কলকাতা সংবাদদাতা

ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কঠোর বার্তা পাঠিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ ওই বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ২৬ জনের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করা হয়নি। সেই সঙ্গে, বিবৃতিতে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী শক্ত অবস্থানেরও প্রতিফলন ছিল না।
বিবৃতিতে পেহেলগাম প্রসঙ্গ বাদ পড়লেও বেলুচিস্তানের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। পাকিস্তানের এই অঞ্চলে অস্থিরতার জন্য পরোক্ষভাবে ভারতকে দায়ী করা হয়। ভারতীয় কূটনীতিক মহলের ধারণা, পাকিস্তানের চাপে তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইচ্ছাকৃতভাবেই পেহেলগামের কথা বাদ রাখা হয়েছে।
ভারত বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলে আসছে, বেলুচিস্তানে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই। বরং ইসলামাবাদ নিজ দেশের ভেতর তাকিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া বন্ধ করুক। একইভাবে পাকিস্তানও ভারতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিজেদের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, ‘যৌথ বিবৃতির ভাষা নিয়ে ভারত সন্তুষ্ট নয়। সেখানে পেহেলগামের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার কোনো উল্লেখ নেই। অথচ পাকিস্তানে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ভারত ওই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনি এবং শেষ পর্যন্ত কোনো যৌথ বিবৃতিও প্রকাশিত হয়নি।’
চীনের ছিংদাও শহরে অনুষ্ঠিত এসসিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের এই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন রাজনাথ সিং। এই সম্মেলনে রাশিয়া, পাকিস্তান ও চীনসহ সদস্য দেশগুলো আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা করছে। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এসসিও মূলত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই কাজ করে। বর্তমানে এই সংস্থার ১০টি সদস্য রাষ্ট্র—বেলারুশ, চীন, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।
সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে রাজনাথ সিং বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সকল এসসিও সদস্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ শান্তি, নিরাপত্তা ও পারস্পরিক আস্থার অভাবই এখন এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই সমস্যার মূল কারণই হলো মৌলবাদ, উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এবং অস্ত্রের বিস্তার যদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও অরাজনৈতিক শক্তির হাতে যায়, তাহলে কখনই শান্তি ও সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ জরুরি। যারা সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, মদদ দেয়, ব্যবহার করে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কিছু দেশ আছে যারা সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদকে তাদের নীতির অংশ হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়। এমন দ্বিমুখী নীতির কোনো জায়গা থাকা উচিত নয়। এসসিও-এর উচিত এ ধরনের দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেওয়া।’
পেহেলগাম হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে যাতে এমন হামলা আর না হয়, তা প্রতিরোধে ভারত প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, ‘পেহেলগামে হামলার সময় নির্দোষ মানুষদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বেছে বেছে হত্যা করা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা জাতিসংঘ-ঘোষিত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার একটি শাখা। পেহেলগামের হামলার ধরন লস্কর-ই-তৈয়্যবার পূর্বের হামলার সঙ্গে মিলে যায়। ভারতের সন্ত্রাসবাদের প্রতি শূন্য সহনশীলতার নীতির বাস্তব উদাহরণ আমরা দেখিয়েছি। ভারতের মাটিতে হামলার পরিকল্পনা করা সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরগুলো এখন আর নিরাপদ নয়। ভারত কাউকে ছাড় দেবে না।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করে, সংগঠিত করে, অর্থ জোগান দেয় এবং পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদই অন্যায় ও অপরাধ। এসসিও-র সদস্য দেশগুলোর উচিত একবাক্যে এর নিন্দা করা।
রাজনাথ সিংয়ের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর অবস্থানেরই প্রকাশ। সম্প্রতি চালানো ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর ভারত যে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিচ্ছে, সেটিরই অংশ এটি। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান বিশ্বের কাছে স্পষ্ট করতে আটটি প্রতিনিধি দল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কঠোর বার্তা পাঠিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ ওই বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ২৬ জনের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করা হয়নি। সেই সঙ্গে, বিবৃতিতে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী শক্ত অবস্থানেরও প্রতিফলন ছিল না।
বিবৃতিতে পেহেলগাম প্রসঙ্গ বাদ পড়লেও বেলুচিস্তানের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। পাকিস্তানের এই অঞ্চলে অস্থিরতার জন্য পরোক্ষভাবে ভারতকে দায়ী করা হয়। ভারতীয় কূটনীতিক মহলের ধারণা, পাকিস্তানের চাপে তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইচ্ছাকৃতভাবেই পেহেলগামের কথা বাদ রাখা হয়েছে।
ভারত বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলে আসছে, বেলুচিস্তানে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই। বরং ইসলামাবাদ নিজ দেশের ভেতর তাকিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া বন্ধ করুক। একইভাবে পাকিস্তানও ভারতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিজেদের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, ‘যৌথ বিবৃতির ভাষা নিয়ে ভারত সন্তুষ্ট নয়। সেখানে পেহেলগামের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার কোনো উল্লেখ নেই। অথচ পাকিস্তানে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ভারত ওই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনি এবং শেষ পর্যন্ত কোনো যৌথ বিবৃতিও প্রকাশিত হয়নি।’
চীনের ছিংদাও শহরে অনুষ্ঠিত এসসিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের এই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন রাজনাথ সিং। এই সম্মেলনে রাশিয়া, পাকিস্তান ও চীনসহ সদস্য দেশগুলো আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা করছে। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এসসিও মূলত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই কাজ করে। বর্তমানে এই সংস্থার ১০টি সদস্য রাষ্ট্র—বেলারুশ, চীন, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।
সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে রাজনাথ সিং বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সকল এসসিও সদস্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ শান্তি, নিরাপত্তা ও পারস্পরিক আস্থার অভাবই এখন এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই সমস্যার মূল কারণই হলো মৌলবাদ, উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এবং অস্ত্রের বিস্তার যদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও অরাজনৈতিক শক্তির হাতে যায়, তাহলে কখনই শান্তি ও সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ জরুরি। যারা সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, মদদ দেয়, ব্যবহার করে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কিছু দেশ আছে যারা সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদকে তাদের নীতির অংশ হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়। এমন দ্বিমুখী নীতির কোনো জায়গা থাকা উচিত নয়। এসসিও-এর উচিত এ ধরনের দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেওয়া।’
পেহেলগাম হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে যাতে এমন হামলা আর না হয়, তা প্রতিরোধে ভারত প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, ‘পেহেলগামে হামলার সময় নির্দোষ মানুষদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বেছে বেছে হত্যা করা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা জাতিসংঘ-ঘোষিত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার একটি শাখা। পেহেলগামের হামলার ধরন লস্কর-ই-তৈয়্যবার পূর্বের হামলার সঙ্গে মিলে যায়। ভারতের সন্ত্রাসবাদের প্রতি শূন্য সহনশীলতার নীতির বাস্তব উদাহরণ আমরা দেখিয়েছি। ভারতের মাটিতে হামলার পরিকল্পনা করা সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরগুলো এখন আর নিরাপদ নয়। ভারত কাউকে ছাড় দেবে না।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করে, সংগঠিত করে, অর্থ জোগান দেয় এবং পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদই অন্যায় ও অপরাধ। এসসিও-র সদস্য দেশগুলোর উচিত একবাক্যে এর নিন্দা করা।
রাজনাথ সিংয়ের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর অবস্থানেরই প্রকাশ। সম্প্রতি চালানো ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর ভারত যে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিচ্ছে, সেটিরই অংশ এটি। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান বিশ্বের কাছে স্পষ্ট করতে আটটি প্রতিনিধি দল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
কলকাতা সংবাদদাতা

ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কঠোর বার্তা পাঠিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ ওই বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ২৬ জনের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করা হয়নি। সেই সঙ্গে, বিবৃতিতে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী শক্ত অবস্থানেরও প্রতিফলন ছিল না।
বিবৃতিতে পেহেলগাম প্রসঙ্গ বাদ পড়লেও বেলুচিস্তানের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। পাকিস্তানের এই অঞ্চলে অস্থিরতার জন্য পরোক্ষভাবে ভারতকে দায়ী করা হয়। ভারতীয় কূটনীতিক মহলের ধারণা, পাকিস্তানের চাপে তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইচ্ছাকৃতভাবেই পেহেলগামের কথা বাদ রাখা হয়েছে।
ভারত বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলে আসছে, বেলুচিস্তানে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই। বরং ইসলামাবাদ নিজ দেশের ভেতর তাকিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া বন্ধ করুক। একইভাবে পাকিস্তানও ভারতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিজেদের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, ‘যৌথ বিবৃতির ভাষা নিয়ে ভারত সন্তুষ্ট নয়। সেখানে পেহেলগামের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার কোনো উল্লেখ নেই। অথচ পাকিস্তানে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ভারত ওই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনি এবং শেষ পর্যন্ত কোনো যৌথ বিবৃতিও প্রকাশিত হয়নি।’
চীনের ছিংদাও শহরে অনুষ্ঠিত এসসিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের এই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন রাজনাথ সিং। এই সম্মেলনে রাশিয়া, পাকিস্তান ও চীনসহ সদস্য দেশগুলো আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা করছে। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এসসিও মূলত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই কাজ করে। বর্তমানে এই সংস্থার ১০টি সদস্য রাষ্ট্র—বেলারুশ, চীন, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।
সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে রাজনাথ সিং বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সকল এসসিও সদস্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ শান্তি, নিরাপত্তা ও পারস্পরিক আস্থার অভাবই এখন এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই সমস্যার মূল কারণই হলো মৌলবাদ, উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এবং অস্ত্রের বিস্তার যদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও অরাজনৈতিক শক্তির হাতে যায়, তাহলে কখনই শান্তি ও সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ জরুরি। যারা সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, মদদ দেয়, ব্যবহার করে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কিছু দেশ আছে যারা সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদকে তাদের নীতির অংশ হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়। এমন দ্বিমুখী নীতির কোনো জায়গা থাকা উচিত নয়। এসসিও-এর উচিত এ ধরনের দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেওয়া।’
পেহেলগাম হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে যাতে এমন হামলা আর না হয়, তা প্রতিরোধে ভারত প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, ‘পেহেলগামে হামলার সময় নির্দোষ মানুষদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বেছে বেছে হত্যা করা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা জাতিসংঘ-ঘোষিত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার একটি শাখা। পেহেলগামের হামলার ধরন লস্কর-ই-তৈয়্যবার পূর্বের হামলার সঙ্গে মিলে যায়। ভারতের সন্ত্রাসবাদের প্রতি শূন্য সহনশীলতার নীতির বাস্তব উদাহরণ আমরা দেখিয়েছি। ভারতের মাটিতে হামলার পরিকল্পনা করা সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরগুলো এখন আর নিরাপদ নয়। ভারত কাউকে ছাড় দেবে না।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করে, সংগঠিত করে, অর্থ জোগান দেয় এবং পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদই অন্যায় ও অপরাধ। এসসিও-র সদস্য দেশগুলোর উচিত একবাক্যে এর নিন্দা করা।
রাজনাথ সিংয়ের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর অবস্থানেরই প্রকাশ। সম্প্রতি চালানো ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর ভারত যে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিচ্ছে, সেটিরই অংশ এটি। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান বিশ্বের কাছে স্পষ্ট করতে আটটি প্রতিনিধি দল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কঠোর বার্তা পাঠিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ ওই বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ২৬ জনের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করা হয়নি। সেই সঙ্গে, বিবৃতিতে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী শক্ত অবস্থানেরও প্রতিফলন ছিল না।
বিবৃতিতে পেহেলগাম প্রসঙ্গ বাদ পড়লেও বেলুচিস্তানের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। পাকিস্তানের এই অঞ্চলে অস্থিরতার জন্য পরোক্ষভাবে ভারতকে দায়ী করা হয়। ভারতীয় কূটনীতিক মহলের ধারণা, পাকিস্তানের চাপে তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইচ্ছাকৃতভাবেই পেহেলগামের কথা বাদ রাখা হয়েছে।
ভারত বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলে আসছে, বেলুচিস্তানে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই। বরং ইসলামাবাদ নিজ দেশের ভেতর তাকিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া বন্ধ করুক। একইভাবে পাকিস্তানও ভারতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিজেদের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, ‘যৌথ বিবৃতির ভাষা নিয়ে ভারত সন্তুষ্ট নয়। সেখানে পেহেলগামের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার কোনো উল্লেখ নেই। অথচ পাকিস্তানে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ভারত ওই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনি এবং শেষ পর্যন্ত কোনো যৌথ বিবৃতিও প্রকাশিত হয়নি।’
চীনের ছিংদাও শহরে অনুষ্ঠিত এসসিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের এই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন রাজনাথ সিং। এই সম্মেলনে রাশিয়া, পাকিস্তান ও চীনসহ সদস্য দেশগুলো আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা করছে। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এসসিও মূলত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই কাজ করে। বর্তমানে এই সংস্থার ১০টি সদস্য রাষ্ট্র—বেলারুশ, চীন, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।
সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে রাজনাথ সিং বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সকল এসসিও সদস্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ শান্তি, নিরাপত্তা ও পারস্পরিক আস্থার অভাবই এখন এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই সমস্যার মূল কারণই হলো মৌলবাদ, উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এবং অস্ত্রের বিস্তার যদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও অরাজনৈতিক শক্তির হাতে যায়, তাহলে কখনই শান্তি ও সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ জরুরি। যারা সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, মদদ দেয়, ব্যবহার করে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কিছু দেশ আছে যারা সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদকে তাদের নীতির অংশ হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়। এমন দ্বিমুখী নীতির কোনো জায়গা থাকা উচিত নয়। এসসিও-এর উচিত এ ধরনের দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেওয়া।’
পেহেলগাম হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে যাতে এমন হামলা আর না হয়, তা প্রতিরোধে ভারত প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, ‘পেহেলগামে হামলার সময় নির্দোষ মানুষদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বেছে বেছে হত্যা করা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা জাতিসংঘ-ঘোষিত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার একটি শাখা। পেহেলগামের হামলার ধরন লস্কর-ই-তৈয়্যবার পূর্বের হামলার সঙ্গে মিলে যায়। ভারতের সন্ত্রাসবাদের প্রতি শূন্য সহনশীলতার নীতির বাস্তব উদাহরণ আমরা দেখিয়েছি। ভারতের মাটিতে হামলার পরিকল্পনা করা সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরগুলো এখন আর নিরাপদ নয়। ভারত কাউকে ছাড় দেবে না।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করে, সংগঠিত করে, অর্থ জোগান দেয় এবং পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদই অন্যায় ও অপরাধ। এসসিও-র সদস্য দেশগুলোর উচিত একবাক্যে এর নিন্দা করা।
রাজনাথ সিংয়ের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর অবস্থানেরই প্রকাশ। সম্প্রতি চালানো ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর ভারত যে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিচ্ছে, সেটিরই অংশ এটি। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান বিশ্বের কাছে স্পষ্ট করতে আটটি প্রতিনিধি দল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কঠোর বার্তা পাঠিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ ওই বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ২৬ জনের প্রাণহানির কথা
২৬ জুন ২০২৫
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কঠোর বার্তা পাঠিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ ওই বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ২৬ জনের প্রাণহানির কথা
২৬ জুন ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংঘাতকে কেবল সামরিক নয়; বরং একটি সর্বাত্মক অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরাক যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিল—তারা যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত, আমরাও পাল্টা জবাব দিতাম। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তারা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে; আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
তিনি জানান, একদিকে ইরানকে বিশ্ববাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৫ সালের জুন মাসের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান) হামলা চালিয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, জুনের সংঘাতের পর ইরান এখন সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় দিক থেকেই আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যদি তারা আবার হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়, তবে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।’
পেজেশকিয়ানের এই কড়া বার্তা এমন একসময়ে এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকার শেষে পেজেশকিয়ান দেশের মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ সংহতি থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে না।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংঘাতকে কেবল সামরিক নয়; বরং একটি সর্বাত্মক অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরাক যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিল—তারা যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত, আমরাও পাল্টা জবাব দিতাম। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তারা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে; আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
তিনি জানান, একদিকে ইরানকে বিশ্ববাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৫ সালের জুন মাসের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান) হামলা চালিয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, জুনের সংঘাতের পর ইরান এখন সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় দিক থেকেই আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যদি তারা আবার হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়, তবে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।’
পেজেশকিয়ানের এই কড়া বার্তা এমন একসময়ে এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকার শেষে পেজেশকিয়ান দেশের মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ সংহতি থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে না।

ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কঠোর বার্তা পাঠিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ ওই বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ২৬ জনের প্রাণহানির কথা
২৬ জুন ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে রাশিয়ায় বিলিয়নিয়ার বা ধনকুবেরদের সংখ্যা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তবে ভ্লাদিমির পুতিনের গত ২৫ বছরের শাসনামলে রাশিয়ার এই প্রভাবশালী বিত্তবান গোষ্ঠী, যারা অলিগার্ক নামে পরিচিত, তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রভাব প্রায় পুরোটাই হারিয়েছে তারা।
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
শাস্তির এই কড়াকড়ি ঠিক কীভাবে কাজ করে, তা সাবেক ব্যাংকিং বিলিয়নিয়ার ওলেগ তিনকভ খুব ভালো করেই জানেন।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘পাগলামি’ বলে সমালোচনা করার ঠিক পরদিনই ক্রেমলিন থেকে তাঁর ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনকভকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা না হয়, তাহলে তৎকালীন রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাংক তিনকভ ব্যাংককে জাতীয়করণ করা হবে।
নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনকভ বলেন, ‘আমি দাম নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাইনি। অনেকটা জিম্মি হয়ে থাকার মতো অবস্থা, যা অফার করা হবে, তা-ই নিতে হবে। দর-কষাকষির কোনো উপায় ছিল না।’
এর এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্লাদিমির পোতানিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি কিনে নেয়।
উল্লেখ্য, পোতানিন বর্তমানে রাশিয়ার পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। রুশ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনের জন্য নিকেল সরবরাহ করেন তিনি।
তিনকভের দাবি অনুযায়ী, ব্যাংকটিকে তার প্রকৃত মূল্যের মাত্র ৩ শতাংশ দামে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত তিনকভ তাঁর প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারান এবং রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য হন।
পুতিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার উদীয়মান পুঁজিবাদের সুযোগ নিয়ে এবং বড় বড় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা কুক্ষিগত করে একদল মানুষ অবিশ্বাস্য সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার সেই সময়ে এই সম্পদ তাঁদের হাতে বিপুল ক্ষমতা ও প্রভাব এনে দেয়, যার ফলে তাঁরা অলিগার্ক হিসেবে পরিচিতি পান।
রাশিয়ার সেই সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী অলিগার্ক বোরিস বেরেজোভস্কি দাবি করেছিলেন, ২০০০ সালে পুতিনকে ক্ষমতায় বসানোর নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন তিনি।
তবে এর কয়েক বছর পরেই তিনি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০১২ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি তাঁর (পুতিন) মধ্যে সেই লোভী স্বৈরশাসক ও জবরদখলকারীকে দেখতে পাইনি, যিনি কিনা স্বাধীনতাকে পদদলিত করবেন এবং রাশিয়ার উন্নয়ন থামিয়ে দেবেন।’
বেরেজোভস্কি হয়তো নিজের ভূমিকার কথা একটু বাড়িয়েই বলেছিলেন। তবে রাশিয়ার অলিগার্করা যে একসময় ক্ষমতার শীর্ষপর্যায়ে প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা রাখতেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এই ক্ষমাপ্রার্থনার ঠিক এক বছর পরেই যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় রহস্যজনকভাবে বেরেজোভস্কির মরদেহ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার অলিগার্ক বা ধনকুবেরদের রাজনৈতিক দাপটেরও চূড়ান্ত অবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে রাশিয়ায় বিলিয়নিয়ার বা ধনকুবেরদের সংখ্যা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তবে ভ্লাদিমির পুতিনের গত ২৫ বছরের শাসনামলে রাশিয়ার এই প্রভাবশালী বিত্তবান গোষ্ঠী, যারা অলিগার্ক নামে পরিচিত, তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রভাব প্রায় পুরোটাই হারিয়েছে তারা।
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
শাস্তির এই কড়াকড়ি ঠিক কীভাবে কাজ করে, তা সাবেক ব্যাংকিং বিলিয়নিয়ার ওলেগ তিনকভ খুব ভালো করেই জানেন।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘পাগলামি’ বলে সমালোচনা করার ঠিক পরদিনই ক্রেমলিন থেকে তাঁর ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনকভকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা না হয়, তাহলে তৎকালীন রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাংক তিনকভ ব্যাংককে জাতীয়করণ করা হবে।
নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনকভ বলেন, ‘আমি দাম নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাইনি। অনেকটা জিম্মি হয়ে থাকার মতো অবস্থা, যা অফার করা হবে, তা-ই নিতে হবে। দর-কষাকষির কোনো উপায় ছিল না।’
এর এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্লাদিমির পোতানিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি কিনে নেয়।
উল্লেখ্য, পোতানিন বর্তমানে রাশিয়ার পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। রুশ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনের জন্য নিকেল সরবরাহ করেন তিনি।
তিনকভের দাবি অনুযায়ী, ব্যাংকটিকে তার প্রকৃত মূল্যের মাত্র ৩ শতাংশ দামে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত তিনকভ তাঁর প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারান এবং রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য হন।
পুতিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার উদীয়মান পুঁজিবাদের সুযোগ নিয়ে এবং বড় বড় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা কুক্ষিগত করে একদল মানুষ অবিশ্বাস্য সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার সেই সময়ে এই সম্পদ তাঁদের হাতে বিপুল ক্ষমতা ও প্রভাব এনে দেয়, যার ফলে তাঁরা অলিগার্ক হিসেবে পরিচিতি পান।
রাশিয়ার সেই সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী অলিগার্ক বোরিস বেরেজোভস্কি দাবি করেছিলেন, ২০০০ সালে পুতিনকে ক্ষমতায় বসানোর নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন তিনি।
তবে এর কয়েক বছর পরেই তিনি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০১২ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি তাঁর (পুতিন) মধ্যে সেই লোভী স্বৈরশাসক ও জবরদখলকারীকে দেখতে পাইনি, যিনি কিনা স্বাধীনতাকে পদদলিত করবেন এবং রাশিয়ার উন্নয়ন থামিয়ে দেবেন।’
বেরেজোভস্কি হয়তো নিজের ভূমিকার কথা একটু বাড়িয়েই বলেছিলেন। তবে রাশিয়ার অলিগার্করা যে একসময় ক্ষমতার শীর্ষপর্যায়ে প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা রাখতেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এই ক্ষমাপ্রার্থনার ঠিক এক বছর পরেই যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় রহস্যজনকভাবে বেরেজোভস্কির মরদেহ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার অলিগার্ক বা ধনকুবেরদের রাজনৈতিক দাপটেরও চূড়ান্ত অবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কঠোর বার্তা পাঠিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ ওই বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ২৬ জনের প্রাণহানির কথা
২৬ জুন ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৪ ঘণ্টা আগে