আজকের পত্রিকা ডেস্ক

এপস্টেইন ফাইল হলো কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী জেফরি এপস্টেইন–সম্পর্কিত নথি, প্রমাণ ও আদালতের রেকর্ডের একটি বিশাল সংগ্রহ। ২০১৯ সালে কারাগারে মৃত্যুর (আত্মহত্যা) পর থেকে এই ফাইলগুলো নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়।
এপস্টেইন ফাইল–সম্পর্কিত বিষয়টি প্রকাশের পরেই এর সঙ্গে পরিচিত ছিলেন এমন বেশ কয়েকজন হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির নাম সামনে এসেছে। এপস্টেইন-সংক্রান্ত একটি মামলার নথি থেকে জানা গেছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ আরও অনেকেই এই তালিকায় রয়েছেন।
বিখ্যাত সাময়িকী ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ভার্জিনিয়া জিওফ্রে ও এপস্টেইনের সাবেক প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েলের মধ্যে একটি মানহানি মামলার ক্ষতিপূরণ–সংক্রান্ত সমঝোতার অংশ হিসেবে এই মামলার নথি প্রথম সামনে আসে। সেখান থেকেই কিছু নাম প্রকাশ করা হয়েছিল।
ফোর্বসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই নথিতে অন্তত ১৫০ জনের নাম রয়েছে, যাঁরা বিভিন্নভাবে জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে জড়িত। এই জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে বিতাড়িত প্রিন্স অ্যান্ড্রু ছাড়াও এই তালিকায় যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন হলেন পপতারকা মাইকেল জ্যাকসন। এ ছাড়া বিখ্যাত মার্কিন জাদুগর ডেভিড কপারফিল্ড, মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান হাইব্রিজ ক্যাপিটালের সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্লেন ডুবিন, নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর বিল রিচার্ডসন, আইনজীবী অ্যালান ডারশোভিৎজ এবং চেইন হোটেল হায়াতের চেয়ারম্যান ও ধনকুবের থমাস প্রিজকার উল্লেখযোগ্য।
ফাইলগুলোতে কী রয়েছে
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির বক্তব্য অনুসারে, ফেডারেল সরকারের কাছে এপস্টেইনের ফৌজদারি মামলা–সম্পর্কিত ‘এক ট্রাকবোঝাই’ নথি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—তাঁর ব্যক্তিগত বিমানের ফ্লাইট লগ ও যোগাযোগের তালিকা। এটি তাঁর ‘ব্ল্যাক বুক’ হিসেবেও পরিচিত, যা ইতিমধ্যেই অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছে।
কিছু ছবি ও ভিডিও—এর মধ্যে এপস্টেইন ও তাঁর নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের (যাদের মধ্যে কিছু নাবালক) ছবি ও ভিডিও রয়েছে, পাশাপাশি অবৈধ শিশু যৌন নির্যাতনের উপকরণ ও অন্যান্য পর্নোগ্রাফির ১০ হাজারের বেশি ডাউনলোড করা ভিডিও ও ছবি রয়েছে।
এই ফাইলগুলোতে পূর্বে ‘জন ডো’ (পরিচয়হীন কোনো পুরুষ) হিসেবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের নামও রয়েছে, যা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে প্রকাশ করা হয়েছিল। জুলাই মাসে বিচার বিভাগ প্রকাশিত একটি মেমো অনুসারে, তারা এপস্টেইন-সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পেতে তাদের ডেটাবেস, হার্ড ড্রাইভ ও বাসাবাড়ি তল্লাশি করে ‘৩০০ গিগাবাইটেরও বেশি ডেটা ও প্রমাণ’ খুঁজে পেয়েছে।
‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ কি আছে
এপস্টেইন ফাইলের সবচেয়ে বিতর্কিত ও আলোচিত বিষয় ছিল ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’। অর্থাৎ কারা এপস্টেইনের কাছে যেতেন বা তাঁর কাছ থেকে নানান সুবিধা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তির একটি তালিকা। তবে বিচার বিভাগ তাদের মেমোতে স্পষ্ট করে বলেছে, এপস্টেইন ফাইলে ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ বলে কোনো কিছু ছিল না। মেমোতে বলা হয়েছে, ‘এপস্টেইন তাঁর কার্যকলাপের অংশ হিসেবে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেল করেছিলেন—এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অনুল্লিখিত তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তের ভিত্তি তৈরি করতে পারে—এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।’
তদন্তকারী সাংবাদিক জুলি কে ব্রাউন বছরের পর বছর ধরে এপস্টেইন মামলার বিষয়ে অনুসন্ধান করছেন। তিনি এই বছরের শুরুতে বলেছিলেন, জেফরি এপস্টেইনের কোনো ক্লায়েন্ট তালিকা নেই। এটা ইন্টারনেটের কল্পনার ফল এবং মানুষের বদনাম করার একটি উপায় মাত্র। তিনি এটিকে ‘রেড হেরিং’ বা বিভ্রান্তিকর তথ্য বলে অভিহিত করেছেন, যা এপস্টেইনের বান্ধবী ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল সংকলিত একটি ফোন ডিরেক্টরি (‘ব্ল্যাক বুক’ নামে পরিচিত) থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে মনে হয়। এই ডিরেক্টরিতে ট্রাম্প ও অন্য সেলিব্রিটিদের নামের সঙ্গে এপস্টেইনের মালি, নাপিত ও অন্যদের নামও ছিল।
ফাইলগুলো কি প্রকাশ করা হবে
এটি একটি জটিল প্রশ্ন এবং বর্তমানে এটি নিয়ে রাজনৈতিক বিভেদ চলছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ‘এপস্টেইন ফাইল’ প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন বলে মনে হচ্ছে, যা তাঁর উগ্র ডানপন্থী মিত্রদের ক্ষুব্ধ করেছে।
এদিকে জুলাইয়ের শুরুতে মার্কিন বিচার বিভাগ ঘোষণা করেছে, তারা আর নথি প্রকাশ করবে না। তারা যুক্তি দিয়েছে, এতে কিছু মানুষের ক্ষতি হতে পারে এবং ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ বলে কিছু নেই।
চলতি সপ্তাহে ডেমোক্র্যাটদের সাহায্যে প্রতিনিধি পরিষদের ওভারসাইট সাবকমিটি বিচার বিভাগকে এপস্টেইন-সম্পর্কিত নথি প্রকাশ করার জন্য চাপ দিয়েছিল। তবে হাউস রিপাবলিকান পার্টির নেতারা নথি প্রকাশের এই চেষ্টাও আটকে দিয়েছেন। এ ছাড়া এপস্টেইন–সম্পর্কিত কিছু নথি আদালতের আদেশে সিলগালা করা হয়েছে।
বিচার বিভাগ জানিয়েছে, এপস্টেইনের কারণে এক হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে কিছু নাবালকও রয়েছে। তাদের সংবেদনশীল তথ্য নথিপত্রজুড়ে জড়িত, যার মধ্যে তাদের নাম, শারীরিক বিবরণ, জন্মস্থান ও কর্মসংস্থানের ইতিহাসও রয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ করলে তাদের আরও ট্রমা হতে পারে।
ফাইলগুলো কী কী প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে
এই ফাইলগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের ওপর আলোকপাত করতে পারে। যেমন—এপস্টেইন কীভাবে এত অর্থ উপার্জন করলেন? কীভাবে তিনি তাঁর ব্যাপক যৌন-পাচার অভিযানকে অর্থায়ন করলেন?
এপস্টেইন গোয়েন্দা এজেন্ট ছিলেন কি না, সে বিষয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যদিও বারবার এই দাবি করা হয়েছে, তবে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এপস্টেইনের মৃত্যু নিয়েও এখনো সন্দেহ রয়েছে। বিচার বিভাগ তাঁর মৃত্যুর আগে ও পরের ১১ ঘণ্টার জেলের ফুটেজ প্রকাশ করেছে। তবে এতে তিন মিনিটের ফুটেজ নেই, যা আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কীভাবে এপস্টেইন এত দীর্ঘ সময় ধরে বিচার এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন, সে বিষয়েও অনেক কিছু অনুসন্ধান করার রয়েছে।
সামগ্রিকভাবে, এপস্টেইন ফাইলগুলো একটি জটিল ও সংবেদনশীল বিষয়, যা আইনি, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। নথিগুলোর সম্পূর্ণ প্রকাশ বর্তমানে অনিশ্চিত এবং এটি বিভিন্ন পক্ষের স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এপস্টেইন ফাইল হলো কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী জেফরি এপস্টেইন–সম্পর্কিত নথি, প্রমাণ ও আদালতের রেকর্ডের একটি বিশাল সংগ্রহ। ২০১৯ সালে কারাগারে মৃত্যুর (আত্মহত্যা) পর থেকে এই ফাইলগুলো নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়।
এপস্টেইন ফাইল–সম্পর্কিত বিষয়টি প্রকাশের পরেই এর সঙ্গে পরিচিত ছিলেন এমন বেশ কয়েকজন হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির নাম সামনে এসেছে। এপস্টেইন-সংক্রান্ত একটি মামলার নথি থেকে জানা গেছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ আরও অনেকেই এই তালিকায় রয়েছেন।
বিখ্যাত সাময়িকী ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ভার্জিনিয়া জিওফ্রে ও এপস্টেইনের সাবেক প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েলের মধ্যে একটি মানহানি মামলার ক্ষতিপূরণ–সংক্রান্ত সমঝোতার অংশ হিসেবে এই মামলার নথি প্রথম সামনে আসে। সেখান থেকেই কিছু নাম প্রকাশ করা হয়েছিল।
ফোর্বসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই নথিতে অন্তত ১৫০ জনের নাম রয়েছে, যাঁরা বিভিন্নভাবে জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে জড়িত। এই জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে বিতাড়িত প্রিন্স অ্যান্ড্রু ছাড়াও এই তালিকায় যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন হলেন পপতারকা মাইকেল জ্যাকসন। এ ছাড়া বিখ্যাত মার্কিন জাদুগর ডেভিড কপারফিল্ড, মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান হাইব্রিজ ক্যাপিটালের সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্লেন ডুবিন, নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর বিল রিচার্ডসন, আইনজীবী অ্যালান ডারশোভিৎজ এবং চেইন হোটেল হায়াতের চেয়ারম্যান ও ধনকুবের থমাস প্রিজকার উল্লেখযোগ্য।
ফাইলগুলোতে কী রয়েছে
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির বক্তব্য অনুসারে, ফেডারেল সরকারের কাছে এপস্টেইনের ফৌজদারি মামলা–সম্পর্কিত ‘এক ট্রাকবোঝাই’ নথি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—তাঁর ব্যক্তিগত বিমানের ফ্লাইট লগ ও যোগাযোগের তালিকা। এটি তাঁর ‘ব্ল্যাক বুক’ হিসেবেও পরিচিত, যা ইতিমধ্যেই অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছে।
কিছু ছবি ও ভিডিও—এর মধ্যে এপস্টেইন ও তাঁর নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের (যাদের মধ্যে কিছু নাবালক) ছবি ও ভিডিও রয়েছে, পাশাপাশি অবৈধ শিশু যৌন নির্যাতনের উপকরণ ও অন্যান্য পর্নোগ্রাফির ১০ হাজারের বেশি ডাউনলোড করা ভিডিও ও ছবি রয়েছে।
এই ফাইলগুলোতে পূর্বে ‘জন ডো’ (পরিচয়হীন কোনো পুরুষ) হিসেবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের নামও রয়েছে, যা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে প্রকাশ করা হয়েছিল। জুলাই মাসে বিচার বিভাগ প্রকাশিত একটি মেমো অনুসারে, তারা এপস্টেইন-সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পেতে তাদের ডেটাবেস, হার্ড ড্রাইভ ও বাসাবাড়ি তল্লাশি করে ‘৩০০ গিগাবাইটেরও বেশি ডেটা ও প্রমাণ’ খুঁজে পেয়েছে।
‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ কি আছে
এপস্টেইন ফাইলের সবচেয়ে বিতর্কিত ও আলোচিত বিষয় ছিল ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’। অর্থাৎ কারা এপস্টেইনের কাছে যেতেন বা তাঁর কাছ থেকে নানান সুবিধা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তির একটি তালিকা। তবে বিচার বিভাগ তাদের মেমোতে স্পষ্ট করে বলেছে, এপস্টেইন ফাইলে ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ বলে কোনো কিছু ছিল না। মেমোতে বলা হয়েছে, ‘এপস্টেইন তাঁর কার্যকলাপের অংশ হিসেবে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেল করেছিলেন—এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অনুল্লিখিত তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তের ভিত্তি তৈরি করতে পারে—এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।’
তদন্তকারী সাংবাদিক জুলি কে ব্রাউন বছরের পর বছর ধরে এপস্টেইন মামলার বিষয়ে অনুসন্ধান করছেন। তিনি এই বছরের শুরুতে বলেছিলেন, জেফরি এপস্টেইনের কোনো ক্লায়েন্ট তালিকা নেই। এটা ইন্টারনেটের কল্পনার ফল এবং মানুষের বদনাম করার একটি উপায় মাত্র। তিনি এটিকে ‘রেড হেরিং’ বা বিভ্রান্তিকর তথ্য বলে অভিহিত করেছেন, যা এপস্টেইনের বান্ধবী ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল সংকলিত একটি ফোন ডিরেক্টরি (‘ব্ল্যাক বুক’ নামে পরিচিত) থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে মনে হয়। এই ডিরেক্টরিতে ট্রাম্প ও অন্য সেলিব্রিটিদের নামের সঙ্গে এপস্টেইনের মালি, নাপিত ও অন্যদের নামও ছিল।
ফাইলগুলো কি প্রকাশ করা হবে
এটি একটি জটিল প্রশ্ন এবং বর্তমানে এটি নিয়ে রাজনৈতিক বিভেদ চলছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ‘এপস্টেইন ফাইল’ প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন বলে মনে হচ্ছে, যা তাঁর উগ্র ডানপন্থী মিত্রদের ক্ষুব্ধ করেছে।
এদিকে জুলাইয়ের শুরুতে মার্কিন বিচার বিভাগ ঘোষণা করেছে, তারা আর নথি প্রকাশ করবে না। তারা যুক্তি দিয়েছে, এতে কিছু মানুষের ক্ষতি হতে পারে এবং ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ বলে কিছু নেই।
চলতি সপ্তাহে ডেমোক্র্যাটদের সাহায্যে প্রতিনিধি পরিষদের ওভারসাইট সাবকমিটি বিচার বিভাগকে এপস্টেইন-সম্পর্কিত নথি প্রকাশ করার জন্য চাপ দিয়েছিল। তবে হাউস রিপাবলিকান পার্টির নেতারা নথি প্রকাশের এই চেষ্টাও আটকে দিয়েছেন। এ ছাড়া এপস্টেইন–সম্পর্কিত কিছু নথি আদালতের আদেশে সিলগালা করা হয়েছে।
বিচার বিভাগ জানিয়েছে, এপস্টেইনের কারণে এক হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে কিছু নাবালকও রয়েছে। তাদের সংবেদনশীল তথ্য নথিপত্রজুড়ে জড়িত, যার মধ্যে তাদের নাম, শারীরিক বিবরণ, জন্মস্থান ও কর্মসংস্থানের ইতিহাসও রয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ করলে তাদের আরও ট্রমা হতে পারে।
ফাইলগুলো কী কী প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে
এই ফাইলগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের ওপর আলোকপাত করতে পারে। যেমন—এপস্টেইন কীভাবে এত অর্থ উপার্জন করলেন? কীভাবে তিনি তাঁর ব্যাপক যৌন-পাচার অভিযানকে অর্থায়ন করলেন?
এপস্টেইন গোয়েন্দা এজেন্ট ছিলেন কি না, সে বিষয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যদিও বারবার এই দাবি করা হয়েছে, তবে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এপস্টেইনের মৃত্যু নিয়েও এখনো সন্দেহ রয়েছে। বিচার বিভাগ তাঁর মৃত্যুর আগে ও পরের ১১ ঘণ্টার জেলের ফুটেজ প্রকাশ করেছে। তবে এতে তিন মিনিটের ফুটেজ নেই, যা আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কীভাবে এপস্টেইন এত দীর্ঘ সময় ধরে বিচার এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন, সে বিষয়েও অনেক কিছু অনুসন্ধান করার রয়েছে।
সামগ্রিকভাবে, এপস্টেইন ফাইলগুলো একটি জটিল ও সংবেদনশীল বিষয়, যা আইনি, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। নথিগুলোর সম্পূর্ণ প্রকাশ বর্তমানে অনিশ্চিত এবং এটি বিভিন্ন পক্ষের স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

এপস্টেইন ফাইল হলো কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী জেফরি এপস্টেইন–সম্পর্কিত নথি, প্রমাণ ও আদালতের রেকর্ডের একটি বিশাল সংগ্রহ। ২০১৯ সালে কারাগারে মৃত্যুর (আত্মহত্যা) পর থেকে এই ফাইলগুলো নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়।
এপস্টেইন ফাইল–সম্পর্কিত বিষয়টি প্রকাশের পরেই এর সঙ্গে পরিচিত ছিলেন এমন বেশ কয়েকজন হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির নাম সামনে এসেছে। এপস্টেইন-সংক্রান্ত একটি মামলার নথি থেকে জানা গেছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ আরও অনেকেই এই তালিকায় রয়েছেন।
বিখ্যাত সাময়িকী ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ভার্জিনিয়া জিওফ্রে ও এপস্টেইনের সাবেক প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েলের মধ্যে একটি মানহানি মামলার ক্ষতিপূরণ–সংক্রান্ত সমঝোতার অংশ হিসেবে এই মামলার নথি প্রথম সামনে আসে। সেখান থেকেই কিছু নাম প্রকাশ করা হয়েছিল।
ফোর্বসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই নথিতে অন্তত ১৫০ জনের নাম রয়েছে, যাঁরা বিভিন্নভাবে জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে জড়িত। এই জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে বিতাড়িত প্রিন্স অ্যান্ড্রু ছাড়াও এই তালিকায় যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন হলেন পপতারকা মাইকেল জ্যাকসন। এ ছাড়া বিখ্যাত মার্কিন জাদুগর ডেভিড কপারফিল্ড, মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান হাইব্রিজ ক্যাপিটালের সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্লেন ডুবিন, নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর বিল রিচার্ডসন, আইনজীবী অ্যালান ডারশোভিৎজ এবং চেইন হোটেল হায়াতের চেয়ারম্যান ও ধনকুবের থমাস প্রিজকার উল্লেখযোগ্য।
ফাইলগুলোতে কী রয়েছে
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির বক্তব্য অনুসারে, ফেডারেল সরকারের কাছে এপস্টেইনের ফৌজদারি মামলা–সম্পর্কিত ‘এক ট্রাকবোঝাই’ নথি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—তাঁর ব্যক্তিগত বিমানের ফ্লাইট লগ ও যোগাযোগের তালিকা। এটি তাঁর ‘ব্ল্যাক বুক’ হিসেবেও পরিচিত, যা ইতিমধ্যেই অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছে।
কিছু ছবি ও ভিডিও—এর মধ্যে এপস্টেইন ও তাঁর নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের (যাদের মধ্যে কিছু নাবালক) ছবি ও ভিডিও রয়েছে, পাশাপাশি অবৈধ শিশু যৌন নির্যাতনের উপকরণ ও অন্যান্য পর্নোগ্রাফির ১০ হাজারের বেশি ডাউনলোড করা ভিডিও ও ছবি রয়েছে।
এই ফাইলগুলোতে পূর্বে ‘জন ডো’ (পরিচয়হীন কোনো পুরুষ) হিসেবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের নামও রয়েছে, যা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে প্রকাশ করা হয়েছিল। জুলাই মাসে বিচার বিভাগ প্রকাশিত একটি মেমো অনুসারে, তারা এপস্টেইন-সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পেতে তাদের ডেটাবেস, হার্ড ড্রাইভ ও বাসাবাড়ি তল্লাশি করে ‘৩০০ গিগাবাইটেরও বেশি ডেটা ও প্রমাণ’ খুঁজে পেয়েছে।
‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ কি আছে
এপস্টেইন ফাইলের সবচেয়ে বিতর্কিত ও আলোচিত বিষয় ছিল ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’। অর্থাৎ কারা এপস্টেইনের কাছে যেতেন বা তাঁর কাছ থেকে নানান সুবিধা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তির একটি তালিকা। তবে বিচার বিভাগ তাদের মেমোতে স্পষ্ট করে বলেছে, এপস্টেইন ফাইলে ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ বলে কোনো কিছু ছিল না। মেমোতে বলা হয়েছে, ‘এপস্টেইন তাঁর কার্যকলাপের অংশ হিসেবে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেল করেছিলেন—এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অনুল্লিখিত তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তের ভিত্তি তৈরি করতে পারে—এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।’
তদন্তকারী সাংবাদিক জুলি কে ব্রাউন বছরের পর বছর ধরে এপস্টেইন মামলার বিষয়ে অনুসন্ধান করছেন। তিনি এই বছরের শুরুতে বলেছিলেন, জেফরি এপস্টেইনের কোনো ক্লায়েন্ট তালিকা নেই। এটা ইন্টারনেটের কল্পনার ফল এবং মানুষের বদনাম করার একটি উপায় মাত্র। তিনি এটিকে ‘রেড হেরিং’ বা বিভ্রান্তিকর তথ্য বলে অভিহিত করেছেন, যা এপস্টেইনের বান্ধবী ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল সংকলিত একটি ফোন ডিরেক্টরি (‘ব্ল্যাক বুক’ নামে পরিচিত) থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে মনে হয়। এই ডিরেক্টরিতে ট্রাম্প ও অন্য সেলিব্রিটিদের নামের সঙ্গে এপস্টেইনের মালি, নাপিত ও অন্যদের নামও ছিল।
ফাইলগুলো কি প্রকাশ করা হবে
এটি একটি জটিল প্রশ্ন এবং বর্তমানে এটি নিয়ে রাজনৈতিক বিভেদ চলছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ‘এপস্টেইন ফাইল’ প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন বলে মনে হচ্ছে, যা তাঁর উগ্র ডানপন্থী মিত্রদের ক্ষুব্ধ করেছে।
এদিকে জুলাইয়ের শুরুতে মার্কিন বিচার বিভাগ ঘোষণা করেছে, তারা আর নথি প্রকাশ করবে না। তারা যুক্তি দিয়েছে, এতে কিছু মানুষের ক্ষতি হতে পারে এবং ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ বলে কিছু নেই।
চলতি সপ্তাহে ডেমোক্র্যাটদের সাহায্যে প্রতিনিধি পরিষদের ওভারসাইট সাবকমিটি বিচার বিভাগকে এপস্টেইন-সম্পর্কিত নথি প্রকাশ করার জন্য চাপ দিয়েছিল। তবে হাউস রিপাবলিকান পার্টির নেতারা নথি প্রকাশের এই চেষ্টাও আটকে দিয়েছেন। এ ছাড়া এপস্টেইন–সম্পর্কিত কিছু নথি আদালতের আদেশে সিলগালা করা হয়েছে।
বিচার বিভাগ জানিয়েছে, এপস্টেইনের কারণে এক হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে কিছু নাবালকও রয়েছে। তাদের সংবেদনশীল তথ্য নথিপত্রজুড়ে জড়িত, যার মধ্যে তাদের নাম, শারীরিক বিবরণ, জন্মস্থান ও কর্মসংস্থানের ইতিহাসও রয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ করলে তাদের আরও ট্রমা হতে পারে।
ফাইলগুলো কী কী প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে
এই ফাইলগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের ওপর আলোকপাত করতে পারে। যেমন—এপস্টেইন কীভাবে এত অর্থ উপার্জন করলেন? কীভাবে তিনি তাঁর ব্যাপক যৌন-পাচার অভিযানকে অর্থায়ন করলেন?
এপস্টেইন গোয়েন্দা এজেন্ট ছিলেন কি না, সে বিষয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যদিও বারবার এই দাবি করা হয়েছে, তবে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এপস্টেইনের মৃত্যু নিয়েও এখনো সন্দেহ রয়েছে। বিচার বিভাগ তাঁর মৃত্যুর আগে ও পরের ১১ ঘণ্টার জেলের ফুটেজ প্রকাশ করেছে। তবে এতে তিন মিনিটের ফুটেজ নেই, যা আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কীভাবে এপস্টেইন এত দীর্ঘ সময় ধরে বিচার এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন, সে বিষয়েও অনেক কিছু অনুসন্ধান করার রয়েছে।
সামগ্রিকভাবে, এপস্টেইন ফাইলগুলো একটি জটিল ও সংবেদনশীল বিষয়, যা আইনি, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। নথিগুলোর সম্পূর্ণ প্রকাশ বর্তমানে অনিশ্চিত এবং এটি বিভিন্ন পক্ষের স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এপস্টেইন ফাইল হলো কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী জেফরি এপস্টেইন–সম্পর্কিত নথি, প্রমাণ ও আদালতের রেকর্ডের একটি বিশাল সংগ্রহ। ২০১৯ সালে কারাগারে মৃত্যুর (আত্মহত্যা) পর থেকে এই ফাইলগুলো নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়।
এপস্টেইন ফাইল–সম্পর্কিত বিষয়টি প্রকাশের পরেই এর সঙ্গে পরিচিত ছিলেন এমন বেশ কয়েকজন হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির নাম সামনে এসেছে। এপস্টেইন-সংক্রান্ত একটি মামলার নথি থেকে জানা গেছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ আরও অনেকেই এই তালিকায় রয়েছেন।
বিখ্যাত সাময়িকী ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ভার্জিনিয়া জিওফ্রে ও এপস্টেইনের সাবেক প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েলের মধ্যে একটি মানহানি মামলার ক্ষতিপূরণ–সংক্রান্ত সমঝোতার অংশ হিসেবে এই মামলার নথি প্রথম সামনে আসে। সেখান থেকেই কিছু নাম প্রকাশ করা হয়েছিল।
ফোর্বসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই নথিতে অন্তত ১৫০ জনের নাম রয়েছে, যাঁরা বিভিন্নভাবে জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে জড়িত। এই জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে বিতাড়িত প্রিন্স অ্যান্ড্রু ছাড়াও এই তালিকায় যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন হলেন পপতারকা মাইকেল জ্যাকসন। এ ছাড়া বিখ্যাত মার্কিন জাদুগর ডেভিড কপারফিল্ড, মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান হাইব্রিজ ক্যাপিটালের সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্লেন ডুবিন, নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর বিল রিচার্ডসন, আইনজীবী অ্যালান ডারশোভিৎজ এবং চেইন হোটেল হায়াতের চেয়ারম্যান ও ধনকুবের থমাস প্রিজকার উল্লেখযোগ্য।
ফাইলগুলোতে কী রয়েছে
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির বক্তব্য অনুসারে, ফেডারেল সরকারের কাছে এপস্টেইনের ফৌজদারি মামলা–সম্পর্কিত ‘এক ট্রাকবোঝাই’ নথি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—তাঁর ব্যক্তিগত বিমানের ফ্লাইট লগ ও যোগাযোগের তালিকা। এটি তাঁর ‘ব্ল্যাক বুক’ হিসেবেও পরিচিত, যা ইতিমধ্যেই অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছে।
কিছু ছবি ও ভিডিও—এর মধ্যে এপস্টেইন ও তাঁর নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের (যাদের মধ্যে কিছু নাবালক) ছবি ও ভিডিও রয়েছে, পাশাপাশি অবৈধ শিশু যৌন নির্যাতনের উপকরণ ও অন্যান্য পর্নোগ্রাফির ১০ হাজারের বেশি ডাউনলোড করা ভিডিও ও ছবি রয়েছে।
এই ফাইলগুলোতে পূর্বে ‘জন ডো’ (পরিচয়হীন কোনো পুরুষ) হিসেবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের নামও রয়েছে, যা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে প্রকাশ করা হয়েছিল। জুলাই মাসে বিচার বিভাগ প্রকাশিত একটি মেমো অনুসারে, তারা এপস্টেইন-সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পেতে তাদের ডেটাবেস, হার্ড ড্রাইভ ও বাসাবাড়ি তল্লাশি করে ‘৩০০ গিগাবাইটেরও বেশি ডেটা ও প্রমাণ’ খুঁজে পেয়েছে।
‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ কি আছে
এপস্টেইন ফাইলের সবচেয়ে বিতর্কিত ও আলোচিত বিষয় ছিল ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’। অর্থাৎ কারা এপস্টেইনের কাছে যেতেন বা তাঁর কাছ থেকে নানান সুবিধা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তির একটি তালিকা। তবে বিচার বিভাগ তাদের মেমোতে স্পষ্ট করে বলেছে, এপস্টেইন ফাইলে ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ বলে কোনো কিছু ছিল না। মেমোতে বলা হয়েছে, ‘এপস্টেইন তাঁর কার্যকলাপের অংশ হিসেবে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেল করেছিলেন—এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অনুল্লিখিত তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তের ভিত্তি তৈরি করতে পারে—এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।’
তদন্তকারী সাংবাদিক জুলি কে ব্রাউন বছরের পর বছর ধরে এপস্টেইন মামলার বিষয়ে অনুসন্ধান করছেন। তিনি এই বছরের শুরুতে বলেছিলেন, জেফরি এপস্টেইনের কোনো ক্লায়েন্ট তালিকা নেই। এটা ইন্টারনেটের কল্পনার ফল এবং মানুষের বদনাম করার একটি উপায় মাত্র। তিনি এটিকে ‘রেড হেরিং’ বা বিভ্রান্তিকর তথ্য বলে অভিহিত করেছেন, যা এপস্টেইনের বান্ধবী ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল সংকলিত একটি ফোন ডিরেক্টরি (‘ব্ল্যাক বুক’ নামে পরিচিত) থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে মনে হয়। এই ডিরেক্টরিতে ট্রাম্প ও অন্য সেলিব্রিটিদের নামের সঙ্গে এপস্টেইনের মালি, নাপিত ও অন্যদের নামও ছিল।
ফাইলগুলো কি প্রকাশ করা হবে
এটি একটি জটিল প্রশ্ন এবং বর্তমানে এটি নিয়ে রাজনৈতিক বিভেদ চলছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ‘এপস্টেইন ফাইল’ প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন বলে মনে হচ্ছে, যা তাঁর উগ্র ডানপন্থী মিত্রদের ক্ষুব্ধ করেছে।
এদিকে জুলাইয়ের শুরুতে মার্কিন বিচার বিভাগ ঘোষণা করেছে, তারা আর নথি প্রকাশ করবে না। তারা যুক্তি দিয়েছে, এতে কিছু মানুষের ক্ষতি হতে পারে এবং ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ বলে কিছু নেই।
চলতি সপ্তাহে ডেমোক্র্যাটদের সাহায্যে প্রতিনিধি পরিষদের ওভারসাইট সাবকমিটি বিচার বিভাগকে এপস্টেইন-সম্পর্কিত নথি প্রকাশ করার জন্য চাপ দিয়েছিল। তবে হাউস রিপাবলিকান পার্টির নেতারা নথি প্রকাশের এই চেষ্টাও আটকে দিয়েছেন। এ ছাড়া এপস্টেইন–সম্পর্কিত কিছু নথি আদালতের আদেশে সিলগালা করা হয়েছে।
বিচার বিভাগ জানিয়েছে, এপস্টেইনের কারণে এক হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে কিছু নাবালকও রয়েছে। তাদের সংবেদনশীল তথ্য নথিপত্রজুড়ে জড়িত, যার মধ্যে তাদের নাম, শারীরিক বিবরণ, জন্মস্থান ও কর্মসংস্থানের ইতিহাসও রয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ করলে তাদের আরও ট্রমা হতে পারে।
ফাইলগুলো কী কী প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে
এই ফাইলগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের ওপর আলোকপাত করতে পারে। যেমন—এপস্টেইন কীভাবে এত অর্থ উপার্জন করলেন? কীভাবে তিনি তাঁর ব্যাপক যৌন-পাচার অভিযানকে অর্থায়ন করলেন?
এপস্টেইন গোয়েন্দা এজেন্ট ছিলেন কি না, সে বিষয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যদিও বারবার এই দাবি করা হয়েছে, তবে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এপস্টেইনের মৃত্যু নিয়েও এখনো সন্দেহ রয়েছে। বিচার বিভাগ তাঁর মৃত্যুর আগে ও পরের ১১ ঘণ্টার জেলের ফুটেজ প্রকাশ করেছে। তবে এতে তিন মিনিটের ফুটেজ নেই, যা আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কীভাবে এপস্টেইন এত দীর্ঘ সময় ধরে বিচার এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন, সে বিষয়েও অনেক কিছু অনুসন্ধান করার রয়েছে।
সামগ্রিকভাবে, এপস্টেইন ফাইলগুলো একটি জটিল ও সংবেদনশীল বিষয়, যা আইনি, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। নথিগুলোর সম্পূর্ণ প্রকাশ বর্তমানে অনিশ্চিত এবং এটি বিভিন্ন পক্ষের স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
১ ঘণ্টা আগে
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
১৪ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
গত সোমবার মনোজকে গ্রেপ্তার করে ফ্রিস্কো পুলিশ। পুলিশ জানায়, পরিবারের সদস্যরা মনোজের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগ নিয়ে ফোন করলে তারা ওই বাড়িতে যায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর কয়েক দিন আগে বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে মনোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
মনোজ সাই লেল্লার বিরুদ্ধে বসবাসযোগ্য স্থান বা উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি প্রথম ডিগ্রির একটি গুরুতর অপরাধ। পাশাপাশি পরিবারের সদস্য বা একই গৃহের বাসিন্দার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগও রয়েছে, যা ক্লাস ‘এ’ মিসডিমিনার হিসেবে বিবেচিত।
তবে কোনো উপাসনালয়কে লক্ষ্য করে হুমকির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আদালতের নথি অনুযায়ী, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মনোজের জামিনের জন্য দিতে হবে এক লাখ মার্কিন ডলার। আর সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগে জামিনে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ডলার।

বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
গত সোমবার মনোজকে গ্রেপ্তার করে ফ্রিস্কো পুলিশ। পুলিশ জানায়, পরিবারের সদস্যরা মনোজের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগ নিয়ে ফোন করলে তারা ওই বাড়িতে যায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর কয়েক দিন আগে বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে মনোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
মনোজ সাই লেল্লার বিরুদ্ধে বসবাসযোগ্য স্থান বা উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি প্রথম ডিগ্রির একটি গুরুতর অপরাধ। পাশাপাশি পরিবারের সদস্য বা একই গৃহের বাসিন্দার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগও রয়েছে, যা ক্লাস ‘এ’ মিসডিমিনার হিসেবে বিবেচিত।
তবে কোনো উপাসনালয়কে লক্ষ্য করে হুমকির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আদালতের নথি অনুযায়ী, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মনোজের জামিনের জন্য দিতে হবে এক লাখ মার্কিন ডলার। আর সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগে জামিনে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ডলার।

এপস্টেইন ফাইলের সবচেয়ে বিতর্কিত ও আলোচিত বিষয় ছিল ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’। অর্থাৎ কারা এপস্টেইনের কাছে যেতেন বা তাঁর কাছ থেকে নানান সুবিধা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তির একটি তালিকা। তবে বিচার বিভাগ তাদের মেমোতে স্পষ্ট করে বলেছে, এপস্টেইন ফাইলে ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ বলে কোনো কিছু ছিল না।
২৫ জুলাই ২০২৫
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
১৪ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও সোমালিল্যান্ড একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। নেতানিয়াহু একে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পরস্পরের দেশে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার রাতে (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিল্যান্ড এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।
সোমালিয়া সরকার বরাবরই সোমালিল্যান্ডের স্বাধীনতাকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ইসরায়েলের ঘোষণার পর সোমালিয়ার সরকার একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। এই বৈঠক থেকে ফোনালাপে মিসর, তুরস্ক ও জিবুতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলের এমন স্বীকৃতিকে জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী এবং ‘বিপজ্জনক নজির’ বলে আখ্যা দিয়েছে মিসর।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভিডিও কলে সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিকে (আব্দিরাহমান সিরো) অভিনন্দন জানান নেতানিয়াহু এবং তাঁকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানান। সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার পর এই স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডের জন্য বড় সাফল্য হলেও এটি সোমালিয়ার ভেতরে নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকে উসকে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলের কিছু প্রভাবশালী নেতা বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও সোমালিল্যান্ড একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। নেতানিয়াহু একে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পরস্পরের দেশে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার রাতে (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিল্যান্ড এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।
সোমালিয়া সরকার বরাবরই সোমালিল্যান্ডের স্বাধীনতাকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ইসরায়েলের ঘোষণার পর সোমালিয়ার সরকার একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। এই বৈঠক থেকে ফোনালাপে মিসর, তুরস্ক ও জিবুতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলের এমন স্বীকৃতিকে জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী এবং ‘বিপজ্জনক নজির’ বলে আখ্যা দিয়েছে মিসর।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভিডিও কলে সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিকে (আব্দিরাহমান সিরো) অভিনন্দন জানান নেতানিয়াহু এবং তাঁকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানান। সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার পর এই স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডের জন্য বড় সাফল্য হলেও এটি সোমালিয়ার ভেতরে নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকে উসকে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলের কিছু প্রভাবশালী নেতা বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এপস্টেইন ফাইলের সবচেয়ে বিতর্কিত ও আলোচিত বিষয় ছিল ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’। অর্থাৎ কারা এপস্টেইনের কাছে যেতেন বা তাঁর কাছ থেকে নানান সুবিধা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তির একটি তালিকা। তবে বিচার বিভাগ তাদের মেমোতে স্পষ্ট করে বলেছে, এপস্টেইন ফাইলে ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ বলে কোনো কিছু ছিল না।
২৫ জুলাই ২০২৫
বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
১ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি ও অর্থ পাচারের ২১টিসহ মোট ২৫টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার।
পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সেকুয়েরাহ নাজিবের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব যুক্তি নাকচ করে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ওয়ানএমডিবির কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু বিচারক তাঁর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি বিশ্বাস করা মানে কল্পনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নাজিব মোটেও কোনো ‘অবুঝ গ্রাম্য লোক’ নন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।
বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, নাজিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিষয় নয়, বরং ‘কঠিন ও অকাট্য’ দালিলিক প্রমাণ বলছে তিনি নিজের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।
আদালত নাজিবকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।
আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছর এবং অর্থ পাচারের জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সব সাজার মেয়াদ একই সঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাঁকে মোট ১৫ বছর জেল খাটতে হবে।
এদিকে নাজিব বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। নতুন এই সাজা সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।
তবে এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২০২২ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো দল বা জোটই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে না পারায়, শেষমেশ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সরকার গঠন করে। এর মধ্যে পিএইচর ৮২টি, ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ২৬টি ও বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) চারটি আসন নিয়ে এই জোট সরকার গঠিত হয়।
জেলখানায় থাকলেও দলের ওপর নাজিবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের পর দলের ভেতর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের ওপর চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে ইউএমএনও বর্তমান জোট সরকার থেকে সরে যায়, তবে বিপাকে পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
নাজিবের প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার আপিল করবেন।
রায়ের পর এক বিবৃতিতে নাজিব রাজাক দেশবাসীকে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াই দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।’ তবে এই দণ্ডাদেশের ফলে নাজিবের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়। সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি ও অর্থ পাচারের ২১টিসহ মোট ২৫টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার।
পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সেকুয়েরাহ নাজিবের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব যুক্তি নাকচ করে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ওয়ানএমডিবির কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু বিচারক তাঁর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি বিশ্বাস করা মানে কল্পনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নাজিব মোটেও কোনো ‘অবুঝ গ্রাম্য লোক’ নন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।
বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, নাজিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিষয় নয়, বরং ‘কঠিন ও অকাট্য’ দালিলিক প্রমাণ বলছে তিনি নিজের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।
আদালত নাজিবকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।
আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছর এবং অর্থ পাচারের জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সব সাজার মেয়াদ একই সঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাঁকে মোট ১৫ বছর জেল খাটতে হবে।
এদিকে নাজিব বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। নতুন এই সাজা সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।
তবে এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২০২২ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো দল বা জোটই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে না পারায়, শেষমেশ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সরকার গঠন করে। এর মধ্যে পিএইচর ৮২টি, ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ২৬টি ও বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) চারটি আসন নিয়ে এই জোট সরকার গঠিত হয়।
জেলখানায় থাকলেও দলের ওপর নাজিবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের পর দলের ভেতর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের ওপর চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে ইউএমএনও বর্তমান জোট সরকার থেকে সরে যায়, তবে বিপাকে পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
নাজিবের প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার আপিল করবেন।
রায়ের পর এক বিবৃতিতে নাজিব রাজাক দেশবাসীকে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াই দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।’ তবে এই দণ্ডাদেশের ফলে নাজিবের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়। সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

এপস্টেইন ফাইলের সবচেয়ে বিতর্কিত ও আলোচিত বিষয় ছিল ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’। অর্থাৎ কারা এপস্টেইনের কাছে যেতেন বা তাঁর কাছ থেকে নানান সুবিধা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তির একটি তালিকা। তবে বিচার বিভাগ তাদের মেমোতে স্পষ্ট করে বলেছে, এপস্টেইন ফাইলে ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ বলে কোনো কিছু ছিল না।
২৫ জুলাই ২০২৫
বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
১ ঘণ্টা আগে
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
১৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, এই জঘন্য অপরাধের হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
রণধীর জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত সহিংসতা ও বৈরী আচরণকে ভারত সরকার একটি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দেখছে। ভারত নিয়মিত এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণও করছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে দিল্লির অবস্থান পুনরায় পরিষ্কার করে মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই এবং আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পক্ষে।’
ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন রণধীর জয়সওয়াল।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, এই জঘন্য অপরাধের হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
রণধীর জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত সহিংসতা ও বৈরী আচরণকে ভারত সরকার একটি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দেখছে। ভারত নিয়মিত এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণও করছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে দিল্লির অবস্থান পুনরায় পরিষ্কার করে মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই এবং আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পক্ষে।’
ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন রণধীর জয়সওয়াল।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এপস্টেইন ফাইলের সবচেয়ে বিতর্কিত ও আলোচিত বিষয় ছিল ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’। অর্থাৎ কারা এপস্টেইনের কাছে যেতেন বা তাঁর কাছ থেকে নানান সুবিধা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তির একটি তালিকা। তবে বিচার বিভাগ তাদের মেমোতে স্পষ্ট করে বলেছে, এপস্টেইন ফাইলে ‘ক্লায়েন্ট তালিকা’ বলে কোনো কিছু ছিল না।
২৫ জুলাই ২০২৫
বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
১ ঘণ্টা আগে
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
১৪ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে