
তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসে নারীদের ঘরের বাইরে অর্থাৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ধরনের নিয়মের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কয়েকজন নারী। কাবুলসহ আফগানিস্তানের বড় শহরগুলোতে যে নারীরা খাদ্য, কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন তাঁদের ওপর নেমে আসে তালেবানদের নির্মম অত্যাচার। প্রতিবাদকারী তিন আফগান নারীর কথা বলা হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
কাবুলের রাজপথে প্রতিবাদ
গত ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবান জঙ্গিরা কাবুল দখল করলে জাকিয়ার (ছদ্মনাম) জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী জাকিয়া চাকরি হারান তালেবান ক্ষমতায় আসার পর। এক বছরেরও বেশি সময় পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিক্ষোভে অংশ নেন তিনি। কাজ এবং শিক্ষার অধিকার হারানোর পর ক্ষোভ প্রকাশ করার প্রথম সুযোগ ছিল সেটি।
বিক্ষোভকারীরা কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে মিছিল করছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই তাঁদের থামিয়ে দেওয়া হয়। উচ্চ স্বরে স্লোগান দেওয়া জাকিয়াকে আটক করে তালেবান সশস্ত্র পুলিশ।
সেদিনের কথা মনে করে জাকিয়া বলেন, ‘তাদের (তালেবান পুলিশ) মধ্যে একজন তার বন্দুকটি আমার মুখের সামনে তুলে বলেছিল, আমি চুপ না করলে সেখানেই আমাকে মেরে ফেলা হবে।’
জাকিয়া সহকর্মী বিক্ষোভকারীদের একটি গাড়িতে উঠতে দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিরোধ করেছি। তারা আমার বাহু মুচড়ে দিচ্ছিল। আমাকে তালেবানরা তাদের গাড়িতে ওঠাতে টানছিল। অন্যদিকে, আমার সঙ্গের বিক্ষোভকারীরা আমাকে ধরে রাখার চেষ্টা করছিল।’
শেষ পর্যন্ত জাকিয়া পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন তিনি যা দেখেছিল, তা তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য আতঙ্কিত করে রেখেছিল। তিনি বলেন, ‘এই সহিংসতা বদ্ধ দরজার আড়ালে হয়নি, হয়েছিল রাজধানী কাবুলের রাস্তায় সবার সামনে।’
গ্রেপ্তার ও অত্যাচার
অনেক আফগান বিক্ষোভকারীর মধ্যে ছিলেন মরিয়ম (ছদ্মনাম) এবং ২৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী পারওয়ানা ইব্রাহিমখাইল নিজরাবি—যাঁদের তালেবানরা আটক করেছিল। বিধবা এবং সন্তানদের জন্য একমাত্র উপার্জনকারী হিসেবে মরিয়মের ভয় ছিল, চাকরি হারালে তাঁর সন্তানদের নিয়ে তিনি কী করবেন।
তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিক্ষোভে যোগ দেন। সঙ্গের বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার হতে দেখে তিনি পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সময়মতো পালিয়ে যেতে পারেননি। মরিয়ম বলেন, ‘আমাকে জোর করে ট্যাক্সি থেকে বের করে এনে তারা আমার ব্যাগ তল্লাশি করে এবং আমার ফোন খুঁজে পেয়েছিল।’
তালেবান কর্মকর্তাদের ফোনের পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মারধর করা হয় মরিয়মকে। তাঁকে এতই জোরে মারা হয় যে মরিয়মের মনে হয়েছিল তাঁর কানের পর্দা বুঝি ফেটে গেছে। তালেবানরা তখন তাঁর ফোনে ছবি ও ভিডিও দেখে আরও রেগে যায়।
মরিয়ম বলেন, ‘তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার চুল টেনে ধরেছিল। তারা আমার হাত ও পা ধরে আমাকে তাদের রেঞ্জারের পেছনে ফেলে দেয়। আমাকে অপমানজনক ভাষায় ডাকছিল। তারা আমাকে হাতকড়া পরিয়ে দেয় এবং আমার মাথা ঢেকে দেয় একটি কালো ব্যাগ দিয়ে। আমি শ্বাস নিতে পারছিলাম না।’
এক মাস পর পারওয়ানাও তালেবানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন। শিক্ষার্থীদের একটি দল নিয়ে বেশ কয়েকটি মিছিলের আয়োজন করেন তিনি। এরপর তাঁর ওপরেও নেমে আসে অত্যাচার। পারওয়ানা বলেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই তারা আমাকে নির্যাতন শুরু করে।’
পারওয়ানাকে গাড়িতে তুলে দুই পুরুষ সশস্ত্র প্রহরীর মধ্যে বসানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘যখন আমি সেখানে বসতে অস্বীকৃতি জানাই, তারা আমাকে সামনের দিকে নিয়ে যায়, মাথা একটি কম্বলে ঢেকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে নড়াচড়া করতে নিষেধ করে।’
ভারী অস্ত্রধারীদের মধ্যে পারওয়ানা নিজেকে দুর্বল এবং মৃত ভাবতে শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘তারা আমাকে অনেকবার থাপ্পড় মারে। আমার মুখ অসাড় হয়ে গিয়েছিল। খুব ভয় পেয়েছিলাম, আমার সারা শরীর কাঁপছিল।’
জেলজীবন
তালেবানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন ছিলেন মরিয়ম, পারওয়ানা ও জাকিয়া। পারওয়ানা বলেছেন, তিনি কখনোই আশা করেননি তালেবানরা তাঁর সঙ্গে মানুষের মতো আচরণ করবে। তারপরও জেলে তাঁর প্রতি তালেবানের অপমানজনক আচরণ দেখে হতবাক হয়ে যান।
জেলে প্রথম খাবার তাঁকে বিস্মিত ও ভীত করেছিল। পারওয়ানা বলেন, ‘মুখের ওপর একটি ধারালো জিনিস অনুভব করি। দেখি একটি পেরেক। ছুড়ে ফেলেছিলাম।’
এরপর খাবারের মধ্যে তিনি চুল ও পাথর খুঁজে পান। পাথর ছুড়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল পারওয়ানাকে। এরপর দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকেন তিনি। ২৩ বছর বয়সী পারওয়ানার বিরুদ্ধে অনৈতিকতা, পতিতাবৃত্তি এবং পশ্চিমা সংস্কৃতি ছড়ানোর অভিযোগ এনে প্রায় এক মাস জেলে রাখা হয়।
মরিয়মকে একটি নিরাপত্তা ইউনিট জিজ্ঞাসাবাদের সময় কালো ব্যাগ দিয়ে মাথা ঢেকে রেখেছিল। মরিয়ম বলেন, ‘আমি অনেক লোকের কথা শুনতে পাচ্ছিলাম। একজন আমাকে লাথি মেরে জিজ্ঞেস করল, কে আমাকে বিক্ষোভ সংগঠিত করার জন্য অর্থ দিয়েছে। অন্যজন আমাকে ঘুষি মেরে জিজ্ঞেস করল, তুমি কার হয়ে কাজ কর।’
মরিয়ম তখন বলেছিলেন, তিনি একজন বিধবা এবং তাঁর সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য কাজের প্রয়োজন। কিন্তু এসব বলে মরিয়মের কপালে জুটেছে আরও মারধর।
স্বীকারোক্তি ও মুক্তি
মানবাধিকার সংস্থা এবং স্থানীয় প্রবীণদের হস্তক্ষেপের পর পারওয়ানা ও মরিয়ম দুজনকেই আলাদাভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা এখন আর আফগানিস্তানে বসবাস করছেন না।
অপরাধ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছিল দুজনকেই। তালেবানের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদে অংশ না নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিতে হয়েছিল তাঁদের। তাঁদের পুরুষ আত্মীয়রাও সরকারি কাগজপত্রে সই করে অঙ্গীকার করেছিলেন যে নারীরা আর কোনো প্রতিবাদে অংশ নেবে না।
বিবিসি এই অভিযোগগুলো তালেবান সরকারের সিনিয়র মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের কাছে রেখেছিলেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন, নারী বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।
স্বাভাবিক জীবনের প্রত্যাশা
ক্ষমতা দখলের পর তালেবান বলেছিল, আফগান সংস্কৃতি এবং শরিয়া আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ উপায়ে নারীরা কাজ এবং স্কুলে যাওয়া চালিয়ে যেতে পারবেন। তারা বারবার জোর দিয়ে বলেছে, ছয় বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের স্কুলে পড়ার নিষেধাজ্ঞা অস্থায়ী। কিন্তু নারীদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার কোনো দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেয়নি তালেবান সরকার।
আফগানিস্তানে ফিরে জাকিয়া অল্পবয়সী মেয়েদের পড়ালেখা শেখানোর জন্য বাসায় টিউশন সেন্টার চালু করেও ব্যর্থ হন। জাকিয়া বলেন, ‘একদল তরুণী নিয়মিতভাবে এক জায়গায় একত্রিত হওয়ায় হুমকি বোধ করছে তালেবান। তারা যা চেয়েছিল তা করতে পেরেছে। আমি আমার নিজের ঘরে বন্দী।’
এখনো তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন জাকিয়া। তবে তাঁরা কোনো প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেন না। ছদ্মনাম ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঝেমধ্যে বিবৃতি প্রকাশ করেন।
আফগানিস্তানের জন্য তাঁর স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙে পড়েন জাকিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই করতে পারি না। আমাদের আর কোনো অস্তিত্ব নেই। নারীদের জনজীবন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু আমাদের মৌলিক অধিকার চেয়েছিলাম। এই চাওয়াটা কি খুব বেশি?’

তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসে নারীদের ঘরের বাইরে অর্থাৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ধরনের নিয়মের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কয়েকজন নারী। কাবুলসহ আফগানিস্তানের বড় শহরগুলোতে যে নারীরা খাদ্য, কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন তাঁদের ওপর নেমে আসে তালেবানদের নির্মম অত্যাচার। প্রতিবাদকারী তিন আফগান নারীর কথা বলা হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
কাবুলের রাজপথে প্রতিবাদ
গত ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবান জঙ্গিরা কাবুল দখল করলে জাকিয়ার (ছদ্মনাম) জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী জাকিয়া চাকরি হারান তালেবান ক্ষমতায় আসার পর। এক বছরেরও বেশি সময় পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিক্ষোভে অংশ নেন তিনি। কাজ এবং শিক্ষার অধিকার হারানোর পর ক্ষোভ প্রকাশ করার প্রথম সুযোগ ছিল সেটি।
বিক্ষোভকারীরা কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে মিছিল করছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই তাঁদের থামিয়ে দেওয়া হয়। উচ্চ স্বরে স্লোগান দেওয়া জাকিয়াকে আটক করে তালেবান সশস্ত্র পুলিশ।
সেদিনের কথা মনে করে জাকিয়া বলেন, ‘তাদের (তালেবান পুলিশ) মধ্যে একজন তার বন্দুকটি আমার মুখের সামনে তুলে বলেছিল, আমি চুপ না করলে সেখানেই আমাকে মেরে ফেলা হবে।’
জাকিয়া সহকর্মী বিক্ষোভকারীদের একটি গাড়িতে উঠতে দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিরোধ করেছি। তারা আমার বাহু মুচড়ে দিচ্ছিল। আমাকে তালেবানরা তাদের গাড়িতে ওঠাতে টানছিল। অন্যদিকে, আমার সঙ্গের বিক্ষোভকারীরা আমাকে ধরে রাখার চেষ্টা করছিল।’
শেষ পর্যন্ত জাকিয়া পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন তিনি যা দেখেছিল, তা তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য আতঙ্কিত করে রেখেছিল। তিনি বলেন, ‘এই সহিংসতা বদ্ধ দরজার আড়ালে হয়নি, হয়েছিল রাজধানী কাবুলের রাস্তায় সবার সামনে।’
গ্রেপ্তার ও অত্যাচার
অনেক আফগান বিক্ষোভকারীর মধ্যে ছিলেন মরিয়ম (ছদ্মনাম) এবং ২৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী পারওয়ানা ইব্রাহিমখাইল নিজরাবি—যাঁদের তালেবানরা আটক করেছিল। বিধবা এবং সন্তানদের জন্য একমাত্র উপার্জনকারী হিসেবে মরিয়মের ভয় ছিল, চাকরি হারালে তাঁর সন্তানদের নিয়ে তিনি কী করবেন।
তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিক্ষোভে যোগ দেন। সঙ্গের বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার হতে দেখে তিনি পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সময়মতো পালিয়ে যেতে পারেননি। মরিয়ম বলেন, ‘আমাকে জোর করে ট্যাক্সি থেকে বের করে এনে তারা আমার ব্যাগ তল্লাশি করে এবং আমার ফোন খুঁজে পেয়েছিল।’
তালেবান কর্মকর্তাদের ফোনের পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মারধর করা হয় মরিয়মকে। তাঁকে এতই জোরে মারা হয় যে মরিয়মের মনে হয়েছিল তাঁর কানের পর্দা বুঝি ফেটে গেছে। তালেবানরা তখন তাঁর ফোনে ছবি ও ভিডিও দেখে আরও রেগে যায়।
মরিয়ম বলেন, ‘তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার চুল টেনে ধরেছিল। তারা আমার হাত ও পা ধরে আমাকে তাদের রেঞ্জারের পেছনে ফেলে দেয়। আমাকে অপমানজনক ভাষায় ডাকছিল। তারা আমাকে হাতকড়া পরিয়ে দেয় এবং আমার মাথা ঢেকে দেয় একটি কালো ব্যাগ দিয়ে। আমি শ্বাস নিতে পারছিলাম না।’
এক মাস পর পারওয়ানাও তালেবানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন। শিক্ষার্থীদের একটি দল নিয়ে বেশ কয়েকটি মিছিলের আয়োজন করেন তিনি। এরপর তাঁর ওপরেও নেমে আসে অত্যাচার। পারওয়ানা বলেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই তারা আমাকে নির্যাতন শুরু করে।’
পারওয়ানাকে গাড়িতে তুলে দুই পুরুষ সশস্ত্র প্রহরীর মধ্যে বসানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘যখন আমি সেখানে বসতে অস্বীকৃতি জানাই, তারা আমাকে সামনের দিকে নিয়ে যায়, মাথা একটি কম্বলে ঢেকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে নড়াচড়া করতে নিষেধ করে।’
ভারী অস্ত্রধারীদের মধ্যে পারওয়ানা নিজেকে দুর্বল এবং মৃত ভাবতে শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘তারা আমাকে অনেকবার থাপ্পড় মারে। আমার মুখ অসাড় হয়ে গিয়েছিল। খুব ভয় পেয়েছিলাম, আমার সারা শরীর কাঁপছিল।’
জেলজীবন
তালেবানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন ছিলেন মরিয়ম, পারওয়ানা ও জাকিয়া। পারওয়ানা বলেছেন, তিনি কখনোই আশা করেননি তালেবানরা তাঁর সঙ্গে মানুষের মতো আচরণ করবে। তারপরও জেলে তাঁর প্রতি তালেবানের অপমানজনক আচরণ দেখে হতবাক হয়ে যান।
জেলে প্রথম খাবার তাঁকে বিস্মিত ও ভীত করেছিল। পারওয়ানা বলেন, ‘মুখের ওপর একটি ধারালো জিনিস অনুভব করি। দেখি একটি পেরেক। ছুড়ে ফেলেছিলাম।’
এরপর খাবারের মধ্যে তিনি চুল ও পাথর খুঁজে পান। পাথর ছুড়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল পারওয়ানাকে। এরপর দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকেন তিনি। ২৩ বছর বয়সী পারওয়ানার বিরুদ্ধে অনৈতিকতা, পতিতাবৃত্তি এবং পশ্চিমা সংস্কৃতি ছড়ানোর অভিযোগ এনে প্রায় এক মাস জেলে রাখা হয়।
মরিয়মকে একটি নিরাপত্তা ইউনিট জিজ্ঞাসাবাদের সময় কালো ব্যাগ দিয়ে মাথা ঢেকে রেখেছিল। মরিয়ম বলেন, ‘আমি অনেক লোকের কথা শুনতে পাচ্ছিলাম। একজন আমাকে লাথি মেরে জিজ্ঞেস করল, কে আমাকে বিক্ষোভ সংগঠিত করার জন্য অর্থ দিয়েছে। অন্যজন আমাকে ঘুষি মেরে জিজ্ঞেস করল, তুমি কার হয়ে কাজ কর।’
মরিয়ম তখন বলেছিলেন, তিনি একজন বিধবা এবং তাঁর সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য কাজের প্রয়োজন। কিন্তু এসব বলে মরিয়মের কপালে জুটেছে আরও মারধর।
স্বীকারোক্তি ও মুক্তি
মানবাধিকার সংস্থা এবং স্থানীয় প্রবীণদের হস্তক্ষেপের পর পারওয়ানা ও মরিয়ম দুজনকেই আলাদাভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা এখন আর আফগানিস্তানে বসবাস করছেন না।
অপরাধ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছিল দুজনকেই। তালেবানের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদে অংশ না নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিতে হয়েছিল তাঁদের। তাঁদের পুরুষ আত্মীয়রাও সরকারি কাগজপত্রে সই করে অঙ্গীকার করেছিলেন যে নারীরা আর কোনো প্রতিবাদে অংশ নেবে না।
বিবিসি এই অভিযোগগুলো তালেবান সরকারের সিনিয়র মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের কাছে রেখেছিলেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন, নারী বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।
স্বাভাবিক জীবনের প্রত্যাশা
ক্ষমতা দখলের পর তালেবান বলেছিল, আফগান সংস্কৃতি এবং শরিয়া আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ উপায়ে নারীরা কাজ এবং স্কুলে যাওয়া চালিয়ে যেতে পারবেন। তারা বারবার জোর দিয়ে বলেছে, ছয় বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের স্কুলে পড়ার নিষেধাজ্ঞা অস্থায়ী। কিন্তু নারীদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার কোনো দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেয়নি তালেবান সরকার।
আফগানিস্তানে ফিরে জাকিয়া অল্পবয়সী মেয়েদের পড়ালেখা শেখানোর জন্য বাসায় টিউশন সেন্টার চালু করেও ব্যর্থ হন। জাকিয়া বলেন, ‘একদল তরুণী নিয়মিতভাবে এক জায়গায় একত্রিত হওয়ায় হুমকি বোধ করছে তালেবান। তারা যা চেয়েছিল তা করতে পেরেছে। আমি আমার নিজের ঘরে বন্দী।’
এখনো তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন জাকিয়া। তবে তাঁরা কোনো প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেন না। ছদ্মনাম ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঝেমধ্যে বিবৃতি প্রকাশ করেন।
আফগানিস্তানের জন্য তাঁর স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙে পড়েন জাকিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই করতে পারি না। আমাদের আর কোনো অস্তিত্ব নেই। নারীদের জনজীবন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু আমাদের মৌলিক অধিকার চেয়েছিলাম। এই চাওয়াটা কি খুব বেশি?’

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১৫ মিনিট আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসে নারীদের ঘরের বাইরে অর্থাৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ধরনের নিয়মের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কয়েকজন নারী। কাবুলসহ আফগানিস্তানের বড় বড় শহরগুলোতে যে নারীরা খাদ্য, কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের ওপর
১৫ জুন ২০২৪
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম মুনির বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই তো সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য এল ঠিক এমন এক সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নোট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধান মুনিরকে পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট এই অনুমোদন দেন।
সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এখন জানাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন [...], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম মুনির বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই তো সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য এল ঠিক এমন এক সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নোট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধান মুনিরকে পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট এই অনুমোদন দেন।
সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এখন জানাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন [...], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসে নারীদের ঘরের বাইরে অর্থাৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ধরনের নিয়মের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কয়েকজন নারী। কাবুলসহ আফগানিস্তানের বড় বড় শহরগুলোতে যে নারীরা খাদ্য, কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের ওপর
১৫ জুন ২০২৪
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১৫ মিনিট আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসে নারীদের ঘরের বাইরে অর্থাৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ধরনের নিয়মের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কয়েকজন নারী। কাবুলসহ আফগানিস্তানের বড় বড় শহরগুলোতে যে নারীরা খাদ্য, কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের ওপর
১৫ জুন ২০২৪
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১৫ মিনিট আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসে নারীদের ঘরের বাইরে অর্থাৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ধরনের নিয়মের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কয়েকজন নারী। কাবুলসহ আফগানিস্তানের বড় বড় শহরগুলোতে যে নারীরা খাদ্য, কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের ওপর
১৫ জুন ২০২৪
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১৫ মিনিট আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে