
ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসেছেন মাত্র পাঁচ দিন হলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই তিনি মার্কিন প্রশাসনে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি যেসব কট্টর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো নিছক কথার ফুলঝুরি ছিল না।
এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট তাঁর প্রথম মেয়াদের মতো এবারও ফেডারেল প্রশাসন পুনর্গঠনের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর মতে, অনেক কর্মকর্তাই ‘শত্রুভাবাপন্ন’। তিনি শত শত সরকারি কর্মকর্তার দপ্তর পুনর্বণ্টন বা তাদের বরখাস্ত করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নিয়েছেন।
ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়েই সামরিক বাহিনীকে দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্তে মোতায়েন করেছেন, ইউএস কোস্টগার্ড প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন এবং একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এসব নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তিনি পরিবেশ-জলবায়ুগত ইস্যু থেকে শুরু করে নাগরিকত্ব নীতিমালার মতো বিষয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ২৬টি নির্বাহী আদেশ জারি করেন।
তবে সম্ভবত ট্রাম্পের সবচেয়ে বিতর্কিত পদক্ষেপ ছিল ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল হামলায় জড়িত প্রায় দেড় হাজার সমর্থককে ক্ষমা করা। এই হামলা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ক্যাপিটলের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্রাম্পের মিত্ররা তাঁর এই কার্যক্রমকে বিশেষ বাহিনীর আকস্মিক অভিযানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর সমর্থকদের এই হামলা মার্কিন ফেডারেল কর্মী, শ্রমিক সংগঠন, অধিকার সংস্থা এবং এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও হতচকিত করে দিয়েছিল। তারা বলছেন, দ্বিতীয় মেয়াদের আগে ৪ বছর ট্রাম্পের ক্ষমতার বাইরে থাকার সময় তার রক্ষণশীল মিত্রদের কয়েক বছরের পরিশ্রমের ফলে এই কার্যক্রম সম্ভব হয়েছে। ট্রাম্পের রক্ষণশীল মিত্ররাই ট্রাম্পের জন্য এসব বিষয়ে নীতিগত পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন, যাতে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তা কার্যকর করা যায়।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসের প্রধান কৌশলবিদ ও বর্তমানে ট্রাম্পের মূল পলিসি অ্যাডভাইজর স্টিভ ব্যানন এই বিষয়ে বলেন, ‘এটি (ট্রাম্পের মিত্ররা) ফেডারেল সরকার দখল করার সেনা দল।’
তবে বিরোধীরা বলছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে বিকৃত করছেন এবং নির্বাহী ক্ষমতার সীমা অতিরিক্ত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপগুলো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার চেয়ে রূপান্তর ঘটানো এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রতিশোধ নেওয়ার দিকে বেশি মনোযোগী।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই ট্রাম্প কয়েক ডজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেন। এই কর্মকর্তারা একসময় অভিযোগ করেছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টারকে নিয়ে কিছু নেতিবাচক সংবাদ রাশিয়ার প্রভাব বাড়ানোর কার্যক্রমের অংশ।
ইরান থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে এমন তিন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি তাঁর প্রশাসনের সমালোচক ও সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলির ছবি পেন্টাগনের এক করিডর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল থেকেও অনেক পেশাদার কূটনীতিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, ট্রাম্পের প্রতি তাদের আনুগত্য নিয়ে সন্দেহ আছে। এর ফলে ট্রাম্প নিজের অনুগত ব্যক্তিদের ১০০ টিরও বেশি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পদে বসানোর সুযোগ পেয়েছেন।
মার্কিন থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো উইলিয়াম গ্যালস্টন বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) সহজে শত্রুতার কথা ভুলে যান না।’
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের তুলনায় গত পাঁচ দিনের পদক্ষেপগুলো সম্পূর্ণ আলাদা, এমনকি তাঁর বিরোধীরাও এ কথা স্বীকার করেন। প্রথম মেয়াদে দলীয় বিভক্তি এবং দুর্বল প্রস্তুতির কারণে অনেক উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ইতিহাস নিয়ে কাজ করা নিক্সন প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরির সাবেক পরিচালক টিমোথি নাফটালি বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের ব্যাপকতা এবং দ্রুততার দিক থেকে বলা যায়, তাঁর (ট্রাম্পের) দল যে প্রস্তুতি নিয়েছে, তা সত্যিই অসাধারণ।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক নীতিই ‘প্রজেক্ট ২০২৫’—এর সঙ্গে খাপে খাপ মিলে যায়। এটি বিভিন্ন রক্ষণশীল সংগঠনের একটি উদ্যোগ। এই সংগঠনটি ট্রাম্পের সম্ভাব্য ফিরে আসার প্রস্তুতি হিসেবে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করেছে। যদিও ট্রাম্প গত বছর এই প্রকল্প থেকে দূরত্ব তৈরি করে বলেছিলেন, তিনি এর কিছু জানেন না। তবে তারপরও তাঁর অনেক সাবেক উপদেষ্টা এতে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন এবং ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে এর প্রভাব স্পষ্ট।
এ ছাড়া, ‘প্রজেক্ট ২০২৫’ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ থেকে পেশাদার কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে। শিডিউল-এফ নামে নতুন এক ধরনের কর্মী শ্রেণি তৈরি করার পরামর্শও দিয়েছিল এই প্রজেক্ট। যার ফলে লক্ষাধিক কর্মীকে বরখাস্ত করা সহজ হবে।
ট্রাম্প ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিতেও (ফেমা) পরিবর্তনের প্রস্তাবও দিয়েছেন। যার ফলে ফেডারেল সরকারের অনেক কাজ অঙ্গরাজ্যগুলোতে স্থানান্তরিত হবে। এটিও ‘প্রজেক্ট ২০২৫’—এর আরেকটি সুপারিশ ছিল। এ বিষয়ে স্টিভ ব্যানন বলেন, ‘ট্রাম্পের প্রতি গভীরভাবে বিশ্বাসী অনেক নীতিগত ও রাজনৈতিক ব্যক্তি ২০২১ সাল থেকেই তাঁর পুনরাগমন নিয়ে কাজ করছেন। আর এখন আমরা তার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি।’
ট্রাম্পের এজেন্ডা সামনে বড় বাধার মুখোমুখি হতে পারে। অনেক সমর্থকই স্বীকার করেছেন, তাঁর প্রশাসনের প্রথম কয়েক সপ্তাহ হয়তো ক্ষমতার শীর্ষ সময় হতে পারে। ট্রাম্পের অনেক নির্বাহী আদেশ সাংবিধানিক আইনের সীমাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী অভিবাসীদের সন্তানদের নাগরিকত্ব পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার বাতিলের আদেশ ইতিমধ্যেই ফেডারেল কোর্ট স্থগিত করেছে।
এ ছাড়া, তাঁর অন্যান্য প্রতিশ্রুতি ও আদেশও অঙ্গরাজ্য ও অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলোর মামলা মোকাবিলা করছে, যা তার প্রশাসনের সময়সীমার বড় অংশ আইনি জটিলতায় আটকে রাখতে পারে।
দুই বছর পর হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস তথা প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের সংকীর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখা ট্রাম্পের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের দল সাধারণত আসন হারায়। যদি তা হয়, ট্রাম্পের জন্য আইন প্রণয়নের পথ আরও সংকীর্ণ হয়ে যাবে।
ট্রাম্পের আইন ও বিচার সংক্রান্ত ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা মাইক ডেভিস বলেন, ‘আমেরিকান ভোটারদের কাছ থেকে ট্রাম্প স্পষ্ট ম্যান্ডেট পেয়েছেন ওয়াশিংটনে বড় ধরনের সংস্কার আনার জন্য। কিন্তু তিনি যদি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতে না পারেন, তবে সেই রাজনৈতিক ম্যান্ডেট ম্লান হয়ে যাবে।’
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসেছেন মাত্র পাঁচ দিন হলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই তিনি মার্কিন প্রশাসনে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি যেসব কট্টর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো নিছক কথার ফুলঝুরি ছিল না।
এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট তাঁর প্রথম মেয়াদের মতো এবারও ফেডারেল প্রশাসন পুনর্গঠনের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর মতে, অনেক কর্মকর্তাই ‘শত্রুভাবাপন্ন’। তিনি শত শত সরকারি কর্মকর্তার দপ্তর পুনর্বণ্টন বা তাদের বরখাস্ত করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নিয়েছেন।
ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়েই সামরিক বাহিনীকে দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্তে মোতায়েন করেছেন, ইউএস কোস্টগার্ড প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন এবং একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এসব নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তিনি পরিবেশ-জলবায়ুগত ইস্যু থেকে শুরু করে নাগরিকত্ব নীতিমালার মতো বিষয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ২৬টি নির্বাহী আদেশ জারি করেন।
তবে সম্ভবত ট্রাম্পের সবচেয়ে বিতর্কিত পদক্ষেপ ছিল ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল হামলায় জড়িত প্রায় দেড় হাজার সমর্থককে ক্ষমা করা। এই হামলা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ক্যাপিটলের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্রাম্পের মিত্ররা তাঁর এই কার্যক্রমকে বিশেষ বাহিনীর আকস্মিক অভিযানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর সমর্থকদের এই হামলা মার্কিন ফেডারেল কর্মী, শ্রমিক সংগঠন, অধিকার সংস্থা এবং এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও হতচকিত করে দিয়েছিল। তারা বলছেন, দ্বিতীয় মেয়াদের আগে ৪ বছর ট্রাম্পের ক্ষমতার বাইরে থাকার সময় তার রক্ষণশীল মিত্রদের কয়েক বছরের পরিশ্রমের ফলে এই কার্যক্রম সম্ভব হয়েছে। ট্রাম্পের রক্ষণশীল মিত্ররাই ট্রাম্পের জন্য এসব বিষয়ে নীতিগত পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন, যাতে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তা কার্যকর করা যায়।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসের প্রধান কৌশলবিদ ও বর্তমানে ট্রাম্পের মূল পলিসি অ্যাডভাইজর স্টিভ ব্যানন এই বিষয়ে বলেন, ‘এটি (ট্রাম্পের মিত্ররা) ফেডারেল সরকার দখল করার সেনা দল।’
