
বাইডেন সরকার তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলারেরও বেশি অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে চীন। একই সঙ্গে চীন সরকার ওয়াশিংটনকে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিও পেংইউ বলেছেন, ‘চীন এই অস্ত্র চুক্তির কঠোর বিরোধিতা করছে। ফলে চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে স্থিতিশীলতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।’
এদিকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহের চুক্তি মার্কিন নীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং এ ধরনের অস্ত্র চুক্তি তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য জরুরি। এ ব্যাপারে চীন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ করার অভিযোগ করেছে।
এ নিয়ে গত শুক্রবার লিও এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে এবং চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে ভুল ইঙ্গিত দিতে পারে, একই সঙ্গে চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
লিও পেংইউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এক-চীন নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং তাইওয়ানকে চীনা ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে তাঁর টুইটার পোস্ট শেষ করেছেন। ওই পোস্টে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চীন প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।’
চীনের কমিউনিস্ট পার্টি তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে চীন কখনো সরাসরি শাসন করেনি। তবে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও দ্বীপটিকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনরায় একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন।
গত মাসে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করার পর থেকেই মার্কিন-চীন উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরপরই চীন সরকার তাইওয়ান দ্বীপের আশপাশে কয়েক দিন ধরে সামরিক মহড়া দেয়।
এদিকে তাইওয়ান সরকার এই অস্ত্র চুক্তিকে এবং তাইওয়ানের প্রতি নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখার জন্য মার্কিন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, চীনের সাম্প্রতিক সামরিক উসকানি, স্থিতিশীল অবস্থার পরিবর্তন এবং সংকট সৃষ্টির প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান আত্মরক্ষা করতে দৃঢ় সংকল্প।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অস্ত্র চুক্তির এই ব্যাচে বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা তাইওয়ানের আত্মরক্ষাকে শক্তিশালী করার জন্য দরকার। এই চুক্তি প্রমাণ করে যে মার্কিন সরকার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষাকে কতটা গুরুত্ব দেয়।

বাইডেন সরকার তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলারেরও বেশি অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে চীন। একই সঙ্গে চীন সরকার ওয়াশিংটনকে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিও পেংইউ বলেছেন, ‘চীন এই অস্ত্র চুক্তির কঠোর বিরোধিতা করছে। ফলে চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে স্থিতিশীলতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।’
এদিকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহের চুক্তি মার্কিন নীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং এ ধরনের অস্ত্র চুক্তি তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য জরুরি। এ ব্যাপারে চীন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ করার অভিযোগ করেছে।
এ নিয়ে গত শুক্রবার লিও এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে এবং চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে ভুল ইঙ্গিত দিতে পারে, একই সঙ্গে চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
লিও পেংইউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এক-চীন নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং তাইওয়ানকে চীনা ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে তাঁর টুইটার পোস্ট শেষ করেছেন। ওই পোস্টে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চীন প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।’
চীনের কমিউনিস্ট পার্টি তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে চীন কখনো সরাসরি শাসন করেনি। তবে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও দ্বীপটিকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনরায় একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন।
গত মাসে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করার পর থেকেই মার্কিন-চীন উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরপরই চীন সরকার তাইওয়ান দ্বীপের আশপাশে কয়েক দিন ধরে সামরিক মহড়া দেয়।
এদিকে তাইওয়ান সরকার এই অস্ত্র চুক্তিকে এবং তাইওয়ানের প্রতি নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখার জন্য মার্কিন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, চীনের সাম্প্রতিক সামরিক উসকানি, স্থিতিশীল অবস্থার পরিবর্তন এবং সংকট সৃষ্টির প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান আত্মরক্ষা করতে দৃঢ় সংকল্প।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অস্ত্র চুক্তির এই ব্যাচে বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা তাইওয়ানের আত্মরক্ষাকে শক্তিশালী করার জন্য দরকার। এই চুক্তি প্রমাণ করে যে মার্কিন সরকার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষাকে কতটা গুরুত্ব দেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলয় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস। ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শীর্ষ ধনী ও ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক সদস্য ইলন মাস্ককে ‘মাদকসেবী’ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’ বলে অভিহিত কর
১ ঘণ্টা আগে
সনদ নিতে আসা এক নারী চিকিৎসকের মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে এই বিতর্কে নীতীশের পক্ষে মন্তব্য করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তাঁর বক্তব্যকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন সমালোচকেরা। পরে এ বিষয়ে ব
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও অভিবাসনে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা বড় হয়েই চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিন ও আরও পাঁচটি দেশের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলয় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস। ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শীর্ষ ধনী ও ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক সদস্য ইলন মাস্ককে ‘মাদকসেবী’ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
সুজি সাক্ষাৎকারে বলেন, টেসলা ইনকর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক প্রকাশ্যে কেটামিন (এক ধরনের মাদক) ব্যবহার করেন। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে একজন ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’ (কনস্পিরেসি থিওরিস্ট) এবং বাজেট প্রধান রাস ভটকে একজন ‘কট্টর ডানপন্থী উগ্রবাদী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ ছাড়াও, জেফরি এপস্টাইন সংক্রান্ত ফাইলগুলো ব্যবস্থাপনার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির ভূমিকার সমালোচনা করেছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্যের প্রভাব কেমন হতে পারে ধারণা করে গতকাল মঙ্গলবারই বিষয়টিকে হালকা করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এসব মন্তব্য যেন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গ্রহণ করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখছে হোয়াইট হাউস।
এরপর সুজি ওয়াইলস একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেন, ‘তাঁর বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট উপেক্ষা করা হয়েছে।’ একে একটি ‘কপটভাবে সাজানো মানহানিকর প্রতিবেদন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি।
ওয়াইলসের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ট্রাম্পের কাছে সুজির চেয়ে বড় বা বিশ্বস্ত কোনো উপদেষ্টা নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে লেভিট লেখেন, ‘পুরো প্রশাসন তাঁর (সুজি ওয়াইলস) অবিচল নেতৃত্বের জন্য কৃতজ্ঞ এবং সবাই সম্পূর্ণভাবে তাঁর পাশে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।’
তবে এই বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারটি ট্রাম্প ও তাঁর নীতিগুলো নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দিয়েছে। সেইসঙ্গে মাস্কের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্বও উসকে দিয়েছে বলা যায়।
মাস্কের সম্পর্কে ওয়াইলস এর আগেও বেশ আলোচিত বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সে সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছেমতো চলে। ইলনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাই হলো আসল চ্যালেঞ্জ।’
অ্যাডলফ হিটলার, জোসেফ স্ট্যালিন এবং মাও সেতুংয়ের আমলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য সরকারি খাতের কর্মীরা দায়ী—মাস্কের এমন একটি বিতর্কিত পোস্ট শেয়ার করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওয়াইলস বলেন, ‘আমার মনে হয়, সে যখন এসব লেখে তখন সে মাইক্রোডোজিং (সামান্য পরিমাণে মাদক গ্রহণ) অবস্থায় থাকে।’
তবে ওয়াইলস এটিও স্বীকার করেছেন, মাস্কের মাদক সেবনের বিষয়ে তাঁর কাছে সরাসরি কোনো তথ্য বা প্রমাণ নেই।
এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেননি মাস্ক এবং টেসলার মুখপাত্ররা। এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে মাস্কের বিরুদ্ধে কেটামিনসহ অন্যান্য মাদক সেবনের অভিযোগ তোলা হলে তিনি তা অস্বীকার করেছিলেন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েক বছর আগে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি কেটামিন নিয়েছিলেন, কিন্তু এরপর আর কখনো তা গ্রহণ করেননি।
মাস্ক ট্রাম্পের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই)-এর প্রধান ছিলেন। এই বিভাগের লক্ষ্য ছিল ফেডারেল সরকারের আকার ও পরিধি কমিয়ে আনা। এই প্রক্রিয়ার শুরুতে তিনি ‘ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট’ (ইউএসএআইডি) বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেন।
ওয়াইলস জানান, মাস্ক যখন ট্রাম্পের পছন্দের কিছু কর্মসূচিও বন্ধ করে দেন, তখন তিনি ‘প্রথমে হতভম্ব’ হয়ে গিয়েছিলেন এবং মাস্কের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
ওয়াইলস ভ্যানিটি ফেয়ারকে বলেন, ‘ইলনের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আপনাকে কাজটা দ্রুত শেষ করতে হবে। আর এই ধরনের মনোভাব থাকলে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হবেই। তবে কোনো বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষই মনে করবে না যে, ইউএসএআইডির প্রক্রিয়াগুলো সঠিক ছিল। কেউই না।’
জেডি ভ্যান্স সম্পর্কেও খুব খোলাখুলি কথা বলেছেন ওয়াইলস। তিনি বলেন, ‘যিনি একসময় ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে প্রেসিডেন্টের ‘মাগা’ (MAGA) আদর্শকে আলিঙ্গন করে হোয়াইট হাউসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে (ভাইস প্রেসিডেন্ট) নিজেকে উন্নীত করেছেন।
ওয়াইলস আরও বলেন, ‘তাঁর (ভ্যান্স) এই ভোলবদল (ট্রাম্পের পক্ষে আসা) ঘটেছিল যখন তিনি সিনেট নির্বাচনের জন্য লড়ছিলেন। আর আমার মনে হয়, তার এই পরিবর্তনটা ছিল কিছুটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
ট্রাম্পের সমর্থনে নিজের অবস্থান পরিবর্তন নিয়ে ভ্যান্স ভ্যানিটি ফেয়ারকে বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমি তাঁকে পছন্দ করছি, আমার মনে হয়েছিল তিনি অনেক ভালো কাজ করছেন এবং আমি ভেবেছিলাম, দেশ রক্ষার জন্য তিনিই মূলত সঠিক ব্যক্তি।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলয় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস। ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শীর্ষ ধনী ও ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক সদস্য ইলন মাস্ককে ‘মাদকসেবী’ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
সুজি সাক্ষাৎকারে বলেন, টেসলা ইনকর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক প্রকাশ্যে কেটামিন (এক ধরনের মাদক) ব্যবহার করেন। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে একজন ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’ (কনস্পিরেসি থিওরিস্ট) এবং বাজেট প্রধান রাস ভটকে একজন ‘কট্টর ডানপন্থী উগ্রবাদী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ ছাড়াও, জেফরি এপস্টাইন সংক্রান্ত ফাইলগুলো ব্যবস্থাপনার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির ভূমিকার সমালোচনা করেছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্যের প্রভাব কেমন হতে পারে ধারণা করে গতকাল মঙ্গলবারই বিষয়টিকে হালকা করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এসব মন্তব্য যেন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গ্রহণ করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখছে হোয়াইট হাউস।
এরপর সুজি ওয়াইলস একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেন, ‘তাঁর বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট উপেক্ষা করা হয়েছে।’ একে একটি ‘কপটভাবে সাজানো মানহানিকর প্রতিবেদন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি।
ওয়াইলসের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ট্রাম্পের কাছে সুজির চেয়ে বড় বা বিশ্বস্ত কোনো উপদেষ্টা নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে লেভিট লেখেন, ‘পুরো প্রশাসন তাঁর (সুজি ওয়াইলস) অবিচল নেতৃত্বের জন্য কৃতজ্ঞ এবং সবাই সম্পূর্ণভাবে তাঁর পাশে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।’
তবে এই বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারটি ট্রাম্প ও তাঁর নীতিগুলো নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দিয়েছে। সেইসঙ্গে মাস্কের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্বও উসকে দিয়েছে বলা যায়।
মাস্কের সম্পর্কে ওয়াইলস এর আগেও বেশ আলোচিত বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সে সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছেমতো চলে। ইলনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাই হলো আসল চ্যালেঞ্জ।’
অ্যাডলফ হিটলার, জোসেফ স্ট্যালিন এবং মাও সেতুংয়ের আমলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য সরকারি খাতের কর্মীরা দায়ী—মাস্কের এমন একটি বিতর্কিত পোস্ট শেয়ার করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওয়াইলস বলেন, ‘আমার মনে হয়, সে যখন এসব লেখে তখন সে মাইক্রোডোজিং (সামান্য পরিমাণে মাদক গ্রহণ) অবস্থায় থাকে।’
তবে ওয়াইলস এটিও স্বীকার করেছেন, মাস্কের মাদক সেবনের বিষয়ে তাঁর কাছে সরাসরি কোনো তথ্য বা প্রমাণ নেই।
এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেননি মাস্ক এবং টেসলার মুখপাত্ররা। এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে মাস্কের বিরুদ্ধে কেটামিনসহ অন্যান্য মাদক সেবনের অভিযোগ তোলা হলে তিনি তা অস্বীকার করেছিলেন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েক বছর আগে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি কেটামিন নিয়েছিলেন, কিন্তু এরপর আর কখনো তা গ্রহণ করেননি।
মাস্ক ট্রাম্পের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই)-এর প্রধান ছিলেন। এই বিভাগের লক্ষ্য ছিল ফেডারেল সরকারের আকার ও পরিধি কমিয়ে আনা। এই প্রক্রিয়ার শুরুতে তিনি ‘ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট’ (ইউএসএআইডি) বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেন।
ওয়াইলস জানান, মাস্ক যখন ট্রাম্পের পছন্দের কিছু কর্মসূচিও বন্ধ করে দেন, তখন তিনি ‘প্রথমে হতভম্ব’ হয়ে গিয়েছিলেন এবং মাস্কের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
ওয়াইলস ভ্যানিটি ফেয়ারকে বলেন, ‘ইলনের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আপনাকে কাজটা দ্রুত শেষ করতে হবে। আর এই ধরনের মনোভাব থাকলে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হবেই। তবে কোনো বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষই মনে করবে না যে, ইউএসএআইডির প্রক্রিয়াগুলো সঠিক ছিল। কেউই না।’
জেডি ভ্যান্স সম্পর্কেও খুব খোলাখুলি কথা বলেছেন ওয়াইলস। তিনি বলেন, ‘যিনি একসময় ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে প্রেসিডেন্টের ‘মাগা’ (MAGA) আদর্শকে আলিঙ্গন করে হোয়াইট হাউসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে (ভাইস প্রেসিডেন্ট) নিজেকে উন্নীত করেছেন।
ওয়াইলস আরও বলেন, ‘তাঁর (ভ্যান্স) এই ভোলবদল (ট্রাম্পের পক্ষে আসা) ঘটেছিল যখন তিনি সিনেট নির্বাচনের জন্য লড়ছিলেন। আর আমার মনে হয়, তার এই পরিবর্তনটা ছিল কিছুটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
ট্রাম্পের সমর্থনে নিজের অবস্থান পরিবর্তন নিয়ে ভ্যান্স ভ্যানিটি ফেয়ারকে বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমি তাঁকে পছন্দ করছি, আমার মনে হয়েছিল তিনি অনেক ভালো কাজ করছেন এবং আমি ভেবেছিলাম, দেশ রক্ষার জন্য তিনিই মূলত সঠিক ব্যক্তি।’

বাইডেন সরকার তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলারেরও বেশি অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে চীন। একই সঙ্গে চীন সরকার ওয়াশিংটনকে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
সনদ নিতে আসা এক নারী চিকিৎসকের মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে এই বিতর্কে নীতীশের পক্ষে মন্তব্য করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তাঁর বক্তব্যকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন সমালোচকেরা। পরে এ বিষয়ে ব
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও অভিবাসনে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা বড় হয়েই চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিন ও আরও পাঁচটি দেশের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সনদ নিতে আসা এক নারী চিকিৎসকের মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে এই বিতর্কে নীতীশের পক্ষে মন্তব্য করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তাঁর বক্তব্যকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন সমালোচকেরা। পরে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন সঞ্জয় নিষাদ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ভারত সংবাদ’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিষাদ বলেন, সঠিক ব্যক্তির হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে কি না যাচাই করতে নীতীশ কুমার ওই নারীর নিকাব সরিয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি শরীরের অন্য কোনো অংশে স্পর্শ করতেন, তাহলে ঘটনাটি কীভাবে দেখা হতো।
সাক্ষাৎকারে নিষাদকে বলতে শোনা যায়, ‘নিকাব টেনে নেওয়া হয়নি, সরানো হয়েছে। যাচাই করার জন্যই এটি করা হয়েছে, যাতে সঠিক ব্যক্তিকেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এ নিয়ে মানুষের হৈচৈ করা উচিত নয়। তিনিও তো একজন মানুষ। তাঁর পেছনে লেগে থাকা ঠিক নয়। শুধু নিকাব ছুঁয়েছেন বলেই এত কিছু হয়ে গেল। অন্য কোথাও ছুঁলে তাহলে কী হতো?’
সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করার সময় মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদকে হাসতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় সঞ্জয় নিষাদের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রিণাতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘উত্তর প্রদেশ সরকারের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ হাসতে হাসতে এই নির্লজ্জ কথাগুলো বলেছেন। যেভাবে এবং যে কুটিল হাসি দিয়ে তিনি কথা বলছেন, তা তাঁর ঘৃণ্য, অযৌক্তিক ও নারীবিদ্বেষী মানসিকতাই প্রকাশ করে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাটনায় এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে সনদপত্র তুলে দিচ্ছেন ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার।
সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।
ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
বিরোধীরা এই ঘটনাকে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা এক নারীর প্রকাশ্য হয়রানি ছাড়া আর কিছু নয় বলে নিন্দা জানিয়েছে।
নীতীশের ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেত্রী সুপ্রিয়া। তিনি একে ‘ঘৃণ্য, অযৌক্তিক ও নারীবিদ্বেষী মানসিকতার’ বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন।
কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এদিকে বিতর্কের মুখে পড়ে পরে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন সঞ্জয় নিষাদ। তিনি বলেন, ‘যে বক্তব্যকে ঘিরে আজ বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে, সেটি আমি হাসতে হাসতে, খুব সাধারণভাবে এবং আমার স্থানীয় ভোজপুরি ভাষায় বলেছিলাম। কোনো সম্প্রদায়, কোনো নারী বা কোনো ধর্মের প্রতি আমার কোনো কু-উদ্দেশ্য ছিল না। কাউকে অপমান করারও কোনো ইচ্ছা ছিল না।’ পিটিআইকে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা জানান নিষাদ।
যোগী আদিত্যনাথের দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তিনি ২০২১ সাল থেকে উত্তর প্রদেশ বিধান পরিষদের সদস্য। নিষাদ সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে তিনি ২০১৬ সালে নিষাদ পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন।

সনদ নিতে আসা এক নারী চিকিৎসকের মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে এই বিতর্কে নীতীশের পক্ষে মন্তব্য করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তাঁর বক্তব্যকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন সমালোচকেরা। পরে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন সঞ্জয় নিষাদ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ভারত সংবাদ’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিষাদ বলেন, সঠিক ব্যক্তির হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে কি না যাচাই করতে নীতীশ কুমার ওই নারীর নিকাব সরিয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি শরীরের অন্য কোনো অংশে স্পর্শ করতেন, তাহলে ঘটনাটি কীভাবে দেখা হতো।
সাক্ষাৎকারে নিষাদকে বলতে শোনা যায়, ‘নিকাব টেনে নেওয়া হয়নি, সরানো হয়েছে। যাচাই করার জন্যই এটি করা হয়েছে, যাতে সঠিক ব্যক্তিকেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এ নিয়ে মানুষের হৈচৈ করা উচিত নয়। তিনিও তো একজন মানুষ। তাঁর পেছনে লেগে থাকা ঠিক নয়। শুধু নিকাব ছুঁয়েছেন বলেই এত কিছু হয়ে গেল। অন্য কোথাও ছুঁলে তাহলে কী হতো?’
সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করার সময় মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদকে হাসতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় সঞ্জয় নিষাদের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রিণাতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘উত্তর প্রদেশ সরকারের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ হাসতে হাসতে এই নির্লজ্জ কথাগুলো বলেছেন। যেভাবে এবং যে কুটিল হাসি দিয়ে তিনি কথা বলছেন, তা তাঁর ঘৃণ্য, অযৌক্তিক ও নারীবিদ্বেষী মানসিকতাই প্রকাশ করে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাটনায় এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে সনদপত্র তুলে দিচ্ছেন ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার।
সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।
ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
বিরোধীরা এই ঘটনাকে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা এক নারীর প্রকাশ্য হয়রানি ছাড়া আর কিছু নয় বলে নিন্দা জানিয়েছে।
নীতীশের ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেত্রী সুপ্রিয়া। তিনি একে ‘ঘৃণ্য, অযৌক্তিক ও নারীবিদ্বেষী মানসিকতার’ বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন।
কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এদিকে বিতর্কের মুখে পড়ে পরে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন সঞ্জয় নিষাদ। তিনি বলেন, ‘যে বক্তব্যকে ঘিরে আজ বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে, সেটি আমি হাসতে হাসতে, খুব সাধারণভাবে এবং আমার স্থানীয় ভোজপুরি ভাষায় বলেছিলাম। কোনো সম্প্রদায়, কোনো নারী বা কোনো ধর্মের প্রতি আমার কোনো কু-উদ্দেশ্য ছিল না। কাউকে অপমান করারও কোনো ইচ্ছা ছিল না।’ পিটিআইকে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা জানান নিষাদ।
যোগী আদিত্যনাথের দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তিনি ২০২১ সাল থেকে উত্তর প্রদেশ বিধান পরিষদের সদস্য। নিষাদ সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে তিনি ২০১৬ সালে নিষাদ পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন।

বাইডেন সরকার তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলারেরও বেশি অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে চীন। একই সঙ্গে চীন সরকার ওয়াশিংটনকে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলয় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস। ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শীর্ষ ধনী ও ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক সদস্য ইলন মাস্ককে ‘মাদকসেবী’ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’ বলে অভিহিত কর
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও অভিবাসনে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা বড় হয়েই চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিন ও আরও পাঁচটি দেশের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও অভিবাসনে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা বড় হয়েই চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিন ও আরও পাঁচটি দেশের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নতুন ঘোষণায় আরও পাঁচটি দেশকে যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা নথিতে ভ্রমণকারীদেরও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ১৫টি দেশের ক্ষেত্রে নতুন করে ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।
প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের মানদণ্ড আরও কঠোর করার চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অন্যায্যভাবে বহু দেশের মানুষের ভ্রমণের সুযোগ সীমিত করছে বলে মনে করছেন সমালোচকেরা।
থ্যাংকসগিভিং ছুটির শেষ দিকে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সেনাকে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন এক আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তারের পর প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা আরও সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিয়েছিল।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, যেসব ব্যক্তির আগে থেকেই বৈধ ভিসা আছে, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা কিংবা যাঁদের ভিসার ধরন কূটনীতিক বা ক্রীড়াবিদদের মতো বিশেষ শ্রেণিভুক্ত, তাঁরা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন। এ ছাড়া যাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ দেশটির স্বার্থে প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হবে, তাঁরাও ছাড় পাবেন। এসব পরিবর্তন আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গত জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। পাশাপাশি আরও সাতটি দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এই সিদ্ধান্ত তাঁর প্রথম মেয়াদের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিকে পুনরুজ্জীবিত করে।
সে সময় নিষেধাজ্ঞা তালিকায় ছিল আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। একই সঙ্গে বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের ওপর বাড়তি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার রিপাবলিকান প্রশাসন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা আরও বাড়ানো হচ্ছে। নতুন করে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়া।
এ ছাড়া ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা ভ্রমণ নথি বহনকারীদের ওপর সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এটি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা। উল্লেখ্য, দক্ষিণ সুদানের নাগরিকেরা আগেই উল্লেখযোগ্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মুখে ছিলেন।
এ ছাড়া আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ১৫টি দেশ যুক্ত করা হচ্ছে। দেশগুলো হলো অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বেনিন, আইভরি কোস্ট, ডোমিনিকা, গ্যাবন, গাম্বিয়া, মালাউই, মৌরিতানিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, তানজানিয়া, টোঙ্গা, জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাওয়া দর্শনার্থী ও সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আগ্রহী, উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
ঘোষণায় ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, যেসব দেশ থেকে ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে, সেসব দেশে ‘ব্যাপক দুর্নীতি, জাল বা অনির্ভরযোগ্য নাগরিক নথি এবং অপরাধসংক্রান্ত রেকর্ড’ রয়েছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য নাগরিকদের যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া কিছু দেশে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করার হার বেশি বলে উল্লেখ করা হয়। আবার যুক্তরাষ্ট্র যাদের ফেরত পাঠাতে চায়, তাদের নিজ দেশে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর ঘটনাও আছে। কোনো কোনো দেশে সামগ্রিক স্থিতিশীলতা ও সরকারি নিয়ন্ত্রণের ঘাটতিও রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এসব কারণেই যাচাই প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়ে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। পাশাপাশি অভিবাসন আইন প্রয়োগ, পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কথাও এই সিদ্ধান্তের পেছনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘোষণার পর আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দশকব্যাপী যুদ্ধে সহায়তা করা আফগান নাগরিকদের পক্ষে কাজ করা সংগঠনগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হালনাগাদ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় বিশেষ অভিবাসী ভিসা (এসআইভি) পাওয়ার যোগ্য আফগানদের জন্য থাকা আগের ছাড় আর নেই। এই বিশেষ ভিসা মূলত সেই আফগানদের জন্য, যারা নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধপ্রচেষ্টায় ঘনিষ্ঠভাবে সহায়তা করেছিলেন।
বিশেষ অভিবাসী ভিসা কর্মসূচির পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা সংস্থা ‘নো ওয়ান লেফট বিহাইন্ড’ এই পরিবর্তন নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানায়, তারা জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে প্রেসিডেন্টের অঙ্গীকারকে সম্মান করে। তবে ব্যাপক যাচাই-বাছাইয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা আফগানদের দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাকেই আরও শক্তিশালী করে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, যাচাই প্রক্রিয়ার অসংগতি পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে এই নীতিগত পরিবর্তন আনা হলেও এর ফলে অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি গোষ্ঠী সীমাবদ্ধতার মুখে পড়ছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠোরভাবে যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। এরা সেই যুদ্ধকালীন মিত্র, যাদেরই লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়—যে হুমকি মোকাবিলার কথা এই ঘোষণায় বলা হয়েছে।
নিষিদ্ধ বা সীমিত ভ্রমণ তালিকায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হওয়া দেশগুলো মঙ্গলবার গভীর রাতে জানায়, তারা ঘোষণাটি পর্যালোচনা করছে। ক্যারিবীয় সাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ডোমিনিকার সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, বিষয়টিকে তারা ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও জরুরি বিবেচনায়’ দেখছে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার অর্থ কী এবং সম্ভাব্য সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়, তা স্পষ্ট করতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার রাষ্ট্রদূত রোনাল্ড সন্ডার্স বলেন, বিষয়টি ‘খুবই গুরুতর’। নতুন বিধিনিষেধ নিয়ে আরও তথ্য জানতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন আগে আংশিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কিছু দেশের ওপর বিধিনিষেধ আরও কঠোর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে লাওস ও সিয়েরা লিওন। তবে এক ক্ষেত্রে তুর্কমেনিস্তানের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে সেখানকার নাগরিকদের ওপর কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত জুনে ঘোষিত আগের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অন্যান্য সব বিধান আগের মতোই বহাল থাকবে।
ফিলিস্তিনিদের ওপর নতুন এই নিষেধাজ্ঞা এমন এক সময় এলো, যখন কয়েক মাস আগেই ট্রাম্প প্রশাসন এমন বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, যার ফলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পাসপোর্টধারীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা, কাজ, বিনোদন বা শিক্ষার উদ্দেশ্যে ভ্রমণের নথি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। মঙ্গলবারের ঘোষণায় সেই সীমাবদ্ধতা আরও বাড়ানো হলো। এতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পাসপোর্টধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে অভিবাসনের পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবারের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রশাসন জানায়, পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত কয়েকটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম চালায়। এসব গোষ্ঠীর হাতে মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি করা হয়।
এ ছাড়া ওই সব এলাকায় সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে যাচাই ও স্ক্রিনিং সক্ষমতা ‘ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে’ বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও অভিবাসনে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা বড় হয়েই চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিন ও আরও পাঁচটি দেশের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নতুন ঘোষণায় আরও পাঁচটি দেশকে যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা নথিতে ভ্রমণকারীদেরও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ১৫টি দেশের ক্ষেত্রে নতুন করে ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।
প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের মানদণ্ড আরও কঠোর করার চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অন্যায্যভাবে বহু দেশের মানুষের ভ্রমণের সুযোগ সীমিত করছে বলে মনে করছেন সমালোচকেরা।
থ্যাংকসগিভিং ছুটির শেষ দিকে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সেনাকে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন এক আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তারের পর প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা আরও সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিয়েছিল।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, যেসব ব্যক্তির আগে থেকেই বৈধ ভিসা আছে, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা কিংবা যাঁদের ভিসার ধরন কূটনীতিক বা ক্রীড়াবিদদের মতো বিশেষ শ্রেণিভুক্ত, তাঁরা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন। এ ছাড়া যাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ দেশটির স্বার্থে প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হবে, তাঁরাও ছাড় পাবেন। এসব পরিবর্তন আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গত জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। পাশাপাশি আরও সাতটি দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এই সিদ্ধান্ত তাঁর প্রথম মেয়াদের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিকে পুনরুজ্জীবিত করে।
সে সময় নিষেধাজ্ঞা তালিকায় ছিল আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। একই সঙ্গে বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের ওপর বাড়তি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার রিপাবলিকান প্রশাসন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা আরও বাড়ানো হচ্ছে। নতুন করে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়া।
এ ছাড়া ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা ভ্রমণ নথি বহনকারীদের ওপর সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এটি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা। উল্লেখ্য, দক্ষিণ সুদানের নাগরিকেরা আগেই উল্লেখযোগ্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মুখে ছিলেন।
এ ছাড়া আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ১৫টি দেশ যুক্ত করা হচ্ছে। দেশগুলো হলো অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বেনিন, আইভরি কোস্ট, ডোমিনিকা, গ্যাবন, গাম্বিয়া, মালাউই, মৌরিতানিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, তানজানিয়া, টোঙ্গা, জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাওয়া দর্শনার্থী ও সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আগ্রহী, উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
ঘোষণায় ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, যেসব দেশ থেকে ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে, সেসব দেশে ‘ব্যাপক দুর্নীতি, জাল বা অনির্ভরযোগ্য নাগরিক নথি এবং অপরাধসংক্রান্ত রেকর্ড’ রয়েছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য নাগরিকদের যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া কিছু দেশে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করার হার বেশি বলে উল্লেখ করা হয়। আবার যুক্তরাষ্ট্র যাদের ফেরত পাঠাতে চায়, তাদের নিজ দেশে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর ঘটনাও আছে। কোনো কোনো দেশে সামগ্রিক স্থিতিশীলতা ও সরকারি নিয়ন্ত্রণের ঘাটতিও রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এসব কারণেই যাচাই প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়ে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। পাশাপাশি অভিবাসন আইন প্রয়োগ, পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কথাও এই সিদ্ধান্তের পেছনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘোষণার পর আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দশকব্যাপী যুদ্ধে সহায়তা করা আফগান নাগরিকদের পক্ষে কাজ করা সংগঠনগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হালনাগাদ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় বিশেষ অভিবাসী ভিসা (এসআইভি) পাওয়ার যোগ্য আফগানদের জন্য থাকা আগের ছাড় আর নেই। এই বিশেষ ভিসা মূলত সেই আফগানদের জন্য, যারা নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধপ্রচেষ্টায় ঘনিষ্ঠভাবে সহায়তা করেছিলেন।
বিশেষ অভিবাসী ভিসা কর্মসূচির পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা সংস্থা ‘নো ওয়ান লেফট বিহাইন্ড’ এই পরিবর্তন নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানায়, তারা জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে প্রেসিডেন্টের অঙ্গীকারকে সম্মান করে। তবে ব্যাপক যাচাই-বাছাইয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা আফগানদের দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাকেই আরও শক্তিশালী করে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, যাচাই প্রক্রিয়ার অসংগতি পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে এই নীতিগত পরিবর্তন আনা হলেও এর ফলে অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি গোষ্ঠী সীমাবদ্ধতার মুখে পড়ছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠোরভাবে যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। এরা সেই যুদ্ধকালীন মিত্র, যাদেরই লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়—যে হুমকি মোকাবিলার কথা এই ঘোষণায় বলা হয়েছে।
নিষিদ্ধ বা সীমিত ভ্রমণ তালিকায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হওয়া দেশগুলো মঙ্গলবার গভীর রাতে জানায়, তারা ঘোষণাটি পর্যালোচনা করছে। ক্যারিবীয় সাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ডোমিনিকার সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, বিষয়টিকে তারা ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও জরুরি বিবেচনায়’ দেখছে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার অর্থ কী এবং সম্ভাব্য সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়, তা স্পষ্ট করতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার রাষ্ট্রদূত রোনাল্ড সন্ডার্স বলেন, বিষয়টি ‘খুবই গুরুতর’। নতুন বিধিনিষেধ নিয়ে আরও তথ্য জানতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন আগে আংশিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কিছু দেশের ওপর বিধিনিষেধ আরও কঠোর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে লাওস ও সিয়েরা লিওন। তবে এক ক্ষেত্রে তুর্কমেনিস্তানের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে সেখানকার নাগরিকদের ওপর কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত জুনে ঘোষিত আগের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অন্যান্য সব বিধান আগের মতোই বহাল থাকবে।
ফিলিস্তিনিদের ওপর নতুন এই নিষেধাজ্ঞা এমন এক সময় এলো, যখন কয়েক মাস আগেই ট্রাম্প প্রশাসন এমন বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, যার ফলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পাসপোর্টধারীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা, কাজ, বিনোদন বা শিক্ষার উদ্দেশ্যে ভ্রমণের নথি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। মঙ্গলবারের ঘোষণায় সেই সীমাবদ্ধতা আরও বাড়ানো হলো। এতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পাসপোর্টধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে অভিবাসনের পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবারের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রশাসন জানায়, পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত কয়েকটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম চালায়। এসব গোষ্ঠীর হাতে মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি করা হয়।
এ ছাড়া ওই সব এলাকায় সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে যাচাই ও স্ক্রিনিং সক্ষমতা ‘ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে’ বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাইডেন সরকার তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলারেরও বেশি অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে চীন। একই সঙ্গে চীন সরকার ওয়াশিংটনকে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলয় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস। ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শীর্ষ ধনী ও ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক সদস্য ইলন মাস্ককে ‘মাদকসেবী’ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’ বলে অভিহিত কর
১ ঘণ্টা আগে
সনদ নিতে আসা এক নারী চিকিৎসকের মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে এই বিতর্কে নীতীশের পক্ষে মন্তব্য করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তাঁর বক্তব্যকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন সমালোচকেরা। পরে এ বিষয়ে ব
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে দেওয়া তাঁর ভাষণ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত’ করে প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে সম্প্রচার করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানি ও বাণিজ্যিক আচরণবিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। ক্ষতিপূরণ দাবির অঙ্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই অঙ্ক ৫ বিলিয়ন ডলার বলা হলেও, ট্রাম্পের আইনজীবীদের সাম্প্রতিক নথি ও ব্রিফিং অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের দাবি ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে (১৬ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, কথিত প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের ভাষণের দুটি ভিন্ন অংশ সম্পাদনার মাধ্যমে একত্রে দেখানো হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব... এবং আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আমরা লড়াই করব, দারুণভাবে লড়াই করব।’ তবে বাস্তবে এই দুটি বক্তব্য ভাষণের মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল।
বিবিসি স্বীকার করেছে, এই সম্পাদনার ফলে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে যে, ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ জন্য তারা গত মাসে দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, মানহানির অভিযোগের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
বিবিসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘আগেও যেমন বলা হয়েছে, আমরা এই মামলার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করব।’ চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তারা বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, ডকুমেন্টারিটি যুক্তরাজ্যের বাইরে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রচার না হলেও ভিপিএন বা ব্রিটবক্সের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের, বিশেষ করে ফ্লোরিডার দর্শকেরা এটি দেখতে পারেন। বিবিসি এসব অভিযোগের বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি বিবিসির নিজস্ব আইনি বিষয়। একই সঙ্গে তারা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসির ভূমিকার ওপর আস্থার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা জেতা কঠিন হলেও এই মামলা বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে দেওয়া তাঁর ভাষণ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত’ করে প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে সম্প্রচার করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানি ও বাণিজ্যিক আচরণবিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। ক্ষতিপূরণ দাবির অঙ্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই অঙ্ক ৫ বিলিয়ন ডলার বলা হলেও, ট্রাম্পের আইনজীবীদের সাম্প্রতিক নথি ও ব্রিফিং অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের দাবি ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে (১৬ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, কথিত প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের ভাষণের দুটি ভিন্ন অংশ সম্পাদনার মাধ্যমে একত্রে দেখানো হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব... এবং আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আমরা লড়াই করব, দারুণভাবে লড়াই করব।’ তবে বাস্তবে এই দুটি বক্তব্য ভাষণের মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল।
বিবিসি স্বীকার করেছে, এই সম্পাদনার ফলে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে যে, ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ জন্য তারা গত মাসে দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, মানহানির অভিযোগের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
বিবিসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘আগেও যেমন বলা হয়েছে, আমরা এই মামলার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করব।’ চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তারা বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, ডকুমেন্টারিটি যুক্তরাজ্যের বাইরে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রচার না হলেও ভিপিএন বা ব্রিটবক্সের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের, বিশেষ করে ফ্লোরিডার দর্শকেরা এটি দেখতে পারেন। বিবিসি এসব অভিযোগের বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি বিবিসির নিজস্ব আইনি বিষয়। একই সঙ্গে তারা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসির ভূমিকার ওপর আস্থার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা জেতা কঠিন হলেও এই মামলা বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বাইডেন সরকার তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলারেরও বেশি অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে চীন। একই সঙ্গে চীন সরকার ওয়াশিংটনকে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলয় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস। ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শীর্ষ ধনী ও ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক সদস্য ইলন মাস্ককে ‘মাদকসেবী’ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’ বলে অভিহিত কর
১ ঘণ্টা আগে
সনদ নিতে আসা এক নারী চিকিৎসকের মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে এই বিতর্কে নীতীশের পক্ষে মন্তব্য করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তাঁর বক্তব্যকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন সমালোচকেরা। পরে এ বিষয়ে ব
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও অভিবাসনে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা বড় হয়েই চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিন ও আরও পাঁচটি দেশের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগে