আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
দেশের সর্বশেষ ক্যানসার রেজিস্ট্রির একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষাটিতে দেখা গেছে, নতুন ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী, অথচ ক্যানসারে মৃতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি।
বিশ্বের গড় পরিস্থিতি থেকে ভারত এখানে ব্যতিক্রমী। ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ডের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে প্রায় ১৯৭ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে পুরুষের হার ছিল বেশি। যেখানে প্রতি এক লাখ পুরুষের মধ্যে ২১২ জন ক্যানসার আক্রান্ত, সেখানে ১ লাখ নারীর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮৬।
ওই বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ২ কোটি মানুষের ক্যানসার ধরা পড়ে। যার মধ্যে পুরুষ প্রায় এক কোটি তিন লাখ এবং নারী প্রায় ৯৭ লাখ। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি নারী ও পুরুষদের মধ্যে প্রায় সমান।
ভারতে নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্তন, জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ স্তন এবং জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত।
জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রধান কারণ হিসেবে মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর মতো সংক্রমণকে দায়ী করা হলেও স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার সাধারণত হরমোন-সম্পর্কিত কারণে বাড়ে। হরমোনজনিত এই ক্যানসার বাড়ার পেছনে জীবনযাত্রার পরিবর্তনও জড়িত। যার মধ্যে রয়েছে—বেশি বয়সে গর্ভধারণ, কম স্তন্যপান করানো, স্থূলতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।
অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে মুখগহ্বর, ফুসফুস ও প্রোস্টেট ক্যানসারই বেশি দেখা যায়। পুরুষদের প্রতিরোধযোগ্য ক্যানসারের ৪০ শতাংশ হয় তামাক সেবনের কারণে, যার মধ্যে মুখগহ্বর ও ফুসফুস ক্যানসার সবচেয়ে বেশি।
এ কারণে প্রশ্ন উঠছে ভারতে এমনটা কেন ঘটছে? এর কারণ কি নারীদের ক্যানসার আগে ধরা পড়া? না কি পুরুষদের যে ধরনের ক্যানসার হয় সেগুলো প্রকৃতিগতভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে? নাকি ধূমপান ও তামাক চিবানোর মতো অভ্যাস তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে? নাকি পুরুষ ও নারীর মধ্যে চিকিৎসা-সুবিধা, সচেতনতা ও সেবাপ্রাপ্তির পার্থক্যেও কি উত্তর লুকিয়ে আছে?
বলা হচ্ছে, সচেতনতামূলক প্রচার এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে নারীদের সাধারণত যে ক্যানসারগুলো দেখা যায়, সেগুলো প্রায়শই আগে শনাক্ত করা যায়।
ক্যানসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদানের সংস্পর্শে আসা থেকে শুরু করে রোগ শনাক্ত হওয়া পর্যন্ত সময়ের ব্যবধান বেশি হওয়ায়, এই ধরনের ক্যানসার চিকিৎসায় ভালো করা সম্ভব হয়।
এ কারণে, নারীদের মধ্যে ক্যানসারে মৃত্যুহারও তুলনামূলক কম।
অন্যদিকে পুরুষদের অবস্থা তুলনামূলক খারাপ। তাদের ক্যানসারগুলো সাধারণত জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। পুরুষদের তামাক সেবন ও মদ্যপানের কারণে ফুসফুস ও মুখের ক্যানসার হয়। এ ধরনের ক্যানসার অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং চিকিৎসায় ভালো হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
আর পুরুষেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বা দ্রুত চিকিৎসা নিতে চিকিৎসকের কাছে যেতে তেমন আগ্রহী হয় না। যার ফলে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা নারীদের তুলনায় কম হলেও পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুহার এবং জটিলতা বেশি।
এ প্রসঙ্গে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এবং নন-প্রফিট সংস্থা সেন্টার ফর হেলথ ইনোভেশন অ্যান্ড পলিসি (সিএইচআইপি) ফাউন্ডেশনের প্রধান রবি মেহরোত্রা বলেন, ‘নারীস্বাস্থ্য এখন জনস্বাস্থ্য প্রচারণার বড় একটি অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে, যা একদিকে সুফল বয়ে আনলেও অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে ঘাটতি তৈরি করছে। বেশি সচেতনতা ও নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের কারণে নারীদের ক্যানসার আগেভাগেই শনাক্ত হয়। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে আলোচনা সচরাচর তামাক ও মুখগহ্বর ক্যানসারের বাইরে যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা প্রজনন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কোনো না কোনো সময়ে চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু অনেক পুরুষই আছেন, যারা হয়তো জীবনে কখনো চিকিৎসকের কাছে যাননি।’
সংখ্যাগুলো খতিয়ে দেখলে ক্যানসারের আসল চিত্র স্পষ্ট হয়। ভারতে এ রোগের মাত্রা অঞ্চলভেদে অসমভাবে ছড়িয়ে রয়েছে, তেমনি ভিন্ন ভিন্ন ক্যানসারেও পার্থক্য স্পষ্ট।
দেশজুড়ে ৪৩টি রেজিস্ট্রির তথ্য বলছে, ভারতে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১১ জনের জীবদ্দশায় কোনো না কোনো সময়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই দেশে আনুমানিক ১৫ লাখ ৬০ হাজার নতুন ক্যানসার শনাক্ত এবং ৮ লাখ ৭৪ হাজার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
দুর্গম ও পাহাড়ি উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের ক্যানসারের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত। মিজোরামের আইজল জেলায় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি জাতীয় গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, এর বেশিরভাগই জীবনযাত্রার কারণে ঘটে।
আসামের কাছাড় ক্যানসার হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান আর. রবি কান্নান বলেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বেশিরভাগ ক্যানসারের মূল কারণ জীবনযাত্রার ধরন। এ এলাকার মানুষ প্রচুর তামাক সেবন করে। যা দেশের অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি।’
ড. কান্নান আরও বলেন, ‘আসামের বরাক ভ্যালিতে মূলত পান-গুটখা চিবানো প্রচলিত, আর এর ২৫ কিলোমিটার দূরের মিজোরামে সিগারেট বা ধূমপান বেশি। আর মদ্যপান, সুপারি খাওয়া তো আছেই। আবার অঞ্চলভেদে মাংস রান্নার ধরনও শরীরে প্রভাব ফেলে। খাদ্যাভ্যাস ও রান্নার ধরনই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এখানে কোনো বিশেষ ক্যানসার-সৃষ্টিকারী জিন নেই। বংশগত ক্যানসারের হারও ভারতের অন্য অংশগুলোর চেয়ে এখানে বেশি নয়।’
তবে ক্যানসারের এই প্রবণতা শুধু উত্তর-পূর্বেই সীমাবদ্ধ নয়। ভারত শাসিত কাশ্মীরের শ্রীনগর পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, আর দক্ষিণের হায়দরাবাদ স্তন ক্যানসারে এগিয়ে আছে। বয়সজনিত পার্থক্য বিবেচনা করার পরেও, রাজধানী দিল্লির পুরুষদের মধ্যে সব ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার অন্যান্য অঞ্চলের পুরুষদের তুলনায় বেশি।
মুখের ক্যানসারের ক্ষেত্রে দেশের ১৪টি জনসংখ্যাভিত্তিক রেজিস্ট্রি পুরুষদের মধ্যে এবং চারটি নারীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের এই ঝুঁকির চিত্র আসলে বৃহত্তর এক বাস্তবতারই প্রতিফলন। ক্যানসার একইসঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে সর্বজনীন আবার সবচেয়ে বৈষম্যমূলক রোগ। ভারতের রাজ্যভেদে যে বৈষম্য দেখা যায়, তা বৈশ্বিক বিভাজনের প্রতিচ্ছবি। যে বৈষম্য ভৌগোলিক অবস্থান, আয় এবং চিকিৎসার সুযোগের কারণে সৃষ্ট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, ধনী দেশগুলোতে প্রতি ১২ জন নারীর মধ্যে একজন জীবদ্দশায় স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৭১ জনে একজন এ রোগে মারা যান।
অন্যদিকে দরিদ্র দেশগুলোতে চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। প্রতি ২৭ জন নারীর মধ্যে একজন ক্যানসার শনাক্ত করার সুযোগ পান, কিন্তু মৃত্যুহার দাঁড়ায় প্রতি ৪৮ জনে একজনের।
আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি)-এর ক্যানসার সার্ভেইলেন্স শাখার ডেপুটি প্রধান ইসাবেল সোরজোমাতারাম বলেন, ‘ম্ন মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই) সম্পন্ন দেশগুলোতে নারীদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উচ্চ এইচডিআই দেশগুলোর নারীদের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম। কিন্তু দেরিতে রোগ নির্ণয় এবং মানসম্মত চিকিৎসার অপ্রতুলতার কারণে এই রোগে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।
এর বাইরেও রয়েছে নানা বৈষম্য। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে নেটিভ আমেরিকানদের ক্যানসারে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। কিডনি, লিভার পাকস্থলী এবং জরায়ু ক্যানসারে তাদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি। একইভাবে প্রোস্টেট, পাকস্থলি এবং জরায়ু ক্যানসারে কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দ্বিগুণ।
ভারতে ক্যানসারের বোঝা কেবল বাড়ছেই না, বরং এটি আরও জটিল হয়ে উঠছে। রেজিস্ট্রি থেকে পাওয়া তথ্য এক পরিবর্তনশীল সমাজের প্রতিফলন দেখাচ্ছে যেখানে দীর্ঘায়ু, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশ স্বাস্থ্যের ঝুঁকিগুলোকে নতুনভাবে রূপ দিচ্ছে।
তবুও এই পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে অনেক প্রশ্নই অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে, যা সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ ব্যবস্থা, দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার মতো অভ্যাস পরিবর্তনের জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
দেশের সর্বশেষ ক্যানসার রেজিস্ট্রির একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষাটিতে দেখা গেছে, নতুন ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী, অথচ ক্যানসারে মৃতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি।
বিশ্বের গড় পরিস্থিতি থেকে ভারত এখানে ব্যতিক্রমী। ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ডের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে প্রায় ১৯৭ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে পুরুষের হার ছিল বেশি। যেখানে প্রতি এক লাখ পুরুষের মধ্যে ২১২ জন ক্যানসার আক্রান্ত, সেখানে ১ লাখ নারীর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮৬।
ওই বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ২ কোটি মানুষের ক্যানসার ধরা পড়ে। যার মধ্যে পুরুষ প্রায় এক কোটি তিন লাখ এবং নারী প্রায় ৯৭ লাখ। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি নারী ও পুরুষদের মধ্যে প্রায় সমান।
ভারতে নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্তন, জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ স্তন এবং জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত।
জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রধান কারণ হিসেবে মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর মতো সংক্রমণকে দায়ী করা হলেও স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার সাধারণত হরমোন-সম্পর্কিত কারণে বাড়ে। হরমোনজনিত এই ক্যানসার বাড়ার পেছনে জীবনযাত্রার পরিবর্তনও জড়িত। যার মধ্যে রয়েছে—বেশি বয়সে গর্ভধারণ, কম স্তন্যপান করানো, স্থূলতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।
অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে মুখগহ্বর, ফুসফুস ও প্রোস্টেট ক্যানসারই বেশি দেখা যায়। পুরুষদের প্রতিরোধযোগ্য ক্যানসারের ৪০ শতাংশ হয় তামাক সেবনের কারণে, যার মধ্যে মুখগহ্বর ও ফুসফুস ক্যানসার সবচেয়ে বেশি।
এ কারণে প্রশ্ন উঠছে ভারতে এমনটা কেন ঘটছে? এর কারণ কি নারীদের ক্যানসার আগে ধরা পড়া? না কি পুরুষদের যে ধরনের ক্যানসার হয় সেগুলো প্রকৃতিগতভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে? নাকি ধূমপান ও তামাক চিবানোর মতো অভ্যাস তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে? নাকি পুরুষ ও নারীর মধ্যে চিকিৎসা-সুবিধা, সচেতনতা ও সেবাপ্রাপ্তির পার্থক্যেও কি উত্তর লুকিয়ে আছে?
বলা হচ্ছে, সচেতনতামূলক প্রচার এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে নারীদের সাধারণত যে ক্যানসারগুলো দেখা যায়, সেগুলো প্রায়শই আগে শনাক্ত করা যায়।
ক্যানসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদানের সংস্পর্শে আসা থেকে শুরু করে রোগ শনাক্ত হওয়া পর্যন্ত সময়ের ব্যবধান বেশি হওয়ায়, এই ধরনের ক্যানসার চিকিৎসায় ভালো করা সম্ভব হয়।
এ কারণে, নারীদের মধ্যে ক্যানসারে মৃত্যুহারও তুলনামূলক কম।
অন্যদিকে পুরুষদের অবস্থা তুলনামূলক খারাপ। তাদের ক্যানসারগুলো সাধারণত জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। পুরুষদের তামাক সেবন ও মদ্যপানের কারণে ফুসফুস ও মুখের ক্যানসার হয়। এ ধরনের ক্যানসার অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং চিকিৎসায় ভালো হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
আর পুরুষেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বা দ্রুত চিকিৎসা নিতে চিকিৎসকের কাছে যেতে তেমন আগ্রহী হয় না। যার ফলে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা নারীদের তুলনায় কম হলেও পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুহার এবং জটিলতা বেশি।
এ প্রসঙ্গে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এবং নন-প্রফিট সংস্থা সেন্টার ফর হেলথ ইনোভেশন অ্যান্ড পলিসি (সিএইচআইপি) ফাউন্ডেশনের প্রধান রবি মেহরোত্রা বলেন, ‘নারীস্বাস্থ্য এখন জনস্বাস্থ্য প্রচারণার বড় একটি অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে, যা একদিকে সুফল বয়ে আনলেও অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে ঘাটতি তৈরি করছে। বেশি সচেতনতা ও নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের কারণে নারীদের ক্যানসার আগেভাগেই শনাক্ত হয়। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে আলোচনা সচরাচর তামাক ও মুখগহ্বর ক্যানসারের বাইরে যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা প্রজনন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কোনো না কোনো সময়ে চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু অনেক পুরুষই আছেন, যারা হয়তো জীবনে কখনো চিকিৎসকের কাছে যাননি।’
সংখ্যাগুলো খতিয়ে দেখলে ক্যানসারের আসল চিত্র স্পষ্ট হয়। ভারতে এ রোগের মাত্রা অঞ্চলভেদে অসমভাবে ছড়িয়ে রয়েছে, তেমনি ভিন্ন ভিন্ন ক্যানসারেও পার্থক্য স্পষ্ট।
দেশজুড়ে ৪৩টি রেজিস্ট্রির তথ্য বলছে, ভারতে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১১ জনের জীবদ্দশায় কোনো না কোনো সময়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই দেশে আনুমানিক ১৫ লাখ ৬০ হাজার নতুন ক্যানসার শনাক্ত এবং ৮ লাখ ৭৪ হাজার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
দুর্গম ও পাহাড়ি উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের ক্যানসারের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত। মিজোরামের আইজল জেলায় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি জাতীয় গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, এর বেশিরভাগই জীবনযাত্রার কারণে ঘটে।
আসামের কাছাড় ক্যানসার হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান আর. রবি কান্নান বলেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বেশিরভাগ ক্যানসারের মূল কারণ জীবনযাত্রার ধরন। এ এলাকার মানুষ প্রচুর তামাক সেবন করে। যা দেশের অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি।’
ড. কান্নান আরও বলেন, ‘আসামের বরাক ভ্যালিতে মূলত পান-গুটখা চিবানো প্রচলিত, আর এর ২৫ কিলোমিটার দূরের মিজোরামে সিগারেট বা ধূমপান বেশি। আর মদ্যপান, সুপারি খাওয়া তো আছেই। আবার অঞ্চলভেদে মাংস রান্নার ধরনও শরীরে প্রভাব ফেলে। খাদ্যাভ্যাস ও রান্নার ধরনই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এখানে কোনো বিশেষ ক্যানসার-সৃষ্টিকারী জিন নেই। বংশগত ক্যানসারের হারও ভারতের অন্য অংশগুলোর চেয়ে এখানে বেশি নয়।’
তবে ক্যানসারের এই প্রবণতা শুধু উত্তর-পূর্বেই সীমাবদ্ধ নয়। ভারত শাসিত কাশ্মীরের শ্রীনগর পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, আর দক্ষিণের হায়দরাবাদ স্তন ক্যানসারে এগিয়ে আছে। বয়সজনিত পার্থক্য বিবেচনা করার পরেও, রাজধানী দিল্লির পুরুষদের মধ্যে সব ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার অন্যান্য অঞ্চলের পুরুষদের তুলনায় বেশি।
মুখের ক্যানসারের ক্ষেত্রে দেশের ১৪টি জনসংখ্যাভিত্তিক রেজিস্ট্রি পুরুষদের মধ্যে এবং চারটি নারীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের এই ঝুঁকির চিত্র আসলে বৃহত্তর এক বাস্তবতারই প্রতিফলন। ক্যানসার একইসঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে সর্বজনীন আবার সবচেয়ে বৈষম্যমূলক রোগ। ভারতের রাজ্যভেদে যে বৈষম্য দেখা যায়, তা বৈশ্বিক বিভাজনের প্রতিচ্ছবি। যে বৈষম্য ভৌগোলিক অবস্থান, আয় এবং চিকিৎসার সুযোগের কারণে সৃষ্ট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, ধনী দেশগুলোতে প্রতি ১২ জন নারীর মধ্যে একজন জীবদ্দশায় স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৭১ জনে একজন এ রোগে মারা যান।
অন্যদিকে দরিদ্র দেশগুলোতে চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। প্রতি ২৭ জন নারীর মধ্যে একজন ক্যানসার শনাক্ত করার সুযোগ পান, কিন্তু মৃত্যুহার দাঁড়ায় প্রতি ৪৮ জনে একজনের।
আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি)-এর ক্যানসার সার্ভেইলেন্স শাখার ডেপুটি প্রধান ইসাবেল সোরজোমাতারাম বলেন, ‘ম্ন মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই) সম্পন্ন দেশগুলোতে নারীদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উচ্চ এইচডিআই দেশগুলোর নারীদের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম। কিন্তু দেরিতে রোগ নির্ণয় এবং মানসম্মত চিকিৎসার অপ্রতুলতার কারণে এই রোগে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।
এর বাইরেও রয়েছে নানা বৈষম্য। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে নেটিভ আমেরিকানদের ক্যানসারে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। কিডনি, লিভার পাকস্থলী এবং জরায়ু ক্যানসারে তাদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি। একইভাবে প্রোস্টেট, পাকস্থলি এবং জরায়ু ক্যানসারে কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দ্বিগুণ।
ভারতে ক্যানসারের বোঝা কেবল বাড়ছেই না, বরং এটি আরও জটিল হয়ে উঠছে। রেজিস্ট্রি থেকে পাওয়া তথ্য এক পরিবর্তনশীল সমাজের প্রতিফলন দেখাচ্ছে যেখানে দীর্ঘায়ু, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশ স্বাস্থ্যের ঝুঁকিগুলোকে নতুনভাবে রূপ দিচ্ছে।
তবুও এই পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে অনেক প্রশ্নই অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে, যা সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ ব্যবস্থা, দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার মতো অভ্যাস পরিবর্তনের জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
১১ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
৩৪ মিনিট আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসাবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত-দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনী প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে, একটি মাত্র অফিসের অধীনে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিনবাহিনী সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফ-এর হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭ তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএ-এর ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১) এখন জানাচ্ছে যে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন […], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফ-এরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭ তম সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসি-এর মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনঃ নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।
ফলস্বরূপ, ২৭ তম সংশোধনীর অধীনে এই পুনর্গঠনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, পিএএ-এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সিওএএসসহ-সিডিএফ-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ বা তাঁর মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে তিনি ২০৩৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তও পদে থাকতে পারেন।
এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ২৭ নভেম্বর জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা অবসর নেওয়ার পর সিজেসিএসসি পদটি বিলুপ্ত হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির-এর আসল তিন বছরের সেনাপ্রধানের মেয়াদ (গত বছরের সংশোধনীর আগে) ২৯ নভেম্বরে শেষ হয়, কিন্তু সেদিনও কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় আরও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, সরকার হয়তো আসন্ন চার-তারকা পদের নিয়োগ নিয়ে দর-কষাকষির জন্য এই নিয়োগ আটকে রেখেছিল।
রাজনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নতুন কমান্ডার (সিএনএসসি), ভাইস চিফ অব দ্য আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইএসআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরদাম করতেই এই দেরি। সেনাবাহিনী আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, কোনো ভিসিওএএস নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিএনএসসি এবং যেকোনো ভিসিওএএস-এর নিয়োগ সিডিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বারবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো উত্তেজনার কথা অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সূচি সময়রেখা নির্ধারণ করেছে। তবুও, ২৭ তম সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল, তার পরে এমন নীরবতাকে অনেকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেছেন। এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সিডিএফ-এর কার্যাবলি নির্ধারণের ক্ষমতাও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু-ডোমেন ইন্টিগ্রেশন, পুনর্গঠন এবং সার্ভিসগুলোর মধ্যে যৌথতা বাড়ানো।
এদিকে, আইনসচিব আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিডিএফ-এর জন্য একটি নতুন অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করছে এবং এর খসড়া একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিডিএফ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্যের ধারণা তিনি নাকচ করে দেন, জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে থাকার কারণেই এই বিলম্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্গানোগ্রামেই সিডিএফ, সার্ভিস চিফ ও নতুন প্রতিষ্ঠিত কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কমান্ডের প্রবাহ কেমন হবে, তা উল্লেখ করা থাকবে।
সিডিএফ-এর নিয়োগ অনুমোদনের পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জারদারি বিমানবাহিনীর নেতৃত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর জন্য ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।’
এই মেয়াদ বৃদ্ধিটি আগামী বছরের মার্চে তাঁর বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্যকর হবে, যা তাঁকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদে বহাল রাখবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসাবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত-দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনী প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে, একটি মাত্র অফিসের অধীনে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিনবাহিনী সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফ-এর হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭ তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএ-এর ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১) এখন জানাচ্ছে যে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন […], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফ-এরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭ তম সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসি-এর মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনঃ নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।
ফলস্বরূপ, ২৭ তম সংশোধনীর অধীনে এই পুনর্গঠনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, পিএএ-এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সিওএএসসহ-সিডিএফ-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ বা তাঁর মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে তিনি ২০৩৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তও পদে থাকতে পারেন।
এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ২৭ নভেম্বর জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা অবসর নেওয়ার পর সিজেসিএসসি পদটি বিলুপ্ত হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির-এর আসল তিন বছরের সেনাপ্রধানের মেয়াদ (গত বছরের সংশোধনীর আগে) ২৯ নভেম্বরে শেষ হয়, কিন্তু সেদিনও কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় আরও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, সরকার হয়তো আসন্ন চার-তারকা পদের নিয়োগ নিয়ে দর-কষাকষির জন্য এই নিয়োগ আটকে রেখেছিল।
রাজনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নতুন কমান্ডার (সিএনএসসি), ভাইস চিফ অব দ্য আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইএসআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরদাম করতেই এই দেরি। সেনাবাহিনী আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, কোনো ভিসিওএএস নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিএনএসসি এবং যেকোনো ভিসিওএএস-এর নিয়োগ সিডিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বারবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো উত্তেজনার কথা অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সূচি সময়রেখা নির্ধারণ করেছে। তবুও, ২৭ তম সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল, তার পরে এমন নীরবতাকে অনেকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেছেন। এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সিডিএফ-এর কার্যাবলি নির্ধারণের ক্ষমতাও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু-ডোমেন ইন্টিগ্রেশন, পুনর্গঠন এবং সার্ভিসগুলোর মধ্যে যৌথতা বাড়ানো।
এদিকে, আইনসচিব আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিডিএফ-এর জন্য একটি নতুন অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করছে এবং এর খসড়া একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিডিএফ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্যের ধারণা তিনি নাকচ করে দেন, জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে থাকার কারণেই এই বিলম্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্গানোগ্রামেই সিডিএফ, সার্ভিস চিফ ও নতুন প্রতিষ্ঠিত কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কমান্ডের প্রবাহ কেমন হবে, তা উল্লেখ করা থাকবে।
সিডিএফ-এর নিয়োগ অনুমোদনের পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জারদারি বিমানবাহিনীর নেতৃত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর জন্য ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।’
এই মেয়াদ বৃদ্ধিটি আগামী বছরের মার্চে তাঁর বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্যকর হবে, যা তাঁকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদে বহাল রাখবে।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
৩৪ মিনিট আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচার মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে যে, ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনও তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতের কেন একই সুযোগ থাকবে না? এই প্রশ্নটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা প্রয়োজন, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে সহ এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
ভারত বলেছে যে ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য এবং অযৌক্তিক এবং মস্কোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কিনা জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম নয় মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেল... রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।’
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সাথে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন যারা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের শুল্ক নীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘন্টা আগে, নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাল গালিচার উপর তারা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। শুক্রবার দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করবেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচার মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে যে, ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনও তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতের কেন একই সুযোগ থাকবে না? এই প্রশ্নটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা প্রয়োজন, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে সহ এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
ভারত বলেছে যে ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য এবং অযৌক্তিক এবং মস্কোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কিনা জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম নয় মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেল... রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।’
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সাথে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন যারা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের শুল্ক নীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘন্টা আগে, নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাল গালিচার উপর তারা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। শুক্রবার দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করবেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
১১ মিনিট আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ‘সহজ লক্ষ্য’ হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো তাদের সময়সূচি সমন্বয় করেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অংশ হিসেবে পূর্বপরিকল্পিত পরিষেবা বাতিল করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ—মুম্বাইয়ে কমপক্ষে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দরাবাদে ৭৫, কলকাতায় ৩৫, চেন্নাইয়ে ২৬ এবং গোয়ায় ১১টি। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তারা সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (এফডিটিএল) নিয়মের অধীনে ক্রুদের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। এই পরিকল্পনার ত্রুটির ফলেই শীতকালীন আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ভিড়ের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এফডিটিএল নিয়মের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে রূপান্তরকালীন অসুবিধার কারণেই এই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ইন্ডিগো ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাইলটের প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
বিমান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এফডিটএলের নতুন নিয়মের ফলে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে রাতের বেলা অপারেশনের ক্ষেত্রে, যেখানে স্লট কম এবং ডিউটি সময়ের বিধিনিষেধ কঠোর। এই নতুন নিয়মগুলো পাইলটদের নিরাপত্তা ও ক্লান্তি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে—
১. রাত ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
২. রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ‘সহজ লক্ষ্য’ হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো তাদের সময়সূচি সমন্বয় করেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অংশ হিসেবে পূর্বপরিকল্পিত পরিষেবা বাতিল করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ—মুম্বাইয়ে কমপক্ষে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দরাবাদে ৭৫, কলকাতায় ৩৫, চেন্নাইয়ে ২৬ এবং গোয়ায় ১১টি। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তারা সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (এফডিটিএল) নিয়মের অধীনে ক্রুদের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। এই পরিকল্পনার ত্রুটির ফলেই শীতকালীন আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ভিড়ের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এফডিটিএল নিয়মের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে রূপান্তরকালীন অসুবিধার কারণেই এই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ইন্ডিগো ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাইলটের প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
বিমান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এফডিটএলের নতুন নিয়মের ফলে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে রাতের বেলা অপারেশনের ক্ষেত্রে, যেখানে স্লট কম এবং ডিউটি সময়ের বিধিনিষেধ কঠোর। এই নতুন নিয়মগুলো পাইলটদের নিরাপত্তা ও ক্লান্তি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে—
১. রাত ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
২. রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
১১ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
৩৪ মিনিট আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর বা সহযোগী হিসাবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুঈন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও, এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসাবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে, যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে, আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে, তাঁর মৃত্য ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসাবে কাজ করে যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএল-এর সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিশরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সর্বদা একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন এমনকি, ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে অবস্থিত পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে, তার সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন যে, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন যারা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তার গোষ্ঠী তাদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এরপর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলি আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসাবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি—এমনকি যারা হামাসের বিরোধী—আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তার ভাগ্য ক্রমশ নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল।

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর বা সহযোগী হিসাবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুঈন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও, এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসাবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে, যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে, আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে, তাঁর মৃত্য ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসাবে কাজ করে যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএল-এর সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিশরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সর্বদা একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন এমনকি, ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে অবস্থিত পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে, তার সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন যে, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন যারা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তার গোষ্ঠী তাদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এরপর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলি আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসাবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি—এমনকি যারা হামাসের বিরোধী—আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তার ভাগ্য ক্রমশ নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
১১ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
৩৪ মিনিট আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে