তরুণ চক্রবর্তী

পেগাসাস কাণ্ড নিমিত্ত মাত্র। ভারতীয় রাজনীতিতে বিরুদ্ধ মতের প্রতি অসহিষ্ণুতার বিষাক্ত ভাইরাস বহুদিন ধরেই চলছে। রাজনৈতিক মতবাদগত দৈন্য পরিবেশকে করে তুলছে আরও অসহনীয়। বহুদিন ধরে লাঞ্ছিত হচ্ছে ভারতীয়দের মৌলিক অধিকার। কথায় কথায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা নিয়ে তাই বিচারপতিদেরও মুখ খুলতে বাধ্য হতে হয়েছে। সংখ্যার জোরে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা আগেও ছিল, কিন্তু এখনকার মতো বেলাগাম আগে কখনো হয়নি। ভারতের জাতীয় সংসদে সংখ্যার থেকেও অনেক সময় পাণ্ডিত্য সম্ভ্রম আদায়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে। যেমন বামপন্থীদের সংখ্যা তেমন না থাকলেও জ্যোতির্ময় বসু, ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত, সোমনাথ চ্যাটার্জিরা জাতীয় সংসদে অন্যদের কাছ থেকে সম্ভ্রম আদায়ে চিরকালই মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন।
ইসরায়েলের বেসরকারি সংস্থা এনএসও গ্রুপের তৈরি সফটওয়্যার কাজে লাগিয়ে ভারত সরকার বহু মানুষের গোপন কথায় আড়িপাতার চেষ্টা করেছে। সরকার যাকেই মনে করেছে সন্দেহজনক, তারই ফোনে বিদেশি সংস্থার সফটওয়্যার ব্যবহার করে আড়ি পাতা হয়। এমনকি, ভারতের বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ফোনেও নাকি আড়িপাতা হয়। পেগাসাস কাণ্ডের শিকারদের মধ্যে রয়েছেন অবশ্যই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা, তৃণমূল নেতা অভিষেক ব্যানার্জি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, ভারতের সাবেক মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, বিভিন্ন তদন্তকারী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানেরা। এ অভিযোগ শুধু ভারতের নয়, দুনিয়ার ১৬টি গণমাধ্যমের তদন্তে উঠে এসেছে।
এই নিয়ে সরকার পক্ষ আন্তর্জাতিক চক্রান্তের দোহাই দিয়ে ফের রাষ্ট্রপ্রেমের গান গাইতে শুরু করেছে। বিরোধীরা অবশ্য গণতন্ত্র-গণতন্ত্র-গণতন্ত্র করে আর্তনাদ করছেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনলে মনে হতেই পারে, দু-পক্ষের বক্তব্যই বোধ হয় ঠিক। ঠিক বা ভুল—যাই হোক না কেন, ভারতীয় রাজনীতি ও মিডিয়া এখন উত্তাল পেগাসাস নিয়ে। অনেকটাই ধামাচাপা পড়ে গেছে, করোনা মোকাবিলা, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে ফরাসি তদন্ত, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি কংগ্রেসের ভাঙন, বিরোধীদের অনৈক্য থেকে শুরু করে অনেকগুলো জ্বলন্ত সমস্যা। মানুষকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্ট্যান্ট স্বামীর ৮৪ বছর বয়সে বন্দিদশায় মৃত্যু, উত্তর প্রদেশে লাশ খুবলে খাওয়া কুকুরের ছবি থেকে শুরু করে কলকাতায় ভুয়া আমলা-ভুয়া টিকা-ভুয়া পুলিশের জয়জয়কার।
বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা আগেও ছিল। অবশ্যই ছিল। কিন্তু কংগ্রেসের উদার রাজনৈতিক দর্শন জরুরি অবস্থার দিনগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে কখনোই বিরোধীদের ওপর সামগ্রিক নজরদারিকে এমন বেআব্রু করেনি। কোথাও একটা বিরুদ্ধ মতবাদের প্রতিও সম্ভ্রম ছিল ভারতীয় রাজনীতির অঙ্গ। হিন্দুত্ববাদী সরকার প্রতিষ্ঠার পর অটলবিহারী বাজপেয়ির সরকারও সংসদীয় রাজনীতিতে সেই পরম্পরাকে অটল রেখেছিলেন। সৌজন্যবোধ ছিল ভারতীয় রাজনীতির অলংকার। কথায় কথায় বিরোধীদের জেলে ভরার রাজনীতি জরুরি অবস্থার পর তেমন একটা দেখা যায়নি। কিন্তু ২০১৪ সালে বিজেপি বিশাল জনমত নিয়ে সরকার গড়ার পর থেকেই বিরোধী মতবাদ উপেক্ষিত হতে থাকে। রাষ্ট্রীয় যন্ত্র যথেচ্ছ ব্যবহার হতে থাকে নরেন্দ্র মোদির আমলে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মোদির মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অমিত শাহের যোগদান অসহিষ্ণুতার রাজনীতিকে আরও বেশি করে প্রণোদনা দিতে থাকে। স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে ওঠে শাসক দলের শাখা সংগঠন। টলে যায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো। নীতিহীন দলবদল হয়ে ওঠে ভারতীয় রাজনীতিতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
মোদির আমলে বাবরি মসজিদের জায়গায় তৈরি হচ্ছে রামমন্দির। কাশ্মীরকে আরএসএসের কর্মসূচির মতোই পরিচালনা করা হচ্ছে। নাগরিকত্বের মতো বিষয়েও হিন্দুত্ব তাস খেলতে শুরু করেছে বিজেপি। বিভাজনের রাজনীতি চলছে সর্বত্র। কিন্তু সেই বিভাজনের রাজনীতি বিজেপিকে সাফল্য এনে দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। কংগ্রেস দুর্বল হলেও ভারতীয়দের রক্তে মিশে রয়েছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা। তাই বিজেপিকে জিততে হলে কংগ্রেসিদেরই দরকার হচ্ছে সর্বত্র। বিজেপি নেতাদের কাছে ক্ষমতা দখলের বীজমন্ত্রই হচ্ছে দলবদল।
কংগ্রেস বা অন্য দল ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখলে মত্ত বিজেপি। উদাহরণ হিসেবে আসন্ন উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের কথা বলা যায়। সেখানে কংগ্রেস নেতা জীতিন প্রসাদকে দলে টেনে এনেছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল তারা। আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীরা একসময় কংগ্রেসেরই নেতা ছিলেন। নীতি-আদর্শের থেকেও ভারতীয় রাজনীতিতে এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে পাওয়ার বা ক্ষমতা। তাই বিজেপির পালে হাওয়া লাগতেই এতকাল সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগ তুলে গলা ফাটালেও এখন সেই দলেই নাম লেখাচ্ছেন অনেকে। রাজনৈতিক দর্শন বদলে যাচ্ছে ৩৬০ ডিগ্রি। আসলে রাজনীতিতে বোধ হয় আর কোনো দর্শন নেই, ক্ষমতাই শেষ কথা। তাই বামেরাও এখন রামে যেতে প্রস্তুত!
শুধু যে স্বেচ্ছায় দলবদল হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় বিভিন্ন গোয়েন্দা ও তদন্তকারী সংস্থাও নাকি বড় ভূমিকা নিচ্ছেন এ দলবদলে। যেমন পশ্চিমবঙ্গ। টিভি ক্যামেরার সামনে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়ার অভিযোগে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হলেও ছাড় পেয়ে যান বিজেপি আশ্রিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কারণ তদন্তকারী সংস্থাটি ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। উল্টোটাও হচ্ছে। অনৈতিক কাজকর্মই হয়ে উঠছে রাজধর্ম। পেগাসাস উদাহরণ মাত্র। ফোনে আড়িপাতা আগেও হতো, এখনো হয়। প্রযুক্তি বদলেছে। প্রযুক্তির হাত ধরে বদলেছে নৈতিক অধঃপতনও। তাই অনৈতিক কাজকর্ম নিয়ে শাসক বা বিরোধী কেউই খুব একটা চিন্তিত নন।
এর মধ্যেও আশা আছে। আশা—ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার মতো গণমাধ্যমও এখন স্বমহিমায় ফিরতে শুরু করেছে। ভারতীয় খবরের কাগজগুলোতে পেগাসাস বা রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে দুর্নীতির সমালোচনা শুরু হয়েছে। ২০২৪ দেরি আছে। সামনেই উত্তর প্রদেশ নির্বাচন। কিন্তু এখন থেকেই ভারতীয় গণমাধ্যমে মোদি-বন্দনার ধার কমতে থাকায় অনেকেই আশার আলো দেখছেন। মোহভঙ্গ হতে শুরু করেছে। অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সবাই একটু একটু করে জাগছে। এটাই হয়তো বাঁচাতে পারে ভারতের সংসদীয় শিষ্টাচার এবং অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে।

পেগাসাস কাণ্ড নিমিত্ত মাত্র। ভারতীয় রাজনীতিতে বিরুদ্ধ মতের প্রতি অসহিষ্ণুতার বিষাক্ত ভাইরাস বহুদিন ধরেই চলছে। রাজনৈতিক মতবাদগত দৈন্য পরিবেশকে করে তুলছে আরও অসহনীয়। বহুদিন ধরে লাঞ্ছিত হচ্ছে ভারতীয়দের মৌলিক অধিকার। কথায় কথায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা নিয়ে তাই বিচারপতিদেরও মুখ খুলতে বাধ্য হতে হয়েছে। সংখ্যার জোরে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা আগেও ছিল, কিন্তু এখনকার মতো বেলাগাম আগে কখনো হয়নি। ভারতের জাতীয় সংসদে সংখ্যার থেকেও অনেক সময় পাণ্ডিত্য সম্ভ্রম আদায়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে। যেমন বামপন্থীদের সংখ্যা তেমন না থাকলেও জ্যোতির্ময় বসু, ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত, সোমনাথ চ্যাটার্জিরা জাতীয় সংসদে অন্যদের কাছ থেকে সম্ভ্রম আদায়ে চিরকালই মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন।
ইসরায়েলের বেসরকারি সংস্থা এনএসও গ্রুপের তৈরি সফটওয়্যার কাজে লাগিয়ে ভারত সরকার বহু মানুষের গোপন কথায় আড়িপাতার চেষ্টা করেছে। সরকার যাকেই মনে করেছে সন্দেহজনক, তারই ফোনে বিদেশি সংস্থার সফটওয়্যার ব্যবহার করে আড়ি পাতা হয়। এমনকি, ভারতের বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ফোনেও নাকি আড়িপাতা হয়। পেগাসাস কাণ্ডের শিকারদের মধ্যে রয়েছেন অবশ্যই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা, তৃণমূল নেতা অভিষেক ব্যানার্জি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, ভারতের সাবেক মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, বিভিন্ন তদন্তকারী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানেরা। এ অভিযোগ শুধু ভারতের নয়, দুনিয়ার ১৬টি গণমাধ্যমের তদন্তে উঠে এসেছে।
এই নিয়ে সরকার পক্ষ আন্তর্জাতিক চক্রান্তের দোহাই দিয়ে ফের রাষ্ট্রপ্রেমের গান গাইতে শুরু করেছে। বিরোধীরা অবশ্য গণতন্ত্র-গণতন্ত্র-গণতন্ত্র করে আর্তনাদ করছেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনলে মনে হতেই পারে, দু-পক্ষের বক্তব্যই বোধ হয় ঠিক। ঠিক বা ভুল—যাই হোক না কেন, ভারতীয় রাজনীতি ও মিডিয়া এখন উত্তাল পেগাসাস নিয়ে। অনেকটাই ধামাচাপা পড়ে গেছে, করোনা মোকাবিলা, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে ফরাসি তদন্ত, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি কংগ্রেসের ভাঙন, বিরোধীদের অনৈক্য থেকে শুরু করে অনেকগুলো জ্বলন্ত সমস্যা। মানুষকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্ট্যান্ট স্বামীর ৮৪ বছর বয়সে বন্দিদশায় মৃত্যু, উত্তর প্রদেশে লাশ খুবলে খাওয়া কুকুরের ছবি থেকে শুরু করে কলকাতায় ভুয়া আমলা-ভুয়া টিকা-ভুয়া পুলিশের জয়জয়কার।
বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা আগেও ছিল। অবশ্যই ছিল। কিন্তু কংগ্রেসের উদার রাজনৈতিক দর্শন জরুরি অবস্থার দিনগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে কখনোই বিরোধীদের ওপর সামগ্রিক নজরদারিকে এমন বেআব্রু করেনি। কোথাও একটা বিরুদ্ধ মতবাদের প্রতিও সম্ভ্রম ছিল ভারতীয় রাজনীতির অঙ্গ। হিন্দুত্ববাদী সরকার প্রতিষ্ঠার পর অটলবিহারী বাজপেয়ির সরকারও সংসদীয় রাজনীতিতে সেই পরম্পরাকে অটল রেখেছিলেন। সৌজন্যবোধ ছিল ভারতীয় রাজনীতির অলংকার। কথায় কথায় বিরোধীদের জেলে ভরার রাজনীতি জরুরি অবস্থার পর তেমন একটা দেখা যায়নি। কিন্তু ২০১৪ সালে বিজেপি বিশাল জনমত নিয়ে সরকার গড়ার পর থেকেই বিরোধী মতবাদ উপেক্ষিত হতে থাকে। রাষ্ট্রীয় যন্ত্র যথেচ্ছ ব্যবহার হতে থাকে নরেন্দ্র মোদির আমলে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মোদির মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অমিত শাহের যোগদান অসহিষ্ণুতার রাজনীতিকে আরও বেশি করে প্রণোদনা দিতে থাকে। স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে ওঠে শাসক দলের শাখা সংগঠন। টলে যায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো। নীতিহীন দলবদল হয়ে ওঠে ভারতীয় রাজনীতিতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
মোদির আমলে বাবরি মসজিদের জায়গায় তৈরি হচ্ছে রামমন্দির। কাশ্মীরকে আরএসএসের কর্মসূচির মতোই পরিচালনা করা হচ্ছে। নাগরিকত্বের মতো বিষয়েও হিন্দুত্ব তাস খেলতে শুরু করেছে বিজেপি। বিভাজনের রাজনীতি চলছে সর্বত্র। কিন্তু সেই বিভাজনের রাজনীতি বিজেপিকে সাফল্য এনে দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। কংগ্রেস দুর্বল হলেও ভারতীয়দের রক্তে মিশে রয়েছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা। তাই বিজেপিকে জিততে হলে কংগ্রেসিদেরই দরকার হচ্ছে সর্বত্র। বিজেপি নেতাদের কাছে ক্ষমতা দখলের বীজমন্ত্রই হচ্ছে দলবদল।
কংগ্রেস বা অন্য দল ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখলে মত্ত বিজেপি। উদাহরণ হিসেবে আসন্ন উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের কথা বলা যায়। সেখানে কংগ্রেস নেতা জীতিন প্রসাদকে দলে টেনে এনেছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল তারা। আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীরা একসময় কংগ্রেসেরই নেতা ছিলেন। নীতি-আদর্শের থেকেও ভারতীয় রাজনীতিতে এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে পাওয়ার বা ক্ষমতা। তাই বিজেপির পালে হাওয়া লাগতেই এতকাল সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগ তুলে গলা ফাটালেও এখন সেই দলেই নাম লেখাচ্ছেন অনেকে। রাজনৈতিক দর্শন বদলে যাচ্ছে ৩৬০ ডিগ্রি। আসলে রাজনীতিতে বোধ হয় আর কোনো দর্শন নেই, ক্ষমতাই শেষ কথা। তাই বামেরাও এখন রামে যেতে প্রস্তুত!
শুধু যে স্বেচ্ছায় দলবদল হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় বিভিন্ন গোয়েন্দা ও তদন্তকারী সংস্থাও নাকি বড় ভূমিকা নিচ্ছেন এ দলবদলে। যেমন পশ্চিমবঙ্গ। টিভি ক্যামেরার সামনে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়ার অভিযোগে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হলেও ছাড় পেয়ে যান বিজেপি আশ্রিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কারণ তদন্তকারী সংস্থাটি ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। উল্টোটাও হচ্ছে। অনৈতিক কাজকর্মই হয়ে উঠছে রাজধর্ম। পেগাসাস উদাহরণ মাত্র। ফোনে আড়িপাতা আগেও হতো, এখনো হয়। প্রযুক্তি বদলেছে। প্রযুক্তির হাত ধরে বদলেছে নৈতিক অধঃপতনও। তাই অনৈতিক কাজকর্ম নিয়ে শাসক বা বিরোধী কেউই খুব একটা চিন্তিত নন।
এর মধ্যেও আশা আছে। আশা—ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার মতো গণমাধ্যমও এখন স্বমহিমায় ফিরতে শুরু করেছে। ভারতীয় খবরের কাগজগুলোতে পেগাসাস বা রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে দুর্নীতির সমালোচনা শুরু হয়েছে। ২০২৪ দেরি আছে। সামনেই উত্তর প্রদেশ নির্বাচন। কিন্তু এখন থেকেই ভারতীয় গণমাধ্যমে মোদি-বন্দনার ধার কমতে থাকায় অনেকেই আশার আলো দেখছেন। মোহভঙ্গ হতে শুরু করেছে। অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সবাই একটু একটু করে জাগছে। এটাই হয়তো বাঁচাতে পারে ভারতের সংসদীয় শিষ্টাচার এবং অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

পেগাসাস কাণ্ড নিমিত্ত মাত্র। ভারতীয় রাজনীতিতে বিরুদ্ধ মতের প্রতি অসহিষ্ণুতার বিষাক্ত ভাইরাস বহুদিন ধরেই চলছে। রাজনৈতিক মতবাদগত দৈন্য পরিবেশকে করে তুলছে আরও অসহনীয়। বহুদিন ধরে লাঞ্ছিত হচ্ছে ভারতীয়দের মৌলিক অধিকার।
২০ জুলাই ২০২১রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

পেগাসাস কাণ্ড নিমিত্ত মাত্র। ভারতীয় রাজনীতিতে বিরুদ্ধ মতের প্রতি অসহিষ্ণুতার বিষাক্ত ভাইরাস বহুদিন ধরেই চলছে। রাজনৈতিক মতবাদগত দৈন্য পরিবেশকে করে তুলছে আরও অসহনীয়। বহুদিন ধরে লাঞ্ছিত হচ্ছে ভারতীয়দের মৌলিক অধিকার।
২০ জুলাই ২০২১
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

পেগাসাস কাণ্ড নিমিত্ত মাত্র। ভারতীয় রাজনীতিতে বিরুদ্ধ মতের প্রতি অসহিষ্ণুতার বিষাক্ত ভাইরাস বহুদিন ধরেই চলছে। রাজনৈতিক মতবাদগত দৈন্য পরিবেশকে করে তুলছে আরও অসহনীয়। বহুদিন ধরে লাঞ্ছিত হচ্ছে ভারতীয়দের মৌলিক অধিকার।
২০ জুলাই ২০২১
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পেগাসাস কাণ্ড নিমিত্ত মাত্র। ভারতীয় রাজনীতিতে বিরুদ্ধ মতের প্রতি অসহিষ্ণুতার বিষাক্ত ভাইরাস বহুদিন ধরেই চলছে। রাজনৈতিক মতবাদগত দৈন্য পরিবেশকে করে তুলছে আরও অসহনীয়। বহুদিন ধরে লাঞ্ছিত হচ্ছে ভারতীয়দের মৌলিক অধিকার।
২০ জুলাই ২০২১
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে