ফজলুল বারী, অস্ট্রেলিয়া থেকে

আগামী শনিবার (১৪ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের পক্ষে বিপক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ২ কোটি ২৬ লাখ মানুষের মহাদেশে গণভোটে ভোটারদের মতামত চাওয়া হবে। সংসদে আদিবাসী ও দ্বীপবাসীদের কণ্ঠ প্রতিষ্ঠায় একটি সাংবিধানিক কাঠামো গঠনে সংবিধান সংশোধনে তাঁরা রাজি আছেন কিনা।
কিন্তু এই গণভোটকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়াবাসীর বড় অংশের ভেতরের বর্ণবাদী স্বরূপটি প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার কথা উঠেছে! জনমত জরিপে দেখা গেছে সিংহভাগ অস্ট্রেলিয়ান ভোটার আদিবাসীদের বিশেষ সাংবিধানিক সুযোগ দেওয়ার বিপক্ষে। অর্থাৎ এমন একটি উদ্যোগ ভোটের মাঠ পাস করাতে ব্যর্থ হয়ে হেরে যেতে পারে এ দেশের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি।
বিরোধী দল লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশন অবশ্য শুরু থেকেই এই গণভোটের বিরোধিতা করে আসছে। গণভোটে ‘না’ ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছে বিরোধী দল। তাদের বক্তব্য এমন একটি উদ্যোগ জাতিকে বিভক্ত করবে। তারা আদিবাসীদের আরও সুবিধা দিতে চান। তবে তা সংসদে নয়। স্থানীয় পর্যায়ে।
গণভোটের শুরুতে বিরোধী দল বলেছিল, ভোটে যদি তারা হেরেও যায় তবে আগামীতে তারা ক্ষমতায় গেলে আদিবাসীদের বিশেষ সুযোগ বাতিল প্রশ্নে তারা আরেকটা গণভোটের ব্যবস্থা করবে। লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশনকে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল সাদাদের জোট মনে করা হয়।
উল্লেখ্য, ৬০ হাজার বছরেরও আগে থেকে আদিবাসী ও দ্বীপবাসীরা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে বসবাস করে আসছেন। ক্যাপ্টেন কুকের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের আগে পৃথিবী এই মহাদেশের কথা জানত না। ক্যাপ্টেন কুকের যুগ থেকে এখানে জারি হয় ব্রিটিশ শাসন। সাদাদের দাপট। আদিবাসী আর দ্বীপবাসীরা হয়ে পড়েন নিজভূমে পরবাসী! ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশের রাজবন্দীদের আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে দ্বীপান্তর করায়। আর তাদের জেলখানার দাগি আসামিদের অস্ট্রেলিয়ায় জেলখানায় স্থানান্তর করে। আজকের সাদা অস্ট্রেলিয়ানদের বেশির ভাগ তাঁদেরই বংশধর।
আধুনিক অস্ট্রেলিয়ায় চাকরিসহ নানা ক্ষেত্রে আদিবাসী দ্বীপবাসীদের নানা সুবিধা দিলেও তাদের দাবি সাংবিধানিক ভয়েস প্রতিষ্ঠায় রাজি নয়। আদিবাসীদের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সমাবেশ উলুরু স্টেটমেন্টের মাধ্যমে এই দাবিটি তারা করে আসছে।
২০০৭ সালে কেবিন রাড সরকারের আমলে পূর্ব পুরুষের আদিবাসী নির্যাতনের জন্য সংসদে আনুষ্ঠানিক দুঃখ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে বলা হয় ‘উই আর সরি’। এক সময় আদিবাসী জনসংখ্যা সংকুচিত করতে তাদের নতুন জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের চুরি করে নিয়েও সাদাদের বাড়িতে তাদের বড় করা হতো। কালো এই অধ্যায়ের নাম স্টোলেন জেনারেশন। উই আর সরি’তে স্টোলেন জেলারেশনের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছিল।
কিন্তু আদিবাসীরা চান বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা। কিন্তু আভাস মিলছে মুখে বড় বড় কথা বললেও এখনো অস্ট্রেলিয়ানদের অতটা উদার হয়ে ওঠেননি।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। যৌক্তিক কারণ ছাড়া ভোট না দিলে জরিমানা হয়। এ দেশে শনিবার দেখে ছুটির দিনে ভোট হয়। কিন্তু শনিবারও অনেকের কাজ থাকে। এর জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট, আগাম ভোট কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোট নেবার ব্যবস্থা করা হয়। এর মাঝে ৪ মিলিয়ন তথা ৮০ লাখ লোক আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। পোস্টাল ব্যালটে ভোটের আবেদন করে ফরম নিয়েছেন অনেক মানুষ। ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের মতো বিদেশে থাকা ভোটারদের ভোট ডাকযোগে আসবে।
ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি গত নির্বাচনের সময় আদিবাসী ভয়েস প্রতিষ্ঠার এমন একটি কাঠামো তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয়। যে কাঠামো অথবা কমিটি দেশের আদিবাসী ও দ্বীপবাসীদের দাবি বক্তব্য সরাসরি সংসদ শুনবে ও ব্যবস্থা নেবে। এর জন্য অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। এর জন্যই এই গণভোট।
কিন্তু বিরোধী দল লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশন এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। গণভোটে তারা না ভোট দেবে। তাদের বক্তব্য এতে জাতি বিভক্ত হবে। আদিবাসীদের তারা জাতীয় সংসদের মাধ্যমে নয়, স্থানীয় ভাবে সুবিধা দেওয়ার পক্ষে।
গণভোটে অস্ট্রেলিয়ান ভোটারদের জিজ্ঞাসা করবে যে একটি আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেট আইল্যান্ডার ভয়েস প্রতিষ্ঠা করে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জনগণের স্বীকৃতি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করা উচিত কিনা। ভয়েসের জন্য কলগুলি প্রাথমিকভাবে উলুরু স্টেটমেন্ট ফ্রম দ্য হার্টের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান জনগণের সঙ্গে ভাগ করা হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জনগণ হিসেবে আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেট দ্বীপবাসীদের স্বীকৃতিতে: আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস নামে একটি বডি থাকবে; আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে সংসদ এবং কমনওয়েলথের নির্বাহী সরকারের কাছে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে; সংসদের, এই সংবিধানের সাপেক্ষে, আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস এর গঠন, কার্যাবলি, ক্ষমতা এবং পদ্ধতি সহ সম্পর্কিত বিষয়ে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ারও গণভোটের ইতিহাস ভালো নয়। ১৯০১ সালে এ দেশে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯০১ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় মোট ৪৪টি দেশব্যাপী গণভোট হয়েছে। এর মধ্যে সফল হয়েছে মাত্র আটটি।
হৃদয় থেকে উলুরু বিবৃতিটির ভয়েসকে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানায়। এটি করার জন্য একটি গণভোট প্রয়োজন। কিন্তু ১৯৭৭ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান পরিবর্তনের একটি গণভোট সফল হয়নি। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির দ্বিদলীয় সমর্থন ব্যাপকভাবে সাফল্যের পূর্বশর্ত হিসাবে বিবেচিত হয়।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইউগভ-এর চূড়ান্ত জরিপ অনুসারে, ১৪ অক্টোবর ভোটের দিন আগে দুই দিনেরও কম সময় বাকি আছে, যারা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল তারা ৫৬% থেকে ৩৮% পর্যন্ত’ হ্যাঁ’ শিবিরকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। জরিপ করা প্রায় ৬% সিদ্ধান্তহীন ছিল। ইউগভ জরিপের জন্য ১৫১৯ জন ভোটারদের ভোট দিয়েছে।
চূড়ান্ত জরিপ একটি ব্যাপক ‘না’ জয়ের ইঙ্গিত দেয়—যেখানে প্রায় ১০ জন ভোটারের মধ্যে ছয়জন ‘না’ ভোট দিতে চান!
জনমত জরিপের বিশদ বিশ্লেষণ ইঙ্গিত করে যে ‘হ্যাঁ’ অনেকগুলি অভ্যন্তরীণ মেট্রোপলিটন আসন ছাড়া অন্য কোথাও জিতবে। ‘হ্যাঁ’ তরুণদের মধ্যে এগিয়ে আছে, যখন বয়স্ক ভোটাররা বহুলাংশে ‘না’-এর পক্ষে।
গণভোটের প্রতি সমর্থন, ভোটাররা ১৯৯৯ সালের প্রজাতন্ত্র হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর থেকে প্রথম, গত কয়েক মাস ধরে হ্রাস পেয়েছে। সমর্থকেরা যুক্তি দেন যে ভয়েস আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য অগ্রগতি আনবে, যখন কিছু বিরোধীরা বলে যে সংবিধানে একটি দলকে অন্তর্ভুক্ত করা বিভক্ত হবে।
আদিবাসী ভয়েস বিষয়ে সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য দেশব্যাপী এবং ছয়টি রাজ্যের মধ্যে অন্তত চারটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রয়োজন।

আগামী শনিবার (১৪ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের পক্ষে বিপক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ২ কোটি ২৬ লাখ মানুষের মহাদেশে গণভোটে ভোটারদের মতামত চাওয়া হবে। সংসদে আদিবাসী ও দ্বীপবাসীদের কণ্ঠ প্রতিষ্ঠায় একটি সাংবিধানিক কাঠামো গঠনে সংবিধান সংশোধনে তাঁরা রাজি আছেন কিনা।
কিন্তু এই গণভোটকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়াবাসীর বড় অংশের ভেতরের বর্ণবাদী স্বরূপটি প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার কথা উঠেছে! জনমত জরিপে দেখা গেছে সিংহভাগ অস্ট্রেলিয়ান ভোটার আদিবাসীদের বিশেষ সাংবিধানিক সুযোগ দেওয়ার বিপক্ষে। অর্থাৎ এমন একটি উদ্যোগ ভোটের মাঠ পাস করাতে ব্যর্থ হয়ে হেরে যেতে পারে এ দেশের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি।
বিরোধী দল লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশন অবশ্য শুরু থেকেই এই গণভোটের বিরোধিতা করে আসছে। গণভোটে ‘না’ ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছে বিরোধী দল। তাদের বক্তব্য এমন একটি উদ্যোগ জাতিকে বিভক্ত করবে। তারা আদিবাসীদের আরও সুবিধা দিতে চান। তবে তা সংসদে নয়। স্থানীয় পর্যায়ে।
গণভোটের শুরুতে বিরোধী দল বলেছিল, ভোটে যদি তারা হেরেও যায় তবে আগামীতে তারা ক্ষমতায় গেলে আদিবাসীদের বিশেষ সুযোগ বাতিল প্রশ্নে তারা আরেকটা গণভোটের ব্যবস্থা করবে। লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশনকে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল সাদাদের জোট মনে করা হয়।
উল্লেখ্য, ৬০ হাজার বছরেরও আগে থেকে আদিবাসী ও দ্বীপবাসীরা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে বসবাস করে আসছেন। ক্যাপ্টেন কুকের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের আগে পৃথিবী এই মহাদেশের কথা জানত না। ক্যাপ্টেন কুকের যুগ থেকে এখানে জারি হয় ব্রিটিশ শাসন। সাদাদের দাপট। আদিবাসী আর দ্বীপবাসীরা হয়ে পড়েন নিজভূমে পরবাসী! ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশের রাজবন্দীদের আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে দ্বীপান্তর করায়। আর তাদের জেলখানার দাগি আসামিদের অস্ট্রেলিয়ায় জেলখানায় স্থানান্তর করে। আজকের সাদা অস্ট্রেলিয়ানদের বেশির ভাগ তাঁদেরই বংশধর।
আধুনিক অস্ট্রেলিয়ায় চাকরিসহ নানা ক্ষেত্রে আদিবাসী দ্বীপবাসীদের নানা সুবিধা দিলেও তাদের দাবি সাংবিধানিক ভয়েস প্রতিষ্ঠায় রাজি নয়। আদিবাসীদের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সমাবেশ উলুরু স্টেটমেন্টের মাধ্যমে এই দাবিটি তারা করে আসছে।
২০০৭ সালে কেবিন রাড সরকারের আমলে পূর্ব পুরুষের আদিবাসী নির্যাতনের জন্য সংসদে আনুষ্ঠানিক দুঃখ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে বলা হয় ‘উই আর সরি’। এক সময় আদিবাসী জনসংখ্যা সংকুচিত করতে তাদের নতুন জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের চুরি করে নিয়েও সাদাদের বাড়িতে তাদের বড় করা হতো। কালো এই অধ্যায়ের নাম স্টোলেন জেনারেশন। উই আর সরি’তে স্টোলেন জেলারেশনের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছিল।
কিন্তু আদিবাসীরা চান বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা। কিন্তু আভাস মিলছে মুখে বড় বড় কথা বললেও এখনো অস্ট্রেলিয়ানদের অতটা উদার হয়ে ওঠেননি।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। যৌক্তিক কারণ ছাড়া ভোট না দিলে জরিমানা হয়। এ দেশে শনিবার দেখে ছুটির দিনে ভোট হয়। কিন্তু শনিবারও অনেকের কাজ থাকে। এর জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট, আগাম ভোট কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোট নেবার ব্যবস্থা করা হয়। এর মাঝে ৪ মিলিয়ন তথা ৮০ লাখ লোক আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। পোস্টাল ব্যালটে ভোটের আবেদন করে ফরম নিয়েছেন অনেক মানুষ। ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের মতো বিদেশে থাকা ভোটারদের ভোট ডাকযোগে আসবে।
ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি গত নির্বাচনের সময় আদিবাসী ভয়েস প্রতিষ্ঠার এমন একটি কাঠামো তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয়। যে কাঠামো অথবা কমিটি দেশের আদিবাসী ও দ্বীপবাসীদের দাবি বক্তব্য সরাসরি সংসদ শুনবে ও ব্যবস্থা নেবে। এর জন্য অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। এর জন্যই এই গণভোট।
কিন্তু বিরোধী দল লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশন এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। গণভোটে তারা না ভোট দেবে। তাদের বক্তব্য এতে জাতি বিভক্ত হবে। আদিবাসীদের তারা জাতীয় সংসদের মাধ্যমে নয়, স্থানীয় ভাবে সুবিধা দেওয়ার পক্ষে।
গণভোটে অস্ট্রেলিয়ান ভোটারদের জিজ্ঞাসা করবে যে একটি আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেট আইল্যান্ডার ভয়েস প্রতিষ্ঠা করে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জনগণের স্বীকৃতি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করা উচিত কিনা। ভয়েসের জন্য কলগুলি প্রাথমিকভাবে উলুরু স্টেটমেন্ট ফ্রম দ্য হার্টের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান জনগণের সঙ্গে ভাগ করা হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জনগণ হিসেবে আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেট দ্বীপবাসীদের স্বীকৃতিতে: আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস নামে একটি বডি থাকবে; আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে সংসদ এবং কমনওয়েলথের নির্বাহী সরকারের কাছে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে; সংসদের, এই সংবিধানের সাপেক্ষে, আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস এর গঠন, কার্যাবলি, ক্ষমতা এবং পদ্ধতি সহ সম্পর্কিত বিষয়ে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ারও গণভোটের ইতিহাস ভালো নয়। ১৯০১ সালে এ দেশে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯০১ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় মোট ৪৪টি দেশব্যাপী গণভোট হয়েছে। এর মধ্যে সফল হয়েছে মাত্র আটটি।
হৃদয় থেকে উলুরু বিবৃতিটির ভয়েসকে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানায়। এটি করার জন্য একটি গণভোট প্রয়োজন। কিন্তু ১৯৭৭ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান পরিবর্তনের একটি গণভোট সফল হয়নি। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির দ্বিদলীয় সমর্থন ব্যাপকভাবে সাফল্যের পূর্বশর্ত হিসাবে বিবেচিত হয়।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইউগভ-এর চূড়ান্ত জরিপ অনুসারে, ১৪ অক্টোবর ভোটের দিন আগে দুই দিনেরও কম সময় বাকি আছে, যারা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল তারা ৫৬% থেকে ৩৮% পর্যন্ত’ হ্যাঁ’ শিবিরকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। জরিপ করা প্রায় ৬% সিদ্ধান্তহীন ছিল। ইউগভ জরিপের জন্য ১৫১৯ জন ভোটারদের ভোট দিয়েছে।
চূড়ান্ত জরিপ একটি ব্যাপক ‘না’ জয়ের ইঙ্গিত দেয়—যেখানে প্রায় ১০ জন ভোটারের মধ্যে ছয়জন ‘না’ ভোট দিতে চান!
জনমত জরিপের বিশদ বিশ্লেষণ ইঙ্গিত করে যে ‘হ্যাঁ’ অনেকগুলি অভ্যন্তরীণ মেট্রোপলিটন আসন ছাড়া অন্য কোথাও জিতবে। ‘হ্যাঁ’ তরুণদের মধ্যে এগিয়ে আছে, যখন বয়স্ক ভোটাররা বহুলাংশে ‘না’-এর পক্ষে।
গণভোটের প্রতি সমর্থন, ভোটাররা ১৯৯৯ সালের প্রজাতন্ত্র হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর থেকে প্রথম, গত কয়েক মাস ধরে হ্রাস পেয়েছে। সমর্থকেরা যুক্তি দেন যে ভয়েস আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য অগ্রগতি আনবে, যখন কিছু বিরোধীরা বলে যে সংবিধানে একটি দলকে অন্তর্ভুক্ত করা বিভক্ত হবে।
আদিবাসী ভয়েস বিষয়ে সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য দেশব্যাপী এবং ছয়টি রাজ্যের মধ্যে অন্তত চারটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রয়োজন।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৩৩ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

আগামী শনিবার (১৪ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের পক্ষে বিপক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ২ কোটি ২৬ লাখ মানুষের মহাদেশে গণভোটে ভোটারদের মতামত চাওয়া হবে। সংসদে আদিবাসী ও দ্বীপবাসীদের কণ্ঠ প্রতিষ্ঠায় একটি সাংবিধানিক কাঠামো গঠনে সংবিধান সংশোধনে তাঁরা রাজি আছেন কিনা
১২ অক্টোবর ২০২৩
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আগামী শনিবার (১৪ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের পক্ষে বিপক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ২ কোটি ২৬ লাখ মানুষের মহাদেশে গণভোটে ভোটারদের মতামত চাওয়া হবে। সংসদে আদিবাসী ও দ্বীপবাসীদের কণ্ঠ প্রতিষ্ঠায় একটি সাংবিধানিক কাঠামো গঠনে সংবিধান সংশোধনে তাঁরা রাজি আছেন কিনা
১২ অক্টোবর ২০২৩
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৩৩ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক নাটকীয় ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে ট্যাংকারটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরপেক্ষ জলসীমায় এটি প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক আঘাত। এর আগে ইউক্রেন শুধু কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজের ওপর ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, আক্রান্ত জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। এটি রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অংশ বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এসব জাহাজ সাধারণত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রুশ তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। এর ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে ট্যাংকারটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুতে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল। ফেরার পথেই ভূমধ্যসাগরে হামলার চালানো হয়।
এই হামলাকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় এমন অভিযান ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক আইন, নৌ নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবহন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবু হামলার ভিডিও প্রকাশ যুদ্ধের পরিধি ও কৌশল নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক নাটকীয় ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে ট্যাংকারটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরপেক্ষ জলসীমায় এটি প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক আঘাত। এর আগে ইউক্রেন শুধু কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজের ওপর ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, আক্রান্ত জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। এটি রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অংশ বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এসব জাহাজ সাধারণত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রুশ তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। এর ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে ট্যাংকারটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুতে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল। ফেরার পথেই ভূমধ্যসাগরে হামলার চালানো হয়।
এই হামলাকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় এমন অভিযান ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক আইন, নৌ নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবহন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবু হামলার ভিডিও প্রকাশ যুদ্ধের পরিধি ও কৌশল নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

আগামী শনিবার (১৪ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের পক্ষে বিপক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ২ কোটি ২৬ লাখ মানুষের মহাদেশে গণভোটে ভোটারদের মতামত চাওয়া হবে। সংসদে আদিবাসী ও দ্বীপবাসীদের কণ্ঠ প্রতিষ্ঠায় একটি সাংবিধানিক কাঠামো গঠনে সংবিধান সংশোধনে তাঁরা রাজি আছেন কিনা
১২ অক্টোবর ২০২৩
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৩৩ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সম্প্রতি এক সমাবেশে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ওয়াইটিএফ কর্মী রাজপথে নেমে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা সতর্ক করে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর যেন বাংলাদেশ ‘কুদৃষ্টি’ না দেয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
যুব টিপরা ফেডারেশনের সভাপতি সুরজ দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সংকটের সময়ে আমাদের দেশ তাদের পাশে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়েছিল। ভারতের অমূল্য অবদানেই আজকের বাংলাদেশের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সুরজ দেববর্মা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে, তবে এই অঞ্চলের মানুষও সমুদ্রে যাওয়ার পথ চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মানুষ বসবাস করেন, যাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে মিলে যায়। বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়, তবে আমরাও ভারতের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামকে যুক্ত করার দাবি তুলতে পারি।’
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে গত বছরের ডিসেম্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে আজকে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তবে বাংলাদেশও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের আশ্রয় দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে (সেভেন সিস্টার্স) ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সম্প্রতি এক সমাবেশে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ওয়াইটিএফ কর্মী রাজপথে নেমে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা সতর্ক করে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর যেন বাংলাদেশ ‘কুদৃষ্টি’ না দেয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
যুব টিপরা ফেডারেশনের সভাপতি সুরজ দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সংকটের সময়ে আমাদের দেশ তাদের পাশে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়েছিল। ভারতের অমূল্য অবদানেই আজকের বাংলাদেশের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সুরজ দেববর্মা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে, তবে এই অঞ্চলের মানুষও সমুদ্রে যাওয়ার পথ চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মানুষ বসবাস করেন, যাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে মিলে যায়। বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়, তবে আমরাও ভারতের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামকে যুক্ত করার দাবি তুলতে পারি।’
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে গত বছরের ডিসেম্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে আজকে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তবে বাংলাদেশও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের আশ্রয় দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে (সেভেন সিস্টার্স) ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

আগামী শনিবার (১৪ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের পক্ষে বিপক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ২ কোটি ২৬ লাখ মানুষের মহাদেশে গণভোটে ভোটারদের মতামত চাওয়া হবে। সংসদে আদিবাসী ও দ্বীপবাসীদের কণ্ঠ প্রতিষ্ঠায় একটি সাংবিধানিক কাঠামো গঠনে সংবিধান সংশোধনে তাঁরা রাজি আছেন কিনা
১২ অক্টোবর ২০২৩
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৩৩ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩ ঘণ্টা আগে