আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকাগুলো আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর গত বছর মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি শহর কিয়াউকমে দখল করে নিয়েছিল বিদ্রোহী তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)। এই শহরটি এশিয়ান হাইওয়ে ১৪–এর পাশে অবস্থিত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘বার্মা রোড’ নামে পরিচিত ছিল। শহরটির পতনকে সামরিক জান্তার মনোবল ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু চলতি অক্টোবরেই মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেনাবাহিনী আবারও শহরটি দখল করে নিয়েছে। কিয়াউকমের এই পালাবদল দেখিয়ে দিয়েছে—মিয়ানমারের যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য এখন স্পষ্টভাবে জান্তার পক্ষে ঝুঁকে পড়েছে। টানা বিমান হামলায় শহরটির একটি বিশাল অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেনারা সেখানে ৫০০ পাউন্ডের বোমা ফেলেছে, ড্রোন ও কামান দিয়ে টিএনএলএর অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখন আবার কিছু লোক ফিরে আসছে।
টিএনএলএর মুখপাত্র তার-পান লা বিবিসিকে বলেছেন, ‘কিয়াউকমে ও হিসপাও এলাকায় প্রতিদিনই যুদ্ধ চলছে। জান্তা এবার বেশি সৈন্য, ভারী অস্ত্র ও বিমান শক্তি ব্যবহার করছে।’ সেনাবাহিনী হিসপাও শহরটিও পুনর্দখল করেছে, ফলে চীনা সীমান্তে যাওয়ার প্রধান সড়কটি এখন পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে।
বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমার সেনার এই পুনরুত্থানের পেছনে মূল চালিকা শক্তি চীন। দেশটি ডিসেম্বরের প্রস্তাবিত নির্বাচনের জন্য জান্তাকে সমর্থন দিচ্ছে। এই নির্বাচন থেকে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী যতটা সম্ভব হারানো এলাকা ফিরে পেতে মরিয়া।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় মিয়ানমারের সেনারা এখন অনেক বেশি প্রস্তুত। তারা চীনের তৈরি হাজার হাজার ড্রোন ও মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করছে। চীন ও রাশিয়ার সরবরাহ করা যুদ্ধবিমান দিয়ে ধারাবাহিক বোমা বর্ষণে দেশটিতে বহু বেসামরিক মানুষ মারা পড়েছে।
অন্যদিকে, দেশটির প্রতিরোধ বাহিনীগুলো এখন দুর্বল ও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দেশটিতে গ্রামীণ তরুণদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল শত শত ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ বা স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনী। কিন্তু তাদের মধ্যে এখন পারস্পরিক আস্থার অভাব প্রবল। তারা জাতীয় ঐক্য সরকারের নেতৃত্বও মানে না, ফলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি।
২০২৩ সালের অক্টোবরের ‘অপারেশন ১০২৭’ এর মাধ্যমে ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ নামে তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একযোগে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় আক্রমণ শুরু করেছিল। পরবর্তীতে কয়েক সপ্তাহেই তারা প্রায় ১৮০টি ঘাঁটি দখল করে নেয়। তখন অনেকেই ভেবেছিল, জান্তা সরকার পতনের মুখে। কিন্তু বিদ্রোহীরা সেই ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি।
গবেষক মরগান মাইকেলস বলেন, ‘তখন সেনাদের মনোবল খারাপ ছিল ঠিকই, কিন্তু নেতৃত্বের ভাঙন ততটা গভীর ছিল না।’ ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সেনাবাহিনী জোরপূর্বক সৈন্য সংগ্রহ শুরু করে। এর ফলে এই বাহিনীতে ৬০ হাজারেরও বেশি তরুণ যোগ দেয়, যা লড়াইয়ে নতুন গতি আনে।
বিশ্লেষক সু মোন বলেছেন, একের পর এক ড্রোন হামলায় বিদ্রোহীদের বড় ক্ষতি হয়েছে। আবার চীনের সীমান্তে কঠোর নজরদারি এবং দ্বৈত প্রযুক্তি পণ্যের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর ড্রোন সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া চীনের চাপেই এমএনডিএএ ও ইউডব্লিউএসএ-এর মতো অনেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। কারণ তারা সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল। এ অবস্থায় দক্ষিণের কারেন রাজ্যেও সেনারা আবার সীমান্ত সড়ক দখল করেছে।
চীন প্রকাশ্যে বলেছে, ‘আমরা মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চাই না।’ বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বেইজিং জান্তা সরকারকে পছন্দ করে না, কিন্তু রাষ্ট্র ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় এই বাহিনীকে টিকিয়ে রাখতে চায়।
এদিকে মিয়ানমারের জনগণের ওপর সামরিক বাহিনীর যে ভয়াবহ দমননীতি চলছে, তা দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষোভ ও বিভাজনের বীজ বপন করেছে। বিশ্লেষক মাইকেলসের ভাষায়, ‘এক লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক পরিবার কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই রাজনৈতিক সমঝোতা এখনো অনেক দূরের স্বপ্ন।’

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকাগুলো আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর গত বছর মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি শহর কিয়াউকমে দখল করে নিয়েছিল বিদ্রোহী তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)। এই শহরটি এশিয়ান হাইওয়ে ১৪–এর পাশে অবস্থিত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘বার্মা রোড’ নামে পরিচিত ছিল। শহরটির পতনকে সামরিক জান্তার মনোবল ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু চলতি অক্টোবরেই মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেনাবাহিনী আবারও শহরটি দখল করে নিয়েছে। কিয়াউকমের এই পালাবদল দেখিয়ে দিয়েছে—মিয়ানমারের যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য এখন স্পষ্টভাবে জান্তার পক্ষে ঝুঁকে পড়েছে। টানা বিমান হামলায় শহরটির একটি বিশাল অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেনারা সেখানে ৫০০ পাউন্ডের বোমা ফেলেছে, ড্রোন ও কামান দিয়ে টিএনএলএর অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখন আবার কিছু লোক ফিরে আসছে।
টিএনএলএর মুখপাত্র তার-পান লা বিবিসিকে বলেছেন, ‘কিয়াউকমে ও হিসপাও এলাকায় প্রতিদিনই যুদ্ধ চলছে। জান্তা এবার বেশি সৈন্য, ভারী অস্ত্র ও বিমান শক্তি ব্যবহার করছে।’ সেনাবাহিনী হিসপাও শহরটিও পুনর্দখল করেছে, ফলে চীনা সীমান্তে যাওয়ার প্রধান সড়কটি এখন পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে।
বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমার সেনার এই পুনরুত্থানের পেছনে মূল চালিকা শক্তি চীন। দেশটি ডিসেম্বরের প্রস্তাবিত নির্বাচনের জন্য জান্তাকে সমর্থন দিচ্ছে। এই নির্বাচন থেকে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী যতটা সম্ভব হারানো এলাকা ফিরে পেতে মরিয়া।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় মিয়ানমারের সেনারা এখন অনেক বেশি প্রস্তুত। তারা চীনের তৈরি হাজার হাজার ড্রোন ও মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করছে। চীন ও রাশিয়ার সরবরাহ করা যুদ্ধবিমান দিয়ে ধারাবাহিক বোমা বর্ষণে দেশটিতে বহু বেসামরিক মানুষ মারা পড়েছে।
অন্যদিকে, দেশটির প্রতিরোধ বাহিনীগুলো এখন দুর্বল ও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দেশটিতে গ্রামীণ তরুণদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল শত শত ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ বা স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনী। কিন্তু তাদের মধ্যে এখন পারস্পরিক আস্থার অভাব প্রবল। তারা জাতীয় ঐক্য সরকারের নেতৃত্বও মানে না, ফলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি।
২০২৩ সালের অক্টোবরের ‘অপারেশন ১০২৭’ এর মাধ্যমে ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ নামে তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একযোগে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় আক্রমণ শুরু করেছিল। পরবর্তীতে কয়েক সপ্তাহেই তারা প্রায় ১৮০টি ঘাঁটি দখল করে নেয়। তখন অনেকেই ভেবেছিল, জান্তা সরকার পতনের মুখে। কিন্তু বিদ্রোহীরা সেই ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি।
গবেষক মরগান মাইকেলস বলেন, ‘তখন সেনাদের মনোবল খারাপ ছিল ঠিকই, কিন্তু নেতৃত্বের ভাঙন ততটা গভীর ছিল না।’ ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সেনাবাহিনী জোরপূর্বক সৈন্য সংগ্রহ শুরু করে। এর ফলে এই বাহিনীতে ৬০ হাজারেরও বেশি তরুণ যোগ দেয়, যা লড়াইয়ে নতুন গতি আনে।
বিশ্লেষক সু মোন বলেছেন, একের পর এক ড্রোন হামলায় বিদ্রোহীদের বড় ক্ষতি হয়েছে। আবার চীনের সীমান্তে কঠোর নজরদারি এবং দ্বৈত প্রযুক্তি পণ্যের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর ড্রোন সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া চীনের চাপেই এমএনডিএএ ও ইউডব্লিউএসএ-এর মতো অনেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। কারণ তারা সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল। এ অবস্থায় দক্ষিণের কারেন রাজ্যেও সেনারা আবার সীমান্ত সড়ক দখল করেছে।
চীন প্রকাশ্যে বলেছে, ‘আমরা মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চাই না।’ বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বেইজিং জান্তা সরকারকে পছন্দ করে না, কিন্তু রাষ্ট্র ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় এই বাহিনীকে টিকিয়ে রাখতে চায়।
এদিকে মিয়ানমারের জনগণের ওপর সামরিক বাহিনীর যে ভয়াবহ দমননীতি চলছে, তা দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষোভ ও বিভাজনের বীজ বপন করেছে। বিশ্লেষক মাইকেলসের ভাষায়, ‘এক লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক পরিবার কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই রাজনৈতিক সমঝোতা এখনো অনেক দূরের স্বপ্ন।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকাগুলো আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর গত বছর মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি শহর কিয়াউকমে দখল করে নিয়েছিল বিদ্রোহী তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)। এই শহরটি এশিয়ান হাইওয়ে ১৪–এর পাশে অবস্থিত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘বার্মা রোড’ নামে পরিচিত ছিল। শহরটির পতনকে সামরিক জান্তার মনোবল ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু চলতি অক্টোবরেই মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেনাবাহিনী আবারও শহরটি দখল করে নিয়েছে। কিয়াউকমের এই পালাবদল দেখিয়ে দিয়েছে—মিয়ানমারের যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য এখন স্পষ্টভাবে জান্তার পক্ষে ঝুঁকে পড়েছে। টানা বিমান হামলায় শহরটির একটি বিশাল অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেনারা সেখানে ৫০০ পাউন্ডের বোমা ফেলেছে, ড্রোন ও কামান দিয়ে টিএনএলএর অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখন আবার কিছু লোক ফিরে আসছে।
টিএনএলএর মুখপাত্র তার-পান লা বিবিসিকে বলেছেন, ‘কিয়াউকমে ও হিসপাও এলাকায় প্রতিদিনই যুদ্ধ চলছে। জান্তা এবার বেশি সৈন্য, ভারী অস্ত্র ও বিমান শক্তি ব্যবহার করছে।’ সেনাবাহিনী হিসপাও শহরটিও পুনর্দখল করেছে, ফলে চীনা সীমান্তে যাওয়ার প্রধান সড়কটি এখন পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে।
বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমার সেনার এই পুনরুত্থানের পেছনে মূল চালিকা শক্তি চীন। দেশটি ডিসেম্বরের প্রস্তাবিত নির্বাচনের জন্য জান্তাকে সমর্থন দিচ্ছে। এই নির্বাচন থেকে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী যতটা সম্ভব হারানো এলাকা ফিরে পেতে মরিয়া।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় মিয়ানমারের সেনারা এখন অনেক বেশি প্রস্তুত। তারা চীনের তৈরি হাজার হাজার ড্রোন ও মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করছে। চীন ও রাশিয়ার সরবরাহ করা যুদ্ধবিমান দিয়ে ধারাবাহিক বোমা বর্ষণে দেশটিতে বহু বেসামরিক মানুষ মারা পড়েছে।
অন্যদিকে, দেশটির প্রতিরোধ বাহিনীগুলো এখন দুর্বল ও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দেশটিতে গ্রামীণ তরুণদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল শত শত ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ বা স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনী। কিন্তু তাদের মধ্যে এখন পারস্পরিক আস্থার অভাব প্রবল। তারা জাতীয় ঐক্য সরকারের নেতৃত্বও মানে না, ফলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি।
২০২৩ সালের অক্টোবরের ‘অপারেশন ১০২৭’ এর মাধ্যমে ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ নামে তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একযোগে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় আক্রমণ শুরু করেছিল। পরবর্তীতে কয়েক সপ্তাহেই তারা প্রায় ১৮০টি ঘাঁটি দখল করে নেয়। তখন অনেকেই ভেবেছিল, জান্তা সরকার পতনের মুখে। কিন্তু বিদ্রোহীরা সেই ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি।
গবেষক মরগান মাইকেলস বলেন, ‘তখন সেনাদের মনোবল খারাপ ছিল ঠিকই, কিন্তু নেতৃত্বের ভাঙন ততটা গভীর ছিল না।’ ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সেনাবাহিনী জোরপূর্বক সৈন্য সংগ্রহ শুরু করে। এর ফলে এই বাহিনীতে ৬০ হাজারেরও বেশি তরুণ যোগ দেয়, যা লড়াইয়ে নতুন গতি আনে।
বিশ্লেষক সু মোন বলেছেন, একের পর এক ড্রোন হামলায় বিদ্রোহীদের বড় ক্ষতি হয়েছে। আবার চীনের সীমান্তে কঠোর নজরদারি এবং দ্বৈত প্রযুক্তি পণ্যের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর ড্রোন সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া চীনের চাপেই এমএনডিএএ ও ইউডব্লিউএসএ-এর মতো অনেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। কারণ তারা সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল। এ অবস্থায় দক্ষিণের কারেন রাজ্যেও সেনারা আবার সীমান্ত সড়ক দখল করেছে।
চীন প্রকাশ্যে বলেছে, ‘আমরা মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চাই না।’ বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বেইজিং জান্তা সরকারকে পছন্দ করে না, কিন্তু রাষ্ট্র ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় এই বাহিনীকে টিকিয়ে রাখতে চায়।
এদিকে মিয়ানমারের জনগণের ওপর সামরিক বাহিনীর যে ভয়াবহ দমননীতি চলছে, তা দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষোভ ও বিভাজনের বীজ বপন করেছে। বিশ্লেষক মাইকেলসের ভাষায়, ‘এক লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক পরিবার কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই রাজনৈতিক সমঝোতা এখনো অনেক দূরের স্বপ্ন।’

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকাগুলো আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর গত বছর মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি শহর কিয়াউকমে দখল করে নিয়েছিল বিদ্রোহী তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)। এই শহরটি এশিয়ান হাইওয়ে ১৪–এর পাশে অবস্থিত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘বার্মা রোড’ নামে পরিচিত ছিল। শহরটির পতনকে সামরিক জান্তার মনোবল ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু চলতি অক্টোবরেই মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেনাবাহিনী আবারও শহরটি দখল করে নিয়েছে। কিয়াউকমের এই পালাবদল দেখিয়ে দিয়েছে—মিয়ানমারের যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য এখন স্পষ্টভাবে জান্তার পক্ষে ঝুঁকে পড়েছে। টানা বিমান হামলায় শহরটির একটি বিশাল অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেনারা সেখানে ৫০০ পাউন্ডের বোমা ফেলেছে, ড্রোন ও কামান দিয়ে টিএনএলএর অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখন আবার কিছু লোক ফিরে আসছে।
টিএনএলএর মুখপাত্র তার-পান লা বিবিসিকে বলেছেন, ‘কিয়াউকমে ও হিসপাও এলাকায় প্রতিদিনই যুদ্ধ চলছে। জান্তা এবার বেশি সৈন্য, ভারী অস্ত্র ও বিমান শক্তি ব্যবহার করছে।’ সেনাবাহিনী হিসপাও শহরটিও পুনর্দখল করেছে, ফলে চীনা সীমান্তে যাওয়ার প্রধান সড়কটি এখন পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে।
বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমার সেনার এই পুনরুত্থানের পেছনে মূল চালিকা শক্তি চীন। দেশটি ডিসেম্বরের প্রস্তাবিত নির্বাচনের জন্য জান্তাকে সমর্থন দিচ্ছে। এই নির্বাচন থেকে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী যতটা সম্ভব হারানো এলাকা ফিরে পেতে মরিয়া।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় মিয়ানমারের সেনারা এখন অনেক বেশি প্রস্তুত। তারা চীনের তৈরি হাজার হাজার ড্রোন ও মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করছে। চীন ও রাশিয়ার সরবরাহ করা যুদ্ধবিমান দিয়ে ধারাবাহিক বোমা বর্ষণে দেশটিতে বহু বেসামরিক মানুষ মারা পড়েছে।
অন্যদিকে, দেশটির প্রতিরোধ বাহিনীগুলো এখন দুর্বল ও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দেশটিতে গ্রামীণ তরুণদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল শত শত ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ বা স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনী। কিন্তু তাদের মধ্যে এখন পারস্পরিক আস্থার অভাব প্রবল। তারা জাতীয় ঐক্য সরকারের নেতৃত্বও মানে না, ফলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি।
২০২৩ সালের অক্টোবরের ‘অপারেশন ১০২৭’ এর মাধ্যমে ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ নামে তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একযোগে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় আক্রমণ শুরু করেছিল। পরবর্তীতে কয়েক সপ্তাহেই তারা প্রায় ১৮০টি ঘাঁটি দখল করে নেয়। তখন অনেকেই ভেবেছিল, জান্তা সরকার পতনের মুখে। কিন্তু বিদ্রোহীরা সেই ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি।
গবেষক মরগান মাইকেলস বলেন, ‘তখন সেনাদের মনোবল খারাপ ছিল ঠিকই, কিন্তু নেতৃত্বের ভাঙন ততটা গভীর ছিল না।’ ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সেনাবাহিনী জোরপূর্বক সৈন্য সংগ্রহ শুরু করে। এর ফলে এই বাহিনীতে ৬০ হাজারেরও বেশি তরুণ যোগ দেয়, যা লড়াইয়ে নতুন গতি আনে।
বিশ্লেষক সু মোন বলেছেন, একের পর এক ড্রোন হামলায় বিদ্রোহীদের বড় ক্ষতি হয়েছে। আবার চীনের সীমান্তে কঠোর নজরদারি এবং দ্বৈত প্রযুক্তি পণ্যের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর ড্রোন সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া চীনের চাপেই এমএনডিএএ ও ইউডব্লিউএসএ-এর মতো অনেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। কারণ তারা সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল। এ অবস্থায় দক্ষিণের কারেন রাজ্যেও সেনারা আবার সীমান্ত সড়ক দখল করেছে।
চীন প্রকাশ্যে বলেছে, ‘আমরা মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চাই না।’ বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বেইজিং জান্তা সরকারকে পছন্দ করে না, কিন্তু রাষ্ট্র ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় এই বাহিনীকে টিকিয়ে রাখতে চায়।
এদিকে মিয়ানমারের জনগণের ওপর সামরিক বাহিনীর যে ভয়াবহ দমননীতি চলছে, তা দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষোভ ও বিভাজনের বীজ বপন করেছে। বিশ্লেষক মাইকেলসের ভাষায়, ‘এক লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক পরিবার কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই রাজনৈতিক সমঝোতা এখনো অনেক দূরের স্বপ্ন।’

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে একটি হাসপাতালে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই হাসপাতালে ভর্তি রোগী। এ ঘটনায় ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিং-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশানা করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা থেকেছে সাজা ও বিচার-মুক্ত।
৩ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। এটি নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও জোরদার করার স্পষ্ট ইঙ্গিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে একটি হাসপাতালে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই হাসপাতালে ভর্তি রোগী। এ ঘটনায় ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যের মুরাক উ শহরের হাসপাতালটিতে বুধবার রাতে একটি সামরিক বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইন থু খা রয়টার্সকে বলেন, ‘মুরাক উ জেনারেল হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। সরাসরি হাসপাতালটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোয় হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি।’
ওয়াই হুন অং নামে স্থানীয় একজন উদ্ধারকর্মী জানান, হামলার সময় ৩০০ শয্যার হাসপাতালটি রোগীতে ঠাসা ছিল। কারণ, চলমান সংঘাতের কারণে রাখাইন রাজ্যের বিস্তৃত অঞ্চলে বেশির ভাগ স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের কিছু ছবি শেয়ার করে ওয়াই হুন অং জানান, হামলায় হাসপাতালের ছাদ ধসে পড়েছে। আশপাশে মৃতদেহ পড়ে ছিল। হামলার পর বাকি রোগীদের একটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এসব ছবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইন থু খা জানান, মুরাক উ শহরটি গত বছর থেকেই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় সামরিক জান্তার সঙ্গে বড় কোনো লড়াই হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে মিয়ানমারে সংঘাত চলছে।
সম্প্রতি, জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিমানবাহিনী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে। আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী—২০২৪ সালে মিয়ানমারে বিমান হামলার ঘটনা ছিল ১ হাজার ৭১৬টি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত বিমান হামলা হয়েছে ২ হাজার ১৬৫টি।
২০২৩ সালে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৪টি থেকে সামরিক বাহিনীকে বিতাড়িত করে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইসিইএএস-ইউসুফ ইশাক ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, আরাকান আর্মি বর্তমানে বেলজিয়ামের চেয়েও বড় একটি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে একটি হাসপাতালে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই হাসপাতালে ভর্তি রোগী। এ ঘটনায় ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যের মুরাক উ শহরের হাসপাতালটিতে বুধবার রাতে একটি সামরিক বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইন থু খা রয়টার্সকে বলেন, ‘মুরাক উ জেনারেল হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। সরাসরি হাসপাতালটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোয় হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি।’
ওয়াই হুন অং নামে স্থানীয় একজন উদ্ধারকর্মী জানান, হামলার সময় ৩০০ শয্যার হাসপাতালটি রোগীতে ঠাসা ছিল। কারণ, চলমান সংঘাতের কারণে রাখাইন রাজ্যের বিস্তৃত অঞ্চলে বেশির ভাগ স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের কিছু ছবি শেয়ার করে ওয়াই হুন অং জানান, হামলায় হাসপাতালের ছাদ ধসে পড়েছে। আশপাশে মৃতদেহ পড়ে ছিল। হামলার পর বাকি রোগীদের একটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এসব ছবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইন থু খা জানান, মুরাক উ শহরটি গত বছর থেকেই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় সামরিক জান্তার সঙ্গে বড় কোনো লড়াই হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে মিয়ানমারে সংঘাত চলছে।
সম্প্রতি, জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিমানবাহিনী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে। আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী—২০২৪ সালে মিয়ানমারে বিমান হামলার ঘটনা ছিল ১ হাজার ৭১৬টি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত বিমান হামলা হয়েছে ২ হাজার ১৬৫টি।
২০২৩ সালে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৪টি থেকে সামরিক বাহিনীকে বিতাড়িত করে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইসিইএএস-ইউসুফ ইশাক ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, আরাকান আর্মি বর্তমানে বেলজিয়ামের চেয়েও বড় একটি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকা আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
২৩ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিং-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশানা করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা থেকেছে সাজা ও বিচার-মুক্ত।
৩ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। এটি নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও জোরদার করার স্পষ্ট ইঙ্গিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিংয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটির পরপরই ফুকেটে পালিয়ে যান দুই ভাই গৌরব ও সৌরভ লুথরা।
আজ বৃহস্পতিবার নাগেশ সিং জানান, তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এর এক দিন আগে দিল্লির একটি আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা দেওয়ার আবেদন খারিজ করেন এবং গোয়া সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তাঁদের পাসপোর্ট বাতিলের অনুরোধ জানায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির একটি হোটেলের রুম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করে। প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, অভিবাসন কর্মকর্তারা তাঁদের জিনিসপত্র পরীক্ষা করছেন এবং তাঁদের হাত বাঁধা রয়েছে।
এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের কাছ থেকে মন্তব্য না পাওয়া গেলেও তাঁদের আইনজীবী আদালতে বলেন, তাঁদের এভাবে আটক করা ‘উইচ হান্ট’-এর শিকার বানানোর মতো হয়ে যাচ্ছে।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ মীর আরও বলেন, দুই ভাই ব্যবসায়ী। তাঁরা সেই ধরনের ব্যক্তি নন, যারা ৫০০০ কোটি টাকার প্রতারণা করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে ওই ক্লাবে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার মুহূর্তটিতে ক্লাবের জনপ্রিয় আয়োজন ‘বলিউড ব্যাঞ্জার নাইট’ উপভোগ করছিলেন প্রায় ১০০ পর্যটক। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে একজন নৃত্যশিল্পী বলিউডের বিখ্যাত গান ‘মেহবুবা ও মেহবুবা’-র তালে নাচছিলেন। হঠাৎই মঞ্চের পেছনে থাকা কনসোলের ওপর আগুনের শিখা দেখা যায়।
আগুন যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে, তখনই টনক নড়ে শিল্পী ও দর্শকদের। আগুনের শিখা বাড়তে থাকলে সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং দর্শকেরা আতঙ্কে চারদিকে সরে যেতে থাকেন।
মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই আগুন ক্লাবের ছাদজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ২৫ জন। বেশির ভাগ নিহতই ছিলেন ক্লাবের কর্মী আর পাঁচজন ছিলেন পর্যটক। আহত হন আরও ৬ জন।
তদন্তকারীদের ধারণা, ক্লাবের ভেতরে আতশবাজি ফোটানোর কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে ওই দুই ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তাঁদের খোঁজে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ক্লাবের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেওয়া সৌরভ লুথরা গত সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এবং আহতদের পাশে অটল সংহতি প্রকাশ করছে নাইটক্লাব কর্তৃপক্ষ। শোকাহত পরিবারগুলোকে সহায়তা, সমর্থন ও সহযোগিতা দেবে কর্তৃপক্ষ।
গত বুধবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আরও গ্রেপ্তার হবে।’
আরব সাগরতীরের এক সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশ ভারতের পর্যটনসমৃদ্ধ রাজ্য গোয়া। এর প্রাণবন্ত সমুদ্রসৈকত ও রিসোর্টের কারণে প্রতিবছর লাখো পর্যটক সেখানে যান।

ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিংয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটির পরপরই ফুকেটে পালিয়ে যান দুই ভাই গৌরব ও সৌরভ লুথরা।
আজ বৃহস্পতিবার নাগেশ সিং জানান, তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এর এক দিন আগে দিল্লির একটি আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা দেওয়ার আবেদন খারিজ করেন এবং গোয়া সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তাঁদের পাসপোর্ট বাতিলের অনুরোধ জানায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির একটি হোটেলের রুম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করে। প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, অভিবাসন কর্মকর্তারা তাঁদের জিনিসপত্র পরীক্ষা করছেন এবং তাঁদের হাত বাঁধা রয়েছে।
এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের কাছ থেকে মন্তব্য না পাওয়া গেলেও তাঁদের আইনজীবী আদালতে বলেন, তাঁদের এভাবে আটক করা ‘উইচ হান্ট’-এর শিকার বানানোর মতো হয়ে যাচ্ছে।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ মীর আরও বলেন, দুই ভাই ব্যবসায়ী। তাঁরা সেই ধরনের ব্যক্তি নন, যারা ৫০০০ কোটি টাকার প্রতারণা করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে ওই ক্লাবে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার মুহূর্তটিতে ক্লাবের জনপ্রিয় আয়োজন ‘বলিউড ব্যাঞ্জার নাইট’ উপভোগ করছিলেন প্রায় ১০০ পর্যটক। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে একজন নৃত্যশিল্পী বলিউডের বিখ্যাত গান ‘মেহবুবা ও মেহবুবা’-র তালে নাচছিলেন। হঠাৎই মঞ্চের পেছনে থাকা কনসোলের ওপর আগুনের শিখা দেখা যায়।
আগুন যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে, তখনই টনক নড়ে শিল্পী ও দর্শকদের। আগুনের শিখা বাড়তে থাকলে সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং দর্শকেরা আতঙ্কে চারদিকে সরে যেতে থাকেন।
মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই আগুন ক্লাবের ছাদজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ২৫ জন। বেশির ভাগ নিহতই ছিলেন ক্লাবের কর্মী আর পাঁচজন ছিলেন পর্যটক। আহত হন আরও ৬ জন।
তদন্তকারীদের ধারণা, ক্লাবের ভেতরে আতশবাজি ফোটানোর কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে ওই দুই ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তাঁদের খোঁজে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ক্লাবের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেওয়া সৌরভ লুথরা গত সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এবং আহতদের পাশে অটল সংহতি প্রকাশ করছে নাইটক্লাব কর্তৃপক্ষ। শোকাহত পরিবারগুলোকে সহায়তা, সমর্থন ও সহযোগিতা দেবে কর্তৃপক্ষ।
গত বুধবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আরও গ্রেপ্তার হবে।’
আরব সাগরতীরের এক সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশ ভারতের পর্যটনসমৃদ্ধ রাজ্য গোয়া। এর প্রাণবন্ত সমুদ্রসৈকত ও রিসোর্টের কারণে প্রতিবছর লাখো পর্যটক সেখানে যান।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকা আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
২৩ অক্টোবর ২০২৫
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে একটি হাসপাতালে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই হাসপাতালে ভর্তি রোগী। এ ঘটনায় ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশানা করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা থেকেছে সাজা ও বিচার-মুক্ত।
৩ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। এটি নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও জোরদার করার স্পষ্ট ইঙ্গিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশানা করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা থেকেছে সাজা ও বিচার-মুক্ত। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাধীন এই মিশনের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ডের এমন সব কাজে জড়িয়ে থাকার বিশদ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসাবে গণ্য হতে পারে। ২০১৪ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর আমলে প্রতিবাদ দমনের সময় এবং পরিকল্পিত রাজনৈতিক নিপীড়নের ক্ষেত্রে এই বাহিনী নির্বিচার আটক, যৌন সহিংসতা ও নির্যাতনের মতো কাজ করে গেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি সরকারের বিরোধিতা করে বলে মনে করা হয়েছে, তাদেরই নিশানা করা হয়েছে। ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান মার্তা ভ্যালিনাস বলেছেন, ‘আমরা যে সব তথ্য প্রমাণ পেয়েছি, তা দেখাচ্ছে যে বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড বিরোধীদের বা যাদের বিরোধী বলে মনে করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক ও সমন্বিত দমন-পীড়নের একটা ছকে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে এসেছে, যা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে।’
এই রিপোর্টটি এমন এক সময়ে এল—যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তেজনা বাড়ছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার ভেনেজুয়েলায় মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন মাদক চোরাচালান মোকাবিলা করার জন্য—যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘নার্কো-টেরোরিজম বা মাদক সন্ত্রাসবাদ।’
মাদুরারো বক্তব্য, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল ভান্ডারে প্রবেশাধিকার পেতে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড রাজনৈতিক নিপীড়নে মানবতাবিরোধী অপরাধে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল—এমনটা বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ তাদের কাছে আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর ঘটা ‘নক নক’ অপারেশনে সরকারবিরোধী সমালোচকদের বাড়িতে হঠাৎ হানা দেওয়া হয়। এই অভিযানের শিকার হয়েছিলেন গরিব মহল্লার সাধারণ নাগরিকেরাও।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ নীতির অধীনে ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ও অভ্যন্তরীণ দমনের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা বাড়িয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলে রাষ্ট্রপতির ও বলিভারিয়ান ন্যাশনাল আর্মড ফোর্সেসের কমান্ডার-ইন-চিফের তত্ত্বাবধানে একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড ব্যবস্থার মাধ্যমে। রিপোর্টে ন্যাশনাল গার্ডের আটককেন্দ্রে যৌন সহিংসতা, গ্রেপ্তারের সময় প্রহার এবং নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ভ্যালিনাস বলেন, ‘আমরা যে নির্যাতন, দুর্ব্যবহার এবং যৌন সহিংসতার ঘটনাগুলো—যার মধ্যে রয়েছে আক্রমণ ও ধর্ষণ—যাচাই করেছি, তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলো ভুক্তভোগীদের শাস্তি দেওয়া ও মানসিকভাবে ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহৃত নির্যাতনের একটা ছকের অংশ।’

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশানা করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা থেকেছে সাজা ও বিচার-মুক্ত। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাধীন এই মিশনের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ডের এমন সব কাজে জড়িয়ে থাকার বিশদ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসাবে গণ্য হতে পারে। ২০১৪ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর আমলে প্রতিবাদ দমনের সময় এবং পরিকল্পিত রাজনৈতিক নিপীড়নের ক্ষেত্রে এই বাহিনী নির্বিচার আটক, যৌন সহিংসতা ও নির্যাতনের মতো কাজ করে গেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি সরকারের বিরোধিতা করে বলে মনে করা হয়েছে, তাদেরই নিশানা করা হয়েছে। ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান মার্তা ভ্যালিনাস বলেছেন, ‘আমরা যে সব তথ্য প্রমাণ পেয়েছি, তা দেখাচ্ছে যে বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড বিরোধীদের বা যাদের বিরোধী বলে মনে করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক ও সমন্বিত দমন-পীড়নের একটা ছকে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে এসেছে, যা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে।’
এই রিপোর্টটি এমন এক সময়ে এল—যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তেজনা বাড়ছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার ভেনেজুয়েলায় মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন মাদক চোরাচালান মোকাবিলা করার জন্য—যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘নার্কো-টেরোরিজম বা মাদক সন্ত্রাসবাদ।’
মাদুরারো বক্তব্য, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল ভান্ডারে প্রবেশাধিকার পেতে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড রাজনৈতিক নিপীড়নে মানবতাবিরোধী অপরাধে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল—এমনটা বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ তাদের কাছে আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর ঘটা ‘নক নক’ অপারেশনে সরকারবিরোধী সমালোচকদের বাড়িতে হঠাৎ হানা দেওয়া হয়। এই অভিযানের শিকার হয়েছিলেন গরিব মহল্লার সাধারণ নাগরিকেরাও।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ নীতির অধীনে ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ও অভ্যন্তরীণ দমনের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা বাড়িয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলে রাষ্ট্রপতির ও বলিভারিয়ান ন্যাশনাল আর্মড ফোর্সেসের কমান্ডার-ইন-চিফের তত্ত্বাবধানে একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড ব্যবস্থার মাধ্যমে। রিপোর্টে ন্যাশনাল গার্ডের আটককেন্দ্রে যৌন সহিংসতা, গ্রেপ্তারের সময় প্রহার এবং নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ভ্যালিনাস বলেন, ‘আমরা যে নির্যাতন, দুর্ব্যবহার এবং যৌন সহিংসতার ঘটনাগুলো—যার মধ্যে রয়েছে আক্রমণ ও ধর্ষণ—যাচাই করেছি, তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলো ভুক্তভোগীদের শাস্তি দেওয়া ও মানসিকভাবে ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহৃত নির্যাতনের একটা ছকের অংশ।’

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকা আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
২৩ অক্টোবর ২০২৫
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে একটি হাসপাতালে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই হাসপাতালে ভর্তি রোগী। এ ঘটনায় ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিং-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। এটি নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও জোরদার করার স্পষ্ট ইঙ্গিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। এটি নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও জোরদার করার স্পষ্ট ইঙ্গিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এইমাত্র ভেনেজুয়েলার উপকূলে একটি ট্যাংকার জব্দ করেছি। একটি বিশাল ট্যাংকার। খুব বড়। সত্যি বলতে গেলে, যা এ যাবৎকালে সবচেয়ে বড় জব্দ।’ ট্যাংকার জব্দ করার ভিডিও প্রকাশ করে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি জাহাজটিকে ‘ভেনেজুয়েলা ও ইরান থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাযুক্ত তেল পরিবহনে ব্যবহৃত একটি অপরিশোধিত তেলের ট্যাংকার’ বলে আখ্যা দেন।
নিকোলাস মাদুরো সরকার দ্রুত এই পদক্ষেপের নিন্দা করে একে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুগিরি’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এর আগে, প্রেসিডেন্ট মাদুরো ঘোষণা করেছিলেন, ভেনেজুয়েলা কখনোই ‘তেল উপনিবেশে’ পরিণত হবে না। ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে আমেরিকায় মাদক পাচারের অভিযোগ এনেছে এবং বিগত মাসগুলোতে প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে একঘরে করার প্রচেষ্টা আরও তীব্র করেছে। অপর দিকে বিশ্বের বৃহত্তম প্রমাণিত তেল মজুতের অধিকারী ভেনেজুয়েলা ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে তাদের সম্পদ চুরি করার চেষ্টার পাল্টা অভিযোগ এনেছে।
এই জব্দের খবরে স্বল্পমেয়াদি সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় গতকাল বুধবার ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম সামান্য বেড়ে যায়। বিশ্লেষকদের সাবধানবাণী, এই পদক্ষেপ জাহাজ পরিচালনাকারীদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এবং ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে আরও বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি জানান, ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন–এফবিআই, প্রতিরক্ষা দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর এবং ইউএস কোস্ট গার্ড যৌথভাবে ট্যাংকারটি জব্দ করেছে। দেশের শীর্ষ সাবেক সরকারি কৌঁসুলি এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘বহু বছর ধরে এই তেলের ট্যাংকারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ছিল, কারণ এটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সমর্থনকারী একটি অবৈধ তেল শিপিং নেটওয়ার্কে জড়িত ছিল।’
বন্ডির শেয়ার করা ফুটেজে দেখা যায়, একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিশাল জাহাজের ওপর চক্কর কাটছে এবং সেনারা দড়ি ব্যবহার করে জাহাজের ডেকে নামছে। ক্লিপটিতে ইউনিফর্ম পরা পুরুষদের সশস্ত্র অবস্থায় জাহাজে ঘোরাফেরা করতেও দেখা যায়। বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএসকে এক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই অভিযানে ব্যবহৃত হেলিকপ্টারগুলো ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, যা বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরি এবং গত মাসে ক্যারিবীয় অঞ্চলে পাঠানো হয়েছিল।
এই অপারেশনে দুটি হেলিকপ্টার, ১০ কোস্ট গার্ড সদস্য ও ১০ জন মেরিনস, তার সঙ্গে বিশেষ বাহিনী যুক্ত ছিল। সিবিএসকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই অভিযান সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং ট্রাম্প প্রশাসন এমন আরও পদক্ষেপের কথা ভাবছে।
সাংবাদিকেরা ট্যাংকারের তেলের কী হবে—জিজ্ঞেস করলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তা রাখব, মনে হয়... আমি ধরে নিচ্ছি, আমরা তেলটা রেখে দেব।’
মেরিটাইম রিস্ক অর্গানাইজেশন সংস্থা ভ্যানগার্ড টেক জাহাজটিকে স্কিপার নামে শনাক্ত করেছে এবং তাদের বিশ্বাস, জাহাজটি দীর্ঘদিন ধরে নিজের অবস্থান ‘স্পুফিং’ বা মিথ্যা অবস্থান প্রচার করে আসছিল। সিবিএসের খবর অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ ও ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জন্য রাজস্ব তৈরি করা কথিত তেল পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে মার্কিন ট্রেজারি দপ্তর ২০২২ সালে স্কিপারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।

ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। এটি নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও জোরদার করার স্পষ্ট ইঙ্গিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এইমাত্র ভেনেজুয়েলার উপকূলে একটি ট্যাংকার জব্দ করেছি। একটি বিশাল ট্যাংকার। খুব বড়। সত্যি বলতে গেলে, যা এ যাবৎকালে সবচেয়ে বড় জব্দ।’ ট্যাংকার জব্দ করার ভিডিও প্রকাশ করে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি জাহাজটিকে ‘ভেনেজুয়েলা ও ইরান থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাযুক্ত তেল পরিবহনে ব্যবহৃত একটি অপরিশোধিত তেলের ট্যাংকার’ বলে আখ্যা দেন।
নিকোলাস মাদুরো সরকার দ্রুত এই পদক্ষেপের নিন্দা করে একে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুগিরি’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এর আগে, প্রেসিডেন্ট মাদুরো ঘোষণা করেছিলেন, ভেনেজুয়েলা কখনোই ‘তেল উপনিবেশে’ পরিণত হবে না। ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে আমেরিকায় মাদক পাচারের অভিযোগ এনেছে এবং বিগত মাসগুলোতে প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে একঘরে করার প্রচেষ্টা আরও তীব্র করেছে। অপর দিকে বিশ্বের বৃহত্তম প্রমাণিত তেল মজুতের অধিকারী ভেনেজুয়েলা ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে তাদের সম্পদ চুরি করার চেষ্টার পাল্টা অভিযোগ এনেছে।
এই জব্দের খবরে স্বল্পমেয়াদি সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় গতকাল বুধবার ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম সামান্য বেড়ে যায়। বিশ্লেষকদের সাবধানবাণী, এই পদক্ষেপ জাহাজ পরিচালনাকারীদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এবং ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে আরও বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি জানান, ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন–এফবিআই, প্রতিরক্ষা দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর এবং ইউএস কোস্ট গার্ড যৌথভাবে ট্যাংকারটি জব্দ করেছে। দেশের শীর্ষ সাবেক সরকারি কৌঁসুলি এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘বহু বছর ধরে এই তেলের ট্যাংকারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ছিল, কারণ এটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সমর্থনকারী একটি অবৈধ তেল শিপিং নেটওয়ার্কে জড়িত ছিল।’
বন্ডির শেয়ার করা ফুটেজে দেখা যায়, একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিশাল জাহাজের ওপর চক্কর কাটছে এবং সেনারা দড়ি ব্যবহার করে জাহাজের ডেকে নামছে। ক্লিপটিতে ইউনিফর্ম পরা পুরুষদের সশস্ত্র অবস্থায় জাহাজে ঘোরাফেরা করতেও দেখা যায়। বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএসকে এক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই অভিযানে ব্যবহৃত হেলিকপ্টারগুলো ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, যা বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরি এবং গত মাসে ক্যারিবীয় অঞ্চলে পাঠানো হয়েছিল।
এই অপারেশনে দুটি হেলিকপ্টার, ১০ কোস্ট গার্ড সদস্য ও ১০ জন মেরিনস, তার সঙ্গে বিশেষ বাহিনী যুক্ত ছিল। সিবিএসকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই অভিযান সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং ট্রাম্প প্রশাসন এমন আরও পদক্ষেপের কথা ভাবছে।
সাংবাদিকেরা ট্যাংকারের তেলের কী হবে—জিজ্ঞেস করলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তা রাখব, মনে হয়... আমি ধরে নিচ্ছি, আমরা তেলটা রেখে দেব।’
মেরিটাইম রিস্ক অর্গানাইজেশন সংস্থা ভ্যানগার্ড টেক জাহাজটিকে স্কিপার নামে শনাক্ত করেছে এবং তাদের বিশ্বাস, জাহাজটি দীর্ঘদিন ধরে নিজের অবস্থান ‘স্পুফিং’ বা মিথ্যা অবস্থান প্রচার করে আসছিল। সিবিএসের খবর অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ ও ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জন্য রাজস্ব তৈরি করা কথিত তেল পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে মার্কিন ট্রেজারি দপ্তর ২০২২ সালে স্কিপারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকা আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
২৩ অক্টোবর ২০২৫
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে একটি হাসপাতালে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই হাসপাতালে ভর্তি রোগী। এ ঘটনায় ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিং-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশানা করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা থেকেছে সাজা ও বিচার-মুক্ত।
৩ ঘণ্টা আগে