
বর্ধিত পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের সেবাযত্ন নিতে পারে। দাদা-দাদি, নানা-নানি, ফুপু-খালা, চাচা-মামারা ছোট শিশুর দেখাশোনার ক্ষেত্রে মা-বাবার সহায়ক হতে পারেন। মা-বাবা বৃদ্ধ হয়ে গেলে সন্তানদের পাশাপাশি ভাই-বোনের সন্তানেরাও তাঁদের যত্ন নিতে সহায়তা করতে পারে। স্বজনদের মধ্যে এ ধরনের পারস্পরিক সহায়তার ঐতিহ্য কয়েক শ বর্ষের।
তবে নতুন এক গবেষণা বলছে, মানুষের গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সন্তান গ্রহণের পরিমাণ কমে আসায় বিশ্বজুড়ে বর্ধিত পরিবারের আকার ক্রমে ছোট হয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক জনমিতির ডেটা ব্যবহার করে গবেষকেরা বিশ্বজুড়ে প্রত্যেক দেশে পরিবারের গঠন বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের অনুমান, ২০৯৫ সাল নাগাদ ৬৫ বছর বয়সী একজন নারীর মাত্র ২৫ জন জীবিত স্বজন থাকবে। অর্থাৎ ১৯৫০ সালে যেখানে তাঁর ৪১ জন জীবিত স্বজন থাকত, সেই সংখ্যা পাঁচ ভাগের দুই ভাগই কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসব অনুমান থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে পারস্পরিক সহায়তা কমে যাওয়ার কারণে আগের তুলনায় এখন আরও বেশিসংখ্যক মানুষের ওপর পরিবারের বৃদ্ধ সদস্য ও শিশুদের দেখাশোনার চাপ বাড়বে। এ গবেষণায় প্রাতিষ্ঠানিক সেবাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের প্রোসিডিংস সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জনমিতি বিশারদ শা জিয়াং বলেন, ‘কার্যকর সামাজিক সুরক্ষা বা অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তাব্যবস্থার অভাব রয়েছে এমন অনেক দেশে পারিবারিক কাঠামোর পরিবর্তন বোঝাটা জরুরি। এর পরিবর্তে সমাজ বয়স্কদের মতো সবচেয়ে নাজুক জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্য প্রায়শই পরিবারের ওপর নির্ভর করে।’
জিয়াং বলেন, এই গবেষণা থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন উঠে এসেছে: বয়স্কদের সহায়তার জন্য ভবিষ্যতে পরিবারে যথেষ্ট সদস্য থাকবে কি না বা আমরা কি স্বজনদের দেখাশোনার জন্য পরিবারের ওপর খুব বেশি চাপ দিচ্ছি?
গবেষকেরা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। জনমিতিবিদেরা বিশেষ করে, জনমিতি পরিবর্তন সম্পর্কিত তথ্য: উচ্চ জন্মহার ও মৃত্যুহারের পরিবর্তন বিশ্লেষণ করে দেখেছেন।
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর ডেমোগ্রাফিক রিসার্চ ইন রোস্টকের সমাজবিজ্ঞানী এবং গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক দিয়েগো আলবুরেজ-গুতেরেজ বলেন, অনেক গবেষণায় বিশ্বে বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য উঠে এলেও, এ ধরনের পরিবর্তন কীভাবে বর্ধিত পরিবারকে এবং এগুলোর গঠনকে প্রভাবিত করে তা নিয়ে আলোচনা হয়নি।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে আলবুরেজ-গুতেরেজ এবং সহকর্মীরা পরিবারের গঠন ও স্বজনদের নেটওয়ার্ক নিয়ে তিনটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। প্রথমত, সময়ের সঙ্গে বর্ধিত পরিবারের আকার ক্রমে ছোট হতে থাকবে। দ্বিতীয়ত, পরিবারের কাঠামোও সংকীর্ণ হয়ে আসবে। আলবুরেজ-গুতেরেজ বলেন, ‘একই প্রজন্মের মধ্যে কাছাকাছি বয়সের স্বজনের সংখ্যা কমে আসবে। অর্থাৎ মানুষের ভাই-বোন এবং তুতো ভাই-বোনের চেয়ে দাদা-দাদি, নানা-নানির সম্পর্ক এমন বয়স্ক স্বজনের সংখ্যা বেশি থাকবে। তৃতীয়ত, বেশি বয়সে সন্তান নেওয়ার কারণে বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে বয়সের ব্যবধান বেড়ে যাবে।
পেনসিলভানিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী এবং জনমিতিবিদ অ্যাশটন ভারডারি বলেন, পাঁচ বছর আগেও বৈশ্বিকভাবে এমন ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব ছিল না। আগের জনমিতিবিষয়ক গবেষণায় একক পরিবারের (মা-বাবা ও সন্তান নিয়ে গঠিত পরিবার) ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ পরিবারের ভিত্তিতে তথ্য পাওয়া সহজ এবং এর পরিবর্তনগুলোও সহজেই নির্ণয় করা যায়।
ভারডারি বলেন, তুতো ভাই-বোন, খালা, ফুফু, চাচা, মামা এবং অন্যান্য স্বজন নিয়ে গঠিত বর্ধিত পরিবারের সদস্যসংখ্যা পরিবর্তনের ধারা নির্ধারণের পদ্ধতিগুলো গত দশকে ব্যাপক উন্নত হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি নতুন উদ্ভাবিত পদ্ধতিগুলোর একটি চমৎকার প্রয়োগ।
গবেষণাটিতে স্বাস্থ্যসেবায় সম্ভাব্য কঠিন সমস্যার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। গবেষণার ফলাফল বলছে, লাতিন আমেরিকা ও সাব-সাহারা আফ্রিকার মতো যেসব অঞ্চলে জন্ম ও মৃত্যুর হার কমতে শুরু করেছে, সেসব দেশে বর্ধিত পরিবার অতি দ্রুত সংকুচিত হতে পারে। এই দেশগুলোর বেশির ভাগেরই বর্তমানে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীর যত্ন নেওয়ার ব্যবস্থা নেই এবং এই দেশগুলো সম্ভবত দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাবে বলে উল্লেখ করেন আলবুরেজ-গুতেরেজ।
চিকিৎসা, আর্থিক এবং মানসিক বোঝা যা আগে পরিবারের একাধিক সদস্যের ওপর বণ্টিত হতো, এখন তা একক সদস্যের ঘাড়ে চাপবে। এটি নিম্ন আয়ের এবং সাময়িকভাবে আর্থিক অনটনে থাকা ব্যক্তিদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
ভারডারি বলেন, জন্ম-মৃত্যুর হার কম এমন কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। চীনে পরিবারভিত্তিক যত্ন এখনো আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। তবে দেশটিতে এখন বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু ওই তুলনায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নেই। পরিবারের সদস্যরা তাই প্রায়ই একই সঙ্গে নিজের সন্তান এবং মা-বাবার দেখাশোনা করার চাপে পড়ে যান। অনেকের ওপর অর্থনৈতিক চাপও বাড়ছে, কারণ তাঁকে পরিবারের বয়স্কদের দেখাশোনার ব্যয় বহন করতে হয়, সেই সঙ্গে সন্তান লালন-পালনের ব্য়য় সংকুলানও করতে হয়।
পরিবারকে বেশি সময় দেওয়ার জন্য অনেকে বিশেষ করে নারীরা কর্মক্ষেত্র থেকে ছিটকে পড়েন। বর্ধিত পরিবারের আকার ছোট হয়ে আসা মানে পরিবারের কোনো কোনো সদস্য সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন এবং অনেকে একাকিত্বেও ভুগতে পারেন।

বর্ধিত পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের সেবাযত্ন নিতে পারে। দাদা-দাদি, নানা-নানি, ফুপু-খালা, চাচা-মামারা ছোট শিশুর দেখাশোনার ক্ষেত্রে মা-বাবার সহায়ক হতে পারেন। মা-বাবা বৃদ্ধ হয়ে গেলে সন্তানদের পাশাপাশি ভাই-বোনের সন্তানেরাও তাঁদের যত্ন নিতে সহায়তা করতে পারে। স্বজনদের মধ্যে এ ধরনের পারস্পরিক সহায়তার ঐতিহ্য কয়েক শ বর্ষের।
তবে নতুন এক গবেষণা বলছে, মানুষের গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সন্তান গ্রহণের পরিমাণ কমে আসায় বিশ্বজুড়ে বর্ধিত পরিবারের আকার ক্রমে ছোট হয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক জনমিতির ডেটা ব্যবহার করে গবেষকেরা বিশ্বজুড়ে প্রত্যেক দেশে পরিবারের গঠন বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের অনুমান, ২০৯৫ সাল নাগাদ ৬৫ বছর বয়সী একজন নারীর মাত্র ২৫ জন জীবিত স্বজন থাকবে। অর্থাৎ ১৯৫০ সালে যেখানে তাঁর ৪১ জন জীবিত স্বজন থাকত, সেই সংখ্যা পাঁচ ভাগের দুই ভাগই কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসব অনুমান থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে পারস্পরিক সহায়তা কমে যাওয়ার কারণে আগের তুলনায় এখন আরও বেশিসংখ্যক মানুষের ওপর পরিবারের বৃদ্ধ সদস্য ও শিশুদের দেখাশোনার চাপ বাড়বে। এ গবেষণায় প্রাতিষ্ঠানিক সেবাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের প্রোসিডিংস সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জনমিতি বিশারদ শা জিয়াং বলেন, ‘কার্যকর সামাজিক সুরক্ষা বা অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তাব্যবস্থার অভাব রয়েছে এমন অনেক দেশে পারিবারিক কাঠামোর পরিবর্তন বোঝাটা জরুরি। এর পরিবর্তে সমাজ বয়স্কদের মতো সবচেয়ে নাজুক জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্য প্রায়শই পরিবারের ওপর নির্ভর করে।’
জিয়াং বলেন, এই গবেষণা থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন উঠে এসেছে: বয়স্কদের সহায়তার জন্য ভবিষ্যতে পরিবারে যথেষ্ট সদস্য থাকবে কি না বা আমরা কি স্বজনদের দেখাশোনার জন্য পরিবারের ওপর খুব বেশি চাপ দিচ্ছি?
গবেষকেরা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। জনমিতিবিদেরা বিশেষ করে, জনমিতি পরিবর্তন সম্পর্কিত তথ্য: উচ্চ জন্মহার ও মৃত্যুহারের পরিবর্তন বিশ্লেষণ করে দেখেছেন।
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর ডেমোগ্রাফিক রিসার্চ ইন রোস্টকের সমাজবিজ্ঞানী এবং গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক দিয়েগো আলবুরেজ-গুতেরেজ বলেন, অনেক গবেষণায় বিশ্বে বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য উঠে এলেও, এ ধরনের পরিবর্তন কীভাবে বর্ধিত পরিবারকে এবং এগুলোর গঠনকে প্রভাবিত করে তা নিয়ে আলোচনা হয়নি।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে আলবুরেজ-গুতেরেজ এবং সহকর্মীরা পরিবারের গঠন ও স্বজনদের নেটওয়ার্ক নিয়ে তিনটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। প্রথমত, সময়ের সঙ্গে বর্ধিত পরিবারের আকার ক্রমে ছোট হতে থাকবে। দ্বিতীয়ত, পরিবারের কাঠামোও সংকীর্ণ হয়ে আসবে। আলবুরেজ-গুতেরেজ বলেন, ‘একই প্রজন্মের মধ্যে কাছাকাছি বয়সের স্বজনের সংখ্যা কমে আসবে। অর্থাৎ মানুষের ভাই-বোন এবং তুতো ভাই-বোনের চেয়ে দাদা-দাদি, নানা-নানির সম্পর্ক এমন বয়স্ক স্বজনের সংখ্যা বেশি থাকবে। তৃতীয়ত, বেশি বয়সে সন্তান নেওয়ার কারণে বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে বয়সের ব্যবধান বেড়ে যাবে।
পেনসিলভানিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী এবং জনমিতিবিদ অ্যাশটন ভারডারি বলেন, পাঁচ বছর আগেও বৈশ্বিকভাবে এমন ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব ছিল না। আগের জনমিতিবিষয়ক গবেষণায় একক পরিবারের (মা-বাবা ও সন্তান নিয়ে গঠিত পরিবার) ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ পরিবারের ভিত্তিতে তথ্য পাওয়া সহজ এবং এর পরিবর্তনগুলোও সহজেই নির্ণয় করা যায়।
ভারডারি বলেন, তুতো ভাই-বোন, খালা, ফুফু, চাচা, মামা এবং অন্যান্য স্বজন নিয়ে গঠিত বর্ধিত পরিবারের সদস্যসংখ্যা পরিবর্তনের ধারা নির্ধারণের পদ্ধতিগুলো গত দশকে ব্যাপক উন্নত হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি নতুন উদ্ভাবিত পদ্ধতিগুলোর একটি চমৎকার প্রয়োগ।
গবেষণাটিতে স্বাস্থ্যসেবায় সম্ভাব্য কঠিন সমস্যার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। গবেষণার ফলাফল বলছে, লাতিন আমেরিকা ও সাব-সাহারা আফ্রিকার মতো যেসব অঞ্চলে জন্ম ও মৃত্যুর হার কমতে শুরু করেছে, সেসব দেশে বর্ধিত পরিবার অতি দ্রুত সংকুচিত হতে পারে। এই দেশগুলোর বেশির ভাগেরই বর্তমানে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীর যত্ন নেওয়ার ব্যবস্থা নেই এবং এই দেশগুলো সম্ভবত দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাবে বলে উল্লেখ করেন আলবুরেজ-গুতেরেজ।
চিকিৎসা, আর্থিক এবং মানসিক বোঝা যা আগে পরিবারের একাধিক সদস্যের ওপর বণ্টিত হতো, এখন তা একক সদস্যের ঘাড়ে চাপবে। এটি নিম্ন আয়ের এবং সাময়িকভাবে আর্থিক অনটনে থাকা ব্যক্তিদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
ভারডারি বলেন, জন্ম-মৃত্যুর হার কম এমন কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। চীনে পরিবারভিত্তিক যত্ন এখনো আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। তবে দেশটিতে এখন বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু ওই তুলনায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নেই। পরিবারের সদস্যরা তাই প্রায়ই একই সঙ্গে নিজের সন্তান এবং মা-বাবার দেখাশোনা করার চাপে পড়ে যান। অনেকের ওপর অর্থনৈতিক চাপও বাড়ছে, কারণ তাঁকে পরিবারের বয়স্কদের দেখাশোনার ব্যয় বহন করতে হয়, সেই সঙ্গে সন্তান লালন-পালনের ব্য়য় সংকুলানও করতে হয়।
পরিবারকে বেশি সময় দেওয়ার জন্য অনেকে বিশেষ করে নারীরা কর্মক্ষেত্র থেকে ছিটকে পড়েন। বর্ধিত পরিবারের আকার ছোট হয়ে আসা মানে পরিবারের কোনো কোনো সদস্য সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন এবং অনেকে একাকিত্বেও ভুগতে পারেন।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

আন্তর্জাতিক জনমিতির ডেটা ব্যবহার করে গবেষকেরা বিশ্বজুড়ে প্রতিটি দেশে পরিবারের গঠন বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের অনুমান, ২০৯৫ সাল নাগাদ ৬৫ বছর বয়সী একজন নারীর মাত্র ২৫ জন জীবিত স্বজন থাকবে। অর্থাৎ ১৯৫০ সালে যেখানে তাঁর ৪১ জন জীবিত স্বজন থাকত, সে সংখ্যা পাঁচ ভাগের দুই ভাগই কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

আন্তর্জাতিক জনমিতির ডেটা ব্যবহার করে গবেষকেরা বিশ্বজুড়ে প্রতিটি দেশে পরিবারের গঠন বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের অনুমান, ২০৯৫ সাল নাগাদ ৬৫ বছর বয়সী একজন নারীর মাত্র ২৫ জন জীবিত স্বজন থাকবে। অর্থাৎ ১৯৫০ সালে যেখানে তাঁর ৪১ জন জীবিত স্বজন থাকত, সে সংখ্যা পাঁচ ভাগের দুই ভাগই কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

আন্তর্জাতিক জনমিতির ডেটা ব্যবহার করে গবেষকেরা বিশ্বজুড়ে প্রতিটি দেশে পরিবারের গঠন বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের অনুমান, ২০৯৫ সাল নাগাদ ৬৫ বছর বয়সী একজন নারীর মাত্র ২৫ জন জীবিত স্বজন থাকবে। অর্থাৎ ১৯৫০ সালে যেখানে তাঁর ৪১ জন জীবিত স্বজন থাকত, সে সংখ্যা পাঁচ ভাগের দুই ভাগই কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

আন্তর্জাতিক জনমিতির ডেটা ব্যবহার করে গবেষকেরা বিশ্বজুড়ে প্রতিটি দেশে পরিবারের গঠন বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের অনুমান, ২০৯৫ সাল নাগাদ ৬৫ বছর বয়সী একজন নারীর মাত্র ২৫ জন জীবিত স্বজন থাকবে। অর্থাৎ ১৯৫০ সালে যেখানে তাঁর ৪১ জন জীবিত স্বজন থাকত, সে সংখ্যা পাঁচ ভাগের দুই ভাগই কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে