আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে ভারত। কোনো প্রমাণ না দিয়েই ভারত বলেছে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো দায়ী। আর তাই পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসসহ গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানি চুক্তিসহ আরও বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
তবে পাকিস্তান ভারতের এসব সিদ্ধান্তকে ‘তড়িঘড়ি’ এবং ‘কোনো প্রমাণ ছাড়াই’ দোষারোপ করার মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে ভারতের কঠোর জবাব মূল্যায়ন করা হবে।
বৈঠকে নয়াদিল্লির ‘আগ্রাসী পদক্ষেপগুলোর’ বিষয়ে নীতিগত প্রতিক্রিয়া ঠিক করা হবে। ভারতের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হলো সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা। ১৯৬০ সালের বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছিল। যুদ্ধ ও দশকের পর দশক বৈরিতা সত্ত্বেও চুক্তিটি টিকে ছিল। তাই এর স্থগিতাদেশ পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে এমনিতেই খারাপ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি এক যুগান্তকারী মুহূর্ত।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং আটারি-ওয়াঘা বন্ধ করে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ করেছে নয়াদিল্লি। তারা হামলাটিকে বড় উসকানি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এই হামলা পাকিস্তানের ওপর কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত তৈরির কারণ বলে ভারত জানিয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি এসব পদক্ষেপের জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ, পাকিস্তান ‘সীমান্ত-সন্ত্রাসবাদে’ মদদ দেয়।
তবে ইসলামাবাদ কোনো ভূমিকার কথা অস্বীকার করে বলেছে, হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন। ভারত সরকারের আজকের (গতকাল বুধবার) বিকেলের বিবৃতির জবাব দিতে এই বৈঠক।’
বুধবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ইসহাক দার ভারতের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। এটিকে ‘অপরিপক্ব’ ও ’তড়িঘড়ি’ বলে অভিহিত করেন তিনি। দার বলেন, ‘ভারত কোনো প্রমাণ দেয়নি। তাদের প্রতিক্রিয়ায় কোনো পরিপক্বতা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি অনমনীয় মনোভাব। ঘটনার পরপরই তারা হইচই শুরু করেছে।’
দিনের শুরুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথক বিবৃতিতে প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতের অবৈধভাবে দখল করা জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে আমরা উদ্বিগ্ন। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
এদিকে, কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা সতর্ক করেছেন যে, ভারতের জবাব ও পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা-বালাকোট সংকট থেকে তৈরি হওয়া ফাটল আরও চওড়া হতে পারে। বিশেষ করে চুক্তি স্থগিত করায় দীর্ঘমেয়াদি পানি বিরোধ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনমনের ফলে ভবিষ্যতে উত্তেজনা কমানোর যেকোনো প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে ভারত। কোনো প্রমাণ না দিয়েই ভারত বলেছে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো দায়ী। আর তাই পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসসহ গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানি চুক্তিসহ আরও বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
তবে পাকিস্তান ভারতের এসব সিদ্ধান্তকে ‘তড়িঘড়ি’ এবং ‘কোনো প্রমাণ ছাড়াই’ দোষারোপ করার মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে ভারতের কঠোর জবাব মূল্যায়ন করা হবে।
বৈঠকে নয়াদিল্লির ‘আগ্রাসী পদক্ষেপগুলোর’ বিষয়ে নীতিগত প্রতিক্রিয়া ঠিক করা হবে। ভারতের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হলো সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা। ১৯৬০ সালের বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছিল। যুদ্ধ ও দশকের পর দশক বৈরিতা সত্ত্বেও চুক্তিটি টিকে ছিল। তাই এর স্থগিতাদেশ পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে এমনিতেই খারাপ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি এক যুগান্তকারী মুহূর্ত।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং আটারি-ওয়াঘা বন্ধ করে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ করেছে নয়াদিল্লি। তারা হামলাটিকে বড় উসকানি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এই হামলা পাকিস্তানের ওপর কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত তৈরির কারণ বলে ভারত জানিয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি এসব পদক্ষেপের জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ, পাকিস্তান ‘সীমান্ত-সন্ত্রাসবাদে’ মদদ দেয়।
তবে ইসলামাবাদ কোনো ভূমিকার কথা অস্বীকার করে বলেছে, হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন। ভারত সরকারের আজকের (গতকাল বুধবার) বিকেলের বিবৃতির জবাব দিতে এই বৈঠক।’
বুধবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ইসহাক দার ভারতের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। এটিকে ‘অপরিপক্ব’ ও ’তড়িঘড়ি’ বলে অভিহিত করেন তিনি। দার বলেন, ‘ভারত কোনো প্রমাণ দেয়নি। তাদের প্রতিক্রিয়ায় কোনো পরিপক্বতা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি অনমনীয় মনোভাব। ঘটনার পরপরই তারা হইচই শুরু করেছে।’
দিনের শুরুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথক বিবৃতিতে প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতের অবৈধভাবে দখল করা জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে আমরা উদ্বিগ্ন। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
এদিকে, কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা সতর্ক করেছেন যে, ভারতের জবাব ও পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা-বালাকোট সংকট থেকে তৈরি হওয়া ফাটল আরও চওড়া হতে পারে। বিশেষ করে চুক্তি স্থগিত করায় দীর্ঘমেয়াদি পানি বিরোধ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনমনের ফলে ভবিষ্যতে উত্তেজনা কমানোর যেকোনো প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
৬ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
৮ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
৮ ঘণ্টা আগে