Ajker Patrika

মোদির মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হতে পারে চন্দ্রবাবু নাইডুর দলের ৩ নেতার

আপডেট : ০৮ জুন ২০২৪, ১৭: ৪৮
মোদির মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হতে পারে চন্দ্রবাবু নাইডুর দলের ৩ নেতার

নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন শ্রীকাকুলাম লোকসভা কেন্দ্র থেকে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) তিনবারের সংসদ সদস্য কিঞ্জারাপু রামমোহন নাইডু। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস খবরে বলা হয়েছে, মোদির মন্ত্রিসভায় দুটি প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়াও টিডিপি একটি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদ পাওয়ার আশা করছে। যদিও দলটি চারটি পদের জন্য আবেদন করেছে—দুটি মন্ত্রিসভা এবং দুটি এমওএস পদ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের এক নেতা বলেন, দলের পক্ষ থেকে ডেপুটি স্পিকার পদের প্রস্তাব দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কিঞ্জারাপু ইয়েরান নাইডুর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে রামমোহন নাইডু ২০১২ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। কিঞ্জারাপু ইয়েরান নাইডু ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এইচডি দেবগৌড়া এবং আই কে গুজরালের মন্ত্রিসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

টিডিপি নেতা আরও বলেন, ‘প্রকৌশলে স্নাতক এবং ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর রামমোহন নাইডুর অসাধারণ বাগ্মী দক্ষতা রয়েছে। চন্দ্রবাবু নাইডু তাকে (রামমোহন) মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়ার জন্য সুপারিশ করবেন।’

টিডিপির আরও দুই নেতা জায়গা পেতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদে। তাঁরা হলেন গুন্টুর থেকে পেমমাসানি চন্দ্রশেখর এবং নেলোরের ভেমিরেডি প্রভাকর রেড্ডি।

টিডিপির সেই নেতা বলেন, এনআরআই বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে দারুণ সংযোগ রয়েছে চন্দ্রশেখরের। অন্যদিকে, প্রভাকর রেড্ডি করপোরেট সার্কেলে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা রাজ্যে বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হবেন।

মন্ত্রিসভায় টিডিপি চতুর্থ স্থান পেলে চন্দ্রবাবু নাইডু তফসিলি জাতি সম্প্রদায়ের একজন এমপির নাম প্রস্তাব করতে পারেন। সেখানে চিতোরের ডি প্রসাদা রাও কিংবা বাপাতলার টি কৃষ্ণ প্রসাদের নাম আসতে পারে।

টিডিপি নেতা বলেছিলেন যে, বিজেপি টিডিপিকে ডেপুটি স্পিকার পদ দিতে রাজি হলে চন্দ্রবাবু নাইডু আমলাপুরার জিএম হরিশ বালযোগীর নাম সুপারিশ করতে পারেন। হরিশ বালযোগী লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার জিএমসি বালযোগীর ছেলে। অটল বিহারি বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রথম বছরগুলোতে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন জিএমসি বালযোগী।

মাছলিপত্তনম থেকে জনসেনা পার্টির (জেএসপি) বল্লভনেনি বালা শোরিকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিতে পারেন মোদি। টিডিপি নেতা বলেন, অন্ধ্র প্রদেশের বিজেপি সাংসদদের মধ্যে দলের রাজ্য ইউনিটের সভাপতি ডাজ্ঞুবাতি পুরন্দেশ্বরী সুযোগ পেতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে রাশিয়ার উচ্ছ্বাস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গত আগস্টে আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
গত আগস্টে আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য প্রকাশিত জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলছে, ৩৩ পৃষ্ঠার এই নথির অনেক দিকই রাশিয়ার কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ’।

আজ রোবাবর রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘যে সমন্বয়গুলো আমরা দেখছি, সেগুলোর সঙ্গে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির যথেষ্ট মিল আছে। আমরা এটিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি।’ তিনি জানান, নথিটি আরও বিশ্লেষণ করে তারপর চূড়ান্ত মন্তব্য জানাবে মস্কো।

তবে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রকাশিত নতুন এই নিরাপত্তা কৌশলে ইউরোপকে ‘সভ্যতা বিলুপ্তি’র ঝুঁকিতে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে, নথিতে রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি, যা ইউরোপীয় নীতিনির্ধারকদের উদ্বিগ্ন করেছে।

এ ছাড়া বিদেশি প্রভাব মোকাবিলা, ব্যাপক অভিবাসন বন্ধ করা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কথিত ‘সেন্সরশিপ’ নীতির বিরোধিতা—এসব বিষয়কে নতুন কৌশলে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

ইইউর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও বিশ্লেষক এই কৌশলের ভাষাশৈলীর তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁদের দাবি, এতে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রায়ই ক্রেমলিনের বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যায়।

নথিতে রাশিয়া সম্পর্কে তুলনামূলক নরম অবস্থান নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের কর্মকর্তাদের মতে, এটি ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মস্কোর প্রতি পশ্চিমা অবস্থান দুর্বল করতে পারে। এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এতে বাধা দিচ্ছে ইইউ। যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা ‘ইউরোপের অর্থনীতিকেও স্থিতিশীল করবে’।

এমনকি ইউরোপের বর্তমান নীতিকে প্রভাবিত করার ইঙ্গিতও রয়েছে নথিতে। সেখানে বলা হয়েছে, ইউএস নীতির অগ্রাধিকার হওয়া উচিত ‘ইউরোপের বর্তমান গতিপথকে ইউরোপের অভ্যন্তরীণ শক্তিগুলোর মাধ্যমে প্রতিরোধ করা’।

নতুন কৌশলে ‘পশ্চিমা পরিচয়’ (Western identity) পুনরুদ্ধারের কথা দেওয়া হয়েছে। এতে দাবি করা হয়েছে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে ইউরোপ একটি ‘অপরিচিত রূপ ধারণ করবে’ এবং তাদের অর্থনৈতিক সংকটের তুলনায় ‘সভ্যতার বিলুপ্তি’র ঝুঁকি আরও বেশি।

নথিতে আরও বলা হয়েছে, কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের অর্থনীতি ও সেনাবাহিনী ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত শক্তিশালী থাকবে কি না, এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপের কিছু দেশে ‘জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর’ প্রভাব বৃদ্ধির প্রশংসা করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এই চেতনার পুনরুজ্জীবনে ইউএস তাদের রাজনৈতিক মিত্রদের উৎসাহিত করে।

বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠক চলছে। এই প্রেক্ষাপটে কয়েকজন ইউরোপীয় কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের কথা তুলে ধরলেও নতুন নথির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ভেদেফুল বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তারা ইউরোপীয় জোটের নিরাপত্তা নীতির বিষয়গুলো নিয়েই কাজ করে। কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা আমাদের সমাজব্যবস্থা কেমন হবে, এসব বিষয় কৌশলগত নথিতে থাকা উচিত কি না, বিশেষত জার্মানির ক্ষেত্রে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক সামাজিক মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে বলেন, ‘ইউরোপ আপনার ঘনিষ্ঠতম মিত্র, আপনার সমস্যা নয়। আপনার আর আমাদের শত্রু একই।’ অন্যদিকে সুইডেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কার্ল বিল্ট মন্তব্য করেন, ‘নথিটি চরম ডানপন্থী অবস্থানেরও ডান দিকে অবস্থান করছে।’

যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা বলেছেন, এই নথি দেশের বৈদেশিক সম্পর্ককে ধ্বংস করে দিতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত কমিটিতে থাকা কলোরাডোর প্রতিনিধি জেসন ক্রো বলেন, এটি ‘বিশ্বে আমেরিকার অবস্থানকে বিপর্যস্ত করবে’। নিউইয়র্কের প্রতিনিধি গ্রেগরি মিকস বলেন, কৌশলটি ‘মূল্যভিত্তিক মার্কিন নেতৃত্বের কয়েক দশকের ধারা নষ্ট করে দিয়েছে’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হিজাব ছাড়াই ম্যারাথনে দৌড়ালেন নারীরা—ইরানে ২ আয়োজক গ্রেপ্তার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নারীদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নারীদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

ইরানে দৌড় প্রতিযোগিতায় হিজাব ছাড়া নারীরা অংশ নেওয়ায় দুই ম্যারাথন আয়োজককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার ইরানের কিশ দ্বীপে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতার অনলাইনে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, কয়েকজন নারী হিজাববিহীন অবস্থায় দৌড়াচ্ছেন। এই ঘটনায় ইরানের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে একটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে।

ইরানের মিজান নিউজ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতার দুই প্রধান আয়োজককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন কিশ ফ্রি জোনের কর্মকর্তা এবং অন্যজন দৌড়ের আয়োজন করা একটি প্রাইভেট কোম্পানির কর্মী।

মামলার বিষয়ে স্থানীয় প্রসিকিউটর বলেছেন, ‘দেশের বর্তমান আইন, ধর্মীয় এবং প্রথাগত নিয়মাবলি মানার বিষয়ে পূর্বে সতর্কতা দেওয়ার পরও প্রতিযোগিতাটি জনসাধারণের মর্যাদা লঙ্ঘন করে আয়োজন করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

কিশ দ্বীপে অনুষ্ঠিত ওই দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রায় ৫ হাজার প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। দেশটির রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম তাসনিম ও ফার্স ইতিমধ্যে এই ম্যারাথনকে অসভ্য এবং ইসলামি আইন লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করেছে।

ইসলামি বিপ্লবের পর ১৯৭৯ সাল থেকে ইরানে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। তবে ২০২২ সালে মাহসা আমিনির মৃত্যুর জের ধরে আন্দোলনের পর থেকে দেশটিতে ‘হিজাব পরার নীতি’ অনেকখানি দুর্বল হয়ে গেছে। একই সঙ্গে নারীদের পোশাক বিধি পূর্বের অবস্থানে নিয়ে যেতে সরকারি চাপও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সম্প্রতি ইরানের সংসদের বেশির ভাগ সদস্য বিচার বিভাগের ওপর হিজাব আইন যথাযথভাবে কার্যকর না করার অভিযোগ তুলেছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির প্রধান বিচারপতি গোলামহোসেইন মোসেনি এজেই তাৎক্ষণিকভাবে এই আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চীনের বিরুদ্ধে জাপানের গুরুতর নিরাপত্তা অভিযোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
চীনা নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং থেকে উড্ডয়ন করছে একটি জে-১৫ যুদ্ধবিমান। ছবি: রয়টার্স
চীনা নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং থেকে উড্ডয়ন করছে একটি জে-১৫ যুদ্ধবিমান। ছবি: রয়টার্স

জাপানের অভিযোগ, দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনায় তাদের সামরিক বিমানের দিকে রাডার তাক করেছে চীনের যুদ্ধবিমান। এই ঘটনাটি শনিবার ওকিনাওয়া দ্বীপপুঞ্জের কাছে ঘটেছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি সাংবাদিকদের বলেন—

রাডার তাক করা এমন এক ধরনের বিপজ্জনক কার্যকলাপ যা বিমানের নিরাপদ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। জাপান ইতিমধ্যেই চীনের কাছে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

জাপান জানিয়েছে, তাদের আত্মরক্ষামূলক এফ-১৫ বিমানে রাডার তাক করা যুদ্ধবিমান দুটি মূলত চীনের তৈরি জে-১৫ মডেলের। এগুলো চীনা নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং থেকে উড্ডয়ন করেছিল। এর আগে ২০১৩ এবং ২০১৬ সালে উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে রাডার তাক করার অভিযোগ করেছিল।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বলেছেন, ‘আমরা দৃঢ় ও শান্তভাবে চীনের আচরণের মোকাবিলা করব, যাতে আঞ্চলিক শান্তি বজায় থাকে।’ তবে চীনা নৌবাহিনী এক প্রতিরোধমূলক মন্তব্যে জানিয়েছে, জাপানের ওই বিমানগুলো বারবার তাদের কাছাকাছি গিয়ে বিব্রত করেছে।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, চীন ও জাপান

উভয় দেশই দাবি করে এমন দ্বীপপুঞ্জের কাছে এই ঘটনাটিকে দেশ দুটির সামরিক সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুতর সংঘর্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সম্প্রতি জাপানের প্রধান মন্ত্রী তাকাইচি এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছিলেন, চীনের সম্ভাব্য সামরিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে পারে জাপান। এর পর থেকে চীনের সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

কোনো বিমানের দিকে রাডার তাক করা মানে সম্ভাব্য আক্রমণের ইঙ্গিত দেওয়া। এমন পরিস্থিতিতে ওই বিমানটিকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করতে পারে। অভিযোগের বিষয়ে চীনা নৌবাহিনীর মুখপাত্র ওয়াং শুয়েমেং বলেছেন, ‘জাপানের বিবৃতি ভুল এবং তাদের কার্যকলাপ বিমান চলাচলের নিরাপত্তাকে গুরুতরভাবে বিপন্ন করেছে। আমরা দাবি করছি, জাপান অবিলম্বে এ রকম বিবৃতি বন্ধ করবে এবং কার্যকলাপে সংযম দেখাবে।’

এদিকে চীনের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস জাপানের সঙ্গে সমন্বয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। টোকিওতে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, ‘আমরা চীনের গত ২৪ ঘণ্টার কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বিগ্ন। আমরা জাপানের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব এবং নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষায় জাপানের পাশে দাঁড়াব।’

চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেইজিং তাদের নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইউক্রেনের ওপর থেকে মার্কিন সমর্থন তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত ট্রাম্পপুত্রের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। ছবি: এএফপি
ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে সরে আসতে পারেন—মধ্যপ্রাচ্যের এক সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। ইউক্রেন ইস্যুতে দীর্ঘ সমালোচনায় ট্রাম্প জুনিয়র বলেন—তাঁদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কোনো অর্থ নেই। ইউক্রেনের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ ধনীরা ইতিমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ফলে যুদ্ধের দায়িত্ব চাপছে তাঁদের তথাকথিত ‘কৃষক শ্রেণির’ ওপর।

ট্রাম্প প্রশাসনে তাঁর ছেলের কোনো আনুষ্ঠানিক পদ নেই। তিনি মাগা (MAGA) আন্দোলনের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি। তবে তাঁর মন্তব্য ট্রাম্প প্রশাসনের ইউক্রেনবিরোধী মনোভাবের প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে এমন সময়ে, যখন ট্রাম্পের আলোচক দল কিয়েভকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে চাপ দিচ্ছে।

ট্রাম্প জুনিয়র দাবি করেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছেন। কারণ, যুদ্ধ শেষ হলে তিনি কখনোই নির্বাচনে জিততে পারবেন না। তিনি বলেন, পশ্চিমা উদারনৈতিক মহলে জেলেনস্কি প্রায় দেবতার মতো সম্মান পেলেও ইউক্রেন বাস্তবে রাশিয়ার চেয়েও বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত।

তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান কাইজা কালাসেরও সমালোচনা করেন। তাঁর মতে, ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়নি, কারণ, এতে তেলের মূল্য বেড়েছে আর সেই আয়ে রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারছে। তাঁর ভাষায়, রাশিয়া দেউলিয়া হয়ে যাবে—এটাই যদি পরিকল্পনা হয়, তবে এটা কোনো পরিকল্পনা নয়।

ট্রাম্প জুনিয়র দাবি করেন, ২০২২ সালের নির্বাচনী প্রচারে তিনি মাত্র তিনজন ভোটার পেয়েছিলেন, যাঁরা ইউক্রেন যুদ্ধকে শীর্ষ ১০ ইস্যুর মধ্যে রেখেছেন। তাঁর মতে, ভেনেজুয়েলা থেকে নৌকায় করে ফেন্টানিল মাদক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ঝুঁকি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের চেয়ে অনেক বড় হুমকি।

ট্রাম্প জুনিয়র আরও দাবি করেন, চলতি বছরের গ্রীষ্মে মোনাকোতে বুগাটি ও ফেরারির মতো অনেকগুলো সুপারকার দেখেছেন। এর মধ্যে ‘৫০ শতাংশেই ইউক্রেনের নম্বরপ্লেট’ ছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘তাদের যদি অর্থই নেই, তাহলে এগুলো কোথা থেকে আসে?’ তবে তিনি তাঁর এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।

ট্রাম্প জুনিয়র বলেন, ‘আমরা যখন দেখি মোনাকোর প্রতিটি গাড়ির নম্বরপ্লেট ইউক্রেনের, তখন বুঝতে পারি, ধনীরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁরা জনগণকে রেখে গেছেন যুদ্ধ করার জন্য। যতক্ষণ অর্থ আসছিল, তাঁরা চুরি করেছেন—কেউ কিছু যাচাই করেনি, ফলে শান্তি চাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনি।’

তাহলে ট্রাম্প কি ইউক্রেনের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেবেন

মঞ্চ থেকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনার বাবা দাবি করেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু এখন তিনি ইউক্রেনের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিতে পারেন কি না!’ এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জুনিয়র বলেন—হতে পারে। তিনি আরও বলেন, তাঁর বাবা মার্কিন রাজনীতির ‘আনপ্রেডিকটেবল’ ব্যক্তি অর্থাৎ তাঁর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আগে থেকে কোনো কিছুই অনুমান করা যায় না।

ট্রাম্প জুনিয়র আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর কারও জন্য বোকার মতো চেকবই খুলে বসে থাকবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত