আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
সম্প্রতি বিমান পরিবহন রেটিং সংস্থা স্কাইট্র্যাক্স এই তালিকা প্রকাশ করেছে। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর টানা ১৩ বারের মতো বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরের খেতাব অর্জন করেছে।
চাঙ্গি বিমানবন্দর শুধু একটি বিমানবন্দর নয়, এটি নিজেই একটি গন্তব্য। এখানে যাত্রীদের ফ্লাইটের ৪৮ ঘণ্টা আগে লাগেজ জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, যাতে তাঁরা বিমানবন্দরের সময়টিকেও ভ্রমণের অংশ হিসেবে উপভোগ করতে পারেন। এই বিমানবন্দরের ভেতরে রয়েছে বিশাল ১০ তলা জুয়েল শপিং মল। ২০২৪ সালে এখানে ৮ কোটি মানুষের আগমন ঘটেছিল। এ ছাড়া এখানে রয়েছে একাধিক ইনডোর গার্ডেন (যার মধ্যে একটি প্রজাপতি কেন্দ্রও রয়েছে) ও ৪০ মিটার উঁচু রেইন ভর্টেক্স, যা বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম ঝরনা। স্পা, হোটেল, আর্ট প্রদর্শনী, একটি জাদুঘর, একটি সিনেমা হল ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি ডাইনোসর থিম পার্ক।
স্কাইট্র্যাক্স এই বিমানবন্দরকে একটি গ্যাস্ট্রোনমিক ওয়ান্ডারল্যান্ড হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছে। ৯ এপ্রিল মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ডসে এটি বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ডাইনিং, বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ওয়াশরুম ও এশিয়ার সেরা বিমানবন্দরের পুরস্কারও জিতেছে।
সিএনএন বিজনেসের গত মাসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাঙ্গি বিমানবন্দর আগামী ছয় বছরে পরিষেবা ও সুযোগ-সুবিধা উন্নত করার জন্য ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরের বর্তমান চারটি টার্মিনালের সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে পঞ্চম টার্মিনাল চালু করার কাজ চলছে।
স্কাইট্র্যাক্সের বিশ্বব্যাপী ৫৬৫টি বিমানবন্দরের গ্রাহকদের ওপর করা জরিপে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা বিমানবন্দর নির্বাচিত হয়েছে কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। স্থাপত্যশৈলী ও শিল্পকর্মের জন্য বিখ্যাত এই বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত। এটি সেরা বিমানবন্দর শপিং ও মধ্যপ্রাচ্যের সেরা বিমানবন্দরের পুরস্কারও লাভ করেছে।
তালিকায় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ স্থান পর্যন্ত দখল করেছে এশিয়ার বিমানবন্দরগুলো। তৃতীয় স্থানে রয়েছে টোকিওর হানেদা (বিশ্বের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন বিমানবন্দর হিসেবে নির্বাচিত), এরপর যথাক্রমে সিউলের ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর স্টাফ হিসেবে পুরস্কৃত), নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (টোকিওতে অবস্থিত) ও হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

শীর্ষ ২০টি বিমানবন্দরের মধ্যে নয়টি ইউরোপের। সপ্তম স্থানে থাকা প্যারিসের চার্লস ডি গল বিমানবন্দর টানা তৃতীয়বারের মতো ইউরোপের সেরা বিমানবন্দরের খেতাব জিতেছে। ক্যাথলিক চার্চের জুবিলি উদ্যাপন উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করা রোমের ফিউমিচিনো বিমানবন্দর অষ্টম স্থানে রয়েছে। মিউনিখ, জুরিখ ও হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দর যথাক্রমে নবম, দশম ও দ্বাদশ স্থানে রয়েছে। বিস্তৃত ইস্তাম্বুল শহরের ইউরোপীয় অংশে অবস্থিত ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ১৪তম স্থানে রয়েছে। ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে পরিবারবান্ধব বিমানবন্দর হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে।
ভিয়েনা (১৫তম), কোপেনহেগেন (১৮তম) ও আমস্টারডাম শিফল (১৯তম) তালিকায় স্থান পেয়েছে। তবে ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর লন্ডন হিথরো কোনো পুরস্কার পায়নি।

আমেরিকা মহাদেশ থেকে একমাত্র ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১৩তম) এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। কেপ টাউন বিমানবন্দর শীর্ষ ২০-এ না থাকলেও আফ্রিকা মহাদেশের সেরা বিমানবন্দর ও আফ্রিকার সেরা বিমানবন্দর স্টাফ পরিষেবার পুরস্কার জিতেছে।
শীর্ষ ২০-এর বাকি বিমানবন্দরগুলো হলো দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১১তম), মেলবোর্ন (১৬তম), জাপানের চুবু সেন্ট্রেইর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১৭তম, যা বিশ্বের সেরা আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে) ও বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (২০তম)।
তাইওয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ব্যাগেজ ডেলিভারির পুরস্কার জিতেছে, কোপেনহেগেন বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর নিরাপত্তা প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রশংসিত হয়েছে ও হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের পুরস্কার লাভ করেছে।

২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা ২০টি বিমানবন্দর—
১. সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দর
২. হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৩. টোকিও হানেদা বিমানবন্দর
৪. ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৫. নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৬. হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৭. প্যারিস চার্লস ডি গল বিমানবন্দর
৮. রোম ফিউমিচিনো বিমানবন্দর
৯. মিউনিখ বিমানবন্দর

১০. জুরিখ বিমানবন্দর
১১. দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১২. হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দর
১৩. ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৪. ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর
১৫. ভিয়েনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৬. মেলবোর্ন বিমানবন্দর
১৭. চুবু সেন্ট্রেইর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৮. কোপেনহেগেন বিমানবন্দর
১৯. আমস্টারডাম শিফল বিমানবন্দর
২০. বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
সম্প্রতি বিমান পরিবহন রেটিং সংস্থা স্কাইট্র্যাক্স এই তালিকা প্রকাশ করেছে। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর টানা ১৩ বারের মতো বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরের খেতাব অর্জন করেছে।
চাঙ্গি বিমানবন্দর শুধু একটি বিমানবন্দর নয়, এটি নিজেই একটি গন্তব্য। এখানে যাত্রীদের ফ্লাইটের ৪৮ ঘণ্টা আগে লাগেজ জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, যাতে তাঁরা বিমানবন্দরের সময়টিকেও ভ্রমণের অংশ হিসেবে উপভোগ করতে পারেন। এই বিমানবন্দরের ভেতরে রয়েছে বিশাল ১০ তলা জুয়েল শপিং মল। ২০২৪ সালে এখানে ৮ কোটি মানুষের আগমন ঘটেছিল। এ ছাড়া এখানে রয়েছে একাধিক ইনডোর গার্ডেন (যার মধ্যে একটি প্রজাপতি কেন্দ্রও রয়েছে) ও ৪০ মিটার উঁচু রেইন ভর্টেক্স, যা বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম ঝরনা। স্পা, হোটেল, আর্ট প্রদর্শনী, একটি জাদুঘর, একটি সিনেমা হল ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি ডাইনোসর থিম পার্ক।
স্কাইট্র্যাক্স এই বিমানবন্দরকে একটি গ্যাস্ট্রোনমিক ওয়ান্ডারল্যান্ড হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছে। ৯ এপ্রিল মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ডসে এটি বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ডাইনিং, বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ওয়াশরুম ও এশিয়ার সেরা বিমানবন্দরের পুরস্কারও জিতেছে।
সিএনএন বিজনেসের গত মাসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাঙ্গি বিমানবন্দর আগামী ছয় বছরে পরিষেবা ও সুযোগ-সুবিধা উন্নত করার জন্য ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরের বর্তমান চারটি টার্মিনালের সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে পঞ্চম টার্মিনাল চালু করার কাজ চলছে।
স্কাইট্র্যাক্সের বিশ্বব্যাপী ৫৬৫টি বিমানবন্দরের গ্রাহকদের ওপর করা জরিপে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা বিমানবন্দর নির্বাচিত হয়েছে কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। স্থাপত্যশৈলী ও শিল্পকর্মের জন্য বিখ্যাত এই বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত। এটি সেরা বিমানবন্দর শপিং ও মধ্যপ্রাচ্যের সেরা বিমানবন্দরের পুরস্কারও লাভ করেছে।
তালিকায় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ স্থান পর্যন্ত দখল করেছে এশিয়ার বিমানবন্দরগুলো। তৃতীয় স্থানে রয়েছে টোকিওর হানেদা (বিশ্বের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন বিমানবন্দর হিসেবে নির্বাচিত), এরপর যথাক্রমে সিউলের ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর স্টাফ হিসেবে পুরস্কৃত), নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (টোকিওতে অবস্থিত) ও হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

শীর্ষ ২০টি বিমানবন্দরের মধ্যে নয়টি ইউরোপের। সপ্তম স্থানে থাকা প্যারিসের চার্লস ডি গল বিমানবন্দর টানা তৃতীয়বারের মতো ইউরোপের সেরা বিমানবন্দরের খেতাব জিতেছে। ক্যাথলিক চার্চের জুবিলি উদ্যাপন উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করা রোমের ফিউমিচিনো বিমানবন্দর অষ্টম স্থানে রয়েছে। মিউনিখ, জুরিখ ও হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দর যথাক্রমে নবম, দশম ও দ্বাদশ স্থানে রয়েছে। বিস্তৃত ইস্তাম্বুল শহরের ইউরোপীয় অংশে অবস্থিত ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ১৪তম স্থানে রয়েছে। ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে পরিবারবান্ধব বিমানবন্দর হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে।
ভিয়েনা (১৫তম), কোপেনহেগেন (১৮তম) ও আমস্টারডাম শিফল (১৯তম) তালিকায় স্থান পেয়েছে। তবে ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর লন্ডন হিথরো কোনো পুরস্কার পায়নি।

আমেরিকা মহাদেশ থেকে একমাত্র ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১৩তম) এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। কেপ টাউন বিমানবন্দর শীর্ষ ২০-এ না থাকলেও আফ্রিকা মহাদেশের সেরা বিমানবন্দর ও আফ্রিকার সেরা বিমানবন্দর স্টাফ পরিষেবার পুরস্কার জিতেছে।
শীর্ষ ২০-এর বাকি বিমানবন্দরগুলো হলো দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১১তম), মেলবোর্ন (১৬তম), জাপানের চুবু সেন্ট্রেইর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১৭তম, যা বিশ্বের সেরা আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে) ও বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (২০তম)।
তাইওয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ব্যাগেজ ডেলিভারির পুরস্কার জিতেছে, কোপেনহেগেন বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর নিরাপত্তা প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রশংসিত হয়েছে ও হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের পুরস্কার লাভ করেছে।

২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা ২০টি বিমানবন্দর—
১. সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দর
২. হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৩. টোকিও হানেদা বিমানবন্দর
৪. ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৫. নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৬. হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৭. প্যারিস চার্লস ডি গল বিমানবন্দর
৮. রোম ফিউমিচিনো বিমানবন্দর
৯. মিউনিখ বিমানবন্দর

১০. জুরিখ বিমানবন্দর
১১. দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১২. হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দর
১৩. ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৪. ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর
১৫. ভিয়েনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৬. মেলবোর্ন বিমানবন্দর
১৭. চুবু সেন্ট্রেইর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৮. কোপেনহেগেন বিমানবন্দর
১৯. আমস্টারডাম শিফল বিমানবন্দর
২০. বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৬ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৬ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৬ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৬ ঘণ্টা আগে