Ajker Patrika

আসামে ‘বহুবিবাহ অপরাধ’ ঘোষণা—মুসলিমদের টার্গেট করার অভিযোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সমর্থক বেষ্টিত আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
সমর্থক বেষ্টিত আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে বহুবিবাহকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে নতুন আইন পাস করা হয়েছে। ‘অসম প্রহিবিশন অব পলিগ্যামি বিল ২০২৫’ অনুযায়ী, প্রথম বিবাহ বৈধভাবে চলমান থাকা অবস্থায় কেউ দ্বিতীয় বিয়ে করলে তা এখন থেকে ‘অপরাধ’ হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়াই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারবে। দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড, সরকারি চাকরি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থাও এতে রাখা হয়েছে।

রাজ্য সরকার দাবি করেছে, এই আইন নারীর অধিকার রক্ষার জন্য এবং এটি সর্বভারতীয় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, আগামী মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরলে প্রথম অধিবেশনেই ইউসিসি বিল আনা হবে।

তবে বিরোধী দল ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, আইনটি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে আনা হয়েছে। তাঁরা উল্লেখ করেন, আইনটি আসামের তফসিলি উপজাতি ও তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন বোডোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়ন, করবি আংলং ও ডিমা হাসাও অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য নয়। এসব অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই অমুসলিম। তাই বিরোধীদের প্রশ্ন—যদি এটি নারীর সুরক্ষার আইনই হয়, তাহলে উপজাতি এলাকায় বসবাসকারী নারীরা একই সুরক্ষা পাবেন না কেন?

সমালোচকেরা আরও বলছেন—মুসলিম ধর্ম অনুযায়ী, একজন মুসলিম পুরুষ চারটি পর্যন্ত বিয়ে করতে পারেন। ভারতের কেন্দ্রীয় আইনেও এটি স্বীকৃত। ফলে আসামের আইনটি রাজ্যের ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এর জবাবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিলটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে যাতে কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য নিশ্চিত করা যায়।

নতুন আইনে আরেকটি বিধান হলো—বিদ্যমান স্ত্রীকে গোপন রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া যাবে। এমন বিয়েতে ইচ্ছাকৃতভাবে সহায়তা করলে—যেমন বাবা-মা, গ্রামপ্রধান, অভিভাবক বা কাজি—তাঁদেরও সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে।

বিরোধীদের অভিযোগ—রাজ্য সরকার সম্প্রতি মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিষয়ে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করছে। বিবাহ আইন সংস্কার, ভূমি বিক্রি সীমিতকরণ, উচ্ছেদ অভিযান এসবই তার উদাহরণ। মুখ্যমন্ত্রী শর্মা অবশ্য দাবি করেছেন, এই আইন নির্দিষ্ট কাউকে টার্গেট করে নয়, বরং হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান সবাই এর আওতায় আসবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