আজকের পত্রিকা ডেস্ক

তালেবান সরকারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকের পর আফগানিস্তানের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। আজ শুক্রবার সকালে কাবুলে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির পাশে বসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, কাবুলে ভারতের টেকনিক্যাল মিশন পূর্ণাঙ্গ দূতাবাসে উন্নীত করা হবে।
জয়শঙ্কর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ভারত আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও স্বাধীনতার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, কাবুলে ভারতের টেকনিক্যাল মিশনকে দূতাবাসের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আফগানিস্তানের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভারতের ‘গভীর আগ্রহ’ রয়েছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, এরই মধ্যে আফগানিস্তানে চলমান ভারত-সমর্থিত বহু প্রকল্পের পাশাপাশি আরও ছয়টি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জয়শঙ্কর।
আফগান জনগণের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভারতের ‘দীর্ঘস্থায়ী সহায়তার’ কথাও উল্লেখ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশেষ করে করোনা মহামারির সময় ভারতের সহযোগিতা তুলে ধরে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ২০টি অ্যাম্বুলেন্স, আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, টিকা ও ক্যানসারের ওষুধ সরবরাহের ঘোষণা দেন তিনি।
চার বছর আগে তালেবান ও তৎকালীন আফগান সরকারের মধ্যে সংঘাতের কারণে কাবুলে ভারতের দূতাবাসের মর্যাদা হ্রাস করা হয়েছিল এবং ছোট শহরগুলোতে কনস্যুলেট অফিসগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
সহিংসতার কারণে একপর্যায়ে সামরিক বিমান মোতায়েন করে দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় ভারত।
এর ১০ মাস পর কাবুলে কূটনৈতিক উপস্থিতি পুনরায় শুরু করে ভারত। তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরে জানায়, দিল্লি যদি আফগান রাজধানীতে কর্মকর্তা পাঠায়, তাহলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এরপরই সেখানে একটি টেকনিক্যাল দল পাঠানো হয়।
তবে ২০২৫ সালের অক্টোবরে এসে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উষ্ণ হয়। এর প্রতিফলন দেখা যায় তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুত্তাকির বক্তব্যে, ‘আফগানিস্তানের মাটি কোনোভাবেই ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’

তালেবান সরকারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকের পর আফগানিস্তানের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। আজ শুক্রবার সকালে কাবুলে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির পাশে বসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, কাবুলে ভারতের টেকনিক্যাল মিশন পূর্ণাঙ্গ দূতাবাসে উন্নীত করা হবে।
জয়শঙ্কর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ভারত আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও স্বাধীনতার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, কাবুলে ভারতের টেকনিক্যাল মিশনকে দূতাবাসের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আফগানিস্তানের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভারতের ‘গভীর আগ্রহ’ রয়েছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, এরই মধ্যে আফগানিস্তানে চলমান ভারত-সমর্থিত বহু প্রকল্পের পাশাপাশি আরও ছয়টি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জয়শঙ্কর।
আফগান জনগণের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভারতের ‘দীর্ঘস্থায়ী সহায়তার’ কথাও উল্লেখ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশেষ করে করোনা মহামারির সময় ভারতের সহযোগিতা তুলে ধরে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ২০টি অ্যাম্বুলেন্স, আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, টিকা ও ক্যানসারের ওষুধ সরবরাহের ঘোষণা দেন তিনি।
চার বছর আগে তালেবান ও তৎকালীন আফগান সরকারের মধ্যে সংঘাতের কারণে কাবুলে ভারতের দূতাবাসের মর্যাদা হ্রাস করা হয়েছিল এবং ছোট শহরগুলোতে কনস্যুলেট অফিসগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
সহিংসতার কারণে একপর্যায়ে সামরিক বিমান মোতায়েন করে দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় ভারত।
এর ১০ মাস পর কাবুলে কূটনৈতিক উপস্থিতি পুনরায় শুরু করে ভারত। তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরে জানায়, দিল্লি যদি আফগান রাজধানীতে কর্মকর্তা পাঠায়, তাহলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এরপরই সেখানে একটি টেকনিক্যাল দল পাঠানো হয়।
তবে ২০২৫ সালের অক্টোবরে এসে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উষ্ণ হয়। এর প্রতিফলন দেখা যায় তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুত্তাকির বক্তব্যে, ‘আফগানিস্তানের মাটি কোনোভাবেই ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’

এর আগে দুজন বিচারপতিই পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদিকে চিঠি দিয়ে ফুল কোর্ট বৈঠক ও বিচারবিষয়ক সম্মেলন ডাকার অনুরোধ করেছিলেন, যাতে ২৭তম সংশোধনী নিয়ে আদালতের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
দিল্লিতে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তুরস্কের সম্পৃক্ততার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। গতকাল বুধবার তুরস্কের ডিসইনফরমেশন প্রতিরোধ কেন্দ্র (ডিএমএম) এ দাবিকে দুরভিসন্ধি ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বলে আখ্যা দিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দিল্লির লালকেল্লায় সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এবার জড়িয়ে যাচ্ছে তুরস্কের নাম। তুরস্ক থেকে ‘উকাসা’ ছদ্মনামের এক ব্যক্তি এই হামলার নীলনকশা আঁকেন। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উমর উন নবির নেতৃত্বাধীন টিমকে দিতেন দিকনির্দেশনাও। এমনটিই বলছেন ভারতীয় তদন্ত কর্মকর্তারা।
১০ ঘণ্টা আগে
এই চার চিকিৎসক দিল্লিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য ২০ লাখ টাকার একটি তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) বা রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের...
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এরপরই ‘সংবিধান আর রইল না’ এমন আক্ষেপ করে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারির স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিতর্কিত ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী আইনে পরিণত হয়। এর কয়েক ঘণ্টার পরই পদত্যাগপত্র জমা দেন বিচারপতি মনসুর আলী শাহ ও আতহার মিনাল্লাহ।
এর আগে দুজন বিচারপতিই পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদিকে চিঠি দিয়ে ফুল কোর্ট বৈঠক ও বিচারবিষয়ক সম্মেলন ডাকার অনুরোধ করেছিলেন, যাতে ২৭তম সংশোধনী নিয়ে আদালতের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রপতিকে লেখা পদত্যাগপত্রে বিচারপতি মনসুর আলী শাহ এই সংশোধনীকে আখ্যা দিয়েছেন ‘পাকিস্তানের সংবিধানের ওপর এক গুরুতর আঘাত’ হিসেবে। তিনি লিখেছেন, ‘এটি সুপ্রিম কোর্টকে ভেঙে দিয়েছে, বিচার বিভাগকে নির্বাহী নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং আমাদের সাংবিধানিক গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিতেই আঘাত হেনেছে।’
মনসুর আলী আরও লিখেছেন, জাতির সর্বোচ্চ আদালতের ঐক্যকে ভেঙে এই সংশোধনী বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সততাকে পঙ্গু করেছে, দেশকে বহু দশক পিছিয়ে দিয়েছে।
মনসুর আলী শাহ বলেন, তাঁর সামনে দুটি পথ ছিল—এক, আদালতের বিচারপতি হিসেবে থাকা, যা হবে সেই প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তি দুর্বল করার সমান; দুই, পদত্যাগ করা। তিনি বলেন, এই আদালতে থেকে যাওয়া মানে হবে সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ডে নীরব সম্মতি জানানো এবং এমন এক আদালতে বসা, যার কণ্ঠস্বর ইতিমধ্যে রুদ্ধ করা হয়েছে।
মনসুর আলী অভিযোগ করেন, ‘২৬তম সংশোধনীর সময়ও সুপ্রিম কোর্ট সাংবিধানিক প্রশ্নে রায় দিতে পারতেন, কিন্তু ২৭তম সংশোধনী সেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। এমন একটি ক্ষীণ ও অক্ষম আদালতে থেকে আমি সংবিধান রক্ষা করতে পারি না।’
অন্যদিকে বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ তাঁর পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘আমি ১১ বছর আগে যে সংবিধানের শপথ নিয়েছিলাম, তা আর নেই।’
আতহার জানান, সংশোধনী পাসের আগে তিনি প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি লিখে এর সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, আজ সেই আশঙ্কাগুলোই সত্য প্রমাণিত হলো।
আতহার লিখেছেন, ‘আমি যে সংবিধান রক্ষা করার শপথ নিয়েছিলাম, তা এখন আর নেই। নতুন যে ভিত্তি স্থাপন করা হচ্ছে, তা ওই সংবিধানের কবরের ওপর দাঁড়িয়ে।’
আতহার আরও বলেন, ‘যে পোশাক আমরা পরি, তা কেবল সাজসজ্জা নয়; এটি জনগণের প্রতি আমাদের দায়িত্বের প্রতীক। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, নীরবতা ও আপসের মাধ্যমে এই পোশাক অনেক সময় বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ নাসরুম মিনাল্লাহর পুত্র এবং বিচারপতি সফদার শাহের জামাতা—যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া বেঞ্চের সদস্য ছিলেন। কিন্তু রায়টির বিরোধিতা করে ভিন্নমত পোষণ করায় পরে জেনারেল জিয়া-উল-হকের রোষানলে পড়েন।
আতহার মিনাল্লাহ কর্মজীবনের শুরুতে পাকিস্তান কাস্টমস বিভাগে যোগ দেন, পরে পদত্যাগ করে আইন পেশায় আসেন। প্রধান বিচারপতি ইফতেখার চৌধুরীর বরখাস্তের পর তিনি বিচার বিভাগের পুনর্বহাল আন্দোলনে যোগ দেন। তবে পুনর্বহালের পর সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত সুয়ো মটো মামলার (স্বতঃপ্রণোদিত মামলা) কারণে তিনি বিচারব্যবস্থার সমালোচক হয়ে ওঠেন।
২০২২ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল তাঁকে এবং বিচারপতি মনসুর আলী শাহ, শাহিদ ওয়াহিদ ও হাসান আজহার রিজভিকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে আজ বিকেলে সিনেট দ্বিতীয়বারের মতো ভোটাভুটির মাধ্যমে সংশোধনীটি পাস করে। বিরোধী দল প্রতিবাদ জানালেও ৬৪ ভোট পক্ষে ও ৪ ভোট বিপক্ষে পড়ে। সিনেট চেয়ারম্যান ইউসুফ রেজা গিলানি ফলাফল ঘোষণা করে বলেন, দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিলটি পাস হয়েছে।
এই সংশোধনীর মূল লক্ষ্য বলা হয়েছে, শাসনব্যবস্থা সহজতর করা। এর আওতায় নতুন সাংবিধানিক আদালত বা ‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ (এফসিসি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা এবং সেনা নেতৃত্বের কাঠামোয় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ফেডারেল সাংবিধানিক আদালতের গঠন, যা প্রতিটি প্রদেশের বিচারপতিদের নিয়ে গঠিত হবে এবং কেবল সংবিধানসংক্রান্ত মামলা শুনবে। অন্য মামলাগুলো চলবে প্রচলিত আদালতগুলোতে।
এই সংশোধনীর ধারা ২৩ অনুযায়ী, বর্তমান প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদি তাঁর মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন। ধারা ৫৬ অনুযায়ী, তাঁর মেয়াদ শেষে ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ আদালত ও ফেডারেল সাংবিধানিক আদালতের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম প্রধান বিচারপতিই নতুন প্রধান বিচারপতি হবেন।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি জারদারি আগামীকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্সিতে নবগঠিত ফেডারেল সাংবিধানিক আদালতের প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এর মাধ্যমে কার্যত ২৭তম সংশোধনীর পূর্ণ বাস্তবায়ন হবে।

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এরপরই ‘সংবিধান আর রইল না’ এমন আক্ষেপ করে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারির স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিতর্কিত ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী আইনে পরিণত হয়। এর কয়েক ঘণ্টার পরই পদত্যাগপত্র জমা দেন বিচারপতি মনসুর আলী শাহ ও আতহার মিনাল্লাহ।
এর আগে দুজন বিচারপতিই পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদিকে চিঠি দিয়ে ফুল কোর্ট বৈঠক ও বিচারবিষয়ক সম্মেলন ডাকার অনুরোধ করেছিলেন, যাতে ২৭তম সংশোধনী নিয়ে আদালতের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রপতিকে লেখা পদত্যাগপত্রে বিচারপতি মনসুর আলী শাহ এই সংশোধনীকে আখ্যা দিয়েছেন ‘পাকিস্তানের সংবিধানের ওপর এক গুরুতর আঘাত’ হিসেবে। তিনি লিখেছেন, ‘এটি সুপ্রিম কোর্টকে ভেঙে দিয়েছে, বিচার বিভাগকে নির্বাহী নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং আমাদের সাংবিধানিক গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিতেই আঘাত হেনেছে।’
মনসুর আলী আরও লিখেছেন, জাতির সর্বোচ্চ আদালতের ঐক্যকে ভেঙে এই সংশোধনী বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সততাকে পঙ্গু করেছে, দেশকে বহু দশক পিছিয়ে দিয়েছে।
মনসুর আলী শাহ বলেন, তাঁর সামনে দুটি পথ ছিল—এক, আদালতের বিচারপতি হিসেবে থাকা, যা হবে সেই প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তি দুর্বল করার সমান; দুই, পদত্যাগ করা। তিনি বলেন, এই আদালতে থেকে যাওয়া মানে হবে সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ডে নীরব সম্মতি জানানো এবং এমন এক আদালতে বসা, যার কণ্ঠস্বর ইতিমধ্যে রুদ্ধ করা হয়েছে।
মনসুর আলী অভিযোগ করেন, ‘২৬তম সংশোধনীর সময়ও সুপ্রিম কোর্ট সাংবিধানিক প্রশ্নে রায় দিতে পারতেন, কিন্তু ২৭তম সংশোধনী সেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। এমন একটি ক্ষীণ ও অক্ষম আদালতে থেকে আমি সংবিধান রক্ষা করতে পারি না।’
অন্যদিকে বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ তাঁর পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘আমি ১১ বছর আগে যে সংবিধানের শপথ নিয়েছিলাম, তা আর নেই।’
আতহার জানান, সংশোধনী পাসের আগে তিনি প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি লিখে এর সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, আজ সেই আশঙ্কাগুলোই সত্য প্রমাণিত হলো।
আতহার লিখেছেন, ‘আমি যে সংবিধান রক্ষা করার শপথ নিয়েছিলাম, তা এখন আর নেই। নতুন যে ভিত্তি স্থাপন করা হচ্ছে, তা ওই সংবিধানের কবরের ওপর দাঁড়িয়ে।’
আতহার আরও বলেন, ‘যে পোশাক আমরা পরি, তা কেবল সাজসজ্জা নয়; এটি জনগণের প্রতি আমাদের দায়িত্বের প্রতীক। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, নীরবতা ও আপসের মাধ্যমে এই পোশাক অনেক সময় বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ নাসরুম মিনাল্লাহর পুত্র এবং বিচারপতি সফদার শাহের জামাতা—যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া বেঞ্চের সদস্য ছিলেন। কিন্তু রায়টির বিরোধিতা করে ভিন্নমত পোষণ করায় পরে জেনারেল জিয়া-উল-হকের রোষানলে পড়েন।
আতহার মিনাল্লাহ কর্মজীবনের শুরুতে পাকিস্তান কাস্টমস বিভাগে যোগ দেন, পরে পদত্যাগ করে আইন পেশায় আসেন। প্রধান বিচারপতি ইফতেখার চৌধুরীর বরখাস্তের পর তিনি বিচার বিভাগের পুনর্বহাল আন্দোলনে যোগ দেন। তবে পুনর্বহালের পর সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত সুয়ো মটো মামলার (স্বতঃপ্রণোদিত মামলা) কারণে তিনি বিচারব্যবস্থার সমালোচক হয়ে ওঠেন।
২০২২ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল তাঁকে এবং বিচারপতি মনসুর আলী শাহ, শাহিদ ওয়াহিদ ও হাসান আজহার রিজভিকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে আজ বিকেলে সিনেট দ্বিতীয়বারের মতো ভোটাভুটির মাধ্যমে সংশোধনীটি পাস করে। বিরোধী দল প্রতিবাদ জানালেও ৬৪ ভোট পক্ষে ও ৪ ভোট বিপক্ষে পড়ে। সিনেট চেয়ারম্যান ইউসুফ রেজা গিলানি ফলাফল ঘোষণা করে বলেন, দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিলটি পাস হয়েছে।
এই সংশোধনীর মূল লক্ষ্য বলা হয়েছে, শাসনব্যবস্থা সহজতর করা। এর আওতায় নতুন সাংবিধানিক আদালত বা ‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ (এফসিসি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা এবং সেনা নেতৃত্বের কাঠামোয় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ফেডারেল সাংবিধানিক আদালতের গঠন, যা প্রতিটি প্রদেশের বিচারপতিদের নিয়ে গঠিত হবে এবং কেবল সংবিধানসংক্রান্ত মামলা শুনবে। অন্য মামলাগুলো চলবে প্রচলিত আদালতগুলোতে।
এই সংশোধনীর ধারা ২৩ অনুযায়ী, বর্তমান প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদি তাঁর মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন। ধারা ৫৬ অনুযায়ী, তাঁর মেয়াদ শেষে ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ আদালত ও ফেডারেল সাংবিধানিক আদালতের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম প্রধান বিচারপতিই নতুন প্রধান বিচারপতি হবেন।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি জারদারি আগামীকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্সিতে নবগঠিত ফেডারেল সাংবিধানিক আদালতের প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এর মাধ্যমে কার্যত ২৭তম সংশোধনীর পূর্ণ বাস্তবায়ন হবে।

এ বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও স্বাধীনতার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, কাবুলে ভারতের টেকনিক্যাল মিশনকে দূতাবাসের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।’
১০ অক্টোবর ২০২৫
দিল্লিতে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তুরস্কের সম্পৃক্ততার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। গতকাল বুধবার তুরস্কের ডিসইনফরমেশন প্রতিরোধ কেন্দ্র (ডিএমএম) এ দাবিকে দুরভিসন্ধি ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বলে আখ্যা দিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দিল্লির লালকেল্লায় সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এবার জড়িয়ে যাচ্ছে তুরস্কের নাম। তুরস্ক থেকে ‘উকাসা’ ছদ্মনামের এক ব্যক্তি এই হামলার নীলনকশা আঁকেন। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উমর উন নবির নেতৃত্বাধীন টিমকে দিতেন দিকনির্দেশনাও। এমনটিই বলছেন ভারতীয় তদন্ত কর্মকর্তারা।
১০ ঘণ্টা আগে
এই চার চিকিৎসক দিল্লিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য ২০ লাখ টাকার একটি তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) বা রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের...
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লিতে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তুরস্কের সম্পৃক্ততার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। গতকাল বুধবার তুরস্কের ডিসইনফরমেশন প্রতিরোধ কেন্দ্র (ডিএমএম) এ দাবিকে দুরভিসন্ধি ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বলে আখ্যা দিয়েছে।
এর আগে ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আঙ্কারার ভারতে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে।
ডিএমএম দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম NSosyal-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রচার করা হয়েছে, ‘তুরস্ক ভারতে সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে লজিস্টিক, কূটনৈতিক ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।’ এই অভিযোগগুলো দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত একটি দুরভিসন্ধিমূলক ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা।
তুরস্ক সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের (যেখানেই, যে ঘটাক না কেন) ঘোরবিরোধী বলে পুনর্ব্যক্ত করে ডিএমএম জানায়, তুরস্ক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আঙ্কারা জাতিসংঘের গ্লোবাল কাউন্টার-টেররিজম স্ট্র্যাটেজি বা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবিরোধী কৌশলকে ‘সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে’ এবং ন্যাটোর সন্ত্রাসবিরোধী নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডিএমএম আরও জানায়, তুরস্ক ভারত বা অন্য কোনো দেশে ‘চরমপন্থা ছড়ানোর কার্যক্রম’ পরিচালনা করে—এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিমূলক এবং বাস্তবতাবিবর্জিত।
সংস্থাটি আরও উল্লেখ করে, এ ধরনের মিথ্যা ও প্ররোচনামূলক প্রতিবেদন তুরস্কের বৈশ্বিক নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকে ব্যাহত করার লক্ষ্যেই প্রচার করা হচ্ছে।
সবশেষে, তুরস্কের সাধারণ জনগণকে এসব অভিযোগে বিশ্বাস না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দিল্লিতে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তুরস্কের সম্পৃক্ততার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। গতকাল বুধবার তুরস্কের ডিসইনফরমেশন প্রতিরোধ কেন্দ্র (ডিএমএম) এ দাবিকে দুরভিসন্ধি ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বলে আখ্যা দিয়েছে।
এর আগে ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আঙ্কারার ভারতে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে।
ডিএমএম দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম NSosyal-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রচার করা হয়েছে, ‘তুরস্ক ভারতে সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে লজিস্টিক, কূটনৈতিক ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।’ এই অভিযোগগুলো দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত একটি দুরভিসন্ধিমূলক ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা।
তুরস্ক সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের (যেখানেই, যে ঘটাক না কেন) ঘোরবিরোধী বলে পুনর্ব্যক্ত করে ডিএমএম জানায়, তুরস্ক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আঙ্কারা জাতিসংঘের গ্লোবাল কাউন্টার-টেররিজম স্ট্র্যাটেজি বা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবিরোধী কৌশলকে ‘সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে’ এবং ন্যাটোর সন্ত্রাসবিরোধী নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডিএমএম আরও জানায়, তুরস্ক ভারত বা অন্য কোনো দেশে ‘চরমপন্থা ছড়ানোর কার্যক্রম’ পরিচালনা করে—এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিমূলক এবং বাস্তবতাবিবর্জিত।
সংস্থাটি আরও উল্লেখ করে, এ ধরনের মিথ্যা ও প্ররোচনামূলক প্রতিবেদন তুরস্কের বৈশ্বিক নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকে ব্যাহত করার লক্ষ্যেই প্রচার করা হচ্ছে।
সবশেষে, তুরস্কের সাধারণ জনগণকে এসব অভিযোগে বিশ্বাস না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও স্বাধীনতার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, কাবুলে ভারতের টেকনিক্যাল মিশনকে দূতাবাসের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।’
১০ অক্টোবর ২০২৫
এর আগে দুজন বিচারপতিই পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদিকে চিঠি দিয়ে ফুল কোর্ট বৈঠক ও বিচারবিষয়ক সম্মেলন ডাকার অনুরোধ করেছিলেন, যাতে ২৭তম সংশোধনী নিয়ে আদালতের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
দিল্লির লালকেল্লায় সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এবার জড়িয়ে যাচ্ছে তুরস্কের নাম। তুরস্ক থেকে ‘উকাসা’ ছদ্মনামের এক ব্যক্তি এই হামলার নীলনকশা আঁকেন। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উমর উন নবির নেতৃত্বাধীন টিমকে দিতেন দিকনির্দেশনাও। এমনটিই বলছেন ভারতীয় তদন্ত কর্মকর্তারা।
১০ ঘণ্টা আগে
এই চার চিকিৎসক দিল্লিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য ২০ লাখ টাকার একটি তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) বা রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের...
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লির লালকেল্লায় সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এবার জড়িয়ে যাচ্ছে তুরস্কের নাম। তুরস্ক থেকে ‘উকাসা’ ছদ্মনামের এক ব্যক্তি এই হামলার নীলনকশা আঁকেন। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উমর উন নবির নেতৃত্বাধীন টিমকে দিতেন দিকনির্দেশনাও। এমনটিই বলছেন ভারতীয় তদন্ত কর্মকর্তারা।
নিরাপত্তা সূত্রে জানা গেছে, উকাসা ছিলেন দিল্লিভিত্তিক উমর নবির সন্ত্রাসী গ্রুপ নিষিদ্ধ সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ ও আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের পাকিস্তানভিত্তিক পরিচালকদের মধ্যকার মূল সংযোগকারী।
কর্মকর্তারা জানান, এই ষড়যন্ত্রের বীজ রোপিত হয় ২০২২ সালে তুরস্কে। ওই সময় উমরসহ আরও তিনজন (যাঁরা দুটি পাকিস্তান-সমর্থিত সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত) তুরস্কে গিয়েছিলেনে।
উমর ২০২২ সালের মার্চ মাসে তুরস্কে যান এবং আঙ্কারায় দুই সপ্তাহ অবস্থান করেন। এক কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের কথাবার্তা প্রথমে টেলিগ্রামে শুরু হয়েছিল, পরে সিগন্যাল ও সেশনের মতো এনক্রিপটেড অ্যাপে পরিকল্পনা আঁটতে থাকেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, উকাসাই তাঁদের গোপন সেল তৈরি ও ডিজিটাল ফাঁকি দেওয়ার কৌশল শেখান।
তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেন, উকাসাই এই সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করে দেন। পরিকল্পনায় একাধিক যানবাহনে বিস্ফোরক ভর্তি করে ধারাবাহিক হামলা চালানোর ছক আঁকা হয়।
অভিযানের জন্য তিনটি গাড়ি কেনা হয়েছিল। একটি হুন্ডাই আই-২০, একটি লাল রঙের ফোর্ড ইকোস্পোর্ট এবং একটি মারুতি ব্রেজা।
গত সোমবার (১০ নভেম্বর) লালকেল্লার কাছে উমরের হুন্ডাই আই-২০ গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়, এতে ঘটনাস্থলেই উমর নিহত হন। নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এরই মধ্যে ফরিদাবাদ থেকে ইকোস্পোর্টটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং ব্রেজা গাড়িটির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কর্মকর্তাদের সন্দেহ, অবশিষ্ট গাড়িগুলোতেও বিস্ফোরক লুকানো থাকতে পারে।
সূত্রগুলো জানায়, উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ডা. মুজাম্মিল এ বছরের জানুয়ারিতে একাধিকবার লালকেল্লা পরিদর্শন করেছেন। তিনিও আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত।
এক তদন্তকারী বলেন, তাঁরা স্মৃতিস্তম্ভটির নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন, যাতে ২০২৬ সালের ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের সময় বড় হামলা চালানো যায়।
২০২২ সাল থেকে দলটি ৩৫০ কেজির বেশি বিস্ফোরক পদার্থ সংগ্রহ করেছিল, যার মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও অল্প পরিমাণ আরডিএক্স ছিল। এই বিস্ফোরকগুলো এ বছরের শুরুর দিকে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয়, এর সূত্র ধরেই মুজাম্মিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই উমর পালিয়ে যান এবং দিল্লি-এনসিআরজুড়ে ১৬ ঘণ্টা ড্রাইভ করার পর বিস্ফোরকভর্তি আই-২০ গাড়িটির বিস্ফোরণ ঘটান।
তদন্তে আরও জানা গেছে, দিল্লির পাশাপাশি অযোধ্যাও তাঁদের লক্ষ্যবস্তু ছিল। এক সূত্র জানায়, তাঁরা ২৫ নভেম্বরের দিকে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন, যখন রামমন্দিরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের কথা ছিল।
উকাসার ডিজিটাল কর্মকাণ্ডের খুঁটিনাটি বের করতে ভারতীয় তদন্তকারীরা এখন বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাচ্ছেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী পরিচালকদের সঙ্গে তার যোগসূত্রতা বের করার চেষ্টা করছেন।
এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি এনক্রিপ্টেড চ্যাট ও বিদেশি অর্থ লেনদেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। তুরস্ক সংযোগই এই মামলার মূল কেন্দ্রবিন্দু।

দিল্লির লালকেল্লায় সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এবার জড়িয়ে যাচ্ছে তুরস্কের নাম। তুরস্ক থেকে ‘উকাসা’ ছদ্মনামের এক ব্যক্তি এই হামলার নীলনকশা আঁকেন। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উমর উন নবির নেতৃত্বাধীন টিমকে দিতেন দিকনির্দেশনাও। এমনটিই বলছেন ভারতীয় তদন্ত কর্মকর্তারা।
নিরাপত্তা সূত্রে জানা গেছে, উকাসা ছিলেন দিল্লিভিত্তিক উমর নবির সন্ত্রাসী গ্রুপ নিষিদ্ধ সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ ও আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের পাকিস্তানভিত্তিক পরিচালকদের মধ্যকার মূল সংযোগকারী।
কর্মকর্তারা জানান, এই ষড়যন্ত্রের বীজ রোপিত হয় ২০২২ সালে তুরস্কে। ওই সময় উমরসহ আরও তিনজন (যাঁরা দুটি পাকিস্তান-সমর্থিত সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত) তুরস্কে গিয়েছিলেনে।
উমর ২০২২ সালের মার্চ মাসে তুরস্কে যান এবং আঙ্কারায় দুই সপ্তাহ অবস্থান করেন। এক কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের কথাবার্তা প্রথমে টেলিগ্রামে শুরু হয়েছিল, পরে সিগন্যাল ও সেশনের মতো এনক্রিপটেড অ্যাপে পরিকল্পনা আঁটতে থাকেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, উকাসাই তাঁদের গোপন সেল তৈরি ও ডিজিটাল ফাঁকি দেওয়ার কৌশল শেখান।
তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেন, উকাসাই এই সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করে দেন। পরিকল্পনায় একাধিক যানবাহনে বিস্ফোরক ভর্তি করে ধারাবাহিক হামলা চালানোর ছক আঁকা হয়।
অভিযানের জন্য তিনটি গাড়ি কেনা হয়েছিল। একটি হুন্ডাই আই-২০, একটি লাল রঙের ফোর্ড ইকোস্পোর্ট এবং একটি মারুতি ব্রেজা।
গত সোমবার (১০ নভেম্বর) লালকেল্লার কাছে উমরের হুন্ডাই আই-২০ গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়, এতে ঘটনাস্থলেই উমর নিহত হন। নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এরই মধ্যে ফরিদাবাদ থেকে ইকোস্পোর্টটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং ব্রেজা গাড়িটির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কর্মকর্তাদের সন্দেহ, অবশিষ্ট গাড়িগুলোতেও বিস্ফোরক লুকানো থাকতে পারে।
সূত্রগুলো জানায়, উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ডা. মুজাম্মিল এ বছরের জানুয়ারিতে একাধিকবার লালকেল্লা পরিদর্শন করেছেন। তিনিও আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত।
এক তদন্তকারী বলেন, তাঁরা স্মৃতিস্তম্ভটির নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন, যাতে ২০২৬ সালের ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের সময় বড় হামলা চালানো যায়।
২০২২ সাল থেকে দলটি ৩৫০ কেজির বেশি বিস্ফোরক পদার্থ সংগ্রহ করেছিল, যার মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও অল্প পরিমাণ আরডিএক্স ছিল। এই বিস্ফোরকগুলো এ বছরের শুরুর দিকে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয়, এর সূত্র ধরেই মুজাম্মিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই উমর পালিয়ে যান এবং দিল্লি-এনসিআরজুড়ে ১৬ ঘণ্টা ড্রাইভ করার পর বিস্ফোরকভর্তি আই-২০ গাড়িটির বিস্ফোরণ ঘটান।
তদন্তে আরও জানা গেছে, দিল্লির পাশাপাশি অযোধ্যাও তাঁদের লক্ষ্যবস্তু ছিল। এক সূত্র জানায়, তাঁরা ২৫ নভেম্বরের দিকে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন, যখন রামমন্দিরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের কথা ছিল।
উকাসার ডিজিটাল কর্মকাণ্ডের খুঁটিনাটি বের করতে ভারতীয় তদন্তকারীরা এখন বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাচ্ছেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী পরিচালকদের সঙ্গে তার যোগসূত্রতা বের করার চেষ্টা করছেন।
এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি এনক্রিপ্টেড চ্যাট ও বিদেশি অর্থ লেনদেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। তুরস্ক সংযোগই এই মামলার মূল কেন্দ্রবিন্দু।

এ বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও স্বাধীনতার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, কাবুলে ভারতের টেকনিক্যাল মিশনকে দূতাবাসের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।’
১০ অক্টোবর ২০২৫
এর আগে দুজন বিচারপতিই পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদিকে চিঠি দিয়ে ফুল কোর্ট বৈঠক ও বিচারবিষয়ক সম্মেলন ডাকার অনুরোধ করেছিলেন, যাতে ২৭তম সংশোধনী নিয়ে আদালতের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
দিল্লিতে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তুরস্কের সম্পৃক্ততার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। গতকাল বুধবার তুরস্কের ডিসইনফরমেশন প্রতিরোধ কেন্দ্র (ডিএমএম) এ দাবিকে দুরভিসন্ধি ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বলে আখ্যা দিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
এই চার চিকিৎসক দিল্লিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য ২০ লাখ টাকার একটি তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) বা রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের...
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফরিদাবাদের আল ফালাহ ইউনিভার্সিটি। সম্প্রতি লালকেল্লায় ঘটে যাওয়া গাড়ি বিস্ফোরণের পরিকল্পনার ‘কেন্দ্র’ হিসেবে দেখা হচ্ছে স্থানটিকে। এ ছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই চার চিকিৎসককে কেন্দ্র করে এগোচ্ছে, যাঁদের পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাঁদের সঙ্গে এই চিকিৎসকদের কোনো সংযোগ নেই।
গত সোমবার লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে ধীরগতিতে চলতে থাকা একটি হুন্ডাই আই-২০ গাড়ি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হন। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গাড়িটির চালক হিসেবে ডা. উমর মুহাম্মদকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এর আগে ওই দিনই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ হরিয়ানা আর উত্তর প্রদেশ থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের মধ্যে তিন চিকিৎসক ছিলেন।
তদন্তকারী ও পুলিশের সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মুজাম্মিল শাকিল, আদিল ও শহীদ সাঈদ নামের ওই তিন চিকিৎসক ডা. উমরের সঙ্গে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন আর তাঁদের পরিকল্পনার কেন্দ্র ছিল ৭০ একরজুড়ে বিস্তৃত আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ নম্বর বিল্ডিংয়ের ১৩ নম্বর কক্ষটি ছিল ডা. মুজাম্মিলের, সেখানেই সবাই মিলিত হতেন। পুলিশ সন্দেহ করছে, এই কক্ষেই দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
জানা গেছে, এই চার চিকিৎসক দিল্লিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য ২০ লাখ টাকার একটি তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) বা রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।
তহবিল থেকে পুরো অর্থ ডা. উমরকে সুরক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছিল। পরে গুরুগ্রাম, নুহ ও অন্যান্য নিকটবর্তী বাজার থেকে ৩ লাখ টাকায় কেনা হয় প্রায় ২৬ কুইন্টাল (২৬০০ কেজি) এনপিকে (নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম) সার। এই সার আইইডি (বোমা) তৈরির জন্য ব্যবহার করার কথা ছিল।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা প্রথমে বোমা তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি থেকে রাসায়নিক পাচারের পরিকল্পনা করে। ল্যাবটি মুজাম্মিলের কক্ষ থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে। ডা. উমর ও শাহীন উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সদস্য ছিলেন, তাঁরা রাসায়নিকের ব্যবস্থা করেন। এরপর তা ফরিদাবাদের ধৌজ ও তাগা গ্রামের ভাড়া করা স্থানে মজুত করা হয়।
ডা. মুজাম্মিলের কক্ষটি এখন সিলগালা করা হয়েছে। সেখান থেকে একাধিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও পেন ড্রাইভ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া কোড শব্দ ও এনক্রিপ্টেড বার্তাভর্তি দুটি ডায়েরি পাওয়া গেছে।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তাঁদের ব্যবহৃত কক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব উভয় স্থান থেকেই রাসায়নিকের অবশেষ খুঁজে পেয়েছেন। পুলিশের সন্দেহ, ল্যাব থেকে পাচার করা রাসায়নিকগুলো অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সঙ্গে অক্সিডাইজার মিশিয়ে বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণে এএনএফও (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও জ্বালানি তেল মিশ্রিত একটি বিস্ফোরক যৌগ) ব্যবহৃত হয়েছিল। এর আগে ফরিদাবাদের অভিযানেও পুলিশ ৩৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটসহ ২ হাজার কেজির বেশি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল।
পুলিশ এখনো ডা. উমরকে আটক করতে পারেনি। তবে ডা. মুজাম্মিল শাকিল, আদিল ও শহীদ সাঈদ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফরিদাবাদের আল ফালাহ ইউনিভার্সিটি। সম্প্রতি লালকেল্লায় ঘটে যাওয়া গাড়ি বিস্ফোরণের পরিকল্পনার ‘কেন্দ্র’ হিসেবে দেখা হচ্ছে স্থানটিকে। এ ছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই চার চিকিৎসককে কেন্দ্র করে এগোচ্ছে, যাঁদের পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাঁদের সঙ্গে এই চিকিৎসকদের কোনো সংযোগ নেই।
গত সোমবার লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে ধীরগতিতে চলতে থাকা একটি হুন্ডাই আই-২০ গাড়ি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হন। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গাড়িটির চালক হিসেবে ডা. উমর মুহাম্মদকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এর আগে ওই দিনই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ হরিয়ানা আর উত্তর প্রদেশ থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের মধ্যে তিন চিকিৎসক ছিলেন।
তদন্তকারী ও পুলিশের সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মুজাম্মিল শাকিল, আদিল ও শহীদ সাঈদ নামের ওই তিন চিকিৎসক ডা. উমরের সঙ্গে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন আর তাঁদের পরিকল্পনার কেন্দ্র ছিল ৭০ একরজুড়ে বিস্তৃত আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ নম্বর বিল্ডিংয়ের ১৩ নম্বর কক্ষটি ছিল ডা. মুজাম্মিলের, সেখানেই সবাই মিলিত হতেন। পুলিশ সন্দেহ করছে, এই কক্ষেই দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
জানা গেছে, এই চার চিকিৎসক দিল্লিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য ২০ লাখ টাকার একটি তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) বা রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।
তহবিল থেকে পুরো অর্থ ডা. উমরকে সুরক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছিল। পরে গুরুগ্রাম, নুহ ও অন্যান্য নিকটবর্তী বাজার থেকে ৩ লাখ টাকায় কেনা হয় প্রায় ২৬ কুইন্টাল (২৬০০ কেজি) এনপিকে (নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম) সার। এই সার আইইডি (বোমা) তৈরির জন্য ব্যবহার করার কথা ছিল।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা প্রথমে বোমা তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি থেকে রাসায়নিক পাচারের পরিকল্পনা করে। ল্যাবটি মুজাম্মিলের কক্ষ থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে। ডা. উমর ও শাহীন উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সদস্য ছিলেন, তাঁরা রাসায়নিকের ব্যবস্থা করেন। এরপর তা ফরিদাবাদের ধৌজ ও তাগা গ্রামের ভাড়া করা স্থানে মজুত করা হয়।
ডা. মুজাম্মিলের কক্ষটি এখন সিলগালা করা হয়েছে। সেখান থেকে একাধিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও পেন ড্রাইভ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া কোড শব্দ ও এনক্রিপ্টেড বার্তাভর্তি দুটি ডায়েরি পাওয়া গেছে।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তাঁদের ব্যবহৃত কক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব উভয় স্থান থেকেই রাসায়নিকের অবশেষ খুঁজে পেয়েছেন। পুলিশের সন্দেহ, ল্যাব থেকে পাচার করা রাসায়নিকগুলো অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সঙ্গে অক্সিডাইজার মিশিয়ে বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণে এএনএফও (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও জ্বালানি তেল মিশ্রিত একটি বিস্ফোরক যৌগ) ব্যবহৃত হয়েছিল। এর আগে ফরিদাবাদের অভিযানেও পুলিশ ৩৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটসহ ২ হাজার কেজির বেশি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল।
পুলিশ এখনো ডা. উমরকে আটক করতে পারেনি। তবে ডা. মুজাম্মিল শাকিল, আদিল ও শহীদ সাঈদ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

এ বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও স্বাধীনতার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, কাবুলে ভারতের টেকনিক্যাল মিশনকে দূতাবাসের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।’
১০ অক্টোবর ২০২৫
এর আগে দুজন বিচারপতিই পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদিকে চিঠি দিয়ে ফুল কোর্ট বৈঠক ও বিচারবিষয়ক সম্মেলন ডাকার অনুরোধ করেছিলেন, যাতে ২৭তম সংশোধনী নিয়ে আদালতের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
দিল্লিতে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তুরস্কের সম্পৃক্ততার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। গতকাল বুধবার তুরস্কের ডিসইনফরমেশন প্রতিরোধ কেন্দ্র (ডিএমএম) এ দাবিকে দুরভিসন্ধি ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বলে আখ্যা দিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দিল্লির লালকেল্লায় সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এবার জড়িয়ে যাচ্ছে তুরস্কের নাম। তুরস্ক থেকে ‘উকাসা’ ছদ্মনামের এক ব্যক্তি এই হামলার নীলনকশা আঁকেন। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উমর উন নবির নেতৃত্বাধীন টিমকে দিতেন দিকনির্দেশনাও। এমনটিই বলছেন ভারতীয় তদন্ত কর্মকর্তারা।
১০ ঘণ্টা আগে