Ajker Patrika

আত্মীয়দের ১৬ লাখ ডলার আত্মসাৎ, ভুয়া স্বামীসহ চীনা নারীর জেল

অনলাইন ডেস্ক
ভুয়া স্বামী নিয়ে ১৬ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন এক নারী। ছবি: সংগৃহীত
ভুয়া স্বামী নিয়ে ১৬ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন এক নারী। ছবি: সংগৃহীত

চীনে একটি ছোট্ট রিয়েল এস্টেট এজেন্সি চালাতেন ৪০ বছর বয়সী মেং। ২০১৪ সালে তার এই ব্যবসায় ধস নামে। একদিন বাড়ি ফেরার সময় এক গাড়িচালকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ওই চালকের সঙ্গে বিয়ে করেছেন জানিয়ে এক প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেন মেং। আত্মীয়দের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ১২ মিলিয়ন ইউয়ান বা ১৬ লাখ ডলার।

জিয়াং নামে ওই গাড়ি চালকের সঙ্গে ‘হিটচহাইকিং’ অর্থাৎ চলতি পথে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাহায্য নিতে গিয়ে পরিচয় হয় মেংয়ের। জিয়াংকে তাঁর বর সাজতে অফার করে বসলেন মেং। তিনি দাবি করেন, বয়স বাড়ার দোহাই দিয়ে পরিবারের থেকে চাপ আসছে বিয়ের। জিয়াং এই পরিকল্পনায় রাজি হন। শুধু তাই নয়, পরিবারের কাছে মেং জিয়াংয়ের পরিচয় দেন ধনী রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী হিসেবে। মেং ও জিয়াংয়ের বিয়ের পর শুরু হয় প্রতারণা।

কথিত ধনী রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী জিয়াং ছাড়ে সম্পত্তি কেনার ব্যবস্থা করে দেবে এই কথা বলে আত্মীয়দের প্রলোভন দেখাতে শুরু করেন মেং। এ কথা বিশ্বাসযোগ্য করতে মেং ১ মিলিয়ন ইউয়ান (১ লাখ ৩৭ হাজার ডলার) মূল্যের একটি ছোট ফ্ল্যাট তাঁর চাচাতো ভাইয়ের কাছে অর্ধেক দামে বিক্রি করেন। তাঁকে বলেন, এই ছাড় তাঁর ও জিয়াংয়ের ব্যবসায়িক সম্পর্কের কারণে দেওয়া হলো।

প্রতারণার জাল আরও প্রসারিত করতে মেং তাঁর আত্মীয়দের নতুন আবাসিক কমপ্লেক্সের শোরুমে নিয়ে যান এবং প্রতি বর্গমিটার ফ্ল্যাটের দাম ৫ হাজার ইউয়ান (৭০০ ডলার) কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন, যা ২০ শতাংশ ছাড়।

তাঁর ৫ জনেরও বেশি আত্মীয় এই প্রতারণার ফাঁদে পা দেন। মেংয়ের হাতে বড় অঙ্কের টাকা তুলে দেন তাঁরা। আর কিছু আত্মীয় তাদের পুরনো বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে দেন এই বিশ্বাস থেকে যে, তাঁরা শিগগিরই আরও ভালো বাড়িতে উঠতে যাচ্ছেন।

এভাবে অর্থ নিয়ে বছরের পর বছর মেং তাঁর আত্মীয়দের অপেক্ষা করান। তাদের বলেন, ছাড় পেতে সময় লাগছে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তিনি আত্মীয়দের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া নেন এবং মিথ্যে বলেন যে এসব ফ্ল্যাটই তারা কিনেছেন। ফ্ল্যাটের মালিকানা পত্র চাইলে তিনি বলেন, ছাড় প্রক্রিয়া চলমান থাকায় এখন মালিকানা পত্র দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এই কালক্ষেপণ দেখে এক ভুক্তভোগী খোঁজ নিতে শুরু করলে সব সত্য সামনে বেরিয়ে আসে। তিনি জানতে পারেন, যে ফ্ল্যাটে তিনি বসবাস করছেন, সেটার মালিকানা আসলে তার নয়। আরেক ভুক্তভোগী মেংয়ের চাচাতো ভাই একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাট নিজের বাসা মনে করে ১ লাখ ইউয়ানেরও (১৪ হাজার ডলার) বেশি খরচ করে মনের মতো করে সাজিয়েছিলেন।

এই জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসলে মেংকে ১২ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মেংয়ের ভুয়া স্বামী জিয়াংকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি আসল সম্পত্তি মালিকদের সঙ্গে বাড়ি ভাড়া চুক্তিগুলো করেছিলেন। আর আত্মীয়দের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুক্তভোগী বানানোয় মেংয়ের চাচাতো ভাইকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএসএমএমইউতে হেনস্তার ঘটনা নিয়ে যা বললেন প্রাণ গোপালের মেয়ে ডা. অনিন্দিতা

বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব: গ্রেপ্তার ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী

স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ কেন হচ্ছে না, ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব

কত টাকা বেতন পান নাসার মহাকাশচারীরা

জামিনে বেরিয়েই ছদ্মনামে হাসপাতালে ভর্তি হন ‘ডিবি হেফাজতে’ মৃত এজাজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত