Ajker Patrika

রাজকাজের পাশাপাশি বিমান ওড়ানো ও তলোয়ারবাজিতে সেরা ভোপালের মুসলিম রাজকন্যা

আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ১৪
আবিদা সুলতান। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
আবিদা সুলতান। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্ত।

আবিদা সুলতান ১৯১৩ সালে ব্রিটিশ ভারতের উত্তর প্রদেশে ভোপালের (বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত) মুসলিম শাসক পরিবারে জন্ম নেওয়া আবিদা ছিলেন সাহসী ‘বেগমদের’ উত্তরসূরি। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে আবিদার পরিবার ভোপাল শাসন করেছে। তিনি সাধারণ নারী, বিশেষত মুসলিম নারীদের ঘিরে প্রচলিত ধ্যানধারণাকে অস্বীকার করে এ ঐতিহ্য বজায় রেখেছিলেন।

আবিদা পর্দাপ্রথার বিরোধিতা করেছিলেন। সে সময়, মুসলিম ও কিছু হিন্দু নারীদের মধ্যে নিজেকে ঢেকে রাখা ও পুরুষদের থেকে আলাদা থাকার নিয়ম ছিল। ছোটবেলা থেকেই আবিদা ছিলেন সাহসী ও স্বাধীনচেতা। ১৩ বছর বয়সে তাঁর দাদি তাঁকে পর্দার মধ্যে থাকতে বাধ্য করতে চাইলে তিনি বিদ্রোহ করেন। তাঁর সাহস আর বাবার উদার মানসিকতার কারণে তিনি আর কখনোই পর্দা মেনে চলেননি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি ভোপালের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন।

কয়েক দশক ধরে তিনি তাঁর বাবার রেখে যাওয়া শানসভার সামলেছেন। তিনি তাঁর শাসনামলে ভারতের শীর্ষস্থানীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর যে বিদ্বেষ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে তারও প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন তিনি।

আবিদা ছোটবেলা থেকেই যেন শাসকের হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন। তাঁর দাদি কঠোর শৃঙ্খলাপরায়ণ সুলতান জাহান—যিনি নিজেও ভোপালের শাসক ছিলেন—তাঁকে নিজ হাতে গড়ে তুলেছিলেন। ২০০৪ সালে প্রকাশিত আবিদা সুলতান তাঁর আত্মজীবনী ‘মেমোয়ার্স অব আ রেবেল প্রিন্সেসে’—উল্লেখ করেন, কীভাবে তাঁকে ভোর ৪টায় উঠে কোরআন পড়তে হতো। এরপর খেলাধুলা, সংগীত ও ঘোড়দৌড় শেখার পাশাপাশি ঘর ঝাড়ু দেওয়া ও টয়লেট পরিষ্কারের মতো কাজও করতে হতো।

ভোপালেরা রাজকন্যা আবিদা সুলতান। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
ভোপালেরা রাজকন্যা আবিদা সুলতান। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

নিজের শৈশব নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আবিদা সুলতান বলেন, ‘আমরা মেয়েরা কখনোই লিঙ্গের কারণে নিজেদের নিম্নতর ভাবতে শিখিনি। সবকিছুতেই সমতা ছিল। ছেলেদের মতোই আমাদের সব স্বাধীনতা ছিল, আমরা ঘোড়ায় চড়তে পারতাম, গাছে উঠতে পারতাম, যেকোনো খেলাধুলা করতে পারতাম। কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।’

ভোপালের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে আবিদা ১২ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী রাজ্য কুরওয়াইয়ের শাসক ও শৈশবের বন্ধু সরওয়ার আলী খানকে সঙ্গে বিয়ে করেন। বিয়ে নিয়ে নিজের মজার অভিজ্ঞতার কথাও আত্মজীবনীতে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন তিনি।

আবিদ তাঁর বইতে লিখেন, একদিন তিনি যখন তাঁর চাচাতো ভাইবোনদের সঙ্গে বালিশ লড়াইয়ে মেতেছিলেন। এ সময় তাঁর দাদি ঘরে ঢুকে তাঁকে একটি বিয়ের জন্য তৈরি হতে বলেন। কিন্তু কেউই তাকে জানায়নি যে, বিয়েটা তাঁর নিজেরই। আবিদা লিখেন, ‘কেউ আমাকে (বিয়ের জন্য) সাজিয়ে-গুছিয়ে দেয়নি বা কীভাবে আচরণ করতে হবে তাও শেখায়নি। ফলে আমি বিয়ে আসরে ঢুকেছিলাম সেখানে জড়সড় হয়ে থাকা নারীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে, মুখ খোলা রেখে এবং বরাবরের মতোই গোমড়া মুখে।’

ভোপালের এই রাজকন্যার বিয়েটি খুবই কম সময় স্থায়ী হয়েছিল—এক দশকেরও কম। তাঁর বৈবাহিক জীবন ছিল কঠিন। বিষয়টি কেবল তাঁর কম বয়সের জন্য নয়, বরং তাঁর স্বামীর পরিবারের কঠোর, ধর্মীয় পরিবেশের জন্যও। আবিদা অকপটে স্বীকার করেছেন, যৌনতা নিয়ে জ্ঞানের অভাব ও অস্বস্তি তাঁর দাম্পত্য জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।

আবিদা তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ‘বিয়ের পরপরই আমি দাম্পত্য যন্ত্রণার জগতে প্রবেশ করি। আমি বুঝতে পারিনি যে, বিয়ের রাতের ঘটনাগুলো আমাকে এতটা আতঙ্কিত, অসাড় ও অপবিত্র অনুভব করাবে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আমি কখনোই মেনে নিতে পারিনি।’ এর ফলে তাঁর দাম্পত্য জীবনে ভাঙন ধরে।

১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান আবিদা। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান আবিদা। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম নারীদের আত্মজীবনীমূলক লেখায় অন্তরঙ্গতা ও যৌনতা নিয়ে এক গবেষণায় ঐতিহাসিক শিভন ল্যামবার্ট-হার্লি দেখিয়েছেন, যৌনতা নিয়ে আবিদার অকপট বর্ণনা সেই প্রচলিত ধারণা ভেঙে দেয় যে, মুসলিম নারীরা যৌনতা নিয়ে লেখেন না। আবিদার লেখা বরং একটি নির্ভীক এক নারীর চরিত্রকেই উপস্থাপন করেছে।

বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর আবিদা শ্বশুরবাড়ি কুরওয়াই ছেড়ে ভোপালে ফিরে আসেন। তবে একমাত্র সন্তান শাহরিয়ার মোহাম্মদ খানে অভিভাবকত্ব নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এই দীর্ঘ বিরোধে বিরক্ত হয়ে এবং ছেলেকে হারাতে না চেয়ে—আবিদা তাঁর স্বামীকে নিবৃত্ত করতে সাহসী এক পদক্ষেপ নেন। ১৯৩৫ সালের মার্চের এক উষ্ণ রাতে, আবিদা তিন ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে কুরওয়াইয়ে স্বামীর বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে তাঁর স্বামীর শোয়ার ঘরে ঢুকে একটি রিভলবার বের করে স্বামীর কোলে ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘হয় আমাকে গুলি করো, না হলে আমি তোমাকে গুলি করব।’

সেদিন আবিদা তাঁর স্বামীর সঙ্গে হাতাহাতি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন এবং জয়ী হন। এরপর, তিনি নিজ সন্তানকে নিয়ে ফিরে আসেন ছেলেকে লালনপালন করেন। আবিদা সুলতান ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত ভোপালের মন্ত্রিসভা পরিচালনা করেন। এরপর ভোপাল ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের সঙ্গে একীভূত হয়।

আবিদা ব্রিটিশ সরকারের আহ্বানে ভারত শাসনব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকগুলোতে অংশ নেন। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধী, মতিলাল নেহরু এবং তাঁর ছেলে জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের অবনতি এবং ১৯৪৭ সালের দেশভাগ পরবর্তী সহিংসতাও প্রত্যক্ষ করেন।

নিজের স্মৃতিকথায় আবিদা বর্ণনা করেন, কীভাবে ভোপালে তিনি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন পদে পদে। শতাব্দীর পর শতাব্দী তাঁর পরিবার ভোপালে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করলেও তাদের ‘বহিরাগত’ হিসেবে দেখা শুরু হয় ভারত ভাগের পর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়কার একটি বিশেষত ভয়াবহ স্মৃতির কথা উল্লেখ করেন।

একদিন ভারত সরকার তাঁকে জানায়, মুসলিম শরণার্থীদের একটি ট্রেন ভোপালে পৌঁছাবে। ট্রেনটির যাত্রীদের দেখভাল করতে তিনি স্টেশনে যান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কামরাগুলো খুলতেই দেখা গেল, সবাই মৃত।’ এ ধরনের সহিংসতা এবং সাম্প্রদায়িক অবিশ্বাসই তাঁকে ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যেতে বাধ্য করে।

আবিদা চুপিসারে তাঁর ছেলেকে নিয়ে ভোপাল ছাড়েন, ভালো একটি ভবিষ্যতের আশায়। পাকিস্তানেও তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং গণতন্ত্র এবং নারীর অধিকারের পক্ষে কাজ করেন। ২০০২ সালে করাচিতে তার মৃত্যু হয়।

আবিদা পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পর ভারত সরকার তাঁর বোনকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করে। ভোপালে আজও আবিদা তাঁর ডাকনাম ‘বিয়া হুজুর’ নামে পরিচিত। ভোপালের নারী শাসকদের নিয়ে গবেষণা করা সাংবাদিক শামস উর রহমান আলভি বলেন, ‘গত কয়েক বছরের ধর্মীয় রাজনীতি তাঁর ঐতিহ্যকে ম্রিয়মাণ করেছে, তাঁকে নিয়ে তেমন কথা হয় না। কিন্তু তাঁর নাম এত সহজে ভুলে যাওয়ার মতো নয়।’

তথ্যসূত্র: বিবিসি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধর্ষণের শিকার নারীকে বিজেপি নেত্রীর স্বামী বললেন, ‘আমার কিছুই হবে না’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অশোক সিং। ছবি: এনডিটিভি
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অশোক সিং। ছবি: এনডিটিভি

এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই নারী যখন ক্যামেরার সামনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন এবং তাঁদের কথোপকথনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের কথা বলেন তখন ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমার কিছুই হবে না।’

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অশোক সিং। তিনি রামপুর বাঘেলান নগর পরিষদের এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে অশোক সিংকে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করতে এবং ভুক্তভোগী নারীকে হুমকি দিতে দেখা যায়। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ওই ক্লিপটিতে অভিযুক্তকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কী হবে? কিছুই হবে না। যেখানে খুশি অভিযোগ করো, আমার কিছুই হবে না।’ ভিডিওর নেপথ্যে ভুক্তভোগী নারীকে কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ দায়েরের কথা বলতে শোনা যায়।

গত সোমবার সাতনার পুলিশ সুপার (এসপি) হংসরাজ সিংয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। অভিযোগে তিনি বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে ওই ঘটনা ঘটেছে। নিজের ও পরিবারের প্রাণনাশের হুমকির কারণে এতদিন তিনি মুখ খোলেননি। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এসপি তদন্তের দায়িত্ব ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি) মনোজ ত্রিবেদীর কাছে হস্তান্তর করেন।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ অনুযায়ী, কারহি এলাকার বাসিন্দা অশোক সিং তাঁর বাড়িতে ঢুকে ছুরির মুখে তাঁকে ধর্ষণ করে। মোবাইল ফোনে সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে এবং এই বিষয়ে মুখ খুললে নারী ও তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

ওই নারী অভিযোগে আরও বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর অশোক সিং আবার তাঁর কাছে আসেন, তাঁর শ্লীলতাহানি করেন এবং আবারও ভিডিওটি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেন। বলেন, তাঁর কথামতো না চললে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

ভুক্তভোগীর দাবি, অশোক সিংয়ের বিরুদ্ধে আগেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল এবং একসময় তাঁকে জেলা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। এই কারণেই সে নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে প্রকাশ্যে তাঁকে হুমকি দিতে সাহস পেয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী নারী জানান, অশোক সিং নিয়মিত তাঁর দোকানে এসে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বারবার হুমকি দেন। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার ভীতি ও হয়রানির মধ্যে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

ওই নারী আরও অভিযোগ করেছেন, পাঁচ দিন আগে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তিনি। তিনি বলেন, তাঁর বা তাঁর পরিবারের কোনো ক্ষতি হলে এর জন্য পুলিশই দায়ী থাকবে।

এদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে এবং সব প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এখনো পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাপানে তুষারপাতে পিচ্ছিল রাস্তায় ৫০টি গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ২

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৫১
পরপর অনেকগুলো গাড়ির সংঘর্ষের অন্তত ১০টি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ছবি: সংগৃহীত
পরপর অনেকগুলো গাড়ির সংঘর্ষের অন্তত ১০টি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ছবি: সংগৃহীত

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।

স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।

দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।

দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনীতে যোগ দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান, তবে আপত্তি হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্তে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।

হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’

ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’

ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।

ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রুশ হামলায় রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
রুশ হামলায় রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।

তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।

এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।

ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে

জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।

এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’

জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।

দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন

মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।

জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত