
বলকানের নস্ত্রাদামুস খ্যাত বুলগেরিয়ার রহস্য নারী বাবা ভাঙ্গা মারা গেছেন ১৯৯৬ সালে। কিন্তু অন্ধ এই নারীর অনেক কথাই ফলে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু, চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয় এবং ব্রেক্সিটের মতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন বাবা ভাঙ্গা।
এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ২০২৪ সাল নিয়েও বাবা ভাঙ্গা ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তাঁর অনুসারীরা। আজ রোববার ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি স্টারের বরাতে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় এনডিটিভি।
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ২০২৪ সালে যেসব ঘটনা ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলো মোটেও সুখকর নয়। ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হলে আসন্ন বছরটিতে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা থেকে শুরু করে প্রলয়ংকরী প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটতে পারে।
২০২৪ সাল নিয়ে বাবা ভাঙ্গা যেসব ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর কোনো সহকর্মীর দ্বারা গুপ্তহত্যা চেষ্টার শিকার হতে পারেন। ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বাড়ার পাশাপাশি পরবর্তী বছরে বড় একটি দেশ জৈব অস্ত্রের ব্যবহার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।
বাবা ভাঙ্গা উল্লেখ করেছেন, আসন্ন বছরে বিশ্বজুড়ে তীব্র আর্থিক সংকটের সৃষ্টি হবে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। এর ফলে ক্রমবর্ধমান ঋণের মাত্রা এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাও বাড়তে পারে। ঘটতে পারে প্রলয়ংকরী প্রাকৃতিক দুর্যোগের বেশ কিছু ঘটনা। সাইবার হামলাও মাথাচাড়া দেবে। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো থেকে শুরু করে পাওয়ার গ্রিড, পানিশোধন প্ল্যান্টে সাইবার হামলা চালিয়ে কোনো কোনো দেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে প্রশিক্ষিত হ্যাকাররা।
তবে আশাজনক কিছু বিষয়ও রয়েছে বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীতে। সেগুলো সত্যি হলে আলঝেইমার এবং ক্যানসারের মতো বড় ধরনের রোগগুলোর নতুন চিকিৎসাপদ্ধতি চালু হতে পারে আসন্ন বছরটিতে। এ ছাড়া অগ্রগতি হতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, বাবা ভাঙ্গা বুলগেরিয়ার উত্তর মেসিডোনিয়ার স্ট্রুমিকায় ১৯১১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে একটি বড় ঝড়ের কবলে পড়ে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। কয়েক দিন পর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে অন্ধ অবস্থায় খুঁজে পান। বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল এই রহস্য নারীর।

বলকানের নস্ত্রাদামুস খ্যাত বুলগেরিয়ার রহস্য নারী বাবা ভাঙ্গা মারা গেছেন ১৯৯৬ সালে। কিন্তু অন্ধ এই নারীর অনেক কথাই ফলে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু, চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয় এবং ব্রেক্সিটের মতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন বাবা ভাঙ্গা।
এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ২০২৪ সাল নিয়েও বাবা ভাঙ্গা ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তাঁর অনুসারীরা। আজ রোববার ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি স্টারের বরাতে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় এনডিটিভি।
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ২০২৪ সালে যেসব ঘটনা ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলো মোটেও সুখকর নয়। ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হলে আসন্ন বছরটিতে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা থেকে শুরু করে প্রলয়ংকরী প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটতে পারে।
২০২৪ সাল নিয়ে বাবা ভাঙ্গা যেসব ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর কোনো সহকর্মীর দ্বারা গুপ্তহত্যা চেষ্টার শিকার হতে পারেন। ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বাড়ার পাশাপাশি পরবর্তী বছরে বড় একটি দেশ জৈব অস্ত্রের ব্যবহার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।
বাবা ভাঙ্গা উল্লেখ করেছেন, আসন্ন বছরে বিশ্বজুড়ে তীব্র আর্থিক সংকটের সৃষ্টি হবে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। এর ফলে ক্রমবর্ধমান ঋণের মাত্রা এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাও বাড়তে পারে। ঘটতে পারে প্রলয়ংকরী প্রাকৃতিক দুর্যোগের বেশ কিছু ঘটনা। সাইবার হামলাও মাথাচাড়া দেবে। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো থেকে শুরু করে পাওয়ার গ্রিড, পানিশোধন প্ল্যান্টে সাইবার হামলা চালিয়ে কোনো কোনো দেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে প্রশিক্ষিত হ্যাকাররা।
তবে আশাজনক কিছু বিষয়ও রয়েছে বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীতে। সেগুলো সত্যি হলে আলঝেইমার এবং ক্যানসারের মতো বড় ধরনের রোগগুলোর নতুন চিকিৎসাপদ্ধতি চালু হতে পারে আসন্ন বছরটিতে। এ ছাড়া অগ্রগতি হতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, বাবা ভাঙ্গা বুলগেরিয়ার উত্তর মেসিডোনিয়ার স্ট্রুমিকায় ১৯১১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে একটি বড় ঝড়ের কবলে পড়ে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। কয়েক দিন পর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে অন্ধ অবস্থায় খুঁজে পান। বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল এই রহস্য নারীর।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
১৪ মিনিট আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী আটক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ঠিকাদার খুঁজছে। এই পরিকল্পনায় বিশাল সব শিল্প গুদাম বা ওয়্যারহাউস সংস্কার করে একসঙ্গে ৮০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের...
২ ঘণ্টা আগে
আলজেরিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস করেছে। এই আইনে দেশটির ওপর ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার আলজেরীয় আইনপ্রণেতারা এই আইন পাস করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলকানের নস্ত্রাদামুস খ্যাত বুলগেরিয়ার রহস্য নারী বাবা ভাঙ্গা মারা গেছেন ১৯৯৬ সালে। কিন্তু অন্ধ এই নারীর অনেক কথাই ফলে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু, চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয় এবং ব্রেক্সিটের মতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ঘ
০৫ নভেম্বর ২০২৩
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী আটক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ঠিকাদার খুঁজছে। এই পরিকল্পনায় বিশাল সব শিল্প গুদাম বা ওয়্যারহাউস সংস্কার করে একসঙ্গে ৮০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের...
২ ঘণ্টা আগে
আলজেরিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস করেছে। এই আইনে দেশটির ওপর ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার আলজেরীয় আইনপ্রণেতারা এই আইন পাস করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

বলকানের নস্ত্রাদামুস খ্যাত বুলগেরিয়ার রহস্য নারী বাবা ভাঙ্গা মারা গেছেন ১৯৯৬ সালে। কিন্তু অন্ধ এই নারীর অনেক কথাই ফলে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু, চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয় এবং ব্রেক্সিটের মতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ঘ
০৫ নভেম্বর ২০২৩
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
১৪ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী আটক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ঠিকাদার খুঁজছে। এই পরিকল্পনায় বিশাল সব শিল্প গুদাম বা ওয়্যারহাউস সংস্কার করে একসঙ্গে ৮০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের...
২ ঘণ্টা আগে
আলজেরিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস করেছে। এই আইনে দেশটির ওপর ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার আলজেরীয় আইনপ্রণেতারা এই আইন পাস করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী আটক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ঠিকাদার খুঁজছে। এই পরিকল্পনায় বিশাল সব শিল্প গুদাম বা ওয়্যারহাউস সংস্কার করে একসঙ্গে ৮০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের হাতে আসা এক খসড়া প্রস্তাবনার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
বর্তমানে আটককৃতদের দেশের যেখানে জায়গা পাওয়া যায় সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) এখন সেই পদ্ধতি বদলে একটি সুশৃঙ্খল ‘ফিডার সিস্টেম’ বা সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় যাতে দ্রুত দেশান্তর (ডিপোর্টেশন) নিশ্চিত করা যায়।
নথিতে বলা হয়েছে, নতুন গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের প্রথমে কয়েক সপ্তাহের জন্য প্রসেসিং সাইটে রাখা হবে। এরপর তাদের ৭টি বিশাল গুদামের কোনো একটিতে পাঠানো হবে, যার প্রতিটিতে ৫ থেকে ১০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা থাকবে। সেখান থেকেই মূলত তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
বিশাল এই গুদামগুলো ভার্জিনিয়া, টেক্সাস, লুইজিয়ানা, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া এবং মিজৌরির প্রধান লজিস্টিক হাবগুলোর কাছাকাছি স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া ১৬টি ছোট গুদামে দেড় হাজার করে মানুষ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র বিভাগ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র ট্রিশা ম্যাকলাফলিন জানিয়েছেন, তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারছেন না এবং গুদাম পরিকল্পনা নিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতেও রাজি হননি। তবে এর আগে এনবিসি এবং ব্লুমবার্গ নিউজ গুদামগুলোকে আটক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে আইসিই-এর অভ্যন্তরীণ আলোচনার খবর দিয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লাখ লাখ অভিবাসীকে আটক ও বিতাড়ন অভিযানের পরবর্তী পদক্ষেপ হলো এই গুদাম পরিকল্পনা। এ বছর কংগ্রেস অভিবাসীদের আটকে রাখার জন্য ৪৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। সেই অর্থ ব্যবহার করে প্রশাসন পরিত্যক্ত কারাগার সচল করেছে, সামরিক ঘাঁটির অংশ বিশেষ সংস্কার করেছে এবং রিপাবলিকান গভর্নরদের সঙ্গে মিলে দুর্গম এলাকায় অভিবাসীদের জন্য তাঁবু শিবির তৈরি করেছে।
বর্ডার জার টম হোমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছেন, চলতি বছর প্রশাসন ৫ লাখ ৭৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। আইসিই-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টড এম লিয়নস গত এপ্রিলে এক সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘আমাদের এটাকে ব্যবসার মতো পরিচালনা করতে শিখতে হবে।’ প্রশাসনের লক্ষ্য হলো আমাজন যেভাবে তাদের প্যাকেজ পৌঁছে দেয়, ঠিক সেভাবেই অভিবাসীদের দ্রুত ফেরত পাঠানো।
তবে রিয়েল এস্টেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুদামে বিপুলসংখ্যক মানুষকে রাখা লজিস্টিক সমস্যা তৈরি করবে। এসব স্থাপনা মূলত মালামাল রাখার জন্য তৈরি, মানুষের বসবাসের জন্য নয়। সেখানে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা বা সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের অভাব থাকে। এ ছাড়া আবাসিক এলাকা থেকে দূরে হওয়ায় হাজার হাজার মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা সেখানে নাও থাকতে পারে।
নিউ অরলিন্সের একজন অধিকারকর্মী তানিয়া উলফ বলেন, ‘এটি অমানবিক। মানুষকে পশুর মতো বিবেচনা করা হচ্ছে।’ আইসিই অবশ্য বলছে, তারা এই কাঠামোতে অনেক পরিবর্তন আনবে। সেখানে গোসলখানা, টয়লেট, রান্নাঘর, ডাইনিং এরিয়া, মেডিকেল ইউনিট এবং বিনোদন কেন্দ্রসহ প্রশাসনিক অফিস তৈরি করা হবে। কোনো কোনো কেন্দ্রে পরিবারের জন্য বিশেষ আবাসন ব্যবস্থাও থাকবে।
পরিকল্পিত গুদামগুলোর বেশির ভাগই রিপাবলিকান শাসিত এলাকায় হলেও দুটি বড় গুদাম ডেমোক্র্যাট শাসিত ভার্জিনিয়ার স্ট্যাফোর্ড এবং মিজৌরির ক্যানসাস সিটিতে করার কথা রয়েছে। আইসিই-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতে আটক অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৬৮ হাজারেরও বেশি, যা এযাবৎকালের রেকর্ড। তাদের মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের সাজা বা অভিযোগ নেই।
অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা বলছেন, এত বড় স্থাপনা পরিচালনা করা কঠিন হবে। বিশেষ করে প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা কর্মী ও চিকিৎসা কর্মী পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। যেমন, ফোর্ট ব্লিস সাইটে বর্তমানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা কর্মীর মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সাবেক আইসিই চিফ অব স্টাফ জেসন হাউজারের মতে, ‘গুদাম হয়তো অনেক পাওয়া যাবে, কিন্তু সেগুলো নিরাপদে চালানোর সক্ষমতা সব সময়ই জনবলের ওপর নির্ভর করে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী আটক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ঠিকাদার খুঁজছে। এই পরিকল্পনায় বিশাল সব শিল্প গুদাম বা ওয়্যারহাউস সংস্কার করে একসঙ্গে ৮০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের হাতে আসা এক খসড়া প্রস্তাবনার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
বর্তমানে আটককৃতদের দেশের যেখানে জায়গা পাওয়া যায় সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) এখন সেই পদ্ধতি বদলে একটি সুশৃঙ্খল ‘ফিডার সিস্টেম’ বা সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় যাতে দ্রুত দেশান্তর (ডিপোর্টেশন) নিশ্চিত করা যায়।
নথিতে বলা হয়েছে, নতুন গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের প্রথমে কয়েক সপ্তাহের জন্য প্রসেসিং সাইটে রাখা হবে। এরপর তাদের ৭টি বিশাল গুদামের কোনো একটিতে পাঠানো হবে, যার প্রতিটিতে ৫ থেকে ১০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা থাকবে। সেখান থেকেই মূলত তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
বিশাল এই গুদামগুলো ভার্জিনিয়া, টেক্সাস, লুইজিয়ানা, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া এবং মিজৌরির প্রধান লজিস্টিক হাবগুলোর কাছাকাছি স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া ১৬টি ছোট গুদামে দেড় হাজার করে মানুষ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র বিভাগ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র ট্রিশা ম্যাকলাফলিন জানিয়েছেন, তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারছেন না এবং গুদাম পরিকল্পনা নিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতেও রাজি হননি। তবে এর আগে এনবিসি এবং ব্লুমবার্গ নিউজ গুদামগুলোকে আটক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে আইসিই-এর অভ্যন্তরীণ আলোচনার খবর দিয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লাখ লাখ অভিবাসীকে আটক ও বিতাড়ন অভিযানের পরবর্তী পদক্ষেপ হলো এই গুদাম পরিকল্পনা। এ বছর কংগ্রেস অভিবাসীদের আটকে রাখার জন্য ৪৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। সেই অর্থ ব্যবহার করে প্রশাসন পরিত্যক্ত কারাগার সচল করেছে, সামরিক ঘাঁটির অংশ বিশেষ সংস্কার করেছে এবং রিপাবলিকান গভর্নরদের সঙ্গে মিলে দুর্গম এলাকায় অভিবাসীদের জন্য তাঁবু শিবির তৈরি করেছে।
বর্ডার জার টম হোমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছেন, চলতি বছর প্রশাসন ৫ লাখ ৭৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। আইসিই-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টড এম লিয়নস গত এপ্রিলে এক সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘আমাদের এটাকে ব্যবসার মতো পরিচালনা করতে শিখতে হবে।’ প্রশাসনের লক্ষ্য হলো আমাজন যেভাবে তাদের প্যাকেজ পৌঁছে দেয়, ঠিক সেভাবেই অভিবাসীদের দ্রুত ফেরত পাঠানো।
তবে রিয়েল এস্টেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুদামে বিপুলসংখ্যক মানুষকে রাখা লজিস্টিক সমস্যা তৈরি করবে। এসব স্থাপনা মূলত মালামাল রাখার জন্য তৈরি, মানুষের বসবাসের জন্য নয়। সেখানে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা বা সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের অভাব থাকে। এ ছাড়া আবাসিক এলাকা থেকে দূরে হওয়ায় হাজার হাজার মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা সেখানে নাও থাকতে পারে।
নিউ অরলিন্সের একজন অধিকারকর্মী তানিয়া উলফ বলেন, ‘এটি অমানবিক। মানুষকে পশুর মতো বিবেচনা করা হচ্ছে।’ আইসিই অবশ্য বলছে, তারা এই কাঠামোতে অনেক পরিবর্তন আনবে। সেখানে গোসলখানা, টয়লেট, রান্নাঘর, ডাইনিং এরিয়া, মেডিকেল ইউনিট এবং বিনোদন কেন্দ্রসহ প্রশাসনিক অফিস তৈরি করা হবে। কোনো কোনো কেন্দ্রে পরিবারের জন্য বিশেষ আবাসন ব্যবস্থাও থাকবে।
পরিকল্পিত গুদামগুলোর বেশির ভাগই রিপাবলিকান শাসিত এলাকায় হলেও দুটি বড় গুদাম ডেমোক্র্যাট শাসিত ভার্জিনিয়ার স্ট্যাফোর্ড এবং মিজৌরির ক্যানসাস সিটিতে করার কথা রয়েছে। আইসিই-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতে আটক অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৬৮ হাজারেরও বেশি, যা এযাবৎকালের রেকর্ড। তাদের মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের সাজা বা অভিযোগ নেই।
অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা বলছেন, এত বড় স্থাপনা পরিচালনা করা কঠিন হবে। বিশেষ করে প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা কর্মী ও চিকিৎসা কর্মী পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। যেমন, ফোর্ট ব্লিস সাইটে বর্তমানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা কর্মীর মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সাবেক আইসিই চিফ অব স্টাফ জেসন হাউজারের মতে, ‘গুদাম হয়তো অনেক পাওয়া যাবে, কিন্তু সেগুলো নিরাপদে চালানোর সক্ষমতা সব সময়ই জনবলের ওপর নির্ভর করে।’

বলকানের নস্ত্রাদামুস খ্যাত বুলগেরিয়ার রহস্য নারী বাবা ভাঙ্গা মারা গেছেন ১৯৯৬ সালে। কিন্তু অন্ধ এই নারীর অনেক কথাই ফলে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু, চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয় এবং ব্রেক্সিটের মতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ঘ
০৫ নভেম্বর ২০২৩
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
১৪ মিনিট আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
১ ঘণ্টা আগে
আলজেরিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস করেছে। এই আইনে দেশটির ওপর ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার আলজেরীয় আইনপ্রণেতারা এই আইন পাস করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আলজেরিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস করেছে। এই আইনে দেশটির ওপর ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার আলজেরীয় আইনপ্রণেতারা এই আইন পাস করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গত বুধবার আইনপ্রণেতারা জাতীয় পতাকার রঙের স্কার্ফ গলায় জড়িয়ে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ‘আলজেরিয়া দীর্ঘজীবী হোক’ স্লোগান দেন এবং বিলটি অনুমোদন করেন। একই সঙ্গে পার্লামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্যারিসের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তাঁরা। ইতিহাসকে আড়াল করার সব চেষ্টা রুখে দিতেই এই পদক্ষেপ।
নতুন এই আইনে আলজেরিয়ার ঔপনিবেশিক অতীত এবং এর ফলে সৃষ্ট ট্র্যাজেডির জন্য ফ্রান্সকে ‘আইনিভাবে দায়ী’ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় আইনি কাঠামোর কেন্দ্রে রাখা হয়েছে ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতাকে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আন্তর্জাতিকভাবে এই আইনের প্রয়োগযোগ্যতা না থাকলেও এর রাজনৈতিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী। ঔপনিবেশিক স্মৃতি নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলজেরিয়ার সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বিচ্ছেদ বা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এপিএসের তথ্য অনুযায়ী, পার্লামেন্ট স্পিকার ইব্রাহিম বুগালি বলেছেন, এই আইন দেশের ভেতরে ও বাইরে একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে, আলজেরিয়ার জাতীয় স্মৃতি মুছে ফেলার মতো নয় এবং এ নিয়ে কোনো আপস হবে না।
আইনের খসড়ায় ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের নানা অপরাধের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক পরীক্ষা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং পদ্ধতিগতভাবে সম্পদ লুণ্ঠন। এতে আরও জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ফরাসি উপনিবেশের কারণে সৃষ্ট সব বস্তুগত ও নৈতিক ক্ষতির জন্য ‘পূর্ণাঙ্গ ও ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাওয়া আলজেরীয় রাষ্ট্র ও জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার।’
ফ্রান্স ১৮৩০ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে আলজেরিয়া শাসন করেছে। নির্যাতন, গুম, গণহত্যা, অর্থনৈতিক শোষণ এবং এ দেশের আদিবাসী মুসলিম জনগোষ্ঠীকে প্রান্তিক করে রাখার মধ্য দিয়ে সেই শাসনব্যবস্থা টিকে ছিল। ১৯৫৪ থেকে ১৯৬২ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধেই গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছিল। আলজেরিয়ার দাবি অনুযায়ী, সেই যুদ্ধে ১৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এর আগে আলজেরিয়ায় উপনিবেশ স্থাপনকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বারবার অস্বীকার করেছেন। ২০২৩ সালেও তিনি নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছিলেন, ‘ক্ষমা চাওয়া আমার কাজ নয়।’
গত সপ্তাহে ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাস্কাল কনফাভ্রেক্স এই ভোটাভুটি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, বিদেশের মাটিতে চলমান কোনো ‘রাজনৈতিক বিতর্ক’ নিয়ে তিনি কথা বলবেন না।
এক্সেটার ইউনিভার্সিটির ঔপনিবেশিক ইতিহাস গবেষক হোসনি কিতুনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ফ্রান্সের ওপর এই আইনের কোনো বাধ্যতামূলক প্রভাব নেই। তবে এর রাজনৈতিক ও প্রতীকী গুরুত্ব অপরিসীম। স্মৃতির লড়াইয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন মোড়।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংকটের মধ্যেই এই ভোটাভুটি হলো। মূলত অভিবাসনকে কেন্দ্র করে আলজেরিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ক টিকে থাকলেও বর্তমানে তাতে চরম টানাপোড়েন চলছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মরক্কোর পশ্চিম সাহারা পরিকল্পনাকে প্যারিস স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা তুঙ্গে। ১৯৭৫ সালে স্পেন ওই অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার পর মরক্কো তা দখল করে নেয়, যা নিয়ে সেখানে সশস্ত্র বিদ্রোহ চলছে।
আলজেরিয়া পশ্চিম সাহারার সাহরাউই জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে এবং পলিসারিও ফ্রন্টকে মদদ দেয়, যারা মরক্কোর স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। গত এপ্রিলে প্যারিসে একজন আলজেরীয় কূটনীতিক ও দুই নাগরিককে গ্রেপ্তারের পর এই উত্তেজনা সংকটে রূপ নেয়। অথচ তার মাত্র এক সপ্তাহ আগে মাখোঁ এবং আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমাজিদ তেবুন সংলাপ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

আলজেরিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস করেছে। এই আইনে দেশটির ওপর ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার আলজেরীয় আইনপ্রণেতারা এই আইন পাস করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গত বুধবার আইনপ্রণেতারা জাতীয় পতাকার রঙের স্কার্ফ গলায় জড়িয়ে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ‘আলজেরিয়া দীর্ঘজীবী হোক’ স্লোগান দেন এবং বিলটি অনুমোদন করেন। একই সঙ্গে পার্লামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্যারিসের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তাঁরা। ইতিহাসকে আড়াল করার সব চেষ্টা রুখে দিতেই এই পদক্ষেপ।
নতুন এই আইনে আলজেরিয়ার ঔপনিবেশিক অতীত এবং এর ফলে সৃষ্ট ট্র্যাজেডির জন্য ফ্রান্সকে ‘আইনিভাবে দায়ী’ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় আইনি কাঠামোর কেন্দ্রে রাখা হয়েছে ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতাকে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আন্তর্জাতিকভাবে এই আইনের প্রয়োগযোগ্যতা না থাকলেও এর রাজনৈতিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী। ঔপনিবেশিক স্মৃতি নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলজেরিয়ার সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বিচ্ছেদ বা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এপিএসের তথ্য অনুযায়ী, পার্লামেন্ট স্পিকার ইব্রাহিম বুগালি বলেছেন, এই আইন দেশের ভেতরে ও বাইরে একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে, আলজেরিয়ার জাতীয় স্মৃতি মুছে ফেলার মতো নয় এবং এ নিয়ে কোনো আপস হবে না।
আইনের খসড়ায় ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের নানা অপরাধের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক পরীক্ষা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং পদ্ধতিগতভাবে সম্পদ লুণ্ঠন। এতে আরও জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ফরাসি উপনিবেশের কারণে সৃষ্ট সব বস্তুগত ও নৈতিক ক্ষতির জন্য ‘পূর্ণাঙ্গ ও ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাওয়া আলজেরীয় রাষ্ট্র ও জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার।’
ফ্রান্স ১৮৩০ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে আলজেরিয়া শাসন করেছে। নির্যাতন, গুম, গণহত্যা, অর্থনৈতিক শোষণ এবং এ দেশের আদিবাসী মুসলিম জনগোষ্ঠীকে প্রান্তিক করে রাখার মধ্য দিয়ে সেই শাসনব্যবস্থা টিকে ছিল। ১৯৫৪ থেকে ১৯৬২ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধেই গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছিল। আলজেরিয়ার দাবি অনুযায়ী, সেই যুদ্ধে ১৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এর আগে আলজেরিয়ায় উপনিবেশ স্থাপনকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বারবার অস্বীকার করেছেন। ২০২৩ সালেও তিনি নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছিলেন, ‘ক্ষমা চাওয়া আমার কাজ নয়।’
গত সপ্তাহে ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাস্কাল কনফাভ্রেক্স এই ভোটাভুটি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, বিদেশের মাটিতে চলমান কোনো ‘রাজনৈতিক বিতর্ক’ নিয়ে তিনি কথা বলবেন না।
এক্সেটার ইউনিভার্সিটির ঔপনিবেশিক ইতিহাস গবেষক হোসনি কিতুনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ফ্রান্সের ওপর এই আইনের কোনো বাধ্যতামূলক প্রভাব নেই। তবে এর রাজনৈতিক ও প্রতীকী গুরুত্ব অপরিসীম। স্মৃতির লড়াইয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন মোড়।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংকটের মধ্যেই এই ভোটাভুটি হলো। মূলত অভিবাসনকে কেন্দ্র করে আলজেরিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ক টিকে থাকলেও বর্তমানে তাতে চরম টানাপোড়েন চলছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মরক্কোর পশ্চিম সাহারা পরিকল্পনাকে প্যারিস স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা তুঙ্গে। ১৯৭৫ সালে স্পেন ওই অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার পর মরক্কো তা দখল করে নেয়, যা নিয়ে সেখানে সশস্ত্র বিদ্রোহ চলছে।
আলজেরিয়া পশ্চিম সাহারার সাহরাউই জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে এবং পলিসারিও ফ্রন্টকে মদদ দেয়, যারা মরক্কোর স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। গত এপ্রিলে প্যারিসে একজন আলজেরীয় কূটনীতিক ও দুই নাগরিককে গ্রেপ্তারের পর এই উত্তেজনা সংকটে রূপ নেয়। অথচ তার মাত্র এক সপ্তাহ আগে মাখোঁ এবং আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমাজিদ তেবুন সংলাপ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

বলকানের নস্ত্রাদামুস খ্যাত বুলগেরিয়ার রহস্য নারী বাবা ভাঙ্গা মারা গেছেন ১৯৯৬ সালে। কিন্তু অন্ধ এই নারীর অনেক কথাই ফলে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু, চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয় এবং ব্রেক্সিটের মতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ঘ
০৫ নভেম্বর ২০২৩
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
১৪ মিনিট আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী আটক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ঠিকাদার খুঁজছে। এই পরিকল্পনায় বিশাল সব শিল্প গুদাম বা ওয়্যারহাউস সংস্কার করে একসঙ্গে ৮০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের...
২ ঘণ্টা আগে