
পুরোনো যুদ্ধবিমানগুলো আধুনিকায়ন করার বিষয়টি বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। এমনটাই বলা হয়েছে হংকংভিত্তিক চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে চীনের তৈরি জে-১০সি সম্ভবত একটি বিকল্প হতে পারে। তবে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশন বা প্রজন্মের এই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান দেশের বহরে যোগ করা ব্যয়বহুল হবে এবং চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানের চীন সফরের পর বিষয়টি সামনে আসে। প্রতিরক্ষাবিষয়ক সংবাদ সংস্থা ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিসার্চ উইং জানিয়েছে, গত মাসে হাসান মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ‘মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার’ সংগ্রহের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আধুনিকায়নের প্রথম ধাপে ১৬টি জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান (জে-১০ সি-এর রপ্তানি সংস্করণ) কেনার কথা বিবেচনা করছে।
সফরে হাসান মাহমুদ খান চীনের ঝুহাই এয়ার শোতে অংশগ্রহণ করেন। এটি চীনের প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যিক এয়ারিয়াল প্ল্যাটফর্মের বৃহত্তম প্রদর্শনী। তবে, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর প্রধানের এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল ‘বিদ্যমান সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করা।’
এ ছাড়া, হাসান মাহমুদ খান চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল অ্যারো-টেকনোলজি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন। এই প্রতিষ্ঠান বিমান প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে।
বাংলাদেশ পাকিস্তানের পর চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র ক্রেতা এবং পাকিস্তানই প্রথম দেশ, যারা চীন থেকে জে-১০সি যুদ্ধবিমান অর্ডার করেছে। এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী চীনে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল মাল্টিরোল যুদ্ধবিমানটির কার্যক্ষমতা পর্যবেক্ষণের জন্য।
তবে ঢাকা অস্ত্র সংগ্রহে চীনের ওপর নির্ভরশীল থাকার পরও বিশ্লেষকেরা বলছেন, পুরোনো যুদ্ধবিমান প্রতিস্থাপনে জে-১০ সি-ই বাংলাদেশের একমাত্র বিকল্প নয়। মার্কিন থিংক ট্যাংক র্যান্ড করপোরেশনের জ্যেষ্ঠ আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা গবেষক টিমোথি হিথ বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জে-১০সি কেনার চেষ্টা করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর (যুদ্ধ) বিমানের পুরোনো বহর আছে এবং তাদের বিমান প্রতিস্থাপন প্রয়োজন।’
হিথ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর বর্তমানে যে পরিমাণ জে-৭ যুদ্ধবিমান আছে বহরে, তার চেয়ে কমসংখ্যক জে-১০সি কিনতে হতে পারে বাংলাদেশকে। পাশাপাশি, ঢাকা অন্যান্য যুদ্ধবিমান কেনার কথাও বিবেচনা করতে পারে। বিমান ব্যবসা নিয়ে কাজ করা প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইটগ্লোবালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বর্তমানে ৩৬টি এফ-৭ এমজি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। এফ-৭ এমজি হলো জে-৭ সিরিজের একটি সংস্করণ, যা বিশেষভাবে বাংলাদেশের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
জে-১০সি ভিগরাস ড্রাগন যুদ্ধবিমান, যা প্রায়শই আমেরিকান এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে তুলনা করা হয়—২০১৮ সালে চীনের বিমানবাহিনীতে প্রথম প্রবেশ করে। এটি জে-১০-এর একটি সংস্করণ যা চীনের উৎপাদিত ডব্লিউএস-১০বি ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত।
বাংলাদেশ চীনের তৈরি প্রশিক্ষণ বিমান যেমন কেএ-৮ এবং ট্যাংক, যুদ্ধজাহাজ ও ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ২০০৬ এবং ২০১৩ সালে চীন বাংলাদেশে ১৬টি এফ-৭ এমজি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করেছিল।
ন্যানিয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব ডিফেন্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো কলিন কোহ বলেছেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী রাশিয়ার ডিজাইন করা মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানকে তাদের ‘প্রধান যুদ্ধবিমান’ হিসেবে ব্যবহার করে। এফ-৭ এমজি হলো দ্বিতীয় সারির যুদ্ধবিমান।
কোলিন কোহ বলেন, ‘যদি বাংলাদেশ মিগ-২৯ এবং এফ-৭ প্রতিস্থাপনের কথা ভাবে, তাহলে আরও ব্যয়বহুল পশ্চিমা মডেলের বাইরে চীনা, রুশ বা এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমানের দিকে যেতে পারে দেশটি।’ তিনি আরও বলেন, তবে নিরাপত্তা খাতে ঢাকার সঙ্গে সিউলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার রপ্তানি ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ফলে চীনের জে-১০ সিরিজ একটি ‘যৌক্তিক বিকল্প’ হতে পারে বলে উল্লেখ করেন কোলিন কোহ।
সামরিক বিশ্লেষক ও চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সাবেক প্রশিক্ষক সাং জংপিং বলেন, ‘চীন বাংলাদেশ থেকে জে-১০সি অর্ডারকে স্বাগত জানাবে, তবে বাংলাদেশের জন্য এত উন্নত যুদ্ধবিমান হয়তো প্রয়োজন নেই।’ তিনি বলেন, জে-৭ প্রতিস্থাপনের জন্য এফসি-১—তৃতীয় প্রজন্মের মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান—বাংলাদেশের জন্য ‘বেস্ট চয়েস বা সেরা পছন্দ’ হতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জে-১০সি ব্যবহার করা মানে হবে ‘একটি প্রজন্ম বাদ দেওয়া।’ এ ছাড়া, জে-১০সি যুদ্ধবিমানের দাম এফসি-১-এর প্রায় দ্বিগুণ।
টিমোথি হিথ বলেন, তবে বাংলাদেশ যদি ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশন বা প্রজন্মের জে-১০ সিই বেছে নেয়, এটি ‘দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংকেত দেবে’। তবে, এটি সম্ভবত ভারতকে ক্ষুব্ধ করবে। কারণ, নয়াদিল্লি তার প্রতিবেশী দেশগুলোতে চীনের সামরিক সহযোগিতা নিয়ে বেশ সংবেদনশীল।
বাংলাদেশ যদি চীন থেকে চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনে, তবে ভারতের দ্বিতীয় প্রতিবেশী হিসেবে এই প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের মালিক হবে। বেইজিং ও নয়াদিল্লির মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।

পুরোনো যুদ্ধবিমানগুলো আধুনিকায়ন করার বিষয়টি বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। এমনটাই বলা হয়েছে হংকংভিত্তিক চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে চীনের তৈরি জে-১০সি সম্ভবত একটি বিকল্প হতে পারে। তবে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশন বা প্রজন্মের এই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান দেশের বহরে যোগ করা ব্যয়বহুল হবে এবং চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানের চীন সফরের পর বিষয়টি সামনে আসে। প্রতিরক্ষাবিষয়ক সংবাদ সংস্থা ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিসার্চ উইং জানিয়েছে, গত মাসে হাসান মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ‘মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার’ সংগ্রহের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আধুনিকায়নের প্রথম ধাপে ১৬টি জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান (জে-১০ সি-এর রপ্তানি সংস্করণ) কেনার কথা বিবেচনা করছে।
সফরে হাসান মাহমুদ খান চীনের ঝুহাই এয়ার শোতে অংশগ্রহণ করেন। এটি চীনের প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যিক এয়ারিয়াল প্ল্যাটফর্মের বৃহত্তম প্রদর্শনী। তবে, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর প্রধানের এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল ‘বিদ্যমান সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করা।’
এ ছাড়া, হাসান মাহমুদ খান চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল অ্যারো-টেকনোলজি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন। এই প্রতিষ্ঠান বিমান প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে।
বাংলাদেশ পাকিস্তানের পর চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র ক্রেতা এবং পাকিস্তানই প্রথম দেশ, যারা চীন থেকে জে-১০সি যুদ্ধবিমান অর্ডার করেছে। এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী চীনে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল মাল্টিরোল যুদ্ধবিমানটির কার্যক্ষমতা পর্যবেক্ষণের জন্য।
তবে ঢাকা অস্ত্র সংগ্রহে চীনের ওপর নির্ভরশীল থাকার পরও বিশ্লেষকেরা বলছেন, পুরোনো যুদ্ধবিমান প্রতিস্থাপনে জে-১০ সি-ই বাংলাদেশের একমাত্র বিকল্প নয়। মার্কিন থিংক ট্যাংক র্যান্ড করপোরেশনের জ্যেষ্ঠ আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা গবেষক টিমোথি হিথ বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জে-১০সি কেনার চেষ্টা করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর (যুদ্ধ) বিমানের পুরোনো বহর আছে এবং তাদের বিমান প্রতিস্থাপন প্রয়োজন।’
হিথ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর বর্তমানে যে পরিমাণ জে-৭ যুদ্ধবিমান আছে বহরে, তার চেয়ে কমসংখ্যক জে-১০সি কিনতে হতে পারে বাংলাদেশকে। পাশাপাশি, ঢাকা অন্যান্য যুদ্ধবিমান কেনার কথাও বিবেচনা করতে পারে। বিমান ব্যবসা নিয়ে কাজ করা প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইটগ্লোবালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বর্তমানে ৩৬টি এফ-৭ এমজি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। এফ-৭ এমজি হলো জে-৭ সিরিজের একটি সংস্করণ, যা বিশেষভাবে বাংলাদেশের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
জে-১০সি ভিগরাস ড্রাগন যুদ্ধবিমান, যা প্রায়শই আমেরিকান এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে তুলনা করা হয়—২০১৮ সালে চীনের বিমানবাহিনীতে প্রথম প্রবেশ করে। এটি জে-১০-এর একটি সংস্করণ যা চীনের উৎপাদিত ডব্লিউএস-১০বি ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত।
বাংলাদেশ চীনের তৈরি প্রশিক্ষণ বিমান যেমন কেএ-৮ এবং ট্যাংক, যুদ্ধজাহাজ ও ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ২০০৬ এবং ২০১৩ সালে চীন বাংলাদেশে ১৬টি এফ-৭ এমজি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করেছিল।
ন্যানিয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব ডিফেন্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো কলিন কোহ বলেছেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী রাশিয়ার ডিজাইন করা মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানকে তাদের ‘প্রধান যুদ্ধবিমান’ হিসেবে ব্যবহার করে। এফ-৭ এমজি হলো দ্বিতীয় সারির যুদ্ধবিমান।
কোলিন কোহ বলেন, ‘যদি বাংলাদেশ মিগ-২৯ এবং এফ-৭ প্রতিস্থাপনের কথা ভাবে, তাহলে আরও ব্যয়বহুল পশ্চিমা মডেলের বাইরে চীনা, রুশ বা এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমানের দিকে যেতে পারে দেশটি।’ তিনি আরও বলেন, তবে নিরাপত্তা খাতে ঢাকার সঙ্গে সিউলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার রপ্তানি ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ফলে চীনের জে-১০ সিরিজ একটি ‘যৌক্তিক বিকল্প’ হতে পারে বলে উল্লেখ করেন কোলিন কোহ।
সামরিক বিশ্লেষক ও চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সাবেক প্রশিক্ষক সাং জংপিং বলেন, ‘চীন বাংলাদেশ থেকে জে-১০সি অর্ডারকে স্বাগত জানাবে, তবে বাংলাদেশের জন্য এত উন্নত যুদ্ধবিমান হয়তো প্রয়োজন নেই।’ তিনি বলেন, জে-৭ প্রতিস্থাপনের জন্য এফসি-১—তৃতীয় প্রজন্মের মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান—বাংলাদেশের জন্য ‘বেস্ট চয়েস বা সেরা পছন্দ’ হতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জে-১০সি ব্যবহার করা মানে হবে ‘একটি প্রজন্ম বাদ দেওয়া।’ এ ছাড়া, জে-১০সি যুদ্ধবিমানের দাম এফসি-১-এর প্রায় দ্বিগুণ।
টিমোথি হিথ বলেন, তবে বাংলাদেশ যদি ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশন বা প্রজন্মের জে-১০ সিই বেছে নেয়, এটি ‘দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংকেত দেবে’। তবে, এটি সম্ভবত ভারতকে ক্ষুব্ধ করবে। কারণ, নয়াদিল্লি তার প্রতিবেশী দেশগুলোতে চীনের সামরিক সহযোগিতা নিয়ে বেশ সংবেদনশীল।
বাংলাদেশ যদি চীন থেকে চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনে, তবে ভারতের দ্বিতীয় প্রতিবেশী হিসেবে এই প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের মালিক হবে। বেইজিং ও নয়াদিল্লির মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।

পুরোনো যুদ্ধবিমানগুলো আধুনিকায়ন করার বিষয়টি বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। এমনটাই বলা হয়েছে হংকংভিত্তিক চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে চীনের তৈরি জে-১০সি সম্ভবত একটি বিকল্প হতে পারে। তবে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশন বা প্রজন্মের এই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান দেশের বহরে যোগ করা ব্যয়বহুল হবে এবং চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানের চীন সফরের পর বিষয়টি সামনে আসে। প্রতিরক্ষাবিষয়ক সংবাদ সংস্থা ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিসার্চ উইং জানিয়েছে, গত মাসে হাসান মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ‘মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার’ সংগ্রহের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আধুনিকায়নের প্রথম ধাপে ১৬টি জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান (জে-১০ সি-এর রপ্তানি সংস্করণ) কেনার কথা বিবেচনা করছে।
সফরে হাসান মাহমুদ খান চীনের ঝুহাই এয়ার শোতে অংশগ্রহণ করেন। এটি চীনের প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যিক এয়ারিয়াল প্ল্যাটফর্মের বৃহত্তম প্রদর্শনী। তবে, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর প্রধানের এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল ‘বিদ্যমান সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করা।’
এ ছাড়া, হাসান মাহমুদ খান চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল অ্যারো-টেকনোলজি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন। এই প্রতিষ্ঠান বিমান প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে।
বাংলাদেশ পাকিস্তানের পর চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র ক্রেতা এবং পাকিস্তানই প্রথম দেশ, যারা চীন থেকে জে-১০সি যুদ্ধবিমান অর্ডার করেছে। এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী চীনে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল মাল্টিরোল যুদ্ধবিমানটির কার্যক্ষমতা পর্যবেক্ষণের জন্য।
তবে ঢাকা অস্ত্র সংগ্রহে চীনের ওপর নির্ভরশীল থাকার পরও বিশ্লেষকেরা বলছেন, পুরোনো যুদ্ধবিমান প্রতিস্থাপনে জে-১০ সি-ই বাংলাদেশের একমাত্র বিকল্প নয়। মার্কিন থিংক ট্যাংক র্যান্ড করপোরেশনের জ্যেষ্ঠ আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা গবেষক টিমোথি হিথ বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জে-১০সি কেনার চেষ্টা করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর (যুদ্ধ) বিমানের পুরোনো বহর আছে এবং তাদের বিমান প্রতিস্থাপন প্রয়োজন।’
হিথ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর বর্তমানে যে পরিমাণ জে-৭ যুদ্ধবিমান আছে বহরে, তার চেয়ে কমসংখ্যক জে-১০সি কিনতে হতে পারে বাংলাদেশকে। পাশাপাশি, ঢাকা অন্যান্য যুদ্ধবিমান কেনার কথাও বিবেচনা করতে পারে। বিমান ব্যবসা নিয়ে কাজ করা প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইটগ্লোবালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বর্তমানে ৩৬টি এফ-৭ এমজি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। এফ-৭ এমজি হলো জে-৭ সিরিজের একটি সংস্করণ, যা বিশেষভাবে বাংলাদেশের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
জে-১০সি ভিগরাস ড্রাগন যুদ্ধবিমান, যা প্রায়শই আমেরিকান এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে তুলনা করা হয়—২০১৮ সালে চীনের বিমানবাহিনীতে প্রথম প্রবেশ করে। এটি জে-১০-এর একটি সংস্করণ যা চীনের উৎপাদিত ডব্লিউএস-১০বি ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত।
বাংলাদেশ চীনের তৈরি প্রশিক্ষণ বিমান যেমন কেএ-৮ এবং ট্যাংক, যুদ্ধজাহাজ ও ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ২০০৬ এবং ২০১৩ সালে চীন বাংলাদেশে ১৬টি এফ-৭ এমজি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করেছিল।
ন্যানিয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব ডিফেন্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো কলিন কোহ বলেছেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী রাশিয়ার ডিজাইন করা মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানকে তাদের ‘প্রধান যুদ্ধবিমান’ হিসেবে ব্যবহার করে। এফ-৭ এমজি হলো দ্বিতীয় সারির যুদ্ধবিমান।
কোলিন কোহ বলেন, ‘যদি বাংলাদেশ মিগ-২৯ এবং এফ-৭ প্রতিস্থাপনের কথা ভাবে, তাহলে আরও ব্যয়বহুল পশ্চিমা মডেলের বাইরে চীনা, রুশ বা এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমানের দিকে যেতে পারে দেশটি।’ তিনি আরও বলেন, তবে নিরাপত্তা খাতে ঢাকার সঙ্গে সিউলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার রপ্তানি ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ফলে চীনের জে-১০ সিরিজ একটি ‘যৌক্তিক বিকল্প’ হতে পারে বলে উল্লেখ করেন কোলিন কোহ।
সামরিক বিশ্লেষক ও চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সাবেক প্রশিক্ষক সাং জংপিং বলেন, ‘চীন বাংলাদেশ থেকে জে-১০সি অর্ডারকে স্বাগত জানাবে, তবে বাংলাদেশের জন্য এত উন্নত যুদ্ধবিমান হয়তো প্রয়োজন নেই।’ তিনি বলেন, জে-৭ প্রতিস্থাপনের জন্য এফসি-১—তৃতীয় প্রজন্মের মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান—বাংলাদেশের জন্য ‘বেস্ট চয়েস বা সেরা পছন্দ’ হতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জে-১০সি ব্যবহার করা মানে হবে ‘একটি প্রজন্ম বাদ দেওয়া।’ এ ছাড়া, জে-১০সি যুদ্ধবিমানের দাম এফসি-১-এর প্রায় দ্বিগুণ।
টিমোথি হিথ বলেন, তবে বাংলাদেশ যদি ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশন বা প্রজন্মের জে-১০ সিই বেছে নেয়, এটি ‘দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংকেত দেবে’। তবে, এটি সম্ভবত ভারতকে ক্ষুব্ধ করবে। কারণ, নয়াদিল্লি তার প্রতিবেশী দেশগুলোতে চীনের সামরিক সহযোগিতা নিয়ে বেশ সংবেদনশীল।
বাংলাদেশ যদি চীন থেকে চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনে, তবে ভারতের দ্বিতীয় প্রতিবেশী হিসেবে এই প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের মালিক হবে। বেইজিং ও নয়াদিল্লির মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।

পুরোনো যুদ্ধবিমানগুলো আধুনিকায়ন করার বিষয়টি বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। এমনটাই বলা হয়েছে হংকংভিত্তিক চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে চীনের তৈরি জে-১০সি সম্ভবত একটি বিকল্প হতে পারে। তবে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশন বা প্রজন্মের এই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান দেশের বহরে যোগ করা ব্যয়বহুল হবে এবং চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানের চীন সফরের পর বিষয়টি সামনে আসে। প্রতিরক্ষাবিষয়ক সংবাদ সংস্থা ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিসার্চ উইং জানিয়েছে, গত মাসে হাসান মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ‘মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার’ সংগ্রহের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আধুনিকায়নের প্রথম ধাপে ১৬টি জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান (জে-১০ সি-এর রপ্তানি সংস্করণ) কেনার কথা বিবেচনা করছে।
সফরে হাসান মাহমুদ খান চীনের ঝুহাই এয়ার শোতে অংশগ্রহণ করেন। এটি চীনের প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যিক এয়ারিয়াল প্ল্যাটফর্মের বৃহত্তম প্রদর্শনী। তবে, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর প্রধানের এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল ‘বিদ্যমান সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করা।’
এ ছাড়া, হাসান মাহমুদ খান চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল অ্যারো-টেকনোলজি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন। এই প্রতিষ্ঠান বিমান প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে।
বাংলাদেশ পাকিস্তানের পর চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র ক্রেতা এবং পাকিস্তানই প্রথম দেশ, যারা চীন থেকে জে-১০সি যুদ্ধবিমান অর্ডার করেছে। এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী চীনে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল মাল্টিরোল যুদ্ধবিমানটির কার্যক্ষমতা পর্যবেক্ষণের জন্য।
তবে ঢাকা অস্ত্র সংগ্রহে চীনের ওপর নির্ভরশীল থাকার পরও বিশ্লেষকেরা বলছেন, পুরোনো যুদ্ধবিমান প্রতিস্থাপনে জে-১০ সি-ই বাংলাদেশের একমাত্র বিকল্প নয়। মার্কিন থিংক ট্যাংক র্যান্ড করপোরেশনের জ্যেষ্ঠ আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা গবেষক টিমোথি হিথ বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জে-১০সি কেনার চেষ্টা করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর (যুদ্ধ) বিমানের পুরোনো বহর আছে এবং তাদের বিমান প্রতিস্থাপন প্রয়োজন।’
হিথ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর বর্তমানে যে পরিমাণ জে-৭ যুদ্ধবিমান আছে বহরে, তার চেয়ে কমসংখ্যক জে-১০সি কিনতে হতে পারে বাংলাদেশকে। পাশাপাশি, ঢাকা অন্যান্য যুদ্ধবিমান কেনার কথাও বিবেচনা করতে পারে। বিমান ব্যবসা নিয়ে কাজ করা প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইটগ্লোবালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বর্তমানে ৩৬টি এফ-৭ এমজি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। এফ-৭ এমজি হলো জে-৭ সিরিজের একটি সংস্করণ, যা বিশেষভাবে বাংলাদেশের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
জে-১০সি ভিগরাস ড্রাগন যুদ্ধবিমান, যা প্রায়শই আমেরিকান এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে তুলনা করা হয়—২০১৮ সালে চীনের বিমানবাহিনীতে প্রথম প্রবেশ করে। এটি জে-১০-এর একটি সংস্করণ যা চীনের উৎপাদিত ডব্লিউএস-১০বি ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত।
বাংলাদেশ চীনের তৈরি প্রশিক্ষণ বিমান যেমন কেএ-৮ এবং ট্যাংক, যুদ্ধজাহাজ ও ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ২০০৬ এবং ২০১৩ সালে চীন বাংলাদেশে ১৬টি এফ-৭ এমজি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করেছিল।
ন্যানিয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব ডিফেন্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো কলিন কোহ বলেছেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী রাশিয়ার ডিজাইন করা মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানকে তাদের ‘প্রধান যুদ্ধবিমান’ হিসেবে ব্যবহার করে। এফ-৭ এমজি হলো দ্বিতীয় সারির যুদ্ধবিমান।
কোলিন কোহ বলেন, ‘যদি বাংলাদেশ মিগ-২৯ এবং এফ-৭ প্রতিস্থাপনের কথা ভাবে, তাহলে আরও ব্যয়বহুল পশ্চিমা মডেলের বাইরে চীনা, রুশ বা এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমানের দিকে যেতে পারে দেশটি।’ তিনি আরও বলেন, তবে নিরাপত্তা খাতে ঢাকার সঙ্গে সিউলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার রপ্তানি ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ফলে চীনের জে-১০ সিরিজ একটি ‘যৌক্তিক বিকল্প’ হতে পারে বলে উল্লেখ করেন কোলিন কোহ।
সামরিক বিশ্লেষক ও চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সাবেক প্রশিক্ষক সাং জংপিং বলেন, ‘চীন বাংলাদেশ থেকে জে-১০সি অর্ডারকে স্বাগত জানাবে, তবে বাংলাদেশের জন্য এত উন্নত যুদ্ধবিমান হয়তো প্রয়োজন নেই।’ তিনি বলেন, জে-৭ প্রতিস্থাপনের জন্য এফসি-১—তৃতীয় প্রজন্মের মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান—বাংলাদেশের জন্য ‘বেস্ট চয়েস বা সেরা পছন্দ’ হতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জে-১০সি ব্যবহার করা মানে হবে ‘একটি প্রজন্ম বাদ দেওয়া।’ এ ছাড়া, জে-১০সি যুদ্ধবিমানের দাম এফসি-১-এর প্রায় দ্বিগুণ।
টিমোথি হিথ বলেন, তবে বাংলাদেশ যদি ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশন বা প্রজন্মের জে-১০ সিই বেছে নেয়, এটি ‘দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংকেত দেবে’। তবে, এটি সম্ভবত ভারতকে ক্ষুব্ধ করবে। কারণ, নয়াদিল্লি তার প্রতিবেশী দেশগুলোতে চীনের সামরিক সহযোগিতা নিয়ে বেশ সংবেদনশীল।
বাংলাদেশ যদি চীন থেকে চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনে, তবে ভারতের দ্বিতীয় প্রতিবেশী হিসেবে এই প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের মালিক হবে। বেইজিং ও নয়াদিল্লির মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৭ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

পুরোনো যুদ্ধবিমানগুলো আধুনিকায়ন করার বিষয়টি বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। এমনটাই বলা হয়েছে হংকংভিত্তিক চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে চীনের তৈরি জে-১০সি সম্ভবত একটি বিকল্প হতে পারে।
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৭ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

পুরোনো যুদ্ধবিমানগুলো আধুনিকায়ন করার বিষয়টি বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। এমনটাই বলা হয়েছে হংকংভিত্তিক চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে চীনের তৈরি জে-১০সি সম্ভবত একটি বিকল্প হতে পারে।
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৭ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

পুরোনো যুদ্ধবিমানগুলো আধুনিকায়ন করার বিষয়টি বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। এমনটাই বলা হয়েছে হংকংভিত্তিক চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে চীনের তৈরি জে-১০সি সম্ভবত একটি বিকল্প হতে পারে।
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৬ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পুরোনো যুদ্ধবিমানগুলো আধুনিকায়ন করার বিষয়টি বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। এমনটাই বলা হয়েছে হংকংভিত্তিক চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে চীনের তৈরি জে-১০সি সম্ভবত একটি বিকল্প হতে পারে।
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৭ ঘণ্টা আগে