মোজাহিদুল ইসলাম, ঢাকা

ভোটে জিতলেও ক্ষমতা গ্রহণ করতে প্রায় আড়াই মাস বাকি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে গতকাল বুধবার বিজয় ভাষণে সরকার কেমন হবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ভাষণে উঠে এসেছে যুদ্ধ বন্ধের কথা। উঠে এসেছে কঠোর অভিবাসন নীতির কথাও। এতে ট্রাম্প মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মার্কিন নীতির খোলনলচে বদলে দেবেন তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা ইউক্রেন যুদ্ধে যেভাবে প্রভাব ফেলবে, গাজা যুদ্ধে সেই প্রভাব ফেলবে না। অর্থাৎ ফিলিস্তিনিদের জন্য খুব একটা সুখবর নেই ট্রাম্পের জয়ে। এদিকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলে যাওয়া, ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কে অস্বস্তি, ভারত ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কে অস্বস্তির ইঙ্গিতও দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
গতকাল ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষত সারিয়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি এ-ও বলেছেন, তাঁর আমল হবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণযুগ। বললেন, ‘আমরা আমাদের সীমান্ত নিয়ে সব সমস্যার সমাধান করব।’
কঠোর হবে অভিবাসন নীতি
ট্রাম্প তাঁর ভাষণে অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগির সীমান্ত একেবারে বন্ধ করব।’ এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসী ঢোকার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে গেছে। অবৈধভাবে যারা প্রবেশ করেছে, তাদের বের করে দেওয়া হবে।
অবৈধ অভিবাসন নিয়ে বরাবরই সরব ছিলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প লাখ লাখ মানুষকে ফিরিয়ে দেবেন তাদের নিজ দেশে। এর অর্থ হলো, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলবে। মেক্সিকো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া আরও দীর্ঘ হবে।
যুদ্ধে বন্ধের ইঙ্গিত
অভিবাসনের পরই ট্রাম্পের বক্তব্যে আসে যুদ্ধ প্রসঙ্গ। যুক্তরাষ্ট্রের কী কী সম্পদ আছে, সেসব ফিরিস্তি দিতে গিয়ে সামরিক বাহিনীর প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, ‘আমাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী আছে। আমার (আগের) চার বছরে সামরিক বাহিনী ব্যবহার করিনি। ওই সময়ে কোনো যুদ্ধ ছিল না। আমি যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, সেই সময় শুধু আইএসের (জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন-গাজা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত, ন্যাটো দুর্বল হতে পারে
এবিসি নিউজের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় ফিরে আসায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি বড় রদবদল হতে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ব্যাপক সামরিক ও আর্থিক সহায়তা যাচ্ছে ইউক্রেনে। এ কারণেই রাশিয়াকে ঠেকিয়ে রাখতে পারছে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশ। অথচ ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যই নয়।
এদিকে ন্যাটোর সবচেয়ে বড় আর্থিক জোগানদাতা যুক্তরাষ্ট্র। আর ট্রাম্প বারবার এই জোট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, জোটের অন্য দেশগুলোর যে পরিমাণ তহবিল সরবরাহ করা উচিত, তারা তা দেয় না। অর্থাৎ ট্রাম্প এবার ক্ষমতায় বসলে ন্যাটোয় হয় মার্কিন অর্থায়ন কমবে, না হয় অন্য সদস্যরা তহবিল সরবরাহ বাড়াতে বাধ্য হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ এলেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির প্রসঙ্গ আসে। এবিসি বলছে, ট্রাম্প-পুতিনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। ট্রাম্প এটা স্বীকারও করেছেন। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সিএনএনকে ২০২৩ সালের মে মাসে ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, ‘যুদ্ধে রুশ-ইউক্রেনীয়—সবাই মরছে। এই মৃত্যু বন্ধ করতে চাই। আমি এটা করব। এটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করতে পারব।’ এ জন্য পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসার ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি।
বিবিসির বিশ্লেষণ বলছে, গত মে মাসে ট্রাম্পের সাবেক দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টা এক গবেষণা প্রবন্ধে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া। তবে একই সঙ্গে জেলেনস্কি যাতে পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসেন, সেটাও নিশ্চিত করা উচিত।
গাজার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। আব্রাহাম অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন করে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হয়েছিল। বিবিসি বলছে, এর মধ্য দিয়ে তিনি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়েছেন। তবে ফিলিস্তিনের কোনো সুবিধা হয়নি। ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্পকে বর্জন করেছিল। এদিকে বাইডেনের ইসরায়েল নীতির কারণে ফিলিস্তিনিদের পরিণতি হয়েছে আরও ভয়ংকর। যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রে মারা পড়েছে তারা। ফলে ট্রাম্প কিংবা বাইডেন—কেউই ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যবদলের পথে হাঁটেননি।
এবার ট্রাম্প যুদ্ধ থামানোর কথা বলছেন। নির্বাচনের আগে তিনি দাবি করেছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করত না। কারণ, তিনি ইরানের ওপর আরও চাপ দিতেন। ধারণা করা হচ্ছে, এবার তিনি তা-ই করবেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে তা যুদ্ধে আরও বেশি প্রভাব ফেলবে। এতে যুদ্ধ আরও তীব্র হতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভালো বন্ধু ট্রাম্প। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ট্রাম্পের আমলে তিনি আসলে সবই করতে পারবেন। তবে বিবিসি বলছে, ট্রাম্পের এমন নীতির কারণে মধ্যপ্রাচ্য আরও অস্থিতিশীল হতে পারে।
জলবায়ু তহবিলে বাজে প্রভাব
ট্রাম্প সব সময় জলবায়ু পরিবর্তনকে অগ্রাহ্য করেছেন। এ নিয়ে প্রচারকে ‘মিথ্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিভিন্ন সময়। তাঁর আমলে ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবারের নির্বাচনী প্রচারেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তিনি একই কথা বলেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় গেলে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে করা আইন বাতিল করবেন।
ইউরোপ-চীনের স্বস্তি-অস্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কাছের মিত্র ইউরোপ। ট্রাম্পের আগের আমল পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বিভিন্ন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঠোকাঠুকি লেগে ছিল তাঁর প্রশাসনের। একসময় ন্যাটোর ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এবারও সেই শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ফলে ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সময়ের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনা করা হয় চীনকে। বাইডেন প্রশাসন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জটিলতর করেছে। এর জেরে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে মহড়াও চালিয়েছে চীন। এখন তাইওয়ান ইস্যুতে চীন হয়তো খানিকটা স্বস্তি পাবে। তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন বাহিনীকে ব্যবহার করে চীনকে হুমকি না দেওয়ার কথা বলেছেন ট্রাম্প। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘চীনের সি চিন পিং আমাকে সম্মান করেন এবং তিনি জানেন, আমি পাগলাটে।’
রয়টার্স বলছে, তবে চীনের জন্য দুঃসংবাদ হবে শুল্ক। এই শুল্কযুদ্ধ এর আগেও দেখেছে বিশ্ব। ট্রাম্প আবারও বাণিজ্যযুদ্ধের সেই পথে হাঁটার ঘোষণা দিয়েছেন।
বাণিজ্যে ভারতে অস্বস্তি
বাইডেন সরকারকে নিয়ে খানিকটা অস্বস্তিতে ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের অভিযোগে সম্প্রতি ভারতের ১৯ প্রতিষ্ঠান ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এদিকে মোদি-ট্রাম্পের বন্ধুত্বের নজিরও আছে। সেটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিংবা রাজনৈতিক সম্পর্ক খানিকটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার আভাস পেতেই গতকাল তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি। তবে বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতের জন্য খুব বেশি সুখবর নেই। ‘সবার আগে আমেরিকা’ নীতির কারণে অন্যান্য দেশের মতো ভারতীয় পণ্যেও শুল্ক বাড়বে। খোদ ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিও এ নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে ভারতীয়দের সুবিধাও কমে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি।

ভোটে জিতলেও ক্ষমতা গ্রহণ করতে প্রায় আড়াই মাস বাকি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে গতকাল বুধবার বিজয় ভাষণে সরকার কেমন হবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ভাষণে উঠে এসেছে যুদ্ধ বন্ধের কথা। উঠে এসেছে কঠোর অভিবাসন নীতির কথাও। এতে ট্রাম্প মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মার্কিন নীতির খোলনলচে বদলে দেবেন তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা ইউক্রেন যুদ্ধে যেভাবে প্রভাব ফেলবে, গাজা যুদ্ধে সেই প্রভাব ফেলবে না। অর্থাৎ ফিলিস্তিনিদের জন্য খুব একটা সুখবর নেই ট্রাম্পের জয়ে। এদিকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলে যাওয়া, ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কে অস্বস্তি, ভারত ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কে অস্বস্তির ইঙ্গিতও দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
গতকাল ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষত সারিয়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি এ-ও বলেছেন, তাঁর আমল হবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণযুগ। বললেন, ‘আমরা আমাদের সীমান্ত নিয়ে সব সমস্যার সমাধান করব।’
কঠোর হবে অভিবাসন নীতি
ট্রাম্প তাঁর ভাষণে অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগির সীমান্ত একেবারে বন্ধ করব।’ এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসী ঢোকার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে গেছে। অবৈধভাবে যারা প্রবেশ করেছে, তাদের বের করে দেওয়া হবে।
অবৈধ অভিবাসন নিয়ে বরাবরই সরব ছিলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প লাখ লাখ মানুষকে ফিরিয়ে দেবেন তাদের নিজ দেশে। এর অর্থ হলো, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলবে। মেক্সিকো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া আরও দীর্ঘ হবে।
যুদ্ধে বন্ধের ইঙ্গিত
অভিবাসনের পরই ট্রাম্পের বক্তব্যে আসে যুদ্ধ প্রসঙ্গ। যুক্তরাষ্ট্রের কী কী সম্পদ আছে, সেসব ফিরিস্তি দিতে গিয়ে সামরিক বাহিনীর প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, ‘আমাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী আছে। আমার (আগের) চার বছরে সামরিক বাহিনী ব্যবহার করিনি। ওই সময়ে কোনো যুদ্ধ ছিল না। আমি যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, সেই সময় শুধু আইএসের (জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন-গাজা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত, ন্যাটো দুর্বল হতে পারে
এবিসি নিউজের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় ফিরে আসায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি বড় রদবদল হতে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ব্যাপক সামরিক ও আর্থিক সহায়তা যাচ্ছে ইউক্রেনে। এ কারণেই রাশিয়াকে ঠেকিয়ে রাখতে পারছে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশ। অথচ ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যই নয়।
এদিকে ন্যাটোর সবচেয়ে বড় আর্থিক জোগানদাতা যুক্তরাষ্ট্র। আর ট্রাম্প বারবার এই জোট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, জোটের অন্য দেশগুলোর যে পরিমাণ তহবিল সরবরাহ করা উচিত, তারা তা দেয় না। অর্থাৎ ট্রাম্প এবার ক্ষমতায় বসলে ন্যাটোয় হয় মার্কিন অর্থায়ন কমবে, না হয় অন্য সদস্যরা তহবিল সরবরাহ বাড়াতে বাধ্য হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ এলেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির প্রসঙ্গ আসে। এবিসি বলছে, ট্রাম্প-পুতিনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। ট্রাম্প এটা স্বীকারও করেছেন। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সিএনএনকে ২০২৩ সালের মে মাসে ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, ‘যুদ্ধে রুশ-ইউক্রেনীয়—সবাই মরছে। এই মৃত্যু বন্ধ করতে চাই। আমি এটা করব। এটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করতে পারব।’ এ জন্য পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসার ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি।
বিবিসির বিশ্লেষণ বলছে, গত মে মাসে ট্রাম্পের সাবেক দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টা এক গবেষণা প্রবন্ধে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া। তবে একই সঙ্গে জেলেনস্কি যাতে পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসেন, সেটাও নিশ্চিত করা উচিত।
গাজার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। আব্রাহাম অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন করে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হয়েছিল। বিবিসি বলছে, এর মধ্য দিয়ে তিনি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়েছেন। তবে ফিলিস্তিনের কোনো সুবিধা হয়নি। ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্পকে বর্জন করেছিল। এদিকে বাইডেনের ইসরায়েল নীতির কারণে ফিলিস্তিনিদের পরিণতি হয়েছে আরও ভয়ংকর। যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রে মারা পড়েছে তারা। ফলে ট্রাম্প কিংবা বাইডেন—কেউই ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যবদলের পথে হাঁটেননি।
এবার ট্রাম্প যুদ্ধ থামানোর কথা বলছেন। নির্বাচনের আগে তিনি দাবি করেছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করত না। কারণ, তিনি ইরানের ওপর আরও চাপ দিতেন। ধারণা করা হচ্ছে, এবার তিনি তা-ই করবেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে তা যুদ্ধে আরও বেশি প্রভাব ফেলবে। এতে যুদ্ধ আরও তীব্র হতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভালো বন্ধু ট্রাম্প। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ট্রাম্পের আমলে তিনি আসলে সবই করতে পারবেন। তবে বিবিসি বলছে, ট্রাম্পের এমন নীতির কারণে মধ্যপ্রাচ্য আরও অস্থিতিশীল হতে পারে।
জলবায়ু তহবিলে বাজে প্রভাব
ট্রাম্প সব সময় জলবায়ু পরিবর্তনকে অগ্রাহ্য করেছেন। এ নিয়ে প্রচারকে ‘মিথ্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিভিন্ন সময়। তাঁর আমলে ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবারের নির্বাচনী প্রচারেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তিনি একই কথা বলেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় গেলে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে করা আইন বাতিল করবেন।
ইউরোপ-চীনের স্বস্তি-অস্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কাছের মিত্র ইউরোপ। ট্রাম্পের আগের আমল পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বিভিন্ন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঠোকাঠুকি লেগে ছিল তাঁর প্রশাসনের। একসময় ন্যাটোর ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এবারও সেই শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ফলে ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সময়ের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনা করা হয় চীনকে। বাইডেন প্রশাসন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জটিলতর করেছে। এর জেরে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে মহড়াও চালিয়েছে চীন। এখন তাইওয়ান ইস্যুতে চীন হয়তো খানিকটা স্বস্তি পাবে। তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন বাহিনীকে ব্যবহার করে চীনকে হুমকি না দেওয়ার কথা বলেছেন ট্রাম্প। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘চীনের সি চিন পিং আমাকে সম্মান করেন এবং তিনি জানেন, আমি পাগলাটে।’
রয়টার্স বলছে, তবে চীনের জন্য দুঃসংবাদ হবে শুল্ক। এই শুল্কযুদ্ধ এর আগেও দেখেছে বিশ্ব। ট্রাম্প আবারও বাণিজ্যযুদ্ধের সেই পথে হাঁটার ঘোষণা দিয়েছেন।
বাণিজ্যে ভারতে অস্বস্তি
বাইডেন সরকারকে নিয়ে খানিকটা অস্বস্তিতে ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের অভিযোগে সম্প্রতি ভারতের ১৯ প্রতিষ্ঠান ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এদিকে মোদি-ট্রাম্পের বন্ধুত্বের নজিরও আছে। সেটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিংবা রাজনৈতিক সম্পর্ক খানিকটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার আভাস পেতেই গতকাল তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি। তবে বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতের জন্য খুব বেশি সুখবর নেই। ‘সবার আগে আমেরিকা’ নীতির কারণে অন্যান্য দেশের মতো ভারতীয় পণ্যেও শুল্ক বাড়বে। খোদ ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিও এ নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে ভারতীয়দের সুবিধাও কমে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি।
মোজাহিদুল ইসলাম, ঢাকা

