Ajker Patrika

করোনার কারণে নিজের বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ১২
করোনার কারণে নিজের বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বে এখনো কমেনি করোনার প্রকোপ। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে। সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধ আরোপ করছে বিভিন্ন দেশ। নিউজিল্যান্ডেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেশজুড়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আর এই বিধিনিষেধের কারণে নিজের বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।

আজ রোববার সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন জেসিন্ডা আরডার্ন। খবর রয়টার্সের। 

বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে নিউজিল্যান্ডে ওমিক্রনে শনাক্ত নয়জনরয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে করোনার অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনে নয়জন শনাক্ত হন। নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডে বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে বিমানে করে সাউথ আইল্যান্ডের নেলসনে ফেরে একটি পরিবার। পরে ওই পরিবার ও তাদের ভ্রমণ করা ফ্লাইটের একজন অ্যাটেনডেন্টের করোনা শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় সংক্রমণ রোধে নিউজিল্যান্ডে স্থানীয় সময় রোববার মধ্যরাত থেকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার এবং জনসমাগমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, ‘সংক্রমণ প্রতিরোধে আরও বেশি মানুষকে মাস্ক পরতে হবে। বার ও রেস্টুরেন্টগুলোতে এবং বিয়ের মতো ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এমনকি এসব ভেন্যুতে যদি টিকার পাস ব্যবহার করা না হয়, তাহলে উপস্থিতির এই সীমা ২৫ জনে নেমে আসবে। আমার বিয়ের অনুষ্ঠানও হচ্ছে না।’    

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দেবরের পর এবার গাঁজাসহ গ্রেপ্তার মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর ভাই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অনিল বাগরি ও পঙ্কজ সিংহের কাছ থেকে ৪৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: এনডিটিভি
অনিল বাগরি ও পঙ্কজ সিংহের কাছ থেকে ৪৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: এনডিটিভি

৪৬ কেজি গাঁজাসহ ভারতের মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী প্রতিমা বাগরির ভাই অনিল বাগরিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ মামলায় আরও এক অভিযুক্ত পঙ্কজ সিংহকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের সাটনা জেলায় মাদক পাচারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, অনিল বাগরি ও পঙ্কজ সিংহের কাছ থেকে ৪৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা গাঁজার মূল্য ৯ লাখ ২২ হাজার রুপি। পঙ্কজের মারৌনহা গ্রামের বাড়িতে ধানের বস্তার ভেতর গাঁজাগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। পাচারে ব্যবহৃত গাড়িটি আরেক অভিযুক্ত শৈলেন্দ্র সিংহ রাজাওয়াতের। তিনি বর্তমানে পলাতক।

এ ঘটনার কয়েকদিন আগে প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা বাগরির দেবর শৈলেন্দ্র সিংহকে উত্তর প্রদেশের বান্দায় ১০.৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এরই মধ্যে এনডিপিএস আইনের আরেক মামলায় বান্দা কারাগারে আছেন শৈলেন্দ্র। এর আগে সাটনায় প্রায় ৫.৫ কোটি টাকার কফ সিরাপ পাচার চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগেও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

মাদক মামলায় ভাই ও দেবরের গ্রেপ্তারের ঘটনায় মন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রভাব, তদারকি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খাজুরাহোতে মন্ত্রী প্রতিমা বাগরিকে সাংবাদিকেরা এ অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি বলেন, ‘জবরদস্তি কি বাত কিউ কারতে হো তুমলোগ?’ অর্থাৎ তোমরা অকারণে এসব কথা বলো কেন?

এই ঘটনার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং বিরোধী দলগুলো তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে।

ক্লিপটি পোস্ট করে কংগ্রেস লিখেছে, ‘মাদক পাচার মামলায় গ্রেপ্তার ভাইয়ের সম্পর্কে প্রশ্ন করায় দেখুন মন্ত্রীর রাগ! বিজেপি সরকারের মন্ত্রীদের স্বজনেরা এখন প্রকাশ্যেই পাচারে ধরা পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী, আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করুন— রাজ্যকে আর কতটা অপরাধের গভীরে ঠেলে দেওয়া হবে?’

সাটনা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার সকালে পঙ্কজ সিংহের মারৌনহা গ্রামের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ধানের স্তরের নিচে লুকানো চারটি বড় বস্তার মধ্যে ৪৮টি গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পঙ্কজ পুলিশকে জানান, অনিল বাগরি ও শৈলেন্দ্র সিংহ রাজাওয়াত তাঁকে এগুলো রাখতে দিয়েছিল।

এমডিপিএস আইনের তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের ১২ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভার্চুয়াল কাপলিং: তারহীন স্বয়ংক্রিয় ট্রেন-নিয়ন্ত্রণ সিস্টেমের সফল প্রয়োগ চীনের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
চীন মালবাহী ট্রেন একযোগে একটি সমন্বিত তারহীন ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালনার নতুন প্রযুক্তির সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
চীন মালবাহী ট্রেন একযোগে একটি সমন্বিত তারহীন ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালনার নতুন প্রযুক্তির সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

আরও একটি প্রযুক্তিগত সাফল্য পেল চীন। দেশটি তারহীন এক স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে একাধিক মালবাহী ট্রেনকে একই লাইনে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থেকে একযোগে চালিয়েছে। গত সোমবার চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ার বাওশেন রেলপথে এই পরীক্ষামূলক কাজ সম্পন্ন হয়।

হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, পাঁচ হাজার টন ওজনের সাতটি ট্রেন একই সঙ্গে একটি রেলপথে চলেছিল এবং তারা গতিশীলভাবে নিজেদের মধ্যেকার দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ করছিল। এর ফলে নতুন করে রেলপথ পাতার প্রয়োজন কমবে এবং অর্থও সাশ্রয় হবে।

এই ট্রেন বহর নিয়ন্ত্রণ করতে যে তারহীন ব্যবস্থাটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা তৈরি করেছে চায়না শেনহুয়া এনার্জি। এটি রাষ্ট্রায়ত্ত খনি ও জ্বালানি সংস্থা সিএইচএন এনার্জির একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। চিনা সংস্থাটি যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, তা গাড়িতে ব্যবহৃত জনপ্রিয় ‘অ্যাডভান্সড ড্রাইভার-অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম বা এডিএএস’—এর মতোই। এই প্রযুক্তিটি ‘অ্যাডাপ্টিভ ক্রুজ কন্ট্রোল’-এর সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, যা গাড়িকে গতিশীলভাবে গতি সামঞ্জস্য করতে সাহায্য করে।

সাধারণ রেল পরিচালন ব্যবস্থায়, নিরাপত্তার খাতিরে ট্রেনগুলোকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হয়। দ্রুতগামী (বা এক্সপ্রেস) এবং ভারী ট্রেনের ক্ষেত্রে, ঠিকমতো ব্রেক করার জন্য এই দূরত্ব আরও বেশি রাখতে হয়। কিন্তু চিনের এই ‘ভার্চুয়াল কাপলিং’ ব্যবস্থাটি হয়তো সেই দূরত্ব কমাতে সাহায্য করবে। কারণ, এই ব্যবস্থায় ট্রেনগুলো গতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের ব্রেকিং ক্ষমতাকে মেপে নিতে পারে।

এক বিবৃতিতে সিএইচএন এনার্জি বলেছে, ‘ট্রেন-থেকে-ভূমি এবং ট্রেন-থেকে-ট্রেন যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে এই প্রযুক্তি আপেক্ষিক গতি এবং চরম দূরত্বকে একত্রিত করে একটি দ্বি-মাত্রিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে। এর ফলে কাছাকাছি থাকা ট্রেনগুলো গতিশীলভাবে কাজ করতে পারে।’

এই নতুন ব্যবস্থাটির দৌলতে নতুন লাইন না বাড়িয়েও আরও বেশি মালগাড়ি চালানো সম্ভব হবে। পরীক্ষামূলক দৌড়ে, মালগাড়িগুলোর সম্মিলিত পণ্য বহন ক্ষমতা ছিল ৩৫ হাজার টন এবং এগুলো পৃথকভাবে চলা ট্রেনের চেয়ে অনেক কাছে থেকে চলেছে।

নিরাপদ, সুলভ এবং পরিবেশবান্ধব সুবিধার জন্য চীন মালগাড়ির নেটওয়ার্ক বাড়াতে বিস্তর বিনিয়োগ করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত পত্রিকা চায়না ডেইলির মতে, এই বছরের প্রথম তিন ত্রৈমাসিকে চীন তিন বিলিয়ন টনের বেশি পণ্য পরিবহন করেছে মালগাড়ি দিয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে সংঘাত, নিহত ৭

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই সীমান্তবর্তী একটি এলাকায় ভারী অস্ত্রশস্ত্রের বহর নিয়ে যাচ্ছে কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী। ছবি: এএফপি
সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই সীমান্তবর্তী একটি এলাকায় ভারী অস্ত্রশস্ত্রের বহর নিয়ে যাচ্ছে কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী। ছবি: এএফপি

দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে আবারও সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। থাইল্যান্ড আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, তারা তাদের ভূখণ্ড থেকে কম্বোডিয়ার সেনাদের উৎখাত করার ব্যবস্থা নিচ্ছে। সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, এখন পর্যন্ত ৭ জন নিহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

উভয় পক্ষই এই সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে। এই সংঘাতের ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল তা বানচাল হয়ে গেল। এর আগে, গত জুলাই মাসে দুই দেশই পাঁচ দিনের লড়াইয়ের জড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক প্রাণহানি এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটে।

কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার রাতভর সংঘর্ষে দুই সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। এর ফলে, সেখানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়জনে। এই লড়াইয়ে এক থাই সেনার মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে এক বিবৃতিতে থাই নৌবাহিনী বলেছে, উপকূলীয় প্রদেশ ত্রাতে থাই ভূখণ্ডের ভেতরে কম্বোডিয়ার সেনাদের উপস্থিতি টের পাওয়া গেছে। তাদের বিতাড়িত করতে সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে। যদিও বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত সোমবার গভীর রাতে বলেছেন, থাইল্যান্ডের ‘নিজ সার্বভৌমত্ব ফিরে পাওয়ার অজুহাতে বেসামরিক গ্রামগুলোতে আক্রমণ করতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করা উচিত নয়।’ এর আগে কম্বোডিয়া জানিয়েছিল, তাদের বাহিনী সুদীর্ঘ আক্রমণের মুখে পড়লেও তারা কোনো পাল্টা আঘাত করেনি।

থাই নৌবাহিনী বলেছে, কম্বোডিয়ার সীমান্তে সেনারা তাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে, তারা স্নাইপার ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করছে, সুরক্ষিত অবস্থানগুলো আরও উন্নত করছে এবং ট্রেঞ্চ বা পরিখা খনন করছে। তারা মনে করে এই সব কার্যকলাপ ‘থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্বের প্রতি একটি প্রত্যক্ষ ও গুরুতর হুমকি।’

গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ৪৮ জন নিহত হয় এবং ৩ লাখ মানুষ স্থানচ্যুত হয়। তখন ট্রাম্প মধ্যস্থতা করে যুদ্ধবিরতি ঘটিয়েছিলেন। সে সময় থাইল্যান্ড পাঁচটি সীমান্ত প্রদেশ থেকে ৪ লাখ ৩৮ হাজার সাধারণ নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছিল। কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, কয়েক লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। থাই সেনাবাহিনী বলেছিল, তাদের ১৮ জন সেনা আহত হয়েছে এবং কম্বোডিয়ার সরকার জানিয়েছে নয়জন সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন।

থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়া এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তাদের ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থল সীমান্তের অনির্ধারিত স্থানগুলোতে সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিবাদ করে আসছে। প্রাচীন মন্দির নিয়ে চলা বিতর্ক প্রায়ই জাতীয়তাবাদী উন্মাদনা বাড়িয়েছে এবং মাঝে মাঝে সশস্ত্র সংঘাতের জন্ম দিয়েছে, যার মধ্যে ২০১১ সালের এক সপ্তাহব্যাপী মারাত্মক সংঘাতও রয়েছে।

মে মাসে এক সংঘর্ষে এক কম্বোডীয় সেনার মৃত্যুর পর উত্তেজনা আবার বাড়ে। উভয় পক্ষই সীমান্তে প্রচুর সেনা জড়ো করে এবং এর ফলে কূটনৈতিক সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া ও সশস্ত্র সংঘর্ষের দিকে পরিস্থিতি গড়ায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে জাপানে আহত ৩০, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে হাজারো মানুষকে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০৭
আগামী কয়েক দিনে আরও শক্তিশালী কম্পন হতে পারে এমন সতর্কতা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ছবি: সিবিসি নিউজ
আগামী কয়েক দিনে আরও শক্তিশালী কম্পন হতে পারে এমন সতর্কতা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ছবি: সিবিসি নিউজ

জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গতকাল সোমবার রাতে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এই ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। সুনামির আশঙ্কায় হাজারো মানুষকে ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল রাত ১১টা ১৫ মিনিটে (জিএমটি ১৪:১৫) আঘাত হানা ভূমিকম্পটির উৎস ছিল উপকূল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে আওমোরি অঞ্চলের সাগরে ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৫০ কিমি (৩১ মাইল) গভীরে। ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। পরে তা প্রত্যাহার করা হয়।

ভূমিকম্পের পর কিছু এলাকায় রেলসেবা স্থগিত রাখা হয়। বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ-সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।

জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আগামী কয়েক দিনে আরও শক্তিশালী কম্পন হতে পারে এমন সতর্কতা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় অন্তত এক সপ্তাহ উচ্চ সতর্কতা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের উদ্দেশে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি বলেন, ‘ভূম্পিকম্পের প্রস্তুতি নিশ্চিত করুন। ঘরের আসবাব ঠিকমতো রাখুন। কোনো ধরনের কম্পন অনুভব করলে সঙ্গে সঙ্গে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিন।’

রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রায় ৯০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আওমোরি প্রিফেকচারাল প্রশাসন জানিয়েছে, এলাকায় প্রায় ২ হাজার ৭০০ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ইস্ট জাপান রেলওয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রেল পরিষেবাও স্থগিত করেছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সংকট ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে একটি প্রতিক্রিয়া দপ্তর খুলে জরুরি দল গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মিনোরু কিহারা।

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ এবং উদ্ধার ও ত্রাণসহ জরুরি দুর্যোগ মোকাবিলা কার্যক্রম বাস্তবায়নে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’

তোহোকু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি জানিয়েছে, তাদের হিগাশিদোরি এবং ওনাগাওয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো ধরনের সমস্যা পাওয়া যায়নি।

জাপানি কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) জানিয়েছে, ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকাতেও কোনো অস্বাভাবিকতা শনাক্ত হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১১ মার্চ পূর্ব উপকূলে ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় ফুকুশিমা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ওই ভূমিকম্পে সুনামি হয়ে হনশু দ্বীপের বিস্তীর্ণ অংশ তলিয়ে যায়। এতে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং বহু শহর মানচিত্র থেকে প্রায় মুছে যায়।

জাপান বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। দেশটি ‘রিং অব ফায়ার’-এর ওপর অবস্থান করায় বছরে প্রায় ১ হাজার ৫০০টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

এ বছরের শুরুর দিকে জাপানের ভূমিকম্প অনুসন্ধান প্যানেল জানায়, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে নানকাই ট্রাফে একটি বৃহৎ ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা ৬০-৯০ শতাংশ। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে এমন একটি কম্পনে ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হতে পারে এবং বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।

জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলজুড়ে বিস্তৃত ভূকম্পন-সক্রিয় একটি অঞ্চল নানকাই ট্রাফ। এই অঞ্চলের কাছাকাছি হওয়া ভূমিকম্পগুলোতে অতীতেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত