
মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলার মতো উদ্যোক্তা নন, ভারতের সবচেয়ে বেশি দরকার শ্রীধারা সোমনাথের মতো মানুষদের। নাদেলা সামান্য কেউ নন, হায়দরাবাদে জন্ম নেওয়া এই ব্যক্তি নিঃসন্দেহে মেধাবী। কিন্তু নাদেলা নন, ভারতের চন্দ্র জয়ের মতো ঐতিহাসিক অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সোমনাথের মতো লো-প্রোফাইল ব্যক্তিরা। তাই তাঁদের মতো মানুষকেই বেশি দরকার ভারতের। তাঁরা এমন একটি প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করেন যারা কি না সুযোগ থাকার পরও দেশ না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপর কী হয়েছে সেটি এখন সবার জানা।
সোমনাথরা হয়তো কখনোই ভারতের হয়ে কোনো ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতবেন না, ফরচুন বা ফোর্বসের শীর্ষ ব্যক্তিত্বের তালিকায় উঠবেন না। তাঁদের হয়তো কখনোই হোয়াইট হাউসের বিশেষ নৈশভোজে ডাকা হবে না। এমনকি তাঁরা মার্কিন ভারতীয়দের আয়ের তুলনায় খুব সামান্যই আয় করেন। কিন্তু এরপরও তাঁরা যা করেছেন তা ইতিহাস। যেকোনো বিবেচনায়। তাঁরা সত্য নাদেলার বাৎসরিক আয়ের মাত্র ৩০ শতাংশ বেশি অর্থ ব্যয় করে ভারতকে চাঁদে পৌঁছে দিয়েছেন।
ভারতের চন্দ্রযান–৩ মিশনের ব্যয় হয়েছে মাত্র ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। চন্দ্র মিশনের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে কম খরচের মিশন। এই মিশনের খরচ এতটাই কম যে, এটি বার্বি, ওপেনহাইমার, অ্যাভেঞ্জার: এন্ডগেম কিংবা অ্যাভাটারের মতো সিনেমার নির্মাণ ব্যয়ের চেয়েও কম। বিখ্যাত চলচ্চিত্র ইন্টারস্টেলার–এর মাত্র অর্ধেক খরচ হয়েছে ভারতের চন্দ্র মিশনে। এই মিশনের খরচ রাশিয়ার মিশনের খরচের অর্ধেকেরও কম, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইপার রোভার মিশনের বাজেটের এক চতুর্থাংশ।
ভারত মহাকাশ গবেষণায় দেশটির জিডিপির মাত্র দশমিক ০৪ শতাংশ ব্যয় করে থাকে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ব্যয় করে দশমিক ২৮ শতাংশ এবং রাশিয়া ব্যয় করে দশমিক ১৫ শতাংশ।
গণমাধ্যমের এই রমরমার যুগেও ভারতের চন্দ্রজয়ী বীরেরা অকপট এবং বিনয়ী। কেবল তাই নয়, তাঁরা প্রচণ্ড আবেগীও বটে। এর উদাহরণ পাওয়া যায় ভারতের প্রথম চন্দ্র মিশন অল্পের জন্য যখন ব্যর্থ হয় তখন। সে সময় দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৎকালীন প্রধান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছিলেন।
বাজেট স্বল্পতা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) কাজকে বাধাগ্রস্ত করেছে। কিন্তু সেখানে কাজ করা লোকদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিষয়টি স্মরণ করতে গিয়ে ইসরোর সাবেক প্রধান সুরেন্দ্র পাল বলেন, ‘এমন একটি সময় ছিল যখন গরুর গাড়িতে করে আমাদের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের মতো স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতি আনা নেওয়া করতে হয়েছে। সে সময় এই কাজ করতে আমাদের খরচ করতে হতো মাত্র ১৫০ রুপি।’
বাজেট স্বল্পতার পরও ইসরো কীভাবে কাজ এগিয়ে নিয়েছে এ বিষয়ে সংস্থাটির সাবেক প্রধান মাধবন নায়ার বলেন, ‘আমরা কেবল প্রয়োজন অনুসারেই ব্যয় করতে পারতাম। তবে আমাদের বিজ্ঞানীর বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের অনেক বেশি প্রচেষ্টা–শ্রম দিয়েছেন। যা আমাদের অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রেখেছে।’
বাজেট স্বল্পতা যে কেবল গবেষণাকেই প্রভাবিত করেছে তা নয়, গবেষকদের ব্যক্তি জীবনকেও প্রভাবিত করেছে। চন্দ্র মিশন সফল করার খাতিরে এর সঙ্গে যুক্ত সব বিজ্ঞানীই অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেছেন কিন্তু কেউই এর জন্য বাড়তি আর্থিক প্রণোদনা পাননি। এ বিষয়ে মিশনের সঙ্গে যুক্ত গবেষক ভেঙ্কটেশ্বরা শর্মা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে যে জড়তা আমাদের মধ্যে ছিল তা আমরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় (অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার সময়ে) নিজেদের তরফ থেকে দোসা, কফি ইত্যাদি জোগাড় করার মাধ্যমে ভেঙে ফেলেছিলাম।’ আবার এই প্রকল্পে যুক্ত হয়ে অনেকের প্রেম ও জীবন পূর্ণতা পেয়েছে। যেমন ভেঙ্কটেশ্বরা নিজেই এই প্রকল্পের এক শীর্ষ গবেষককে বিয়ে করেছেন।
চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ ভারতীয়দের জন্য কতটা গর্বের তা অ–ভারতীয়দের পক্ষে অনুভব করা সম্ভব নয়। অতীতে পশ্চিমা গণমাধ্যম ভারতের মহাকাশ গবেষণা নিয়ে তামাশা করেছে। যেমন, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস একবার একটি স্পষ্ট বর্ণবাদী কার্টুন প্রকাশ করেছিল। যেখানে দেখানো হয়েছে—একজন কৃষক গরু নিয়ে ‘এলিট স্পেস ক্লাব’ নামাঙ্কিত একটি ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক উপস্থাপক প্রশ্ন করেছিলেন, যে দেশটি দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং অপ্রতুল টয়লেট নিয়ে নাকানিচুবানি খাচ্ছে তাদের কী আদৌ মহাকাশ অনুসন্ধান করা উচিত? তবে ভারতকে এখন আর এসব বলে অপমান করা যাবে না।
ইসরোর বিজ্ঞানীরা আরও একটি দারুণ কাজ করেছেন। তাঁরা ভারতে বিদ্যমান আধিপত্যের ক্রমবিন্যাস এবং বর্ণপ্রথাকে দারুণভাবে নাড়িয়ে দিয়েছেন। এত দিন ভারতের গর্বের ধন ছিল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা আইআইটি। রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত এসব ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ কঠোর ভর্তি পরীক্ষার জন্য খ্যাত। কিন্তু ইসরোর চন্দ্র মিশনের অধিকাংশ বিজ্ঞানীই ভারতের তুলনামূলক অল্প পরিচিত শহর থেকে উঠে আসা এবং অল্প পরিচিত প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ে আসা। এমনকি তাঁদের অনেকে আবার এমন হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন যে তা কল্পনাতীত। যেমন, এই প্রকল্পের বিজ্ঞানীদের একজন ভাসমান নারী চা বিক্রেতার সন্তান, অপর একজনের বাবা কাজ করেন কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে।
ইসরোর সাফল্য ভারতে ‘মেধা পাচার’ বিতর্ককে ভালোমতোই উসকে দিয়েছে। বিশেষ করে আইআইটির এক-তৃতীয়াংশ গ্র্যাজুয়েটই দেশ ত্যাগ করেছেন। তাঁদের অধিকাংশই আবার যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু ভারতীয়রা সেই আইআইটির গ্র্যাজুয়েটদের জন্য নয়, উদ্যাপন করার, উল্লসিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন দেশে থেকে যাওয়া গ্র্যাজুয়েটদের জন্য। যারা রীতিমতো অসাধ্যসাধন করেছেন!