তবে বিরোধীরা বলছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে বিকৃত করছেন এবং নির্বাহী ক্ষমতার সীমা অতিরিক্ত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপগুলো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার চেয়ে রূপান্তর ঘটানো এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রতিশোধ নেওয়ার দিকে বেশি মনোযোগী।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই ট্রাম্প কয়েক ডজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেন। এই কর্মকর্তারা একসময় অভিযোগ করেছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টারকে নিয়ে কিছু নেতিবাচক সংবাদ রাশিয়ার প্রভাব বাড়ানোর কার্যক্রমের অংশ।
ইরান থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে এমন তিন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি তাঁর প্রশাসনের সমালোচক ও সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলির ছবি পেন্টাগনের এক করিডর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল থেকেও অনেক পেশাদার কূটনীতিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, ট্রাম্পের প্রতি তাদের আনুগত্য নিয়ে সন্দেহ আছে। এর ফলে ট্রাম্প নিজের অনুগত ব্যক্তিদের ১০০ টিরও বেশি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পদে বসানোর সুযোগ পেয়েছেন।
মার্কিন থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো উইলিয়াম গ্যালস্টন বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) সহজে শত্রুতার কথা ভুলে যান না।’
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের তুলনায় গত পাঁচ দিনের পদক্ষেপগুলো সম্পূর্ণ আলাদা, এমনকি তাঁর বিরোধীরাও এ কথা স্বীকার করেন। প্রথম মেয়াদে দলীয় বিভক্তি এবং দুর্বল প্রস্তুতির কারণে অনেক উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ইতিহাস নিয়ে কাজ করা নিক্সন প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরির সাবেক পরিচালক টিমোথি নাফটালি বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের ব্যাপকতা এবং দ্রুততার দিক থেকে বলা যায়, তাঁর (ট্রাম্পের) দল যে প্রস্তুতি নিয়েছে, তা সত্যিই অসাধারণ।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক নীতিই ‘প্রজেক্ট ২০২৫’—এর সঙ্গে খাপে খাপ মিলে যায়। এটি বিভিন্ন রক্ষণশীল সংগঠনের একটি উদ্যোগ। এই সংগঠনটি ট্রাম্পের সম্ভাব্য ফিরে আসার প্রস্তুতি হিসেবে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করেছে। যদিও ট্রাম্প গত বছর এই প্রকল্প থেকে দূরত্ব তৈরি করে বলেছিলেন, তিনি এর কিছু জানেন না। তবে তারপরও তাঁর অনেক সাবেক উপদেষ্টা এতে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন এবং ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে এর প্রভাব স্পষ্ট।
এ ছাড়া, ‘প্রজেক্ট ২০২৫’ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ থেকে পেশাদার কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে। শিডিউল-এফ নামে নতুন এক ধরনের কর্মী শ্রেণি তৈরি করার পরামর্শও দিয়েছিল এই প্রজেক্ট। যার ফলে লক্ষাধিক কর্মীকে বরখাস্ত করা সহজ হবে।
ট্রাম্প ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিতেও (ফেমা) পরিবর্তনের প্রস্তাবও দিয়েছেন। যার ফলে ফেডারেল সরকারের অনেক কাজ অঙ্গরাজ্যগুলোতে স্থানান্তরিত হবে। এটিও ‘প্রজেক্ট ২০২৫’—এর আরেকটি সুপারিশ ছিল। এ বিষয়ে স্টিভ ব্যানন বলেন, ‘ট্রাম্পের প্রতি গভীরভাবে বিশ্বাসী অনেক নীতিগত ও রাজনৈতিক ব্যক্তি ২০২১ সাল থেকেই তাঁর পুনরাগমন নিয়ে কাজ করছেন। আর এখন আমরা তার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি।’
ট্রাম্পের এজেন্ডা সামনে বড় বাধার মুখোমুখি হতে পারে। অনেক সমর্থকই স্বীকার করেছেন, তাঁর প্রশাসনের প্রথম কয়েক সপ্তাহ হয়তো ক্ষমতার শীর্ষ সময় হতে পারে। ট্রাম্পের অনেক নির্বাহী আদেশ সাংবিধানিক আইনের সীমাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী অভিবাসীদের সন্তানদের নাগরিকত্ব পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার বাতিলের আদেশ ইতিমধ্যেই ফেডারেল কোর্ট স্থগিত করেছে।
এ ছাড়া, তাঁর অন্যান্য প্রতিশ্রুতি ও আদেশও অঙ্গরাজ্য ও অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলোর মামলা মোকাবিলা করছে, যা তার প্রশাসনের সময়সীমার বড় অংশ আইনি জটিলতায় আটকে রাখতে পারে।
দুই বছর পর হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস তথা প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের সংকীর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখা ট্রাম্পের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের দল সাধারণত আসন হারায়। যদি তা হয়, ট্রাম্পের জন্য আইন প্রণয়নের পথ আরও সংকীর্ণ হয়ে যাবে।
ট্রাম্পের আইন ও বিচার সংক্রান্ত ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা মাইক ডেভিস বলেন, ‘আমেরিকান ভোটারদের কাছ থেকে ট্রাম্প স্পষ্ট ম্যান্ডেট পেয়েছেন ওয়াশিংটনে বড় ধরনের সংস্কার আনার জন্য। কিন্তু তিনি যদি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতে না পারেন, তবে সেই রাজনৈতিক ম্যান্ডেট ম্লান হয়ে যাবে।’
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসেছেন মাত্র পাঁচ দিন হলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই তিনি মার্কিন প্রশাসনে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি যেসব কট্টর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো নিছক কথার ফুলঝুরি ছিল না।
এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট তাঁর প্রথম মেয়াদের মতো এবারও ফেডারেল প্রশাসন পুনর্গঠনের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর মতে, অনেক কর্মকর্তাই ‘শত্রুভাবাপন্ন’। তিনি শত শত সরকারি কর্মকর্তার দপ্তর পুনর্বণ্টন বা তাদের বরখাস্ত করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নিয়েছেন।
ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়েই সামরিক বাহিনীকে দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্তে মোতায়েন করেছেন, ইউএস কোস্টগার্ড প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন এবং একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এসব নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তিনি পরিবেশ-জলবায়ুগত ইস্যু থেকে শুরু করে নাগরিকত্ব নীতিমালার মতো বিষয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ২৬টি নির্বাহী আদেশ জারি করেন।
তবে সম্ভবত ট্রাম্পের সবচেয়ে বিতর্কিত পদক্ষেপ ছিল ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল হামলায় জড়িত প্রায় দেড় হাজার সমর্থককে ক্ষমা করা। এই হামলা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ক্যাপিটলের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্রাম্পের মিত্ররা তাঁর এই কার্যক্রমকে বিশেষ বাহিনীর আকস্মিক অভিযানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর সমর্থকদের এই হামলা মার্কিন ফেডারেল কর্মী, শ্রমিক সংগঠন, অধিকার সংস্থা এবং এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও হতচকিত করে দিয়েছিল। তারা বলছেন, দ্বিতীয় মেয়াদের আগে ৪ বছর ট্রাম্পের ক্ষমতার বাইরে থাকার সময় তার রক্ষণশীল মিত্রদের কয়েক বছরের পরিশ্রমের ফলে এই কার্যক্রম সম্ভব হয়েছে। ট্রাম্পের রক্ষণশীল মিত্ররাই ট্রাম্পের জন্য এসব বিষয়ে নীতিগত পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন, যাতে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তা কার্যকর করা যায়।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসের প্রধান কৌশলবিদ ও বর্তমানে ট্রাম্পের মূল পলিসি অ্যাডভাইজর স্টিভ ব্যানন এই বিষয়ে বলেন, ‘এটি (ট্রাম্পের মিত্ররা) ফেডারেল সরকার দখল করার সেনা দল।’
তবে বিরোধীরা বলছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে বিকৃত করছেন এবং নির্বাহী ক্ষমতার সীমা অতিরিক্ত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপগুলো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার চেয়ে রূপান্তর ঘটানো এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রতিশোধ নেওয়ার দিকে বেশি মনোযোগী।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই ট্রাম্প কয়েক ডজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেন। এই কর্মকর্তারা একসময় অভিযোগ করেছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টারকে নিয়ে কিছু নেতিবাচক সংবাদ রাশিয়ার প্রভাব বাড়ানোর কার্যক্রমের অংশ।
ইরান থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে এমন তিন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি তাঁর প্রশাসনের সমালোচক ও সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলির ছবি পেন্টাগনের এক করিডর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল থেকেও অনেক পেশাদার কূটনীতিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, ট্রাম্পের প্রতি তাদের আনুগত্য নিয়ে সন্দেহ আছে। এর ফলে ট্রাম্প নিজের অনুগত ব্যক্তিদের ১০০ টিরও বেশি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পদে বসানোর সুযোগ পেয়েছেন।
মার্কিন থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো উইলিয়াম গ্যালস্টন বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) সহজে শত্রুতার কথা ভুলে যান না।’
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের তুলনায় গত পাঁচ দিনের পদক্ষেপগুলো সম্পূর্ণ আলাদা, এমনকি তাঁর বিরোধীরাও এ কথা স্বীকার করেন। প্রথম মেয়াদে দলীয় বিভক্তি এবং দুর্বল প্রস্তুতির কারণে অনেক উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ইতিহাস নিয়ে কাজ করা নিক্সন প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরির সাবেক পরিচালক টিমোথি নাফটালি বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের ব্যাপকতা এবং দ্রুততার দিক থেকে বলা যায়, তাঁর (ট্রাম্পের) দল যে প্রস্তুতি নিয়েছে, তা সত্যিই অসাধারণ।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক নীতিই ‘প্রজেক্ট ২০২৫’—এর সঙ্গে খাপে খাপ মিলে যায়। এটি বিভিন্ন রক্ষণশীল সংগঠনের একটি উদ্যোগ। এই সংগঠনটি ট্রাম্পের সম্ভাব্য ফিরে আসার প্রস্তুতি হিসেবে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করেছে। যদিও ট্রাম্প গত বছর এই প্রকল্প থেকে দূরত্ব তৈরি করে বলেছিলেন, তিনি এর কিছু জানেন না। তবে তারপরও তাঁর অনেক সাবেক উপদেষ্টা এতে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন এবং ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে এর প্রভাব স্পষ্ট।
এ ছাড়া, ‘প্রজেক্ট ২০২৫’ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ থেকে পেশাদার কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে। শিডিউল-এফ নামে নতুন এক ধরনের কর্মী শ্রেণি তৈরি করার পরামর্শও দিয়েছিল এই প্রজেক্ট। যার ফলে লক্ষাধিক কর্মীকে বরখাস্ত করা সহজ হবে।
ট্রাম্প ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিতেও (ফেমা) পরিবর্তনের প্রস্তাবও দিয়েছেন। যার ফলে ফেডারেল সরকারের অনেক কাজ অঙ্গরাজ্যগুলোতে স্থানান্তরিত হবে। এটিও ‘প্রজেক্ট ২০২৫’—এর আরেকটি সুপারিশ ছিল। এ বিষয়ে স্টিভ ব্যানন বলেন, ‘ট্রাম্পের প্রতি গভীরভাবে বিশ্বাসী অনেক নীতিগত ও রাজনৈতিক ব্যক্তি ২০২১ সাল থেকেই তাঁর পুনরাগমন নিয়ে কাজ করছেন। আর এখন আমরা তার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি।’
ট্রাম্পের এজেন্ডা সামনে বড় বাধার মুখোমুখি হতে পারে। অনেক সমর্থকই স্বীকার করেছেন, তাঁর প্রশাসনের প্রথম কয়েক সপ্তাহ হয়তো ক্ষমতার শীর্ষ সময় হতে পারে। ট্রাম্পের অনেক নির্বাহী আদেশ সাংবিধানিক আইনের সীমাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী অভিবাসীদের সন্তানদের নাগরিকত্ব পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার বাতিলের আদেশ ইতিমধ্যেই ফেডারেল কোর্ট স্থগিত করেছে।
এ ছাড়া, তাঁর অন্যান্য প্রতিশ্রুতি ও আদেশও অঙ্গরাজ্য ও অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলোর মামলা মোকাবিলা করছে, যা তার প্রশাসনের সময়সীমার বড় অংশ আইনি জটিলতায় আটকে রাখতে পারে।
দুই বছর পর হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস তথা প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের সংকীর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখা ট্রাম্পের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের দল সাধারণত আসন হারায়। যদি তা হয়, ট্রাম্পের জন্য আইন প্রণয়নের পথ আরও সংকীর্ণ হয়ে যাবে।
ট্রাম্পের আইন ও বিচার সংক্রান্ত ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা মাইক ডেভিস বলেন, ‘আমেরিকান ভোটারদের কাছ থেকে ট্রাম্প স্পষ্ট ম্যান্ডেট পেয়েছেন ওয়াশিংটনে বড় ধরনের সংস্কার আনার জন্য। কিন্তু তিনি যদি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতে না পারেন, তবে সেই রাজনৈতিক ম্যান্ডেট ম্লান হয়ে যাবে।’
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসেছেন মাত্র পাঁচ দিন হলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই তিনি মার্কিন প্রশাসনে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি যেসব কট্টর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো নিছক কথার ফুলঝুরি ছিল না।
এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট তাঁর প্রথম মেয়াদের মতো এবারও ফেডারেল প্রশাসন পুনর্গঠনের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর মতে, অনেক কর্মকর্তাই ‘শত্রুভাবাপন্ন’। তিনি শত শত সরকারি কর্মকর্তার দপ্তর পুনর্বণ্টন বা তাদের বরখাস্ত করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নিয়েছেন।
ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়েই সামরিক বাহিনীকে দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্তে মোতায়েন করেছেন, ইউএস কোস্টগার্ড প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন এবং একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এসব নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তিনি পরিবেশ-জলবায়ুগত ইস্যু থেকে শুরু করে নাগরিকত্ব নীতিমালার মতো বিষয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ২৬টি নির্বাহী আদেশ জারি করেন।
তবে সম্ভবত ট্রাম্পের সবচেয়ে বিতর্কিত পদক্ষেপ ছিল ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল হামলায় জড়িত প্রায় দেড় হাজার সমর্থককে ক্ষমা করা। এই হামলা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ক্যাপিটলের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্রাম্পের মিত্ররা তাঁর এই কার্যক্রমকে বিশেষ বাহিনীর আকস্মিক অভিযানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর সমর্থকদের এই হামলা মার্কিন ফেডারেল কর্মী, শ্রমিক সংগঠন, অধিকার সংস্থা এবং এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও হতচকিত করে দিয়েছিল। তারা বলছেন, দ্বিতীয় মেয়াদের আগে ৪ বছর ট্রাম্পের ক্ষমতার বাইরে থাকার সময় তার রক্ষণশীল মিত্রদের কয়েক বছরের পরিশ্রমের ফলে এই কার্যক্রম সম্ভব হয়েছে। ট্রাম্পের রক্ষণশীল মিত্ররাই ট্রাম্পের জন্য এসব বিষয়ে নীতিগত পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন, যাতে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তা কার্যকর করা যায়।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসের প্রধান কৌশলবিদ ও বর্তমানে ট্রাম্পের মূল পলিসি অ্যাডভাইজর স্টিভ ব্যানন এই বিষয়ে বলেন, ‘এটি (ট্রাম্পের মিত্ররা) ফেডারেল সরকার দখল করার সেনা দল।’
তবে বিরোধীরা বলছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে বিকৃত করছেন এবং নির্বাহী ক্ষমতার সীমা অতিরিক্ত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপগুলো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার চেয়ে রূপান্তর ঘটানো এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রতিশোধ নেওয়ার দিকে বেশি মনোযোগী।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই ট্রাম্প কয়েক ডজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেন। এই কর্মকর্তারা একসময় অভিযোগ করেছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টারকে নিয়ে কিছু নেতিবাচক সংবাদ রাশিয়ার প্রভাব বাড়ানোর কার্যক্রমের অংশ।
ইরান থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে এমন তিন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি তাঁর প্রশাসনের সমালোচক ও সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলির ছবি পেন্টাগনের এক করিডর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল থেকেও অনেক পেশাদার কূটনীতিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, ট্রাম্পের প্রতি তাদের আনুগত্য নিয়ে সন্দেহ আছে। এর ফলে ট্রাম্প নিজের অনুগত ব্যক্তিদের ১০০ টিরও বেশি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পদে বসানোর সুযোগ পেয়েছেন।
মার্কিন থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো উইলিয়াম গ্যালস্টন বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) সহজে শত্রুতার কথা ভুলে যান না।’
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের তুলনায় গত পাঁচ দিনের পদক্ষেপগুলো সম্পূর্ণ আলাদা, এমনকি তাঁর বিরোধীরাও এ কথা স্বীকার করেন। প্রথম মেয়াদে দলীয় বিভক্তি এবং দুর্বল প্রস্তুতির কারণে অনেক উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ইতিহাস নিয়ে কাজ করা নিক্সন প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরির সাবেক পরিচালক টিমোথি নাফটালি বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের ব্যাপকতা এবং দ্রুততার দিক থেকে বলা যায়, তাঁর (ট্রাম্পের) দল যে প্রস্তুতি নিয়েছে, তা সত্যিই অসাধারণ।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক নীতিই ‘প্রজেক্ট ২০২৫’—এর সঙ্গে খাপে খাপ মিলে যায়। এটি বিভিন্ন রক্ষণশীল সংগঠনের একটি উদ্যোগ। এই সংগঠনটি ট্রাম্পের সম্ভাব্য ফিরে আসার প্রস্তুতি হিসেবে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করেছে। যদিও ট্রাম্প গত বছর এই প্রকল্প থেকে দূরত্ব তৈরি করে বলেছিলেন, তিনি এর কিছু জানেন না। তবে তারপরও তাঁর অনেক সাবেক উপদেষ্টা এতে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন এবং ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে এর প্রভাব স্পষ্ট।
এ ছাড়া, ‘প্রজেক্ট ২০২৫’ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ থেকে পেশাদার কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে। শিডিউল-এফ নামে নতুন এক ধরনের কর্মী শ্রেণি তৈরি করার পরামর্শও দিয়েছিল এই প্রজেক্ট। যার ফলে লক্ষাধিক কর্মীকে বরখাস্ত করা সহজ হবে।
ট্রাম্প ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিতেও (ফেমা) পরিবর্তনের প্রস্তাবও দিয়েছেন। যার ফলে ফেডারেল সরকারের অনেক কাজ অঙ্গরাজ্যগুলোতে স্থানান্তরিত হবে। এটিও ‘প্রজেক্ট ২০২৫’—এর আরেকটি সুপারিশ ছিল। এ বিষয়ে স্টিভ ব্যানন বলেন, ‘ট্রাম্পের প্রতি গভীরভাবে বিশ্বাসী অনেক নীতিগত ও রাজনৈতিক ব্যক্তি ২০২১ সাল থেকেই তাঁর পুনরাগমন নিয়ে কাজ করছেন। আর এখন আমরা তার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি।’
ট্রাম্পের এজেন্ডা সামনে বড় বাধার মুখোমুখি হতে পারে। অনেক সমর্থকই স্বীকার করেছেন, তাঁর প্রশাসনের প্রথম কয়েক সপ্তাহ হয়তো ক্ষমতার শীর্ষ সময় হতে পারে। ট্রাম্পের অনেক নির্বাহী আদেশ সাংবিধানিক আইনের সীমাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী অভিবাসীদের সন্তানদের নাগরিকত্ব পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার বাতিলের আদেশ ইতিমধ্যেই ফেডারেল কোর্ট স্থগিত করেছে।
এ ছাড়া, তাঁর অন্যান্য প্রতিশ্রুতি ও আদেশও অঙ্গরাজ্য ও অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলোর মামলা মোকাবিলা করছে, যা তার প্রশাসনের সময়সীমার বড় অংশ আইনি জটিলতায় আটকে রাখতে পারে।
দুই বছর পর হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস তথা প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের সংকীর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখা ট্রাম্পের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের দল সাধারণত আসন হারায়। যদি তা হয়, ট্রাম্পের জন্য আইন প্রণয়নের পথ আরও সংকীর্ণ হয়ে যাবে।
ট্রাম্পের আইন ও বিচার সংক্রান্ত ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা মাইক ডেভিস বলেন, ‘আমেরিকান ভোটারদের কাছ থেকে ট্রাম্প স্পষ্ট ম্যান্ডেট পেয়েছেন ওয়াশিংটনে বড় ধরনের সংস্কার আনার জন্য। কিন্তু তিনি যদি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতে না পারেন, তবে সেই রাজনৈতিক ম্যান্ডেট ম্লান হয়ে যাবে।’
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
১ ঘণ্টা আগে
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
১৪ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
গত সোমবার মনোজকে গ্রেপ্তার করে ফ্রিস্কো পুলিশ। পুলিশ জানায়, পরিবারের সদস্যরা মনোজের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগ নিয়ে ফোন করলে তারা ওই বাড়িতে যায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর কয়েক দিন আগে বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে মনোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
মনোজ সাই লেল্লার বিরুদ্ধে বসবাসযোগ্য স্থান বা উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি প্রথম ডিগ্রির একটি গুরুতর অপরাধ। পাশাপাশি পরিবারের সদস্য বা একই গৃহের বাসিন্দার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগও রয়েছে, যা ক্লাস ‘এ’ মিসডিমিনার হিসেবে বিবেচিত।
তবে কোনো উপাসনালয়কে লক্ষ্য করে হুমকির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আদালতের নথি অনুযায়ী, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মনোজের জামিনের জন্য দিতে হবে এক লাখ মার্কিন ডলার। আর সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগে জামিনে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ডলার।

বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
গত সোমবার মনোজকে গ্রেপ্তার করে ফ্রিস্কো পুলিশ। পুলিশ জানায়, পরিবারের সদস্যরা মনোজের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগ নিয়ে ফোন করলে তারা ওই বাড়িতে যায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর কয়েক দিন আগে বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে মনোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
মনোজ সাই লেল্লার বিরুদ্ধে বসবাসযোগ্য স্থান বা উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি প্রথম ডিগ্রির একটি গুরুতর অপরাধ। পাশাপাশি পরিবারের সদস্য বা একই গৃহের বাসিন্দার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগও রয়েছে, যা ক্লাস ‘এ’ মিসডিমিনার হিসেবে বিবেচিত।
তবে কোনো উপাসনালয়কে লক্ষ্য করে হুমকির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আদালতের নথি অনুযায়ী, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মনোজের জামিনের জন্য দিতে হবে এক লাখ মার্কিন ডলার। আর সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগে জামিনে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ডলার।

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসেছেন মাত্র পাঁচ দিন হলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই তিনি মার্কিন প্রশাসনে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি যেসব কট্টর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো নিছক কথার ফুলঝুরি ছিল না..
২৬ জানুয়ারি ২০২৫
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
১৪ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও সোমালিল্যান্ড একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। নেতানিয়াহু একে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পরস্পরের দেশে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার রাতে (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিল্যান্ড এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।
সোমালিয়া সরকার বরাবরই সোমালিল্যান্ডের স্বাধীনতাকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ইসরায়েলের ঘোষণার পর সোমালিয়ার সরকার একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। এই বৈঠক থেকে ফোনালাপে মিসর, তুরস্ক ও জিবুতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলের এমন স্বীকৃতিকে জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী এবং ‘বিপজ্জনক নজির’ বলে আখ্যা দিয়েছে মিসর।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভিডিও কলে সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিকে (আব্দিরাহমান সিরো) অভিনন্দন জানান নেতানিয়াহু এবং তাঁকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানান। সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার পর এই স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডের জন্য বড় সাফল্য হলেও এটি সোমালিয়ার ভেতরে নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকে উসকে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলের কিছু প্রভাবশালী নেতা বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও সোমালিল্যান্ড একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। নেতানিয়াহু একে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পরস্পরের দেশে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার রাতে (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিল্যান্ড এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।
সোমালিয়া সরকার বরাবরই সোমালিল্যান্ডের স্বাধীনতাকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ইসরায়েলের ঘোষণার পর সোমালিয়ার সরকার একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। এই বৈঠক থেকে ফোনালাপে মিসর, তুরস্ক ও জিবুতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলের এমন স্বীকৃতিকে জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী এবং ‘বিপজ্জনক নজির’ বলে আখ্যা দিয়েছে মিসর।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভিডিও কলে সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিকে (আব্দিরাহমান সিরো) অভিনন্দন জানান নেতানিয়াহু এবং তাঁকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানান। সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার পর এই স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডের জন্য বড় সাফল্য হলেও এটি সোমালিয়ার ভেতরে নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকে উসকে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলের কিছু প্রভাবশালী নেতা বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসেছেন মাত্র পাঁচ দিন হলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই তিনি মার্কিন প্রশাসনে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি যেসব কট্টর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো নিছক কথার ফুলঝুরি ছিল না..
২৬ জানুয়ারি ২০২৫
বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
১ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি ও অর্থ পাচারের ২১টিসহ মোট ২৫টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার।
পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সেকুয়েরাহ নাজিবের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব যুক্তি নাকচ করে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ওয়ানএমডিবির কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু বিচারক তাঁর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি বিশ্বাস করা মানে কল্পনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নাজিব মোটেও কোনো ‘অবুঝ গ্রাম্য লোক’ নন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।
বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, নাজিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিষয় নয়, বরং ‘কঠিন ও অকাট্য’ দালিলিক প্রমাণ বলছে তিনি নিজের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।
আদালত নাজিবকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।
আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছর এবং অর্থ পাচারের জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সব সাজার মেয়াদ একই সঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাঁকে মোট ১৫ বছর জেল খাটতে হবে।
এদিকে নাজিব বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। নতুন এই সাজা সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।
তবে এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২০২২ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো দল বা জোটই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে না পারায়, শেষমেশ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সরকার গঠন করে। এর মধ্যে পিএইচর ৮২টি, ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ২৬টি ও বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) চারটি আসন নিয়ে এই জোট সরকার গঠিত হয়।
জেলখানায় থাকলেও দলের ওপর নাজিবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের পর দলের ভেতর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের ওপর চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে ইউএমএনও বর্তমান জোট সরকার থেকে সরে যায়, তবে বিপাকে পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
নাজিবের প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার আপিল করবেন।
রায়ের পর এক বিবৃতিতে নাজিব রাজাক দেশবাসীকে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াই দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।’ তবে এই দণ্ডাদেশের ফলে নাজিবের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়। সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি ও অর্থ পাচারের ২১টিসহ মোট ২৫টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার।
পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সেকুয়েরাহ নাজিবের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব যুক্তি নাকচ করে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ওয়ানএমডিবির কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু বিচারক তাঁর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি বিশ্বাস করা মানে কল্পনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নাজিব মোটেও কোনো ‘অবুঝ গ্রাম্য লোক’ নন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।
বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, নাজিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিষয় নয়, বরং ‘কঠিন ও অকাট্য’ দালিলিক প্রমাণ বলছে তিনি নিজের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।
আদালত নাজিবকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।
আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছর এবং অর্থ পাচারের জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সব সাজার মেয়াদ একই সঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাঁকে মোট ১৫ বছর জেল খাটতে হবে।
এদিকে নাজিব বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। নতুন এই সাজা সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।
তবে এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২০২২ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো দল বা জোটই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে না পারায়, শেষমেশ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সরকার গঠন করে। এর মধ্যে পিএইচর ৮২টি, ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ২৬টি ও বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) চারটি আসন নিয়ে এই জোট সরকার গঠিত হয়।
জেলখানায় থাকলেও দলের ওপর নাজিবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের পর দলের ভেতর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের ওপর চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে ইউএমএনও বর্তমান জোট সরকার থেকে সরে যায়, তবে বিপাকে পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
নাজিবের প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার আপিল করবেন।
রায়ের পর এক বিবৃতিতে নাজিব রাজাক দেশবাসীকে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াই দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।’ তবে এই দণ্ডাদেশের ফলে নাজিবের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়। সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসেছেন মাত্র পাঁচ দিন হলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই তিনি মার্কিন প্রশাসনে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি যেসব কট্টর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো নিছক কথার ফুলঝুরি ছিল না..
২৬ জানুয়ারি ২০২৫
বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
১ ঘণ্টা আগে
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
১৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, এই জঘন্য অপরাধের হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
রণধীর জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত সহিংসতা ও বৈরী আচরণকে ভারত সরকার একটি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দেখছে। ভারত নিয়মিত এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণও করছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে দিল্লির অবস্থান পুনরায় পরিষ্কার করে মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই এবং আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পক্ষে।’
ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন রণধীর জয়সওয়াল।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, এই জঘন্য অপরাধের হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
রণধীর জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত সহিংসতা ও বৈরী আচরণকে ভারত সরকার একটি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দেখছে। ভারত নিয়মিত এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণও করছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে দিল্লির অবস্থান পুনরায় পরিষ্কার করে মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই এবং আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পক্ষে।’
ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন রণধীর জয়সওয়াল।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসেছেন মাত্র পাঁচ দিন হলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই তিনি মার্কিন প্রশাসনে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি যেসব কট্টর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো নিছক কথার ফুলঝুরি ছিল না..
২৬ জানুয়ারি ২০২৫
বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
১ ঘণ্টা আগে
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
১৪ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে