অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভের সেনাবাহিনী এতটাই দুর্বল যে, তারা কোনোভাবেই রাশিয়া অধিকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। জাপানি সংবাদমাধ্যম কিওডো নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, কূটনীতির মাধ্যমে হয়তো কিছু ভূখণ্ড উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কি বলেছেন—রাশিয়া অধিকৃত কিছু এলাকা কূটনৈতিক উপায়ে মুক্ত করা সম্ভব হতে পারে, যদি ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ নিশ্চিত হয়।
রাশিয়া অধিকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর সেই শক্তি নেই, এটাই সত্য।’ রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের বড় একটি অংশ দখল করে নেয়। এর আগে, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের আরেকটি বড় অঞ্চল ক্রিমিয়াও দখল করে নেয়।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে হবে। রাশিয়ার নতুন আগ্রাসন প্রতিরোধের মতো যথেষ্ট শক্তি অর্জন করার পরই বাহিনী ব্যবহার করে মুক্তির বিষয়ে ভাবা যেতে পারে।’ রুশ সেনাবাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের রণাঙ্গনে দ্রুত অগ্রসর হওয়া এবং পশ্চিমা সমর্থনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় প্রেক্ষাপটে কিয়েভের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পরিবর্তনের সঙ্গে এই মন্তব্য সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এর আগে, জেলেনস্কি সব সময়ই ইউক্রেনের পূর্ণ ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে যেকোনো শান্তিচুক্তির মূল শর্ত হিসেবে জোর দিয়ে আসছিলেন। তবে সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলোতে দেখা যাচ্ছে, তিনি ন্যাটোতে প্রবেশের বিনিময়ে অধিকৃত অঞ্চলগুলোর অবস্থা নির্ধারণ পিছিয়ে দিতে রাজি, যদিও রুশ দখলকে বৈধতা দিতে রাজি নন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা বুঝি, ন্যাটোর সদস্য হওয়ার পরও যুদ্ধ চলাকালে ন্যাটো চার্টারের ৫—নম্বর ধারা পুরো ইউক্রেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, কারণ দেশগুলো যুদ্ধের ঝুঁকিতে পড়তে চায় না।’ তাঁর এই মন্তব্য এমন সময়ে এল যখন ইউক্রেন ন্যাটো মিত্রদের আহ্বান জানাচ্ছে, যেন ৩-৪ ডিসেম্বরের ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের সময়েই ইউক্রেনকে জোটে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
কিওডো নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ একটি ‘জটিল পর্বে’ প্রবেশ করেছে এবং বর্তমানে যে আন্তর্জাতিক সহায়তা তারা পাচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। ন্যাটোর সঙ্গে দ্রুত আলোচনা শুরু করার জন্য তিনি আবারও আহ্বান জানান। ট্রাম্পের শিগগিরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, ‘ট্রাম্পের দল ইউক্রেনের পাঁচ ধাপের বিজয় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কোনো আত্মসমর্পণ হবে না।’
তবে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হয়ে ফিরে আসা এই আশঙ্কা বাড়িয়েছে যে, ওয়াশিংটন কিয়েভের সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারে। কারণ, তিনি ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার সমালোচনা করেছেন। তিনি উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেখানে কিছু প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে এই মর্মে যে—এই পরিকল্পনার মাধ্যমে বর্তমান ফ্রন্ট লাইনে যুদ্ধ বন্ধ করে রাখা হতে পারে এবং ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ স্থগিত করা হতে পারে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভের সেনাবাহিনী এতটাই দুর্বল যে, তারা কোনোভাবেই রাশিয়া অধিকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। জাপানি সংবাদমাধ্যম কিওডো নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, কূটনীতির মাধ্যমে হয়তো কিছু ভূখণ্ড উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কি বলেছেন—রাশিয়া অধিকৃত কিছু এলাকা কূটনৈতিক উপায়ে মুক্ত করা সম্ভব হতে পারে, যদি ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ নিশ্চিত হয়।
রাশিয়া অধিকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর সেই শক্তি নেই, এটাই সত্য।’ রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের বড় একটি অংশ দখল করে নেয়। এর আগে, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের আরেকটি বড় অঞ্চল ক্রিমিয়াও দখল করে নেয়।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে হবে। রাশিয়ার নতুন আগ্রাসন প্রতিরোধের মতো যথেষ্ট শক্তি অর্জন করার পরই বাহিনী ব্যবহার করে মুক্তির বিষয়ে ভাবা যেতে পারে।’ রুশ সেনাবাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের রণাঙ্গনে দ্রুত অগ্রসর হওয়া এবং পশ্চিমা সমর্থনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় প্রেক্ষাপটে কিয়েভের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পরিবর্তনের সঙ্গে এই মন্তব্য সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এর আগে, জেলেনস্কি সব সময়ই ইউক্রেনের পূর্ণ ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে যেকোনো শান্তিচুক্তির মূল শর্ত হিসেবে জোর দিয়ে আসছিলেন। তবে সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলোতে দেখা যাচ্ছে, তিনি ন্যাটোতে প্রবেশের বিনিময়ে অধিকৃত অঞ্চলগুলোর অবস্থা নির্ধারণ পিছিয়ে দিতে রাজি, যদিও রুশ দখলকে বৈধতা দিতে রাজি নন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা বুঝি, ন্যাটোর সদস্য হওয়ার পরও যুদ্ধ চলাকালে ন্যাটো চার্টারের ৫—নম্বর ধারা পুরো ইউক্রেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, কারণ দেশগুলো যুদ্ধের ঝুঁকিতে পড়তে চায় না।’ তাঁর এই মন্তব্য এমন সময়ে এল যখন ইউক্রেন ন্যাটো মিত্রদের আহ্বান জানাচ্ছে, যেন ৩-৪ ডিসেম্বরের ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের সময়েই ইউক্রেনকে জোটে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
কিওডো নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ একটি ‘জটিল পর্বে’ প্রবেশ করেছে এবং বর্তমানে যে আন্তর্জাতিক সহায়তা তারা পাচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। ন্যাটোর সঙ্গে দ্রুত আলোচনা শুরু করার জন্য তিনি আবারও আহ্বান জানান। ট্রাম্পের শিগগিরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, ‘ট্রাম্পের দল ইউক্রেনের পাঁচ ধাপের বিজয় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কোনো আত্মসমর্পণ হবে না।’
তবে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হয়ে ফিরে আসা এই আশঙ্কা বাড়িয়েছে যে, ওয়াশিংটন কিয়েভের সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারে। কারণ, তিনি ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার সমালোচনা করেছেন। তিনি উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেখানে কিছু প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে এই মর্মে যে—এই পরিকল্পনার মাধ্যমে বর্তমান ফ্রন্ট লাইনে যুদ্ধ বন্ধ করে রাখা হতে পারে এবং ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ স্থগিত করা হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর শপথের পরপরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কো রুবিওর নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দেয় মার্কিন সিনেট। রুবিও দায়িত্ব গ্রহণের পর সবার আগে বৈঠক করেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে। এ ছাড়া, ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অ
২ মিনিট আগেসাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যেকোনো সময় দেখা করতে প্রস্তুত। তবে একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পুতিন যদি ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনার টেবিলে না আসেন, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের...
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই নির্বাহী আদেশ জারি করে অভিবাসীদের ওপর খড়গহস্ত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানরত অনেক ভারতীয়র ওপর। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুমান করা হচ্ছে, প্রায় ১৮ হাজার
২ ঘণ্টা আগেইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার সরকারি পুরুষ কর্মচারীদের জন্য বহুবিবাহ নিয়ে একটি সাম্প্রতিক ডিক্রি নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। তবে সমালোচকেরা বহুবিবাহকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। কারণ তারা মনে করেন, এটি নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং ক্ষতিকর।
১১ ঘণ্টা আগে