ভোটে জিতলেও ক্ষমতা গ্রহণ করতে প্রায় আড়াই মাস বাকি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে গতকাল বুধবার বিজয় ভাষণে সরকার কেমন হবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ভাষণে উঠে এসেছে যুদ্ধ বন্ধের কথা। উঠে এসেছে কঠোর অভিবাসন নীতির কথাও। এতে ট্রাম্প মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মার্কিন নীতির খোলনলচে বদলে দেবেন তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা ইউক্রেন যুদ্ধে যেভাবে প্রভাব ফেলবে, গাজা যুদ্ধে সেই প্রভাব ফেলবে না। অর্থাৎ ফিলিস্তিনিদের জন্য খুব একটা সুখবর নেই ট্রাম্পের জয়ে। এদিকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলে যাওয়া, ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কে অস্বস্তি, ভারত ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কে অস্বস্তির ইঙ্গিতও দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
গতকাল ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষত সারিয়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি এ-ও বলেছেন, তাঁর আমল হবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণযুগ। বললেন, ‘আমরা আমাদের সীমান্ত নিয়ে সব সমস্যার সমাধান করব।’
কঠোর হবে অভিবাসন নীতি
ট্রাম্প তাঁর ভাষণে অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগির সীমান্ত একেবারে বন্ধ করব।’ এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসী ঢোকার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে গেছে। অবৈধভাবে যারা প্রবেশ করেছে, তাদের বের করে দেওয়া হবে।
অবৈধ অভিবাসন নিয়ে বরাবরই সরব ছিলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প লাখ লাখ মানুষকে ফিরিয়ে দেবেন তাদের নিজ দেশে। এর অর্থ হলো, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলবে। মেক্সিকো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া আরও দীর্ঘ হবে।
যুদ্ধে বন্ধের ইঙ্গিত
অভিবাসনের পরই ট্রাম্পের বক্তব্যে আসে যুদ্ধ প্রসঙ্গ। যুক্তরাষ্ট্রের কী কী সম্পদ আছে, সেসব ফিরিস্তি দিতে গিয়ে সামরিক বাহিনীর প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, ‘আমাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী আছে। আমার (আগের) চার বছরে সামরিক বাহিনী ব্যবহার করিনি। ওই সময়ে কোনো যুদ্ধ ছিল না। আমি যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, সেই সময় শুধু আইএসের (জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন-গাজা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত, ন্যাটো দুর্বল হতে পারে
এবিসি নিউজের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় ফিরে আসায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি বড় রদবদল হতে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ব্যাপক সামরিক ও আর্থিক সহায়তা যাচ্ছে ইউক্রেনে। এ কারণেই রাশিয়াকে ঠেকিয়ে রাখতে পারছে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশ। অথচ ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যই নয়।
এদিকে ন্যাটোর সবচেয়ে বড় আর্থিক জোগানদাতা যুক্তরাষ্ট্র। আর ট্রাম্প বারবার এই জোট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, জোটের অন্য দেশগুলোর যে পরিমাণ তহবিল সরবরাহ করা উচিত, তারা তা দেয় না। অর্থাৎ ট্রাম্প এবার ক্ষমতায় বসলে ন্যাটোয় হয় মার্কিন অর্থায়ন কমবে, না হয় অন্য সদস্যরা তহবিল সরবরাহ বাড়াতে বাধ্য হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ এলেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির প্রসঙ্গ আসে। এবিসি বলছে, ট্রাম্প-পুতিনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। ট্রাম্প এটা স্বীকারও করেছেন। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সিএনএনকে ২০২৩ সালের মে মাসে ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, ‘যুদ্ধে রুশ-ইউক্রেনীয়—সবাই মরছে। এই মৃত্যু বন্ধ করতে চাই। আমি এটা করব। এটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করতে পারব।’ এ জন্য পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসার ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি।
বিবিসির বিশ্লেষণ বলছে, গত মে মাসে ট্রাম্পের সাবেক দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টা এক গবেষণা প্রবন্ধে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া। তবে একই সঙ্গে জেলেনস্কি যাতে পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসেন, সেটাও নিশ্চিত করা উচিত।
গাজার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। আব্রাহাম অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন করে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হয়েছিল। বিবিসি বলছে, এর মধ্য দিয়ে তিনি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়েছেন। তবে ফিলিস্তিনের কোনো সুবিধা হয়নি। ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্পকে বর্জন করেছিল। এদিকে বাইডেনের ইসরায়েল নীতির কারণে ফিলিস্তিনিদের পরিণতি হয়েছে আরও ভয়ংকর। যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রে মারা পড়েছে তারা। ফলে ট্রাম্প কিংবা বাইডেন—কেউই ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যবদলের পথে হাঁটেননি।
এবার ট্রাম্প যুদ্ধ থামানোর কথা বলছেন। নির্বাচনের আগে তিনি দাবি করেছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করত না। কারণ, তিনি ইরানের ওপর আরও চাপ দিতেন। ধারণা করা হচ্ছে, এবার তিনি তা-ই করবেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে তা যুদ্ধে আরও বেশি প্রভাব ফেলবে। এতে যুদ্ধ আরও তীব্র হতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভালো বন্ধু ট্রাম্প। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ট্রাম্পের আমলে তিনি আসলে সবই করতে পারবেন। তবে বিবিসি বলছে, ট্রাম্পের এমন নীতির কারণে মধ্যপ্রাচ্য আরও অস্থিতিশীল হতে পারে।
জলবায়ু তহবিলে বাজে প্রভাব
ট্রাম্প সব সময় জলবায়ু পরিবর্তনকে অগ্রাহ্য করেছেন। এ নিয়ে প্রচারকে ‘মিথ্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিভিন্ন সময়। তাঁর আমলে ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবারের নির্বাচনী প্রচারেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তিনি একই কথা বলেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় গেলে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে করা আইন বাতিল করবেন।
ইউরোপ-চীনের স্বস্তি-অস্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কাছের মিত্র ইউরোপ। ট্রাম্পের আগের আমল পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বিভিন্ন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঠোকাঠুকি লেগে ছিল তাঁর প্রশাসনের। একসময় ন্যাটোর ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এবারও সেই শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ফলে ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সময়ের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনা করা হয় চীনকে। বাইডেন প্রশাসন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জটিলতর করেছে। এর জেরে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে মহড়াও চালিয়েছে চীন। এখন তাইওয়ান ইস্যুতে চীন হয়তো খানিকটা স্বস্তি পাবে। তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন বাহিনীকে ব্যবহার করে চীনকে হুমকি না দেওয়ার কথা বলেছেন ট্রাম্প। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘চীনের সি চিন পিং আমাকে সম্মান করেন এবং তিনি জানেন, আমি পাগলাটে।’
রয়টার্স বলছে, তবে চীনের জন্য দুঃসংবাদ হবে শুল্ক। এই শুল্কযুদ্ধ এর আগেও দেখেছে বিশ্ব। ট্রাম্প আবারও বাণিজ্যযুদ্ধের সেই পথে হাঁটার ঘোষণা দিয়েছেন।
বাণিজ্যে ভারতে অস্বস্তি
বাইডেন সরকারকে নিয়ে খানিকটা অস্বস্তিতে ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের অভিযোগে সম্প্রতি ভারতের ১৯ প্রতিষ্ঠান ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এদিকে মোদি-ট্রাম্পের বন্ধুত্বের নজিরও আছে। সেটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিংবা রাজনৈতিক সম্পর্ক খানিকটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার আভাস পেতেই গতকাল তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি। তবে বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতের জন্য খুব বেশি সুখবর নেই। ‘সবার আগে আমেরিকা’ নীতির কারণে অন্যান্য দেশের মতো ভারতীয় পণ্যেও শুল্ক বাড়বে। খোদ ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিও এ নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে ভারতীয়দের সুবিধাও কমে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি।

ভোটে জিতলেও ক্ষমতা গ্রহণ করতে প্রায় আড়াই মাস বাকি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে গতকাল বুধবার বিজয় ভাষণে সরকার কেমন হবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ভাষণে উঠে এসেছে যুদ্ধ বন্ধের কথা। উঠে এসেছে কঠোর অভিবাসন নীতির কথাও। এতে ট্রাম্প মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মার্কিন নীতির খোলনলচে বদলে দেবেন তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা ইউক্রেন যুদ্ধে যেভাবে প্রভাব ফেলবে, গাজা যুদ্ধে সেই প্রভাব ফেলবে না। অর্থাৎ ফিলিস্তিনিদের জন্য খুব একটা সুখবর নেই ট্রাম্পের জয়ে। এদিকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলে যাওয়া, ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কে অস্বস্তি, ভারত ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কে অস্বস্তির ইঙ্গিতও দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
গতকাল ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষত সারিয়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি এ-ও বলেছেন, তাঁর আমল হবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণযুগ। বললেন, ‘আমরা আমাদের সীমান্ত নিয়ে সব সমস্যার সমাধান করব।’
কঠোর হবে অভিবাসন নীতি
ট্রাম্প তাঁর ভাষণে অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগির সীমান্ত একেবারে বন্ধ করব।’ এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসী ঢোকার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে গেছে। অবৈধভাবে যারা প্রবেশ করেছে, তাদের বের করে দেওয়া হবে।
অবৈধ অভিবাসন নিয়ে বরাবরই সরব ছিলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প লাখ লাখ মানুষকে ফিরিয়ে দেবেন তাদের নিজ দেশে। এর অর্থ হলো, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলবে। মেক্সিকো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া আরও দীর্ঘ হবে।
যুদ্ধে বন্ধের ইঙ্গিত
অভিবাসনের পরই ট্রাম্পের বক্তব্যে আসে যুদ্ধ প্রসঙ্গ। যুক্তরাষ্ট্রের কী কী সম্পদ আছে, সেসব ফিরিস্তি দিতে গিয়ে সামরিক বাহিনীর প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, ‘আমাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী আছে। আমার (আগের) চার বছরে সামরিক বাহিনী ব্যবহার করিনি। ওই সময়ে কোনো যুদ্ধ ছিল না। আমি যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, সেই সময় শুধু আইএসের (জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন-গাজা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত, ন্যাটো দুর্বল হতে পারে
এবিসি নিউজের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় ফিরে আসায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি বড় রদবদল হতে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ব্যাপক সামরিক ও আর্থিক সহায়তা যাচ্ছে ইউক্রেনে। এ কারণেই রাশিয়াকে ঠেকিয়ে রাখতে পারছে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশ। অথচ ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যই নয়।
এদিকে ন্যাটোর সবচেয়ে বড় আর্থিক জোগানদাতা যুক্তরাষ্ট্র। আর ট্রাম্প বারবার এই জোট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, জোটের অন্য দেশগুলোর যে পরিমাণ তহবিল সরবরাহ করা উচিত, তারা তা দেয় না। অর্থাৎ ট্রাম্প এবার ক্ষমতায় বসলে ন্যাটোয় হয় মার্কিন অর্থায়ন কমবে, না হয় অন্য সদস্যরা তহবিল সরবরাহ বাড়াতে বাধ্য হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ এলেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির প্রসঙ্গ আসে। এবিসি বলছে, ট্রাম্প-পুতিনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। ট্রাম্প এটা স্বীকারও করেছেন। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সিএনএনকে ২০২৩ সালের মে মাসে ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, ‘যুদ্ধে রুশ-ইউক্রেনীয়—সবাই মরছে। এই মৃত্যু বন্ধ করতে চাই। আমি এটা করব। এটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করতে পারব।’ এ জন্য পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসার ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি।
বিবিসির বিশ্লেষণ বলছে, গত মে মাসে ট্রাম্পের সাবেক দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টা এক গবেষণা প্রবন্ধে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া। তবে একই সঙ্গে জেলেনস্কি যাতে পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসেন, সেটাও নিশ্চিত করা উচিত।
গাজার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। আব্রাহাম অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন করে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হয়েছিল। বিবিসি বলছে, এর মধ্য দিয়ে তিনি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়েছেন। তবে ফিলিস্তিনের কোনো সুবিধা হয়নি। ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্পকে বর্জন করেছিল। এদিকে বাইডেনের ইসরায়েল নীতির কারণে ফিলিস্তিনিদের পরিণতি হয়েছে আরও ভয়ংকর। যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রে মারা পড়েছে তারা। ফলে ট্রাম্প কিংবা বাইডেন—কেউই ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যবদলের পথে হাঁটেননি।
এবার ট্রাম্প যুদ্ধ থামানোর কথা বলছেন। নির্বাচনের আগে তিনি দাবি করেছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করত না। কারণ, তিনি ইরানের ওপর আরও চাপ দিতেন। ধারণা করা হচ্ছে, এবার তিনি তা-ই করবেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে তা যুদ্ধে আরও বেশি প্রভাব ফেলবে। এতে যুদ্ধ আরও তীব্র হতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভালো বন্ধু ট্রাম্প। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ট্রাম্পের আমলে তিনি আসলে সবই করতে পারবেন। তবে বিবিসি বলছে, ট্রাম্পের এমন নীতির কারণে মধ্যপ্রাচ্য আরও অস্থিতিশীল হতে পারে।
জলবায়ু তহবিলে বাজে প্রভাব
ট্রাম্প সব সময় জলবায়ু পরিবর্তনকে অগ্রাহ্য করেছেন। এ নিয়ে প্রচারকে ‘মিথ্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিভিন্ন সময়। তাঁর আমলে ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবারের নির্বাচনী প্রচারেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তিনি একই কথা বলেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় গেলে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে করা আইন বাতিল করবেন।
ইউরোপ-চীনের স্বস্তি-অস্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কাছের মিত্র ইউরোপ। ট্রাম্পের আগের আমল পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বিভিন্ন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঠোকাঠুকি লেগে ছিল তাঁর প্রশাসনের। একসময় ন্যাটোর ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এবারও সেই শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ফলে ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সময়ের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনা করা হয় চীনকে। বাইডেন প্রশাসন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জটিলতর করেছে। এর জেরে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে মহড়াও চালিয়েছে চীন। এখন তাইওয়ান ইস্যুতে চীন হয়তো খানিকটা স্বস্তি পাবে। তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন বাহিনীকে ব্যবহার করে চীনকে হুমকি না দেওয়ার কথা বলেছেন ট্রাম্প। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘চীনের সি চিন পিং আমাকে সম্মান করেন এবং তিনি জানেন, আমি পাগলাটে।’
রয়টার্স বলছে, তবে চীনের জন্য দুঃসংবাদ হবে শুল্ক। এই শুল্কযুদ্ধ এর আগেও দেখেছে বিশ্ব। ট্রাম্প আবারও বাণিজ্যযুদ্ধের সেই পথে হাঁটার ঘোষণা দিয়েছেন।
বাণিজ্যে ভারতে অস্বস্তি
বাইডেন সরকারকে নিয়ে খানিকটা অস্বস্তিতে ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের অভিযোগে সম্প্রতি ভারতের ১৯ প্রতিষ্ঠান ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এদিকে মোদি-ট্রাম্পের বন্ধুত্বের নজিরও আছে। সেটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিংবা রাজনৈতিক সম্পর্ক খানিকটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার আভাস পেতেই গতকাল তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি। তবে বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতের জন্য খুব বেশি সুখবর নেই। ‘সবার আগে আমেরিকা’ নীতির কারণে অন্যান্য দেশের মতো ভারতীয় পণ্যেও শুল্ক বাড়বে। খোদ ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিও এ নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে ভারতীয়দের সুবিধাও কমে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি।

ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পথ সুগম করতে তুরস্ক রাশিয়ার কাছে তাদের সরবরাহ করা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
৫ ঘণ্টা আগে
গাজার সমুদ্রতীরবর্তী গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই উপত্যকার পুনর্গঠন কাজে ব্যয় করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচনা করেছে। সাবেক এক পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে কর্মরত এক পশ্চিমা ও এক আরব কর্মকর্তা লন্ডন থেকে প্রকাশিত...
৬ ঘণ্টা আগে
সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ বহিষ্কার করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে নেতারা সিদ্ধান্ত নেন, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ আপাতত ব্যবহার না করে বরং পুঁজিবাজার থেকে অর্থ ধার করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা তহবিলের জোগান দেওয়া হবে। কূটনীতিকদের ভাষ্যমতে, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নানা আইনি ও রাজনৈতিক জটিলতা কাটানোর চেষ্টা চলেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তোনিও কস্তা লিখেছেন, ‘চুক্তি হয়ে গেছে। ২০২৬-২৭ সালের জন্য ইউক্রেনকে প্রায় ১০৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হলো। আমরা কথা দিয়েছিলাম, আমরা তা রেখেছি।’
তহবিলের উৎস নিয়ে কস্তা বিস্তারিত কিছু না জানালেও রয়টার্সের কাছে আসা এক খসড়া নথি বলছে, এই অর্থ আসবে সরাসরি পুঁজিবাজার থেকে এবং এর নিশ্চয়তা থাকবে ইইউ বাজেটের ওপর। রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহারের যে বিতর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে আগে আলোচনা হচ্ছিল, তা থেকে আপাতত সরে আসা হয়েছে। তবে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদকে ভিত্তি করে কোনো ঋণ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সরকারগুলোর মধ্যে আলোচনা চলবে।
এই চুক্তিতে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের ওপর কোনো আর্থিক দায় চাপানো হয়নি। কারণ দেশগুলো এই অর্থায়নে অংশ নিতে রাজি ছিল না। শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেন এই ঋণ তখনই শোধ করবে যখন তারা মস্কোর কাছ থেকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বা ‘ওয়ার রিপারেশন’ পাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ার সম্পদগুলো অচল অবস্থায় পড়ে থাকবে। তবে প্রয়োজনে সেই সম্পদ থেকে ঋণ শোধ করার অধিকারও ইইউ নিজের হাতে রেখেছে।
এক ইইউ কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য অন্তত আগামী দুই বছরের অর্থের সংস্থান নিশ্চিত হওয়াটা একটা ইতিবাচক দিক।’ তবে অন্য একজন কূটনীতিকের মন্তব্য ছিল খানিকটা তির্যক। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ইউক্রেনকে বাঁচানোর চেয়ে বরং নিজেদের মান বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’
রাশিয়ার টাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বেলজিয়াম। রাশিয়ার জব্দ করা ২১০ বিলিয়ন ইউরোর মধ্যে ১৮৫ বিলিয়ন ইউরোই আছে বেলজিয়ামের ইউরোক্লিয়ার নামক প্রতিষ্ঠানে। মস্কোর আইনি ও আর্থিক পাল্টা আঘাতের ভয়ে বেলজিয়াম সরকার বেশ আতঙ্কিত ছিল। ক্রেমলিন আগেই জানিয়ে রেখেছে, তাদের সম্পদ ধরা হলে তারা আদালতে যাবে এবং রাশিয়ায় থাকা বিদেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবে।
এই বৈঠকের আগে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস সতর্ক করে বলেছিলেন, চুক্তির সম্ভাবনা ছিল ‘ফিফটি-ফিফটি।’ বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ওয়েভারও আইনি ও আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন অন্য ইইউ দেশগুলো যেন সম্ভাব্য সব ক্ষতির দায়ভার নিতে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়।
শুক্রবার সকালে অবশ্য ডি ওয়েভার বেশ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার থেকে ঋণ নেওয়ার এই সিদ্ধান্তের ফলে ইইউ দেশগুলোর মধ্যে অন্তত বড় কোনো ‘বিশৃঙ্খলা বা বিভাজন’ তৈরি হয়নি।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই সম্পদ ব্যবহারের যেকোনো চেষ্টা হলে তারা ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করবে। বিশ্লেষক ক্রিস উইফার মনে করেন, মস্কো বিষয়টিকে একটি ‘আর্থিক যুদ্ধ’ হিসেবে দেখবে এবং কড়া প্রতিশোধ নেবে। তিনি বলেন, অনেক ইইউ রাষ্ট্রই এখন সরাসরি ইউক্রেনকে অর্থ দিতে হিমশিম খাচ্ছে, তাই তারা মরিয়া হয়ে বিকল্প কোনো উৎসের সন্ধান করছে।

ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে নেতারা সিদ্ধান্ত নেন, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ আপাতত ব্যবহার না করে বরং পুঁজিবাজার থেকে অর্থ ধার করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা তহবিলের জোগান দেওয়া হবে। কূটনীতিকদের ভাষ্যমতে, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নানা আইনি ও রাজনৈতিক জটিলতা কাটানোর চেষ্টা চলেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তোনিও কস্তা লিখেছেন, ‘চুক্তি হয়ে গেছে। ২০২৬-২৭ সালের জন্য ইউক্রেনকে প্রায় ১০৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হলো। আমরা কথা দিয়েছিলাম, আমরা তা রেখেছি।’
তহবিলের উৎস নিয়ে কস্তা বিস্তারিত কিছু না জানালেও রয়টার্সের কাছে আসা এক খসড়া নথি বলছে, এই অর্থ আসবে সরাসরি পুঁজিবাজার থেকে এবং এর নিশ্চয়তা থাকবে ইইউ বাজেটের ওপর। রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহারের যে বিতর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে আগে আলোচনা হচ্ছিল, তা থেকে আপাতত সরে আসা হয়েছে। তবে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদকে ভিত্তি করে কোনো ঋণ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সরকারগুলোর মধ্যে আলোচনা চলবে।
এই চুক্তিতে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের ওপর কোনো আর্থিক দায় চাপানো হয়নি। কারণ দেশগুলো এই অর্থায়নে অংশ নিতে রাজি ছিল না। শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেন এই ঋণ তখনই শোধ করবে যখন তারা মস্কোর কাছ থেকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বা ‘ওয়ার রিপারেশন’ পাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ার সম্পদগুলো অচল অবস্থায় পড়ে থাকবে। তবে প্রয়োজনে সেই সম্পদ থেকে ঋণ শোধ করার অধিকারও ইইউ নিজের হাতে রেখেছে।
এক ইইউ কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য অন্তত আগামী দুই বছরের অর্থের সংস্থান নিশ্চিত হওয়াটা একটা ইতিবাচক দিক।’ তবে অন্য একজন কূটনীতিকের মন্তব্য ছিল খানিকটা তির্যক। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ইউক্রেনকে বাঁচানোর চেয়ে বরং নিজেদের মান বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’
রাশিয়ার টাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বেলজিয়াম। রাশিয়ার জব্দ করা ২১০ বিলিয়ন ইউরোর মধ্যে ১৮৫ বিলিয়ন ইউরোই আছে বেলজিয়ামের ইউরোক্লিয়ার নামক প্রতিষ্ঠানে। মস্কোর আইনি ও আর্থিক পাল্টা আঘাতের ভয়ে বেলজিয়াম সরকার বেশ আতঙ্কিত ছিল। ক্রেমলিন আগেই জানিয়ে রেখেছে, তাদের সম্পদ ধরা হলে তারা আদালতে যাবে এবং রাশিয়ায় থাকা বিদেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবে।
এই বৈঠকের আগে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস সতর্ক করে বলেছিলেন, চুক্তির সম্ভাবনা ছিল ‘ফিফটি-ফিফটি।’ বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ওয়েভারও আইনি ও আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন অন্য ইইউ দেশগুলো যেন সম্ভাব্য সব ক্ষতির দায়ভার নিতে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়।
শুক্রবার সকালে অবশ্য ডি ওয়েভার বেশ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার থেকে ঋণ নেওয়ার এই সিদ্ধান্তের ফলে ইইউ দেশগুলোর মধ্যে অন্তত বড় কোনো ‘বিশৃঙ্খলা বা বিভাজন’ তৈরি হয়নি।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই সম্পদ ব্যবহারের যেকোনো চেষ্টা হলে তারা ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করবে। বিশ্লেষক ক্রিস উইফার মনে করেন, মস্কো বিষয়টিকে একটি ‘আর্থিক যুদ্ধ’ হিসেবে দেখবে এবং কড়া প্রতিশোধ নেবে। তিনি বলেন, অনেক ইইউ রাষ্ট্রই এখন সরাসরি ইউক্রেনকে অর্থ দিতে হিমশিম খাচ্ছে, তাই তারা মরিয়া হয়ে বিকল্প কোনো উৎসের সন্ধান করছে।

ভোটে জিতলেও ক্ষমতা গ্রহণ করতে প্রায় আড়াই মাস বাকি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে গতকাল বুধবার বিজয় ভাষণে সরকার কেমন হবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ভাষণে উঠে এসেছে যুদ্ধ বন্ধের কথা। উঠে এসেছে কঠোর অভিবাসন নীতির কথাও। এতে ট্রাম্প মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মার্কিন নীতির খোল
০৭ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পথ সুগম করতে তুরস্ক রাশিয়ার কাছে তাদের সরবরাহ করা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
৫ ঘণ্টা আগে
গাজার সমুদ্রতীরবর্তী গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই উপত্যকার পুনর্গঠন কাজে ব্যয় করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচনা করেছে। সাবেক এক পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে কর্মরত এক পশ্চিমা ও এক আরব কর্মকর্তা লন্ডন থেকে প্রকাশিত...
৬ ঘণ্টা আগে
সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ বহিষ্কার করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পথ সুগম করতে তুরস্ক রাশিয়ার কাছে তাদের সরবরাহ করা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
গত বুধবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত সপ্তাহে তুর্কমেনিস্তান এক বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এই অনুরোধ করেন। রুশ ও তুর্কি কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনার পর এই শীর্ষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয়টি এমন এক সময়ে প্রকাশ্যে এল, যার কয়েক দিন আগে তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম বারাক জানান, আঙ্কারা এবং ওয়াশিংটন পুনরায় এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান উৎপাদন ব্যবস্থায় তুরস্কের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। বারাক এক পোস্টে লেখেন, ‘তুরস্কের এফ-৩৫ প্রোগ্রামে পুনরায় যোগদানের ইচ্ছা এবং তাদের কাছে থাকা রুশ নির্মিত এস-৪০০ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’
তুরস্ক কখনোই এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিজ বিমানবহরে যুক্ত করেনি, তবে ২০১৯ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার পর এই যুদ্ধবিমানের যৌথ উৎপাদন কর্মসূচি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল দেশটিকে। সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযান এবং গ্রিসের আকাশসীমা লঙ্ঘনের কারণে মার্কিন কংগ্রেস আগে থেকেই তুরস্কের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল এবং এই ক্রয়ের ফলে আঙ্কারার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২০২০ সালে এক প্রতিরক্ষা বিলে সংশোধনীর মাধ্যমে তুরস্ককে এফ-৩৫ দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছিল যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যদি নিশ্চিত করেন যে তুরস্কের কাছে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নেই, তাহলে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার ফলে মার্কিন ও তুর্কি প্রতিরক্ষা সংস্থার মধ্যে সহযোগিতাও স্থবির হয়ে পড়ে।
রাশিয়ার কাছে এস-৪০০ ফেরত নেওয়ার অনুরোধ এরদোয়ানের আগের অবস্থান থেকে এক বড় ধরনের প্যারাডাইম শিফট। আগে তুরস্ক চেয়েছিল এস-৪০০ নিজের কাছেই রাখতে (হয়তো অকেজো অবস্থায়) এবং সেই সঙ্গে এফ-৩৫ ক্রয় করতে। বিশ্লেষকদের মতে, একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে তুরস্ক এস-৪০০ কোনো গুদামে রাখবে এবং এটি ব্যবহার করবে না, যা ন্যাটো পরিদর্শকেরা নিয়মিত যাচাই করবেন। এর আগে তুরস্ক এই ব্যবস্থা অন্য কোনো দেশে পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। ট্রাম্প সিরিয়ার ইস্যুতে এবং গাজায় হামাসকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর ক্ষেত্রে তুরস্কের প্রভাবের ওপর নির্ভর করছেন। মার্কিন থিংকট্যাংক ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট অ্যারন স্টেইন এর আগে বলেছিলেন, ট্রাম্প তুরস্কের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘এফ-৩৫-এর প্রধান গ্রাহক হলো তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব। ট্রাম্প তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ বিক্রি করতে অত্যন্ত আগ্রহী। আমার ধারণা, তিনি প্রয়োজনে ইসরায়েলিদের আপত্তির বিরুদ্ধেও যেতে পারেন। ৪০টি জেটের অর্ডার অনেক বড় একটি বিষয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পথ সুগম করতে তুরস্ক রাশিয়ার কাছে তাদের সরবরাহ করা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
গত বুধবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত সপ্তাহে তুর্কমেনিস্তান এক বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এই অনুরোধ করেন। রুশ ও তুর্কি কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনার পর এই শীর্ষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয়টি এমন এক সময়ে প্রকাশ্যে এল, যার কয়েক দিন আগে তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম বারাক জানান, আঙ্কারা এবং ওয়াশিংটন পুনরায় এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান উৎপাদন ব্যবস্থায় তুরস্কের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। বারাক এক পোস্টে লেখেন, ‘তুরস্কের এফ-৩৫ প্রোগ্রামে পুনরায় যোগদানের ইচ্ছা এবং তাদের কাছে থাকা রুশ নির্মিত এস-৪০০ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’
তুরস্ক কখনোই এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিজ বিমানবহরে যুক্ত করেনি, তবে ২০১৯ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার পর এই যুদ্ধবিমানের যৌথ উৎপাদন কর্মসূচি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল দেশটিকে। সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযান এবং গ্রিসের আকাশসীমা লঙ্ঘনের কারণে মার্কিন কংগ্রেস আগে থেকেই তুরস্কের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল এবং এই ক্রয়ের ফলে আঙ্কারার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২০২০ সালে এক প্রতিরক্ষা বিলে সংশোধনীর মাধ্যমে তুরস্ককে এফ-৩৫ দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছিল যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যদি নিশ্চিত করেন যে তুরস্কের কাছে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নেই, তাহলে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার ফলে মার্কিন ও তুর্কি প্রতিরক্ষা সংস্থার মধ্যে সহযোগিতাও স্থবির হয়ে পড়ে।
রাশিয়ার কাছে এস-৪০০ ফেরত নেওয়ার অনুরোধ এরদোয়ানের আগের অবস্থান থেকে এক বড় ধরনের প্যারাডাইম শিফট। আগে তুরস্ক চেয়েছিল এস-৪০০ নিজের কাছেই রাখতে (হয়তো অকেজো অবস্থায়) এবং সেই সঙ্গে এফ-৩৫ ক্রয় করতে। বিশ্লেষকদের মতে, একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে তুরস্ক এস-৪০০ কোনো গুদামে রাখবে এবং এটি ব্যবহার করবে না, যা ন্যাটো পরিদর্শকেরা নিয়মিত যাচাই করবেন। এর আগে তুরস্ক এই ব্যবস্থা অন্য কোনো দেশে পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। ট্রাম্প সিরিয়ার ইস্যুতে এবং গাজায় হামাসকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর ক্ষেত্রে তুরস্কের প্রভাবের ওপর নির্ভর করছেন। মার্কিন থিংকট্যাংক ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট অ্যারন স্টেইন এর আগে বলেছিলেন, ট্রাম্প তুরস্কের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘এফ-৩৫-এর প্রধান গ্রাহক হলো তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব। ট্রাম্প তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ বিক্রি করতে অত্যন্ত আগ্রহী। আমার ধারণা, তিনি প্রয়োজনে ইসরায়েলিদের আপত্তির বিরুদ্ধেও যেতে পারেন। ৪০টি জেটের অর্ডার অনেক বড় একটি বিষয়।’

ভোটে জিতলেও ক্ষমতা গ্রহণ করতে প্রায় আড়াই মাস বাকি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে গতকাল বুধবার বিজয় ভাষণে সরকার কেমন হবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ভাষণে উঠে এসেছে যুদ্ধ বন্ধের কথা। উঠে এসেছে কঠোর অভিবাসন নীতির কথাও। এতে ট্রাম্প মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মার্কিন নীতির খোল
০৭ নভেম্বর ২০২৪
ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
গাজার সমুদ্রতীরবর্তী গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই উপত্যকার পুনর্গঠন কাজে ব্যয় করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচনা করেছে। সাবেক এক পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে কর্মরত এক পশ্চিমা ও এক আরব কর্মকর্তা লন্ডন থেকে প্রকাশিত...
৬ ঘণ্টা আগে
সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ বহিষ্কার করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজার সমুদ্রতীরবর্তী গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই উপত্যকার পুনর্গঠন কাজে ব্যয় করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচনা করেছে। সাবেক এক পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে কর্মরত এক পশ্চিমা ও এক আরব কর্মকর্তা লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই আলোচনা বিভিন্ন আঙ্গিকে হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রস্তাব হলো—আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এডনক) গাজার এখনো ব্যবহৃত হয়নি এমন গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মালিকানায় অংশ নেবে এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ গাজার পুনর্গঠনে ব্যয় করা হবে।
আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের আগেই যুক্তরাষ্ট্র গাজার যুদ্ধোত্তর যে পরিকল্পনা শুরু করেছিল, তার অধিকাংশের মতোই এখানেও কোনো চূড়ান্ত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। তবে সাবেক ওই পশ্চিমা কর্মকর্তা জানান, ডিসেম্বরে গাজার গ্যাস থেকে অর্থ উপার্জনের ধারণাটি পুনরায় আলোচনায় আসে।
২০০০ সালে গাজার সামুদ্রিক এলাকায় গ্যাস আবিষ্কৃত হয়। এই গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নের অধিকার দুটি প্রতিষ্ঠানের হাতে রয়েছে: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সার্বভৌম তহবিল প্যালেস্টাইন ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম এবং কনসোলিডেটেড কন্ট্রাক্টরস কোম্পানি। এটি একটি নির্মাণ ও জ্বালানি গোষ্ঠী, যার মালিক গ্রিসভিত্তিক এক প্রবাসী ফিলিস্তিনি পরিবার।
এই প্রকল্পের প্রায় ৪৫ শতাংশ মালিকানা একজন আন্তর্জাতিক অংশীদারের জন্য সংরক্ষিত। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলা এবং পরবর্তী যুদ্ধের আগে মিসর এই মালিকানায় অংশ নিতে আগ্রহী ছিল। জাতিসংঘ বর্তমান এই যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় গ্যাস বিশেষজ্ঞ এবং দ্য গাজা মেরিন স্টোরি বইয়ের লেখক মাইকেল ব্যারন বলেন, ‘প্রকল্পটি বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত লাভজনক।’
ব্যারন যখন ১৫ বছর আগে এই প্রকল্পে কাজ করেছিলেন, তখন গ্যাসক্ষেত্রটি উন্নয়নের খরচ ধরা হয়েছিল ৭৫ কোটি ডলার। এটি থেকে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার আয় হওয়ার কথা ছিল, যার মধ্যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ১৫ বছর ধরে বছরে ১০ কোটি ডলার করে লভ্যাংশ পেত। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এটি ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। এর উন্নয়ন পুনর্গঠন কাজে বড় অবদান রাখতে পারে।’
জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী, গাজার পূর্ণ পুনর্গঠন খরচ অনেক বেশি—প্রায় ৭ হাজার কোটি ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এই উপত্যকাকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্নির্মাণের ধারেকাছেও নেই। বরং ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের ঘনিষ্ঠ একদল মার্কিন প্রতিনিধি ইসরায়েল-অধিকৃত গাজার অর্ধাংশে অস্থায়ী আবাসন নির্মাণের একটি ছোট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।
সাবেক পশ্চিমা কর্মকর্তা জানান, তিনি মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর উচ্চপদস্থ কূটনীতিকদের সাথে কথা বলেছেন। তারা সবাই গাজাকে বিভক্ত রাখার এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন। ট্রাম্পের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনাটিও থমকে আছে, কারণ আরব ও মুসলিম দেশগুলো হামাস এবং ইসরায়েলি সেনাদের মাঝখানে পড়ে যাওয়ার ভয়ে সেনা পাঠাতে ইচ্ছুক নয়।
কাতার এবং সৌদি আরব গাজার পুনর্গঠনে অর্থায়ন করার ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানি জানিয়েছেন, অন্যরা যা ধ্বংস করেছে তা পুনর্নির্মাণের জন্য তারা চেক লিখবেন না। অন্যদিকে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে কোনো তহবিলের প্রতিশ্রুতি দেননি।
এই পরিস্থিতিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রধান উপসাগরীয় অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আবুধাবি বর্তমানে গাজায় বৃহত্তম মানবিক ত্রাণ দাতা।
ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং রুয়ান্ডা-কঙ্গো শান্তি চুক্তিকে যেভাবে ব্যবসায়িক লেনদেনের সাথে যুক্ত করেছে, গাজার ক্ষেত্রেও প্রাকৃতিক সম্পদ (গ্যাস) ব্যবহারের মাধ্যমে তারা একই পথে হাঁটতে চাইছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

গাজার সমুদ্রতীরবর্তী গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই উপত্যকার পুনর্গঠন কাজে ব্যয় করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচনা করেছে। সাবেক এক পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে কর্মরত এক পশ্চিমা ও এক আরব কর্মকর্তা লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই আলোচনা বিভিন্ন আঙ্গিকে হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রস্তাব হলো—আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এডনক) গাজার এখনো ব্যবহৃত হয়নি এমন গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মালিকানায় অংশ নেবে এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ গাজার পুনর্গঠনে ব্যয় করা হবে।
আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের আগেই যুক্তরাষ্ট্র গাজার যুদ্ধোত্তর যে পরিকল্পনা শুরু করেছিল, তার অধিকাংশের মতোই এখানেও কোনো চূড়ান্ত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। তবে সাবেক ওই পশ্চিমা কর্মকর্তা জানান, ডিসেম্বরে গাজার গ্যাস থেকে অর্থ উপার্জনের ধারণাটি পুনরায় আলোচনায় আসে।
২০০০ সালে গাজার সামুদ্রিক এলাকায় গ্যাস আবিষ্কৃত হয়। এই গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নের অধিকার দুটি প্রতিষ্ঠানের হাতে রয়েছে: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সার্বভৌম তহবিল প্যালেস্টাইন ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম এবং কনসোলিডেটেড কন্ট্রাক্টরস কোম্পানি। এটি একটি নির্মাণ ও জ্বালানি গোষ্ঠী, যার মালিক গ্রিসভিত্তিক এক প্রবাসী ফিলিস্তিনি পরিবার।
এই প্রকল্পের প্রায় ৪৫ শতাংশ মালিকানা একজন আন্তর্জাতিক অংশীদারের জন্য সংরক্ষিত। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলা এবং পরবর্তী যুদ্ধের আগে মিসর এই মালিকানায় অংশ নিতে আগ্রহী ছিল। জাতিসংঘ বর্তমান এই যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় গ্যাস বিশেষজ্ঞ এবং দ্য গাজা মেরিন স্টোরি বইয়ের লেখক মাইকেল ব্যারন বলেন, ‘প্রকল্পটি বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত লাভজনক।’
ব্যারন যখন ১৫ বছর আগে এই প্রকল্পে কাজ করেছিলেন, তখন গ্যাসক্ষেত্রটি উন্নয়নের খরচ ধরা হয়েছিল ৭৫ কোটি ডলার। এটি থেকে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার আয় হওয়ার কথা ছিল, যার মধ্যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ১৫ বছর ধরে বছরে ১০ কোটি ডলার করে লভ্যাংশ পেত। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এটি ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। এর উন্নয়ন পুনর্গঠন কাজে বড় অবদান রাখতে পারে।’
জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী, গাজার পূর্ণ পুনর্গঠন খরচ অনেক বেশি—প্রায় ৭ হাজার কোটি ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এই উপত্যকাকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্নির্মাণের ধারেকাছেও নেই। বরং ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের ঘনিষ্ঠ একদল মার্কিন প্রতিনিধি ইসরায়েল-অধিকৃত গাজার অর্ধাংশে অস্থায়ী আবাসন নির্মাণের একটি ছোট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।
সাবেক পশ্চিমা কর্মকর্তা জানান, তিনি মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর উচ্চপদস্থ কূটনীতিকদের সাথে কথা বলেছেন। তারা সবাই গাজাকে বিভক্ত রাখার এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন। ট্রাম্পের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনাটিও থমকে আছে, কারণ আরব ও মুসলিম দেশগুলো হামাস এবং ইসরায়েলি সেনাদের মাঝখানে পড়ে যাওয়ার ভয়ে সেনা পাঠাতে ইচ্ছুক নয়।
কাতার এবং সৌদি আরব গাজার পুনর্গঠনে অর্থায়ন করার ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানি জানিয়েছেন, অন্যরা যা ধ্বংস করেছে তা পুনর্নির্মাণের জন্য তারা চেক লিখবেন না। অন্যদিকে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে কোনো তহবিলের প্রতিশ্রুতি দেননি।
এই পরিস্থিতিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রধান উপসাগরীয় অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আবুধাবি বর্তমানে গাজায় বৃহত্তম মানবিক ত্রাণ দাতা।
ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং রুয়ান্ডা-কঙ্গো শান্তি চুক্তিকে যেভাবে ব্যবসায়িক লেনদেনের সাথে যুক্ত করেছে, গাজার ক্ষেত্রেও প্রাকৃতিক সম্পদ (গ্যাস) ব্যবহারের মাধ্যমে তারা একই পথে হাঁটতে চাইছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

ভোটে জিতলেও ক্ষমতা গ্রহণ করতে প্রায় আড়াই মাস বাকি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে গতকাল বুধবার বিজয় ভাষণে সরকার কেমন হবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ভাষণে উঠে এসেছে যুদ্ধ বন্ধের কথা। উঠে এসেছে কঠোর অভিবাসন নীতির কথাও। এতে ট্রাম্প মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মার্কিন নীতির খোল
০৭ নভেম্বর ২০২৪
ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পথ সুগম করতে তুরস্ক রাশিয়ার কাছে তাদের সরবরাহ করা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
৫ ঘণ্টা আগে
সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ বহিষ্কার করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ বহিষ্কার করেছে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের মতে, এই প্রবণতা দেশটির আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
চলতি বছর ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে সৌদি আরব ২৪ হাজার পাকিস্তানিকে বহিষ্কার করেছে। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত অধিকাংশ পাকিস্তানি নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দেশটির দাবি, অনেকে সে দেশে পৌঁছানোর পর ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ২০২৫ সালে সংগঠিত ভিক্ষুক সিন্ডিকেট নির্মূল এবং অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরগুলোতে ৬৬ হাজার ১৫৪ জন যাত্রীকে নামিয়ে দিয়েছে (অফলোড করেছে)।
এফআইএর মহাপরিচালক রিফাত মুখতার বলেন, এই নেটওয়ার্কগুলো পাকিস্তানের সুনাম নষ্ট করছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রবণতা শুধু উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আফ্রিকা ও ইউরোপ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা শনাক্ত হয়েছে এবং কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশে পর্যটন ভিসার অপব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মুখতারের তথ্য অনুযায়ী, ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে সৌদি আরব এ বছর ২৪ হাজার পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠিয়েছে। দুবাই প্রায় ৬ হাজার ব্যক্তিকে এবং আজারবাইজান প্রায় আড়াই হাজার পাকিস্তানি ভিক্ষুককে বহিষ্কার করেছে। অর্থ্যাৎ ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিষয়টি গত বছরই সৌদি কর্তৃপক্ষের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ২০২৪ সালে রিয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছিল, যেন ভিক্ষুকেরা মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ ভিসার অপব্যবহার করে ভিক্ষা করতে না পারে। সৌদি আরবের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় তখন সতর্ক করে দিয়েছিল যে এই চর্চা বন্ধে ব্যর্থ হলে তা পাকিস্তানের ওমরাহ ও হজযাত্রীদের জন্য বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
পাকিস্তানের আইন বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করেছেন। গত বছর দ্য ডন পত্রিকায় অ্যাটর্নি রাফিয়া জাকারিয়া ভিক্ষাবৃত্তিকে নিছক অভাবের তাড়না নয়, বরং একটি সুসংগঠিত উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি লিখেছিলেন, ‘পাকিস্তানের একটি শিল্প, যা অত্যন্ত সুসংগঠিত এবং এর সদস্যদের কাজ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বেশ সফল, তা হলো ভিক্ষাবৃত্তি। এটি এখন এতই সফল একটি উদ্যোগ যে এটি অন্য দেশে রপ্তানি এবং সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনেক পাকিস্তানি হয়তো হজের সময় নিজের চোখে দেখেছেন, এই ভিক্ষুকেরা মক্কা ও মদিনার পবিত্র স্থানগুলোর বাইরে আস্তানা গড়ে তোলে। তারা সেখানে বিদেশি হজযাত্রীদের টাকার জন্য সেভাবেই হয়রানি করে, যেভাবে পাকিস্তানের বাজারগুলোতে ক্রেতাদের করে থাকে।’

সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ বহিষ্কার করেছে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের মতে, এই প্রবণতা দেশটির আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
চলতি বছর ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে সৌদি আরব ২৪ হাজার পাকিস্তানিকে বহিষ্কার করেছে। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত অধিকাংশ পাকিস্তানি নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দেশটির দাবি, অনেকে সে দেশে পৌঁছানোর পর ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ২০২৫ সালে সংগঠিত ভিক্ষুক সিন্ডিকেট নির্মূল এবং অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরগুলোতে ৬৬ হাজার ১৫৪ জন যাত্রীকে নামিয়ে দিয়েছে (অফলোড করেছে)।
এফআইএর মহাপরিচালক রিফাত মুখতার বলেন, এই নেটওয়ার্কগুলো পাকিস্তানের সুনাম নষ্ট করছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রবণতা শুধু উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আফ্রিকা ও ইউরোপ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা শনাক্ত হয়েছে এবং কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশে পর্যটন ভিসার অপব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মুখতারের তথ্য অনুযায়ী, ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে সৌদি আরব এ বছর ২৪ হাজার পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠিয়েছে। দুবাই প্রায় ৬ হাজার ব্যক্তিকে এবং আজারবাইজান প্রায় আড়াই হাজার পাকিস্তানি ভিক্ষুককে বহিষ্কার করেছে। অর্থ্যাৎ ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিষয়টি গত বছরই সৌদি কর্তৃপক্ষের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ২০২৪ সালে রিয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছিল, যেন ভিক্ষুকেরা মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ ভিসার অপব্যবহার করে ভিক্ষা করতে না পারে। সৌদি আরবের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় তখন সতর্ক করে দিয়েছিল যে এই চর্চা বন্ধে ব্যর্থ হলে তা পাকিস্তানের ওমরাহ ও হজযাত্রীদের জন্য বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
পাকিস্তানের আইন বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করেছেন। গত বছর দ্য ডন পত্রিকায় অ্যাটর্নি রাফিয়া জাকারিয়া ভিক্ষাবৃত্তিকে নিছক অভাবের তাড়না নয়, বরং একটি সুসংগঠিত উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি লিখেছিলেন, ‘পাকিস্তানের একটি শিল্প, যা অত্যন্ত সুসংগঠিত এবং এর সদস্যদের কাজ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বেশ সফল, তা হলো ভিক্ষাবৃত্তি। এটি এখন এতই সফল একটি উদ্যোগ যে এটি অন্য দেশে রপ্তানি এবং সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনেক পাকিস্তানি হয়তো হজের সময় নিজের চোখে দেখেছেন, এই ভিক্ষুকেরা মক্কা ও মদিনার পবিত্র স্থানগুলোর বাইরে আস্তানা গড়ে তোলে। তারা সেখানে বিদেশি হজযাত্রীদের টাকার জন্য সেভাবেই হয়রানি করে, যেভাবে পাকিস্তানের বাজারগুলোতে ক্রেতাদের করে থাকে।’

ভোটে জিতলেও ক্ষমতা গ্রহণ করতে প্রায় আড়াই মাস বাকি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে গতকাল বুধবার বিজয় ভাষণে সরকার কেমন হবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ভাষণে উঠে এসেছে যুদ্ধ বন্ধের কথা। উঠে এসেছে কঠোর অভিবাসন নীতির কথাও। এতে ট্রাম্প মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মার্কিন নীতির খোল
০৭ নভেম্বর ২০২৪
ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পথ সুগম করতে তুরস্ক রাশিয়ার কাছে তাদের সরবরাহ করা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
৫ ঘণ্টা আগে
গাজার সমুদ্রতীরবর্তী গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই উপত্যকার পুনর্গঠন কাজে ব্যয় করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচনা করেছে। সাবেক এক পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে কর্মরত এক পশ্চিমা ও এক আরব কর্মকর্তা লন্ডন থেকে প্রকাশিত...
৬ ঘণ্টা আগে