তবে এই উদ্যাপন কিংবা কোনো যুক্তি কোনোভাবেই ভারতে কর্মরতদের কম পারিশ্রমিক দেওয়ার বিষয়টিকে যৌক্তিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না। মাধবন নায়ার কষ্ট নিয়ে বলেন, বিশ্বজুড়ে মহাকাশ গবেষণায় জড়িত দেশগুলোতে বিজ্ঞানীদের যে পরিমাণ পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, ভারতীয়রা পায় তার মাত্র এক পঞ্চমাংশ। ফলে যতক্ষণ পর্যন্ত এ ধরনের বৈষম্য বন্ধ না হবে ততক্ষণ মেধা পাচার চলতেই থাকবে।
তবে কথা হলো, যে দেশটি একসময় বাইসাইকেলে করে রকেট বয়ে নিয়ে গেছে সেই দেশটি এখন চাঁদে পৌঁছে গেছে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে দারুণ এবং এটি দেশটিকে এমন একটি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যেখান থেকে আর পেছন ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। ফলে এই মিশনের সঙ্গে জড়িত তারকারা তাঁদের সাফল্যের জন্য অবশ্যই বিশেষ স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য।

মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলার মতো উদ্যোক্তা নন, ভারতের সবচেয়ে বেশি দরকার শ্রীধারা সোমনাথের মতো মানুষদের। নাদেলা সামান্য কেউ নন, হায়দরাবাদে জন্ম নেওয়া এই ব্যক্তি নিঃসন্দেহে মেধাবী। কিন্তু নাদেলা নন, ভারতের চন্দ্র জয়ের মতো ঐতিহাসিক অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সোমনাথের মতো লো-প্রোফাইল ব্যক্তিরা। তাই তাঁদের মতো মানুষকেই বেশি দরকার ভারতের। তাঁরা এমন একটি প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করেন যারা কি না সুযোগ থাকার পরও দেশ না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপর কী হয়েছে সেটি এখন সবার জানা।
সোমনাথরা হয়তো কখনোই ভারতের হয়ে কোনো ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতবেন না, ফরচুন বা ফোর্বসের শীর্ষ ব্যক্তিত্বের তালিকায় উঠবেন না। তাঁদের হয়তো কখনোই হোয়াইট হাউসের বিশেষ নৈশভোজে ডাকা হবে না। এমনকি তাঁরা মার্কিন ভারতীয়দের আয়ের তুলনায় খুব সামান্যই আয় করেন। কিন্তু এরপরও তাঁরা যা করেছেন তা ইতিহাস। যেকোনো বিবেচনায়। তাঁরা সত্য নাদেলার বাৎসরিক আয়ের মাত্র ৩০ শতাংশ বেশি অর্থ ব্যয় করে ভারতকে চাঁদে পৌঁছে দিয়েছেন।
ভারতের চন্দ্রযান–৩ মিশনের ব্যয় হয়েছে মাত্র ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। চন্দ্র মিশনের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে কম খরচের মিশন। এই মিশনের খরচ এতটাই কম যে, এটি বার্বি, ওপেনহাইমার, অ্যাভেঞ্জার: এন্ডগেম কিংবা অ্যাভাটারের মতো সিনেমার নির্মাণ ব্যয়ের চেয়েও কম। বিখ্যাত চলচ্চিত্র ইন্টারস্টেলার–এর মাত্র অর্ধেক খরচ হয়েছে ভারতের চন্দ্র মিশনে। এই মিশনের খরচ রাশিয়ার মিশনের খরচের অর্ধেকেরও কম, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইপার রোভার মিশনের বাজেটের এক চতুর্থাংশ।
ভারত মহাকাশ গবেষণায় দেশটির জিডিপির মাত্র দশমিক ০৪ শতাংশ ব্যয় করে থাকে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ব্যয় করে দশমিক ২৮ শতাংশ এবং রাশিয়া ব্যয় করে দশমিক ১৫ শতাংশ।
গণমাধ্যমের এই রমরমার যুগেও ভারতের চন্দ্রজয়ী বীরেরা অকপট এবং বিনয়ী। কেবল তাই নয়, তাঁরা প্রচণ্ড আবেগীও বটে। এর উদাহরণ পাওয়া যায় ভারতের প্রথম চন্দ্র মিশন অল্পের জন্য যখন ব্যর্থ হয় তখন। সে সময় দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৎকালীন প্রধান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছিলেন।
বাজেট স্বল্পতা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) কাজকে বাধাগ্রস্ত করেছে। কিন্তু সেখানে কাজ করা লোকদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিষয়টি স্মরণ করতে গিয়ে ইসরোর সাবেক প্রধান সুরেন্দ্র পাল বলেন, ‘এমন একটি সময় ছিল যখন গরুর গাড়িতে করে আমাদের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের মতো স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতি আনা নেওয়া করতে হয়েছে। সে সময় এই কাজ করতে আমাদের খরচ করতে হতো মাত্র ১৫০ রুপি।’
বাজেট স্বল্পতার পরও ইসরো কীভাবে কাজ এগিয়ে নিয়েছে এ বিষয়ে সংস্থাটির সাবেক প্রধান মাধবন নায়ার বলেন, ‘আমরা কেবল প্রয়োজন অনুসারেই ব্যয় করতে পারতাম। তবে আমাদের বিজ্ঞানীর বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের অনেক বেশি প্রচেষ্টা–শ্রম দিয়েছেন। যা আমাদের অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রেখেছে।’
বাজেট স্বল্পতা যে কেবল গবেষণাকেই প্রভাবিত করেছে তা নয়, গবেষকদের ব্যক্তি জীবনকেও প্রভাবিত করেছে। চন্দ্র মিশন সফল করার খাতিরে এর সঙ্গে যুক্ত সব বিজ্ঞানীই অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেছেন কিন্তু কেউই এর জন্য বাড়তি আর্থিক প্রণোদনা পাননি। এ বিষয়ে মিশনের সঙ্গে যুক্ত গবেষক ভেঙ্কটেশ্বরা শর্মা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে যে জড়তা আমাদের মধ্যে ছিল তা আমরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় (অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার সময়ে) নিজেদের তরফ থেকে দোসা, কফি ইত্যাদি জোগাড় করার মাধ্যমে ভেঙে ফেলেছিলাম।’ আবার এই প্রকল্পে যুক্ত হয়ে অনেকের প্রেম ও জীবন পূর্ণতা পেয়েছে। যেমন ভেঙ্কটেশ্বরা নিজেই এই প্রকল্পের এক শীর্ষ গবেষককে বিয়ে করেছেন।
চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ ভারতীয়দের জন্য কতটা গর্বের তা অ–ভারতীয়দের পক্ষে অনুভব করা সম্ভব নয়। অতীতে পশ্চিমা গণমাধ্যম ভারতের মহাকাশ গবেষণা নিয়ে তামাশা করেছে। যেমন, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস একবার একটি স্পষ্ট বর্ণবাদী কার্টুন প্রকাশ করেছিল। যেখানে দেখানো হয়েছে—একজন কৃষক গরু নিয়ে ‘এলিট স্পেস ক্লাব’ নামাঙ্কিত একটি ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক উপস্থাপক প্রশ্ন করেছিলেন, যে দেশটি দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং অপ্রতুল টয়লেট নিয়ে নাকানিচুবানি খাচ্ছে তাদের কী আদৌ মহাকাশ অনুসন্ধান করা উচিত? তবে ভারতকে এখন আর এসব বলে অপমান করা যাবে না।
ইসরোর বিজ্ঞানীরা আরও একটি দারুণ কাজ করেছেন। তাঁরা ভারতে বিদ্যমান আধিপত্যের ক্রমবিন্যাস এবং বর্ণপ্রথাকে দারুণভাবে নাড়িয়ে দিয়েছেন। এত দিন ভারতের গর্বের ধন ছিল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা আইআইটি। রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত এসব ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ কঠোর ভর্তি পরীক্ষার জন্য খ্যাত। কিন্তু ইসরোর চন্দ্র মিশনের অধিকাংশ বিজ্ঞানীই ভারতের তুলনামূলক অল্প পরিচিত শহর থেকে উঠে আসা এবং অল্প পরিচিত প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ে আসা। এমনকি তাঁদের অনেকে আবার এমন হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন যে তা কল্পনাতীত। যেমন, এই প্রকল্পের বিজ্ঞানীদের একজন ভাসমান নারী চা বিক্রেতার সন্তান, অপর একজনের বাবা কাজ করেন কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে।
ইসরোর সাফল্য ভারতে ‘মেধা পাচার’ বিতর্ককে ভালোমতোই উসকে দিয়েছে। বিশেষ করে আইআইটির এক-তৃতীয়াংশ গ্র্যাজুয়েটই দেশ ত্যাগ করেছেন। তাঁদের অধিকাংশই আবার যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু ভারতীয়রা সেই আইআইটির গ্র্যাজুয়েটদের জন্য নয়, উদ্যাপন করার, উল্লসিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন দেশে থেকে যাওয়া গ্র্যাজুয়েটদের জন্য। যারা রীতিমতো অসাধ্যসাধন করেছেন!
তবে এই উদ্যাপন কিংবা কোনো যুক্তি কোনোভাবেই ভারতে কর্মরতদের কম পারিশ্রমিক দেওয়ার বিষয়টিকে যৌক্তিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না। মাধবন নায়ার কষ্ট নিয়ে বলেন, বিশ্বজুড়ে মহাকাশ গবেষণায় জড়িত দেশগুলোতে বিজ্ঞানীদের যে পরিমাণ পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, ভারতীয়রা পায় তার মাত্র এক পঞ্চমাংশ। ফলে যতক্ষণ পর্যন্ত এ ধরনের বৈষম্য বন্ধ না হবে ততক্ষণ মেধা পাচার চলতেই থাকবে।
তবে কথা হলো, যে দেশটি একসময় বাইসাইকেলে করে রকেট বয়ে নিয়ে গেছে সেই দেশটি এখন চাঁদে পৌঁছে গেছে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে দারুণ এবং এটি দেশটিকে এমন একটি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যেখান থেকে আর পেছন ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। ফলে এই মিশনের সঙ্গে জড়িত তারকারা তাঁদের সাফল্যের জন্য অবশ্যই বিশেষ স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য।

পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
৪৩ মিনিট আগে
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
২ ঘণ্টা আগে
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
৫ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে শুরু হয়েছে এক বিতর্কিত নির্বাচন, যা দেশ-বিদেশে ‘প্রহসন’ হিসেবে প্রত্যাখ্যাত। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনুপস্থিতি, শীর্ষ নেতাদের কারাবাস এবং চলমান সংঘাতের কারণে প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকারবঞ্চিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচন হচ্ছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে সামরিক জান্তা সরকার। ওই অভ্যুত্থান দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছিল, যা পরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
বিবিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারে আজ রোববার শুরু হওয়া ভোট গ্রহণের মধ্যে দেশটির একাধিক অঞ্চলে বিস্ফোরণ ও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
মান্দালয় অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী বিবিসিকে নিশ্চিত করেন, আজ ভোরে ওই অঞ্চলের একটি জনশূন্য বাড়িতে রকেট হামলার পর তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে গতকাল রাতে থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মায়াওয়াদ্দি শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১০টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানান, ওই হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে এবং তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
তবে কিছু ভোটার বিবিসির কাছে দাবি করেছেন, এবারের নির্বাচন আগের চেয়ে অনেক বেশি ‘সুশৃঙ্খল’।
মান্দালয় অঞ্চলের বাসিন্দা মা সু জারচি বলেন, ‘ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা এবার অনেক বদলে গেছে। ভোট দেওয়ার আগে আমি ভয়ে ছিলাম। এখন ভোট দিয়ে স্বস্তি পাচ্ছি। দেশের জন্য নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছি—এমন একজন নাগরিক হিসেবে আমি আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি।’
২২ বছর বয়সে প্রথমবার ভোট দিয়ে পেয়ি ফিয়ো মাউং বিবিসিকে জানান, তিনি ভোট দিয়েছেন। কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন ভোট দেওয়া ‘প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব’।
মাউং বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। আমি এমন কাউকে সমর্থন করতে চাই, যিনি লড়াই করা এসব মানুষের জন্য নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে আনতে পারবেন। আমি এমন একজন প্রেসিডেন্ট চাই, যিনি সব মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবেন।’
এদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এই নির্বাচন ঘিরে সব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য দেশকে ‘বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা’।
রাজধানী নেপিডোর এক কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত ভোটকেন্দ্রে আজ ভোট দিয়ে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বিবিসিকে বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
জান্তাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান। একজন সরকারি চাকরিজীবী। আমি চাইলেই বলতে পারি না, আমি প্রেসিডেন্ট হতে চাই।’
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, যারা ভোট প্রত্যাখ্যান করছে, তারা আসলে ‘গণতন্ত্রের পথে অগ্রগতিকে’ প্রত্যাখ্যান করছে।
মিয়ানমারে নতুন এক আইনের অধীনে নির্বাচনে বাধা দেওয়া বা বিরোধিতা করার অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই আইনে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে শুরু হয়েছে এক বিতর্কিত নির্বাচন, যা দেশ-বিদেশে ‘প্রহসন’ হিসেবে প্রত্যাখ্যাত। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনুপস্থিতি, শীর্ষ নেতাদের কারাবাস এবং চলমান সংঘাতের কারণে প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকারবঞ্চিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচন হচ্ছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে সামরিক জান্তা সরকার। ওই অভ্যুত্থান দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছিল, যা পরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
বিবিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারে আজ রোববার শুরু হওয়া ভোট গ্রহণের মধ্যে দেশটির একাধিক অঞ্চলে বিস্ফোরণ ও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
মান্দালয় অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী বিবিসিকে নিশ্চিত করেন, আজ ভোরে ওই অঞ্চলের একটি জনশূন্য বাড়িতে রকেট হামলার পর তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে গতকাল রাতে থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মায়াওয়াদ্দি শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১০টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানান, ওই হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে এবং তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
তবে কিছু ভোটার বিবিসির কাছে দাবি করেছেন, এবারের নির্বাচন আগের চেয়ে অনেক বেশি ‘সুশৃঙ্খল’।
মান্দালয় অঞ্চলের বাসিন্দা মা সু জারচি বলেন, ‘ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা এবার অনেক বদলে গেছে। ভোট দেওয়ার আগে আমি ভয়ে ছিলাম। এখন ভোট দিয়ে স্বস্তি পাচ্ছি। দেশের জন্য নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছি—এমন একজন নাগরিক হিসেবে আমি আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি।’
২২ বছর বয়সে প্রথমবার ভোট দিয়ে পেয়ি ফিয়ো মাউং বিবিসিকে জানান, তিনি ভোট দিয়েছেন। কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন ভোট দেওয়া ‘প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব’।
মাউং বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। আমি এমন কাউকে সমর্থন করতে চাই, যিনি লড়াই করা এসব মানুষের জন্য নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে আনতে পারবেন। আমি এমন একজন প্রেসিডেন্ট চাই, যিনি সব মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবেন।’
এদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এই নির্বাচন ঘিরে সব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য দেশকে ‘বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা’।
রাজধানী নেপিডোর এক কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত ভোটকেন্দ্রে আজ ভোট দিয়ে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বিবিসিকে বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
জান্তাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান। একজন সরকারি চাকরিজীবী। আমি চাইলেই বলতে পারি না, আমি প্রেসিডেন্ট হতে চাই।’
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, যারা ভোট প্রত্যাখ্যান করছে, তারা আসলে ‘গণতন্ত্রের পথে অগ্রগতিকে’ প্রত্যাখ্যান করছে।
মিয়ানমারে নতুন এক আইনের অধীনে নির্বাচনে বাধা দেওয়া বা বিরোধিতা করার অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই আইনে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।

ভারতের চন্দ্র মিশন অনেকগুলো বিষয়ের আলোচনা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো—ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলো থেকে মেধা পাচার। সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি বলতে গেলে এক প্রকার তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অনেকটাই পিছিয়ে দিচ্ছে
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
২ ঘণ্টা আগে
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
৫ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই নারী যখন ক্যামেরার সামনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন এবং তাঁদের কথোপকথনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের কথা বলেন তখন ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমার কিছুই হবে না।’
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অশোক সিং। তিনি রামপুর বাঘেলান নগর পরিষদের এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে অশোক সিংকে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করতে এবং ভুক্তভোগী নারীকে হুমকি দিতে দেখা যায়। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ক্লিপটিতে অভিযুক্তকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কী হবে? কিছুই হবে না। যেখানে খুশি অভিযোগ করো, আমার কিছুই হবে না।’ ভিডিওর নেপথ্যে ভুক্তভোগী নারীকে কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ দায়েরের কথা বলতে শোনা যায়।
গত সোমবার সাতনার পুলিশ সুপার (এসপি) হংসরাজ সিংয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। অভিযোগে তিনি বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে ওই ঘটনা ঘটেছে। নিজের ও পরিবারের প্রাণনাশের হুমকির কারণে এতদিন তিনি মুখ খোলেননি। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এসপি তদন্তের দায়িত্ব ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি) মনোজ ত্রিবেদীর কাছে হস্তান্তর করেন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ অনুযায়ী, কারহি এলাকার বাসিন্দা অশোক সিং তাঁর বাড়িতে ঢুকে ছুরির মুখে তাঁকে ধর্ষণ করে। মোবাইল ফোনে সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে এবং এই বিষয়ে মুখ খুললে নারী ও তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
ওই নারী অভিযোগে আরও বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর অশোক সিং আবার তাঁর কাছে আসেন, তাঁর শ্লীলতাহানি করেন এবং আবারও ভিডিওটি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেন। বলেন, তাঁর কথামতো না চললে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীর দাবি, অশোক সিংয়ের বিরুদ্ধে আগেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল এবং একসময় তাঁকে জেলা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। এই কারণেই সে নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে প্রকাশ্যে তাঁকে হুমকি দিতে সাহস পেয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অশোক সিং নিয়মিত তাঁর দোকানে এসে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বারবার হুমকি দেন। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার ভীতি ও হয়রানির মধ্যে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
ওই নারী আরও অভিযোগ করেছেন, পাঁচ দিন আগে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তিনি। তিনি বলেন, তাঁর বা তাঁর পরিবারের কোনো ক্ষতি হলে এর জন্য পুলিশই দায়ী থাকবে।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে এবং সব প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।

এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই নারী যখন ক্যামেরার সামনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন এবং তাঁদের কথোপকথনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের কথা বলেন তখন ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমার কিছুই হবে না।’
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অশোক সিং। তিনি রামপুর বাঘেলান নগর পরিষদের এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে অশোক সিংকে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করতে এবং ভুক্তভোগী নারীকে হুমকি দিতে দেখা যায়। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ক্লিপটিতে অভিযুক্তকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কী হবে? কিছুই হবে না। যেখানে খুশি অভিযোগ করো, আমার কিছুই হবে না।’ ভিডিওর নেপথ্যে ভুক্তভোগী নারীকে কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ দায়েরের কথা বলতে শোনা যায়।
গত সোমবার সাতনার পুলিশ সুপার (এসপি) হংসরাজ সিংয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। অভিযোগে তিনি বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে ওই ঘটনা ঘটেছে। নিজের ও পরিবারের প্রাণনাশের হুমকির কারণে এতদিন তিনি মুখ খোলেননি। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এসপি তদন্তের দায়িত্ব ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি) মনোজ ত্রিবেদীর কাছে হস্তান্তর করেন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ অনুযায়ী, কারহি এলাকার বাসিন্দা অশোক সিং তাঁর বাড়িতে ঢুকে ছুরির মুখে তাঁকে ধর্ষণ করে। মোবাইল ফোনে সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে এবং এই বিষয়ে মুখ খুললে নারী ও তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
ওই নারী অভিযোগে আরও বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর অশোক সিং আবার তাঁর কাছে আসেন, তাঁর শ্লীলতাহানি করেন এবং আবারও ভিডিওটি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেন। বলেন, তাঁর কথামতো না চললে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীর দাবি, অশোক সিংয়ের বিরুদ্ধে আগেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল এবং একসময় তাঁকে জেলা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। এই কারণেই সে নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে প্রকাশ্যে তাঁকে হুমকি দিতে সাহস পেয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অশোক সিং নিয়মিত তাঁর দোকানে এসে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বারবার হুমকি দেন। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার ভীতি ও হয়রানির মধ্যে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
ওই নারী আরও অভিযোগ করেছেন, পাঁচ দিন আগে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তিনি। তিনি বলেন, তাঁর বা তাঁর পরিবারের কোনো ক্ষতি হলে এর জন্য পুলিশই দায়ী থাকবে।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে এবং সব প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।

ভারতের চন্দ্র মিশন অনেকগুলো বিষয়ের আলোচনা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো—ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলো থেকে মেধা পাচার। সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি বলতে গেলে এক প্রকার তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অনেকটাই পিছিয়ে দিচ্ছে
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
৪৩ মিনিট আগে
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
৫ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

ভারতের চন্দ্র মিশন অনেকগুলো বিষয়ের আলোচনা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো—ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলো থেকে মেধা পাচার। সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি বলতে গেলে এক প্রকার তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অনেকটাই পিছিয়ে দিচ্ছে
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
৪৩ মিনিট আগে
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
২ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

ভারতের চন্দ্র মিশন অনেকগুলো বিষয়ের আলোচনা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো—ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলো থেকে মেধা পাচার। সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি বলতে গেলে এক প্রকার তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অনেকটাই পিছিয়ে দিচ্ছে
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
৪৩ মিনিট আগে
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
২ ঘণ্টা আগে
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
৫ ঘণ্টা আগে