আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিন আগেই দাবি করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য তাঁর দেশ ৩৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির হিসাবের ট্রাম্পের দাবি মিলছে না, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থাগুলো এবং পশ্চিমা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যের সঙ্গেও তা অসংগতিপূর্ণ।
সাম্প্রতিক সময়ে, ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় এবং দেশটির খনিজ সম্পদে ওয়াশিংটনের প্রবেশাধিকার নিয়ে একটি চুক্তি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। কিন্তু গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এই চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও ট্রাম্প-জেলনস্কির মধ্যকার বাগ্বিতণ্ডার পর তার আর স্বাক্ষরিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে যে সহায়তা দিয়েছে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইউক্রেনের খনিজে প্রবেশাধিকার চাইছিল।
আলোচনার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের খনিজ উন্নয়ন থেকে ৫০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত রাজস্ব দাবি করেছিল। কিন্তু প্রথম দিকে, ইউক্রেন এতে সম্মত হয়নি। পরে এই দাবি প্রত্যাহার করলে ইউক্রেন চুক্তিতে সম্মত হয়। জেলেনস্কি বলেছেন, এই পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রকৃত সহায়তার পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মতে, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সহায়তা ১০০ বিলিয়ন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের গবেষণা বিভাগের জানুয়ারি মাসের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, কংগ্রেস গত তিন বছরে ইউক্রেনের জন্য মোট ১৭৫ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে। জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদিত তহবিলের প্রায় ১২০ বিলিয়ন ডলার সরাসরি ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
কিয়েল ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মধ্যে ৬৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার অস্ত্র ও সামরিক সহায়তার জন্য দেওয়া হয়েছে। বাজেট সহায়তা হিসেবে ৪৯ বিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে, যা ইউক্রেন সরকারের বেসামরিক কর্মচারী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং জরুরি সেবা কর্মীদের বেতন পরিশোধে ব্যবহৃত হয়েছে। আর ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তায় ব্যয় করা হয়েছে।
তবে ১৭৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বড় অংশ সরাসরি ইউক্রেনকে সহায়তা করতে ব্যবহৃত হয়নি। এটি মূলত যুদ্ধ সংক্রান্ত কার্যক্রমের জন্য ব্যয় করা হয়েছে, যার মধ্যে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করা, বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং যুক্তরাষ্ট্রে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সহায়তা দেওয়ার মতো খাত অন্তর্ভুক্ত।
কংগ্রেস অনুমোদিত অর্থের একটি বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রেই ব্যয় হয়, যেখানে মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানির কর্মীদের নতুন অস্ত্র তৈরির জন্য বেতন দেওয়া হয়—যেগুলো দিয়ে জাতীয় মজুত পূরণ করা হয় বা ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দেশীয় প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে প্যাট্রিয়ট ও নাসামস বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, কোটি কোটি গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, যা প্রতিরক্ষা শিল্পে রেকর্ড পরিমাণ অর্ডার সৃষ্টি করেছে।
কিয়েল ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় দেশগুলোও ইউক্রেনকে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কিনেছে অথবা রাশিয়ার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সামগ্রিকভাবে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ, বিশেষত সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে। তবে সম্মিলিতভাবে ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে ১৩৮ বিলিয়ন ডলার সরাসরি সহায়তা দিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ১২০ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি।
সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ২ বিলিয়ন ডলার কম দিলেও, আর্থিক ও মানবিক সহায়তায় ২১ বিলিয়ন ডলার বেশি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় দাতা। তবে অর্থনীতির আকারের তুলনায় স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো, পাশাপাশি নেদারল্যান্ডস, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিয়েছে।
২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও নরওয়ে সম্মিলিতভাবে ইউক্রেনকে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে, যা একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সহায়তার পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে বলে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর, মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এবং প্রতিরক্ষা দপ্তর প্রত্যেকের নিজস্ব পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর জেনারেল) রয়েছে, যারা মার্কিন সহায়তার অপব্যবহার বা দুর্নীতি তদন্ত করে। এ ছাড়া, ইউক্রেন সংক্রান্ত একটি আন্তঃসংস্থা পর্যবেক্ষণ দল গঠন করা হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত কংগ্রেসে প্রতিবেদন দাখিল করে।
পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও ইউএসএআইডির পরিদর্শকদের এক যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন এখনো ‘বহু স্তরে সরকারি দুর্নীতির’ সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো অর্থের কোনো অংশ আত্মসাৎ হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি। তারা ইউক্রেনের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে প্রতিরক্ষা কেনাকাটার সংস্কারসহ বিভিন্ন দুর্নীতি দমন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার হিসাব নিয়ে পার্থক্যের মূল কারণ হলো, কী কী উপাদান এই মোট হিসাবের অন্তর্ভুক্ত তা নিয়ে ভিন্নতা। কিছু হিসাবে প্রতিশ্রুত সহায়তা অন্তর্ভুক্ত করা হয় না, যতক্ষণ না তা চূড়ান্তভাবে বরাদ্দ হয়। কিছু হিসাবে এমন ব্যয় ধরা হয় না, যা সরাসরি ইউক্রেনের সহায়তায় ব্যবহৃত হয়নি। আবার কিছু হিসাব সামরিক সহায়তার ওপর গুরুত্ব দিলেও আর্থিক ও মানবিক সহায়তাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না।
ট্রাম্প যে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের হিসাব দিয়েছেন, তার উৎস নিশ্চিত করা যায়নি। কিয়েল ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সমস্ত দাতা দেশ মিলিয়ে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ করা মোট ২৮০ বিলিয়ন ডলারের চেয়েও অনেক বেশি। জেলেনস্কির মতে, এখন পর্যন্ত যুদ্ধের মোট খরচ ৩২০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ইউক্রেন নিজেই ১২০ বিলিয়ন ডলার বহন করেছে, আর বাকি অর্থ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র সমানভাবে ভাগ করে নিয়েছে।
তথ্যসূত্র: ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিন আগেই দাবি করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য তাঁর দেশ ৩৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির হিসাবের ট্রাম্পের দাবি মিলছে না, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থাগুলো এবং পশ্চিমা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যের সঙ্গেও তা অসংগতিপূর্ণ।
সাম্প্রতিক সময়ে, ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় এবং দেশটির খনিজ সম্পদে ওয়াশিংটনের প্রবেশাধিকার নিয়ে একটি চুক্তি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। কিন্তু গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এই চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও ট্রাম্প-জেলনস্কির মধ্যকার বাগ্বিতণ্ডার পর তার আর স্বাক্ষরিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে যে সহায়তা দিয়েছে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইউক্রেনের খনিজে প্রবেশাধিকার চাইছিল।
আলোচনার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের খনিজ উন্নয়ন থেকে ৫০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত রাজস্ব দাবি করেছিল। কিন্তু প্রথম দিকে, ইউক্রেন এতে সম্মত হয়নি। পরে এই দাবি প্রত্যাহার করলে ইউক্রেন চুক্তিতে সম্মত হয়। জেলেনস্কি বলেছেন, এই পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রকৃত সহায়তার পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মতে, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সহায়তা ১০০ বিলিয়ন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের গবেষণা বিভাগের জানুয়ারি মাসের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, কংগ্রেস গত তিন বছরে ইউক্রেনের জন্য মোট ১৭৫ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে। জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদিত তহবিলের প্রায় ১২০ বিলিয়ন ডলার সরাসরি ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
কিয়েল ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মধ্যে ৬৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার অস্ত্র ও সামরিক সহায়তার জন্য দেওয়া হয়েছে। বাজেট সহায়তা হিসেবে ৪৯ বিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে, যা ইউক্রেন সরকারের বেসামরিক কর্মচারী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং জরুরি সেবা কর্মীদের বেতন পরিশোধে ব্যবহৃত হয়েছে। আর ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তায় ব্যয় করা হয়েছে।
তবে ১৭৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বড় অংশ সরাসরি ইউক্রেনকে সহায়তা করতে ব্যবহৃত হয়নি। এটি মূলত যুদ্ধ সংক্রান্ত কার্যক্রমের জন্য ব্যয় করা হয়েছে, যার মধ্যে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করা, বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং যুক্তরাষ্ট্রে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সহায়তা দেওয়ার মতো খাত অন্তর্ভুক্ত।
কংগ্রেস অনুমোদিত অর্থের একটি বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রেই ব্যয় হয়, যেখানে মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানির কর্মীদের নতুন অস্ত্র তৈরির জন্য বেতন দেওয়া হয়—যেগুলো দিয়ে জাতীয় মজুত পূরণ করা হয় বা ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দেশীয় প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে প্যাট্রিয়ট ও নাসামস বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, কোটি কোটি গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, যা প্রতিরক্ষা শিল্পে রেকর্ড পরিমাণ অর্ডার সৃষ্টি করেছে।
কিয়েল ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় দেশগুলোও ইউক্রেনকে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কিনেছে অথবা রাশিয়ার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সামগ্রিকভাবে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ, বিশেষত সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে। তবে সম্মিলিতভাবে ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে ১৩৮ বিলিয়ন ডলার সরাসরি সহায়তা দিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ১২০ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি।
সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ২ বিলিয়ন ডলার কম দিলেও, আর্থিক ও মানবিক সহায়তায় ২১ বিলিয়ন ডলার বেশি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় দাতা। তবে অর্থনীতির আকারের তুলনায় স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো, পাশাপাশি নেদারল্যান্ডস, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিয়েছে।
২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও নরওয়ে সম্মিলিতভাবে ইউক্রেনকে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে, যা একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সহায়তার পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে বলে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর, মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এবং প্রতিরক্ষা দপ্তর প্রত্যেকের নিজস্ব পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর জেনারেল) রয়েছে, যারা মার্কিন সহায়তার অপব্যবহার বা দুর্নীতি তদন্ত করে। এ ছাড়া, ইউক্রেন সংক্রান্ত একটি আন্তঃসংস্থা পর্যবেক্ষণ দল গঠন করা হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত কংগ্রেসে প্রতিবেদন দাখিল করে।
পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও ইউএসএআইডির পরিদর্শকদের এক যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন এখনো ‘বহু স্তরে সরকারি দুর্নীতির’ সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো অর্থের কোনো অংশ আত্মসাৎ হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি। তারা ইউক্রেনের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে প্রতিরক্ষা কেনাকাটার সংস্কারসহ বিভিন্ন দুর্নীতি দমন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার হিসাব নিয়ে পার্থক্যের মূল কারণ হলো, কী কী উপাদান এই মোট হিসাবের অন্তর্ভুক্ত তা নিয়ে ভিন্নতা। কিছু হিসাবে প্রতিশ্রুত সহায়তা অন্তর্ভুক্ত করা হয় না, যতক্ষণ না তা চূড়ান্তভাবে বরাদ্দ হয়। কিছু হিসাবে এমন ব্যয় ধরা হয় না, যা সরাসরি ইউক্রেনের সহায়তায় ব্যবহৃত হয়নি। আবার কিছু হিসাব সামরিক সহায়তার ওপর গুরুত্ব দিলেও আর্থিক ও মানবিক সহায়তাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না।
ট্রাম্প যে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের হিসাব দিয়েছেন, তার উৎস নিশ্চিত করা যায়নি। কিয়েল ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সমস্ত দাতা দেশ মিলিয়ে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ করা মোট ২৮০ বিলিয়ন ডলারের চেয়েও অনেক বেশি। জেলেনস্কির মতে, এখন পর্যন্ত যুদ্ধের মোট খরচ ৩২০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ইউক্রেন নিজেই ১২০ বিলিয়ন ডলার বহন করেছে, আর বাকি অর্থ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র সমানভাবে ভাগ করে নিয়েছে।
তথ্যসূত্র: ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
৪০ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
২ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করে।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালায় এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেয়। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তর চেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করে।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালায় এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেয়। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তর চেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ট্রাম্প যে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের হিসাব দিয়েছেন, তার উৎস নিশ্চিত করা যায়নি। কিয়েল ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সমস্ত দাতা দেশ মিলিয়ে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ করা মোট ২৮০ বিলিয়ন ডলারের চেয়েও অনেক বেশি। জেলেনস্কির মতে, এখন পর্যন্ত যুদ্ধের মোট খরচ ৩২০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ইউক্রেন নিজেই ১২০ বিলিয়ন
০৪ মার্চ ২০২৫
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
২ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ট্রাম্প যে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের হিসাব দিয়েছেন, তার উৎস নিশ্চিত করা যায়নি। কিয়েল ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সমস্ত দাতা দেশ মিলিয়ে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ করা মোট ২৮০ বিলিয়ন ডলারের চেয়েও অনেক বেশি। জেলেনস্কির মতে, এখন পর্যন্ত যুদ্ধের মোট খরচ ৩২০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ইউক্রেন নিজেই ১২০ বিলিয়ন
০৪ মার্চ ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
৪০ মিনিট আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
২ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ট্রাম্প যে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের হিসাব দিয়েছেন, তার উৎস নিশ্চিত করা যায়নি। কিয়েল ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সমস্ত দাতা দেশ মিলিয়ে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ করা মোট ২৮০ বিলিয়ন ডলারের চেয়েও অনেক বেশি। জেলেনস্কির মতে, এখন পর্যন্ত যুদ্ধের মোট খরচ ৩২০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ইউক্রেন নিজেই ১২০ বিলিয়ন
০৪ মার্চ ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
৪০ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

ট্রাম্প যে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের হিসাব দিয়েছেন, তার উৎস নিশ্চিত করা যায়নি। কিয়েল ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সমস্ত দাতা দেশ মিলিয়ে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ করা মোট ২৮০ বিলিয়ন ডলারের চেয়েও অনেক বেশি। জেলেনস্কির মতে, এখন পর্যন্ত যুদ্ধের মোট খরচ ৩২০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ইউক্রেন নিজেই ১২০ বিলিয়ন
০৪ মার্চ ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
৪০ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
২ ঘণ্টা আগে