আজকের পত্রিকা ডেস্ক

৩ ডিসেম্বর রাত। ভিডিও গেম খেলছিলেন আন বিয়ংহুই। হঠাৎ খবর পেলেন দেশে সামরিক আইন জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট। প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। কিন্তু ইন্টারনেটে ঢুকতেই দেখেন হাজার হাজার পোস্ট। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের হঠাৎ ঘোষণা, সংসদ ভবনের জানালায় সৈন্যদের লাথি ও সংসদ সদস্যদের দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করার সেই বিখ্যাত দৃশ্য—সবই ততক্ষণে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।
প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাস্তায় নেমে আসেন লাখ লাখ মানুষ, যার একটি বড় অংশ দক্ষিণ কোরিয়ার তরুণীরা। আন বিয়ংহুইও যোগ দেন ওই বিক্ষোভে। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার দেগু শহরের বাসিন্দা। কয়েক মাইল হেঁটে পাড়ি দিয়ে রাজধানী সিউলে গিয়ে আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। কেবল ইউনের সামরিক আইন জারির ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই ক্ষুব্ধ নন এই নারীরা, বরং এমন এক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তাঁরা এককাট্টা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, যিনি বারবার বলার চেষ্টা করেছেন যে দক্ষিণ কোরিয়ায় কোনো লিঙ্গবৈষম্য নেই। তবে বাস্তবতা কি আসলেই ইউনের বক্তব্যকে সমর্থন করে?
দেশটির নারীদের ভাষ্যমতে ও সাম্প্রতিক জরিপ অনুসারে, প্রকৃত চিত্র বরং উল্টো। নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও সহিংসতার ঘটনা বেশ নিয়মিতই। নাটকীয় চার মাস পর যখন ইউন অভিশংসিত হন, তখন আনন্দে ফেটে পড়েন আন্দোলনে অংশ নেওয়া এই নারীরা। কিন্তু ৩ জুন, আসন্ন নির্বাচন ঘিরে যখন দেশে প্রস্তুতি চলছে, তখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যেন আবার অদৃশ্য হয়ে পড়েন নারীরা।
নারীদের অভিযোগ, প্রধান দুই প্রার্থীই নারীর সমতার প্রশ্নে নীরব। নারীদের অধিকারের বিষয়ে ২০২২ সালের নির্বাচনে অভিশংসিত ইউনের অবস্থানও একই রকম ছিল। তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘অতিরিক্ত নারীবাদী’ এই সমাজে তিনি পুরুষের পক্ষ নেবেন।
এবারের নির্বাচনে প্রধান দুই প্রার্থীর বাইরে তৃতীয় আরেক প্রার্থীও মনোযোগ কাড়ছেন। নারীবিরোধী স্পষ্ট অবস্থানের কারণে তিনি তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
নতুন এই প্রার্থীর এমন জনপ্রিয়তা দক্ষিণ কোরীয় তরুণীদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে নতুন এক লড়াই হিসেবে। ২৪ বছর বয়সী বিয়ংহুই বলেন, ‘আমরা তো ভেবেছিলাম, ইউন-বিরোধী সমাবেশে গিয়ে আমরা পৃথিবীকে একটু হলেও বদলাতে পেরেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, কিছুই বদলায়নি, নারীর কণ্ঠরোধের চেষ্টাই অব্যাহত।’
ইউনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন যে নারীরা
বিয়ংহুই যখন সিউলের জনস্রোতে পৌঁছান, চারপাশের দৃশ্য তাঁকে স্তব্ধ করে দেয়। হাড়কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে হাজারো নারী রাস্তায় নামেন—হুডি জ্যাকেট গায়ে চেপে হাতে লাইটস্টিক আর ব্যানার নিয়ে জোর গলায় স্লোগান দেন তাঁরা। তাঁদের কণ্ঠে ছিল একটাই দাবি—প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের পদত্যাগ।
বিয়ংহুই বলেন, ‘আমার চারপাশে নানা বয়সের নারীরা ছিলেন। কিন্তু বয়স যা-ই হোক, সবার মধ্যে যেন তারুণ্য ভর করেছিল। আমরা গার্লস জেনারেশনের “ইনটু দ্য নিউ ওয়ার্ল্ড” গাইছিলাম।’ ২০০৭ সালের এই গান একসময়কার আরেক প্রেসিডেন্ট-বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক ছিল, সেই ঐতিহ্য টেনেই এবার তা হয়ে উঠেছিল ইউন-বিরোধী ক্ষোভের কণ্ঠস্বর।
নারীদের অংশগ্রহণের নির্ভরযোগ্য সরকারি পরিসংখ্যান না থাকলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চোসুন ডেইলির এক অনুসন্ধানে জানা যায়, আন্দোলনকারীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই ছিলেন ২০-৩০ বছর বয়সী নারী। বিবিসি কোরিয়ানের আরেক বিশ্লেষণ বলছে, ডিসেম্বরে একটি বিক্ষোভে সবচেয়ে বড় গোষ্ঠী ছিলেন ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারী—প্রায় ২ লাখ, যা মোট জমায়েতের ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে ওই আন্দোলনে একই বয়সের পুরুষের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ শতাংশ।
এই বিক্ষোভ ছিল এক দীর্ঘদিনের অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ—একটি সমাজে যেখানে নারীরা বছরের পর বছর ধরে বৈষম্য, হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হয়েছে, তারই ফল ছিল ওই বিক্ষোভ। ধনী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়াতেই লিঙ্গভিত্তিক মজুরিবৈষম্য সর্বোচ্চ—৩১ শতাংশ। এর পাশাপাশি দেশটিতে ক্রমশ জন্মহার কমে যাওয়ার জন্যও দায়ী করা হচ্ছে নারীদের। রাষ্ট্র ও সমাজ একযোগে তাঁদের ঘাড়ে চাপিয়েছে বিয়ের বাধ্যবাধকতা এবং সন্তান ধারণের দায়িত্ব। পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার জন্য রাজনীতিকদের পক্ষ থেকেও অব্যাহত চাপ রয়েছে।
২৩ বছর বয়সী কিম সায়েয়ন বলেন, ‘আমার জমে থাকা সব হতাশা যেন সেদিন ফেটে বেরিয়ে এসেছিল। অনেকে এসেছিলেন শুধু তাঁদের ক্ষোভ জানাতেই।’ ২৬ বছর বয়সী লি জিনহা নিয়ম করে প্রতিবাদে যেতেন। তিনি বলেন, ‘ভীষণ ঠান্ডা, বিশাল ভিড়, পায়ে ব্যথা, কাজের চাপ—সব সত্ত্বেও আমি যেতাম। কারণ মনে হতো, এটা আমার দায়িত্ব।’
ইওহা উইমেন্স ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গো মিন-হির মতে, ইউন সুক-ইওলের ‘নারীবিরোধী’ ভাবমূর্তি নতুন কিছু নয়। সুক-ইওল স্পষ্ট করে বলেছিলেন—তরুণীদের জন্য তাঁর কোনো বিশেষ নীতি নেই। অন্যদিকে ইউনের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছিলেন বহু তরুণ। তাঁদের কাছে ইউন ছিলেন এক ‘রক্ষাকর্তা’, যিনি ২০২২ সালের নির্বাচনে তাঁদের হতাশা আর ক্ষোভের রাজনৈতিক রূপ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
এই তরুণদের ভাষ্য—তাঁরা ‘বিপরীত বৈষম্যের শিকার’। তাঁরা নারীবাদীদের ‘পুরুষবিদ্বেষী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে নারীবিদ্বেষ ছড়াচ্ছিল। আর প্রেসিডেন্ট ইউনের আমলে অনলাইনে নারীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের বিদ্বেষ একধরনের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছিল। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘নারীর অধিকারে অতিরিক্ত মনোযোগী’ জেন্ডার ইকুইটি মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত করা হবে। তাঁর দাবি ছিল, দক্ষিণ কোরিয়ায় কাঠামোগত লিঙ্গবৈষম্য বলে কিছু নেই—যদিও বাস্তবতা বলছে, লিঙ্গসমতা সূচকে দেশটির অবস্থান উন্নত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিচে।
২০২১ সালের এক জরিপে দেখা যায়, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী দক্ষিণ কোরীয় পুরুষদের ৭৯ শতাংশই মনে করে, তারা তাদের লিঙ্গ পরিচয়ের কারণে ‘গভীর বৈষম্যের শিকার’। কোরিয়ান উইমেনস অ্যান্ড পলিটিকস সেন্টারের পরিচালক কিম ইউন-জু বলেন, ইউনের দল সচেতনভাবেই লিঙ্গভিত্তিক বিভাজনকে রাজনৈতিক কৌশল বানিয়েছিল। ইউনের শাসনকালে ‘নারী’ শব্দটি ছাঁটাই করা হয়েছে বহু সরকারি ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে। তরুণীদের চোখে এটি ছিল অর্জিত অধিকার কেড়ে নেওয়ার শামিল। আর এ কারণেই ইউনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল নারীদের।
বিয়ংহুই বলেন, দেগুতে তাঁর দেখা বিক্ষোভগুলোতে নারীর উপস্থিতিই ছিল সবচেয়ে বেশি। তিনি অভিযোগ করেন, আন্দোলনের সময় পুরুষেরা নারীদের গালি দিয়ে যেতেন। তিনি বলেন, তরুণদের আচরণ কেমন ছিল? তাঁরা গাড়ি চালিয়ে এসে গালি দিতেন, গা ঘেঁষে হুমকি দিয়ে যেতেন। বিক্ষোভটা যদি তরুণদের দ্বারা পরিচালিত হতো, তবে কি এমন হতো?’—প্রশ্ন করেন বিয়ংহুই।
ভোটের মাঠে নারীদের কণ্ঠ অনুপস্থিত
ইউনের পতনের পর তাঁর দল পিপল পাওয়ার পার্টি চরম বিশৃঙ্খলায় পড়ে। এবারের নির্বাচনে ১৮ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো কোনো নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নেই। গত নির্বাচনে অন্তত ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে দুজন ছিলেন নারী।
প্রধান বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির (ডিপি) লি জে-মিয়ং এগিয়ে থাকলেও নারীদের প্রতি তাঁর অবস্থান খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। সায়েন নামের এক তরুণী বলেন, ‘তাঁদের নীতিতে শুরুতে নারী ইস্যু খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। পরে এসে কিছু কিছু পরিবর্তন এনেছেন তাঁরা। কাঠামোগত বৈষম্য দূর করতে বাস্তবসম্মত কোনো পরিকল্পনা দেওয়া হোক, সেটাই আমাদের চাওয়া।’
নির্বাচনী প্রচারের শুরুতে লি বলেছিলেন, নারী-পুরুষ কেন ভাগ করছেন? সবাই তো কোরীয়। পরে সমালোচনার মুখে দল স্বীকার করে—নারীরা কাঠামোগত বৈষম্যের শিকার। এরপর তারা প্রতিশ্রুতি দেয়—সমতার জন্য বাজেট বাড়াবে।
২০২২ সালে লি ছিলেন নারীদের পক্ষে সরব; দলের অভ্যন্তরে যৌন হয়রানির ঘটনায় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নারী নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এবারে অনেকটাই চুপ তিনি। অধ্যাপক ইওহা উইমেন্স ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গো মিন-হি বলেন, লি এবার ভোট হারাতে চান না, তাই তিনি সবাইকে খুশি রাখতে চাচ্ছেন। নারীবাদ এখন ভোটে জেতার কৌশল নয়।
এই অবস্থায় তরুণীরা বঞ্চিতবোধ করছেন। সায়েন বলেন, ‘আমরা এত বড় আন্দোলন করলাম, অথচ আমাদের কণ্ঠ প্রতিফলিত হচ্ছে না।’
ভবিষ্যতের শঙ্কা ও প্রতিরোধ
ইউনের সাবেক শ্রমমন্ত্রী কিম মুন-সু জন্মহার বাড়াতে আর্থিক প্রণোদনার ওপর জোর দিয়েছেন। কিন্তু তরুণ নারীদের বক্তব্য—সমস্যা শুধু অর্থ নয়, বরং কর্মজীবন ও পরিবার সামলানোর কাঠামোগত অসাম্যই মূল বাধা, এখনো পুরো সমাজ নারীর বিরুদ্ধে।
এই কারণেই বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে নারী ও পরিবারবিষয়ক মন্ত্রণালয়—যেটি ইউন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন। এখন বিরোধী প্রার্থী লি জে-মিয়ং বলছেন, তিনি এই মন্ত্রণালয় আরও শক্তিশালী করবেন। আর কিম বলছেন, এটা বাদ দিয়ে ‘ভবিষ্যৎ যুব ও পরিবার মন্ত্রণালয়’ গঠন করবেন। এই মন্ত্রণালয়ের বাজেটও খুবই ছোট—সরকারের পুরো বাজেটের মাত্র ০ দশমিক ২ শতাংশ। এর মধ্যে লিঙ্গ সমতার পেছনে খরচ হয় মাত্র ৭ শতাংশ।
অধ্যাপক গো মিন-হি বলেন, মন্ত্রণালয়টি ছোট হলেও এটা একটা বড় বার্তা দেয়। কিন্তু এটি একেবারে তুলে দেওয়ার অর্থ—লিঙ্গসমতা রাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বহীন।
আরেক প্রার্থী লি জুন-সক—ইউনের সাবেক দলের নেতা—এই মন্ত্রণালয়ের বিরোধিতা করছেন। এখন তিনি নিজের রিফর্ম পার্টি খুলেছেন। যদিও নির্বাচনে এগিয়ে নেই তাঁর দল, তবে তরুণদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র যিনি খোলাখুলি লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে কথা বলছেন, তিনি ৬১ বছর বয়সী কওন ইয়ং-গুক। তবে তাঁর জনপ্রিয়তা কম।
বিবিসির প্রতিবেদন অবলম্বনে

৩ ডিসেম্বর রাত। ভিডিও গেম খেলছিলেন আন বিয়ংহুই। হঠাৎ খবর পেলেন দেশে সামরিক আইন জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট। প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। কিন্তু ইন্টারনেটে ঢুকতেই দেখেন হাজার হাজার পোস্ট। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের হঠাৎ ঘোষণা, সংসদ ভবনের জানালায় সৈন্যদের লাথি ও সংসদ সদস্যদের দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করার সেই বিখ্যাত দৃশ্য—সবই ততক্ষণে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।
প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাস্তায় নেমে আসেন লাখ লাখ মানুষ, যার একটি বড় অংশ দক্ষিণ কোরিয়ার তরুণীরা। আন বিয়ংহুইও যোগ দেন ওই বিক্ষোভে। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার দেগু শহরের বাসিন্দা। কয়েক মাইল হেঁটে পাড়ি দিয়ে রাজধানী সিউলে গিয়ে আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। কেবল ইউনের সামরিক আইন জারির ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই ক্ষুব্ধ নন এই নারীরা, বরং এমন এক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তাঁরা এককাট্টা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, যিনি বারবার বলার চেষ্টা করেছেন যে দক্ষিণ কোরিয়ায় কোনো লিঙ্গবৈষম্য নেই। তবে বাস্তবতা কি আসলেই ইউনের বক্তব্যকে সমর্থন করে?
দেশটির নারীদের ভাষ্যমতে ও সাম্প্রতিক জরিপ অনুসারে, প্রকৃত চিত্র বরং উল্টো। নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও সহিংসতার ঘটনা বেশ নিয়মিতই। নাটকীয় চার মাস পর যখন ইউন অভিশংসিত হন, তখন আনন্দে ফেটে পড়েন আন্দোলনে অংশ নেওয়া এই নারীরা। কিন্তু ৩ জুন, আসন্ন নির্বাচন ঘিরে যখন দেশে প্রস্তুতি চলছে, তখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যেন আবার অদৃশ্য হয়ে পড়েন নারীরা।
নারীদের অভিযোগ, প্রধান দুই প্রার্থীই নারীর সমতার প্রশ্নে নীরব। নারীদের অধিকারের বিষয়ে ২০২২ সালের নির্বাচনে অভিশংসিত ইউনের অবস্থানও একই রকম ছিল। তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘অতিরিক্ত নারীবাদী’ এই সমাজে তিনি পুরুষের পক্ষ নেবেন।
এবারের নির্বাচনে প্রধান দুই প্রার্থীর বাইরে তৃতীয় আরেক প্রার্থীও মনোযোগ কাড়ছেন। নারীবিরোধী স্পষ্ট অবস্থানের কারণে তিনি তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
নতুন এই প্রার্থীর এমন জনপ্রিয়তা দক্ষিণ কোরীয় তরুণীদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে নতুন এক লড়াই হিসেবে। ২৪ বছর বয়সী বিয়ংহুই বলেন, ‘আমরা তো ভেবেছিলাম, ইউন-বিরোধী সমাবেশে গিয়ে আমরা পৃথিবীকে একটু হলেও বদলাতে পেরেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, কিছুই বদলায়নি, নারীর কণ্ঠরোধের চেষ্টাই অব্যাহত।’
ইউনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন যে নারীরা
বিয়ংহুই যখন সিউলের জনস্রোতে পৌঁছান, চারপাশের দৃশ্য তাঁকে স্তব্ধ করে দেয়। হাড়কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে হাজারো নারী রাস্তায় নামেন—হুডি জ্যাকেট গায়ে চেপে হাতে লাইটস্টিক আর ব্যানার নিয়ে জোর গলায় স্লোগান দেন তাঁরা। তাঁদের কণ্ঠে ছিল একটাই দাবি—প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের পদত্যাগ।
বিয়ংহুই বলেন, ‘আমার চারপাশে নানা বয়সের নারীরা ছিলেন। কিন্তু বয়স যা-ই হোক, সবার মধ্যে যেন তারুণ্য ভর করেছিল। আমরা গার্লস জেনারেশনের “ইনটু দ্য নিউ ওয়ার্ল্ড” গাইছিলাম।’ ২০০৭ সালের এই গান একসময়কার আরেক প্রেসিডেন্ট-বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক ছিল, সেই ঐতিহ্য টেনেই এবার তা হয়ে উঠেছিল ইউন-বিরোধী ক্ষোভের কণ্ঠস্বর।
নারীদের অংশগ্রহণের নির্ভরযোগ্য সরকারি পরিসংখ্যান না থাকলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চোসুন ডেইলির এক অনুসন্ধানে জানা যায়, আন্দোলনকারীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই ছিলেন ২০-৩০ বছর বয়সী নারী। বিবিসি কোরিয়ানের আরেক বিশ্লেষণ বলছে, ডিসেম্বরে একটি বিক্ষোভে সবচেয়ে বড় গোষ্ঠী ছিলেন ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারী—প্রায় ২ লাখ, যা মোট জমায়েতের ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে ওই আন্দোলনে একই বয়সের পুরুষের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ শতাংশ।
এই বিক্ষোভ ছিল এক দীর্ঘদিনের অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ—একটি সমাজে যেখানে নারীরা বছরের পর বছর ধরে বৈষম্য, হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হয়েছে, তারই ফল ছিল ওই বিক্ষোভ। ধনী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়াতেই লিঙ্গভিত্তিক মজুরিবৈষম্য সর্বোচ্চ—৩১ শতাংশ। এর পাশাপাশি দেশটিতে ক্রমশ জন্মহার কমে যাওয়ার জন্যও দায়ী করা হচ্ছে নারীদের। রাষ্ট্র ও সমাজ একযোগে তাঁদের ঘাড়ে চাপিয়েছে বিয়ের বাধ্যবাধকতা এবং সন্তান ধারণের দায়িত্ব। পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার জন্য রাজনীতিকদের পক্ষ থেকেও অব্যাহত চাপ রয়েছে।
২৩ বছর বয়সী কিম সায়েয়ন বলেন, ‘আমার জমে থাকা সব হতাশা যেন সেদিন ফেটে বেরিয়ে এসেছিল। অনেকে এসেছিলেন শুধু তাঁদের ক্ষোভ জানাতেই।’ ২৬ বছর বয়সী লি জিনহা নিয়ম করে প্রতিবাদে যেতেন। তিনি বলেন, ‘ভীষণ ঠান্ডা, বিশাল ভিড়, পায়ে ব্যথা, কাজের চাপ—সব সত্ত্বেও আমি যেতাম। কারণ মনে হতো, এটা আমার দায়িত্ব।’
ইওহা উইমেন্স ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গো মিন-হির মতে, ইউন সুক-ইওলের ‘নারীবিরোধী’ ভাবমূর্তি নতুন কিছু নয়। সুক-ইওল স্পষ্ট করে বলেছিলেন—তরুণীদের জন্য তাঁর কোনো বিশেষ নীতি নেই। অন্যদিকে ইউনের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছিলেন বহু তরুণ। তাঁদের কাছে ইউন ছিলেন এক ‘রক্ষাকর্তা’, যিনি ২০২২ সালের নির্বাচনে তাঁদের হতাশা আর ক্ষোভের রাজনৈতিক রূপ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
এই তরুণদের ভাষ্য—তাঁরা ‘বিপরীত বৈষম্যের শিকার’। তাঁরা নারীবাদীদের ‘পুরুষবিদ্বেষী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে নারীবিদ্বেষ ছড়াচ্ছিল। আর প্রেসিডেন্ট ইউনের আমলে অনলাইনে নারীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের বিদ্বেষ একধরনের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছিল। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘নারীর অধিকারে অতিরিক্ত মনোযোগী’ জেন্ডার ইকুইটি মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত করা হবে। তাঁর দাবি ছিল, দক্ষিণ কোরিয়ায় কাঠামোগত লিঙ্গবৈষম্য বলে কিছু নেই—যদিও বাস্তবতা বলছে, লিঙ্গসমতা সূচকে দেশটির অবস্থান উন্নত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিচে।
২০২১ সালের এক জরিপে দেখা যায়, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী দক্ষিণ কোরীয় পুরুষদের ৭৯ শতাংশই মনে করে, তারা তাদের লিঙ্গ পরিচয়ের কারণে ‘গভীর বৈষম্যের শিকার’। কোরিয়ান উইমেনস অ্যান্ড পলিটিকস সেন্টারের পরিচালক কিম ইউন-জু বলেন, ইউনের দল সচেতনভাবেই লিঙ্গভিত্তিক বিভাজনকে রাজনৈতিক কৌশল বানিয়েছিল। ইউনের শাসনকালে ‘নারী’ শব্দটি ছাঁটাই করা হয়েছে বহু সরকারি ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে। তরুণীদের চোখে এটি ছিল অর্জিত অধিকার কেড়ে নেওয়ার শামিল। আর এ কারণেই ইউনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল নারীদের।
বিয়ংহুই বলেন, দেগুতে তাঁর দেখা বিক্ষোভগুলোতে নারীর উপস্থিতিই ছিল সবচেয়ে বেশি। তিনি অভিযোগ করেন, আন্দোলনের সময় পুরুষেরা নারীদের গালি দিয়ে যেতেন। তিনি বলেন, তরুণদের আচরণ কেমন ছিল? তাঁরা গাড়ি চালিয়ে এসে গালি দিতেন, গা ঘেঁষে হুমকি দিয়ে যেতেন। বিক্ষোভটা যদি তরুণদের দ্বারা পরিচালিত হতো, তবে কি এমন হতো?’—প্রশ্ন করেন বিয়ংহুই।
ভোটের মাঠে নারীদের কণ্ঠ অনুপস্থিত
ইউনের পতনের পর তাঁর দল পিপল পাওয়ার পার্টি চরম বিশৃঙ্খলায় পড়ে। এবারের নির্বাচনে ১৮ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো কোনো নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নেই। গত নির্বাচনে অন্তত ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে দুজন ছিলেন নারী।
প্রধান বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির (ডিপি) লি জে-মিয়ং এগিয়ে থাকলেও নারীদের প্রতি তাঁর অবস্থান খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। সায়েন নামের এক তরুণী বলেন, ‘তাঁদের নীতিতে শুরুতে নারী ইস্যু খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। পরে এসে কিছু কিছু পরিবর্তন এনেছেন তাঁরা। কাঠামোগত বৈষম্য দূর করতে বাস্তবসম্মত কোনো পরিকল্পনা দেওয়া হোক, সেটাই আমাদের চাওয়া।’
নির্বাচনী প্রচারের শুরুতে লি বলেছিলেন, নারী-পুরুষ কেন ভাগ করছেন? সবাই তো কোরীয়। পরে সমালোচনার মুখে দল স্বীকার করে—নারীরা কাঠামোগত বৈষম্যের শিকার। এরপর তারা প্রতিশ্রুতি দেয়—সমতার জন্য বাজেট বাড়াবে।
২০২২ সালে লি ছিলেন নারীদের পক্ষে সরব; দলের অভ্যন্তরে যৌন হয়রানির ঘটনায় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নারী নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এবারে অনেকটাই চুপ তিনি। অধ্যাপক ইওহা উইমেন্স ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গো মিন-হি বলেন, লি এবার ভোট হারাতে চান না, তাই তিনি সবাইকে খুশি রাখতে চাচ্ছেন। নারীবাদ এখন ভোটে জেতার কৌশল নয়।
এই অবস্থায় তরুণীরা বঞ্চিতবোধ করছেন। সায়েন বলেন, ‘আমরা এত বড় আন্দোলন করলাম, অথচ আমাদের কণ্ঠ প্রতিফলিত হচ্ছে না।’
ভবিষ্যতের শঙ্কা ও প্রতিরোধ
ইউনের সাবেক শ্রমমন্ত্রী কিম মুন-সু জন্মহার বাড়াতে আর্থিক প্রণোদনার ওপর জোর দিয়েছেন। কিন্তু তরুণ নারীদের বক্তব্য—সমস্যা শুধু অর্থ নয়, বরং কর্মজীবন ও পরিবার সামলানোর কাঠামোগত অসাম্যই মূল বাধা, এখনো পুরো সমাজ নারীর বিরুদ্ধে।
এই কারণেই বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে নারী ও পরিবারবিষয়ক মন্ত্রণালয়—যেটি ইউন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন। এখন বিরোধী প্রার্থী লি জে-মিয়ং বলছেন, তিনি এই মন্ত্রণালয় আরও শক্তিশালী করবেন। আর কিম বলছেন, এটা বাদ দিয়ে ‘ভবিষ্যৎ যুব ও পরিবার মন্ত্রণালয়’ গঠন করবেন। এই মন্ত্রণালয়ের বাজেটও খুবই ছোট—সরকারের পুরো বাজেটের মাত্র ০ দশমিক ২ শতাংশ। এর মধ্যে লিঙ্গ সমতার পেছনে খরচ হয় মাত্র ৭ শতাংশ।
অধ্যাপক গো মিন-হি বলেন, মন্ত্রণালয়টি ছোট হলেও এটা একটা বড় বার্তা দেয়। কিন্তু এটি একেবারে তুলে দেওয়ার অর্থ—লিঙ্গসমতা রাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বহীন।
আরেক প্রার্থী লি জুন-সক—ইউনের সাবেক দলের নেতা—এই মন্ত্রণালয়ের বিরোধিতা করছেন। এখন তিনি নিজের রিফর্ম পার্টি খুলেছেন। যদিও নির্বাচনে এগিয়ে নেই তাঁর দল, তবে তরুণদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র যিনি খোলাখুলি লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে কথা বলছেন, তিনি ৬১ বছর বয়সী কওন ইয়ং-গুক। তবে তাঁর জনপ্রিয়তা কম।
বিবিসির প্রতিবেদন অবলম্বনে

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

নারীদের অভিযোগ, প্রধান দুই প্রার্থীই নারীর সমতার প্রশ্নে নীরব। নারীদের অধিকারের বিষয়ে ২০২২ সালের নির্বাচনে অভিশংসিত ইউনের অবস্থানও একই রকম ছিল। তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘অতিরিক্ত নারীবাদী’ এই সমাজে তিনি পুরুষের পক্ষ নেবেন।
০১ জুন ২০২৫
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

নারীদের অভিযোগ, প্রধান দুই প্রার্থীই নারীর সমতার প্রশ্নে নীরব। নারীদের অধিকারের বিষয়ে ২০২২ সালের নির্বাচনে অভিশংসিত ইউনের অবস্থানও একই রকম ছিল। তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘অতিরিক্ত নারীবাদী’ এই সমাজে তিনি পুরুষের পক্ষ নেবেন।
০১ জুন ২০২৫
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

নারীদের অভিযোগ, প্রধান দুই প্রার্থীই নারীর সমতার প্রশ্নে নীরব। নারীদের অধিকারের বিষয়ে ২০২২ সালের নির্বাচনে অভিশংসিত ইউনের অবস্থানও একই রকম ছিল। তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘অতিরিক্ত নারীবাদী’ এই সমাজে তিনি পুরুষের পক্ষ নেবেন।
০১ জুন ২০২৫
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৩ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নারীদের অভিযোগ, প্রধান দুই প্রার্থীই নারীর সমতার প্রশ্নে নীরব। নারীদের অধিকারের বিষয়ে ২০২২ সালের নির্বাচনে অভিশংসিত ইউনের অবস্থানও একই রকম ছিল। তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘অতিরিক্ত নারীবাদী’ এই সমাজে তিনি পুরুষের পক্ষ নেবেন।
০১ জুন ২০২৫
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে