Ajker Patrika

বায়ুদূষণে তিষ্ঠানো দায়, দিল্লি ছাড়লেন ভারতে শাওমির সাবেক প্রধান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ০১
বিমানে মাস্ক পরা ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন মনু কুমার জৈন। ছবি: এক্স
বিমানে মাস্ক পরা ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন মনু কুমার জৈন। ছবি: এক্স

দীর্ঘদিন ধরে ভয়াবহ বায়ুদূষণে ভুগছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। প্রায় প্রতিদিনই বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে শহরটি। ভারতের এই রাজধানী শহরটিতে বায়ুদূষণ ‘দুর্যোগপূর্ণ’ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। এর প্রভাবে এই শহরের বাসিন্দাদের মাথাব্যথা, গলা জ্বালাপোড়া, কাশির মতো সমস্যা লেগেই আছে। যারা অন্য শহর থেকে কাজের সূত্রে শহরটিতে পা রাখছেন, তাঁদেরও এসব ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরেছেন ভারতে শাওমির সাবেক প্রধান মনু কুমার জৈন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জৈন জানান রাজধানীতে এসে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর বেহাল দশার কথা। কিছু বৈঠকে অংশ নিতে এক দিনের সফরে দিল্লিতে এসেছিলেন তিনি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিরূপ পরিস্থিতির প্রভাবে চোখ-গলা জ্বালাপোড়া নিয়ে কাজ শেষ না করেই বিমানে উঠে পড়লেন তিনি।

বর্তমানে টেক গ্রুপ জি৪২-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) মনু কুমার জৈন লেখেন, ‘কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে এক দিনের জন্য দিল্লি এসেছিলাম। কিন্তু বুঝলাম এখানে বায়ুদূষণের সঙ্গে মানিয়ে চলার অভ্যাস আর নেই। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চোখ জ্বলছিল, গলায় জ্বালাপোড়া হচ্ছিল, বারবার কাশি আসছিল, এমনকি হালকা মাথাব্যথাও। এন-৯৫ মাস্ক আনতে ভুলে গিয়েছিলাম। যার ফলে আরও বেশি ভুগতে হয়েছে।’

জৈন বলেন, ‘মীরাটে বেড়ে ওঠা আমার। পড়েছি আইআইটি দিল্লিতে। এ শহরের প্রাণচাঞ্চল্য, খাবার ও মানুষের প্রতি আমার তীব্র ভালোবাসা রয়েছে। দিল্লির বর্তমান পরিস্থিতি সত্যিই কষ্টদায়ক।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাধ্য হয়ে আগের ফ্লাইট ধরে ফিরে এসেছি। এমন অভিজ্ঞতা বলছে, বায়ুমান নিয়ে আমাদের এখনো অনেক দূর যেতে হবে।’

কারও ওপর এই পরিস্থিতির দোষ চাপাতে চান না এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতির জন্য আমরা সবাই দায়ী। তবে আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, আমরা এটিকে বদলে দিতে পারব এবং আমাদের সন্তানেরা যাতে পরিষ্কার বাতাসে বড় হতে পারে, এমন পরিবর্তন আনতে পারব।’

তাঁর এই পোস্টটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। নেটিজেনরা তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের সক্রিয় না হওয়ার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘যদি একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কয়েক ঘণ্টা থাকা এত কঠিন, তবে কল্পনা করুন প্রতিদিন দিল্লির বাতাসে শ্বাস নেওয়া একটি শিশুর কী অবস্থা।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘গত সপ্তাহে আমারও ঠিক এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল। দিল্লির অবস্থা বেশ খারাপ।’

আরেক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, ‘আমি অস্ট্রেলিয়া থেকে ভারতে ফিরেছি। আজ সকালে বাইরে হাঁটতে গিয়েছিলাম, কিন্তু ২০ মিনিটের মধ্যেই আবার গাড়িতে ফিরে আসতে হলো। কারণ, গলা ব্যথা হচ্ছিল। পরিবারকে ভালোবাসি তাই এখানে ফিরে এসেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমার প্রিয়জনদের নিয়ে আমার ভারতের বাইরে চলে যাওয়ার কথা ভাবা উচিত।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘আমরা কিছুই করতে পারি না। আমরা ও আমাদের সরকার সঠিক ও ভুলের পার্থক্য বুঝতে পারি না। যে কারণে কোনো পরিবর্তন কখনো ঘটবে না।’

দিল্লিতে ইতিমধ্যে কার্যকর গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান থ্রির (জিআরএপি ৩) বিধিনিষেধের আওতায় দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নির্মাণকাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রধান সড়কগুলোতে পানি ছিটাতে বলা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দিল্লির বিদ্যালয়গুলোতে পাঠক্রমে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