
অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি আজ রোববার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু সেখানে কোনো উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল না। তাঁরা সেখানে গাজা উপত্যকায় আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলা নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। বার্তা সংস্থা আনাদোলু এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
জেরুজালেমের ইসলামিক এনডাউমেন্টস বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি সেখানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। যদিও কয়েক হাজার মুসল্লিকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী আজ সকালে আল-আকসা মসজিদে যাওয়ার পথে এবং সেখান থেকে বের হওয়ার সময় নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় এবং অনেক মুসল্লিকে ঈদের নামাজ পড়তে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
সকাল বেলা দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী আল-আকসা মসজিদের আঙিনায় প্রবেশ করে এবং নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে। অনেক যুবককে মসজিদের প্রবেশে বাধা দেয় এবং মসজিদের বাইরে নামাজ আদায় করতে বাধ্য করে।
ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বাধা দেওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদে কয়েক হাজার মুসল্লি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।
হেব্রন এনডাউমেন্টস বিভাগের প্রধান ঘাসন আল-রাজাবি বলেছেন, ঈদুল আজহায় দখলদারিত্বের পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো পবিত্র স্থানগুলোয় বিশেষ করে ইব্রাহিমি মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশে বাধা দেওয়া।
আল-রাজাবি আরও বলেন, বাধা সত্ত্বেও ৮ থেকে ১০ হাজার মুসল্লি মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন।
আনাদোলু সংবাদদাতার মতে, ইব্রাহিমি মসজিদে প্রবেশ করতে এবং সেখানে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের সামরিক চেকপয়েন্ট এবং ইলেকট্রনিক গেট পার হয়ে যেতে হয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো সত্ত্বেও গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী ক্রমাগত নৃশংসতা চালাচ্ছে। এর মধ্যেই এই বছর ঈদুল আজহা চলে আসে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গাজায় প্রায় ৩৭ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই মহিলা ও শিশু এবং প্রায় ৮৫ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছে।

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি আজ রোববার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু সেখানে কোনো উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল না। তাঁরা সেখানে গাজা উপত্যকায় আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলা নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। বার্তা সংস্থা আনাদোলু এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
জেরুজালেমের ইসলামিক এনডাউমেন্টস বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি সেখানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। যদিও কয়েক হাজার মুসল্লিকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী আজ সকালে আল-আকসা মসজিদে যাওয়ার পথে এবং সেখান থেকে বের হওয়ার সময় নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় এবং অনেক মুসল্লিকে ঈদের নামাজ পড়তে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
সকাল বেলা দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী আল-আকসা মসজিদের আঙিনায় প্রবেশ করে এবং নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে। অনেক যুবককে মসজিদের প্রবেশে বাধা দেয় এবং মসজিদের বাইরে নামাজ আদায় করতে বাধ্য করে।
ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বাধা দেওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদে কয়েক হাজার মুসল্লি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।
হেব্রন এনডাউমেন্টস বিভাগের প্রধান ঘাসন আল-রাজাবি বলেছেন, ঈদুল আজহায় দখলদারিত্বের পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো পবিত্র স্থানগুলোয় বিশেষ করে ইব্রাহিমি মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশে বাধা দেওয়া।
আল-রাজাবি আরও বলেন, বাধা সত্ত্বেও ৮ থেকে ১০ হাজার মুসল্লি মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন।
আনাদোলু সংবাদদাতার মতে, ইব্রাহিমি মসজিদে প্রবেশ করতে এবং সেখানে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের সামরিক চেকপয়েন্ট এবং ইলেকট্রনিক গেট পার হয়ে যেতে হয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো সত্ত্বেও গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী ক্রমাগত নৃশংসতা চালাচ্ছে। এর মধ্যেই এই বছর ঈদুল আজহা চলে আসে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গাজায় প্রায় ৩৭ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই মহিলা ও শিশু এবং প্রায় ৮৫ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছে।

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি আজ রোববার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু সেখানে কোনো উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল না। তাঁরা সেখানে গাজা উপত্যকায় আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলা নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। বার্তা সংস্থা আনাদোলু এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
জেরুজালেমের ইসলামিক এনডাউমেন্টস বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি সেখানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। যদিও কয়েক হাজার মুসল্লিকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী আজ সকালে আল-আকসা মসজিদে যাওয়ার পথে এবং সেখান থেকে বের হওয়ার সময় নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় এবং অনেক মুসল্লিকে ঈদের নামাজ পড়তে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
সকাল বেলা দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী আল-আকসা মসজিদের আঙিনায় প্রবেশ করে এবং নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে। অনেক যুবককে মসজিদের প্রবেশে বাধা দেয় এবং মসজিদের বাইরে নামাজ আদায় করতে বাধ্য করে।
ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বাধা দেওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদে কয়েক হাজার মুসল্লি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।
হেব্রন এনডাউমেন্টস বিভাগের প্রধান ঘাসন আল-রাজাবি বলেছেন, ঈদুল আজহায় দখলদারিত্বের পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো পবিত্র স্থানগুলোয় বিশেষ করে ইব্রাহিমি মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশে বাধা দেওয়া।
আল-রাজাবি আরও বলেন, বাধা সত্ত্বেও ৮ থেকে ১০ হাজার মুসল্লি মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন।
আনাদোলু সংবাদদাতার মতে, ইব্রাহিমি মসজিদে প্রবেশ করতে এবং সেখানে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের সামরিক চেকপয়েন্ট এবং ইলেকট্রনিক গেট পার হয়ে যেতে হয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো সত্ত্বেও গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী ক্রমাগত নৃশংসতা চালাচ্ছে। এর মধ্যেই এই বছর ঈদুল আজহা চলে আসে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গাজায় প্রায় ৩৭ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই মহিলা ও শিশু এবং প্রায় ৮৫ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছে।

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি আজ রোববার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু সেখানে কোনো উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল না। তাঁরা সেখানে গাজা উপত্যকায় আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলা নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। বার্তা সংস্থা আনাদোলু এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
জেরুজালেমের ইসলামিক এনডাউমেন্টস বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি সেখানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। যদিও কয়েক হাজার মুসল্লিকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী আজ সকালে আল-আকসা মসজিদে যাওয়ার পথে এবং সেখান থেকে বের হওয়ার সময় নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় এবং অনেক মুসল্লিকে ঈদের নামাজ পড়তে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
সকাল বেলা দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী আল-আকসা মসজিদের আঙিনায় প্রবেশ করে এবং নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে। অনেক যুবককে মসজিদের প্রবেশে বাধা দেয় এবং মসজিদের বাইরে নামাজ আদায় করতে বাধ্য করে।
ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বাধা দেওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদে কয়েক হাজার মুসল্লি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।
হেব্রন এনডাউমেন্টস বিভাগের প্রধান ঘাসন আল-রাজাবি বলেছেন, ঈদুল আজহায় দখলদারিত্বের পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো পবিত্র স্থানগুলোয় বিশেষ করে ইব্রাহিমি মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশে বাধা দেওয়া।
আল-রাজাবি আরও বলেন, বাধা সত্ত্বেও ৮ থেকে ১০ হাজার মুসল্লি মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন।
আনাদোলু সংবাদদাতার মতে, ইব্রাহিমি মসজিদে প্রবেশ করতে এবং সেখানে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের সামরিক চেকপয়েন্ট এবং ইলেকট্রনিক গেট পার হয়ে যেতে হয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো সত্ত্বেও গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী ক্রমাগত নৃশংসতা চালাচ্ছে। এর মধ্যেই এই বছর ঈদুল আজহা চলে আসে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গাজায় প্রায় ৩৭ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই মহিলা ও শিশু এবং প্রায় ৮৫ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার জানিয়েছেন, সিরিয়াকে সফল রাষ্ট্রে পরিণত করতে তিনি সব ধরনের পদক্ষেপ নেবেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকের পর এ কথা বলেন ট্রাম্প।
৩১ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দেশটির সরকারের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের শাটডাউন বা অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে গতকাল সোমবার এক সমঝোতা চুক্তি অনুমোদন করেছে দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এই অচলাবস্থায় লাখো মানুষ খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, কয়েক লাখ সরকারি কর্মচারী বেতন পাননি, আর বিমান চলাচল
১ ঘণ্টা আগে
বিহারে বিধানসভার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। এ দফায় মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনিদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা মানার জেন্দিয়া এখনো বাস্তুচ্যুত। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহ এলাকায়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার জানিয়েছেন, সিরিয়াকে সফল রাষ্ট্রে পরিণত করতে তিনি সব ধরনের পদক্ষেপ নেবেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকের পর এ কথা বলেন ট্রাম্প।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, শারার ওয়াশিংটন সফর তাঁর জন্য অসাধারণ এক সফল বছর শেষের প্রতীক। বিদ্রোহী থেকে রাষ্ট্রনায়ক হয়ে ওঠা শারা গত বছর দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই তিনি বিশ্ব সফরে গিয়ে নিজেকে মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে পরিচয় করানোর চেষ্টা করছেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে চান এবং আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা দূর করতে চান।
ওয়াশিংটনে শারার প্রধান লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া। বৈঠকের সময়ে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, সিজার অ্যাক্ট-এর আওতায় থাকা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার স্থগিতাদেশ আরও ১৮০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের।
শারার ওয়াশিংটন সফর ছিল কোনো সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর। ছয় মাস আগে সৌদি আরবে ট্রাম্প ও শারার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। সেখানেই ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার ইঙ্গিত দেন। কয়েক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, শারা আর ‘বিশ্বব্যাপী বিশেষভাবে চিহ্নিত সন্ত্রাসী’ নন।
হোয়াইট হাউসে শারাকে স্বাগত জানানোর পরিবেশ ছিল অস্বাভাবিকভাবে নীরব। একসময় যার মাথার দাম ছিল যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটি ডলার, তিনি প্রবেশ করেন পাশের দরজা দিয়ে। অর্থাৎ, হোয়াইট হাউসের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করেননি তিনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, শারা একজন ‘শক্তিশালী নেতা’ এবং তিনি তাঁর প্রতি আস্থা রাখেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যা কিছু পারি, তা করব, যাতে সিরিয়া সফল হয়।’ তবে শারার অতীতের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন, ‘আমাদের সবারই কঠিন অতীত আছে।’
শারা গত বছর ক্ষমতায় আসেন। এরপর সিরিয়া দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। আসাদের পুরোনো মিত্র ইরান ও রাশিয়ার দিক থেকে দেশটি সরে এসেছে। নতুনভাবে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে তুরস্ক, উপসাগরীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে।
নিরাপত্তা আলোচনাও বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার নাজুক রাজনৈতিক পরিবর্তনে সহায়তা করতে চায়। দেশটি ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ‘গ্লোবাল কোয়ালিশন টু ডিফিট আইএস’-এর সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দামেস্কের এক বিমানঘাঁটিতে সামরিক উপস্থিতি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার জানিয়েছেন, সিরিয়াকে সফল রাষ্ট্রে পরিণত করতে তিনি সব ধরনের পদক্ষেপ নেবেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকের পর এ কথা বলেন ট্রাম্প।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, শারার ওয়াশিংটন সফর তাঁর জন্য অসাধারণ এক সফল বছর শেষের প্রতীক। বিদ্রোহী থেকে রাষ্ট্রনায়ক হয়ে ওঠা শারা গত বছর দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই তিনি বিশ্ব সফরে গিয়ে নিজেকে মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে পরিচয় করানোর চেষ্টা করছেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে চান এবং আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা দূর করতে চান।
ওয়াশিংটনে শারার প্রধান লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া। বৈঠকের সময়ে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, সিজার অ্যাক্ট-এর আওতায় থাকা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার স্থগিতাদেশ আরও ১৮০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের।
শারার ওয়াশিংটন সফর ছিল কোনো সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর। ছয় মাস আগে সৌদি আরবে ট্রাম্প ও শারার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। সেখানেই ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার ইঙ্গিত দেন। কয়েক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, শারা আর ‘বিশ্বব্যাপী বিশেষভাবে চিহ্নিত সন্ত্রাসী’ নন।
হোয়াইট হাউসে শারাকে স্বাগত জানানোর পরিবেশ ছিল অস্বাভাবিকভাবে নীরব। একসময় যার মাথার দাম ছিল যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটি ডলার, তিনি প্রবেশ করেন পাশের দরজা দিয়ে। অর্থাৎ, হোয়াইট হাউসের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করেননি তিনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, শারা একজন ‘শক্তিশালী নেতা’ এবং তিনি তাঁর প্রতি আস্থা রাখেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যা কিছু পারি, তা করব, যাতে সিরিয়া সফল হয়।’ তবে শারার অতীতের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন, ‘আমাদের সবারই কঠিন অতীত আছে।’
শারা গত বছর ক্ষমতায় আসেন। এরপর সিরিয়া দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। আসাদের পুরোনো মিত্র ইরান ও রাশিয়ার দিক থেকে দেশটি সরে এসেছে। নতুনভাবে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে তুরস্ক, উপসাগরীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে।
নিরাপত্তা আলোচনাও বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার নাজুক রাজনৈতিক পরিবর্তনে সহায়তা করতে চায়। দেশটি ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ‘গ্লোবাল কোয়ালিশন টু ডিফিট আইএস’-এর সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দামেস্কের এক বিমানঘাঁটিতে সামরিক উপস্থিতি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি আজ রোববার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু সেখানে কোনো উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল না। তাঁরা সেখানে গাজা উপত্যকায় আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলা নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। বার্তা সংস্থা আনাদোলু এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১৬ জুন ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দেশটির সরকারের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের শাটডাউন বা অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে গতকাল সোমবার এক সমঝোতা চুক্তি অনুমোদন করেছে দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এই অচলাবস্থায় লাখো মানুষ খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, কয়েক লাখ সরকারি কর্মচারী বেতন পাননি, আর বিমান চলাচল
১ ঘণ্টা আগে
বিহারে বিধানসভার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। এ দফায় মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনিদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা মানার জেন্দিয়া এখনো বাস্তুচ্যুত। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহ এলাকায়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দেশটির সরকারের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের শাটডাউন বা অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে গতকাল সোমবার এক সমঝোতা চুক্তি অনুমোদন করেছে দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এই অচলাবস্থায় লাখো মানুষ খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, কয়েক লাখ সরকারি কর্মচারী বেতন পাননি, আর বিমান চলাচল ব্যবস্থাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
৬০–৪০ ভোটে পাস হওয়া এই প্রস্তাবে প্রায় সব রিপাবলিকান সিনেটর ও আট ডেমোক্র্যাট সিনেটর সমর্থন দেন। যদিও ডেমোক্র্যাটরা সরকারে অর্থায়নের সঙ্গে বছরের শেষে মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া স্বাস্থ্য ভর্তুকি যুক্ত করতে চেয়েছিলেন, সেটি গৃহীত হয়নি। সমঝোতা অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসে এই ভর্তুকি নিয়ে ভোট হবে, তবে তা বহাল থাকবে কি না, তার নিশ্চয়তা নেই।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নতুন চুক্তির মাধ্যমে ১ অক্টোবর মেয়াদোত্তীর্ণ ফেডারেল সংস্থাগুলোর অর্থায়ন পুনরায় চালু হবে। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেডারেল কর্মীসংখ্যা কমানোর পরিকল্পনাও অন্তত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। বিলটি এখন রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদে যাবে। স্পিকার মাইক জনসন জানিয়েছেন, তিনি বুধবারের মধ্যেই এটি পাস করিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পাঠাতে চান। ট্রাম্প চুক্তিটিকে ‘খুব ভালো’ বলে প্রশংসা করেছেন।
এই সমঝোতায় সরকারের অর্থায়ন ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হবে। ফলে আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার বছরে প্রায় ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ যোগ করে ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলারের মোট ঋণের পথে এগিয়ে যাবে।
চুক্তিটি এমন এক সময় হলো, যখন ডেমোক্র্যাটরা নিউ জার্সি, ভার্জিনিয়া এবং নিউ ইয়র্ক সিটিতে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে জয় পেয়েছে। তবে এই সমঝোতায় ডেমোক্র্যাটদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এতে স্বাস্থ্য ভর্তুকি চালু রাখার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা ডিক ডারবিন বলেন, ‘আমরা আরও কিছু করতে চেয়েছিলাম। সরকার বন্ধ হওয়াকে আমরা ভালো নীতির পথে নেওয়ার সুযোগ ভেবেছিলাম। কিন্তু সেটা হয়নি।’
রয়টার্স–ইপসসের অক্টোবরের শেষ দিকের এক জরিপে দেখা যায়, ৫০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক শাটডাউনের জন্য রিপাবলিকানদের দায়ী করেন, আর ৪৩ শতাংশ দায় দেন ডেমোক্র্যাটদের।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একতরফাভাবে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় বাতিল করেছেন এবং লক্ষাধিক ফেডারেল কর্মী ছাঁটাই করেছেন, যা কংগ্রেসের আর্থিক ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে সমালোচিত হয়েছে। এতে পূর্বে কংগ্রেস অনুমোদিত ব্যয় আইনও ভঙ্গ হয়েছে। তাই অনেক ডেমোক্র্যাট এখন প্রশ্ন তুলছেন, ভবিষ্যতে এমন কোনো ব্যয় চুক্তিতে তারা কেন ভোট দেবেন।
চুক্তিতে ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ ঠেকানোর কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে এতে স্ন্যাপ (SNAP) খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির অর্থায়ন আগামী বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়েছে, যাতে সরকার আবার বন্ধ হলেও এই সহায়তা ব্যাহত না হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দেশটির সরকারের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের শাটডাউন বা অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে গতকাল সোমবার এক সমঝোতা চুক্তি অনুমোদন করেছে দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এই অচলাবস্থায় লাখো মানুষ খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, কয়েক লাখ সরকারি কর্মচারী বেতন পাননি, আর বিমান চলাচল ব্যবস্থাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
৬০–৪০ ভোটে পাস হওয়া এই প্রস্তাবে প্রায় সব রিপাবলিকান সিনেটর ও আট ডেমোক্র্যাট সিনেটর সমর্থন দেন। যদিও ডেমোক্র্যাটরা সরকারে অর্থায়নের সঙ্গে বছরের শেষে মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া স্বাস্থ্য ভর্তুকি যুক্ত করতে চেয়েছিলেন, সেটি গৃহীত হয়নি। সমঝোতা অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসে এই ভর্তুকি নিয়ে ভোট হবে, তবে তা বহাল থাকবে কি না, তার নিশ্চয়তা নেই।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নতুন চুক্তির মাধ্যমে ১ অক্টোবর মেয়াদোত্তীর্ণ ফেডারেল সংস্থাগুলোর অর্থায়ন পুনরায় চালু হবে। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেডারেল কর্মীসংখ্যা কমানোর পরিকল্পনাও অন্তত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। বিলটি এখন রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদে যাবে। স্পিকার মাইক জনসন জানিয়েছেন, তিনি বুধবারের মধ্যেই এটি পাস করিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পাঠাতে চান। ট্রাম্প চুক্তিটিকে ‘খুব ভালো’ বলে প্রশংসা করেছেন।
এই সমঝোতায় সরকারের অর্থায়ন ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হবে। ফলে আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার বছরে প্রায় ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ যোগ করে ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলারের মোট ঋণের পথে এগিয়ে যাবে।
চুক্তিটি এমন এক সময় হলো, যখন ডেমোক্র্যাটরা নিউ জার্সি, ভার্জিনিয়া এবং নিউ ইয়র্ক সিটিতে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে জয় পেয়েছে। তবে এই সমঝোতায় ডেমোক্র্যাটদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এতে স্বাস্থ্য ভর্তুকি চালু রাখার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা ডিক ডারবিন বলেন, ‘আমরা আরও কিছু করতে চেয়েছিলাম। সরকার বন্ধ হওয়াকে আমরা ভালো নীতির পথে নেওয়ার সুযোগ ভেবেছিলাম। কিন্তু সেটা হয়নি।’
রয়টার্স–ইপসসের অক্টোবরের শেষ দিকের এক জরিপে দেখা যায়, ৫০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক শাটডাউনের জন্য রিপাবলিকানদের দায়ী করেন, আর ৪৩ শতাংশ দায় দেন ডেমোক্র্যাটদের।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একতরফাভাবে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় বাতিল করেছেন এবং লক্ষাধিক ফেডারেল কর্মী ছাঁটাই করেছেন, যা কংগ্রেসের আর্থিক ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে সমালোচিত হয়েছে। এতে পূর্বে কংগ্রেস অনুমোদিত ব্যয় আইনও ভঙ্গ হয়েছে। তাই অনেক ডেমোক্র্যাট এখন প্রশ্ন তুলছেন, ভবিষ্যতে এমন কোনো ব্যয় চুক্তিতে তারা কেন ভোট দেবেন।
চুক্তিতে ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ ঠেকানোর কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে এতে স্ন্যাপ (SNAP) খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির অর্থায়ন আগামী বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়েছে, যাতে সরকার আবার বন্ধ হলেও এই সহায়তা ব্যাহত না হয়।

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি আজ রোববার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু সেখানে কোনো উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল না। তাঁরা সেখানে গাজা উপত্যকায় আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলা নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। বার্তা সংস্থা আনাদোলু এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১৬ জুন ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার জানিয়েছেন, সিরিয়াকে সফল রাষ্ট্রে পরিণত করতে তিনি সব ধরনের পদক্ষেপ নেবেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকের পর এ কথা বলেন ট্রাম্প।
৩১ মিনিট আগে
বিহারে বিধানসভার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। এ দফায় মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনিদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা মানার জেন্দিয়া এখনো বাস্তুচ্যুত। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহ এলাকায়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিহারে বিধানসভার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। এ দফায় মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিরোধী দলগুলোর জোট মহাগাঠবন্ধন বা মহাজোটে ভাঙনের খবর ছড়ালেও বিকাশশীল ইনসান পার্টির প্রধান ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মুকেশ সাহানি সে খবর পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। এই পর্বকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ–এর ছোট অংশীদারদের জন্য শক্তি পরীক্ষার লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছে। জিতন রাম মাঞ্জির নেতৃত্বাধীন হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ও রাজ্যসভার সদস্য উপেন্দ্র কুশওয়াহার নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা—দুটি দলই ছয়টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার নয় মন্ত্রী এই পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন—বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব (সুপৌল), সুমিত কুমার সিং (চাকাই), মোহাম্মদ জামা খান (চেইনপুর), লেশি সিং (ধামদহা), কৃষ্ণ নন্দন পাসওয়ান (হরসিধি), রেণু দেবী (বেতিয়া), নীরজ কুমার বাবলু (ছাটাপুর), নিতীশ মিশ্র (ঝনঝারপুর), প্রেম কুমার (গয়া), শীলা মণ্ডল (ফুলপরাস), বিজয় মণ্ডল (সিকতি) এবং জয়ন্ত রাজ কুশওয়াহা (আমরপুর)।
আজ যেসব জেলায় ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম চম্পারণ, পূর্ব চম্পারণ, সীতামারহি, মধুবনী, সুপৌল, আরারিয়া ও কিষাণগঞ্জ। এসব জেলার সীমানা নেপালের সঙ্গে যুক্ত। এই ভোটপর্বে সীমাঞ্চল অঞ্চলের বহু জেলা অন্তর্ভুক্ত। এখানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি বেশি, ফলে এ পর্বটি সরকার ও বিরোধী—দুই জোটের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সবচেয়ে নজরকাড়া আসনের মধ্যে একটি হলো ভাগলপুর জেলার কাহালগাঁও। এখানে চারদলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। মহাগঠবন্ধনের শরিক আরজেডি ও কংগ্রেসের মধ্যে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ দেখা যাবে। লড়াইয়ে রয়েছে শাসক দল জনতা দল ইউনাইটেডও। অন্যদিকে, বিজেপির বর্তমান বিধায়ক পবন কুমার যাদব দল থেকে বিদ্রোহ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমার, যিনি সংরক্ষিত কুটুম্বা আসন দ্বিতীয়বারের মতো ধরে রাখতে চান। এ ছাড়া প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিধানসভার স্পিকার উদয় নারায়ণ চৌধুরী (আরজেডি), কংগ্রেস বিধায়ক দলনেতা শাকিল আহমেদ খান এবং সিপিআই-এমএল বিধায়ক দলনেতা মেহবুব আলম।
দ্বিতীয় দফার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রায় ৪ লাখ নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার ভোটে ৬৫ শতাংশের বেশি ভোটার অংশ নিয়েছিলেন, যা রেকর্ড পরিমাণ ভোটার উপস্থিতি। ভোট গণনা হবে আগামী ১৪ নভেম্বর।

বিহারে বিধানসভার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। এ দফায় মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিরোধী দলগুলোর জোট মহাগাঠবন্ধন বা মহাজোটে ভাঙনের খবর ছড়ালেও বিকাশশীল ইনসান পার্টির প্রধান ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মুকেশ সাহানি সে খবর পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। এই পর্বকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ–এর ছোট অংশীদারদের জন্য শক্তি পরীক্ষার লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছে। জিতন রাম মাঞ্জির নেতৃত্বাধীন হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ও রাজ্যসভার সদস্য উপেন্দ্র কুশওয়াহার নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা—দুটি দলই ছয়টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার নয় মন্ত্রী এই পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন—বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব (সুপৌল), সুমিত কুমার সিং (চাকাই), মোহাম্মদ জামা খান (চেইনপুর), লেশি সিং (ধামদহা), কৃষ্ণ নন্দন পাসওয়ান (হরসিধি), রেণু দেবী (বেতিয়া), নীরজ কুমার বাবলু (ছাটাপুর), নিতীশ মিশ্র (ঝনঝারপুর), প্রেম কুমার (গয়া), শীলা মণ্ডল (ফুলপরাস), বিজয় মণ্ডল (সিকতি) এবং জয়ন্ত রাজ কুশওয়াহা (আমরপুর)।
আজ যেসব জেলায় ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম চম্পারণ, পূর্ব চম্পারণ, সীতামারহি, মধুবনী, সুপৌল, আরারিয়া ও কিষাণগঞ্জ। এসব জেলার সীমানা নেপালের সঙ্গে যুক্ত। এই ভোটপর্বে সীমাঞ্চল অঞ্চলের বহু জেলা অন্তর্ভুক্ত। এখানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি বেশি, ফলে এ পর্বটি সরকার ও বিরোধী—দুই জোটের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সবচেয়ে নজরকাড়া আসনের মধ্যে একটি হলো ভাগলপুর জেলার কাহালগাঁও। এখানে চারদলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। মহাগঠবন্ধনের শরিক আরজেডি ও কংগ্রেসের মধ্যে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ দেখা যাবে। লড়াইয়ে রয়েছে শাসক দল জনতা দল ইউনাইটেডও। অন্যদিকে, বিজেপির বর্তমান বিধায়ক পবন কুমার যাদব দল থেকে বিদ্রোহ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমার, যিনি সংরক্ষিত কুটুম্বা আসন দ্বিতীয়বারের মতো ধরে রাখতে চান। এ ছাড়া প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিধানসভার স্পিকার উদয় নারায়ণ চৌধুরী (আরজেডি), কংগ্রেস বিধায়ক দলনেতা শাকিল আহমেদ খান এবং সিপিআই-এমএল বিধায়ক দলনেতা মেহবুব আলম।
দ্বিতীয় দফার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রায় ৪ লাখ নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার ভোটে ৬৫ শতাংশের বেশি ভোটার অংশ নিয়েছিলেন, যা রেকর্ড পরিমাণ ভোটার উপস্থিতি। ভোট গণনা হবে আগামী ১৪ নভেম্বর।

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি আজ রোববার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু সেখানে কোনো উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল না। তাঁরা সেখানে গাজা উপত্যকায় আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলা নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। বার্তা সংস্থা আনাদোলু এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১৬ জুন ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার জানিয়েছেন, সিরিয়াকে সফল রাষ্ট্রে পরিণত করতে তিনি সব ধরনের পদক্ষেপ নেবেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকের পর এ কথা বলেন ট্রাম্প।
৩১ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দেশটির সরকারের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের শাটডাউন বা অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে গতকাল সোমবার এক সমঝোতা চুক্তি অনুমোদন করেছে দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এই অচলাবস্থায় লাখো মানুষ খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, কয়েক লাখ সরকারি কর্মচারী বেতন পাননি, আর বিমান চলাচল
১ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনিদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা মানার জেন্দিয়া এখনো বাস্তুচ্যুত। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহ এলাকায়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনিদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা মানার জেন্দিয়া এখনো বাস্তুচ্যুত। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহ এলাকায়।
জেন্দিয়া বলেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে ১১ অক্টোবর, কিন্তু তাঁর এলাকার বেশির ভাগ অংশ এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। তিনি বলেন, ‘চুক্তির দুই সপ্তাহ পরই আমাদের আশ্রয় নেওয়া জায়গায় ভয়াবহ বোমাবর্ষণ হয়। আমার বোন তখন সেখানেই মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওর স্বামী যুদ্ধের শুরুতেই মারা গিয়েছিল। সন্তানদের একাই লালনপালন করছিল। গাজা শহরে যখন হামলা বেড়ে গেল, তখন সন্তানদের নিয়ে মাঝ গাজায় একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সেখানেই ও মারা গেল। এখন ওর সন্তানদের মা-বাবা কেউ বেঁচে নেই।’
জেন্দিয়ার মতো অনেক ফিলিস্তিনি মনে করে, যুদ্ধবিরতির পরও গণহত্যা থামেনি। তিনি বলেন, ‘গণহত্যা শুধু গণমাধ্যমে থেমেছে। তারা (গণমাধ্যম) কথা বলা বন্ধ করেছে, কিন্তু আমাদের জন্য এটা এখনো চলছে।’
গাজায় এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছে। প্রায় প্রতিদিন গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর ধ্বংস হচ্ছে। গোলাগুলি ও গুলিবর্ষণে সাধারণ মানুষ নিহত হচ্ছে। আকাশে ড্রোন ঘুরছে, বাজছে আতঙ্ক ছড়ানো শব্দ। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাদ্য ও ওষুধের সংকটও আগের মতোই রয়েছে। দিনে গড়ে মাত্র ১৫০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়, যেখানে চুক্তিতে ছিল ৬০০টি। তার বেশির ভাগেই অপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ, জরুরি জিনিসপত্র এখনো মজুত ঘাটতিতে।
যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে। এ ছাড়া রাফাহ সীমান্ত এখনো বন্ধ। ফলে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের মিসরে নেওয়া যাচ্ছে না।
জেন্দিয়া জানান, তিনি তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন প্রথম বছরের ‘আটা হত্যাকাণ্ডে’। সেদিন ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালিয়েছিল। এখন তিনি তিন সন্তান ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের নিয়ে গাজা শহরের এক স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেইর আল-বালাহের পূর্ব দিকে ছিলাম। যুদ্ধবিরতি শুরু হলে ভাবলাম, গাজা শহর বা এখানে—যেখানেই থাকি, তাঁবুতেই থাকতে হবে। তাই থাকা ঠিক করেছিলাম। কিন্তু প্রতিদিন সকালে বোমা পড়ত। নিরাপত্তা পাইনি। তাই শহরের কেন্দ্রে চলে এসেছি।’
তবু শান্তি ফেরেনি বলে জানান এই ফিলিস্তিনি নারী। তিনি আরও জানেন, ‘আমি খাবার মজুত করে রাখি। ভয় হয়, আবার অবরোধ কড়াকড়ি হবে, ক্ষুধা ফিরে আসবে। প্রতিদিন সকালে পূর্ব দিক থেকে বিস্ফোরণের শব্দ আসে। প্রতিদিন নতুন হামলা, নতুন লাশ।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় এখন নতুন আতঙ্ক—ইসরায়েলি ড্রোন। ৩০ বছর বয়সী আনাস মুঈন বলেন, ‘তিন দিন আগে ড্রোনটা আমার বাড়ির ওপর ঘুরছিল। ওরা যে রেকর্ডিং বাজায়, তাতে ইচ্ছে করেই বিকৃতি আনা হয়। শব্দগুলো স্পষ্ট না, বিকট। মনে হয় ভয় ধরানোর জন্যই এমন করছে।’
আনাস মুঈন বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির সময় এসব ড্রোন আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সেনারা কাছেই আছে, নজর রাখছে। ওরা বলছে, বন্দীদের দেহ হস্তান্তর করো, ‘যুদ্ধবিরতি মানো। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ, এসব আমাদের দায়িত্ব নয়।’
বাসিন্দারা জানান, এখন দেখা ড্রোনগুলো আগের ছোট কোয়াডকপ্টার নয়। এগুলোর আকার বড়, দেখতে ইসরায়েলের আরএ-০১ মডেলের মতো, কিছুটা পরিবর্তিত নকশায়। মুঈন বলেন, ‘এগুলো অনেক উঁচুতে ওড়ে, আকারে ত্রিভুজাকার। আগে এমন ড্রোন আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহার হতে দেখেছি। এবার এটা ভয় ছড়ানো বার্তা দিচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, যেকোনো মুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।’
ইসরায়েলি ড্রোন এখনো লিফলেট ফেলছে গাজার বিভিন্ন স্থানে। গত রোববারের লিফলেটে হামাসের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হয়। মুঈন বলেন, ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের পাশাপাশি স্থল হামলাও বেড়েছে।’
১৯ অক্টোবর ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে রাফাহতে বিমান হামলা চালায়। ওই দিন দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর তারা পাল্টা হামলায় ১০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, আহত হয় আরও ১৫০ জন। মুঈন বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা এখনো গাজার অনেক ভেতরে অবস্থান করছে। সামরিক যান আমার বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যেই, অথচ আমি শহরের কেন্দ্রেই থাকি।’
মুঈন যোগ করেন, ‘এগুলো কেবল মাঝেমধ্যে হামলা নয়, প্রতিদিনের রুটিন। বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ আর এত গুলিবর্ষণ হয় যে একে প্রায় উন্মত্ত বলা যায়। কখনো দেখা যায়, এক সৈন্য টানা ১৫ মিনিট গুলি চালিয়ে যাচ্ছে।’

গাজায় যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনিদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা মানার জেন্দিয়া এখনো বাস্তুচ্যুত। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহ এলাকায়।
জেন্দিয়া বলেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে ১১ অক্টোবর, কিন্তু তাঁর এলাকার বেশির ভাগ অংশ এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। তিনি বলেন, ‘চুক্তির দুই সপ্তাহ পরই আমাদের আশ্রয় নেওয়া জায়গায় ভয়াবহ বোমাবর্ষণ হয়। আমার বোন তখন সেখানেই মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওর স্বামী যুদ্ধের শুরুতেই মারা গিয়েছিল। সন্তানদের একাই লালনপালন করছিল। গাজা শহরে যখন হামলা বেড়ে গেল, তখন সন্তানদের নিয়ে মাঝ গাজায় একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সেখানেই ও মারা গেল। এখন ওর সন্তানদের মা-বাবা কেউ বেঁচে নেই।’
জেন্দিয়ার মতো অনেক ফিলিস্তিনি মনে করে, যুদ্ধবিরতির পরও গণহত্যা থামেনি। তিনি বলেন, ‘গণহত্যা শুধু গণমাধ্যমে থেমেছে। তারা (গণমাধ্যম) কথা বলা বন্ধ করেছে, কিন্তু আমাদের জন্য এটা এখনো চলছে।’
গাজায় এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছে। প্রায় প্রতিদিন গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর ধ্বংস হচ্ছে। গোলাগুলি ও গুলিবর্ষণে সাধারণ মানুষ নিহত হচ্ছে। আকাশে ড্রোন ঘুরছে, বাজছে আতঙ্ক ছড়ানো শব্দ। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাদ্য ও ওষুধের সংকটও আগের মতোই রয়েছে। দিনে গড়ে মাত্র ১৫০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়, যেখানে চুক্তিতে ছিল ৬০০টি। তার বেশির ভাগেই অপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ, জরুরি জিনিসপত্র এখনো মজুত ঘাটতিতে।
যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে। এ ছাড়া রাফাহ সীমান্ত এখনো বন্ধ। ফলে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের মিসরে নেওয়া যাচ্ছে না।
জেন্দিয়া জানান, তিনি তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন প্রথম বছরের ‘আটা হত্যাকাণ্ডে’। সেদিন ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালিয়েছিল। এখন তিনি তিন সন্তান ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের নিয়ে গাজা শহরের এক স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেইর আল-বালাহের পূর্ব দিকে ছিলাম। যুদ্ধবিরতি শুরু হলে ভাবলাম, গাজা শহর বা এখানে—যেখানেই থাকি, তাঁবুতেই থাকতে হবে। তাই থাকা ঠিক করেছিলাম। কিন্তু প্রতিদিন সকালে বোমা পড়ত। নিরাপত্তা পাইনি। তাই শহরের কেন্দ্রে চলে এসেছি।’
তবু শান্তি ফেরেনি বলে জানান এই ফিলিস্তিনি নারী। তিনি আরও জানেন, ‘আমি খাবার মজুত করে রাখি। ভয় হয়, আবার অবরোধ কড়াকড়ি হবে, ক্ষুধা ফিরে আসবে। প্রতিদিন সকালে পূর্ব দিক থেকে বিস্ফোরণের শব্দ আসে। প্রতিদিন নতুন হামলা, নতুন লাশ।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় এখন নতুন আতঙ্ক—ইসরায়েলি ড্রোন। ৩০ বছর বয়সী আনাস মুঈন বলেন, ‘তিন দিন আগে ড্রোনটা আমার বাড়ির ওপর ঘুরছিল। ওরা যে রেকর্ডিং বাজায়, তাতে ইচ্ছে করেই বিকৃতি আনা হয়। শব্দগুলো স্পষ্ট না, বিকট। মনে হয় ভয় ধরানোর জন্যই এমন করছে।’
আনাস মুঈন বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির সময় এসব ড্রোন আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সেনারা কাছেই আছে, নজর রাখছে। ওরা বলছে, বন্দীদের দেহ হস্তান্তর করো, ‘যুদ্ধবিরতি মানো। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ, এসব আমাদের দায়িত্ব নয়।’
বাসিন্দারা জানান, এখন দেখা ড্রোনগুলো আগের ছোট কোয়াডকপ্টার নয়। এগুলোর আকার বড়, দেখতে ইসরায়েলের আরএ-০১ মডেলের মতো, কিছুটা পরিবর্তিত নকশায়। মুঈন বলেন, ‘এগুলো অনেক উঁচুতে ওড়ে, আকারে ত্রিভুজাকার। আগে এমন ড্রোন আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহার হতে দেখেছি। এবার এটা ভয় ছড়ানো বার্তা দিচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, যেকোনো মুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।’
ইসরায়েলি ড্রোন এখনো লিফলেট ফেলছে গাজার বিভিন্ন স্থানে। গত রোববারের লিফলেটে হামাসের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হয়। মুঈন বলেন, ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের পাশাপাশি স্থল হামলাও বেড়েছে।’
১৯ অক্টোবর ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে রাফাহতে বিমান হামলা চালায়। ওই দিন দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর তারা পাল্টা হামলায় ১০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, আহত হয় আরও ১৫০ জন। মুঈন বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা এখনো গাজার অনেক ভেতরে অবস্থান করছে। সামরিক যান আমার বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যেই, অথচ আমি শহরের কেন্দ্রেই থাকি।’
মুঈন যোগ করেন, ‘এগুলো কেবল মাঝেমধ্যে হামলা নয়, প্রতিদিনের রুটিন। বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ আর এত গুলিবর্ষণ হয় যে একে প্রায় উন্মত্ত বলা যায়। কখনো দেখা যায়, এক সৈন্য টানা ১৫ মিনিট গুলি চালিয়ে যাচ্ছে।’

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি আজ রোববার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু সেখানে কোনো উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল না। তাঁরা সেখানে গাজা উপত্যকায় আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলা নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। বার্তা সংস্থা আনাদোলু এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১৬ জুন ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার জানিয়েছেন, সিরিয়াকে সফল রাষ্ট্রে পরিণত করতে তিনি সব ধরনের পদক্ষেপ নেবেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকের পর এ কথা বলেন ট্রাম্প।
৩১ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দেশটির সরকারের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের শাটডাউন বা অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে গতকাল সোমবার এক সমঝোতা চুক্তি অনুমোদন করেছে দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এই অচলাবস্থায় লাখো মানুষ খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, কয়েক লাখ সরকারি কর্মচারী বেতন পাননি, আর বিমান চলাচল
১ ঘণ্টা আগে
বিহারে বিধানসভার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। এ দফায় মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে