
ভারতের জাতীয় নির্বাচনে কে বা কারা বিজেপিকে ভোট দেবে না তাদের তালিকা তৈরি করতে বেকারদের নিয়োগ দিচ্ছে দলটি। এদের কাজ হলো—বিজেপিকে ভোট দিতে অনিচ্ছুক নাগরিকদের বয়স, লিঙ্গ, জাত, ধর্ম তালিকাবদ্ধ করা এবং বিজেপির স্বার্থে এসব তথ্য কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেই কৌশল বের করা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিজেপির এমন একটি প্রকল্পে পরামর্শকের চাকরি পাওয়া যুবক নীরাজ (ছদ্মনাম) বলেন, ‘আমাদের সবাইকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম (জেইই) দিয়ে ঢুকতে হয়। যারা সমস্যা সমাধান করতে সিদ্ধহস্ত তাঁদেরই নেওয়া হয়।’
ভারতের বেশির ভাগ শীর্ষ সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন ও ব্যবস্থাপনা কলেজে একযোগে এই জেইই পরীক্ষা হয়। ২৩টি আইআইটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষা দেয়। নীরাজ সেই কয়েকজনের মধ্যে একজন। নীরাজের মতো ভারতের শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজনেস স্কুল থেকে পাস করা শত শত গ্র্যাজুয়েট সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজেপির রাজনৈতিক প্রচারণায় যোগ দিয়েছেন।
আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নেওয়া ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই এবং টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সাবেক সিইও পরাগ আগরওয়াল, অথবা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে এমবিএ করা পেপসিকোর সাবেক সিইও ইন্দ্রা নুইয়ি। কিন্তু গত কয়েক বছরে টেক জায়ান্টগুলোতে নিয়োগ কমে যাওয়া এবং ছাঁটাইয়ের কারণে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।
এসব গ্র্যাজুয়েটের মেধা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ভারতের বিপুলসংখ্যক ভোটারের তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের দক্ষতা এই গ্র্যাজুয়েটদের রাজনৈতিক পরামর্শক করে তুলেছে। এই চাকরির বাজারের আকার প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের সমান। বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী, জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলো তাঁদের দক্ষতা কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে স্নাতকদের আকৃষ্ট করার জন্য বেশির ভাগ দল রাজনৈতিক পরামর্শদাতার ফেলোশিপ অফার করছে। চাকরিগুলো চুক্তিভিত্তিক এবং স্বল্পমেয়াদি (সাধারণত তিন মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত) হলেও বেতন বেশ ভালো। বিশেষ সুবিধাসহ এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়।
দিল্লির রাজনৈতিক পরামর্শক সংস্থা ‘পলিটিক অ্যাডভাইজার’–এর পরিচালক ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার অঙ্কিত লাল বলেন, ‘এখানে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার আকর্ষণও রয়েছে।’
ত্রিপুরায় নীরাজ ও তাঁর সহকর্মীরা ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করেছিলেন। এতে দেখা যায়, বিজেপি উত্তরে ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে অমরপুর নির্বাচনী এলাকার ছাবিমুড়াসহ কয়েকটি আদিবাসী অঞ্চলের ভোটারেরা অন্য দলের সমর্থক। তাঁদের ভোট বিজেপির বাক্সে আনতে তিনি সেখানকার প্রভাবশালী জামাতিয়া পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের দাবি–দাওয়া শোনেন।
পরিবারগুলো জানায়, তাঁদের বাড়ির নিরাপত্তা প্রাচীর নেই। এরপর রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন নীরাজ। নেতাদের সম্মতি নিয়ে ৮০টি জামাতিয়া পরিবারের জন্য কাদা দিয়ে ৪ ফুট উঁচু প্রাচীর নির্মাণ করে দেন। সঙ্গে কিছু ছাগলও দেন তাঁদের। সেসব ছাগলের গায়ে নরেন্দ্র মোদির ছবি আঁকা ছিল। এভাবেই ওই এলাকার ভোটগুলো বিজেপির বাক্সে জড়ো করেন তিনি। নির্বাচনে ওই আসনে বিজেপির প্রার্থী স্বল্প ভোটে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থীকে হারান।
বিজেপির ত্রিপুরা শাখার মুখপাত্রের কাছে এ বিষয়ে আল–জাজিরা জানতে চাইলে তিনি অবশ্য কোনো মন্তব্য করেননি।
ভারতে ভোটারদের উৎকোচ দেওয়া আইনত অপরাধ হলেও বিজেপির এমন কর্মকাণ্ডের কোনো তদন্ত নেই। এবারের জাতীয় নির্বাচন শুরুর কয়েক মাস আগে থেকে এসব মেধাবী গ্র্যাজুয়েট ভোটারদের সম্পর্কে নানা তথ্য জোগাড় ও বিশ্লেষণ শুরু করেন। তাঁরা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের জানাতে থাকেন কোন কোন এলাকায় কী কী ‘উপহার’ পাঠাতে হবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজেপির কী গুনগান করতে হবে, অন্য দল সম্পর্কে কী গুজব ছড়াতে হবে এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলোতে ভোটারদের কী বার্তা গেলাতে হবে।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডে নৈতিকতা প্রশ্ন উঠলেও কৌশলে তা এড়িয়ে যান এই মেধাবীরা। তাঁরা নিজেদের মনে করেন, ভারতের গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ রাজনৈতিক সমস্যার ফয়সালাকারী। আল–জাজিরার সঙ্গে আলাপকালে তাঁদের কয়েকজন বলেছেন, রাজনীতিতে এসব হয়তো ঠিক নয়, কিন্তু এই কাজগুলো তাঁরা কোনো কোনো পক্ষপাতিত্ব করেন না। শুধু সমস্যার সমাধান করে দেন। এটি নিছক পেশাদারি।
এদিকে বসে নেই ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও। তেলেঙ্গানায় আইআইটিয়ানদের দিয়ে দলটি ‘ইনক্লুসিভ মাইন্ড’ নামে ১২ সদস্যর একটি নির্বাচনী পরামর্শক দল গঠন করেছে। তাঁরাও একইভাবে ভোটারদের নানা তথ্য সংগ্রহ করছেন এবং বিচার বিশ্লেষণ শেষে কংগ্রেস নেতাদের কাছে চাহিদা পাঠাচ্ছেন। ভারতজুড়ে কংগ্রেসেরও শত শত এমন কর্মী ‘ইনক্লুসিভ মাইন্ডকে’ ভোটারদের নানা তথ্য ও চাহিদা পাঠাচ্ছে।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শক সংস্থাও ইনক্লুসিভ মাইন্ডের মতো ভারতজুড়ে একইভাবে কাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াচ্ছে একে অপরের বিরুদ্ধে নানা প্রচার–প্রচারণা। জাকারবার্গের মেটা কোম্পানিও এসব পরামর্শক সংস্থাকে ভোটারদের নানা তথ্য দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
ইনক্লুসিভ মাইন্ড বিভিন্ন সংবাদ যাচাই ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় ব্যক্তিদের প্রভাব বিশ্লেষণ করে। সংস্থাটির ২০–৩০ শতাংশ কর্মী আইআইটিয়ান, ৫ শতাংশ আইআইএম থেকে পাস করা। তাঁরা সবাই ‘তথ্যই রাজা’ মন্ত্রে বিশ্বাসী।
ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট অল্টনিউজের সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রতীক সিনহা একটি রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থাকে ‘অত্যন্ত অস্বচ্ছ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, সংস্থাটির কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই। রাজনৈতিক দলগুলো এমন সংস্থার মাধ্যমে মিথ্যাচার, ভুল তথ্য এবং অনলাইনে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া খবর ও ঘৃণামূলক পোস্ট বাড়ছে। সারোগেট (ব্যক্তিগত পেজে অন্যের প্রচারণা), ফেসবুক বিজ্ঞাপনে প্রক্সি পেজ, মিথ্যা তথ্য, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য পোস্ট করতে লাখ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে এবং এই সবই করছেন রাজনৈতিক পরামর্শকেরা।

ভারতের জাতীয় নির্বাচনে কে বা কারা বিজেপিকে ভোট দেবে না তাদের তালিকা তৈরি করতে বেকারদের নিয়োগ দিচ্ছে দলটি। এদের কাজ হলো—বিজেপিকে ভোট দিতে অনিচ্ছুক নাগরিকদের বয়স, লিঙ্গ, জাত, ধর্ম তালিকাবদ্ধ করা এবং বিজেপির স্বার্থে এসব তথ্য কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেই কৌশল বের করা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিজেপির এমন একটি প্রকল্পে পরামর্শকের চাকরি পাওয়া যুবক নীরাজ (ছদ্মনাম) বলেন, ‘আমাদের সবাইকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম (জেইই) দিয়ে ঢুকতে হয়। যারা সমস্যা সমাধান করতে সিদ্ধহস্ত তাঁদেরই নেওয়া হয়।’
ভারতের বেশির ভাগ শীর্ষ সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন ও ব্যবস্থাপনা কলেজে একযোগে এই জেইই পরীক্ষা হয়। ২৩টি আইআইটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষা দেয়। নীরাজ সেই কয়েকজনের মধ্যে একজন। নীরাজের মতো ভারতের শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজনেস স্কুল থেকে পাস করা শত শত গ্র্যাজুয়েট সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজেপির রাজনৈতিক প্রচারণায় যোগ দিয়েছেন।
আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নেওয়া ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই এবং টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সাবেক সিইও পরাগ আগরওয়াল, অথবা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে এমবিএ করা পেপসিকোর সাবেক সিইও ইন্দ্রা নুইয়ি। কিন্তু গত কয়েক বছরে টেক জায়ান্টগুলোতে নিয়োগ কমে যাওয়া এবং ছাঁটাইয়ের কারণে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।
এসব গ্র্যাজুয়েটের মেধা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ভারতের বিপুলসংখ্যক ভোটারের তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের দক্ষতা এই গ্র্যাজুয়েটদের রাজনৈতিক পরামর্শক করে তুলেছে। এই চাকরির বাজারের আকার প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের সমান। বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী, জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলো তাঁদের দক্ষতা কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে স্নাতকদের আকৃষ্ট করার জন্য বেশির ভাগ দল রাজনৈতিক পরামর্শদাতার ফেলোশিপ অফার করছে। চাকরিগুলো চুক্তিভিত্তিক এবং স্বল্পমেয়াদি (সাধারণত তিন মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত) হলেও বেতন বেশ ভালো। বিশেষ সুবিধাসহ এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়।
দিল্লির রাজনৈতিক পরামর্শক সংস্থা ‘পলিটিক অ্যাডভাইজার’–এর পরিচালক ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার অঙ্কিত লাল বলেন, ‘এখানে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার আকর্ষণও রয়েছে।’
ত্রিপুরায় নীরাজ ও তাঁর সহকর্মীরা ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করেছিলেন। এতে দেখা যায়, বিজেপি উত্তরে ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে অমরপুর নির্বাচনী এলাকার ছাবিমুড়াসহ কয়েকটি আদিবাসী অঞ্চলের ভোটারেরা অন্য দলের সমর্থক। তাঁদের ভোট বিজেপির বাক্সে আনতে তিনি সেখানকার প্রভাবশালী জামাতিয়া পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের দাবি–দাওয়া শোনেন।
পরিবারগুলো জানায়, তাঁদের বাড়ির নিরাপত্তা প্রাচীর নেই। এরপর রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন নীরাজ। নেতাদের সম্মতি নিয়ে ৮০টি জামাতিয়া পরিবারের জন্য কাদা দিয়ে ৪ ফুট উঁচু প্রাচীর নির্মাণ করে দেন। সঙ্গে কিছু ছাগলও দেন তাঁদের। সেসব ছাগলের গায়ে নরেন্দ্র মোদির ছবি আঁকা ছিল। এভাবেই ওই এলাকার ভোটগুলো বিজেপির বাক্সে জড়ো করেন তিনি। নির্বাচনে ওই আসনে বিজেপির প্রার্থী স্বল্প ভোটে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থীকে হারান।
বিজেপির ত্রিপুরা শাখার মুখপাত্রের কাছে এ বিষয়ে আল–জাজিরা জানতে চাইলে তিনি অবশ্য কোনো মন্তব্য করেননি।
ভারতে ভোটারদের উৎকোচ দেওয়া আইনত অপরাধ হলেও বিজেপির এমন কর্মকাণ্ডের কোনো তদন্ত নেই। এবারের জাতীয় নির্বাচন শুরুর কয়েক মাস আগে থেকে এসব মেধাবী গ্র্যাজুয়েট ভোটারদের সম্পর্কে নানা তথ্য জোগাড় ও বিশ্লেষণ শুরু করেন। তাঁরা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের জানাতে থাকেন কোন কোন এলাকায় কী কী ‘উপহার’ পাঠাতে হবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজেপির কী গুনগান করতে হবে, অন্য দল সম্পর্কে কী গুজব ছড়াতে হবে এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলোতে ভোটারদের কী বার্তা গেলাতে হবে।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডে নৈতিকতা প্রশ্ন উঠলেও কৌশলে তা এড়িয়ে যান এই মেধাবীরা। তাঁরা নিজেদের মনে করেন, ভারতের গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ রাজনৈতিক সমস্যার ফয়সালাকারী। আল–জাজিরার সঙ্গে আলাপকালে তাঁদের কয়েকজন বলেছেন, রাজনীতিতে এসব হয়তো ঠিক নয়, কিন্তু এই কাজগুলো তাঁরা কোনো কোনো পক্ষপাতিত্ব করেন না। শুধু সমস্যার সমাধান করে দেন। এটি নিছক পেশাদারি।
এদিকে বসে নেই ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও। তেলেঙ্গানায় আইআইটিয়ানদের দিয়ে দলটি ‘ইনক্লুসিভ মাইন্ড’ নামে ১২ সদস্যর একটি নির্বাচনী পরামর্শক দল গঠন করেছে। তাঁরাও একইভাবে ভোটারদের নানা তথ্য সংগ্রহ করছেন এবং বিচার বিশ্লেষণ শেষে কংগ্রেস নেতাদের কাছে চাহিদা পাঠাচ্ছেন। ভারতজুড়ে কংগ্রেসেরও শত শত এমন কর্মী ‘ইনক্লুসিভ মাইন্ডকে’ ভোটারদের নানা তথ্য ও চাহিদা পাঠাচ্ছে।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শক সংস্থাও ইনক্লুসিভ মাইন্ডের মতো ভারতজুড়ে একইভাবে কাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াচ্ছে একে অপরের বিরুদ্ধে নানা প্রচার–প্রচারণা। জাকারবার্গের মেটা কোম্পানিও এসব পরামর্শক সংস্থাকে ভোটারদের নানা তথ্য দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
ইনক্লুসিভ মাইন্ড বিভিন্ন সংবাদ যাচাই ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় ব্যক্তিদের প্রভাব বিশ্লেষণ করে। সংস্থাটির ২০–৩০ শতাংশ কর্মী আইআইটিয়ান, ৫ শতাংশ আইআইএম থেকে পাস করা। তাঁরা সবাই ‘তথ্যই রাজা’ মন্ত্রে বিশ্বাসী।
ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট অল্টনিউজের সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রতীক সিনহা একটি রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থাকে ‘অত্যন্ত অস্বচ্ছ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, সংস্থাটির কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই। রাজনৈতিক দলগুলো এমন সংস্থার মাধ্যমে মিথ্যাচার, ভুল তথ্য এবং অনলাইনে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া খবর ও ঘৃণামূলক পোস্ট বাড়ছে। সারোগেট (ব্যক্তিগত পেজে অন্যের প্রচারণা), ফেসবুক বিজ্ঞাপনে প্রক্সি পেজ, মিথ্যা তথ্য, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য পোস্ট করতে লাখ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে এবং এই সবই করছেন রাজনৈতিক পরামর্শকেরা।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

ভারতের জাতীয় নির্বাচনে কে বা কারা বিজেপিকে ভোট দেবে না তাদের তালিকা তৈরি করতে বেকারদের নিয়োগ দিচ্ছে দলটি। এদের কাজ হলো—বিজেপিকে ভোট দিতে অনিচ্ছুক নাগরিকদের বয়স, লিঙ্গ, জাত, ধর্ম তালিকাবদ্ধ করা এবং বিজেপির স্বার্থে এসব তথ্য কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেই কৌশল বের করা।
২৯ এপ্রিল ২০২৪রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ভারতের জাতীয় নির্বাচনে কে বা কারা বিজেপিকে ভোট দেবে না তাদের তালিকা তৈরি করতে বেকারদের নিয়োগ দিচ্ছে দলটি। এদের কাজ হলো—বিজেপিকে ভোট দিতে অনিচ্ছুক নাগরিকদের বয়স, লিঙ্গ, জাত, ধর্ম তালিকাবদ্ধ করা এবং বিজেপির স্বার্থে এসব তথ্য কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেই কৌশল বের করা।
২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৩ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

ভারতের জাতীয় নির্বাচনে কে বা কারা বিজেপিকে ভোট দেবে না তাদের তালিকা তৈরি করতে বেকারদের নিয়োগ দিচ্ছে দলটি। এদের কাজ হলো—বিজেপিকে ভোট দিতে অনিচ্ছুক নাগরিকদের বয়স, লিঙ্গ, জাত, ধর্ম তালিকাবদ্ধ করা এবং বিজেপির স্বার্থে এসব তথ্য কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেই কৌশল বের করা।
২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

ভারতের জাতীয় নির্বাচনে কে বা কারা বিজেপিকে ভোট দেবে না তাদের তালিকা তৈরি করতে বেকারদের নিয়োগ দিচ্ছে দলটি। এদের কাজ হলো—বিজেপিকে ভোট দিতে অনিচ্ছুক নাগরিকদের বয়স, লিঙ্গ, জাত, ধর্ম তালিকাবদ্ধ করা এবং বিজেপির স্বার্থে এসব তথ্য কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেই কৌশল বের করা।
২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে