য হয়ে ইরানি পরমাণু কর্মসূচি থামাতে এই হামলা চালিয়েছে তারা। তবে, বিশ্লেষক থেকে শুরু করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিজেও স্বীকার করেছে মার্কিন সহায়তা ছাড়া ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ধ্বংস করা সম্ভব নয়।
বিশ্লেষক মোর্তাজাভি বলেন, ‘ইসরায়েল ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা করছে যে এটা কোনো সরকার পরিবর্তনের যুদ্ধ নয়। মূলত ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধই এর একমাত্র উদ্দেশ্য—যা যুক্তরাষ্ট্রও বহুদিন ধরে চেয়ে আসছে। তবে, ট্রাম্পকে যুদ্ধে টেনে আনতে নেতানিয়াহু যে কৌশল অবলম্বন করছেন তা খুবই উদ্বেগজনক। তারা এই পরিকল্পনাকে একটি সহজ, স্বল্পমেয়াদি সামরিক অভিযানের চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করছে—যেন একটি বাংকার-বাস্টার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেই কাজ শেষ!’
তিনি সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে জড়ালে তা আফগানিস্তান ও ইরাকের সমন্বিত ক্ষয়ক্ষতিকেও ছাড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘এই সংঘাত যদি পূর্ণমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে এর ফলাফল হবে ভয়াবহ—এটি একযোগে ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধ-পরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইরান একটি বড় ও জটিল দেশ, যেখানে যেকোনো রাজনৈতিক পতন অনিবার্যভাবে বিশৃঙ্খলা, গৃহযুদ্ধ ও মানবিক সংকট ডেকে আনবে। এটি কোনো রঙিন বিপ্লব হবে না—বরং এটি যুদ্ধ, বিশৃঙ্খলা ও দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতার শঙ্কা নিয়ে হাজির হবে।’
ইরান ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি দেশটির ওপর সামরিক হামলা চালায়, তবে তারা কঠোর জবাব দেবে। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন থাকা হাজার হাজার মার্কিন সেনা ইরানি প্রতি আক্রমণের ঝুঁকিতে পড়বে। সংঘাত আরও বাড়লে ইরান পারস্য উপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক রুটগুলো বন্ধ করে দিতে পারে, যা বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটাবে।

গত এক সপ্তাহ ধরে ইরান নিয়ে একের পর এক পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কখনো তিনি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন, আবার অন্যদিকে—ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে যুক্ত হওয়ার কথাও বলছেন তিনি।
সবশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন যে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে কি না। প্রেসিডেন্টের এমন অবস্থান পরিবর্তন দেখে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, ট্রাম্পের হয়তো সুস্পষ্ট কোনো কৌশল বা লক্ষ্য নেই—বরং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চাপেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কথা ভাবছেন তিনি।
অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করছেন, ট্রাম্প হয়তো ইরানকে চূড়ান্তভাবে পরমাণু কর্মসূচি ত্যাগে বাধ্য করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে কঠোর ও যুদ্ধোন্মুখ বক্তব্য দিয়ে কূটনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন—এ ধরনের দ্বিমুখী চাপে উত্তেজনা এতটাই বেড়ে যেতে পারে যে তা শেষ পর্যন্ত এক সর্বাত্মক মার্কিন-ইরান যুদ্ধে পরিণত হতে পারে।
ন্যাশনাল ইরান-ইউএস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট জামাল আবদি বলছেন, হুমকি-ধমকি দিয়ে ইরানকে আত্মসমর্পণ বাধ্য করতে কেবল একটি কৌশল নিচ্ছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, তিনি নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছেন, যিনি কখন কী করবেন কেউ জানে না। আর এমন একটা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি তিনি বহু বছর ধরেই চেয়ে আসছেন, যাতে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে বাধ্য করা যায়। আর নিজের এই চাওয়া পূরণ করতে গিয়েই তিনি নেতানিয়াহুর ফাঁদে পা দিচ্ছেন। আর সেই ফাঁদ হলো—ইরানের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া।’
যুক্তরাষ্ট্রবিষয়ক ইরানি বিশ্লেষক নিগার মোর্তাজাভি মনে করেন, নেতানিয়াহুর কূটচালের কাছে পরাজিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প নিজে কী চান তা তিনি আদৌও জানেন কিনা—তা নিয়ে আমি সন্দিহান। তিনি নির্বাচনের আগে “শান্তির দূত” হিসেবে প্রচার চালিয়েছেন। অঙ্গীকার করেছিলেন যে তিনি বিশ্বজুড়ে সব যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু পরিস্থিতি এখন কেমন? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামেনি। গাজা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। এবং তিনি মধ্যপ্রাচ্যে আরও একটি বড় যুদ্ধ ঘটতে দিলেন! খুব নিশ্চিতভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের যুদ্ধ। প্রকৃতপক্ষে তিনি বলেন এক, আর করেন আরেক।’
গত সপ্তাহের রোববার পরমাণু ইস্যুতে ষষ্ঠ দফায় আলোচনায় বসার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের। এর ঠিক দুদিন আগেই তেহরানে হামলা চালায় তেলআবিব। হামলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মার্কিন দূতাবাস থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। আর হামলার পর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বক্তব্য যেন নিজেদের দায় ঢাকার চেষ্টাই ছিল। তারা জানায়, হামলায় তাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। তবে, হামলার ব্যাপারে যে ট্রাম্প বা অন্য মার্কিন কর্মকর্তারা জানতেন তা নিজেই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গত সাত দিনে ধীরে ধীরে পরিবর্তন এসেছে ট্রাম্পের অবস্থানে। সম্পৃক্ততা নেই বললেও পরবর্তীতে তাঁর বলা বিভিন্ন কথা ও সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ইঙ্গিত ছিল উল্টো। গত মঙ্গলবার তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে লেখেন, ‘ইরানের আকাশের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছি আমরা। ইরানের অনেক ভালো ভালো স্কাই ট্র্যাকার এবং অন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আছে বটে। কিন্তু মার্কিন প্রযুক্তির সঙ্গে সেগুলোর তুলনা চলে না।’
তবে, ওই পোস্টে তিনি ‘আমরা’ বলতে কোন কোন পক্ষকে বুঝিয়েছেন তা স্পষ্ট করেননি। কিন্তু স্পষ্ট না করলেও তিনি যে ইসরায়েল এবং আমেরিকাকে বুঝিয়েছেন তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
ইসরায়েলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পারমাণবিক কেন্দ্র, তেল স্থাপনা, আবাসিক ভবনসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। বহু শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন, প্রাণ হারিয়েছেন বহু বেসামরিক মানুষও। জবাবে ইরানও ইসরায়েলি ভূখণ্ডে শক্তিশালী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, মোসাদসহ বহু সরকারি ও সামরিক কাঠামোতে হামলা চালিয়েছে ইরান।
নেতানিয়াহু প্রশাসনের দাবি—ইরান ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। খুব শিগগিরই তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে সেই অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। তাই বাধ্য হয়ে ইরানি পরমাণু কর্মসূচি থামাতে এই হামলা চালিয়েছে তারা। তবে, বিশ্লেষক থেকে শুরু করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিজেও স্বীকার করেছে মার্কিন সহায়তা ছাড়া ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ধ্বংস করা সম্ভব নয়।
বিশ্লেষক মোর্তাজাভি বলেন, ‘ইসরায়েল ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা করছে যে এটা কোনো সরকার পরিবর্তনের যুদ্ধ নয়। মূলত ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধই এর একমাত্র উদ্দেশ্য—যা যুক্তরাষ্ট্রও বহুদিন ধরে চেয়ে আসছে। তবে, ট্রাম্পকে যুদ্ধে টেনে আনতে নেতানিয়াহু যে কৌশল অবলম্বন করছেন তা খুবই উদ্বেগজনক। তারা এই পরিকল্পনাকে একটি সহজ, স্বল্পমেয়াদি সামরিক অভিযানের চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করছে—যেন একটি বাংকার-বাস্টার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেই কাজ শেষ!’
তিনি সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে জড়ালে তা আফগানিস্তান ও ইরাকের সমন্বিত ক্ষয়ক্ষতিকেও ছাড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘এই সংঘাত যদি পূর্ণমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে এর ফলাফল হবে ভয়াবহ—এটি একযোগে ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধ-পরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইরান একটি বড় ও জটিল দেশ, যেখানে যেকোনো রাজনৈতিক পতন অনিবার্যভাবে বিশৃঙ্খলা, গৃহযুদ্ধ ও মানবিক সংকট ডেকে আনবে। এটি কোনো রঙিন বিপ্লব হবে না—বরং এটি যুদ্ধ, বিশৃঙ্খলা ও দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতার শঙ্কা নিয়ে হাজির হবে।’
ইরান ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি দেশটির ওপর সামরিক হামলা চালায়, তবে তারা কঠোর জবাব দেবে। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন থাকা হাজার হাজার মার্কিন সেনা ইরানি প্রতি আক্রমণের ঝুঁকিতে পড়বে। সংঘাত আরও বাড়লে ইরান পারস্য উপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক রুটগুলো বন্ধ করে দিতে পারে, যা বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটাবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১০ মিনিট আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
২ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

গত এক সপ্তাহ ধরে ইরান নিয়ে একের পর এক পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কখনো তিনি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন, আবার অন্যদিকে—ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে যুক্ত হওয়ার কথাও বলছেন তিনি।
২০ জুন ২০২৫
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
২ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

গত এক সপ্তাহ ধরে ইরান নিয়ে একের পর এক পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কখনো তিনি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন, আবার অন্যদিকে—ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে যুক্ত হওয়ার কথাও বলছেন তিনি।
২০ জুন ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১০ মিনিট আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংঘাতকে কেবল সামরিক নয়; বরং একটি সর্বাত্মক অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরাক যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিল—তারা যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত, আমরাও পাল্টা জবাব দিতাম। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তারা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে; আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
তিনি জানান, একদিকে ইরানকে বিশ্ববাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৫ সালের জুন মাসের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান) হামলা চালিয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, জুনের সংঘাতের পর ইরান এখন সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় দিক থেকেই আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যদি তারা আবার হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়, তবে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।’
পেজেশকিয়ানের এই কড়া বার্তা এমন একসময়ে এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকার শেষে পেজেশকিয়ান দেশের মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ সংহতি থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে না।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংঘাতকে কেবল সামরিক নয়; বরং একটি সর্বাত্মক অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরাক যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিল—তারা যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত, আমরাও পাল্টা জবাব দিতাম। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তারা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে; আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
তিনি জানান, একদিকে ইরানকে বিশ্ববাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৫ সালের জুন মাসের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান) হামলা চালিয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, জুনের সংঘাতের পর ইরান এখন সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় দিক থেকেই আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যদি তারা আবার হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়, তবে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।’
পেজেশকিয়ানের এই কড়া বার্তা এমন একসময়ে এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকার শেষে পেজেশকিয়ান দেশের মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ সংহতি থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে না।

গত এক সপ্তাহ ধরে ইরান নিয়ে একের পর এক পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কখনো তিনি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন, আবার অন্যদিকে—ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে যুক্ত হওয়ার কথাও বলছেন তিনি।
২০ জুন ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১০ মিনিট আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
২ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে রাশিয়ায় বিলিয়নিয়ার বা ধনকুবেরদের সংখ্যা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তবে ভ্লাদিমির পুতিনের গত ২৫ বছরের শাসনামলে রাশিয়ার এই প্রভাবশালী বিত্তবান গোষ্ঠী, যারা অলিগার্ক নামে পরিচিত, তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রভাব প্রায় পুরোটাই হারিয়েছে তারা।
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
শাস্তির এই কড়াকড়ি ঠিক কীভাবে কাজ করে, তা সাবেক ব্যাংকিং বিলিয়নিয়ার ওলেগ তিনকভ খুব ভালো করেই জানেন।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘পাগলামি’ বলে সমালোচনা করার ঠিক পরদিনই ক্রেমলিন থেকে তাঁর ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনকভকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা না হয়, তাহলে তৎকালীন রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাংক তিনকভ ব্যাংককে জাতীয়করণ করা হবে।
নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনকভ বলেন, ‘আমি দাম নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাইনি। অনেকটা জিম্মি হয়ে থাকার মতো অবস্থা, যা অফার করা হবে, তা-ই নিতে হবে। দর-কষাকষির কোনো উপায় ছিল না।’
এর এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্লাদিমির পোতানিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি কিনে নেয়।
উল্লেখ্য, পোতানিন বর্তমানে রাশিয়ার পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। রুশ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনের জন্য নিকেল সরবরাহ করেন তিনি।
তিনকভের দাবি অনুযায়ী, ব্যাংকটিকে তার প্রকৃত মূল্যের মাত্র ৩ শতাংশ দামে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত তিনকভ তাঁর প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারান এবং রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য হন।
পুতিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার উদীয়মান পুঁজিবাদের সুযোগ নিয়ে এবং বড় বড় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা কুক্ষিগত করে একদল মানুষ অবিশ্বাস্য সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার সেই সময়ে এই সম্পদ তাঁদের হাতে বিপুল ক্ষমতা ও প্রভাব এনে দেয়, যার ফলে তাঁরা অলিগার্ক হিসেবে পরিচিতি পান।
রাশিয়ার সেই সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী অলিগার্ক বোরিস বেরেজোভস্কি দাবি করেছিলেন, ২০০০ সালে পুতিনকে ক্ষমতায় বসানোর নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন তিনি।
তবে এর কয়েক বছর পরেই তিনি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০১২ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি তাঁর (পুতিন) মধ্যে সেই লোভী স্বৈরশাসক ও জবরদখলকারীকে দেখতে পাইনি, যিনি কিনা স্বাধীনতাকে পদদলিত করবেন এবং রাশিয়ার উন্নয়ন থামিয়ে দেবেন।’
বেরেজোভস্কি হয়তো নিজের ভূমিকার কথা একটু বাড়িয়েই বলেছিলেন। তবে রাশিয়ার অলিগার্করা যে একসময় ক্ষমতার শীর্ষপর্যায়ে প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা রাখতেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এই ক্ষমাপ্রার্থনার ঠিক এক বছর পরেই যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় রহস্যজনকভাবে বেরেজোভস্কির মরদেহ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার অলিগার্ক বা ধনকুবেরদের রাজনৈতিক দাপটেরও চূড়ান্ত অবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে রাশিয়ায় বিলিয়নিয়ার বা ধনকুবেরদের সংখ্যা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তবে ভ্লাদিমির পুতিনের গত ২৫ বছরের শাসনামলে রাশিয়ার এই প্রভাবশালী বিত্তবান গোষ্ঠী, যারা অলিগার্ক নামে পরিচিত, তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রভাব প্রায় পুরোটাই হারিয়েছে তারা।
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
শাস্তির এই কড়াকড়ি ঠিক কীভাবে কাজ করে, তা সাবেক ব্যাংকিং বিলিয়নিয়ার ওলেগ তিনকভ খুব ভালো করেই জানেন।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘পাগলামি’ বলে সমালোচনা করার ঠিক পরদিনই ক্রেমলিন থেকে তাঁর ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনকভকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা না হয়, তাহলে তৎকালীন রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাংক তিনকভ ব্যাংককে জাতীয়করণ করা হবে।
নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনকভ বলেন, ‘আমি দাম নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাইনি। অনেকটা জিম্মি হয়ে থাকার মতো অবস্থা, যা অফার করা হবে, তা-ই নিতে হবে। দর-কষাকষির কোনো উপায় ছিল না।’
এর এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্লাদিমির পোতানিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি কিনে নেয়।
উল্লেখ্য, পোতানিন বর্তমানে রাশিয়ার পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। রুশ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনের জন্য নিকেল সরবরাহ করেন তিনি।
তিনকভের দাবি অনুযায়ী, ব্যাংকটিকে তার প্রকৃত মূল্যের মাত্র ৩ শতাংশ দামে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত তিনকভ তাঁর প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারান এবং রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য হন।
পুতিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার উদীয়মান পুঁজিবাদের সুযোগ নিয়ে এবং বড় বড় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা কুক্ষিগত করে একদল মানুষ অবিশ্বাস্য সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার সেই সময়ে এই সম্পদ তাঁদের হাতে বিপুল ক্ষমতা ও প্রভাব এনে দেয়, যার ফলে তাঁরা অলিগার্ক হিসেবে পরিচিতি পান।
রাশিয়ার সেই সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী অলিগার্ক বোরিস বেরেজোভস্কি দাবি করেছিলেন, ২০০০ সালে পুতিনকে ক্ষমতায় বসানোর নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন তিনি।
তবে এর কয়েক বছর পরেই তিনি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০১২ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি তাঁর (পুতিন) মধ্যে সেই লোভী স্বৈরশাসক ও জবরদখলকারীকে দেখতে পাইনি, যিনি কিনা স্বাধীনতাকে পদদলিত করবেন এবং রাশিয়ার উন্নয়ন থামিয়ে দেবেন।’
বেরেজোভস্কি হয়তো নিজের ভূমিকার কথা একটু বাড়িয়েই বলেছিলেন। তবে রাশিয়ার অলিগার্করা যে একসময় ক্ষমতার শীর্ষপর্যায়ে প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা রাখতেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এই ক্ষমাপ্রার্থনার ঠিক এক বছর পরেই যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় রহস্যজনকভাবে বেরেজোভস্কির মরদেহ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার অলিগার্ক বা ধনকুবেরদের রাজনৈতিক দাপটেরও চূড়ান্ত অবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

গত এক সপ্তাহ ধরে ইরান নিয়ে একের পর এক পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কখনো তিনি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন, আবার অন্যদিকে—ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে যুক্ত হওয়ার কথাও বলছেন তিনি।
২০ জুন ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১০ মিনিট আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
২ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে