
ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসেছেন মাত্র পাঁচ দিন হলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই তিনি মার্কিন প্রশাসনে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি যেসব কট্টর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো নিছক কথার ফুলঝুরি ছিল না।
এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট তাঁর প্রথম মেয়াদের মতো এবারও ফেডারেল প্রশাসন পুনর্গঠনের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর মতে, অনেক কর্মকর্তাই ‘শত্রুভাবাপন্ন’। তিনি শত শত সরকারি কর্মকর্তার দপ্তর পুনর্বণ্টন বা তাদের বরখাস্ত করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নিয়েছেন।
ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়েই সামরিক বাহিনীকে দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্তে মোতায়েন করেছেন, ইউএস কোস্টগার্ড প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন এবং একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এসব নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তিনি পরিবেশ-জলবায়ুগত ইস্যু থেকে শুরু করে নাগরিকত্ব নীতিমালার মতো বিষয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ২৬টি নির্বাহী আদেশ জারি করেন।
তবে সম্ভবত ট্রাম্পের সবচেয়ে বিতর্কিত পদক্ষেপ ছিল ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল হামলায় জড়িত প্রায় দেড় হাজার সমর্থককে ক্ষমা করা। এই হামলা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ক্যাপিটলের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্রাম্পের মিত্ররা তাঁর এই কার্যক্রমকে বিশেষ বাহিনীর আকস্মিক অভিযানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর সমর্থকদের এই হামলা মার্কিন ফেডারেল কর্মী, শ্রমিক সংগঠন, অধিকার সংস্থা এবং এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও হতচকিত করে দিয়েছিল। তারা বলছেন, দ্বিতীয় মেয়াদের আগে ৪ বছর ট্রাম্পের ক্ষমতার বাইরে থাকার সময় তার রক্ষণশীল মিত্রদের কয়েক বছরের পরিশ্রমের ফলে এই কার্যক্রম সম্ভব হয়েছে। ট্রাম্পের রক্ষণশীল মিত্ররাই ট্রাম্পের জন্য এসব বিষয়ে নীতিগত পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন, যাতে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তা কার্যকর করা যায়।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসের প্রধান কৌশলবিদ ও বর্তমানে ট্রাম্পের মূল পলিসি অ্যাডভাইজর স্টিভ ব্যানন এই বিষয়ে বলেন, ‘এটি (ট্রাম্পের মিত্ররা) ফেডারেল সরকার দখল করার সেনা দল।’
তবে বিরোধীরা বলছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে বিকৃত করছেন এবং নির্বাহী ক্ষমতার সীমা অতিরিক্ত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপগুলো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার চেয়ে রূপান্তর ঘটানো এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রতিশোধ নেওয়ার দিকে বেশি মনোযোগী।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই ট্রাম্প কয়েক ডজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেন। এই কর্মকর্তারা একসময় অভিযোগ করেছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টারকে নিয়ে কিছু নেতিবাচক সংবাদ রাশিয়ার প্রভাব বাড়ানোর কার্যক্রমের অংশ।
ইরান থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে এমন তিন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি তাঁর প্রশাসনের সমালোচক ও সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলির ছবি পেন্টাগনের এক করিডর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল থেকেও অনেক পেশাদার কূটনীতিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, ট্রাম্পের প্রতি তাদের আনুগত্য নিয়ে সন্দেহ আছে। এর ফলে ট্রাম্প নিজের অনুগত ব্যক্তিদের ১০০ টিরও বেশি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পদে বসানোর সুযোগ পেয়েছেন।
মার্কিন থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো উইলিয়াম গ্যালস্টন বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) সহজে শত্রুতার কথা ভুলে যান না।’
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের তুলনায় গত পাঁচ দিনের পদক্ষেপগুলো সম্পূর্ণ আলাদা, এমনকি তাঁর বিরোধীরাও এ কথা স্বীকার করেন। প্রথম মেয়াদে দলীয় বিভক্তি এবং দুর্বল প্রস্তুতির কারণে অনেক উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ইতিহাস নিয়ে কাজ করা নিক্সন প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরির সাবেক পরিচালক টিমোথি নাফটালি বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের ব্যাপকতা এবং দ্রুততার দিক থেকে বলা যায়, তাঁর (ট্রাম্পের) দল যে প্রস্তুতি নিয়েছে, তা সত্যিই অসাধারণ।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক নীতিই ‘প্রজেক্ট ২০২৫’—এর সঙ্গে খাপে খাপ মিলে যায়। এটি বিভিন্ন রক্ষণশীল সংগঠনের একটি উদ্যোগ। এই সংগঠনটি ট্রাম্পের সম্ভাব্য ফিরে আসার প্রস্তুতি হিসেবে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করেছে। যদিও ট্রাম্প গত বছর এই প্রকল্প থেকে দূরত্ব তৈরি করে বলেছিলেন, তিনি এর কিছু জানেন না। তবে তারপরও তাঁর অনেক সাবেক উপদেষ্টা এতে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন এবং ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে এর প্রভাব স্পষ্ট।
এ ছাড়া, ‘প্রজেক্ট ২০২৫’ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ থেকে পেশাদার কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে। শিডিউল-এফ নামে নতুন এক ধরনের কর্মী শ্রেণি তৈরি করার পরামর্শও দিয়েছিল এই প্রজেক্ট। যার ফলে লক্ষাধিক কর্মীকে বরখাস্ত করা সহজ হবে।
ট্রাম্প ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিতেও (ফেমা) পরিবর্তনের প্রস্তাবও দিয়েছেন। যার ফলে ফেডারেল সরকারের অনেক কাজ অঙ্গরাজ্যগুলোতে স্থানান্তরিত হবে। এটিও ‘প্রজেক্ট ২০২৫’—এর আরেকটি সুপারিশ ছিল। এ বিষয়ে স্টিভ ব্যানন বলেন, ‘ট্রাম্পের প্রতি গভীরভাবে বিশ্বাসী অনেক নীতিগত ও রাজনৈতিক ব্যক্তি ২০২১ সাল থেকেই তাঁর পুনরাগমন নিয়ে কাজ করছেন। আর এখন আমরা তার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি।’
ট্রাম্পের এজেন্ডা সামনে বড় বাধার মুখোমুখি হতে পারে। অনেক সমর্থকই স্বীকার করেছেন, তাঁর প্রশাসনের প্রথম কয়েক সপ্তাহ হয়তো ক্ষমতার শীর্ষ সময় হতে পারে। ট্রাম্পের অনেক নির্বাহী আদেশ সাংবিধানিক আইনের সীমাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী অভিবাসীদের সন্তানদের নাগরিকত্ব পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার বাতিলের আদেশ ইতিমধ্যেই ফেডারেল কোর্ট স্থগিত করেছে।
এ ছাড়া, তাঁর অন্যান্য প্রতিশ্রুতি ও আদেশও অঙ্গরাজ্য ও অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলোর মামলা মোকাবিলা করছে, যা তার প্রশাসনের সময়সীমার বড় অংশ আইনি জটিলতায় আটকে রাখতে পারে।
দুই বছর পর হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস তথা প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের সংকীর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখা ট্রাম্পের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের দল সাধারণত আসন হারায়। যদি তা হয়, ট্রাম্পের জন্য আইন প্রণয়নের পথ আরও সংকীর্ণ হয়ে যাবে।
ট্রাম্পের আইন ও বিচার সংক্রান্ত ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা মাইক ডেভিস বলেন, ‘আমেরিকান ভোটারদের কাছ থেকে ট্রাম্প স্পষ্ট ম্যান্ডেট পেয়েছেন ওয়াশিংটনে বড় ধরনের সংস্কার আনার জন্য। কিন্তু তিনি যদি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতে না পারেন, তবে সেই রাজনৈতিক ম্যান্ডেট ম্লান হয়ে যাবে।’
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসেছেন মাত্র পাঁচ দিন হলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই তিনি মার্কিন প্রশাসনে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি যেসব কট্টর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো নিছক কথার ফুলঝুরি ছিল না।
এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট তাঁর প্রথম মেয়াদের মতো এবারও ফেডারেল প্রশাসন পুনর্গঠনের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর মতে, অনেক কর্মকর্তাই ‘শত্রুভাবাপন্ন’। তিনি শত শত সরকারি কর্মকর্তার দপ্তর পুনর্বণ্টন বা তাদের বরখাস্ত করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নিয়েছেন।
ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়েই সামরিক বাহিনীকে দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্তে মোতায়েন করেছেন, ইউএস কোস্টগার্ড প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন এবং একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এসব নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তিনি পরিবেশ-জলবায়ুগত ইস্যু থেকে শুরু করে নাগরিকত্ব নীতিমালার মতো বিষয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ২৬টি নির্বাহী আদেশ জারি করেন।
তবে সম্ভবত ট্রাম্পের সবচেয়ে বিতর্কিত পদক্ষেপ ছিল ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল হামলায় জড়িত প্রায় দেড় হাজার সমর্থককে ক্ষমা করা। এই হামলা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ক্যাপিটলের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্রাম্পের মিত্ররা তাঁর এই কার্যক্রমকে বিশেষ বাহিনীর আকস্মিক অভিযানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর সমর্থকদের এই হামলা মার্কিন ফেডারেল কর্মী, শ্রমিক সংগঠন, অধিকার সংস্থা এবং এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও হতচকিত করে দিয়েছিল। তারা বলছেন, দ্বিতীয় মেয়াদের আগে ৪ বছর ট্রাম্পের ক্ষমতার বাইরে থাকার সময় তার রক্ষণশীল মিত্রদের কয়েক বছরের পরিশ্রমের ফলে এই কার্যক্রম সম্ভব হয়েছে। ট্রাম্পের রক্ষণশীল মিত্ররাই ট্রাম্পের জন্য এসব বিষয়ে নীতিগত পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন, যাতে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তা কার্যকর করা যায়।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসের প্রধান কৌশলবিদ ও বর্তমানে ট্রাম্পের মূল পলিসি অ্যাডভাইজর স্টিভ ব্যানন এই বিষয়ে বলেন, ‘এটি (ট্রাম্পের মিত্ররা) ফেডারেল সরকার দখল করার সেনা দল।’
তবে বিরোধীরা বলছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে বিকৃত করছেন এবং নির্বাহী ক্ষমতার সীমা অতিরিক্ত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপগুলো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার চেয়ে রূপান্তর ঘটানো এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রতিশোধ নেওয়ার দিকে বেশি মনোযোগী।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই ট্রাম্প কয়েক ডজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেন। এই কর্মকর্তারা একসময় অভিযোগ করেছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টারকে নিয়ে কিছু নেতিবাচক সংবাদ রাশিয়ার প্রভাব বাড়ানোর কার্যক্রমের অংশ।
ইরান থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে এমন তিন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি তাঁর প্রশাসনের সমালোচক ও সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলির ছবি পেন্টাগনের এক করিডর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল থেকেও অনেক পেশাদার কূটনীতিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, ট্রাম্পের প্রতি তাদের আনুগত্য নিয়ে সন্দেহ আছে। এর ফলে ট্রাম্প নিজের অনুগত ব্যক্তিদের ১০০ টিরও বেশি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পদে বসানোর সুযোগ পেয়েছেন।
মার্কিন থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো উইলিয়াম গ্যালস্টন বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) সহজে শত্রুতার কথা ভুলে যান না।’
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের তুলনায় গত পাঁচ দিনের পদক্ষেপগুলো সম্পূর্ণ আলাদা, এমনকি তাঁর বিরোধীরাও এ কথা স্বীকার করেন। প্রথম মেয়াদে দলীয় বিভক্তি এবং দুর্বল প্রস্তুতির কারণে অনেক উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ইতিহাস নিয়ে কাজ করা নিক্সন প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরির সাবেক পরিচালক টিমোথি নাফটালি বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের ব্যাপকতা এবং দ্রুততার দিক থেকে বলা যায়, তাঁর (ট্রাম্পের) দল যে প্রস্তুতি নিয়েছে, তা সত্যিই অসাধারণ।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক নীতিই ‘প্রজেক্ট ২০২৫’—এর সঙ্গে খাপে খাপ মিলে যায়। এটি বিভিন্ন রক্ষণশীল সংগঠনের একটি উদ্যোগ। এই সংগঠনটি ট্রাম্পের সম্ভাব্য ফিরে আসার প্রস্তুতি হিসেবে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করেছে। যদিও ট্রাম্প গত বছর এই প্রকল্প থেকে দূরত্ব তৈরি করে বলেছিলেন, তিনি এর কিছু জানেন না। তবে তারপরও তাঁর অনেক সাবেক উপদেষ্টা এতে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন এবং ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে এর প্রভাব স্পষ্ট।
এ ছাড়া, ‘প্রজেক্ট ২০২৫’ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ থেকে পেশাদার কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে। শিডিউল-এফ নামে নতুন এক ধরনের কর্মী শ্রেণি তৈরি করার পরামর্শও দিয়েছিল এই প্রজেক্ট। যার ফলে লক্ষাধিক কর্মীকে বরখাস্ত করা সহজ হবে।
ট্রাম্প ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিতেও (ফেমা) পরিবর্তনের প্রস্তাবও দিয়েছেন। যার ফলে ফেডারেল সরকারের অনেক কাজ অঙ্গরাজ্যগুলোতে স্থানান্তরিত হবে। এটিও ‘প্রজেক্ট ২০২৫’—এর আরেকটি সুপারিশ ছিল। এ বিষয়ে স্টিভ ব্যানন বলেন, ‘ট্রাম্পের প্রতি গভীরভাবে বিশ্বাসী অনেক নীতিগত ও রাজনৈতিক ব্যক্তি ২০২১ সাল থেকেই তাঁর পুনরাগমন নিয়ে কাজ করছেন। আর এখন আমরা তার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি।’
ট্রাম্পের এজেন্ডা সামনে বড় বাধার মুখোমুখি হতে পারে। অনেক সমর্থকই স্বীকার করেছেন, তাঁর প্রশাসনের প্রথম কয়েক সপ্তাহ হয়তো ক্ষমতার শীর্ষ সময় হতে পারে। ট্রাম্পের অনেক নির্বাহী আদেশ সাংবিধানিক আইনের সীমাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী অভিবাসীদের সন্তানদের নাগরিকত্ব পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার বাতিলের আদেশ ইতিমধ্যেই ফেডারেল কোর্ট স্থগিত করেছে।
এ ছাড়া, তাঁর অন্যান্য প্রতিশ্রুতি ও আদেশও অঙ্গরাজ্য ও অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলোর মামলা মোকাবিলা করছে, যা তার প্রশাসনের সময়সীমার বড় অংশ আইনি জটিলতায় আটকে রাখতে পারে।
দুই বছর পর হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস তথা প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের সংকীর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখা ট্রাম্পের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের দল সাধারণত আসন হারায়। যদি তা হয়, ট্রাম্পের জন্য আইন প্রণয়নের পথ আরও সংকীর্ণ হয়ে যাবে।
ট্রাম্পের আইন ও বিচার সংক্রান্ত ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা মাইক ডেভিস বলেন, ‘আমেরিকান ভোটারদের কাছ থেকে ট্রাম্প স্পষ্ট ম্যান্ডেট পেয়েছেন ওয়াশিংটনে বড় ধরনের সংস্কার আনার জন্য। কিন্তু তিনি যদি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতে না পারেন, তবে সেই রাজনৈতিক ম্যান্ডেট ম্লান হয়ে যাবে।’
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
৩৯ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন।
গোপন নথি ফাঁসের দায়ে বর্তমানে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ফেল্ডস্টাইন এই প্রথম সরাসরি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনলেন।
ইলাই ফেল্ডস্টাইন জানান, ৭ অক্টোবরের সেই রক্তক্ষয়ী হামলার ঠিক পরেই নেতানিয়াহু তাঁকে ‘প্রথম কাজ’ হিসেবে দিয়েছিলেন—কীভাবে জবাবদিহি বা দায়বদ্ধতার প্রশ্ন থেকে রেহাই পাওয়া যায় তার উপায় বের করা। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘হামলার পর নেতানিয়াহু আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘এখন কী ধরনের সংবাদ প্রচার হচ্ছে? তারা কি এখনো দায়বদ্ধতার কথা বলছে?’’ তাঁকে তখন বেশ আতঙ্কিত দেখাচ্ছিল। নেতানিয়াহু চেয়েছিলেন এমন কিছু বলা হোক, যাতে গণমাধ্যমে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে যে ঝড় উঠেছে, তা স্তিমিত হয়ে যায়।’
ফেল্ডস্টাইন আরও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যেন যেকোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ‘দায়বদ্ধতা’ (Responsibility) শব্দটি ব্যবহার না করা হয়।
তবে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এই সাক্ষাৎকারকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। হিব্রু সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং নিজের অপরাধ থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে এক ব্যক্তি এমন ডাহা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
কে এই ইলাই ফেল্ডস্টাইন
ইলাই ফেল্ডস্টাইন নেতানিয়াহুর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি দুটি বড় কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। গোপন নথি ফাঁস—গত আগস্টে গাজায় ছয় জিম্মি নিহতের পর প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমে সামরিক গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে তাঁর বিচার চলছে। কাতারগেট স্ক্যান্ডাল—নেতানিয়াহুর হয়ে কাজ করার সময় কাতারের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মধ্যে তিনি একজন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হয়। অনেকে মনে করেন, এই ব্যর্থতার দায় ঠেকানোর জন্য নেতানিয়াহু বরাবরই স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনে বাধা দিয়ে আসছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন।
গোপন নথি ফাঁসের দায়ে বর্তমানে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ফেল্ডস্টাইন এই প্রথম সরাসরি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনলেন।
ইলাই ফেল্ডস্টাইন জানান, ৭ অক্টোবরের সেই রক্তক্ষয়ী হামলার ঠিক পরেই নেতানিয়াহু তাঁকে ‘প্রথম কাজ’ হিসেবে দিয়েছিলেন—কীভাবে জবাবদিহি বা দায়বদ্ধতার প্রশ্ন থেকে রেহাই পাওয়া যায় তার উপায় বের করা। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘হামলার পর নেতানিয়াহু আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘এখন কী ধরনের সংবাদ প্রচার হচ্ছে? তারা কি এখনো দায়বদ্ধতার কথা বলছে?’’ তাঁকে তখন বেশ আতঙ্কিত দেখাচ্ছিল। নেতানিয়াহু চেয়েছিলেন এমন কিছু বলা হোক, যাতে গণমাধ্যমে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে যে ঝড় উঠেছে, তা স্তিমিত হয়ে যায়।’
ফেল্ডস্টাইন আরও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যেন যেকোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ‘দায়বদ্ধতা’ (Responsibility) শব্দটি ব্যবহার না করা হয়।
তবে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এই সাক্ষাৎকারকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। হিব্রু সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং নিজের অপরাধ থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে এক ব্যক্তি এমন ডাহা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
কে এই ইলাই ফেল্ডস্টাইন
ইলাই ফেল্ডস্টাইন নেতানিয়াহুর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি দুটি বড় কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। গোপন নথি ফাঁস—গত আগস্টে গাজায় ছয় জিম্মি নিহতের পর প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমে সামরিক গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে তাঁর বিচার চলছে। কাতারগেট স্ক্যান্ডাল—নেতানিয়াহুর হয়ে কাজ করার সময় কাতারের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মধ্যে তিনি একজন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হয়। অনেকে মনে করেন, এই ব্যর্থতার দায় ঠেকানোর জন্য নেতানিয়াহু বরাবরই স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনে বাধা দিয়ে আসছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসেছেন মাত্র পাঁচ দিন হলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই তিনি মার্কিন প্রশাসনে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি যেসব কট্টর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো নিছক কথার ফুলঝুরি ছিল না..
২৬ জানুয়ারি ২০২৫
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক, তুলা, সবজি এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। বিপরীতে সেখান থেকে আমদানিপণ্য হিসেবে আসে প্রক্রিয়াজাত চামড়া। কাউন্সিল অব লেদার এক্সপোর্টের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার আঞ্চলিক কমিটির সদস্য জিয়া নাফিস বলেন, ‘প্রতি বছর কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের মাধ্যমে প্রায় ১২৫ কোটি টাকার প্রক্রিয়াজাত চামড়া আমদানি করা হয়। এই চামড়া মূলত ব্যাগ তৈরির কাজে লাগে। এখানকার চামড়ার চেয়ে গুণগত মান আলাদা এবং দাম কিছুটা সস্তা হওয়ায় আমরা সেখান থেকে আমদানি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তবে আমদানিকারকরা ঠিক তেমনই সমস্যায় পড়বেন, যেমনটা হয়েছিল চীনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সময়।’ নাফিসের মতে, চামড়া একটি প্রাকৃতিক পণ্য, তাই এর মান একেক লটে একেক রকম হয়। আমদানির আগে সরাসরি গিয়ে মান যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। ভিসা না থাকলে সশরীরে পণ্য দেখা সম্ভব হবে না, ফলে পণ্যের গুণগত মান নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়। ব্যবসা সচল রাখতে ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ করা দরকার।
গত সোমবার নিজ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের মুখে দিল্লির কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলার মিশন ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত নোটিশও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির এখন ভরা মৌসুম। ঠিক এই সময়েই এমন স্থগিতাদেশ এল। এক রপ্তানি প্রতিনিধি জানান, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ঈদ পর্যন্ত পোশাকের চাহিদা খুব বেশি থাকে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬০ টন পোশাক রপ্তানি হয়।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইন্ডিগোর একটি কার্গো ফ্লাইট কলকাতা থেকে ঢাকা শুধু পোশাকই নিয়ে যায়, অথচ এখন আরও কার্গো ফ্লাইটের প্রয়োজন ছিল।
বেঙ্গানি কমোডিটিসের পরিচালক এবং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের সাবেক আঞ্চলিক চেয়ারম্যান বিমল বেঙ্গানি জানান, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি আগে প্রতি মাসে বাংলাদেশে যেতাম। গত এক বছরে একবারও যাইনি। বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ১ হাজার ৬০০ ট্রাক বাংলাদেশে যেত; এখন তা নেমে এসেছে ৮ শতে। সমস্যা মেটানো আর নতুন বাজার খোঁজার জন্য ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করাটা খুব জরুরি।’
বিমল বেঙ্গানি মূলত পোলট্রি ফিড, মসলা এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করেন। তিনি যোগ করেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য গড়ে উঠেছে পারস্পরিক আস্থা ও যোগাযোগের ওপর। আমরা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগকে সম্মান করি, তবে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত ভিসা সমস্যার সমাধান চাই। ব্যবসায়ী, রোগী এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকা দুই দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এয়ারলাইনগুলোও চিন্তিত। বাংলাদেশের একটি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা জানান, ‘যাত্রী কমে যাওয়ায় ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। বর্তমানে যেসব ফ্লাইট চলছে তাতে যাত্রী ভালোই আছে, কিন্তু ভিসার ওপর কড়াকড়ি শুরু হলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব।’

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক, তুলা, সবজি এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। বিপরীতে সেখান থেকে আমদানিপণ্য হিসেবে আসে প্রক্রিয়াজাত চামড়া। কাউন্সিল অব লেদার এক্সপোর্টের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার আঞ্চলিক কমিটির সদস্য জিয়া নাফিস বলেন, ‘প্রতি বছর কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের মাধ্যমে প্রায় ১২৫ কোটি টাকার প্রক্রিয়াজাত চামড়া আমদানি করা হয়। এই চামড়া মূলত ব্যাগ তৈরির কাজে লাগে। এখানকার চামড়ার চেয়ে গুণগত মান আলাদা এবং দাম কিছুটা সস্তা হওয়ায় আমরা সেখান থেকে আমদানি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তবে আমদানিকারকরা ঠিক তেমনই সমস্যায় পড়বেন, যেমনটা হয়েছিল চীনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সময়।’ নাফিসের মতে, চামড়া একটি প্রাকৃতিক পণ্য, তাই এর মান একেক লটে একেক রকম হয়। আমদানির আগে সরাসরি গিয়ে মান যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। ভিসা না থাকলে সশরীরে পণ্য দেখা সম্ভব হবে না, ফলে পণ্যের গুণগত মান নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়। ব্যবসা সচল রাখতে ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ করা দরকার।
গত সোমবার নিজ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের মুখে দিল্লির কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলার মিশন ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত নোটিশও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির এখন ভরা মৌসুম। ঠিক এই সময়েই এমন স্থগিতাদেশ এল। এক রপ্তানি প্রতিনিধি জানান, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ঈদ পর্যন্ত পোশাকের চাহিদা খুব বেশি থাকে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬০ টন পোশাক রপ্তানি হয়।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইন্ডিগোর একটি কার্গো ফ্লাইট কলকাতা থেকে ঢাকা শুধু পোশাকই নিয়ে যায়, অথচ এখন আরও কার্গো ফ্লাইটের প্রয়োজন ছিল।
বেঙ্গানি কমোডিটিসের পরিচালক এবং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের সাবেক আঞ্চলিক চেয়ারম্যান বিমল বেঙ্গানি জানান, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি আগে প্রতি মাসে বাংলাদেশে যেতাম। গত এক বছরে একবারও যাইনি। বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ১ হাজার ৬০০ ট্রাক বাংলাদেশে যেত; এখন তা নেমে এসেছে ৮ শতে। সমস্যা মেটানো আর নতুন বাজার খোঁজার জন্য ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করাটা খুব জরুরি।’
বিমল বেঙ্গানি মূলত পোলট্রি ফিড, মসলা এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করেন। তিনি যোগ করেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য গড়ে উঠেছে পারস্পরিক আস্থা ও যোগাযোগের ওপর। আমরা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগকে সম্মান করি, তবে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত ভিসা সমস্যার সমাধান চাই। ব্যবসায়ী, রোগী এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকা দুই দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এয়ারলাইনগুলোও চিন্তিত। বাংলাদেশের একটি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা জানান, ‘যাত্রী কমে যাওয়ায় ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। বর্তমানে যেসব ফ্লাইট চলছে তাতে যাত্রী ভালোই আছে, কিন্তু ভিসার ওপর কড়াকড়ি শুরু হলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসেছেন মাত্র পাঁচ দিন হলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই তিনি মার্কিন প্রশাসনে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি যেসব কট্টর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো নিছক কথার ফুলঝুরি ছিল না..
২৬ জানুয়ারি ২০২৫
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
৩৯ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতিতে তৈরি হওয়া ২০ দফার এই পরিকল্পনার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকানরা রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এই পরিকল্পনাকে ‘যুদ্ধ শেষ করার মূল রূপরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, এতে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে রাশিয়া পুনরায় ইউক্রেন আক্রমণ করলে সমন্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জেলেনস্কি বলেন, একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গঠন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে থাকায় মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা একটি অসামরিক অঞ্চল অথবা মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এখানে দুটি পথ খোলা আছে—হয় যুদ্ধ চলবে, নতুবা সম্ভাব্য সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ এই ২০ দফার পরিকল্পনাটিকে কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের রাশিয়ার সঙ্গে করা ২৮ দফার মূল দলিলের একটি হালনাগাদ সংস্করণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের সেই দলিলটি মূলত ক্রেমলিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যেই তৈরি বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়েছিল।
শান্তি চুক্তির বিনিময়ে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকা থেকে ইউক্রেনকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। ওই অঞ্চলের বাকি অংশ ইতিমধ্যে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। জেলেনস্কি ব্যাখ্যা করেন, ভূখণ্ড বিষয়ক স্পর্শকাতর প্রশ্নসহ অন্যান্য জটিল বিষয়গুলো ‘নেতৃপর্যায়ে’ সমাধান করতে হবে। তবে এই নতুন খসড়া ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং ৮ লাখ সৈন্যের এক বিশাল সামরিক শক্তি নিশ্চিত করবে।
হালনাগাদ করা এই পরিকল্পনার অনেকটাই বার্লিনে সাম্প্রতিক আলোচনার সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে মার্কিন মধ্যস্থতাকারী উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতারা অংশ নিয়েছিলেন। এরপর গত সপ্তাহান্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সরে যায় মিয়ামিতে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রুশ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ এবং পরে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
ভূখণ্ড বিষয়ক ইস্যুতে এখন অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে বলে মনে হচ্ছে, যদিও এটা স্পষ্ট যে ইউক্রেনীয় পক্ষ এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ইউক্রেন যদি দোনেৎস্কের অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ এলাকায় একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তুলতে তাদের ভারী সামরিক সরঞ্জাম ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার পিছিয়ে নিতে রাজি হয়—যাতে এলাকাটি কার্যত অসামরিক হয়ে পড়ে—তবে জেলেনস্কির মতে, রাশিয়াকেও ‘অনুরূপভাবে ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার’ পিছু হটতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশেও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং নিপ্রোপেত্রভস্ক, মাইকোলাইভ, সুমি ও খারকিভ—এই চারটি অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনীকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতিতে তৈরি হওয়া ২০ দফার এই পরিকল্পনার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকানরা রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এই পরিকল্পনাকে ‘যুদ্ধ শেষ করার মূল রূপরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, এতে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে রাশিয়া পুনরায় ইউক্রেন আক্রমণ করলে সমন্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জেলেনস্কি বলেন, একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গঠন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে থাকায় মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা একটি অসামরিক অঞ্চল অথবা মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এখানে দুটি পথ খোলা আছে—হয় যুদ্ধ চলবে, নতুবা সম্ভাব্য সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ এই ২০ দফার পরিকল্পনাটিকে কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের রাশিয়ার সঙ্গে করা ২৮ দফার মূল দলিলের একটি হালনাগাদ সংস্করণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের সেই দলিলটি মূলত ক্রেমলিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যেই তৈরি বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়েছিল।
শান্তি চুক্তির বিনিময়ে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকা থেকে ইউক্রেনকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। ওই অঞ্চলের বাকি অংশ ইতিমধ্যে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। জেলেনস্কি ব্যাখ্যা করেন, ভূখণ্ড বিষয়ক স্পর্শকাতর প্রশ্নসহ অন্যান্য জটিল বিষয়গুলো ‘নেতৃপর্যায়ে’ সমাধান করতে হবে। তবে এই নতুন খসড়া ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং ৮ লাখ সৈন্যের এক বিশাল সামরিক শক্তি নিশ্চিত করবে।
হালনাগাদ করা এই পরিকল্পনার অনেকটাই বার্লিনে সাম্প্রতিক আলোচনার সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে মার্কিন মধ্যস্থতাকারী উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতারা অংশ নিয়েছিলেন। এরপর গত সপ্তাহান্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সরে যায় মিয়ামিতে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রুশ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ এবং পরে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
ভূখণ্ড বিষয়ক ইস্যুতে এখন অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে বলে মনে হচ্ছে, যদিও এটা স্পষ্ট যে ইউক্রেনীয় পক্ষ এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ইউক্রেন যদি দোনেৎস্কের অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ এলাকায় একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তুলতে তাদের ভারী সামরিক সরঞ্জাম ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার পিছিয়ে নিতে রাজি হয়—যাতে এলাকাটি কার্যত অসামরিক হয়ে পড়ে—তবে জেলেনস্কির মতে, রাশিয়াকেও ‘অনুরূপভাবে ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার’ পিছু হটতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশেও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং নিপ্রোপেত্রভস্ক, মাইকোলাইভ, সুমি ও খারকিভ—এই চারটি অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনীকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসেছেন মাত্র পাঁচ দিন হলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই তিনি মার্কিন প্রশাসনে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি যেসব কট্টর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো নিছক কথার ফুলঝুরি ছিল না..
২৬ জানুয়ারি ২০২৫
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
৩৯ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
১ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ ফয়সাল নোমান ২০০১ সালে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁকে ফজর নামাজের পরপরই মদিনার আল-বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল-বাকি কবরস্থান জান্নাতুল বাকি নামেও পরিচিত। এটি মদিনার সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি গোরস্তান। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের সদস্য, স্ত্রী ও সাহাবিদেরসহ হাজার হাজার প্রারম্ভিক যুগের মুসলিমদের শেষ আশ্রয়স্থল এটি।
শেখ ফয়সালের মৃত্যুর পর মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষ তাঁর দেওয়া শেষ আজানের একটি আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করেছে। গত ২ নভেম্বর তিনি এই শেষ আজানটি দিয়েছিলেন।
আজানের সুর যেন শেখ ফয়সালের রক্তে মিশে ছিল। তাঁর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই মহান সেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা ও দাদা—উভয়েই এই পবিত্র মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দাদা যেমন মুয়াজ্জিন ছিলেন, তেমনি তাঁর বাবাও মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ৯০ বছরের বেশি বয়সে মৃত্যুর আগপর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তাঁর বাবা এই খেদমত করে গেছেন। বাবার ইন্তেকালের পরই শেখ ফয়সাল নোমানকে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুই পবিত্র মসজিদের ধর্মীয় বিষয়াবলিসংক্রান্ত প্রেসিডেন্সির প্রধান শেখ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস তাঁর নিজের এবং মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও কর্মীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শেখ সুদাইস মরহুম মুয়াজ্জিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন যে, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন এবং মসজিদে নববিতে দীর্ঘকাল আজান দেওয়ার জন্য তাঁকে উত্তম প্রতিদান দেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি এবং কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসের প্রধান শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল আল-শেখ ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে শেখ ড. সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল-ফাওজানকে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত করেন।

মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ ফয়সাল নোমান ২০০১ সালে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁকে ফজর নামাজের পরপরই মদিনার আল-বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল-বাকি কবরস্থান জান্নাতুল বাকি নামেও পরিচিত। এটি মদিনার সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি গোরস্তান। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের সদস্য, স্ত্রী ও সাহাবিদেরসহ হাজার হাজার প্রারম্ভিক যুগের মুসলিমদের শেষ আশ্রয়স্থল এটি।
শেখ ফয়সালের মৃত্যুর পর মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষ তাঁর দেওয়া শেষ আজানের একটি আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করেছে। গত ২ নভেম্বর তিনি এই শেষ আজানটি দিয়েছিলেন।
আজানের সুর যেন শেখ ফয়সালের রক্তে মিশে ছিল। তাঁর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই মহান সেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা ও দাদা—উভয়েই এই পবিত্র মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দাদা যেমন মুয়াজ্জিন ছিলেন, তেমনি তাঁর বাবাও মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ৯০ বছরের বেশি বয়সে মৃত্যুর আগপর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তাঁর বাবা এই খেদমত করে গেছেন। বাবার ইন্তেকালের পরই শেখ ফয়সাল নোমানকে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুই পবিত্র মসজিদের ধর্মীয় বিষয়াবলিসংক্রান্ত প্রেসিডেন্সির প্রধান শেখ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস তাঁর নিজের এবং মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও কর্মীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শেখ সুদাইস মরহুম মুয়াজ্জিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন যে, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন এবং মসজিদে নববিতে দীর্ঘকাল আজান দেওয়ার জন্য তাঁকে উত্তম প্রতিদান দেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি এবং কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসের প্রধান শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল আল-শেখ ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে শেখ ড. সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল-ফাওজানকে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত করেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসেছেন মাত্র পাঁচ দিন হলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই তিনি মার্কিন প্রশাসনে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি যেসব কট্টর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো নিছক কথার ফুলঝুরি ছিল না..
২৬ জানুয়ারি ২০২৫
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
৩৯ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে