
করোনাভাইরাস মহামারি এমনিতেই গোটা বিশ্বকে এক অভাবনীয় বাস্তবতার মধ্যে এনে ফেলেছে। তারপরও দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এর সঙ্গে চলতে চলতে মানুষ এর ধারা কিছুটা বুঝতে পেরেছিল বলে মনে করেছে। এই বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিল, নতুন করে সচল করছিল অর্থনীতি। কিন্তু ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট এসে বুঝিয়ে দিল করোনা নিয়ে এত সব পূর্বানুমানের কোনো মানে হয় না।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ও মহামারি বিশারদেরা বলছেন, কোভিড–১৯ রোগ সৃষ্টিতে সক্ষম করোনার ডেলটা ধরন এর আগের যেকোনো ধরনের চেয়ে বেশি ভয়ংকর। এটি দ্রুত সংক্রমিত হয়, প্রতিকূল অবস্থায় টিকে থাকার ক্ষমতাও এর বেশি।
না, এমন নয় যে, এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আবিষ্কৃত টিকাগুলো কাজ করছে না। করছে। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, বিশ্বের খুব অল্প মানুষই এই টিকা পেয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষেরাই বরং এখনো টিকা পাননি।
বিশ্বের সেরা ১০ জন ভাইরাস বিশেষজ্ঞের সঙ্গে করোনার এই ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে কথা বলেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তাঁদের সবাই একটি বিষয়ে একমত যে, ভারতে প্রথম ধরা পড়া ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট মানুষকে ভীষণভাবে অসুস্থ করে ফেলে। একই সঙ্গে এটি খুব দ্রুত ও সহজে সংক্রমিত হয়। এই ডেলটা ধরনে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার অনেক বেশি। এমনকি টিকা গ্রহণ করেচেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যেও এটি সংক্রমিত হতে পারে। করোনার আগের ধরনগুলোরও এমন ক্ষমতা ছিল। কিন্তু টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের আক্রান্ত করার ক্ষেত্রে ডেলটা ধরন অনেক বেশি সক্রীয় বলে এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় শঙ্কার বিষয় হলো—ডেলটা ধরনে আক্রান্ত টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তির কাছ থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তেও পারে।
করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের জিনোম সিকোয়েন্স তৈরির জন্য ব্রিটেন যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার পরিচালক হিসেবে রয়েছে অণুজীব বিজ্ঞানী শ্যারন পিকক। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে ডেলটা ধরনই বিশ্বের সামনে সবচেয়ে বড় হুমকি। এখন পর্যন্ত আসা সবচেয়ে দ্রুত সংক্রমণশীল ও শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট এটি।’
যেকোনো ভাইরাসই প্রতিনিয়ত নিজের জিন কাঠামো পরিবর্তন করে টিকে থাকে। আর এই বদলের মধ্য দিয়েই হাজির হয় একেকটি ভাইরাসের নতুন নতুন ধরন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মূল ভাইরাসটির চেয়ে এর পরিবর্তিত ধরটিই হয়ে ওঠে বেশি ভয়ংকর। করোনার ডেলটা ধরনের ক্ষেত্রেও এমনটিই হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ডেলটা ধরন সম্পর্কে যেথষ্ট তথ্য ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের হাতে আসেনি। তাই তাঁরা করোনা মোকাবিলার অংশ হিসেবে মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শই দিচ্ছেন। একই সঙ্গে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছেন, সুযোগ পাওয়ামাত্রই টিকা গ্রহণের জন্য।
ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট এখন বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে প্রথম এই ধরনটি শনাক্ত হলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এটি চড়িয়ে যেতে সময় লাগেনি। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকাতেও ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত শুক্রবার পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই দিন ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩ হাজার ৬৯২ জন রোগী। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ টিকা নেননি। আর পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা গ্রহণের পরও করোনার এই ধরনটিতে আক্রান্ত হয়েছে মোট রোগীর ২২ দশমিক ৮ শতাংশ।
সিঙ্গাপুরে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টই মুখ্য হয়ে উঠেছে। দেশটির সরকার জানায়, দেশটিতে টিকা নেওয়ার পরও যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের তিন–চতুর্থাংশই এই ধরনে আক্রান্ত। যদিও তাঁদের কেউই গুরুতর অসুস্থ হননি।
ইসরায়েলেও টিকা নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। দেশটিতে হাসপাতালে ভর্তি মোট করোনা রোগীর ৬০ শতাংশই টিকা নেওয়ার পর আক্রান্ত হয়েছে। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে চিত্রটি আরও ভয়াবহ। নতুন আক্রান্তদের ৮৩ শতাংশই ডেলটা ধরনে আক্রান্ত। তবে যারা গুরুতর অসুস্থ হচ্ছেন, তাঁদের ৯৭ শতাংশই টিকা গ্রহণ না করার দলে।
ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক নাদাভ দাভিদোভিচ বলেন, ‘সব সময়ই এমন একটা ধারণা আছে যে, কোথাও না কোথাও একটা জাদুকরী কিছু আছে, যা আমাদের সব সমস্যার সমাধান করবে। করোনাভাইরাস আমাদের এখন শিক্ষা দিয়ে ছাড়ছে।’
নাদাভ দাভিদোভিচের কথাটি বুঝতে হলে ইসরায়েলের সংক্রমণ পরিস্থিতির দিকে তাকাতে হবে। রয়টার্স জানাচ্ছে, ফাইজার–বায়োএনটেকের টিকা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত টিকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়ানোর পর এটি করোনা উপসর্গ ছড়ানো রোধে মাত্র ৪১ শতাংশ কার্যকর হতে পেরেছে। ইসরায়েল সরকারের দেওয়া এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এখনই অবশ্য কোনো উসংহারে পৌঁছাতে চাইছেন না স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কেন এমনটি হচ্ছে। নাদাভ দাভিদোভিচ বলেন, ‘করোনা থেকে কোনো ব্যক্তিকে সুরক্ষা দিতে এই টিকা বেশ কার্যকর হলেও ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এটি বেশ দুর্বল।’
আর ডেলটা ভ্রারিয়েন্ট যেহেতু খুব দুত ও সহজে ছড়াতে পারে, সেহেতু এটি রোধ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এই একই তথ্য জানাচ্ছে চীন। তারা বলছে, উহান স্ট্রেইনের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির নাকে যে পরিমাণ ভাইরাস থাকত, ডেলটা আক্রান্ত ব্যক্তির নাকে তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি ভাইরাস থাকে। আর বেশি ভাইরাস বহনের কারণে অন্যের মধ্যে এটি সংক্রমিত করার হারও বেশি।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও জিন বিশেষজ্ঞ এরিক টোপল রয়টার্সকে বলেন, ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের ইনকিউবেশন কাল অনেক কম। অর্থাৎ এটি সক্রিয় হতে কম সময় নেয়। একই সঙ্গে বিপলসংখ্যক ভাইরাস একসঙ্গে বাসা বাঁধে। এ কারণে টিকাগুলো একে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই টিকা যারা নিয়েছেন, তাঁদেরও আলাদাভাবে সতর্ক হওয়া জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রেই যেমন ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ মানুষের মাস্ক পরা কমিয়ে দেওয়া। বিশেষজ্ঞরা এখন বলছেন, ডেলটা ধরন হোক আর যা–ই হোক করোনা থেকে বাঁচতে এখন পর্যন্ত পরীক্ষিত ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরা ও পরিচ্ছন্নতার নিয়মগুলো মেনে চলা জরুরি। এর সঙ্গে যাবতীয় স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলার জন্য তাঁরা সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাস মহামারি এমনিতেই গোটা বিশ্বকে এক অভাবনীয় বাস্তবতার মধ্যে এনে ফেলেছে। তারপরও দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এর সঙ্গে চলতে চলতে মানুষ এর ধারা কিছুটা বুঝতে পেরেছিল বলে মনে করেছে। এই বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিল, নতুন করে সচল করছিল অর্থনীতি। কিন্তু ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট এসে বুঝিয়ে দিল করোনা নিয়ে এত সব পূর্বানুমানের কোনো মানে হয় না।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ও মহামারি বিশারদেরা বলছেন, কোভিড–১৯ রোগ সৃষ্টিতে সক্ষম করোনার ডেলটা ধরন এর আগের যেকোনো ধরনের চেয়ে বেশি ভয়ংকর। এটি দ্রুত সংক্রমিত হয়, প্রতিকূল অবস্থায় টিকে থাকার ক্ষমতাও এর বেশি।
না, এমন নয় যে, এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আবিষ্কৃত টিকাগুলো কাজ করছে না। করছে। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, বিশ্বের খুব অল্প মানুষই এই টিকা পেয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষেরাই বরং এখনো টিকা পাননি।
বিশ্বের সেরা ১০ জন ভাইরাস বিশেষজ্ঞের সঙ্গে করোনার এই ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে কথা বলেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তাঁদের সবাই একটি বিষয়ে একমত যে, ভারতে প্রথম ধরা পড়া ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট মানুষকে ভীষণভাবে অসুস্থ করে ফেলে। একই সঙ্গে এটি খুব দ্রুত ও সহজে সংক্রমিত হয়। এই ডেলটা ধরনে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার অনেক বেশি। এমনকি টিকা গ্রহণ করেচেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যেও এটি সংক্রমিত হতে পারে। করোনার আগের ধরনগুলোরও এমন ক্ষমতা ছিল। কিন্তু টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের আক্রান্ত করার ক্ষেত্রে ডেলটা ধরন অনেক বেশি সক্রীয় বলে এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় শঙ্কার বিষয় হলো—ডেলটা ধরনে আক্রান্ত টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তির কাছ থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তেও পারে।
করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের জিনোম সিকোয়েন্স তৈরির জন্য ব্রিটেন যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার পরিচালক হিসেবে রয়েছে অণুজীব বিজ্ঞানী শ্যারন পিকক। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে ডেলটা ধরনই বিশ্বের সামনে সবচেয়ে বড় হুমকি। এখন পর্যন্ত আসা সবচেয়ে দ্রুত সংক্রমণশীল ও শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট এটি।’
যেকোনো ভাইরাসই প্রতিনিয়ত নিজের জিন কাঠামো পরিবর্তন করে টিকে থাকে। আর এই বদলের মধ্য দিয়েই হাজির হয় একেকটি ভাইরাসের নতুন নতুন ধরন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মূল ভাইরাসটির চেয়ে এর পরিবর্তিত ধরটিই হয়ে ওঠে বেশি ভয়ংকর। করোনার ডেলটা ধরনের ক্ষেত্রেও এমনটিই হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ডেলটা ধরন সম্পর্কে যেথষ্ট তথ্য ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের হাতে আসেনি। তাই তাঁরা করোনা মোকাবিলার অংশ হিসেবে মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শই দিচ্ছেন। একই সঙ্গে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছেন, সুযোগ পাওয়ামাত্রই টিকা গ্রহণের জন্য।
ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট এখন বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে প্রথম এই ধরনটি শনাক্ত হলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এটি চড়িয়ে যেতে সময় লাগেনি। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকাতেও ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত শুক্রবার পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই দিন ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩ হাজার ৬৯২ জন রোগী। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ টিকা নেননি। আর পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা গ্রহণের পরও করোনার এই ধরনটিতে আক্রান্ত হয়েছে মোট রোগীর ২২ দশমিক ৮ শতাংশ।
সিঙ্গাপুরে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টই মুখ্য হয়ে উঠেছে। দেশটির সরকার জানায়, দেশটিতে টিকা নেওয়ার পরও যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের তিন–চতুর্থাংশই এই ধরনে আক্রান্ত। যদিও তাঁদের কেউই গুরুতর অসুস্থ হননি।
ইসরায়েলেও টিকা নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। দেশটিতে হাসপাতালে ভর্তি মোট করোনা রোগীর ৬০ শতাংশই টিকা নেওয়ার পর আক্রান্ত হয়েছে। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে চিত্রটি আরও ভয়াবহ। নতুন আক্রান্তদের ৮৩ শতাংশই ডেলটা ধরনে আক্রান্ত। তবে যারা গুরুতর অসুস্থ হচ্ছেন, তাঁদের ৯৭ শতাংশই টিকা গ্রহণ না করার দলে।
ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক নাদাভ দাভিদোভিচ বলেন, ‘সব সময়ই এমন একটা ধারণা আছে যে, কোথাও না কোথাও একটা জাদুকরী কিছু আছে, যা আমাদের সব সমস্যার সমাধান করবে। করোনাভাইরাস আমাদের এখন শিক্ষা দিয়ে ছাড়ছে।’
নাদাভ দাভিদোভিচের কথাটি বুঝতে হলে ইসরায়েলের সংক্রমণ পরিস্থিতির দিকে তাকাতে হবে। রয়টার্স জানাচ্ছে, ফাইজার–বায়োএনটেকের টিকা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত টিকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়ানোর পর এটি করোনা উপসর্গ ছড়ানো রোধে মাত্র ৪১ শতাংশ কার্যকর হতে পেরেছে। ইসরায়েল সরকারের দেওয়া এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এখনই অবশ্য কোনো উসংহারে পৌঁছাতে চাইছেন না স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কেন এমনটি হচ্ছে। নাদাভ দাভিদোভিচ বলেন, ‘করোনা থেকে কোনো ব্যক্তিকে সুরক্ষা দিতে এই টিকা বেশ কার্যকর হলেও ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এটি বেশ দুর্বল।’
আর ডেলটা ভ্রারিয়েন্ট যেহেতু খুব দুত ও সহজে ছড়াতে পারে, সেহেতু এটি রোধ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এই একই তথ্য জানাচ্ছে চীন। তারা বলছে, উহান স্ট্রেইনের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির নাকে যে পরিমাণ ভাইরাস থাকত, ডেলটা আক্রান্ত ব্যক্তির নাকে তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি ভাইরাস থাকে। আর বেশি ভাইরাস বহনের কারণে অন্যের মধ্যে এটি সংক্রমিত করার হারও বেশি।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও জিন বিশেষজ্ঞ এরিক টোপল রয়টার্সকে বলেন, ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের ইনকিউবেশন কাল অনেক কম। অর্থাৎ এটি সক্রিয় হতে কম সময় নেয়। একই সঙ্গে বিপলসংখ্যক ভাইরাস একসঙ্গে বাসা বাঁধে। এ কারণে টিকাগুলো একে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই টিকা যারা নিয়েছেন, তাঁদেরও আলাদাভাবে সতর্ক হওয়া জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রেই যেমন ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ মানুষের মাস্ক পরা কমিয়ে দেওয়া। বিশেষজ্ঞরা এখন বলছেন, ডেলটা ধরন হোক আর যা–ই হোক করোনা থেকে বাঁচতে এখন পর্যন্ত পরীক্ষিত ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরা ও পরিচ্ছন্নতার নিয়মগুলো মেনে চলা জরুরি। এর সঙ্গে যাবতীয় স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলার জন্য তাঁরা সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাস মহামারি এমনিতেই গোটা বিশ্বকে এক অভাবনীয় বাস্তবতার মধ্যে এনে ফেলেছে। তারপরও দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এর সঙ্গে চলতে চলতে মানুষ এর ধারা কিছুটা বুঝতে পেরেছিল বলে মনে করেছে। এই বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিল, নতুন করে সচল করছিল অর্থনীতি। কিন্তু ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট এসে বুঝিয়ে দিল করোনা নিয়ে এত সব পূর্বানুমানের কোনো মানে হয় না।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ও মহামারি বিশারদেরা বলছেন, কোভিড–১৯ রোগ সৃষ্টিতে সক্ষম করোনার ডেলটা ধরন এর আগের যেকোনো ধরনের চেয়ে বেশি ভয়ংকর। এটি দ্রুত সংক্রমিত হয়, প্রতিকূল অবস্থায় টিকে থাকার ক্ষমতাও এর বেশি।
না, এমন নয় যে, এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আবিষ্কৃত টিকাগুলো কাজ করছে না। করছে। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, বিশ্বের খুব অল্প মানুষই এই টিকা পেয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষেরাই বরং এখনো টিকা পাননি।
বিশ্বের সেরা ১০ জন ভাইরাস বিশেষজ্ঞের সঙ্গে করোনার এই ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে কথা বলেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তাঁদের সবাই একটি বিষয়ে একমত যে, ভারতে প্রথম ধরা পড়া ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট মানুষকে ভীষণভাবে অসুস্থ করে ফেলে। একই সঙ্গে এটি খুব দ্রুত ও সহজে সংক্রমিত হয়। এই ডেলটা ধরনে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার অনেক বেশি। এমনকি টিকা গ্রহণ করেচেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যেও এটি সংক্রমিত হতে পারে। করোনার আগের ধরনগুলোরও এমন ক্ষমতা ছিল। কিন্তু টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের আক্রান্ত করার ক্ষেত্রে ডেলটা ধরন অনেক বেশি সক্রীয় বলে এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় শঙ্কার বিষয় হলো—ডেলটা ধরনে আক্রান্ত টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তির কাছ থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তেও পারে।
করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের জিনোম সিকোয়েন্স তৈরির জন্য ব্রিটেন যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার পরিচালক হিসেবে রয়েছে অণুজীব বিজ্ঞানী শ্যারন পিকক। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে ডেলটা ধরনই বিশ্বের সামনে সবচেয়ে বড় হুমকি। এখন পর্যন্ত আসা সবচেয়ে দ্রুত সংক্রমণশীল ও শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট এটি।’
যেকোনো ভাইরাসই প্রতিনিয়ত নিজের জিন কাঠামো পরিবর্তন করে টিকে থাকে। আর এই বদলের মধ্য দিয়েই হাজির হয় একেকটি ভাইরাসের নতুন নতুন ধরন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মূল ভাইরাসটির চেয়ে এর পরিবর্তিত ধরটিই হয়ে ওঠে বেশি ভয়ংকর। করোনার ডেলটা ধরনের ক্ষেত্রেও এমনটিই হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ডেলটা ধরন সম্পর্কে যেথষ্ট তথ্য ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের হাতে আসেনি। তাই তাঁরা করোনা মোকাবিলার অংশ হিসেবে মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শই দিচ্ছেন। একই সঙ্গে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছেন, সুযোগ পাওয়ামাত্রই টিকা গ্রহণের জন্য।
ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট এখন বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে প্রথম এই ধরনটি শনাক্ত হলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এটি চড়িয়ে যেতে সময় লাগেনি। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকাতেও ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত শুক্রবার পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই দিন ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩ হাজার ৬৯২ জন রোগী। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ টিকা নেননি। আর পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা গ্রহণের পরও করোনার এই ধরনটিতে আক্রান্ত হয়েছে মোট রোগীর ২২ দশমিক ৮ শতাংশ।
সিঙ্গাপুরে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টই মুখ্য হয়ে উঠেছে। দেশটির সরকার জানায়, দেশটিতে টিকা নেওয়ার পরও যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের তিন–চতুর্থাংশই এই ধরনে আক্রান্ত। যদিও তাঁদের কেউই গুরুতর অসুস্থ হননি।
ইসরায়েলেও টিকা নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। দেশটিতে হাসপাতালে ভর্তি মোট করোনা রোগীর ৬০ শতাংশই টিকা নেওয়ার পর আক্রান্ত হয়েছে। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে চিত্রটি আরও ভয়াবহ। নতুন আক্রান্তদের ৮৩ শতাংশই ডেলটা ধরনে আক্রান্ত। তবে যারা গুরুতর অসুস্থ হচ্ছেন, তাঁদের ৯৭ শতাংশই টিকা গ্রহণ না করার দলে।
ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক নাদাভ দাভিদোভিচ বলেন, ‘সব সময়ই এমন একটা ধারণা আছে যে, কোথাও না কোথাও একটা জাদুকরী কিছু আছে, যা আমাদের সব সমস্যার সমাধান করবে। করোনাভাইরাস আমাদের এখন শিক্ষা দিয়ে ছাড়ছে।’
নাদাভ দাভিদোভিচের কথাটি বুঝতে হলে ইসরায়েলের সংক্রমণ পরিস্থিতির দিকে তাকাতে হবে। রয়টার্স জানাচ্ছে, ফাইজার–বায়োএনটেকের টিকা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত টিকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়ানোর পর এটি করোনা উপসর্গ ছড়ানো রোধে মাত্র ৪১ শতাংশ কার্যকর হতে পেরেছে। ইসরায়েল সরকারের দেওয়া এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এখনই অবশ্য কোনো উসংহারে পৌঁছাতে চাইছেন না স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কেন এমনটি হচ্ছে। নাদাভ দাভিদোভিচ বলেন, ‘করোনা থেকে কোনো ব্যক্তিকে সুরক্ষা দিতে এই টিকা বেশ কার্যকর হলেও ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এটি বেশ দুর্বল।’
আর ডেলটা ভ্রারিয়েন্ট যেহেতু খুব দুত ও সহজে ছড়াতে পারে, সেহেতু এটি রোধ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এই একই তথ্য জানাচ্ছে চীন। তারা বলছে, উহান স্ট্রেইনের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির নাকে যে পরিমাণ ভাইরাস থাকত, ডেলটা আক্রান্ত ব্যক্তির নাকে তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি ভাইরাস থাকে। আর বেশি ভাইরাস বহনের কারণে অন্যের মধ্যে এটি সংক্রমিত করার হারও বেশি।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও জিন বিশেষজ্ঞ এরিক টোপল রয়টার্সকে বলেন, ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের ইনকিউবেশন কাল অনেক কম। অর্থাৎ এটি সক্রিয় হতে কম সময় নেয়। একই সঙ্গে বিপলসংখ্যক ভাইরাস একসঙ্গে বাসা বাঁধে। এ কারণে টিকাগুলো একে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই টিকা যারা নিয়েছেন, তাঁদেরও আলাদাভাবে সতর্ক হওয়া জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রেই যেমন ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ মানুষের মাস্ক পরা কমিয়ে দেওয়া। বিশেষজ্ঞরা এখন বলছেন, ডেলটা ধরন হোক আর যা–ই হোক করোনা থেকে বাঁচতে এখন পর্যন্ত পরীক্ষিত ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরা ও পরিচ্ছন্নতার নিয়মগুলো মেনে চলা জরুরি। এর সঙ্গে যাবতীয় স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলার জন্য তাঁরা সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাস মহামারি এমনিতেই গোটা বিশ্বকে এক অভাবনীয় বাস্তবতার মধ্যে এনে ফেলেছে। তারপরও দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এর সঙ্গে চলতে চলতে মানুষ এর ধারা কিছুটা বুঝতে পেরেছিল বলে মনে করেছে। এই বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিল, নতুন করে সচল করছিল অর্থনীতি। কিন্তু ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট এসে বুঝিয়ে দিল করোনা নিয়ে এত সব পূর্বানুমানের কোনো মানে হয় না।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ও মহামারি বিশারদেরা বলছেন, কোভিড–১৯ রোগ সৃষ্টিতে সক্ষম করোনার ডেলটা ধরন এর আগের যেকোনো ধরনের চেয়ে বেশি ভয়ংকর। এটি দ্রুত সংক্রমিত হয়, প্রতিকূল অবস্থায় টিকে থাকার ক্ষমতাও এর বেশি।
না, এমন নয় যে, এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আবিষ্কৃত টিকাগুলো কাজ করছে না। করছে। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, বিশ্বের খুব অল্প মানুষই এই টিকা পেয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষেরাই বরং এখনো টিকা পাননি।
বিশ্বের সেরা ১০ জন ভাইরাস বিশেষজ্ঞের সঙ্গে করোনার এই ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে কথা বলেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তাঁদের সবাই একটি বিষয়ে একমত যে, ভারতে প্রথম ধরা পড়া ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট মানুষকে ভীষণভাবে অসুস্থ করে ফেলে। একই সঙ্গে এটি খুব দ্রুত ও সহজে সংক্রমিত হয়। এই ডেলটা ধরনে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার অনেক বেশি। এমনকি টিকা গ্রহণ করেচেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যেও এটি সংক্রমিত হতে পারে। করোনার আগের ধরনগুলোরও এমন ক্ষমতা ছিল। কিন্তু টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের আক্রান্ত করার ক্ষেত্রে ডেলটা ধরন অনেক বেশি সক্রীয় বলে এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় শঙ্কার বিষয় হলো—ডেলটা ধরনে আক্রান্ত টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তির কাছ থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তেও পারে।
করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের জিনোম সিকোয়েন্স তৈরির জন্য ব্রিটেন যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার পরিচালক হিসেবে রয়েছে অণুজীব বিজ্ঞানী শ্যারন পিকক। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে ডেলটা ধরনই বিশ্বের সামনে সবচেয়ে বড় হুমকি। এখন পর্যন্ত আসা সবচেয়ে দ্রুত সংক্রমণশীল ও শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট এটি।’
যেকোনো ভাইরাসই প্রতিনিয়ত নিজের জিন কাঠামো পরিবর্তন করে টিকে থাকে। আর এই বদলের মধ্য দিয়েই হাজির হয় একেকটি ভাইরাসের নতুন নতুন ধরন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মূল ভাইরাসটির চেয়ে এর পরিবর্তিত ধরটিই হয়ে ওঠে বেশি ভয়ংকর। করোনার ডেলটা ধরনের ক্ষেত্রেও এমনটিই হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ডেলটা ধরন সম্পর্কে যেথষ্ট তথ্য ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের হাতে আসেনি। তাই তাঁরা করোনা মোকাবিলার অংশ হিসেবে মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শই দিচ্ছেন। একই সঙ্গে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছেন, সুযোগ পাওয়ামাত্রই টিকা গ্রহণের জন্য।
ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট এখন বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে প্রথম এই ধরনটি শনাক্ত হলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এটি চড়িয়ে যেতে সময় লাগেনি। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকাতেও ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত শুক্রবার পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই দিন ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩ হাজার ৬৯২ জন রোগী। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ টিকা নেননি। আর পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা গ্রহণের পরও করোনার এই ধরনটিতে আক্রান্ত হয়েছে মোট রোগীর ২২ দশমিক ৮ শতাংশ।
সিঙ্গাপুরে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টই মুখ্য হয়ে উঠেছে। দেশটির সরকার জানায়, দেশটিতে টিকা নেওয়ার পরও যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের তিন–চতুর্থাংশই এই ধরনে আক্রান্ত। যদিও তাঁদের কেউই গুরুতর অসুস্থ হননি।
ইসরায়েলেও টিকা নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। দেশটিতে হাসপাতালে ভর্তি মোট করোনা রোগীর ৬০ শতাংশই টিকা নেওয়ার পর আক্রান্ত হয়েছে। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে চিত্রটি আরও ভয়াবহ। নতুন আক্রান্তদের ৮৩ শতাংশই ডেলটা ধরনে আক্রান্ত। তবে যারা গুরুতর অসুস্থ হচ্ছেন, তাঁদের ৯৭ শতাংশই টিকা গ্রহণ না করার দলে।
ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক নাদাভ দাভিদোভিচ বলেন, ‘সব সময়ই এমন একটা ধারণা আছে যে, কোথাও না কোথাও একটা জাদুকরী কিছু আছে, যা আমাদের সব সমস্যার সমাধান করবে। করোনাভাইরাস আমাদের এখন শিক্ষা দিয়ে ছাড়ছে।’
নাদাভ দাভিদোভিচের কথাটি বুঝতে হলে ইসরায়েলের সংক্রমণ পরিস্থিতির দিকে তাকাতে হবে। রয়টার্স জানাচ্ছে, ফাইজার–বায়োএনটেকের টিকা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত টিকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়ানোর পর এটি করোনা উপসর্গ ছড়ানো রোধে মাত্র ৪১ শতাংশ কার্যকর হতে পেরেছে। ইসরায়েল সরকারের দেওয়া এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এখনই অবশ্য কোনো উসংহারে পৌঁছাতে চাইছেন না স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কেন এমনটি হচ্ছে। নাদাভ দাভিদোভিচ বলেন, ‘করোনা থেকে কোনো ব্যক্তিকে সুরক্ষা দিতে এই টিকা বেশ কার্যকর হলেও ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এটি বেশ দুর্বল।’
আর ডেলটা ভ্রারিয়েন্ট যেহেতু খুব দুত ও সহজে ছড়াতে পারে, সেহেতু এটি রোধ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এই একই তথ্য জানাচ্ছে চীন। তারা বলছে, উহান স্ট্রেইনের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির নাকে যে পরিমাণ ভাইরাস থাকত, ডেলটা আক্রান্ত ব্যক্তির নাকে তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি ভাইরাস থাকে। আর বেশি ভাইরাস বহনের কারণে অন্যের মধ্যে এটি সংক্রমিত করার হারও বেশি।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও জিন বিশেষজ্ঞ এরিক টোপল রয়টার্সকে বলেন, ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের ইনকিউবেশন কাল অনেক কম। অর্থাৎ এটি সক্রিয় হতে কম সময় নেয়। একই সঙ্গে বিপলসংখ্যক ভাইরাস একসঙ্গে বাসা বাঁধে। এ কারণে টিকাগুলো একে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই টিকা যারা নিয়েছেন, তাঁদেরও আলাদাভাবে সতর্ক হওয়া জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রেই যেমন ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ মানুষের মাস্ক পরা কমিয়ে দেওয়া। বিশেষজ্ঞরা এখন বলছেন, ডেলটা ধরন হোক আর যা–ই হোক করোনা থেকে বাঁচতে এখন পর্যন্ত পরীক্ষিত ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরা ও পরিচ্ছন্নতার নিয়মগুলো মেনে চলা জরুরি। এর সঙ্গে যাবতীয় স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলার জন্য তাঁরা সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
১ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণুচালিত সাবমেরিন প্রকল্প নতুন গতি পেয়েছে। দীর্ঘদিনের মার্কিন আপত্তি দূর হওয়ায় এই উদ্যোগ এখন এশিয়ার নিরাপত্তাকাঠামো পাল্টে দিতে পারে এবং পানির নিচে নতুন এক অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিতে পারে।
উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলায় বহুদিন ধরে পরমাণুচালিত সাবমেরিনের অভিজাত ক্লাবে যোগ দিতে চেয়েছে সিউল। ট্রাম্পের সম্মতি পাওয়ায় দুই দেশের পারমাণবিক চুক্তির আওতায় জ্বালানির প্রবেশাধিকার মিলেছে, যা এত দিন ছিল বড় বাধা।
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সাবমেরিন ক্যাপ্টেন চোই ইল বলেন, সাবমেরিন অত্যন্ত কার্যকর আক্রমণাত্মক অস্ত্র। তাই এই অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা অনিবার্য।
সিউলের যুক্তি, উত্তর কোরিয়ার পানির নিচে থাকা হুমকি, বিশেষ করে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় পরমাণুচালিত সাবমেরিন অপরিহার্য।
দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য বারবার বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করবে না তারা।
গত বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক থেকে পাওয়া এই চুক্তিকে ‘বড় ধরনের সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার নমনীয়তা বাড়াবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারাও একই ধরনের সক্ষমতা বিকাশে মনোনিবেশ করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গত মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখায়, কিম জং-উন একটি তথাকথিত পরমাণুচালিত সাবমেরিন পরিদর্শন করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার কর্মসূচি কতটা এগিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে কিছু বিশ্লেষকের সন্দেহ, পিয়ংইয়ং হয়তো রাশিয়ার সহায়তা পাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করছে, তবে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণুচালিত সাবমেরিন প্রকল্প নতুন গতি পেয়েছে। দীর্ঘদিনের মার্কিন আপত্তি দূর হওয়ায় এই উদ্যোগ এখন এশিয়ার নিরাপত্তাকাঠামো পাল্টে দিতে পারে এবং পানির নিচে নতুন এক অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিতে পারে।
উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলায় বহুদিন ধরে পরমাণুচালিত সাবমেরিনের অভিজাত ক্লাবে যোগ দিতে চেয়েছে সিউল। ট্রাম্পের সম্মতি পাওয়ায় দুই দেশের পারমাণবিক চুক্তির আওতায় জ্বালানির প্রবেশাধিকার মিলেছে, যা এত দিন ছিল বড় বাধা।
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সাবমেরিন ক্যাপ্টেন চোই ইল বলেন, সাবমেরিন অত্যন্ত কার্যকর আক্রমণাত্মক অস্ত্র। তাই এই অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা অনিবার্য।
সিউলের যুক্তি, উত্তর কোরিয়ার পানির নিচে থাকা হুমকি, বিশেষ করে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় পরমাণুচালিত সাবমেরিন অপরিহার্য।
দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য বারবার বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করবে না তারা।
গত বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক থেকে পাওয়া এই চুক্তিকে ‘বড় ধরনের সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার নমনীয়তা বাড়াবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারাও একই ধরনের সক্ষমতা বিকাশে মনোনিবেশ করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গত মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখায়, কিম জং-উন একটি তথাকথিত পরমাণুচালিত সাবমেরিন পরিদর্শন করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার কর্মসূচি কতটা এগিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে কিছু বিশ্লেষকের সন্দেহ, পিয়ংইয়ং হয়তো রাশিয়ার সহায়তা পাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করছে, তবে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

করোনাভাইরাস মহামারি এমনিতেই গোটা বিশ্বকে এক অভাবনীয় বাস্তবতার মধ্যে এনে ফেলেছে। তারপরও দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এর সঙ্গে চলতে চলতে মানুষ এর ধারা কিছুটা বুঝতে পেরেছিল বলে মনে করেছে। এই বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিল, নতুন করে সচল করছিল অর্থনীতি। কিন্তু ডেলটা ভ্যা
২৬ জুলাই ২০২১
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
১ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী যখন খেলায় মত্ত, তখন তিনি বন্দী ছিলেন অন্ধকারে। ছয় বছর বয়সে ঘরবন্দী হওয়া লিসা ২০ বছর পর সেই দরজা পেরিয়ে বাইরে এলেও আলো দেখার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন।
কিছু গল্প ক্ষতের মতো করে উন্মোচিত হয়। কিছু শৈশব যেন কোনোদিনই শুরু হয় না। লিসার জীবন তেমনই এক গল্প। নিঃশব্দে হারিয়ে যাওয়া এক শৈশবের, পরিস্থিতিতে মুছে যাওয়া এক শিশুর এবং এক নারীর।
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও ছিল শুধু অন্ধকার।
ছায়াই ছিল তাঁর পরিচয়। কথোপকথন বলতে ছিল শুধু দরজার নিচ দিয়ে ঠেলে দেওয়া থালাবাটির শব্দ। দুই দশক ধরে বন্দিদশার পর এখন তিনি নিজের নামে সাড়া দিতেও হিমশিম খান।
লিসার বন্দিত্ব শুরু হয়েছিল না লোহার শিক দিয়ে, না শিকল দিয়ে—শুরু হয়েছিল আতঙ্ক দিয়ে।
২০০০ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। সেই কথায় আতঙ্ক এত গভীর হয়, তিনি নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন নীরবতায়। এরই মধ্যে মারা যান তাঁর মা। কৃষক বাবা হয়ে পড়েন দুর্বল ও আতঙ্কিত। কোনো সহায়তা নেই, নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই, কারও কাছে ভরসা চাওয়ার নেই। তাই তিনি এমন এক সিদ্ধান্ত নেন, যা মেয়ের জীবনের পরবর্তী ২০ বছর নির্ধারণ করে দেয়।
তিনি মেয়েকে মাটির ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। বলেন, অন্ধকারই তাঁকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে। জানালাবিহীন একটি ঘরই হয়ে ওঠে তাঁর পৃথিবী। না সূর্যের আলো। না কোনো কথা। না কোনো মানুষের স্পর্শ।
শুধু দরজায় রেখে যাওয়া এক প্লেট খাবার আর প্রতিদিন একটু একটু করে সংকুচিত হয়ে যাওয়া জীবনের প্রতিধ্বনি।
যে ব্যবস্থা তাঁকে রক্ষা করবে ভাবা হয়েছিল, তা-ই শেষমেশ তাঁকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে নেয়।
সমাজকল্যাণ দপ্তরের দল যখন কুঁড়েঘরে প্রবেশ করে, তারা দেখতে পায় এক নারীকে, যাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব।
চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন প্রাকৃতিক আলো থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে লিসার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। তাঁর মানসিক বিকাশও গুরুতরভাবে ব্যাহত হয়েছে। আচরণ বয়সের তুলনায় অনেক কম বয়সী শিশুর মতো। প্রতিটি শব্দে ভয় পান। যেকোনো স্পর্শে চমকে ওঠেন।
উদ্ধারের পর লিসাকে নিয়ে যাওয়া হয় জগদলপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিস্তারিত পরীক্ষা শুরু হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, লিসার শৈশব থেমে যায় প্রবল ট্রমায় আর প্রাপ্তবয়স্ক জীবন গঠিত হয়েছে ইন্দ্রিয়ের বঞ্চনায়।
সমাজকল্যাণ দপ্তর পুরো ঘটনায় এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।
কর্তৃপক্ষ লিসার পরিবার ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে—কেন তিনি ২০ বছর ধরে বন্দী ছিলেন এবং এই বন্দিত্ব আইনবহির্ভূত আটক হিসেবে বিবেচিত হবে কি না।
জেলার প্রশাসন কর্মকর্তারা বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে, লিসার বাবা কি ভয়ে ও অজ্ঞতার কারণে স্কুল, পঞ্চায়েত বা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কোনো সাহায্য চাননি?
লিসা বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের এক আশ্রমে আছেন, যেখানে সেবাকর্মী ও কাউন্সেলররা তাঁকে নতুন করে জীবন খুঁজে পেতে সহায়তা করছেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

পৃথিবী যখন খেলায় মত্ত, তখন তিনি বন্দী ছিলেন অন্ধকারে। ছয় বছর বয়সে ঘরবন্দী হওয়া লিসা ২০ বছর পর সেই দরজা পেরিয়ে বাইরে এলেও আলো দেখার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন।
কিছু গল্প ক্ষতের মতো করে উন্মোচিত হয়। কিছু শৈশব যেন কোনোদিনই শুরু হয় না। লিসার জীবন তেমনই এক গল্প। নিঃশব্দে হারিয়ে যাওয়া এক শৈশবের, পরিস্থিতিতে মুছে যাওয়া এক শিশুর এবং এক নারীর।
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও ছিল শুধু অন্ধকার।
ছায়াই ছিল তাঁর পরিচয়। কথোপকথন বলতে ছিল শুধু দরজার নিচ দিয়ে ঠেলে দেওয়া থালাবাটির শব্দ। দুই দশক ধরে বন্দিদশার পর এখন তিনি নিজের নামে সাড়া দিতেও হিমশিম খান।
লিসার বন্দিত্ব শুরু হয়েছিল না লোহার শিক দিয়ে, না শিকল দিয়ে—শুরু হয়েছিল আতঙ্ক দিয়ে।
২০০০ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। সেই কথায় আতঙ্ক এত গভীর হয়, তিনি নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন নীরবতায়। এরই মধ্যে মারা যান তাঁর মা। কৃষক বাবা হয়ে পড়েন দুর্বল ও আতঙ্কিত। কোনো সহায়তা নেই, নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই, কারও কাছে ভরসা চাওয়ার নেই। তাই তিনি এমন এক সিদ্ধান্ত নেন, যা মেয়ের জীবনের পরবর্তী ২০ বছর নির্ধারণ করে দেয়।
তিনি মেয়েকে মাটির ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। বলেন, অন্ধকারই তাঁকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে। জানালাবিহীন একটি ঘরই হয়ে ওঠে তাঁর পৃথিবী। না সূর্যের আলো। না কোনো কথা। না কোনো মানুষের স্পর্শ।
শুধু দরজায় রেখে যাওয়া এক প্লেট খাবার আর প্রতিদিন একটু একটু করে সংকুচিত হয়ে যাওয়া জীবনের প্রতিধ্বনি।
যে ব্যবস্থা তাঁকে রক্ষা করবে ভাবা হয়েছিল, তা-ই শেষমেশ তাঁকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে নেয়।
সমাজকল্যাণ দপ্তরের দল যখন কুঁড়েঘরে প্রবেশ করে, তারা দেখতে পায় এক নারীকে, যাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব।
চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন প্রাকৃতিক আলো থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে লিসার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। তাঁর মানসিক বিকাশও গুরুতরভাবে ব্যাহত হয়েছে। আচরণ বয়সের তুলনায় অনেক কম বয়সী শিশুর মতো। প্রতিটি শব্দে ভয় পান। যেকোনো স্পর্শে চমকে ওঠেন।
উদ্ধারের পর লিসাকে নিয়ে যাওয়া হয় জগদলপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিস্তারিত পরীক্ষা শুরু হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, লিসার শৈশব থেমে যায় প্রবল ট্রমায় আর প্রাপ্তবয়স্ক জীবন গঠিত হয়েছে ইন্দ্রিয়ের বঞ্চনায়।
সমাজকল্যাণ দপ্তর পুরো ঘটনায় এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।
কর্তৃপক্ষ লিসার পরিবার ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে—কেন তিনি ২০ বছর ধরে বন্দী ছিলেন এবং এই বন্দিত্ব আইনবহির্ভূত আটক হিসেবে বিবেচিত হবে কি না।
জেলার প্রশাসন কর্মকর্তারা বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে, লিসার বাবা কি ভয়ে ও অজ্ঞতার কারণে স্কুল, পঞ্চায়েত বা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কোনো সাহায্য চাননি?
লিসা বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের এক আশ্রমে আছেন, যেখানে সেবাকর্মী ও কাউন্সেলররা তাঁকে নতুন করে জীবন খুঁজে পেতে সহায়তা করছেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

করোনাভাইরাস মহামারি এমনিতেই গোটা বিশ্বকে এক অভাবনীয় বাস্তবতার মধ্যে এনে ফেলেছে। তারপরও দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এর সঙ্গে চলতে চলতে মানুষ এর ধারা কিছুটা বুঝতে পেরেছিল বলে মনে করেছে। এই বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিল, নতুন করে সচল করছিল অর্থনীতি। কিন্তু ডেলটা ভ্যা
২৬ জুলাই ২০২১
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
১ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছে, দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনালে হাজার হাজার স্যুটকেস পড়ে আছে। বহু যাত্রী মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েছেন, আর কেউ কেউ ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এক যাত্রী ইন্ডিগোর এই ব্যর্থতাকে ‘মানসিক অত্যাচার’ বলে অভিহিত করে এনডিটিভিকে জানান, বারো ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি বিমান সংস্থাটির কাছ থেকে কোনো স্পষ্ট জবাব পাচ্ছেন না। তাঁর কথায়, ‘আমি বারো ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এখানে। প্রতিবার তারা বলছেন এক ঘণ্টা দেরি, দু–ঘণ্টা দেরি। আমরা একটা বিয়েতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আমাদের মালপত্র পর্যন্ত হাতে নেই। ইন্ডিগোর কর্মীরা আমাদের কিছু বলছেন না। এই মুহূর্তে এটি সবচেয়ে খারাপ বিমান সংস্থা। আমি বুঝি না কেন তারা নতুন যাত্রী নিচ্ছে আর মালপত্র জমিয়ে রাখছেন।’
আরেক যাত্রী জানালেন যে তিনি গতকাল দুপুর থেকে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ‘তারা বারবার ফ্লাইট পিছিয়ে দিচ্ছে। ইন্ডিগোর তরফ থেকে আমরা কোনো স্পষ্ট খবর পাচ্ছি না।’ আরেক যাত্রী বলেন, ‘খুবই মানসিক চাপের বিষয় এটা। চৌদ্দ ঘণ্টা ধরে আমি বিমানবন্দরে বসে আছি। খাবার বা অন্য কিছুর জন্য কোনো কুপন নেই। আমার কানেকটিং ফ্লাইটটি বাতিল হয়েছে। যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি করছেন, কিন্তু কর্মীরা কোনো স্পষ্ট জবাব দিচ্ছেন না। এমন জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কর্মীদের বিন্দুমাত্র প্রশিক্ষণ নেই।’
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বিমানবন্দরেও একই ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে। আটকা পড়া যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ছিলেন। কারণ তাদের কোনো খাবার বা থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি। একদল যাত্রী প্রতিবাদস্বরূপ একটি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট পর্যন্ত আটকে দিয়েছিলেন।
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরের এক যাত্রী বলেন, ‘আমার ফ্লাইট গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা ছিল। আমি আমার সহকর্মীকে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছাই। আমাদের বলা হয়েছিল যে ফ্লাইট সময়মতো চলবে। এখন আমরা এখানে বারো ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আছি। ইন্ডিগো আমাদের কোনো স্পষ্ট ধারণা দেয়নি। তারা শুধু বলে চলেছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য দেরি হচ্ছে। আমাদের কোনো স্পষ্ট খবর, খাবার বা পানি দেওয়া হয়নি। ইন্ডিগোর সাড়া একেবারেই যাচ্ছেতাই। এখানে বয়স্ক মানুষ আছেন, যাদের বিশেষ দায়বদ্ধতা আছে, তাদের জন্য কোনো সমাধান নেই। এটা খুবই হাস্যকর।’
গোয়া বিমানবন্দরে একদল যাত্রী হতাশায় ভেঙে পড়েন। এক ভিডিওতে দেখা যায় তারা ইন্ডিগোর কর্মীদের লক্ষ্য করে চিৎকার করছেন। পরিস্থিতি সামলাতে বহু পুলিশ কর্মীকেও সেখানে দেখা যায়। চেন্নাই বিমানবন্দরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। সেখানে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) ইন্ডিগোর যাত্রীদের প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে। বিশাখাপত্তম বিমানবন্দরে কমপক্ষে ঊনপঞ্চাশটি বহির্গমন ও তেতাল্লিশটি ইনকামিং ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগোর এই পরিচালনগত ত্রুটি আজ চতুর্থ দিনের মতো চলছে। কুড়ি বছরের পুরোনো এই বিমান সংস্থাটি ক্রু-সংকট ও প্রযুক্তিগত সমস্যাসহ একাধিক কারণে পাঁচ শ পঞ্চাশটিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার রেকর্ড তৈরি করেছে। এর মধ্যে মুম্বাই বিমানবন্দরে এক শ চারটি, দিল্লি বিমানবন্দরে দু শ পঁচিশটি, বেঙ্গালুরুতে এক শ দু'টি এবং হায়দরাবাদে বিরানব্বইটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ভূপাল বিমানবন্দরেও কমপক্ষে পাঁচটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগো স্বীকার করেছে যে তারা নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্রু-এর প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে আন্দাজ করেছিল এবং পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল, যার ফলস্বরূপ শীতকালীন আবহাওয়া ও যানজটের সময়ে পর্যাপ্ত ক্রু-এর অভাব দেখা দিয়েছে। বিমান সংস্থাটি সতর্ক করেছে, সময়সূচি স্বাভাবিক করার চেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা জানিয়েছে, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে তারা আরও বিঘ্ন এড়াতে ফ্লাইট পরিচালন কমিয়ে দেবে।
অন্যদিকে, ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স কর্মীদের বলেছেন যে পরিচালন স্বাভাবিক করা এবং সময়ানুবর্তিতা ফিরিয়ে আনা ‘সহজ লক্ষ্য হবে না।’ বিমান সংস্থাটি গত রাতে তাদের গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের কাছে নতুন করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘গত দুই দিন ধরে ইন্ডিগোর নেটওয়ার্ক এবং পরিচালন ব্যবস্থায় ব্যাপক বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের সব গ্রাহক এবং শিল্প স্টেকহোল্ডারদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ তারা আরও যোগ করেছে, ‘ইন্ডিগো এই বিলম্বের প্রভাব কমাতে এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে ও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছে, দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনালে হাজার হাজার স্যুটকেস পড়ে আছে। বহু যাত্রী মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েছেন, আর কেউ কেউ ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এক যাত্রী ইন্ডিগোর এই ব্যর্থতাকে ‘মানসিক অত্যাচার’ বলে অভিহিত করে এনডিটিভিকে জানান, বারো ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি বিমান সংস্থাটির কাছ থেকে কোনো স্পষ্ট জবাব পাচ্ছেন না। তাঁর কথায়, ‘আমি বারো ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এখানে। প্রতিবার তারা বলছেন এক ঘণ্টা দেরি, দু–ঘণ্টা দেরি। আমরা একটা বিয়েতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আমাদের মালপত্র পর্যন্ত হাতে নেই। ইন্ডিগোর কর্মীরা আমাদের কিছু বলছেন না। এই মুহূর্তে এটি সবচেয়ে খারাপ বিমান সংস্থা। আমি বুঝি না কেন তারা নতুন যাত্রী নিচ্ছে আর মালপত্র জমিয়ে রাখছেন।’
আরেক যাত্রী জানালেন যে তিনি গতকাল দুপুর থেকে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ‘তারা বারবার ফ্লাইট পিছিয়ে দিচ্ছে। ইন্ডিগোর তরফ থেকে আমরা কোনো স্পষ্ট খবর পাচ্ছি না।’ আরেক যাত্রী বলেন, ‘খুবই মানসিক চাপের বিষয় এটা। চৌদ্দ ঘণ্টা ধরে আমি বিমানবন্দরে বসে আছি। খাবার বা অন্য কিছুর জন্য কোনো কুপন নেই। আমার কানেকটিং ফ্লাইটটি বাতিল হয়েছে। যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি করছেন, কিন্তু কর্মীরা কোনো স্পষ্ট জবাব দিচ্ছেন না। এমন জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কর্মীদের বিন্দুমাত্র প্রশিক্ষণ নেই।’
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বিমানবন্দরেও একই ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে। আটকা পড়া যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ছিলেন। কারণ তাদের কোনো খাবার বা থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি। একদল যাত্রী প্রতিবাদস্বরূপ একটি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট পর্যন্ত আটকে দিয়েছিলেন।
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরের এক যাত্রী বলেন, ‘আমার ফ্লাইট গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা ছিল। আমি আমার সহকর্মীকে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছাই। আমাদের বলা হয়েছিল যে ফ্লাইট সময়মতো চলবে। এখন আমরা এখানে বারো ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আছি। ইন্ডিগো আমাদের কোনো স্পষ্ট ধারণা দেয়নি। তারা শুধু বলে চলেছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য দেরি হচ্ছে। আমাদের কোনো স্পষ্ট খবর, খাবার বা পানি দেওয়া হয়নি। ইন্ডিগোর সাড়া একেবারেই যাচ্ছেতাই। এখানে বয়স্ক মানুষ আছেন, যাদের বিশেষ দায়বদ্ধতা আছে, তাদের জন্য কোনো সমাধান নেই। এটা খুবই হাস্যকর।’
গোয়া বিমানবন্দরে একদল যাত্রী হতাশায় ভেঙে পড়েন। এক ভিডিওতে দেখা যায় তারা ইন্ডিগোর কর্মীদের লক্ষ্য করে চিৎকার করছেন। পরিস্থিতি সামলাতে বহু পুলিশ কর্মীকেও সেখানে দেখা যায়। চেন্নাই বিমানবন্দরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। সেখানে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) ইন্ডিগোর যাত্রীদের প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে। বিশাখাপত্তম বিমানবন্দরে কমপক্ষে ঊনপঞ্চাশটি বহির্গমন ও তেতাল্লিশটি ইনকামিং ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগোর এই পরিচালনগত ত্রুটি আজ চতুর্থ দিনের মতো চলছে। কুড়ি বছরের পুরোনো এই বিমান সংস্থাটি ক্রু-সংকট ও প্রযুক্তিগত সমস্যাসহ একাধিক কারণে পাঁচ শ পঞ্চাশটিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার রেকর্ড তৈরি করেছে। এর মধ্যে মুম্বাই বিমানবন্দরে এক শ চারটি, দিল্লি বিমানবন্দরে দু শ পঁচিশটি, বেঙ্গালুরুতে এক শ দু'টি এবং হায়দরাবাদে বিরানব্বইটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ভূপাল বিমানবন্দরেও কমপক্ষে পাঁচটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগো স্বীকার করেছে যে তারা নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্রু-এর প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে আন্দাজ করেছিল এবং পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল, যার ফলস্বরূপ শীতকালীন আবহাওয়া ও যানজটের সময়ে পর্যাপ্ত ক্রু-এর অভাব দেখা দিয়েছে। বিমান সংস্থাটি সতর্ক করেছে, সময়সূচি স্বাভাবিক করার চেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা জানিয়েছে, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে তারা আরও বিঘ্ন এড়াতে ফ্লাইট পরিচালন কমিয়ে দেবে।
অন্যদিকে, ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স কর্মীদের বলেছেন যে পরিচালন স্বাভাবিক করা এবং সময়ানুবর্তিতা ফিরিয়ে আনা ‘সহজ লক্ষ্য হবে না।’ বিমান সংস্থাটি গত রাতে তাদের গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের কাছে নতুন করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘গত দুই দিন ধরে ইন্ডিগোর নেটওয়ার্ক এবং পরিচালন ব্যবস্থায় ব্যাপক বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের সব গ্রাহক এবং শিল্প স্টেকহোল্ডারদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ তারা আরও যোগ করেছে, ‘ইন্ডিগো এই বিলম্বের প্রভাব কমাতে এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে ও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

করোনাভাইরাস মহামারি এমনিতেই গোটা বিশ্বকে এক অভাবনীয় বাস্তবতার মধ্যে এনে ফেলেছে। তারপরও দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এর সঙ্গে চলতে চলতে মানুষ এর ধারা কিছুটা বুঝতে পেরেছিল বলে মনে করেছে। এই বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিল, নতুন করে সচল করছিল অর্থনীতি। কিন্তু ডেলটা ভ্যা
২৬ জুলাই ২০২১
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
১ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

করোনাভাইরাস মহামারি এমনিতেই গোটা বিশ্বকে এক অভাবনীয় বাস্তবতার মধ্যে এনে ফেলেছে। তারপরও দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এর সঙ্গে চলতে চলতে মানুষ এর ধারা কিছুটা বুঝতে পেরেছিল বলে মনে করেছে। এই বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিল, নতুন করে সচল করছিল অর্থনীতি। কিন্তু ডেলটা ভ্যা
২৬ জুলাই ২০২১
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
১ ঘণ্টা আগে