
উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিমের নামেই তাঁর নাম। চলতি বছরের শুরুর দিকে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও ভাইয়ের পরিবার সহ দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছেন তিনি। তবে এমন একটি পথ ব্যবহার করে পরিবারটি পালিয়েছিল—স্বাভাবিক চিন্তায় যা অসম্ভব মনে হবে যে কারও কাছে।
পরিবার নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করা কিমের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করেছিলেন বিবিসির সিউল প্রতিনিধি জিন ম্যাকিঞ্জি। পরে তাঁর কাছে পালানোর রুদ্ধশ্বাস ঘটনাটি বর্ণনা করেন কিম। এ বিষয়ে বুধবার ম্যাকিঞ্জির লেখা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর কিমের পরিবারই প্রথম উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছে। দুর্যোগময় এক রাতে পালিয়েছিল পরিবারটি। দক্ষিণ দিক থেকে ধেয়ে আসছিল প্রচণ্ড বাতাস; এক সময় তা ঝড়ে রূপ নেয়। তবে ঝড়ো এমন রাতই কিমের পরিকল্পনার অংশ ছিল। তিনি আশা করেছিলেন, সমুদ্র উত্তাল থাকলে নজরদারি জাহাজগুলোও কিছুটা এলোমেলো থাকবে। আর এই সুযোগটিকেই কাজে লাগাতে হবে।
পালানোর সেই দিনটির জন্য কিম বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছিলেন, আর কয়েক মাস ধরে এর পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন।
পালানোর দিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কিমের ভাইয়ের সন্তানেরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। কারণ তাদের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন কিম, যেন পথে শিশুরা কোনো আওয়াজ না করে। অন্ধকারে সবাইকে নিয়ে কিম ও তাঁর ভাই এমন একটি পথ দিয়ে সমুদ্রের দিকে যাচ্ছিলেন যেখানে পুঁতে রাখা ছিল অসংখ্য মাইন। এ ছাড়াও ঘুরে ঘুরে তাঁদের দিকে আসছিল রক্ষীদের সার্চলাইটের আলো। ফলে খুব সাবধানে মাইন আর সার্চ লাইটের আলোকে পাশ কাটিয়ে পরিবার নিয়ে এগিয়ে চলেন তাঁরা। সমুদ্রের পাড়েই একটি আড়ালে তাঁদের ছোট্ট একটি কাঠের নৌকা বাঁধা ছিল।
নৌকায় পৌঁছেই বাচ্চাদেরকে তাঁরা শস্য রাখার কয়েকটি বস্তায় ঢুকিয়ে ফেলেন। দেখে মনে হচ্ছিল, বস্তাগুলোর ভেতরে কোনো মালামাল রাখা আছে। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য কিম ও তাঁর ভাইয়ের কাছে ছিল দুটি তলোয়ার। আর তাঁদের স্ত্রী ও মায়ের কাছে ছিল বিষ। এ ছাড়াও ডিমের কয়েকটি ফাঁকা খোসার ভেতরে তাঁরা মরিচের গুঁড়া ভরে নিয়েছিলেন এই ভেবে যে—রক্ষীদের কাছে ধরা পড়ে গেলে তাঁদের মুখে এগুলো ছুড়ে দিয়ে আত্মরক্ষার শেষ চেষ্টা চালানো হবে।
বয়স ত্রিশের কোঠায় এসে পরিবার নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলেও অন্তত এক দশক আগে থেকেই এই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন কিম। খুব অল্প বয়সেই নিজের দেশকে তাঁর কারাগারের মতো মনে হয়েছিল। তাই এই কারাগার ছেড়ে দক্ষিণে পালানোর স্বপ্ন দেখতেন তিনি। জীবিত অবস্থায় তাঁর বাবা তাঁকে নিয়ে প্রায় সময়ই লুকিয়ে লুকিয়ে টেলিভিশনে দক্ষিণ কোরিয়ার চ্যানেলগুলো দেখতেন। তাঁরা সীমান্তের এত কাছাকাছি থাকতেন যে-দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কিছু চ্যানেল টিভিতে দেখা যেত। টিভিতে দেখা দক্ষিণের মানুষগুলোকে মুক্ত মানুষ মনে হতো। যদিও দক্ষিণের চ্যানেল দেখার বিষয়টি ধরা পড়লে তাঁরা নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতেন। গত বছরের এপ্রিলে দক্ষিণ কোরিয়ার গান শোনা ও সিনেমা দেখার অপরাধে একজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে দেখেছেন কিম।
বছরের পর বছর ধরে উত্তর কোরিয়া থেকে পালানোর চিন্তা করলেও কিম কখনোই তাঁর পরিবারকে ফেলে রেখে যাওয়ার চিন্তা করেননি। তবে এই বিষয়টি পরিবারের কারও কাছেই তিনি প্রকাশ করেননি। ২০২২ সালেই প্রথম পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় পরিবারের সদস্যদের রাজি করানোর কথা ভাবেন তিনি। এ জন্য প্রথমেই তিনি তাঁর ভাইকে টার্গেট করেন। স্ত্রীকে নিয়ে ভাই অবৈধ সামুদ্রিক খাবারের একটি ব্যবসা পরিচালনা করতেন। পরে এই ধরনের ব্যবসায় রাষ্ট্রীয় কড়াকড়ি শুরু হলে তাঁর আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় তাঁকে সহজেই রাজি করাতে সক্ষম হয় কিম।
পরবর্তী সাত মাস ধরে তাঁরা তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য খুব সাবধানে কাজ শুরু করেন। কাছাকাছি এলাকায় যেসব কোস্টগার্ড ও নিরাপত্তারক্ষী টহল দেয় কিম তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে শুরু করেন। গোপনে তাদের গতিবিধি, কাজের ধরন এবং শিফট বদলের বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে থাকেন। এভাবে একসময় তাঁরা পালিয়ে যেতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।
তবে এই পর্যায়ে এসে কিমের কাছে সবচেয়ে কঠিন কাজটি ছিল তাঁর বৃদ্ধ মা এবং স্ত্রীকে রাজি করানো। জানানোর পর দুজনই এর বিরোধিতা করেছিলেন। বিশেষ করে মা। পরে অবশ্য অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে মাকে রাজি করান দুই ভাই।
আরেকটি বিষয় হলো—তত দিনে গর্ভধারণ করেছিলেন কিমের স্ত্রী। ফলে পালানোর ক্ষেত্রে এটি একটি প্রতিবন্ধকতা ছিল। যদিও অনাগত সন্তানের ভবিষ্যতের কথা বলেই শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে রাজি করান কিম।
তারপর থেকেই একটি ঝড়ো রাতের জন্য অপেক্ষা করছিল পরিবারটি। গত ৬ মে ছিল তেমনই একটি রাত। সেই রাতে মাইনভূমি পেরিয়ে নৌকা নিয়ে তাঁরা উত্তাল সমুদ্রে রওনা করেন দক্ষিণ কোরিয়া অভিমুখে। উত্তর কোরিয়ার সীমানায় থাকা অবস্থায় নৌকার ইঞ্জিনের কোনো শব্দই পাচ্ছিলেন না কিম। এর বদলে থর থর করা হৃৎপিণ্ডের শব্দ শুনছিলেন শুধু। কারণ সামনেই দেখা যাচ্ছে মুক্তি। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগে ধরা পড়ে গেলেই পরিবারের সবার নিশ্চিত মৃত্যু। ঘেমে একাকার হয়ে গিয়েছিলেন কিম।
ভয়ংকর বিষয় হলো—শেষ মুহূর্তে তাঁদের নৌকাটির দিকে একটি জাহাজ এগিয়ে আসতে দেখেছিল কিম। কিন্তু এটি শেষ পর্যন্ত তাঁদের আর ধরতে পারেনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা উত্তর পেরিয়ে দক্ষিণের জলসীমায় পৌঁছে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নপিয়ং দ্বীপের কাছাকাছি গিয়ে তাঁরা নৌকার আলো জ্বালিয়ে দেন। দেশটির নৌবাহিনী তাঁদের উদ্ধার করে। পরে অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দাদের জেরার মুখে পড়েন তারা। একপর্যায়ে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে—কিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচর নন।
উত্তর কোরিয়া থেকে কেউ দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে গেলে তাঁকে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়। মূলত দক্ষিণের জীবন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই কেন্দ্রে। কিমের পরিবারটি গত অক্টোবরে পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। কিমের স্ত্রী ইতিমধ্যে একটি সন্তান প্রসব করেছেন। তিনি এখন অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছেন। তবে কিমের মা সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যস্ত রাস্তা, পাতাল রেল এসবের মাঝে প্রায় সময়ই তিনি খেই হারিয়ে ফেলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে উত্তর কোরিয়ার জীবনই তাঁর কাছে সহজ মনে হয়।
এদিকে টেলিভিশন দেখে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতির সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত ছিলেন বলে কিম সহজেই সবকিছু মানিয়ে নিচ্ছেন। তাঁর কাছে এখন মনে হয়—তিনি যে পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতেন সেই পৃথিবীতেই এখন তিনি বাস্তবে হেঁটে বেড়াচ্ছেন।

উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিমের নামেই তাঁর নাম। চলতি বছরের শুরুর দিকে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও ভাইয়ের পরিবার সহ দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছেন তিনি। তবে এমন একটি পথ ব্যবহার করে পরিবারটি পালিয়েছিল—স্বাভাবিক চিন্তায় যা অসম্ভব মনে হবে যে কারও কাছে।
পরিবার নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করা কিমের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করেছিলেন বিবিসির সিউল প্রতিনিধি জিন ম্যাকিঞ্জি। পরে তাঁর কাছে পালানোর রুদ্ধশ্বাস ঘটনাটি বর্ণনা করেন কিম। এ বিষয়ে বুধবার ম্যাকিঞ্জির লেখা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর কিমের পরিবারই প্রথম উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছে। দুর্যোগময় এক রাতে পালিয়েছিল পরিবারটি। দক্ষিণ দিক থেকে ধেয়ে আসছিল প্রচণ্ড বাতাস; এক সময় তা ঝড়ে রূপ নেয়। তবে ঝড়ো এমন রাতই কিমের পরিকল্পনার অংশ ছিল। তিনি আশা করেছিলেন, সমুদ্র উত্তাল থাকলে নজরদারি জাহাজগুলোও কিছুটা এলোমেলো থাকবে। আর এই সুযোগটিকেই কাজে লাগাতে হবে।
পালানোর সেই দিনটির জন্য কিম বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছিলেন, আর কয়েক মাস ধরে এর পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন।
পালানোর দিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কিমের ভাইয়ের সন্তানেরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। কারণ তাদের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন কিম, যেন পথে শিশুরা কোনো আওয়াজ না করে। অন্ধকারে সবাইকে নিয়ে কিম ও তাঁর ভাই এমন একটি পথ দিয়ে সমুদ্রের দিকে যাচ্ছিলেন যেখানে পুঁতে রাখা ছিল অসংখ্য মাইন। এ ছাড়াও ঘুরে ঘুরে তাঁদের দিকে আসছিল রক্ষীদের সার্চলাইটের আলো। ফলে খুব সাবধানে মাইন আর সার্চ লাইটের আলোকে পাশ কাটিয়ে পরিবার নিয়ে এগিয়ে চলেন তাঁরা। সমুদ্রের পাড়েই একটি আড়ালে তাঁদের ছোট্ট একটি কাঠের নৌকা বাঁধা ছিল।
নৌকায় পৌঁছেই বাচ্চাদেরকে তাঁরা শস্য রাখার কয়েকটি বস্তায় ঢুকিয়ে ফেলেন। দেখে মনে হচ্ছিল, বস্তাগুলোর ভেতরে কোনো মালামাল রাখা আছে। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য কিম ও তাঁর ভাইয়ের কাছে ছিল দুটি তলোয়ার। আর তাঁদের স্ত্রী ও মায়ের কাছে ছিল বিষ। এ ছাড়াও ডিমের কয়েকটি ফাঁকা খোসার ভেতরে তাঁরা মরিচের গুঁড়া ভরে নিয়েছিলেন এই ভেবে যে—রক্ষীদের কাছে ধরা পড়ে গেলে তাঁদের মুখে এগুলো ছুড়ে দিয়ে আত্মরক্ষার শেষ চেষ্টা চালানো হবে।
বয়স ত্রিশের কোঠায় এসে পরিবার নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলেও অন্তত এক দশক আগে থেকেই এই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন কিম। খুব অল্প বয়সেই নিজের দেশকে তাঁর কারাগারের মতো মনে হয়েছিল। তাই এই কারাগার ছেড়ে দক্ষিণে পালানোর স্বপ্ন দেখতেন তিনি। জীবিত অবস্থায় তাঁর বাবা তাঁকে নিয়ে প্রায় সময়ই লুকিয়ে লুকিয়ে টেলিভিশনে দক্ষিণ কোরিয়ার চ্যানেলগুলো দেখতেন। তাঁরা সীমান্তের এত কাছাকাছি থাকতেন যে-দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কিছু চ্যানেল টিভিতে দেখা যেত। টিভিতে দেখা দক্ষিণের মানুষগুলোকে মুক্ত মানুষ মনে হতো। যদিও দক্ষিণের চ্যানেল দেখার বিষয়টি ধরা পড়লে তাঁরা নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতেন। গত বছরের এপ্রিলে দক্ষিণ কোরিয়ার গান শোনা ও সিনেমা দেখার অপরাধে একজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে দেখেছেন কিম।
বছরের পর বছর ধরে উত্তর কোরিয়া থেকে পালানোর চিন্তা করলেও কিম কখনোই তাঁর পরিবারকে ফেলে রেখে যাওয়ার চিন্তা করেননি। তবে এই বিষয়টি পরিবারের কারও কাছেই তিনি প্রকাশ করেননি। ২০২২ সালেই প্রথম পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় পরিবারের সদস্যদের রাজি করানোর কথা ভাবেন তিনি। এ জন্য প্রথমেই তিনি তাঁর ভাইকে টার্গেট করেন। স্ত্রীকে নিয়ে ভাই অবৈধ সামুদ্রিক খাবারের একটি ব্যবসা পরিচালনা করতেন। পরে এই ধরনের ব্যবসায় রাষ্ট্রীয় কড়াকড়ি শুরু হলে তাঁর আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় তাঁকে সহজেই রাজি করাতে সক্ষম হয় কিম।
পরবর্তী সাত মাস ধরে তাঁরা তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য খুব সাবধানে কাজ শুরু করেন। কাছাকাছি এলাকায় যেসব কোস্টগার্ড ও নিরাপত্তারক্ষী টহল দেয় কিম তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে শুরু করেন। গোপনে তাদের গতিবিধি, কাজের ধরন এবং শিফট বদলের বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে থাকেন। এভাবে একসময় তাঁরা পালিয়ে যেতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।
তবে এই পর্যায়ে এসে কিমের কাছে সবচেয়ে কঠিন কাজটি ছিল তাঁর বৃদ্ধ মা এবং স্ত্রীকে রাজি করানো। জানানোর পর দুজনই এর বিরোধিতা করেছিলেন। বিশেষ করে মা। পরে অবশ্য অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে মাকে রাজি করান দুই ভাই।
আরেকটি বিষয় হলো—তত দিনে গর্ভধারণ করেছিলেন কিমের স্ত্রী। ফলে পালানোর ক্ষেত্রে এটি একটি প্রতিবন্ধকতা ছিল। যদিও অনাগত সন্তানের ভবিষ্যতের কথা বলেই শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে রাজি করান কিম।
তারপর থেকেই একটি ঝড়ো রাতের জন্য অপেক্ষা করছিল পরিবারটি। গত ৬ মে ছিল তেমনই একটি রাত। সেই রাতে মাইনভূমি পেরিয়ে নৌকা নিয়ে তাঁরা উত্তাল সমুদ্রে রওনা করেন দক্ষিণ কোরিয়া অভিমুখে। উত্তর কোরিয়ার সীমানায় থাকা অবস্থায় নৌকার ইঞ্জিনের কোনো শব্দই পাচ্ছিলেন না কিম। এর বদলে থর থর করা হৃৎপিণ্ডের শব্দ শুনছিলেন শুধু। কারণ সামনেই দেখা যাচ্ছে মুক্তি। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগে ধরা পড়ে গেলেই পরিবারের সবার নিশ্চিত মৃত্যু। ঘেমে একাকার হয়ে গিয়েছিলেন কিম।
ভয়ংকর বিষয় হলো—শেষ মুহূর্তে তাঁদের নৌকাটির দিকে একটি জাহাজ এগিয়ে আসতে দেখেছিল কিম। কিন্তু এটি শেষ পর্যন্ত তাঁদের আর ধরতে পারেনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা উত্তর পেরিয়ে দক্ষিণের জলসীমায় পৌঁছে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নপিয়ং দ্বীপের কাছাকাছি গিয়ে তাঁরা নৌকার আলো জ্বালিয়ে দেন। দেশটির নৌবাহিনী তাঁদের উদ্ধার করে। পরে অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দাদের জেরার মুখে পড়েন তারা। একপর্যায়ে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে—কিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচর নন।
উত্তর কোরিয়া থেকে কেউ দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে গেলে তাঁকে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়। মূলত দক্ষিণের জীবন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই কেন্দ্রে। কিমের পরিবারটি গত অক্টোবরে পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। কিমের স্ত্রী ইতিমধ্যে একটি সন্তান প্রসব করেছেন। তিনি এখন অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছেন। তবে কিমের মা সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যস্ত রাস্তা, পাতাল রেল এসবের মাঝে প্রায় সময়ই তিনি খেই হারিয়ে ফেলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে উত্তর কোরিয়ার জীবনই তাঁর কাছে সহজ মনে হয়।
এদিকে টেলিভিশন দেখে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতির সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত ছিলেন বলে কিম সহজেই সবকিছু মানিয়ে নিচ্ছেন। তাঁর কাছে এখন মনে হয়—তিনি যে পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতেন সেই পৃথিবীতেই এখন তিনি বাস্তবে হেঁটে বেড়াচ্ছেন।

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
১৭ মিনিট আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১২ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিমের নামেই তাঁর নাম। চলতি বছরের শুরুর দিকে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও ভাইয়ের পরিবার সহ দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছেন তিনি। তবে এমন একটি পথ ব্যবহার করে পরিবারটি পালিয়েছিল—স্বাভাবিক চিন্তায় যা অসম্ভব মনে হবে যে কারও কাছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১২ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিমের নামেই তাঁর নাম। চলতি বছরের শুরুর দিকে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও ভাইয়ের পরিবার সহ দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছেন তিনি। তবে এমন একটি পথ ব্যবহার করে পরিবারটি পালিয়েছিল—স্বাভাবিক চিন্তায় যা অসম্ভব মনে হবে যে কারও কাছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
১৭ মিনিট আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিমের নামেই তাঁর নাম। চলতি বছরের শুরুর দিকে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও ভাইয়ের পরিবার সহ দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছেন তিনি। তবে এমন একটি পথ ব্যবহার করে পরিবারটি পালিয়েছিল—স্বাভাবিক চিন্তায় যা অসম্ভব মনে হবে যে কারও কাছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
১৭ মিনিট আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১২ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিমের নামেই তাঁর নাম। চলতি বছরের শুরুর দিকে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও ভাইয়ের পরিবার সহ দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছেন তিনি। তবে এমন একটি পথ ব্যবহার করে পরিবারটি পালিয়েছিল—স্বাভাবিক চিন্তায় যা অসম্ভব মনে হবে যে কারও কাছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
১৭ মিনিট আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১২ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে