
উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিমের নামেই তাঁর নাম। চলতি বছরের শুরুর দিকে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও ভাইয়ের পরিবার সহ দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছেন তিনি। তবে এমন একটি পথ ব্যবহার করে পরিবারটি পালিয়েছিল—স্বাভাবিক চিন্তায় যা অসম্ভব মনে হবে যে কারও কাছে।
পরিবার নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করা কিমের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করেছিলেন বিবিসির সিউল প্রতিনিধি জিন ম্যাকিঞ্জি। পরে তাঁর কাছে পালানোর রুদ্ধশ্বাস ঘটনাটি বর্ণনা করেন কিম। এ বিষয়ে বুধবার ম্যাকিঞ্জির লেখা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর কিমের পরিবারই প্রথম উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছে। দুর্যোগময় এক রাতে পালিয়েছিল পরিবারটি। দক্ষিণ দিক থেকে ধেয়ে আসছিল প্রচণ্ড বাতাস; এক সময় তা ঝড়ে রূপ নেয়। তবে ঝড়ো এমন রাতই কিমের পরিকল্পনার অংশ ছিল। তিনি আশা করেছিলেন, সমুদ্র উত্তাল থাকলে নজরদারি জাহাজগুলোও কিছুটা এলোমেলো থাকবে। আর এই সুযোগটিকেই কাজে লাগাতে হবে।
পালানোর সেই দিনটির জন্য কিম বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছিলেন, আর কয়েক মাস ধরে এর পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন।
পালানোর দিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কিমের ভাইয়ের সন্তানেরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। কারণ তাদের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন কিম, যেন পথে শিশুরা কোনো আওয়াজ না করে। অন্ধকারে সবাইকে নিয়ে কিম ও তাঁর ভাই এমন একটি পথ দিয়ে সমুদ্রের দিকে যাচ্ছিলেন যেখানে পুঁতে রাখা ছিল অসংখ্য মাইন। এ ছাড়াও ঘুরে ঘুরে তাঁদের দিকে আসছিল রক্ষীদের সার্চলাইটের আলো। ফলে খুব সাবধানে মাইন আর সার্চ লাইটের আলোকে পাশ কাটিয়ে পরিবার নিয়ে এগিয়ে চলেন তাঁরা। সমুদ্রের পাড়েই একটি আড়ালে তাঁদের ছোট্ট একটি কাঠের নৌকা বাঁধা ছিল।
নৌকায় পৌঁছেই বাচ্চাদেরকে তাঁরা শস্য রাখার কয়েকটি বস্তায় ঢুকিয়ে ফেলেন। দেখে মনে হচ্ছিল, বস্তাগুলোর ভেতরে কোনো মালামাল রাখা আছে। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য কিম ও তাঁর ভাইয়ের কাছে ছিল দুটি তলোয়ার। আর তাঁদের স্ত্রী ও মায়ের কাছে ছিল বিষ। এ ছাড়াও ডিমের কয়েকটি ফাঁকা খোসার ভেতরে তাঁরা মরিচের গুঁড়া ভরে নিয়েছিলেন এই ভেবে যে—রক্ষীদের কাছে ধরা পড়ে গেলে তাঁদের মুখে এগুলো ছুড়ে দিয়ে আত্মরক্ষার শেষ চেষ্টা চালানো হবে।
বয়স ত্রিশের কোঠায় এসে পরিবার নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলেও অন্তত এক দশক আগে থেকেই এই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন কিম। খুব অল্প বয়সেই নিজের দেশকে তাঁর কারাগারের মতো মনে হয়েছিল। তাই এই কারাগার ছেড়ে দক্ষিণে পালানোর স্বপ্ন দেখতেন তিনি। জীবিত অবস্থায় তাঁর বাবা তাঁকে নিয়ে প্রায় সময়ই লুকিয়ে লুকিয়ে টেলিভিশনে দক্ষিণ কোরিয়ার চ্যানেলগুলো দেখতেন। তাঁরা সীমান্তের এত কাছাকাছি থাকতেন যে-দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কিছু চ্যানেল টিভিতে দেখা যেত। টিভিতে দেখা দক্ষিণের মানুষগুলোকে মুক্ত মানুষ মনে হতো। যদিও দক্ষিণের চ্যানেল দেখার বিষয়টি ধরা পড়লে তাঁরা নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতেন। গত বছরের এপ্রিলে দক্ষিণ কোরিয়ার গান শোনা ও সিনেমা দেখার অপরাধে একজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে দেখেছেন কিম।
বছরের পর বছর ধরে উত্তর কোরিয়া থেকে পালানোর চিন্তা করলেও কিম কখনোই তাঁর পরিবারকে ফেলে রেখে যাওয়ার চিন্তা করেননি। তবে এই বিষয়টি পরিবারের কারও কাছেই তিনি প্রকাশ করেননি। ২০২২ সালেই প্রথম পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় পরিবারের সদস্যদের রাজি করানোর কথা ভাবেন তিনি। এ জন্য প্রথমেই তিনি তাঁর ভাইকে টার্গেট করেন। স্ত্রীকে নিয়ে ভাই অবৈধ সামুদ্রিক খাবারের একটি ব্যবসা পরিচালনা করতেন। পরে এই ধরনের ব্যবসায় রাষ্ট্রীয় কড়াকড়ি শুরু হলে তাঁর আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় তাঁকে সহজেই রাজি করাতে সক্ষম হয় কিম।
পরবর্তী সাত মাস ধরে তাঁরা তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য খুব সাবধানে কাজ শুরু করেন। কাছাকাছি এলাকায় যেসব কোস্টগার্ড ও নিরাপত্তারক্ষী টহল দেয় কিম তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে শুরু করেন। গোপনে তাদের গতিবিধি, কাজের ধরন এবং শিফট বদলের বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে থাকেন। এভাবে একসময় তাঁরা পালিয়ে যেতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।
তবে এই পর্যায়ে এসে কিমের কাছে সবচেয়ে কঠিন কাজটি ছিল তাঁর বৃদ্ধ মা এবং স্ত্রীকে রাজি করানো। জানানোর পর দুজনই এর বিরোধিতা করেছিলেন। বিশেষ করে মা। পরে অবশ্য অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে মাকে রাজি করান দুই ভাই।
আরেকটি বিষয় হলো—তত দিনে গর্ভধারণ করেছিলেন কিমের স্ত্রী। ফলে পালানোর ক্ষেত্রে এটি একটি প্রতিবন্ধকতা ছিল। যদিও অনাগত সন্তানের ভবিষ্যতের কথা বলেই শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে রাজি করান কিম।
তারপর থেকেই একটি ঝড়ো রাতের জন্য অপেক্ষা করছিল পরিবারটি। গত ৬ মে ছিল তেমনই একটি রাত। সেই রাতে মাইনভূমি পেরিয়ে নৌকা নিয়ে তাঁরা উত্তাল সমুদ্রে রওনা করেন দক্ষিণ কোরিয়া অভিমুখে। উত্তর কোরিয়ার সীমানায় থাকা অবস্থায় নৌকার ইঞ্জিনের কোনো শব্দই পাচ্ছিলেন না কিম। এর বদলে থর থর করা হৃৎপিণ্ডের শব্দ শুনছিলেন শুধু। কারণ সামনেই দেখা যাচ্ছে মুক্তি। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগে ধরা পড়ে গেলেই পরিবারের সবার নিশ্চিত মৃত্যু। ঘেমে একাকার হয়ে গিয়েছিলেন কিম।
ভয়ংকর বিষয় হলো—শেষ মুহূর্তে তাঁদের নৌকাটির দিকে একটি জাহাজ এগিয়ে আসতে দেখেছিল কিম। কিন্তু এটি শেষ পর্যন্ত তাঁদের আর ধরতে পারেনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা উত্তর পেরিয়ে দক্ষিণের জলসীমায় পৌঁছে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নপিয়ং দ্বীপের কাছাকাছি গিয়ে তাঁরা নৌকার আলো জ্বালিয়ে দেন। দেশটির নৌবাহিনী তাঁদের উদ্ধার করে। পরে অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দাদের জেরার মুখে পড়েন তারা। একপর্যায়ে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে—কিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচর নন।
উত্তর কোরিয়া থেকে কেউ দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে গেলে তাঁকে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়। মূলত দক্ষিণের জীবন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই কেন্দ্রে। কিমের পরিবারটি গত অক্টোবরে পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। কিমের স্ত্রী ইতিমধ্যে একটি সন্তান প্রসব করেছেন। তিনি এখন অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছেন। তবে কিমের মা সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যস্ত রাস্তা, পাতাল রেল এসবের মাঝে প্রায় সময়ই তিনি খেই হারিয়ে ফেলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে উত্তর কোরিয়ার জীবনই তাঁর কাছে সহজ মনে হয়।
এদিকে টেলিভিশন দেখে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতির সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত ছিলেন বলে কিম সহজেই সবকিছু মানিয়ে নিচ্ছেন। তাঁর কাছে এখন মনে হয়—তিনি যে পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতেন সেই পৃথিবীতেই এখন তিনি বাস্তবে হেঁটে বেড়াচ্ছেন।

উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিমের নামেই তাঁর নাম। চলতি বছরের শুরুর দিকে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও ভাইয়ের পরিবার সহ দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছেন তিনি। তবে এমন একটি পথ ব্যবহার করে পরিবারটি পালিয়েছিল—স্বাভাবিক চিন্তায় যা অসম্ভব মনে হবে যে কারও কাছে।
পরিবার নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করা কিমের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করেছিলেন বিবিসির সিউল প্রতিনিধি জিন ম্যাকিঞ্জি। পরে তাঁর কাছে পালানোর রুদ্ধশ্বাস ঘটনাটি বর্ণনা করেন কিম। এ বিষয়ে বুধবার ম্যাকিঞ্জির লেখা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর কিমের পরিবারই প্রথম উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছে। দুর্যোগময় এক রাতে পালিয়েছিল পরিবারটি। দক্ষিণ দিক থেকে ধেয়ে আসছিল প্রচণ্ড বাতাস; এক সময় তা ঝড়ে রূপ নেয়। তবে ঝড়ো এমন রাতই কিমের পরিকল্পনার অংশ ছিল। তিনি আশা করেছিলেন, সমুদ্র উত্তাল থাকলে নজরদারি জাহাজগুলোও কিছুটা এলোমেলো থাকবে। আর এই সুযোগটিকেই কাজে লাগাতে হবে।
পালানোর সেই দিনটির জন্য কিম বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছিলেন, আর কয়েক মাস ধরে এর পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন।
পালানোর দিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কিমের ভাইয়ের সন্তানেরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। কারণ তাদের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন কিম, যেন পথে শিশুরা কোনো আওয়াজ না করে। অন্ধকারে সবাইকে নিয়ে কিম ও তাঁর ভাই এমন একটি পথ দিয়ে সমুদ্রের দিকে যাচ্ছিলেন যেখানে পুঁতে রাখা ছিল অসংখ্য মাইন। এ ছাড়াও ঘুরে ঘুরে তাঁদের দিকে আসছিল রক্ষীদের সার্চলাইটের আলো। ফলে খুব সাবধানে মাইন আর সার্চ লাইটের আলোকে পাশ কাটিয়ে পরিবার নিয়ে এগিয়ে চলেন তাঁরা। সমুদ্রের পাড়েই একটি আড়ালে তাঁদের ছোট্ট একটি কাঠের নৌকা বাঁধা ছিল।
নৌকায় পৌঁছেই বাচ্চাদেরকে তাঁরা শস্য রাখার কয়েকটি বস্তায় ঢুকিয়ে ফেলেন। দেখে মনে হচ্ছিল, বস্তাগুলোর ভেতরে কোনো মালামাল রাখা আছে। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য কিম ও তাঁর ভাইয়ের কাছে ছিল দুটি তলোয়ার। আর তাঁদের স্ত্রী ও মায়ের কাছে ছিল বিষ। এ ছাড়াও ডিমের কয়েকটি ফাঁকা খোসার ভেতরে তাঁরা মরিচের গুঁড়া ভরে নিয়েছিলেন এই ভেবে যে—রক্ষীদের কাছে ধরা পড়ে গেলে তাঁদের মুখে এগুলো ছুড়ে দিয়ে আত্মরক্ষার শেষ চেষ্টা চালানো হবে।
বয়স ত্রিশের কোঠায় এসে পরিবার নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলেও অন্তত এক দশক আগে থেকেই এই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন কিম। খুব অল্প বয়সেই নিজের দেশকে তাঁর কারাগারের মতো মনে হয়েছিল। তাই এই কারাগার ছেড়ে দক্ষিণে পালানোর স্বপ্ন দেখতেন তিনি। জীবিত অবস্থায় তাঁর বাবা তাঁকে নিয়ে প্রায় সময়ই লুকিয়ে লুকিয়ে টেলিভিশনে দক্ষিণ কোরিয়ার চ্যানেলগুলো দেখতেন। তাঁরা সীমান্তের এত কাছাকাছি থাকতেন যে-দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কিছু চ্যানেল টিভিতে দেখা যেত। টিভিতে দেখা দক্ষিণের মানুষগুলোকে মুক্ত মানুষ মনে হতো। যদিও দক্ষিণের চ্যানেল দেখার বিষয়টি ধরা পড়লে তাঁরা নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতেন। গত বছরের এপ্রিলে দক্ষিণ কোরিয়ার গান শোনা ও সিনেমা দেখার অপরাধে একজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে দেখেছেন কিম।
বছরের পর বছর ধরে উত্তর কোরিয়া থেকে পালানোর চিন্তা করলেও কিম কখনোই তাঁর পরিবারকে ফেলে রেখে যাওয়ার চিন্তা করেননি। তবে এই বিষয়টি পরিবারের কারও কাছেই তিনি প্রকাশ করেননি। ২০২২ সালেই প্রথম পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় পরিবারের সদস্যদের রাজি করানোর কথা ভাবেন তিনি। এ জন্য প্রথমেই তিনি তাঁর ভাইকে টার্গেট করেন। স্ত্রীকে নিয়ে ভাই অবৈধ সামুদ্রিক খাবারের একটি ব্যবসা পরিচালনা করতেন। পরে এই ধরনের ব্যবসায় রাষ্ট্রীয় কড়াকড়ি শুরু হলে তাঁর আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় তাঁকে সহজেই রাজি করাতে সক্ষম হয় কিম।
পরবর্তী সাত মাস ধরে তাঁরা তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য খুব সাবধানে কাজ শুরু করেন। কাছাকাছি এলাকায় যেসব কোস্টগার্ড ও নিরাপত্তারক্ষী টহল দেয় কিম তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে শুরু করেন। গোপনে তাদের গতিবিধি, কাজের ধরন এবং শিফট বদলের বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে থাকেন। এভাবে একসময় তাঁরা পালিয়ে যেতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।
তবে এই পর্যায়ে এসে কিমের কাছে সবচেয়ে কঠিন কাজটি ছিল তাঁর বৃদ্ধ মা এবং স্ত্রীকে রাজি করানো। জানানোর পর দুজনই এর বিরোধিতা করেছিলেন। বিশেষ করে মা। পরে অবশ্য অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে মাকে রাজি করান দুই ভাই।
আরেকটি বিষয় হলো—তত দিনে গর্ভধারণ করেছিলেন কিমের স্ত্রী। ফলে পালানোর ক্ষেত্রে এটি একটি প্রতিবন্ধকতা ছিল। যদিও অনাগত সন্তানের ভবিষ্যতের কথা বলেই শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে রাজি করান কিম।
তারপর থেকেই একটি ঝড়ো রাতের জন্য অপেক্ষা করছিল পরিবারটি। গত ৬ মে ছিল তেমনই একটি রাত। সেই রাতে মাইনভূমি পেরিয়ে নৌকা নিয়ে তাঁরা উত্তাল সমুদ্রে রওনা করেন দক্ষিণ কোরিয়া অভিমুখে। উত্তর কোরিয়ার সীমানায় থাকা অবস্থায় নৌকার ইঞ্জিনের কোনো শব্দই পাচ্ছিলেন না কিম। এর বদলে থর থর করা হৃৎপিণ্ডের শব্দ শুনছিলেন শুধু। কারণ সামনেই দেখা যাচ্ছে মুক্তি। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগে ধরা পড়ে গেলেই পরিবারের সবার নিশ্চিত মৃত্যু। ঘেমে একাকার হয়ে গিয়েছিলেন কিম।
ভয়ংকর বিষয় হলো—শেষ মুহূর্তে তাঁদের নৌকাটির দিকে একটি জাহাজ এগিয়ে আসতে দেখেছিল কিম। কিন্তু এটি শেষ পর্যন্ত তাঁদের আর ধরতে পারেনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা উত্তর পেরিয়ে দক্ষিণের জলসীমায় পৌঁছে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নপিয়ং দ্বীপের কাছাকাছি গিয়ে তাঁরা নৌকার আলো জ্বালিয়ে দেন। দেশটির নৌবাহিনী তাঁদের উদ্ধার করে। পরে অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দাদের জেরার মুখে পড়েন তারা। একপর্যায়ে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে—কিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচর নন।
উত্তর কোরিয়া থেকে কেউ দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে গেলে তাঁকে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়। মূলত দক্ষিণের জীবন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই কেন্দ্রে। কিমের পরিবারটি গত অক্টোবরে পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। কিমের স্ত্রী ইতিমধ্যে একটি সন্তান প্রসব করেছেন। তিনি এখন অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছেন। তবে কিমের মা সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যস্ত রাস্তা, পাতাল রেল এসবের মাঝে প্রায় সময়ই তিনি খেই হারিয়ে ফেলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে উত্তর কোরিয়ার জীবনই তাঁর কাছে সহজ মনে হয়।
এদিকে টেলিভিশন দেখে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতির সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত ছিলেন বলে কিম সহজেই সবকিছু মানিয়ে নিচ্ছেন। তাঁর কাছে এখন মনে হয়—তিনি যে পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতেন সেই পৃথিবীতেই এখন তিনি বাস্তবে হেঁটে বেড়াচ্ছেন।

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিমের নামেই তাঁর নাম। চলতি বছরের শুরুর দিকে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও ভাইয়ের পরিবার সহ দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছেন তিনি। তবে এমন একটি পথ ব্যবহার করে পরিবারটি পালিয়েছিল—স্বাভাবিক চিন্তায় যা অসম্ভব মনে হবে যে কারও কাছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিমের নামেই তাঁর নাম। চলতি বছরের শুরুর দিকে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও ভাইয়ের পরিবার সহ দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছেন তিনি। তবে এমন একটি পথ ব্যবহার করে পরিবারটি পালিয়েছিল—স্বাভাবিক চিন্তায় যা অসম্ভব মনে হবে যে কারও কাছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিমের নামেই তাঁর নাম। চলতি বছরের শুরুর দিকে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও ভাইয়ের পরিবার সহ দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছেন তিনি। তবে এমন একটি পথ ব্যবহার করে পরিবারটি পালিয়েছিল—স্বাভাবিক চিন্তায় যা অসম্ভব মনে হবে যে কারও কাছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিমের নামেই তাঁর নাম। চলতি বছরের শুরুর দিকে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও ভাইয়ের পরিবার সহ দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছেন তিনি। তবে এমন একটি পথ ব্যবহার করে পরিবারটি পালিয়েছিল—স্বাভাবিক চিন্তায় যা অসম্ভব মনে হবে যে কারও কাছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৫ ঘণ্টা আগে