
আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা তথা ১৯ কোটি পাউন্ড দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ শুক্রবার পাকিস্তানের ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালত এই রায় দেয়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দায়রা আদালতের বিচারক নাসির জাভেদ রানা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া তাদের ওপর বড় অঙ্কের জরিমানাও আরোপ করা হয়েছে।
আদালতের রায় অনুসারে, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি এবং তাঁর স্ত্রীকে ৫ লাখ রুপি জরিমানা দিতে হবে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে, ইমরান খানকে আরও ছয় মাস এবং বুশরা বিবিকে তিন মাস অতিরিক্ত কারাগারে থাকতে হবে।
ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) প্রসিকিউটর জেনারেল সরদার মুজাফফর আব্বাসির নেতৃত্বে একটি দল আদিয়ালা জেলে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে এই রায় ঘোষণা শোনার জন্য উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী বুশরা বিবি, ব্যারিস্টার গহার আলী খান, শোয়েব শাহিন, সালমান আকরাম রাজাসহ অন্যান্য আইনজীবীরা।
রায় ঘোষণার পর বুশরা বিবিকে আটক করা হয়। সূত্র জানায়, আদিয়ালা জেলে তাঁর থাকার কক্ষ আগেই প্রস্তুত করা হয়েছিল। তাঁকে এবং এরই মধ্যে কারাগারে থাকা ইমরান খানকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই আসামিকে রায়ের সত্যায়িত কপি সরবরাহ করা হয়েছে, যাতে তারা চাইলে আপিল করতে পারেন।
রায়ের ভিত্তিতে ইমরান খান ‘দুর্নীতি’ এবং ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’—এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, বুশরা বিবি ‘অবৈধ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের’ জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আদালত আল-কাদির ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইমরান খানকে ১৯৯৯ সালের জাতীয় জবাবদিহি অধ্যাদেশের ৯ (ক) (২) (৪) (৬) ধারা অনুযায়ী এবং বুশরা বিবিকে একই অধ্যাদেশের ৯ (ক) (১২) ধারা অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ১৪৮ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়েছে, বুশরার ভূমিকা দুর্নীতির ঘটনায় সহায়তা ও প্ররোচনায় সীমাবদ্ধ ছিল, যা তার শাস্তি কমানোর জন্য বিবেচিত হয়েছে।
রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার অভিযোগপত্রে উপস্থাপিত প্রমাণগুলো বিশ্বাসযোগ্য ও সংগতিপূর্ণ ছিল। তবে, আসামিপক্ষ প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের অযোগ্য প্রমাণ করতে বা কোনো যৌক্তিক সন্দেহ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। দুই আসামি দণ্ডবিধির ২৬৫-ক ধারা অনুযায়ী আবেদন করেছিলেন, যা আদালত খারিজ করে দিয়েছে।
আদালত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে তাদের মামলা প্রমাণ করতে পেরেছে এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টি বহাল রাখা হয়েছে।
আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা কী
আল-কাদির ট্রাস্ট মামলাটি সাধারণত ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মামলা নামে পরিচিত। ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং আরও কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) থেকে পাকিস্তান সরকারের কাছে পাঠানো প্রায় ৫০ বিলিয়ন রুপি আল-কাদির ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির ফান্ডে সমন্বয় করেছিলেন।
এই অর্থটি মূলত এক প্রভাবশালী আবাসন ব্যবসায়ীর জব্দকৃত সম্পদ সম্পর্কিত। এই সম্পদ পিটিআই সরকারের শাসনামলে এনসিএ বাজেয়াপ্ত করেছিল। সে সময় ব্রিটিশ ক্রাইম এজেন্সি জানিয়েছিল, এই অর্থ পাকিস্তান সরকারের কাছে পাঠানো হবে, তবে এটি একটি নাগরিক মামলা এবং এর মাধ্যমে কোনো অপরাধের প্রমাণ মেলে না।
তবে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে। ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ইমরান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এনএবি জানায়, ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এনসিএর সঙ্গে একটি গোপন চুক্তি অনুমোদন করেন, যার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
এতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, এই অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হবে। কিন্তু এর কয়েক সপ্তাহ পরেই আল-কাদির ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, এই কালো টাকার বৈধতা প্রদানে আইনি সুরক্ষা দিতে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল এই ট্রাস্ট।
পিটিআই নেতা জুলফি বুখারি, বাবর আওয়ান, তৎকালীন ফার্স্ট লেডি বুশরা এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফারাহ গোগিকে ট্রাস্টের সদস্য করা হয়। এনএবি আরও অভিযোগ করে, বুখারি চুক্তি অনুমোদনের কয়েক মাস পর ৪৫৮ কানাল জমি পেয়েছিলেন। পরে এই জমি ট্রাস্টে স্থানান্তরিত হয়। এই জমি বর্তমানে ইমরান, বুশরা ও ফারাহের নামে নিবন্ধিত।
মামলার তদন্ত শুরু হলে ২০২৩ সালের ৯ মে ইমরানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই প্রথমবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর পিটিআই সমর্থকদের দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়, যেখানে সামরিক ও সরকারি স্থাপনা আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
তবে কয়েক দিন পর ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরানের জামিন মঞ্জুর করে এবং সুপ্রিম কোর্ট তাঁর গ্রেপ্তারকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেন। যাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী পারভেজ খট্টক ও জুবাইদা জলাল, প্রধান সচিব আজম খান এবং আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা।
পারভেজ খট্টক সাক্ষ্যে জানান, তখনকার জবাবদিহি উপদেষ্টা মির্জা শাহজাদ আকবর মন্ত্রিসভায় একটি সিল করা নথি উপস্থাপন করেন, যা পাকিস্তান সরকার ও এনসিএর মধ্যে অপরাধমূলক অর্থ ফেরত দেওয়ার একটি চুক্তি ছিল। আজম খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। জুবাইদা জলাল জানান, মন্ত্রিসভাকে ‘অপরাধমূলক অর্থের’ ব্যবসায়ীর কাছে স্থানান্তরের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
মামলায় অন্য ছয় অভিযুক্ত জুলফি বুখারি, ফারাহ গোগি, মির্জা শাহজাদ আকবর এবং জিয়া-উল-মুস্তফা নাসিমকে পলাতক ঘোষণা করা হয়। আদালত তাদের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার নির্দেশ দেয়।
ইমরান আদালতে ১৬ জন সাক্ষীর তালিকা জমা দেন, তবে আদালত তাদের তলব করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় চারজন বিচারক পরিবর্তন হয়, যার মধ্যে ছিলেন বিচারপতি মোহাম্মদ বশির, বিচারপতি নাসির জাভেদ রানা, বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ওয়ারাইচ এবং বিচারপতি রানা।

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা তথা ১৯ কোটি পাউন্ড দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ শুক্রবার পাকিস্তানের ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালত এই রায় দেয়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দায়রা আদালতের বিচারক নাসির জাভেদ রানা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া তাদের ওপর বড় অঙ্কের জরিমানাও আরোপ করা হয়েছে।
আদালতের রায় অনুসারে, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি এবং তাঁর স্ত্রীকে ৫ লাখ রুপি জরিমানা দিতে হবে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে, ইমরান খানকে আরও ছয় মাস এবং বুশরা বিবিকে তিন মাস অতিরিক্ত কারাগারে থাকতে হবে।
ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) প্রসিকিউটর জেনারেল সরদার মুজাফফর আব্বাসির নেতৃত্বে একটি দল আদিয়ালা জেলে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে এই রায় ঘোষণা শোনার জন্য উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী বুশরা বিবি, ব্যারিস্টার গহার আলী খান, শোয়েব শাহিন, সালমান আকরাম রাজাসহ অন্যান্য আইনজীবীরা।
রায় ঘোষণার পর বুশরা বিবিকে আটক করা হয়। সূত্র জানায়, আদিয়ালা জেলে তাঁর থাকার কক্ষ আগেই প্রস্তুত করা হয়েছিল। তাঁকে এবং এরই মধ্যে কারাগারে থাকা ইমরান খানকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই আসামিকে রায়ের সত্যায়িত কপি সরবরাহ করা হয়েছে, যাতে তারা চাইলে আপিল করতে পারেন।
রায়ের ভিত্তিতে ইমরান খান ‘দুর্নীতি’ এবং ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’—এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, বুশরা বিবি ‘অবৈধ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের’ জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আদালত আল-কাদির ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইমরান খানকে ১৯৯৯ সালের জাতীয় জবাবদিহি অধ্যাদেশের ৯ (ক) (২) (৪) (৬) ধারা অনুযায়ী এবং বুশরা বিবিকে একই অধ্যাদেশের ৯ (ক) (১২) ধারা অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ১৪৮ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়েছে, বুশরার ভূমিকা দুর্নীতির ঘটনায় সহায়তা ও প্ররোচনায় সীমাবদ্ধ ছিল, যা তার শাস্তি কমানোর জন্য বিবেচিত হয়েছে।
রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার অভিযোগপত্রে উপস্থাপিত প্রমাণগুলো বিশ্বাসযোগ্য ও সংগতিপূর্ণ ছিল। তবে, আসামিপক্ষ প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের অযোগ্য প্রমাণ করতে বা কোনো যৌক্তিক সন্দেহ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। দুই আসামি দণ্ডবিধির ২৬৫-ক ধারা অনুযায়ী আবেদন করেছিলেন, যা আদালত খারিজ করে দিয়েছে।
আদালত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে তাদের মামলা প্রমাণ করতে পেরেছে এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টি বহাল রাখা হয়েছে।
আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা কী
আল-কাদির ট্রাস্ট মামলাটি সাধারণত ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মামলা নামে পরিচিত। ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং আরও কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) থেকে পাকিস্তান সরকারের কাছে পাঠানো প্রায় ৫০ বিলিয়ন রুপি আল-কাদির ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির ফান্ডে সমন্বয় করেছিলেন।
এই অর্থটি মূলত এক প্রভাবশালী আবাসন ব্যবসায়ীর জব্দকৃত সম্পদ সম্পর্কিত। এই সম্পদ পিটিআই সরকারের শাসনামলে এনসিএ বাজেয়াপ্ত করেছিল। সে সময় ব্রিটিশ ক্রাইম এজেন্সি জানিয়েছিল, এই অর্থ পাকিস্তান সরকারের কাছে পাঠানো হবে, তবে এটি একটি নাগরিক মামলা এবং এর মাধ্যমে কোনো অপরাধের প্রমাণ মেলে না।
তবে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে। ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ইমরান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এনএবি জানায়, ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এনসিএর সঙ্গে একটি গোপন চুক্তি অনুমোদন করেন, যার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
এতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, এই অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হবে। কিন্তু এর কয়েক সপ্তাহ পরেই আল-কাদির ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, এই কালো টাকার বৈধতা প্রদানে আইনি সুরক্ষা দিতে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল এই ট্রাস্ট।
পিটিআই নেতা জুলফি বুখারি, বাবর আওয়ান, তৎকালীন ফার্স্ট লেডি বুশরা এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফারাহ গোগিকে ট্রাস্টের সদস্য করা হয়। এনএবি আরও অভিযোগ করে, বুখারি চুক্তি অনুমোদনের কয়েক মাস পর ৪৫৮ কানাল জমি পেয়েছিলেন। পরে এই জমি ট্রাস্টে স্থানান্তরিত হয়। এই জমি বর্তমানে ইমরান, বুশরা ও ফারাহের নামে নিবন্ধিত।
মামলার তদন্ত শুরু হলে ২০২৩ সালের ৯ মে ইমরানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই প্রথমবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর পিটিআই সমর্থকদের দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়, যেখানে সামরিক ও সরকারি স্থাপনা আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
তবে কয়েক দিন পর ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরানের জামিন মঞ্জুর করে এবং সুপ্রিম কোর্ট তাঁর গ্রেপ্তারকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেন। যাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী পারভেজ খট্টক ও জুবাইদা জলাল, প্রধান সচিব আজম খান এবং আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা।
পারভেজ খট্টক সাক্ষ্যে জানান, তখনকার জবাবদিহি উপদেষ্টা মির্জা শাহজাদ আকবর মন্ত্রিসভায় একটি সিল করা নথি উপস্থাপন করেন, যা পাকিস্তান সরকার ও এনসিএর মধ্যে অপরাধমূলক অর্থ ফেরত দেওয়ার একটি চুক্তি ছিল। আজম খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। জুবাইদা জলাল জানান, মন্ত্রিসভাকে ‘অপরাধমূলক অর্থের’ ব্যবসায়ীর কাছে স্থানান্তরের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
মামলায় অন্য ছয় অভিযুক্ত জুলফি বুখারি, ফারাহ গোগি, মির্জা শাহজাদ আকবর এবং জিয়া-উল-মুস্তফা নাসিমকে পলাতক ঘোষণা করা হয়। আদালত তাদের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার নির্দেশ দেয়।
ইমরান আদালতে ১৬ জন সাক্ষীর তালিকা জমা দেন, তবে আদালত তাদের তলব করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় চারজন বিচারক পরিবর্তন হয়, যার মধ্যে ছিলেন বিচারপতি মোহাম্মদ বশির, বিচারপতি নাসির জাভেদ রানা, বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ওয়ারাইচ এবং বিচারপতি রানা।

ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
১৮ মিনিট আগে
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৭ ঘণ্টা আগে
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্বদিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) কলকাতায় আরএসএসের শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘১০০ ব্যাখ্যান মালা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধানে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ শব্দ জোড়ানোর কোনো পরিকল্পনা বা দাবি সংঘের আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মোহন ভাগবত বলেন, ‘সূর্য পূর্বদিকে ওঠে; আমরা জানি না কত দিন ধরে এটি ঘটছে। এর জন্য কি আমাদের সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন আছে? হিন্দুস্তান একটি হিন্দু রাষ্ট্র। যারা এই দেশকে মাতৃভূমি মনে করে এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করে, তারা সবাই এই দর্শনের অংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ যদি কখনো সংবিধান সংশোধন করে এই শব্দটি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা ভালো। কিন্তু তারা তা করুক বা না করুক—তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। কারণ, সত্য এটাই যে আমাদের দেশ একটি হিন্দু রাষ্ট্র।’
জাতপাত নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে আরএসএস প্রধান স্পষ্ট করে বলেন, ‘জন্মভিত্তিক বর্ণপ্রথা বা জাতপাত হিন্দুত্বের বৈশিষ্ট্য নয়।’
আরএসএসকে প্রায়ই মুসলিমবিরোধী হিসেবে গণ্য করা হয়। এই প্রসঙ্গে মোহন ভাগবত মানুষকে সরাসরি সংঘের শাখা বা অফিসগুলো ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ অত্যন্ত স্বচ্ছ। আপনারা যেকোনো সময় এসে দেখে যান। যদি আমাদের কার্যক্রমে মুসলিমবিরোধী কিছু খুঁজে পান, তবে আপনাদের ধারণা বজায় রাখুন। কিন্তু যদি তা না দেখেন, তবে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন।’
তিনি দাবি করেন, মানুষ এখন বুঝতে পারছে যে আরএসএস হিন্দুদের সুরক্ষার কথা বলে এবং তারা কট্টর জাতীয়তাবাদী, কিন্তু তারা ‘মুসলিমবিরোধী’ নয়।
উল্লেখ্য, ভারতের সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ (Secular) শব্দটি ছিল না। ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধী সরকারের আনা ৪২তম সংশোধনীর মাধ্যমে এটি যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে, আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে, ভারতের সংস্কৃতি এবং জনতাত্ত্বিক কাঠামোর কারণেই এটি প্রাকৃতিকভাবে একটি হিন্দু রাষ্ট্র।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্বদিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) কলকাতায় আরএসএসের শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘১০০ ব্যাখ্যান মালা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধানে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ শব্দ জোড়ানোর কোনো পরিকল্পনা বা দাবি সংঘের আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মোহন ভাগবত বলেন, ‘সূর্য পূর্বদিকে ওঠে; আমরা জানি না কত দিন ধরে এটি ঘটছে। এর জন্য কি আমাদের সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন আছে? হিন্দুস্তান একটি হিন্দু রাষ্ট্র। যারা এই দেশকে মাতৃভূমি মনে করে এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করে, তারা সবাই এই দর্শনের অংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ যদি কখনো সংবিধান সংশোধন করে এই শব্দটি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা ভালো। কিন্তু তারা তা করুক বা না করুক—তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। কারণ, সত্য এটাই যে আমাদের দেশ একটি হিন্দু রাষ্ট্র।’
জাতপাত নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে আরএসএস প্রধান স্পষ্ট করে বলেন, ‘জন্মভিত্তিক বর্ণপ্রথা বা জাতপাত হিন্দুত্বের বৈশিষ্ট্য নয়।’
আরএসএসকে প্রায়ই মুসলিমবিরোধী হিসেবে গণ্য করা হয়। এই প্রসঙ্গে মোহন ভাগবত মানুষকে সরাসরি সংঘের শাখা বা অফিসগুলো ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ অত্যন্ত স্বচ্ছ। আপনারা যেকোনো সময় এসে দেখে যান। যদি আমাদের কার্যক্রমে মুসলিমবিরোধী কিছু খুঁজে পান, তবে আপনাদের ধারণা বজায় রাখুন। কিন্তু যদি তা না দেখেন, তবে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন।’
তিনি দাবি করেন, মানুষ এখন বুঝতে পারছে যে আরএসএস হিন্দুদের সুরক্ষার কথা বলে এবং তারা কট্টর জাতীয়তাবাদী, কিন্তু তারা ‘মুসলিমবিরোধী’ নয়।
উল্লেখ্য, ভারতের সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ (Secular) শব্দটি ছিল না। ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধী সরকারের আনা ৪২তম সংশোধনীর মাধ্যমে এটি যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে, আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে, ভারতের সংস্কৃতি এবং জনতাত্ত্বিক কাঠামোর কারণেই এটি প্রাকৃতিকভাবে একটি হিন্দু রাষ্ট্র।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা তথা ১৯ কোটি পাউন্ড দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ শুক্রবার পাকিস্তানের ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালত এই রায় দেয়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৭ ঘণ্টা আগে
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার।
গত ২১ নভেম্বর পাপিরির সেন্ট মেরি’স ক্যাথলিক স্কুল থেকে ২৫০ জনেরও বেশি শিশু এবং কর্মী অপহৃত হয়। তাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিশুকে চলতি মাসের শুরুর দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
অবশিষ্ট ১৩০ জন শিশু ও কর্মীকে উদ্ধারের’ বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘একজন শিক্ষার্থীও আর বন্দিদশায় নেই।’
গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র বায়ো ওনানুগা জানান, মুক্ত শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা এখন ২৩০ জন। অপহরণের পর থেকে ঠিক কতজনকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং কতজন বন্দিদশায় ছিল, সে বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল। সরকার কীভাবে সর্বশেষ এই মুক্তি নিশ্চিত করেছে বা কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
ওনানুগা আরও জানান, আশা করা হচ্ছে, মুক্ত শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার নাইজারের রাজধানী মিন্নায় পৌঁছাবে।
গত নভেম্বরে ঘটে যাওয়া এ অপহরণের ঘটনাটি উত্তর ও মধ্য নাইজেরিয়ার স্কুল এবং উপাসনালয়গুলোতে ক্রমবর্ধমান লক্ষ্যবস্তু হামলার সর্বশেষ ঘটনা। এ অপহরণের সময় ৫০ জন শিক্ষার্থী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল বলে জানায় ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া।
এর আগে ১৮ নভেম্বর সেন্ট মেরি’স-এ হামলার ঠিক কয়েক দিন আগে আরও কিছু গণ-অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। কোয়ারা রাজ্যের ক্রাইস্ট অ্যাপোস্টোলিক চার্চে এক হামলায় দুজন নিহত এবং ৩৮ জন অপহৃত হন। এর আগের দিন কেব্বি রাজ্যের গভর্নমেন্ট গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দুজন নিহত এবং ২৫ জন মুসলিম শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছিল। কোয়ারা এবং কেব্বি হামলার ঘটনায় যাদের তুলে নেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে।
এই অপহরণগুলোর পেছনে কারা রয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে অধিকাংশ বিশ্লেষকের ধারণা, মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপরাধী চক্রগুলো এই কাজ করছে।
গত ৯ ডিসেম্বর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু বলেছিলেন, তাঁর সরকার আমাদের স্কুলগুলোকে নিরাপদ করতে এবং ছোটদের জন্য শিক্ষার পরিবেশকে আরও নিরাপদ ও অনুকূল করতে নাইজার এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার।
গত ২১ নভেম্বর পাপিরির সেন্ট মেরি’স ক্যাথলিক স্কুল থেকে ২৫০ জনেরও বেশি শিশু এবং কর্মী অপহৃত হয়। তাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিশুকে চলতি মাসের শুরুর দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
অবশিষ্ট ১৩০ জন শিশু ও কর্মীকে উদ্ধারের’ বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘একজন শিক্ষার্থীও আর বন্দিদশায় নেই।’
গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র বায়ো ওনানুগা জানান, মুক্ত শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা এখন ২৩০ জন। অপহরণের পর থেকে ঠিক কতজনকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং কতজন বন্দিদশায় ছিল, সে বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল। সরকার কীভাবে সর্বশেষ এই মুক্তি নিশ্চিত করেছে বা কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
ওনানুগা আরও জানান, আশা করা হচ্ছে, মুক্ত শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার নাইজারের রাজধানী মিন্নায় পৌঁছাবে।
গত নভেম্বরে ঘটে যাওয়া এ অপহরণের ঘটনাটি উত্তর ও মধ্য নাইজেরিয়ার স্কুল এবং উপাসনালয়গুলোতে ক্রমবর্ধমান লক্ষ্যবস্তু হামলার সর্বশেষ ঘটনা। এ অপহরণের সময় ৫০ জন শিক্ষার্থী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল বলে জানায় ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া।
এর আগে ১৮ নভেম্বর সেন্ট মেরি’স-এ হামলার ঠিক কয়েক দিন আগে আরও কিছু গণ-অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। কোয়ারা রাজ্যের ক্রাইস্ট অ্যাপোস্টোলিক চার্চে এক হামলায় দুজন নিহত এবং ৩৮ জন অপহৃত হন। এর আগের দিন কেব্বি রাজ্যের গভর্নমেন্ট গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দুজন নিহত এবং ২৫ জন মুসলিম শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছিল। কোয়ারা এবং কেব্বি হামলার ঘটনায় যাদের তুলে নেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে।
এই অপহরণগুলোর পেছনে কারা রয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে অধিকাংশ বিশ্লেষকের ধারণা, মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপরাধী চক্রগুলো এই কাজ করছে।
গত ৯ ডিসেম্বর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু বলেছিলেন, তাঁর সরকার আমাদের স্কুলগুলোকে নিরাপদ করতে এবং ছোটদের জন্য শিক্ষার পরিবেশকে আরও নিরাপদ ও অনুকূল করতে নাইজার এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা তথা ১৯ কোটি পাউন্ড দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ শুক্রবার পাকিস্তানের ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালত এই রায় দেয়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
১৮ মিনিট আগে
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৭ ঘণ্টা আগে
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
গতকাল রোববার এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। এর মাত্র একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশিত এক ‘ব্লকেডের’ অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় জাহাজ জব্দ করে মার্কিন কোস্ট গার্ড।
আল জাজিরাকে ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘জাহাজটিকে “সক্রিয়ভাবে ধাওয়া” করছে আমাদের কোস্ট গার্ড। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী, জাহাজটি ভেনেজুয়েলার সেই “ডার্ক ফ্লিট”-এর অংশ, যা লাতিন আমেরিকার দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তেল খাতের ওপর ওয়াশিংটনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর চেষ্টা করছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জাহাজটি ‘ভুয়া পতাকা’ ব্যবহার করছিল। একই সঙ্গে এটি একটি ‘বিচারিক জব্দাদেশ’-এর আওতাভুক্ত।
এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই ট্যাঙ্কারটি নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। তবে এখন পর্যন্ত জাহাজটিতে কেউ আরোহণ করেনি। জাহাজটির গতিরোধের প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যার মধ্যে সন্দেহভাজন জাহাজের খুব কাছ দিয়ে নৌযান চালানো বা ওপর দিয়ে বিমান ওড়ানোও অন্তর্ভুক্ত।
অভিযানটি কোথায় চলছে বা কোন জাহাজের পিছু নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি ওই কর্মকর্তা।
ব্রিটিশ সামুদ্রিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংস্থা ভ্যানগার্ড ওই জাহাজটিকে ‘বেলা ১’ হিসেবে শনাক্ত করেছে। এটি একটি বিশাল আকারের অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজ, যা গত বছর মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় যুক্ত করা হয়। জাহাজটির সঙ্গে ইরানের যোগসূত্র রয়েছে বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি।
ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার ভেনেজুয়েলার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় বেলা ১ খালি ছিল।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ (PDVSA)-র অভ্যন্তরীণ নথির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ২০২১ সালে ভেনেজুয়েলার তেল চীনে পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছিল এই জাহাজটি। একই সঙ্গে, একটি জাহাজ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি আরও জানায় যে, জাহাজটি এর আগে ইরানের অপরিশোধিত তেলও বহন করেছিল।
ভেনেজুয়েলার তেল খাতকে লক্ষ্য করে এই অভিযানটি এমন এক সময়ে পরিচালিত হচ্ছে যখন এই অঞ্চলে বৃহৎ আকারে মার্কিন সামরিক শক্তি বাড়ানো হয়েছে। এর ঘোষিত লক্ষ্য হলো মাদক পাচার মোকাবিলা করা। এছাড়াও, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির নিকটবর্তী প্রশান্ত মহাসাগর এবং ক্যারিবীয় সাগরে কথিত মাদক পাচারকারী জাহাজগুলোর ওপর দুই ডজনেরও বেশি হামলা চালানো হয়েছে।
সমালোচকেরা এসব হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির দাবি, বিশ্বের বৃহত্তম তেল মজুত দখলের উদ্দেশ্যেই ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ জব্দের ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে ভেনেজুয়েলা।
এ প্রসঙ্গে গতকাল হোয়াইট হাউস বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জব্দ করা প্রথম দুটি তেলের ট্যাঙ্কার কালোবাজারে পরিচালিত হচ্ছিল এবং নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশগুলোতে তেল সরবরাহ করছিল।
শনিবার জব্দ করা দ্বিতীয় জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী ‘সেঞ্চুরিজ’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। জাহাজটিতে প্রায় ১৮ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ছিল। ভেনেজুয়েলার এই তেলগুলো চীনে নেওয়ার কথা ছিল।
প্রথম জব্দ জাহাজ ‘স্কিপার’ বর্তমানে টেক্সাস উপকূলে নোঙর করা আছে। জাহাজটিতে থাকা ১৯ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সেখানে খালাস করে যুক্তরাষ্ট্রে পরিশোধনের প্রস্তুতি চলছে।
এই জাহাজ জব্দের ঘটনায় ভেনেজুয়েলা সরকার অভিযোগ করছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের তেল চুরি করছে।

ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
গতকাল রোববার এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। এর মাত্র একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশিত এক ‘ব্লকেডের’ অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় জাহাজ জব্দ করে মার্কিন কোস্ট গার্ড।
আল জাজিরাকে ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘জাহাজটিকে “সক্রিয়ভাবে ধাওয়া” করছে আমাদের কোস্ট গার্ড। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী, জাহাজটি ভেনেজুয়েলার সেই “ডার্ক ফ্লিট”-এর অংশ, যা লাতিন আমেরিকার দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তেল খাতের ওপর ওয়াশিংটনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর চেষ্টা করছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জাহাজটি ‘ভুয়া পতাকা’ ব্যবহার করছিল। একই সঙ্গে এটি একটি ‘বিচারিক জব্দাদেশ’-এর আওতাভুক্ত।
এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই ট্যাঙ্কারটি নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। তবে এখন পর্যন্ত জাহাজটিতে কেউ আরোহণ করেনি। জাহাজটির গতিরোধের প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যার মধ্যে সন্দেহভাজন জাহাজের খুব কাছ দিয়ে নৌযান চালানো বা ওপর দিয়ে বিমান ওড়ানোও অন্তর্ভুক্ত।
অভিযানটি কোথায় চলছে বা কোন জাহাজের পিছু নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি ওই কর্মকর্তা।
ব্রিটিশ সামুদ্রিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংস্থা ভ্যানগার্ড ওই জাহাজটিকে ‘বেলা ১’ হিসেবে শনাক্ত করেছে। এটি একটি বিশাল আকারের অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজ, যা গত বছর মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় যুক্ত করা হয়। জাহাজটির সঙ্গে ইরানের যোগসূত্র রয়েছে বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি।
ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার ভেনেজুয়েলার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় বেলা ১ খালি ছিল।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ (PDVSA)-র অভ্যন্তরীণ নথির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ২০২১ সালে ভেনেজুয়েলার তেল চীনে পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছিল এই জাহাজটি। একই সঙ্গে, একটি জাহাজ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি আরও জানায় যে, জাহাজটি এর আগে ইরানের অপরিশোধিত তেলও বহন করেছিল।
ভেনেজুয়েলার তেল খাতকে লক্ষ্য করে এই অভিযানটি এমন এক সময়ে পরিচালিত হচ্ছে যখন এই অঞ্চলে বৃহৎ আকারে মার্কিন সামরিক শক্তি বাড়ানো হয়েছে। এর ঘোষিত লক্ষ্য হলো মাদক পাচার মোকাবিলা করা। এছাড়াও, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির নিকটবর্তী প্রশান্ত মহাসাগর এবং ক্যারিবীয় সাগরে কথিত মাদক পাচারকারী জাহাজগুলোর ওপর দুই ডজনেরও বেশি হামলা চালানো হয়েছে।
সমালোচকেরা এসব হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির দাবি, বিশ্বের বৃহত্তম তেল মজুত দখলের উদ্দেশ্যেই ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ জব্দের ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে ভেনেজুয়েলা।
এ প্রসঙ্গে গতকাল হোয়াইট হাউস বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জব্দ করা প্রথম দুটি তেলের ট্যাঙ্কার কালোবাজারে পরিচালিত হচ্ছিল এবং নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশগুলোতে তেল সরবরাহ করছিল।
শনিবার জব্দ করা দ্বিতীয় জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী ‘সেঞ্চুরিজ’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। জাহাজটিতে প্রায় ১৮ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ছিল। ভেনেজুয়েলার এই তেলগুলো চীনে নেওয়ার কথা ছিল।
প্রথম জব্দ জাহাজ ‘স্কিপার’ বর্তমানে টেক্সাস উপকূলে নোঙর করা আছে। জাহাজটিতে থাকা ১৯ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সেখানে খালাস করে যুক্তরাষ্ট্রে পরিশোধনের প্রস্তুতি চলছে।
এই জাহাজ জব্দের ঘটনায় ভেনেজুয়েলা সরকার অভিযোগ করছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের তেল চুরি করছে।

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা তথা ১৯ কোটি পাউন্ড দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ শুক্রবার পাকিস্তানের ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালত এই রায় দেয়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
১৮ মিনিট আগে
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৫ ঘণ্টা আগে
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা তথা ১৯ কোটি পাউন্ড দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ শুক্রবার পাকিস্তানের ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালত এই রায় দেয়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
১৮ মিনিট আগে
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৭ ঘণ্টা আগে