
আন্তর্জাতিক লেনদেনের মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির ব্যাপক দরপতন হয়েছে। আজ সোমবার সকাল নাগাদ ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান ৬৭ পয়সা কমেছে। এর অর্থ হলো, এখন এক ডলার কিনতে ভারতীয় মুদ্রায় ৮৭ দশমিক ২৯ রুপি ব্যয় করতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার ভারতীয় রুপি প্রাথমিক লেনদেনে ৬৭ পয়সা অবমূল্যায়িত হয়ে ডলারের বিপরীতে ৮৭ দশমিক ২৯ রুপিতে পৌঁছেছে। এই অবস্থান মার্কিন ডলারের বিপরীতে রেকর্ড সর্বনিম্ন মান। মূলত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর শঙ্কার কারণে এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রা দেশের বাইরে চলে যাওয়া এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন মুদ্রার শক্তিশালী অবস্থানের কারণে চাপের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় রুপি। ডলারের অপরিবর্তিত চাহিদা এবং রুপির ঝুঁকি গ্রহণের দুর্বল মনোভাবের কারণে মূল্য আরও কমেছে। আজ সোমবার সকালে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে রুপির বাজার শুরু হয় ডলারের বিপরীতে ৮৭ রুপি নিয়ে। পরে তা কমে, ৮৭ দশমিক ২৯ রুপিতে নেমে যায়। গত শুক্রবার ডলারের রুপির দর ছিল ৮৬ দশমিক ৬২। অর্থাৎ, আজ তা ৬৭ পয়সা কমেছে।
সিআর ফরেক্স অ্যাডভাইজার্সের এমডি অমিত পাবারি বলেন, ‘সপ্তাহের শুরুতে আর্থিক বাজারগুলো চাপের মধ্যে ছিল। কারণ, ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর শুল্ক হুমকি বাস্তবায়ন করেছেন, মেক্সিকো, কানাডা এবং চীনের থেকে আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করে।’
এর আগে, ভারতীয় বাণিজ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, আগামী ৬ থেকে ১০ মাসের মধ্যে ভারতীয় রুপির দাম আরও পড়তে পারে। এমনকি প্রতি ডলারের দাম হতে পারে ৯০-৯২ রুপি। খবরে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতের শেয়ারবাজারের সূচক নিফটি এবং সেনসেক্স এক বছরে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়েছে।
কিন্তু এই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি-৫০০ সূচক ২৬ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়েছে। অর্থাৎ, মার্কিন সূচকের তুলনায় ভারতের সূচকের বৃদ্ধি অনেক কম। এ ছাড়া, এক বছরে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির ৩ শতাংশ পর্যন্ত অবমূল্যায়নের ফলে এই পার্থক্য আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় ভারতীয় সূচক দুটি যদি কাঙ্ক্ষিত গতি লাভ করতে না পারে তবে রুপির তীব্র অবমূল্যায়নের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে।
মার্কিন অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৫ সালে নির্দেশিত সুদহার কমানোর সংখ্যা চার থেকে কমিয়ে দুটিতে আনাতে বাধ্য হয়েছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষেত্রে তার সম্প্রসারণমূলক করসংস্থান ও শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব উচ্চতর মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। এই বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভকে শক্তিশালী নীতিমালা গ্রহণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
মার্কিন নীতির কারণে মুদ্রাবাজারে ইউরোজোনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধির পার্থক্য বাড়ছে এবং এটি ডলারকে ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সূচকে শক্তিশালী অবস্থানে রাখছে। আবার চীন ডলারের রিজার্ভ কমানোর পাশাপাশি মন্দা মোকাবিলায় আরও বেশি মুদ্রায় লেনদেনের মতো নমনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। এর ফলে ডলারের বাজারে সূচকের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব পড়বে। তবে আবার যুক্তরাষ্ট্র জিডিপি-ঋণ অনুপাত কমানোর উদ্যোগ গ্রহণের পর ডলারকে স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া, ডলারের সূচক বৃদ্ধির আরেকটি সহায়ক কারণ হলো বাড়তি ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি, যা বিশ্বজুড়ে নীতিগত অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে।
ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপি বিগত দুই বছরে চমৎকার অনমনীয়তা প্রদর্শন করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) আগ্রাসী ফরেক্স রিজার্ভ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে। মুদ্রা অনমনীয়তা পরিমাপের হার অনুসারে ভারতীয় রুপির নমনীয়তার হার ১। যেখানে ‘০-শূণ্য’ নির্দেশ করে পূর্ণ নমনীয় মুদ্রার এবং ১ প্রতিনিধিত্ব করে সর্বোচ্চ অনমনীয়তার।
কিন্তু ২০২৪ সালের অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৭ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। ফলে ৪ ট্রিলিয়ন রুপির সমপরিমাণ অর্থের তারল্য সৃষ্টি হয়েছে। ডলারের দ্রুত শক্তিশালী হয়ে ওঠার বিষয়টি এই অবস্থাকে আরও নাজুক করেছে। এদিকে, রিজার্ভের ঘাটতির কারণে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। কারণ, বাড়তি বাণিজ্যিক লেনদেন রুপি দুর্বল হওয়ার পক্ষেই কাজ করতে পারে।
২০০৮ সাল থেকে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির অবমূল্যায়ন (৯০ শতাংশ) অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় বেশি হয়েছে। কারণ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পার্থক্য সংকুচিত হয়েছে। ফলে, প্রবৃদ্ধির পারফরম্যান্সে কোনো নেতিবাচক চমক রুপি দুর্বল করার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সাম্প্রতিক প্রান্তিকে, ভারতীয় কোম্পানিগুলোর মুনাফা মহামারির সময়ে অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পর সংকুচিত হয়েছে। চাহিদার দুর্বলতা এবং মুনাফার চাপে আগামী বছরগুলোতেও আরও মন্দার পূর্বাভাস আছে। ২০২৫-২৭ অর্থবছরের জন্য নিফটির বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ ধরা হয়েছে। এটি ২০২৫ সালের জন্য মার্কিন সূচকের (১৬ শতাংশ) তুলনায় বেশ কম।
বৈশ্বিক মডেলের অনুমান, ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। এর ফলে, মার্কিন সুদহার বর্তমান ৪ দশমিক ৬ থেকে ৪ শতাংশে নামাতে পারে। এর বাইরে স্বল্প মেয়াদে মূল্যস্ফীতি কমার কারণে ডলার আরও শক্তিশালী হবে। এ ক্ষেত্রে ভারতীয় রুপির মূল্য ৭-১০ শতাংশ পর্যন্ত অবমূল্যায়িত হতে পারে।
এ ছাড়া, ভারতীয় অর্থনীতির দুর্বল প্রবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ধারাবাহিক অবমূল্যায়নের হার ৪ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে, যেখানে শীর্ষ পর্যায়ে অবমূল্যায়ন হতে পারে ৯ শতাংশ পর্যন্ত। ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের নেতিবাচক বাস্তব নীতি হার এবং বিস্তৃত বাস্তব কার্যকর বিনিময় হারের অতিমূল্যায়ন বিনিময় হারে প্রভাব ফেলবে।
সব দিক বিবেচনায়, আমাদের অনুমান বলে যে, সাম্প্রতিক ৮৪-এর (ডলারের বিপরীতে রুপির অবস্থা) স্তর থেকে ৭-১০ শতাংশ অবমূল্যায়িত হয়ে ৯০-৯২ রুপি/প্রতি ডলারের স্তরে পৌঁছাতে পারে আগামী ৬-১০ মাসে।

আন্তর্জাতিক লেনদেনের মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির ব্যাপক দরপতন হয়েছে। আজ সোমবার সকাল নাগাদ ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান ৬৭ পয়সা কমেছে। এর অর্থ হলো, এখন এক ডলার কিনতে ভারতীয় মুদ্রায় ৮৭ দশমিক ২৯ রুপি ব্যয় করতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার ভারতীয় রুপি প্রাথমিক লেনদেনে ৬৭ পয়সা অবমূল্যায়িত হয়ে ডলারের বিপরীতে ৮৭ দশমিক ২৯ রুপিতে পৌঁছেছে। এই অবস্থান মার্কিন ডলারের বিপরীতে রেকর্ড সর্বনিম্ন মান। মূলত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর শঙ্কার কারণে এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রা দেশের বাইরে চলে যাওয়া এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন মুদ্রার শক্তিশালী অবস্থানের কারণে চাপের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় রুপি। ডলারের অপরিবর্তিত চাহিদা এবং রুপির ঝুঁকি গ্রহণের দুর্বল মনোভাবের কারণে মূল্য আরও কমেছে। আজ সোমবার সকালে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে রুপির বাজার শুরু হয় ডলারের বিপরীতে ৮৭ রুপি নিয়ে। পরে তা কমে, ৮৭ দশমিক ২৯ রুপিতে নেমে যায়। গত শুক্রবার ডলারের রুপির দর ছিল ৮৬ দশমিক ৬২। অর্থাৎ, আজ তা ৬৭ পয়সা কমেছে।
সিআর ফরেক্স অ্যাডভাইজার্সের এমডি অমিত পাবারি বলেন, ‘সপ্তাহের শুরুতে আর্থিক বাজারগুলো চাপের মধ্যে ছিল। কারণ, ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর শুল্ক হুমকি বাস্তবায়ন করেছেন, মেক্সিকো, কানাডা এবং চীনের থেকে আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করে।’
এর আগে, ভারতীয় বাণিজ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, আগামী ৬ থেকে ১০ মাসের মধ্যে ভারতীয় রুপির দাম আরও পড়তে পারে। এমনকি প্রতি ডলারের দাম হতে পারে ৯০-৯২ রুপি। খবরে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতের শেয়ারবাজারের সূচক নিফটি এবং সেনসেক্স এক বছরে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়েছে।
কিন্তু এই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি-৫০০ সূচক ২৬ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়েছে। অর্থাৎ, মার্কিন সূচকের তুলনায় ভারতের সূচকের বৃদ্ধি অনেক কম। এ ছাড়া, এক বছরে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির ৩ শতাংশ পর্যন্ত অবমূল্যায়নের ফলে এই পার্থক্য আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় ভারতীয় সূচক দুটি যদি কাঙ্ক্ষিত গতি লাভ করতে না পারে তবে রুপির তীব্র অবমূল্যায়নের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে।
মার্কিন অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৫ সালে নির্দেশিত সুদহার কমানোর সংখ্যা চার থেকে কমিয়ে দুটিতে আনাতে বাধ্য হয়েছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষেত্রে তার সম্প্রসারণমূলক করসংস্থান ও শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব উচ্চতর মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। এই বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভকে শক্তিশালী নীতিমালা গ্রহণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
মার্কিন নীতির কারণে মুদ্রাবাজারে ইউরোজোনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধির পার্থক্য বাড়ছে এবং এটি ডলারকে ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সূচকে শক্তিশালী অবস্থানে রাখছে। আবার চীন ডলারের রিজার্ভ কমানোর পাশাপাশি মন্দা মোকাবিলায় আরও বেশি মুদ্রায় লেনদেনের মতো নমনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। এর ফলে ডলারের বাজারে সূচকের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব পড়বে। তবে আবার যুক্তরাষ্ট্র জিডিপি-ঋণ অনুপাত কমানোর উদ্যোগ গ্রহণের পর ডলারকে স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া, ডলারের সূচক বৃদ্ধির আরেকটি সহায়ক কারণ হলো বাড়তি ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি, যা বিশ্বজুড়ে নীতিগত অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে।
ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপি বিগত দুই বছরে চমৎকার অনমনীয়তা প্রদর্শন করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) আগ্রাসী ফরেক্স রিজার্ভ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে। মুদ্রা অনমনীয়তা পরিমাপের হার অনুসারে ভারতীয় রুপির নমনীয়তার হার ১। যেখানে ‘০-শূণ্য’ নির্দেশ করে পূর্ণ নমনীয় মুদ্রার এবং ১ প্রতিনিধিত্ব করে সর্বোচ্চ অনমনীয়তার।
কিন্তু ২০২৪ সালের অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৭ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। ফলে ৪ ট্রিলিয়ন রুপির সমপরিমাণ অর্থের তারল্য সৃষ্টি হয়েছে। ডলারের দ্রুত শক্তিশালী হয়ে ওঠার বিষয়টি এই অবস্থাকে আরও নাজুক করেছে। এদিকে, রিজার্ভের ঘাটতির কারণে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। কারণ, বাড়তি বাণিজ্যিক লেনদেন রুপি দুর্বল হওয়ার পক্ষেই কাজ করতে পারে।
২০০৮ সাল থেকে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির অবমূল্যায়ন (৯০ শতাংশ) অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় বেশি হয়েছে। কারণ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পার্থক্য সংকুচিত হয়েছে। ফলে, প্রবৃদ্ধির পারফরম্যান্সে কোনো নেতিবাচক চমক রুপি দুর্বল করার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সাম্প্রতিক প্রান্তিকে, ভারতীয় কোম্পানিগুলোর মুনাফা মহামারির সময়ে অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পর সংকুচিত হয়েছে। চাহিদার দুর্বলতা এবং মুনাফার চাপে আগামী বছরগুলোতেও আরও মন্দার পূর্বাভাস আছে। ২০২৫-২৭ অর্থবছরের জন্য নিফটির বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ ধরা হয়েছে। এটি ২০২৫ সালের জন্য মার্কিন সূচকের (১৬ শতাংশ) তুলনায় বেশ কম।
বৈশ্বিক মডেলের অনুমান, ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। এর ফলে, মার্কিন সুদহার বর্তমান ৪ দশমিক ৬ থেকে ৪ শতাংশে নামাতে পারে। এর বাইরে স্বল্প মেয়াদে মূল্যস্ফীতি কমার কারণে ডলার আরও শক্তিশালী হবে। এ ক্ষেত্রে ভারতীয় রুপির মূল্য ৭-১০ শতাংশ পর্যন্ত অবমূল্যায়িত হতে পারে।
এ ছাড়া, ভারতীয় অর্থনীতির দুর্বল প্রবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ধারাবাহিক অবমূল্যায়নের হার ৪ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে, যেখানে শীর্ষ পর্যায়ে অবমূল্যায়ন হতে পারে ৯ শতাংশ পর্যন্ত। ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের নেতিবাচক বাস্তব নীতি হার এবং বিস্তৃত বাস্তব কার্যকর বিনিময় হারের অতিমূল্যায়ন বিনিময় হারে প্রভাব ফেলবে।
সব দিক বিবেচনায়, আমাদের অনুমান বলে যে, সাম্প্রতিক ৮৪-এর (ডলারের বিপরীতে রুপির অবস্থা) স্তর থেকে ৭-১০ শতাংশ অবমূল্যায়িত হয়ে ৯০-৯২ রুপি/প্রতি ডলারের স্তরে পৌঁছাতে পারে আগামী ৬-১০ মাসে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
২ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন।
গোপন নথি ফাঁসের দায়ে বর্তমানে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ফেল্ডস্টাইন এই প্রথম সরাসরি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনলেন।
ইলাই ফেল্ডস্টাইন জানান, ৭ অক্টোবরের সেই রক্তক্ষয়ী হামলার ঠিক পরেই নেতানিয়াহু তাঁকে ‘প্রথম কাজ’ হিসেবে দিয়েছিলেন—কীভাবে জবাবদিহি বা দায়বদ্ধতার প্রশ্ন থেকে রেহাই পাওয়া যায় তার উপায় বের করা। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘হামলার পর নেতানিয়াহু আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘এখন কী ধরনের সংবাদ প্রচার হচ্ছে? তারা কি এখনো দায়বদ্ধতার কথা বলছে?’’ তাঁকে তখন বেশ আতঙ্কিত দেখাচ্ছিল। নেতানিয়াহু চেয়েছিলেন এমন কিছু বলা হোক, যাতে গণমাধ্যমে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে যে ঝড় উঠেছে, তা স্তিমিত হয়ে যায়।’
ফেল্ডস্টাইন আরও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যেন যেকোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ‘দায়বদ্ধতা’ (Responsibility) শব্দটি ব্যবহার না করা হয়।
তবে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এই সাক্ষাৎকারকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। হিব্রু সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং নিজের অপরাধ থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে এক ব্যক্তি এমন ডাহা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
কে এই ইলাই ফেল্ডস্টাইন
ইলাই ফেল্ডস্টাইন নেতানিয়াহুর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি দুটি বড় কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। গোপন নথি ফাঁস—গত আগস্টে গাজায় ছয় জিম্মি নিহতের পর প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমে সামরিক গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে তাঁর বিচার চলছে। কাতারগেট স্ক্যান্ডাল—নেতানিয়াহুর হয়ে কাজ করার সময় কাতারের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মধ্যে তিনি একজন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হয়। অনেকে মনে করেন, এই ব্যর্থতার দায় ঠেকানোর জন্য নেতানিয়াহু বরাবরই স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনে বাধা দিয়ে আসছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন।
গোপন নথি ফাঁসের দায়ে বর্তমানে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ফেল্ডস্টাইন এই প্রথম সরাসরি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনলেন।
ইলাই ফেল্ডস্টাইন জানান, ৭ অক্টোবরের সেই রক্তক্ষয়ী হামলার ঠিক পরেই নেতানিয়াহু তাঁকে ‘প্রথম কাজ’ হিসেবে দিয়েছিলেন—কীভাবে জবাবদিহি বা দায়বদ্ধতার প্রশ্ন থেকে রেহাই পাওয়া যায় তার উপায় বের করা। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘হামলার পর নেতানিয়াহু আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘এখন কী ধরনের সংবাদ প্রচার হচ্ছে? তারা কি এখনো দায়বদ্ধতার কথা বলছে?’’ তাঁকে তখন বেশ আতঙ্কিত দেখাচ্ছিল। নেতানিয়াহু চেয়েছিলেন এমন কিছু বলা হোক, যাতে গণমাধ্যমে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে যে ঝড় উঠেছে, তা স্তিমিত হয়ে যায়।’
ফেল্ডস্টাইন আরও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যেন যেকোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ‘দায়বদ্ধতা’ (Responsibility) শব্দটি ব্যবহার না করা হয়।
তবে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এই সাক্ষাৎকারকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। হিব্রু সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং নিজের অপরাধ থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে এক ব্যক্তি এমন ডাহা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
কে এই ইলাই ফেল্ডস্টাইন
ইলাই ফেল্ডস্টাইন নেতানিয়াহুর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি দুটি বড় কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। গোপন নথি ফাঁস—গত আগস্টে গাজায় ছয় জিম্মি নিহতের পর প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমে সামরিক গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে তাঁর বিচার চলছে। কাতারগেট স্ক্যান্ডাল—নেতানিয়াহুর হয়ে কাজ করার সময় কাতারের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মধ্যে তিনি একজন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হয়। অনেকে মনে করেন, এই ব্যর্থতার দায় ঠেকানোর জন্য নেতানিয়াহু বরাবরই স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনে বাধা দিয়ে আসছেন।

আন্তর্জাতিক লেনদেনের মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির ব্যাপক দরপতন হয়েছে। আজ সোমবার সকাল নাগাদ ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান ৬৭ পয়সা কমেছে। এর অর্থ হলো, এখন এক ডলার কিনতে ভারতীয় মুদ্রায় ৮৭ দশমিক ২৯ রুপি ব্যয় করতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য’
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক, তুলা, সবজি এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। বিপরীতে সেখান থেকে আমদানিপণ্য হিসেবে আসে প্রক্রিয়াজাত চামড়া। কাউন্সিল অব লেদার এক্সপোর্টের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার আঞ্চলিক কমিটির সদস্য জিয়া নাফিস বলেন, ‘প্রতি বছর কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের মাধ্যমে প্রায় ১২৫ কোটি টাকার প্রক্রিয়াজাত চামড়া আমদানি করা হয়। এই চামড়া মূলত ব্যাগ তৈরির কাজে লাগে। এখানকার চামড়ার চেয়ে গুণগত মান আলাদা এবং দাম কিছুটা সস্তা হওয়ায় আমরা সেখান থেকে আমদানি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তবে আমদানিকারকরা ঠিক তেমনই সমস্যায় পড়বেন, যেমনটা হয়েছিল চীনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সময়।’ নাফিসের মতে, চামড়া একটি প্রাকৃতিক পণ্য, তাই এর মান একেক লটে একেক রকম হয়। আমদানির আগে সরাসরি গিয়ে মান যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। ভিসা না থাকলে সশরীরে পণ্য দেখা সম্ভব হবে না, ফলে পণ্যের গুণগত মান নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়। ব্যবসা সচল রাখতে ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ করা দরকার।
গত সোমবার নিজ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের মুখে দিল্লির কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলার মিশন ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত নোটিশও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির এখন ভরা মৌসুম। ঠিক এই সময়েই এমন স্থগিতাদেশ এল। এক রপ্তানি প্রতিনিধি জানান, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ঈদ পর্যন্ত পোশাকের চাহিদা খুব বেশি থাকে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬০ টন পোশাক রপ্তানি হয়।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইন্ডিগোর একটি কার্গো ফ্লাইট কলকাতা থেকে ঢাকা শুধু পোশাকই নিয়ে যায়, অথচ এখন আরও কার্গো ফ্লাইটের প্রয়োজন ছিল।
বেঙ্গানি কমোডিটিসের পরিচালক এবং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের সাবেক আঞ্চলিক চেয়ারম্যান বিমল বেঙ্গানি জানান, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি আগে প্রতি মাসে বাংলাদেশে যেতাম। গত এক বছরে একবারও যাইনি। বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ১ হাজার ৬০০ ট্রাক বাংলাদেশে যেত; এখন তা নেমে এসেছে ৮ শতে। সমস্যা মেটানো আর নতুন বাজার খোঁজার জন্য ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করাটা খুব জরুরি।’
বিমল বেঙ্গানি মূলত পোলট্রি ফিড, মসলা এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করেন। তিনি যোগ করেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য গড়ে উঠেছে পারস্পরিক আস্থা ও যোগাযোগের ওপর। আমরা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগকে সম্মান করি, তবে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত ভিসা সমস্যার সমাধান চাই। ব্যবসায়ী, রোগী এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকা দুই দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এয়ারলাইনগুলোও চিন্তিত। বাংলাদেশের একটি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা জানান, ‘যাত্রী কমে যাওয়ায় ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। বর্তমানে যেসব ফ্লাইট চলছে তাতে যাত্রী ভালোই আছে, কিন্তু ভিসার ওপর কড়াকড়ি শুরু হলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব।’

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক, তুলা, সবজি এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। বিপরীতে সেখান থেকে আমদানিপণ্য হিসেবে আসে প্রক্রিয়াজাত চামড়া। কাউন্সিল অব লেদার এক্সপোর্টের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার আঞ্চলিক কমিটির সদস্য জিয়া নাফিস বলেন, ‘প্রতি বছর কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের মাধ্যমে প্রায় ১২৫ কোটি টাকার প্রক্রিয়াজাত চামড়া আমদানি করা হয়। এই চামড়া মূলত ব্যাগ তৈরির কাজে লাগে। এখানকার চামড়ার চেয়ে গুণগত মান আলাদা এবং দাম কিছুটা সস্তা হওয়ায় আমরা সেখান থেকে আমদানি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তবে আমদানিকারকরা ঠিক তেমনই সমস্যায় পড়বেন, যেমনটা হয়েছিল চীনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সময়।’ নাফিসের মতে, চামড়া একটি প্রাকৃতিক পণ্য, তাই এর মান একেক লটে একেক রকম হয়। আমদানির আগে সরাসরি গিয়ে মান যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। ভিসা না থাকলে সশরীরে পণ্য দেখা সম্ভব হবে না, ফলে পণ্যের গুণগত মান নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়। ব্যবসা সচল রাখতে ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ করা দরকার।
গত সোমবার নিজ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের মুখে দিল্লির কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলার মিশন ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত নোটিশও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির এখন ভরা মৌসুম। ঠিক এই সময়েই এমন স্থগিতাদেশ এল। এক রপ্তানি প্রতিনিধি জানান, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ঈদ পর্যন্ত পোশাকের চাহিদা খুব বেশি থাকে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬০ টন পোশাক রপ্তানি হয়।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইন্ডিগোর একটি কার্গো ফ্লাইট কলকাতা থেকে ঢাকা শুধু পোশাকই নিয়ে যায়, অথচ এখন আরও কার্গো ফ্লাইটের প্রয়োজন ছিল।
বেঙ্গানি কমোডিটিসের পরিচালক এবং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের সাবেক আঞ্চলিক চেয়ারম্যান বিমল বেঙ্গানি জানান, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি আগে প্রতি মাসে বাংলাদেশে যেতাম। গত এক বছরে একবারও যাইনি। বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ১ হাজার ৬০০ ট্রাক বাংলাদেশে যেত; এখন তা নেমে এসেছে ৮ শতে। সমস্যা মেটানো আর নতুন বাজার খোঁজার জন্য ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করাটা খুব জরুরি।’
বিমল বেঙ্গানি মূলত পোলট্রি ফিড, মসলা এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করেন। তিনি যোগ করেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য গড়ে উঠেছে পারস্পরিক আস্থা ও যোগাযোগের ওপর। আমরা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগকে সম্মান করি, তবে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত ভিসা সমস্যার সমাধান চাই। ব্যবসায়ী, রোগী এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকা দুই দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এয়ারলাইনগুলোও চিন্তিত। বাংলাদেশের একটি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা জানান, ‘যাত্রী কমে যাওয়ায় ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। বর্তমানে যেসব ফ্লাইট চলছে তাতে যাত্রী ভালোই আছে, কিন্তু ভিসার ওপর কড়াকড়ি শুরু হলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব।’

আন্তর্জাতিক লেনদেনের মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির ব্যাপক দরপতন হয়েছে। আজ সোমবার সকাল নাগাদ ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান ৬৭ পয়সা কমেছে। এর অর্থ হলো, এখন এক ডলার কিনতে ভারতীয় মুদ্রায় ৮৭ দশমিক ২৯ রুপি ব্যয় করতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য’
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতিতে তৈরি হওয়া ২০ দফার এই পরিকল্পনার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকানরা রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এই পরিকল্পনাকে ‘যুদ্ধ শেষ করার মূল রূপরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, এতে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে রাশিয়া পুনরায় ইউক্রেন আক্রমণ করলে সমন্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জেলেনস্কি বলেন, একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গঠন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে থাকায় মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা একটি অসামরিক অঞ্চল অথবা মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এখানে দুটি পথ খোলা আছে—হয় যুদ্ধ চলবে, নতুবা সম্ভাব্য সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ এই ২০ দফার পরিকল্পনাটিকে কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের রাশিয়ার সঙ্গে করা ২৮ দফার মূল দলিলের একটি হালনাগাদ সংস্করণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের সেই দলিলটি মূলত ক্রেমলিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যেই তৈরি বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়েছিল।
শান্তি চুক্তির বিনিময়ে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকা থেকে ইউক্রেনকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। ওই অঞ্চলের বাকি অংশ ইতিমধ্যে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। জেলেনস্কি ব্যাখ্যা করেন, ভূখণ্ড বিষয়ক স্পর্শকাতর প্রশ্নসহ অন্যান্য জটিল বিষয়গুলো ‘নেতৃপর্যায়ে’ সমাধান করতে হবে। তবে এই নতুন খসড়া ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং ৮ লাখ সৈন্যের এক বিশাল সামরিক শক্তি নিশ্চিত করবে।
হালনাগাদ করা এই পরিকল্পনার অনেকটাই বার্লিনে সাম্প্রতিক আলোচনার সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে মার্কিন মধ্যস্থতাকারী উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতারা অংশ নিয়েছিলেন। এরপর গত সপ্তাহান্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সরে যায় মিয়ামিতে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রুশ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ এবং পরে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
ভূখণ্ড বিষয়ক ইস্যুতে এখন অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে বলে মনে হচ্ছে, যদিও এটা স্পষ্ট যে ইউক্রেনীয় পক্ষ এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ইউক্রেন যদি দোনেৎস্কের অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ এলাকায় একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তুলতে তাদের ভারী সামরিক সরঞ্জাম ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার পিছিয়ে নিতে রাজি হয়—যাতে এলাকাটি কার্যত অসামরিক হয়ে পড়ে—তবে জেলেনস্কির মতে, রাশিয়াকেও ‘অনুরূপভাবে ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার’ পিছু হটতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশেও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং নিপ্রোপেত্রভস্ক, মাইকোলাইভ, সুমি ও খারকিভ—এই চারটি অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনীকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতিতে তৈরি হওয়া ২০ দফার এই পরিকল্পনার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকানরা রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এই পরিকল্পনাকে ‘যুদ্ধ শেষ করার মূল রূপরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, এতে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে রাশিয়া পুনরায় ইউক্রেন আক্রমণ করলে সমন্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জেলেনস্কি বলেন, একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গঠন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে থাকায় মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা একটি অসামরিক অঞ্চল অথবা মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এখানে দুটি পথ খোলা আছে—হয় যুদ্ধ চলবে, নতুবা সম্ভাব্য সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ এই ২০ দফার পরিকল্পনাটিকে কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের রাশিয়ার সঙ্গে করা ২৮ দফার মূল দলিলের একটি হালনাগাদ সংস্করণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের সেই দলিলটি মূলত ক্রেমলিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যেই তৈরি বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়েছিল।
শান্তি চুক্তির বিনিময়ে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকা থেকে ইউক্রেনকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। ওই অঞ্চলের বাকি অংশ ইতিমধ্যে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। জেলেনস্কি ব্যাখ্যা করেন, ভূখণ্ড বিষয়ক স্পর্শকাতর প্রশ্নসহ অন্যান্য জটিল বিষয়গুলো ‘নেতৃপর্যায়ে’ সমাধান করতে হবে। তবে এই নতুন খসড়া ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং ৮ লাখ সৈন্যের এক বিশাল সামরিক শক্তি নিশ্চিত করবে।
হালনাগাদ করা এই পরিকল্পনার অনেকটাই বার্লিনে সাম্প্রতিক আলোচনার সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে মার্কিন মধ্যস্থতাকারী উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতারা অংশ নিয়েছিলেন। এরপর গত সপ্তাহান্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সরে যায় মিয়ামিতে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রুশ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ এবং পরে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
ভূখণ্ড বিষয়ক ইস্যুতে এখন অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে বলে মনে হচ্ছে, যদিও এটা স্পষ্ট যে ইউক্রেনীয় পক্ষ এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ইউক্রেন যদি দোনেৎস্কের অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ এলাকায় একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তুলতে তাদের ভারী সামরিক সরঞ্জাম ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার পিছিয়ে নিতে রাজি হয়—যাতে এলাকাটি কার্যত অসামরিক হয়ে পড়ে—তবে জেলেনস্কির মতে, রাশিয়াকেও ‘অনুরূপভাবে ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার’ পিছু হটতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশেও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং নিপ্রোপেত্রভস্ক, মাইকোলাইভ, সুমি ও খারকিভ—এই চারটি অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনীকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।

আন্তর্জাতিক লেনদেনের মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির ব্যাপক দরপতন হয়েছে। আজ সোমবার সকাল নাগাদ ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান ৬৭ পয়সা কমেছে। এর অর্থ হলো, এখন এক ডলার কিনতে ভারতীয় মুদ্রায় ৮৭ দশমিক ২৯ রুপি ব্যয় করতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য’
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
২ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
২ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ ফয়সাল নোমান ২০০১ সালে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁকে ফজর নামাজের পরপরই মদিনার আল-বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল-বাকি কবরস্থান জান্নাতুল বাকি নামেও পরিচিত। এটি মদিনার সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি গোরস্তান। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের সদস্য, স্ত্রী ও সাহাবিদেরসহ হাজার হাজার প্রারম্ভিক যুগের মুসলিমদের শেষ আশ্রয়স্থল এটি।
শেখ ফয়সালের মৃত্যুর পর মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষ তাঁর দেওয়া শেষ আজানের একটি আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করেছে। গত ২ নভেম্বর তিনি এই শেষ আজানটি দিয়েছিলেন।
আজানের সুর যেন শেখ ফয়সালের রক্তে মিশে ছিল। তাঁর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই মহান সেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা ও দাদা—উভয়েই এই পবিত্র মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দাদা যেমন মুয়াজ্জিন ছিলেন, তেমনি তাঁর বাবাও মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ৯০ বছরের বেশি বয়সে মৃত্যুর আগপর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তাঁর বাবা এই খেদমত করে গেছেন। বাবার ইন্তেকালের পরই শেখ ফয়সাল নোমানকে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুই পবিত্র মসজিদের ধর্মীয় বিষয়াবলিসংক্রান্ত প্রেসিডেন্সির প্রধান শেখ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস তাঁর নিজের এবং মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও কর্মীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শেখ সুদাইস মরহুম মুয়াজ্জিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন যে, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন এবং মসজিদে নববিতে দীর্ঘকাল আজান দেওয়ার জন্য তাঁকে উত্তম প্রতিদান দেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি এবং কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসের প্রধান শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল আল-শেখ ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে শেখ ড. সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল-ফাওজানকে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত করেন।

মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ ফয়সাল নোমান ২০০১ সালে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁকে ফজর নামাজের পরপরই মদিনার আল-বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল-বাকি কবরস্থান জান্নাতুল বাকি নামেও পরিচিত। এটি মদিনার সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি গোরস্তান। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের সদস্য, স্ত্রী ও সাহাবিদেরসহ হাজার হাজার প্রারম্ভিক যুগের মুসলিমদের শেষ আশ্রয়স্থল এটি।
শেখ ফয়সালের মৃত্যুর পর মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষ তাঁর দেওয়া শেষ আজানের একটি আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করেছে। গত ২ নভেম্বর তিনি এই শেষ আজানটি দিয়েছিলেন।
আজানের সুর যেন শেখ ফয়সালের রক্তে মিশে ছিল। তাঁর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই মহান সেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা ও দাদা—উভয়েই এই পবিত্র মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দাদা যেমন মুয়াজ্জিন ছিলেন, তেমনি তাঁর বাবাও মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ৯০ বছরের বেশি বয়সে মৃত্যুর আগপর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তাঁর বাবা এই খেদমত করে গেছেন। বাবার ইন্তেকালের পরই শেখ ফয়সাল নোমানকে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুই পবিত্র মসজিদের ধর্মীয় বিষয়াবলিসংক্রান্ত প্রেসিডেন্সির প্রধান শেখ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস তাঁর নিজের এবং মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও কর্মীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শেখ সুদাইস মরহুম মুয়াজ্জিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন যে, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন এবং মসজিদে নববিতে দীর্ঘকাল আজান দেওয়ার জন্য তাঁকে উত্তম প্রতিদান দেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি এবং কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসের প্রধান শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল আল-শেখ ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে শেখ ড. সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল-ফাওজানকে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত করেন।

আন্তর্জাতিক লেনদেনের মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির ব্যাপক দরপতন হয়েছে। আজ সোমবার সকাল নাগাদ ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান ৬৭ পয়সা কমেছে। এর অর্থ হলো, এখন এক ডলার কিনতে ভারতীয় মুদ্রায় ৮৭ দশমিক ২৯ রুপি ব্যয় করতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য’
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
২ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে